নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফাহীম সিদ্দিকী

ফািহম িসিিদ্দকী

ফািহম িসিিদ্দকী › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রথম অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট নিয়ে বিতর্ক প্রসঙ্গে

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:২৯

স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট কে ছিলেন, তা নিয়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে তর্ক জমে উঠেছে। বিএনপির অন্যতম শীর্ষ নেতা তারেক রহমান সম্প্রতি লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে দাবি করেছেন, তার বাবা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট। তার এই দাবিকে আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী জোটভুক্ত নেতারা ‘অর্বাচীন বালকের প্রলাপোক্তি’ হিসেবে উড়িয়ে দিয়ে জিয়াপরিবার সম্পর্কে নানা ধরনের কটূক্তি করে বেড়াচ্ছেন।

তারেক রহমানের এই দাবি নিয়ে বিএনপির মধ্যেই অনেকে বিব্রত বোধ করছেন। তারা মনে করছেন, এ ধরনের একটি বিতর্ক সৃষ্টির কোনো প্রয়োজন ছিল না। কারণ মুজিবনগরে গঠিত প্রবাসী সরকারের প্রথম অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট হিসেবে সৈয়দ নজরুল ইসলাম ইতিহাসে যে স্থান করে নিয়েছেন, সেটা নিয়ে টানাটানি করা একটি অর্থহীন কাজ। অন্য দিকে বিএনপির বড় একটি অংশ মনে করছে, লন্ডনে বসে তারেক রহমান আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে একটি চাতুর্যপূর্ণ আক্রমণ অভিযান শুরু করেছেন। আওয়ামী লীগ এত দিন পর্যন্ত জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে যে বিভিন্ন ধরনের কটূক্তি ও অভিযোগ করে আসছিল, তার জবাবে তারেক রহমান একটি চমৎকার কাজ করেছেন।

স্বাধীনতার ঘোষণা প্রথম কে দিয়েছিলেন, তা নিয়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে বহু বছর যে ঝগড়া-বিবাদ চলছে, তারেক রহমানের এই নতুন দাবি নিঃসন্দেহে সেই ঝগড়াকে আরো উসকে দেবে। আওয়ামী লীগ এত দিন চেষ্টা করে আসছিল ইতিহাস থেকে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার। সে জন্য তারা জিয়াউর রহমান কোনো দিন যুদ্ধ করেননি, আইএসআইয়ের নির্দেশে তাদের এজেন্ট হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন বলে নানা ধরনের কথাবার্তা বলে আসছিলেন। তারেক রহমান তাদের ওই সব বক্তব্যের জবাবে এই নতুন দাবির মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে জিয়াউর রহমানের অবদানকে যে আরো বড় করে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন, এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায়।

এখন দেখা যাক তার নতুন দাবির পেছনে কতটুকু যৌক্তিকতা রয়েছে। রাষ্ট্রবিজ্ঞান সম্পর্কে যারা কিছুটা পড়াশোনা করেছেন তারা জানেন, একটি আধুনিক জাতিরাষ্ট্রের চারটি বৈশিষ্ট্য থাকে। ওই চারটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে : ১. একটি সুনির্দিষ্ট ভূখণ্ড; ২. সেই ভূখণ্ডে বসবাসরত জনগোষ্ঠী; ৩. রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য একটি সরকার এবং ৪. রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব। আমরা স্বীকার করি যে, বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা লাভ করেছে, তাহলে ২৬ মার্চ থেকে ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠিত হওয়ার আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ কি সরকারবিহীন ছিল? সরকারবিহীন থাকলে সেটি আবার রাষ্ট্র হবে কিভাবে? আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে যুক্তি হতে পারে যে, ওই সময়টা স্বাভাবিক কোনো সময় ছিল না। অস্বাভাবিক সময়ে রাষ্ট্রের অবস্থা স্বাভাবিক থাকবে এটা আশা করা উচিত হবে না। কিন্তু তাদের এই যুক্তি বুমেরাং হতে পারে এ কারণে যে, বিএনপি তখন বলতে পারে, অস্বাভাবিক পরিস্থিতির কারণেই তো মেজর জিয়া নিজেকে অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন।

পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ২৫ মার্চ রাতে হত্যাযজ্ঞ শুরু করার পর আওয়ামী লীগের নেতারা দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় গ্রহণে ব্যস্ত হয়ে পড়লে দেশে যে নেতৃত্বশূন্যতা সৃষ্টি হয় মেজর জিয়া নিজেকে অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট ও মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা দিয়ে সে শূন্যতা পূরণ করেন। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মন্তব্য করা হয়েছে, যিনি ছিলেন অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট তিনি আবার পরবর্তীতে কিভাবে সেনাবাহিনীতে তার চাকরি অব্যাহত রাখলেন? এ কথার জবাবও আগের মতোই। অস্বাভাবিক পরিস্থিতির কারণেই তাকে অস্থায়ী প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করতে হয়েছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর তিনি তার দায়িত্বে ফিরে যান।

প্রশ্ন উঠতে পারে ২৬ মার্চের পর থেকে ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠিত হওয়া পর্যন্ত দেশে কোনো অস্থায়ী সরকার ছিল কি না। থাকলে সেই সরকারের নেতৃত্বে কে ছিলেন? বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : চর্তুদশ খণ্ডের ৪৬৬ পৃষ্ঠায় BBCতে প্রচারিত একটি খবর উদ্ধৃত করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে ÔA clandestine radio broadcast monitored in Calcutta said that provisional Bangladesh- Bangali Nation-Government had been set up in East PakistanÕ.

ওই একই খণ্ডের ১৭৮ নম্বর পৃষ্ঠাতে ভারতীয় সংবাদপত্র Indian Express পত্রিকায় ২৬ মার্চ ১৯৭১ সালে প্রকাশিত খবরের উদ্ধৃতি দিয়ে এবং তৃতীয় খণ্ডের ৩ নম্বর পৃষ্ঠায় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে প্রচারিত এবং ভারতের The Statesmen পত্রিকায় প্রকাশিত খবরের বরাত দিয়ে মুদ্রিত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র নি¤œরূপ:

Declaration of Independence

I, Major Zia, Provisional Commander in Chief of Bangladesh Liberation Army, hereby proclaim, on behalf of Sheikh Mujibur Rahman, the Independence of Bangladesh.

I also declare we have already framed a sovereign, legal Government under Sheikh Mujibur Rahman which pledges to function as per law and the constitution.

The new democratic Government is committed to a policy of non-alignment in international relations. It will seek friendship with all nations and strive for international peace.

I appeal to all Government to mobilize public opinion in their respective countreis against the brutal genocide in Bangladesh.

The Government under Sheikh Mujibur Rahman is sovereign legal Government of Bangladesh and is entitled to recognition from all democratic nation of the world.

এখন প্রশ্ন হলো, স্বাধীনতার ওই ঘোষণাপত্রে শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সরকার গঠনের কথা ঘোষণা করা হলেও যেহেতু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানিদের হাতে বন্দী ছিলেন তাহলে ওই সরকারের কার্যকর প্রধান কে ছিলেন? আওয়ামী লীগের কাছে এই প্রশ্নের জবাব আছে কি না তা বলা মুশকিল। তবে এই প্রশ্নের জবাব বিএনপির পক্ষে দেয়া খুবই সহজ। তাদের বক্তব্য হবে মুক্তিবাহিনীর সর্র্বাধিনায়ক হিসেবে জিয়াউর রহমানই ওই দায়িত্ব পালন করেন।

অস্থায়ী সরকারের প্রধান হিসেবে মেজর জিয়া যে দায়িত্ব পালন করেন তার প্রমাণ পাওয়া যায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : নবম খণ্ডের ৩৯০ পৃষ্ঠায়। ৩০ মার্চ আগরতলা থেকে ভারতীয় সরকারি বার্তা সংস্থা PTI ও UNI জানায়, “পূর্ব পাকিস্তানের কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট থেকে শ্রীহট্ট পর্যন্ত সমগ্র এলাকাটি বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা কর্তৃক অধিকৃত হয়েছে। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে এই সংবাদটি আজ সকালে শোনা যায়। এখানে শ্রুত এই বেতার ঘোষণায় বলা হয় যে, সমগ্র এলাকায় এখন বাংলাদেশের পতাকা উড়ছে।”

“বাংলার রাজধানী ঢাকা শহরসহ বাংলাদেশের প্রায় সমগ্র অঞ্চল শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তিফৌজের নিয়ন্ত্রণে আসায় পাকবাহিনী সর্বত্র পশ্চাৎপসরণ করছে বলে স্বাধীন বাংলা বেতার দাবি জানিয়েছে। ঢাকার আশপাশে অসংখ্য মৃতদেহ পড়ে আছে। অস্থায়ী সরকারের প্রধান মেজর জিয়া আজ বেতারে বিশ্বের সব রাষ্ট্রের কাছে এক আবেদন জানিয়ে তাদের সাফল্য প্রত্যক্ষ করার আহ্বান জানিয়েছেন।”

এখানে অবশ্য আরেকটি কথা উল্লেখ করা প্রয়োজন, মেজর জিয়া ২৭ মার্চে প্রথমে যে নিজের নামেই স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন তার একটি স্বীকৃতি পাওয়া যায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : পঞ্চদশ খণ্ডে মুদ্রিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ভাইস চ্যান্সেলর এ আর মল্লিক ও চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি এম এ হান্নানের সাক্ষাৎকারে।

জনাব এ আর মল্লিকের ভাষ্য মতে, ‘২৭ মার্চ বেতারে মেজর জিয়ার প্রথম ঘোষণা প্রচারিত হয়। তা শুনেই আমি হান্নান সাহেবকে টেলিফোনে বলি যে, ঘোষণায় বঙ্গবন্ধুর নাম যোগ করা আবশ্যক। নইলে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির বিষয় বিবেচিত হবে না। মেজর জিয়া পরবর্তী ঘোষণা করেন বঙ্গবন্ধুর নাম করে তার পক্ষ থেকে।’ (পৃষ্ঠা-৬)

এম এ হান্নানের ভাষ্য মতে, ‘২৭ মার্চ বিকেলে মেজর জিয়াউর রহমান রেডিও মারফত স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। মেজর জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণার পর ঘোষণার বক্তব্য নিয়ে জনমনে কিছুটা বিভ্রান্তি দেখা দেয়। তাই সেদিন রাতে আমি, মীর্জা আবু মনসুর ও মোশাররফ হোসেন ফটিকছড়িতে অবস্থানরত সাবেক মন্ত্রী এ কে খান সাহেবের সাথে সাক্ষাৎ করি। পুনঃঘোষণার জন্য তিনি একটি খসড়া করে দেন। আমরা ফটিকছড়ি থেকে কালুরঘাট ট্রান্সমিটার সেন্টারে উপস্থিত হই। সেখানে মেজর জিয়াউর রহমানের কাছে এ কে খান কর্তৃক লিখিত খসড়াটি দেই। পুনরায় ২৮ মার্চ সকালে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে মেজর জিয়াউর রহমান সর্বাধিনায়ক হিসেবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। (পৃষ্ঠা-১২৯)

মুজিবনগর সরকার গঠিত হওয়ার আগ পর্যন্ত যে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় ছিল তার আরো কিছু প্রমাণ স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রে রয়েছে। বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রের চতুর্থ খণ্ডের ২৩৫ পৃষ্ঠায় The East Pakistan League of America কর্তৃক ১৯৭১ সালের ৩ এপ্রিল প্রকাশিত একটি প্রচারপত্রের উল্লেখ রয়েছে। সেখানে মেজর জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন বাংলাদেশ সরকারের প্রতি স্বীকৃতি প্রদানের জন্য জাতিসঙ্ঘের সব সদস্য রাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

দলিলপত্রের চতুর্দশ খণ্ডে ভারতীয় বার্তা সংস্থা ইউএনআইয়ের বরাত দিয়ে ৮ এপ্রিল আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, ভারতে নিযুক্ত পাকিস্তানের দু’জন কূটনীতিক শ্র্রী এ কে এম সাহাবুদ্দীন ও শ্রী আসজাদুল হক এক যুক্ত বিবৃতিতে ইসলামাবাদের ফ্যাসিবাদী সামরিক একনায়কতন্ত্রের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন এবং বাংলাদেশ সরকারকে স্বীকৃতি দানের আবেদন জানান। (পৃষ্ঠা-৬৮১)। এ ছাড়া ২৮ মার্চ আনন্দবাজার পত্রিকায় ইউনাইটেড লেফট ফ্রন্ট আয়োজিত এক সভার খবর পরিবেশন করা হয়, ফ্রন্টের পক্ষ থেকে স্বাধীন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। (পৃষ্ঠা-৬৭৪)

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অস্তিত্বের সবচেয়ে বড় প্রমাণটি পাওয়া যায়, ওই খণ্ডেরই ৬৯৬ পৃষ্ঠায় প্রকাশিত কলকাতার দৈনিক যুগান্তরের একটি খবরে। ১৩ এপ্রিল যুগান্তরে প্রকাশিত খবরটি ছিল এ রকম :

স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ

মুজিবের নেতৃত্বে নতুন রাষ্ট্রের

অভ্যুদয় : তাজউদ্দীন প্রধানমন্ত্রী

আগরতলা ১২ এপ্রিল (পিটিআই) : আজ সার্বভৌম গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ সাধারণতন্ত্র গঠিত হয়েছে। মুক্ত বাংলাদেশে কোনো এক স্থান থেকে এই রাষ্ট্র গঠনের কথা ঘোষণা করা হয়। এই সাথে বাংলাদেশ সরকারের নবগঠিত মন্ত্রিসভার সদস্যদের নামও ঘোষিত হয়েছে। বর্তমানে এই মন্ত্রিসভাই সমরকালীন মন্ত্রিসভারূপে কাজ করবে।

বাংলাদেশের কোনো এক স্থান থেকে একজন বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা এই খবর ঘোষণা করেন। এই নবগঠিত রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান। জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমদ প্রধানমন্ত্রী ও খন্দকার মোশতাক আহমদ পরাষ্ট্রমন্ত্রী নিযুক্ত হয়েছেন।

সীমান্তের ওপার থেকে অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য সূত্রে এই স্মরণীয় সংবাদটি আজ এখানে পাওয়া গেছে।

মন্ত্রিসভার পূর্ণ তালিকা নি¤œরূপ :

১. শেখ মুজিবুর রহমানÑ রাষ্ট্রপতি, ২. সৈয়দ নজরুল ইসলামÑ উপরাষ্ট্রপতি, ৩. তাজউদ্দীন আহমদÑ প্রধানমন্ত্রী, ৪. খন্দকার মোশতাক আহমদÑ পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ৫. ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, ৬. এ এইচ কামরুজ্জামান।

এর দ্বারা বর্তমানে অস্থায়ী সরকার বাতিল বলে গণ্য হবে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:১১

রাস্তার ফকির বলেছেন: এই পোস্টে কোন মন্তব্য নেই !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.