নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"এপ্রিলফুল" উদযাপন হচ্ছে মূলতঃ "মানুষকে বোকা বানানো"। এই দিনে একজন আরেকজনকে মিথ্যা কথা বলে, আশ্বাস দিয়ে, প্রতিশ্রুতি দিয়ে কিংবা মোবাইলে prank call/massage দিয়ে বেকুব বানায়। এটা কোনো ভাবেই ইসলাম সমর্থন করে না। মিথ্যার আশ্রয়ে কারো সাথে জোক করা যে হারাম, এটাতে কেউ দ্বিমত করে না।
কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে এই এপ্রিলফুল'র সাথে স্পেনের মুসলিমদের উপর চালিত জেনোসাইডকে জড়িয়ে দিয়েছেন। যা ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত নয়।
এই দিবসের উৎস ও ইতিহাস সম্পর্কে তথ্য এবং তত্ত্বের মধ্যে রয়েছে, ব্যাপক মতানৈক্য। অনুসন্ধান করলে এপ্রিলফুল'র আদিতে পাওয়া যায়, হরেক জাতির হরেক ইতিহাস।
এপ্রিলের সাথে গ্রীকদের ধর্মীয় ফেস্টিভাল যেমন জড়িত, হিন্দু ধর্মের 'হুলি-উৎসব'ও জড়িত রয়েছে বলে বিদ্যমান।
তন্মধ্যে গ্রহণযোগ্যতার দিক থেকে সর্বাধিক অগ্রগণ্য রয়েছে, ফ্রান্সের ক্যালেন্ডার পরিবর্তনের ঘটনা।
বলা হয়, ১৫৬৪ সালে ফ্রান্স কর্তৃপক্ষ মার্চ মাসের ২৫তারিখ থেকে ৩১তারিখ পর্যন্ত বছরের শেষ-সপ্তাহ ঘোষণা করে, এপ্রিলের ১তারিখ থেকে নতুন বছর শুরুর সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু পরের বছর কেউই তা করলো না, বরং আগের মতই ১লা জানুয়ারি থেকে বছর শুরু করলো। এতে ক্যালেন্ডার পরিবর্তনে উদ্যোগীরা বোকা বনে গেল। এটাকে তারা "poisson d'Avril" (এপ্রিলের মাছ) বলে। (poisson d'Avril হচ্ছে, ফরাসি phrase যা কাউকে "বোকা" বোঝাতে বলা হয়।)
এপ্রিলফুল'র ইংল্যান্ডভিত্তিক রয়েছে আরো দু'টি ঘটনা। প্রথমটি ১৬৯৮ সালের। সেই বছরের ১লা এপ্রিল সেন্ট্রাল লন্ডনে "The Lion Washed" তথা "সিংহ ধৌতকরণ" অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হল। কিন্তু, সেদিন হাজার হাজার দর্শানার্থী গিয়ে দেখল, কিছু নিগ্রো লোককে গোসল করানো হচ্ছে। দর্শানার্থীরা গিয়ে তো পুরাই বেকুব বনে গেল। এভাবেই মানুষদের বোকা বানানো হয়েছিল।
আরেকটি ঘটনা পাওয়া যায়, ১৭৪৬ মতান্তরে ১৭৬৪ সালের। সে বছরের Evening Star পত্রিকায় মার্চের শেষসপ্তাহে প্রকাশিত হল, আগামী ১লা এপ্রিল ইংল্যান্ডের ইসলিংটন'এ একটি গাধার প্যারেড হবে। নির্ধারিত দিন হাজার হাজার লোক সেথায় সমবেত হল। কিন্তু, সারাদিন অপেক্ষা করেও প্যারেড অনুষ্টিত হল না। দিনশেষে ওরা বুঝতে পারলো, তাদেরকে গাধা বানানো হয়েছে। এভাবেই ওরা বোকা বনেছিল।
এরকম আরো অনেক কাহিনী রয়েছে। তবে এগুলোর সাথে ইসলামের কিংবা মুসলমানদের কোনো সম্পৃক্ততার সত্যতা কোনো সোর্সই প্রমাণ করে না।
কিন্তু অত্যন্ত ব্যাপকভাবে এপ্রিলফুলকে চতুর্দশ শতাব্দিতে স্পেনে ঘটে যাওয়া জেনোসাইডের সাথে গুলিয়ে ফেলা হয়েছে, হচ্ছে!! যা খুবই নিন্দনীয়।
১৪৯২ সালে তদানীন্তন স্পেনের গ্রানাডা বা বালেন্সিয়ার সম্রাট মুসলমানদের সাথে চুক্তি করবে বলে, মসজিদে একত্রিত হতে বলেছিল। মুসলমানরা একত্রিত হলে, অত্যন্ত নির্মমভাবে মসজিদে আগুন ধরিয়ে সকল মুসলমানদেরককে জ্বালিয়ে হত্যা করা হয়। এই কাপুরুষিত, লৌমহর্ষক ঘটনাটা হয়েছিল ২রা জানুয়ারি, মতান্তরে ৯ই এপ্রিল। এটাকে পহেলা এপ্রিলের সাথে অর্থাৎ "APRIL FOOL'S DAY" এর সাথে কোনো ভাবেই সংযুক্ত করা যায় না।
আমাদের মনে রাখা উচিৎ- ইসলাম যেভাবে নিষিদ্ধ করেছে, মিথ্যা কথা বলে, অনৈতিক আচরণের মাধ্যমে কাউকে বোকা বানানো; ঠিক তেমনি নিষিদ্ধ করা হয়েছে, না জেনে কোনো কিছু প্রচার করা।
রাসুল সাল্লাল্লাহূ আলাইহিসালাম বলেন, "সবচে' বড় মিথ্যাবাদী হচ্ছে সেই ব্যক্তি, যে কোনো কিছু শুনার পর যাচাই না করে, তা অন্যের কাছে বলে দেয়।"
২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৫:৩৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
"আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, ইউরোপসহ পৃথিবীর অনেক দেশেই এটাকে জাতীয়ভাবে পালন করা হয়। "
-ভ্যাঁ
০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৫:৪৮
ফাহিম বদরুল হাসান বলেছেন: সরি জনাব চাঁদগাজী। বাক্যটিতে "জাতীয়ভাবে" সাংবিধানিক অর্থে বলতে চাইনি। খানিকটা ভুল ছিল। ধন্যবাদ।
৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৬:২৬
পাকাচুল বলেছেন: ধর্ম কর্মের কথা বাদ দেন, আমাদের নেতানেত্রীরা আমাদের প্রতি নিয়ত ফুল বানাচ্ছে, আমার এপ্রিলফুল না, ইয়ারফুল হচ্ছি।
সবকিছুতে ধর্ম টেনে আনেন কেন?
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৫:২০
আহসানের ব্লগ বলেছেন: