নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

just simple

ফাহিম বদরুল হাসান

just simple

ফাহিম বদরুল হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

“বড়দের সালাম কর..- মারাত্মক ভুল শিক্ষা!!

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২৮

●হুজুর! “বড়দের সালাম কর, ছোটদের স্নেহ কর”- বাক্যদ্বয়ের আরবি যদি করে দিতেন।
■বৎস! দিচ্ছি। আগে বল এধরণের মারাত্মক ভুল কথার অনুবাদ দিয়ে কী করবে?

●ভুল হবে কেন! ছোটবেলায় প্রাইমারির বাংলা বইয়ে পড়েছি। এগুলো তো অনেক শিক্ষণীয়।
■বৎস! দ্বিতীয় লাইন তথা ছোটদের স্নেহ করার কথা ঠিক আছে। কিন্তু “বড়দেরকে সালাম” চরম ভুল এবং সম্পূর্ণ ইসলাম-বহির্ভূত কথা। ইসলামকে ভারতের মুসলিমরা সনাতনী স্টাইলে প্রতিষ্ঠিত করেছে, তাই বিয়ে-শাদি থেকে আরম্ভ করে হাজারো রীতিনীতির মতো “সালাম” কেও হিন্দু ধর্মের “নমস্কার”র স্হলে বসিয়ে দিয়েছে।

●বুঝলাম না, হুজুর! যদি আরেকটু ব্যাখ্যা করতেন?
■শুনো বৎস। “নমস্কার”র সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য অর্থ হচ্ছে, প্রণাম। অর্থাৎ, একটি ভক্তিমূলক অভিবাদন। কোনো উর্ধ্বতনকে শ্রদ্ধার সহিত সম্ভাষণ জানাতে সনাতন ধর্মালম্বীরা ব্যবহার করেন। এই দেখে ভারত অঞ্চলের মুসলিমরাও শুরু করল “সালাম” এর সাথে সম্মান জানানো। ইমাম, মুফতি, মুহাদ্দিস, ব্যারিস্টার,প্রফেসর থেকে শুরু করে কেউই আর ছোটদের সালাম দেন না। অথচ "সালাম" ছিল শান্তির প্রার্থনা, যার কোনো নির্দিষ্ট স্তর নেই, বয়স নেই। আমির থেকে ফকির, বৃদ্ধ থেকে শিশু সবাইকে সালাম দেয়া উচিত।


●ছোটরা বড়দের সালাম করলে অসুবিধা কী?
■ছোট কেউ সালাম দিলে কোনো আপত্তি নেই। এমনকি শিক্ষা দেয়ার জন্য, শিক্ষককে সালাম না দেয়ার কারণে তিনি শাসনও করতে পারেন। কিন্তু বড়দেরকে সালাম দেয়ার ক্ষেত্রেও তো কত নিকৃষ্ট রেওয়াজ রয়েছে! যেমনঃ বাবা-মাকে জীবনেও সালাম করে না, অথচ শশুরবাড়ির একটা পাগলকেও সালাম করে, এমনকি পায়ে ধরে। শুধু স্ত্রীর/স্বামীর এক মিনিট বড় হলেই হল।


●রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কি সাহাবায়ে কেরামকে সালাম করতেন!
■করতেন, মানে! ছোট ছোট শিশুদেরকেও রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সালাম করতেন। দলীল দেখো-

(i) সুনানে আবু দাউদে হযরত আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন, যখন আমি অন্যান্য বাচ্চাদের সাথে খেলছিলাম। তিনি (আমাদেরকে) সালাম দিলেন…।

(ii)সহীহ বুখারীতে হযরত আনাস (রাঃ) থেকে আরেকটি হাদিস আসছে এরকম, একদা কিছু নারী, শিশু এবং কিছু কৃতদাস রাসূলুল্লাহ (ﷺ)’র নিকট হাজির হল, যারা (কোনো এক) বিয়ে থেকে ফিরছিল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদেরকে সালাম করলেন। এবং বললেন- আল্লাহর নামে, সকলকে আমি আল্লাহর ওয়াস্তে ভালবাসি।

(iii) সহীহ মুসলিম, আহমদ, তিরমিযী, দারেমীতে হযরত ইস্সার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন- একদা আমি সাবিতের সাথে কিছু শিশু-কিশোরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম। তখন তিনি বলতে লাগলেন, হযরত আনাস ( রাঃ) এরকম (বাচ্চাদের সালাম) করতেন। এবং তিনি (আনাস) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে এরকম করতে দেখেছেন।

☆শুনো, বৎস। অহংকারীরা কখনো সালাম করতে পারে না। সালাম কীভাবে অহংকার ধ্বংস করে আজ থেকে তোমার নিম্নের মানুষদের সালাম করা শুরু করো এবং পরীক্ষা করে দেখো।
হুজুর! “বড়দের সালাম কর, ছোটদের স্নেহ কর”
‪#‎হু_জু_রে_র_হু_জ_রা‬

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২৩

তানভীরএফওয়ান বলেছেন: zajakallahu khairan

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৫২

ফাহিম বদরুল হাসান বলেছেন: আমিন। আপনাকেও আল্লাহ উত্তম জাঝা দিন।

২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৭

গ্রিন জোন বলেছেন: ইল্লা কিলাং সালামাং সালামা........................

৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪৮

তট রেখা বলেছেন: ইসলা্মে সালাম দেয়ার কথা বলা হয়েছে, সালাম করার কথা বলা হয়নি। সালাম করা অর্থ কদম্বুসি করা, যা একটি সুস্পষ্ট বিদাত এবং হিন্দু সংস্কৃতির অনুকরণ ক্ষেত্র বিশেষ যা শিরক পর্যন্ত গড়াতে পারে। তা অবশ্যই পরিত্যাহ্য। সালাম দেয়ার ক্ষেত্রে বড়/ছোট কোনো প্রোটোকল নেই, যে আগে সালাম দেবে সেই উত্তম। ছোটদের শেখানোড় জন্য, বড়দেরই আগে সালাম দেয়া উচিৎ।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৫৫

ফাহিম বদরুল হাসান বলেছেন: "সালাম করা" অর্থ কদম্বুসি করা কি না, জানি না। অবশিষ্টাংশে সম্পূর্ণ একমত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.