নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হুজুর! বাচ্চাটার জন্য একটা তাবিজ দেন। সারাদিন বিরামহীন কাঁদে!
-হম। কখন বেশি কান্না করে, দিনে না রাতে?
-রাতে তো ওর মা আছেন, কান্নাকাটি করলে তিনিই সামাল দেন। দিনে কাজের মেয়েটা কোনোভাবেই সামাল দিতে পারে না।
- ও আচ্ছা। তা দিনে তোমার স্ত্রী কোথায় থাকেন, কাজের মেয়েকে দেখতে হয়?
-আপনি ভুলে গেছেন! সেদিন না আপনাকে মিষ্টি খাওয়ালাম বৌয়ের চাকরি হওয়াতে!
-দুঃখিত, আজকাল ভুলে যাই সব। দেখো, কী সুন্দর তোমাদের পরিকল্পনা! পারিবারিক সম্মৃদ্ধির লক্ষ্যে শিশু-সন্তানকে একা রেখে তোমরাই বাইরে।
-হুজুর, আমরা সন্তানাদির সুখ-সম্মৃদ্ধির চিন্তা করেই তো দুজনে চাকরিতে নেমেছি। এখানে অপরাধ কোথায়?
-অপরাধের কিছু নয়। আজ যেমন তাদের সুখের জন্য তাদেরকে কাজের মেয়ের পরিচর্যায় রেখে তোমরা বাইরে, ঠিক তেমনি শেষ বয়সে তোমাদের সুখের জন্য যদি তারা তোমাদেরকে বৃদ্ধাশ্রমে পরিচর্যার জন্য পাঠিয়ে দেয়, অবাক হয়ো না।
-তার মানে নারীগণ কি চাকরি করবে না?
-এই দেখো, আবার উল্টো বুঝে! “নারী” আর “মা” দুই স্তর। দুটোর ভিন্ন দাবি। ঘুলিয়ে ফেলো না।
শুনো বৎস! একটা সন্তান মা’র অর্থ-সম্পদ পেল কি না সেটা কখনো খুঁজে না, মাতৃত্ব পেল কি না-সেটাই খুঁজে। মায়ের সাথে শিশু জুড়ে থাকার জন্য মাকে আল্লাহ নামায-রোযা থেকে মুক্ত রাখেন বেশ কয়েক সপ্তাহ, দুই থেকে আড়াই বছর মায়ের কাছে শিশুর খাবার রাখেন। সন্তান এতিম হয় মাতৃত্বহারা হলে। তোমরা তো সন্তানটাকে এতিমের কষ্ট দিচ্ছো, কাঁদবে না!
©somewhere in net ltd.