নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

just simple

ফাহিম বদরুল হাসান

just simple

ফাহিম বদরুল হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

>>পিস টিভির জন্য মানুষ মাঠে নামেনি, কারণ কী?

২০ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:০৩

26 জুন 2016 রোজ রবিবার, রাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় একটি নির্মাণাধীন মসজিদে নামাযে বাঁধা দেয় পুলিশ। জাতীয়ভাবে প্রতিবাদ তো দূরে থাক, স্রেফ ফেসবুকে ছোট ছোট স্ট্যাটাস দিয়েই মানুষের ঢলে পরের জুম’আয় মসজিদ বাঁধামুক্ত হয়ে যায়। এরকম “ছোট ছোট” ধর্মীয় বিষয়ে (রাজনৈতিক ইস্যু ছাড়া) আমজনতা মাঠে নেমে দাবী আদায় করেছে বারবার।
অথচ বাংলাদেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় ইসলামি চ্যানেল থুড়ি মেরে বন্ধ করে দিল সরকার, একটা মানুষও মাঠে নামল না। কেউ টিভি ভেঙে ফেলল না!
যেখানে পিস টিভি-নির্ভর স্কলারদের কেউ বললেন, নিজ নিজ অবস্থান থেকে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে https://m.youtube.com/watch?v=fZLXCCDNZyI
যেখানে কেউ বললেন, পিস টিভি বন্ধ হলে লাথি মেরে টিভি ভেঙে ফেলতে https://m.youtube.com/watch?v=38OUJHqYyCY

এই নিরবতা, নির্লিপ্ততার মূলে রয়েছে, চ্যানেলটি ভারত উপমহাদেশের মেইন স্ট্রীম আলেম এবং জনগনকে সম্পৃক্ত করতে পারেনি। অসম্পৃক্ততার ও নিরবতায় বেশ কিছু সঙ্গত কারণ।

তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে,
(1) চ্যানেলটিতে ভারত উপমহাদেশের শীর্ষ পর্যায়ের আলেমদেরকে মূল্যায়ন না করা।
(2) ডাক্তার জাকির নায়েকের মানহাজ সিলেকশনে অদূরদর্শীতা।
(3) পিস টিভি (বিশেষত বাংলা)তে আলোচক সিলেকশনে মারাত্মক ভুল।
(4) অর্থ ও রাষ্ট্রশক্তিতে নির্ভরশীলতা।

[এক]
পিস টিভির জন্য কেন দেওবন্দ থেকে আন্দোলন হয় না, পাকিস্তানের তারিক জামিল থেকে তাকি উসমানি (দা: বা:) কেন কিছুই বলেন না, কিংবা বাংলাদেশের আল্লামা শফি থেকে প্রিন্সিপাল হাবিবুর রাহমান কেন আন্দোলনের ডাক দেন না- এসব প্রশ্ন বাতাসে। কিন্তু যারা এসব প্রশ্ন উত্থাপিত করছেন তাদেরকে যদি উল্টো প্রশ্ন করা হয়, “এসব আলেমগণ কি জানেন পিস টিভি কী, তাদেরকে কি চেনানো হয়েছে টিভির দুয়ার, তাদেরকে কি কখনো একটি বার সুরা ফাতিহা পড়ার জন্য হলেও দাওয়াত দিয়েছেন?” জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের এরকম আলেমদেরকে সাইড লাইনে রাখলে তারা সেধে এসে ইজ্জত হারাবেন, এই আশাটা যুক্তিযুক্ত নয়।

[দুই]
যারা ইসলাম সম্পর্কে কিছুটা ধারণা রাখেন তারা জানেন, ইসলামের মাসআলা মাসাঈল বিষয়ে বিভিন্ন School of Thought এর ভিন্নতার কারণে মাযহাবের ভিন্নতা এসেছে। পৃথিবীতে মুসলমানদের প্রায় 99% এর বেশি মানুষ চার মাযহাবের কোন একটি অনুসরণ করে। ভারত অঞ্চলের প্রায় সকলেই হানাফি মাযহাবের অনুসারী। সেই অঞ্চলে হানাফি মাযহাবের বিপরীতে অভিমত দিয়ে, আরেকটু এগিয়ে বললে, সবক’টি মাযহাবকে অপ্রয়োজনীয় এবং অর্থহীন উল্লেখ করে শায়খ আলবানি (রাহিমাহুমাল্লাহ)র মানহাজ অনুসরণ করতঃ মাসআলা মাসাঈল প্রচার করার কারণে তিনি এবং তাঁর পিস টিভি সার্বজনীন হতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি দাওয়াতের ক্ষেত্রে ডক্টর আহমদ দিদাতকে অনুসরণ করেছেন ঠিকই, কিন্তু আহমদ দিদাতের মতো মাস’আলা-মাসাঈল বিষয়ে তার মতো রিজিওনাল ডিমান্ড ফলো করতে পারেননি।

[তিন]
আলেমগণ এবং আপামর জনসাধারণ পিস টিভির জন্য না নামার আরেকটি অন্যতম কারণ হচ্ছে, পিস টিভিতে বিশেষত বাংলা পিস টিভিতে এমন কিছু ”স্কলার” বসানো হয়েছে, এমন সব “আলেম”কে প্রতিষ্ঠিত করেছে, যারা মাযহাবের ইমাম থেকে আরম্ভ করে ভারত পাকিস্তান বাংলাদেশের যুগ যুগ ইসলামের খাদেম আলেমদের ছিদ্রান্বেষণ করতে থাকেন!

যখন মাযহাবকে সরাসরি শিরক আখ্যা দানকারী হয়ে যান পিস টিভির স্কলার, তখন মাযহাব মানা আলেমগণ কীভাবে পিস টিভির জন্য আন্দোলনে নামবেন?
যখন পিস টিভির আলোচক বলেন, “তাবলীগীরা বউকে কোথায় রেখে জেলায় জেলায় ঘুরে”, তখন কী করে আশা করা যায়, মাওলানা তারিক জামিলের অনুসরণকারীরা পিস টিভির জন্য গাট্টিপুটলা নিয়ে রাস্তায় নামবে?
যখন পিস টিভির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত স্কলার বলেন- “চোরকে যেমন ধরা ফরয, পীরকে তেমন ধরা ফরয”, তখন চরমোনাই পীরের পক্ষের মানুষ কী করে মাঠে নামবে?
যখন পিস টিভির বদৌলতে ভোকাল হওয়া ব্যক্তি হাকিমুল উম্মত আশরাফ আলি থানভীকে মুশরিক আখ্যা দেন, তখন কী করে আশা করা যায়, দেওবন্দি মতাদর্শের লোকেরা লাঠিসোঁটা নিয়ে শাপলায় বা আগ্রায় যাবে?
যখন এই পিস টিভি নির্ভর শায়খ টেপ রেকর্ডার বাজিয়ে বাজিয়ে “মাওলানা সাঈদীর শত শত ভুল” মানুষকে শুনিয়ে মজা লন, তখন কী করে আশা করেন মাওলানা সাঈদীর ভক্তরা পিস টিভির জন্য খালি বুকে রাস্তায় নামবে?
যখন শুধু পিস টিভি-ভিত্তিক শায়খ জুম’আর খুতবায় বলেন, “আল্লামা সাঈদী ষাট বছর ভুল নামায পড়েছেন” তখন কোন লজিকে বলা যায়, সাঈদীর জন্য রক্ত দেয়া, অশ্রুফেলা মানুষেরা পিস টিভির জন্য আন্দোলন করবে?

[চার]
এটা হচ্ছে, ডাক্তার জাকির নায়েক এবং তাঁর দলের সবচেয়ে দুর্বল ভিত্তি। তাঁরা হয়তো ভেবেছিলেন, অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা এবং রাষ্ট্রশক্তির নমনীয় দৃষ্টি থাকে তাহলে পিস টিভি কখনো বন্ধ হবে না। কখনো কখনো পিস টিভি স্কলারদের এমন আশ্বাসের কথাও শুনা গেছে। বলা হয়েছে, পিস টিভি ভারতে বন্ধ হয়ে গেলেও বাংলাদেশে কখনো বন্ধ হবে না। কিন্তু শেষতক সেই চিরন্তন নিয়মকেই আবার স্মরিয়ে গেল। দাওয়াতী কার্যক্রম ততবেশি শক্তিশালী এবং মজবুত হয়, যতবেশি সাধারণ মুসলমানের নাগালে।

এরকম আরো অনেক যৌক্তিক কারণ রয়েছে পিস টিভি বিষয়ে মুসলমানদের নিরবতার। কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল, ভারত উপমহাদেশের মুসলমানদের মাযহাবগত দিকটা আমলে নেয়া। ভারত উপমহাদেশের জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সমাদৃত ও গ্রহণযোগ্য আলেমদেরকে পিস টিভির সাথে সম্পর্কিত করা। যে সকল শীর্ষস্থানীয় আলেম সর্বস্তরের মানুষের সাথে জড়িত এবং সাধারণ মুসলমানরা যে সকল আলেম দ্বারা প্রভাবিত, সেই আলেমদেরকে পিস টিভির দর্পণে ভাসিয়ে তোলা। জনগণ তো আপনার জন্য তখনই প্রাণ দেবে, যখন আপনি তার প্রাণ দখল করবেন। আর কারো প্রাণ দখলে নিতে প্রথমে তার প্রাণপ্রিয় বিষয়কে মূল্যায়ন করতে হবে- পিস টিভি এতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:২২

আহলান বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার বিশ্লেষন। গত কয়েক বছর তারাবি পড়তে গিয়ে দেখেছি অনেকেই ৮ রাকাত পড়ে বের হয়ে যেতো, পরে সামনের কাতারগুলো পূরণ করা ছিলো রীতি মতো টানাটানির মতো ..এ ওকে ডাকে সামনে আসেন, ঐ কাতার পূরণ হলো তো পিছন থেকে আবার অন্য মুসল্লিকে ডাকতে হয় ... একটা বিশৃঙ্খলা আর কি! কে বা কারা এই বিশৃঙ্ললার জন্য দায়ী !! মানুষ রোজার মাসে অতিরিক্ত ১২ টি রাকাত (৮+১২=২০) নামাজ পড়লে কার কি ক্ষতি ছিলো? যেখানে হযরত উমর (রাঃ) এঁর মতো খলিফাতুল মুসলিমিন ২০ রাকাত তারাবিকে প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন। তার বিরুদ্ধে ফতোয়া দেয়ার মতো জ্ঞ্যন দেখানো কি ভালো ফল বয়ে আনে? নতুন করে এমন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ভুরি ভুরি উদাহরণ দেয়া যাবে, তবে এসবের বিরুদ্ধে এখন অনেকেই কলম ধরেছেন। ফলে গত বছর থেকে দেখছি ৮ রাকাত তারাবিহ পড়ে বের হয়ে যাওয়া মানুষের সংখ্যা অনেক কমেছে।

২১ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:২৮

ফাহিম বদরুল হাসান বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ। আমাদেরকে আরো এগিয়ে আসতে হবে।

২| ২০ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:২৪

চোরাবালি- বলেছেন: Imam Malik's Muwatta
# Chapter no: 6, Book of Prayer in Ramadan
Narrated / Authority of:
Yahya related to me from Malik from Muhammad ibn Yusuf that as-Sa'ib ibn Yazid said, "Umar ibn al-Khattab ordered Ubayy ibn Kab and Tamim ad-Dari to watch the night in prayer with the people for eleven rakas.The reciterof the Qur'an would recite the Mi'in (a group of medium-sized suras) until we would be leaning on our staffs from having stood so long in prayer. And we would not leave until the approach of dawn."
ভাই আহলাল-
এহাদিসটি আজ অবধি কেও জাল বলে প্রামাণ করে না বা করতে পারে নি। আর জামাতে তারাবীহ পড়ারা যে ব্যপারটি সেটি ছিল হযরত ওমর (রঃ) মতামত, তার আগে কিন্তু হযরত আবুবকর ও ছিলেন
যা হউক সেটি তর্কের বিষয় না, বা আপনার সঙ্গে আমি তর্কে জড়াবো এমনও না- কেননা ফেৎনা ফেসাদ সৃষ্টি করা শিরক করার সমান অপরাধ। যার ইচ্ছে ৮রাকাত পড়বে যার ইচ্ছে ২০ রাকাত ৩৬রাকাত পড়বে।

৩| ২০ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৩২

হাসান রাজু বলেছেন: মানে দাঁড়ালো, মন জুগিয়ে বা তুয়াজ না করে চ্যানেল চালানোর ফল এটি । আমাদের আল্লামাদের চ্যানেলে দাওয়াত দিয়ে না খাওয়ানোর কারনে, আমাদের পীর ব্যাবসায়ী দেরকে তাচ্ছিল্য করাতে কেউ মাঠে নামলো না ।
ওইগুলো করলে পিস টিভি কি পিস টিভি হতো ? আসলে আমাদের ধর্মীয় জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা আমাদের কনফিউজ করে দেয় কোন ব্যাক্তি সঠিক বলছেন সেটা বুঝতে । জাকির নায়েকের কথা শুনে মনে হয় উনি ঠিক, আবার জাকির নায়েক বিদ্বেষীদের বক্তব্য শুনে মনে হয় সে ঠিক । আর আমাদের চির আলসি স্বভাবের কারনে যাচাই করার মত ইচ্ছে আমাদের জাগে না । আর কারা যেন আমাদের হাড় মজ্জায় ঢুকিয়ে দিয়েছে, ধর্ম নিয়ে বেশি ঘাঁটাঘাঁটি করতে নাই । তাতে নাকি আল্লাহ নারাজ হন । যেখানে আল্লাহ নিজেই শিক্ষা আর জ্ঞান অর্জনে বেশি উৎসাহ দিয়েছেন ।
আরও অনেক ব্যাপার আছে । বলে শেষ করা যাবে না । আসলে যারা জাকির নায়েকের বক্তব্য শুনেন তারা জানেন এ যুগে টিভি বন্ধ করে লাভ নেই হাজারো পদ্ধতিতে তার বক্তব্য শুনা যাবে, দেখা যাবে । সরকারের হাস্যকর সিদ্ধান্তের সাথে সবাই পরিচিত । আর ইন্দনতাদের ও তারা চিনেন । লাভ যা হচ্ছে তা হ্ল, যাদের ব্যাবসায় জাকির নায়েক ছাই দিয়েছেন তারা বেশ নিজেদের প্রকাশ করছেন । আমরাও এই সুযোগে তাদের চিনে নিচ্ছি ।

২১ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:৩৪

ফাহিম বদরুল হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। চমৎকার সমাজ বিশ্লেষণ। আসল কথা হচ্ছে, টিভি কিংবা ভার্চুয়াল জগত দাওয়াহ মূল ভিত্তি নয়। কিন্তু একটা শক্তিশালী মাধ্যমে। প্রশ্ন হচ্ছে, তাহলে কেন পিস টিভি শায়খরা পিস টিভি বন্ধ হলে টিভি ভেঙে ফেলতে বলছেন? এখানে শুধু কারণটা বিশ্লেষণ করা হয়েছে কেন কেউ নামেনি। জাকির নায়েক কিংবা পিস টিভি কিং করবে না করবে, তাদের সিদ্ধান্ত।

৪| ২০ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৪৩

চোরাবালি- বলেছেন: টিভি বন্ধের যে ব্যপারটা বিশ্লেষণ করলেন এর মূল কারণ কিন্তু অন্যটা, আজ কেও আন্দোলন করলেই কাল হবে জঙ্গী মামলার আসামী পরশু কি আছে তার কপালে আল্লাহপাক রব্বুল আলামিন ভাল জানেন।
পিস টিভির প্রতিটি কথায় হাদিসের সূত্র থাকে, অতএব সেখানে কারো সন্দেহ হলে সে হাদিসটি দেখে নিয়ে চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ আছে।
আমাদের মুসলমানদের উচিত সবার আগে কোরাণ পড়া সেটি অবশ্যই অর্থ সহ তারপর সহিহ হাদিস পড়া। কিন্তু আমাদের দেশে অধিকাংশ পাঞ্জাবীপড়ুয়াগণ বলে অর্থ পড়ো না পড়লে বিভ্রান্ত হয়ে যাবে তাই আমরা যা বলি তাই শোন যেমনটি হিন্দু ধর্মে আছে- উচ্চ ধর্মগ্রন্থ কোন সাধারণ পাঠ করবে না, তারা ধর্মগুরুদের আদেশ মেনে চলবে। এখানে যদি সাধারণে পাঠ না করে তা হলে অসাধারণ হয়ে উঠার কোন সুযোগ নেই।
আর মাজহাব নিয়ে যেটি বললেন তার সৃষ্টি কত সালে জানেন কি??? দয়া করে আগে মাজহাবের সৃষ্টি সম্পর্কে জানুন তারপর বলবেন মানতে বাধ্য কিনা। একজন মুসলমান হিসেবে কোরাণ হাদিসের বাইরে রাষ্ট্রীয় আইন ছাড়া কেও কোন কিছু মানতে বাধ্য না।
তাবলিগ আমাদের কতটুকু ইসলাম শিক্ষা দেয় তার সামান্য দুটি উদাহরণ আমার দেখা-
ভদ্রলোক বছরের ৬মাস তাবলিগে কাটান অথচ তার মাবাবার সাথে কথা বলেন না।
কদিন আগে ট্রেনে এয়ারপোর্ট থেকে কমলাপুর আসছিলাম, ডেমুট্রেনে গাদাগাদি করে লোক উঠেছে, যার মধ্যে তাবলিগের একটি দলও আছেন, সর্বদা পাশে বসা লোকের প্রতি লেকচার দিয়ে যাচ্ছেন অথচ তারাই পাশে ৩জন মহিলা দুটি বাচ্চা নিয়ে দাঁড়িয়ে তারা তাদের জন্য ইচ্ছে করলেই সিট ছেড়ে দিতে পারতেন কিন্তু আমাদের তাবলিগওয়ালারা সেটি করলেন না।
আর যে তাবলিগ আপনার টঙ্গীর রঙ্গখানা আবাসিক হোটেল বন্ধ করতে পারে না তারা জাতির কি উপকার করবে আমার বোধগম্য নয়। আরেকটি ব্যপার যেটি একে বারেই আমার কাছে বোধগম্য নয় সেটি হল- তাবলিগে শুধু ভালকাজের আদেশ, কোনটাতে কত নেকি সেই বয়ান থাকে কিন্তু খারাপ কাজের কোন নিষেধ থাকে না বা কোনগুলি খারাপ কাজ সেটিও কোনদিন দেখিয়ে দেয়া হয় না, শুধু বলে আল্লাহর রাস্তায় বের হও নামাজ পড়। কেও যদি সারা জীবন ধর্মপ্রচার না করে তার জন্য কোন গুনাহ নাই কিন্তু কেও যদি অন্যায়ের প্রতিবাদ না করে, স্ত্রী কন্যার খোজ না নেয়ার ফলে যদি তারা বেপথে চলে যার তার জন্য কঠিন গোনাহগার হতে হবে। মানুষের জন্য নামাজ যেমন ফরজ রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলা রাক্ষাও তেমনি ফরজ।
আর আপনি পিরের পক্ষে বললেন- যেখানে সুরাবাকারহ তে ২টি আয়াতে ষ্পষ্ট আছে- তোমরা সে দিবসকে ভয কর যেদিন কেও কারো কাজে আসবে না- না পিতা পুত্রের না পুত্র পিতার-------
যা হউক- পিস টিভি বন্ধহওয়াতে তাবিজ/ঝাড়ফুক/পীর ব্যবসাটা আবার ফিরবে আশা করা যায়।
যে দেশে ষ্টার জলসা আর জ্বিবাংলা যেখানে পরকীয় আর মেয়েদের কুটলামোর মত চ্যানেল বন্ধ করার মত লোক নেই সে দেশে পিস টিভি বন্ধ হলে প্রতিবাদী লোক খুজে পাওয়া যাবে সেটি আশা করা যায় না।

অন্যধর্মালম্বরা যখন কচুকাটা কাটে আর বোমায় উড়িয়ে দেয় তখন কে ২০রাকাত আর কে ৮রাকাত যেমন দেখে না তেমনি কে কোন মাজহাবি সেটিও তারা দেখে না, মুসলমান হলেই কচুকাটা শুরু করে। সো সবার আগে মুসলমানদের এক হতে হবে তা না হলে এই ধুনা খেতেই থাকবে সারা জীবন

২১ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:৪৬

ফাহিম বদরুল হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ, চোরাবালি। অনেক কথাই এনেছেন। মাযহাব, তাবলীগ, পীর এসব কন্সেপ্টে বিতর্ক এখন আর রসাত্মক বা লজিক্যাল নেই।
মাযহাব কেন মানতে হবে, সেটা যারা বুঝতেছেন না, তারা সিহাহ সিত্তার ইমাম সহ কাউকেই বুঝেননি। শুধু তাঁদের সংকলন পড়ে যাচ্ছেন। সাহাবায়ে কিরামের মধ্যেও মাযহাব ছিল- এটা শুনে অনেকে আকাশ থেকে পড়েন।
তাবলীগের অনেকে সমালোচনা করা যায়। কিন্তু আপনি তাবলীগের যেখানে ধরে টান দিলেন, কেউ যদি পিস টিভির সেখানে ধরে টান দেয়? কেউ যদি বলে, যখন কাশ্মীর থেকে গুজরাত মুসলমানদের উপর ধ্বংসলীলা চালানো হচ্ছে, তখন এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ নেই কেন পিস টিভি কর্তৃপক্ষের?
আর পীর! এর অর্থ কী? এর প্রয়োজন আছে কি নেই? এসব নিয়ে অন্য কোথাও কথা হোক। এখানে শুধু বলা হয়েছে, তারা কেন মাঠে আসেনি।

৫| ২৩ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:৪৪

চোরাবালি- বলেছেন: আমি সর্বদা আগ্রহী প্রবণ- দয়া করে যদি কিছু রেফারেন্স দিতেন ভাল হত কোন সাহাবায়ে কিরামের মধ্যে মাযহাব ছিল জানতাম।

আর পিস টিভি যেখানে সবাইকে এক কাতারে নিয়ে আসার জন্য কাজ করছেন সেখানে আমাদের দেশের জাহাজ মার্কা গন্ডমূর্খ পীরের দল তাবিজ আর ঝাড় ফু ব্যবসায় ব্যস্ত। এই সব জাহাজ মার্কা পীরেরা কখনই পিস টিভির জন্য মাঠে নামবে না কেননা তাদের ব্যবসায় অনেক ধস, এখন আর আগের মত কাভার্ড ভ্যান করে টাকা পাঠাতে পারে না, স্পেশাল হাট বসিয়ে গরু ছাগল বিক্রি করতে হয় না।

পিস টিভি সর্বদা যে কাজটি করে সেটি ভাল কাজের আদেশ আর মন্দ কাজের নিষেধ যেখানে মন্দকাজটিও দেখিয়ে দেয়া হয় কিন্তু আমাদের তাবলিগের ভাইয়েরা কি কোনদিন মন্দ কাজ নিয়ে কথা বলেন?? তাবলিগ জামাতের রয়েছে (এদেশেই) কয়েক লক্ষ লোকের কাফেলা, যেখানে দলমত নির্বিশেষ সর্বধরনের লোক আছে, সেখানে শুধু টঙ্গীকে পতিতালয় মুক্ত করা কঠিন কাজ নয়। তাবলিগ জামাতের সব থেকে বড় দুর্বল দিল হল তারা মসজিদ ভিত্তিক, সারাদিন আল্লাহ আল্লাহ কর আল্লাহ সাহায্য পাঠাবে, কিন্তু নবীজি যেমন আল্লাহ সাহায্য পার্থনা করেছেন তেমনি তরবারীও হাতে নিয়েছেন।

মানুষের জন্য নামাজ যেমন ফরজ তেমনি তার নিরাপত্তা ও সামাজিক শৃঙ্খলা রক্ষাও ফরজ।

বিশ্বে বিধর্মীরা প্রথমেই যে কাজটি করেছে সেটি হল মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ, আর এই বিভেদ সৃষ্টি করেই তারা সর্বদা মুসলমানদের নির্যাতন করে যাচ্ছেন, তারা জানে মুসলমানেরা একও হতে পারবে না রুখে দাঁড়াতে পারবে না।

মুসলমানেরা এক হবেই কি করে, যেখানে ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণ করে শুধু গরীবের সন্তানেরা দোয়া দরুদ আর মিলাদ মাহফিল করে জীবন যাপন করার জন্য সেখানে একত্ব সম্ভব না।

৬| ২৪ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৩:০৫

ফাহিম বদরুল হাসান বলেছেন: আপনার কথার নিচ থেকে শুরু করা যাক। মাদরাসায় শুধু গরীবের সন্তানরা পড়ে, এটা ছোটলোকদের প্রচারণা- যা সাধারণ মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিয়েছে। ওরা অর্থ দিয়ে লোক মাপে। মাদরাসা পড়ুয়ারা মিলাদ মাহফিল করে দিনাতিপাত করে, এমন কথায় অনেক কিছুই ফুটে ওঠে। কারা মিলাদ ওয়াজ করাচ্ছে? ঐসব অর্থশালী ছোটলোকেরা।
আর ব্যবসা? এটা পীরের মুরীদরা বলবে, পিস টিভির ব্যবসা বন্ধ তাই, পিস টিভিওয়ালারা কান্নাকাটি করছে আর জাকির নায়েকের ভক্তরা বলবে উল্টো। সুতরাং এসব চিন্তা পরিহার করুন। মুসলিমদের ঐক্য এরকম হয় না।
আর সাহাবায়ে কেরামের মাযহাব? একটা উদাহরণ দিই, ইনশাআল্লাহ বিশ্বাস করবেনআবু বকর(রা) এর খিলাফতকালে সাহাবীদের যে ভাতা দেয়া হতো, তা সকল সাহাবার জন্য সমান অংকের ছিল। আবু বকর(রা) এর যুক্তি ছিল – মহান আল্লাহ ﷻ কুরআনে বলেছেন যে তিনি সকল সাহাবার উপরই সন্তুষ্ট, তাই তাঁরা সবাই সমান ভাতা পাবেন।
অন্যদিকে, উমার ইবনুল খাত্তাব (রা) খলীফা হওয়ার পরেই এই নিয়মের পরিবর্তন করলেন। তাঁর যুক্তি ছিল, যারা ইসলাম প্রচারের প্রথম দিকে তা গ্রহন করেছে, তারা যে কষ্ট সহ্য করেছে সেই তুলনায় যারা পরে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে তারা অনেক কম কষ্ট সহ্য করেছে, ফলে তাদের মর্যাদাও কম। কে কত আগে ইসলাম গ্রহণ করেছে এর ভিত্তিতে তিনি ভাতার স্কেল নির্ধারণ করেন। এখানে আবু বকর(রা) ও উমার(রা) এর মতামত সম্পুর্ণ বিপরীত – কিন্তু তাঁরা দুইজনেরই নিয়ত ছিল রাসূলুল্লাহ(ﷺ) কে নিঁখুতভাবে অনুসরণ করা।

৭| ২৫ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:২৯

চোরাবালি- বলেছেন: আপনার ছোটলোকদের কথার উত্তর- বাংলায় তিনটি শব্দ আছে- (১) উদাহরণ (২) ব্যতিক্রম (৩) নিদর্শণ- একশত ছাত্রের মধ্যে ১জন বড় লোকের ছেলে পড়লে সেটি উদাহরণ নয় ব্যতিক্রম।
মুসলমানদের ঐক্য কি রকম হয় যদি একটু লিখতেন ভাল হত।
আমাদের মধ্যেকার মাযহাব আর আপনার উদাহরণের মাযহাব কি এক হল?????

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.