![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সঙ্গিনীকে সঙ্গে নিয়ে পর্যটন শহর রাঙামাটিতে বেড়াতে এসে উপজাতি সন্ত্রাসীদের হাতে মারধর ও যৌন নিগৃহের শিকার হয়েছেন এক পর্যটক দম্পতি। গতকাল মঙ্গলবার ওই পর্যটক দম্পতি লোকলজ্জার ভয়ে রাঙামাটি ছেড়ে চলে গেছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী এবং ঘটনার শিকার পর্যটক মাসুদ (ছদ্মনাম) জানান, আমরা দু’জনেই রাউজান থেকে সোমবার বেলা একটার সময় রাঙামাটিতে বেড়াতে আসি। পর্যটন করপোরেশনের নির্দিষ্ট টিকিট কেটে ভেতরে প্রবেশ করি এবং ব্রিজে উঠে সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান করি।
তিনি জানান, পরে আমরা দু’জনে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে হাঁটতে হাঁটতে সামনের দিকে এগুতে থাকি। এরই মধ্যে মনের অজান্তেই ব্রিজের ওপারে অবস্থিত পাহাড়ি গ্রামের দিকে চলে যাই। এ সময় কয়েকজন পাহাড়ি যুবক এসে আমাদের ঘিরে ধরে এবং বেধড়ক মারধর করতে থাকে।
তিনি আরো জানান, পাহাড়ি যুবকরা তাদের মোবাইলে ক্যামেরা অন করে আমাদের দু’জনকে উলঙ্গ করে যৌনমিলন করতে বলে। এতে আমরা অস্বীকৃতি জানালে তারা আমার সঙ্গীকে গণধর্ষণ করার হুমকি দেয়। পরে বাধ্য হয়ে তাদের কথামতো যৌনমিলন করি।
এ সময় পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা মোবাইল ফোনে এই দৃশ্য ভিডিও রেকর্ড করে নেয় বলে জানান ভুক্তভোগী যুবক।
মোবাইলে তিনি জানান, মেয়েটি এ সময় কান্নাকাটি করতে থাকলে তাদের দু’জনকেই মারধর করতে থাকে পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা। পরে মেয়েটির কান্না শুনে ঘটনাস্থলের কিছুটা দূরেই গরুর জন্য ঘাস কাটতে থাকা বাঙালি যুবক মালেক ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
এ সময় মালেকের সঙ্গেও পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে ঘটনাটি লোকলজ্জার ভয়ে কাউকে না জানিয়ে ভয়ে রাঙামাটি ছেড়ে চলে যান ভুক্তভোগী এই দম্পতি।
এদিকে মালেক নতুন বার্তা ডটকমকে জানান, আমি মেয়েটির কান্না শুনে একটু এগিয়ে সামনের দিকে গেলেই তাদের দুজনকেই উলঙ্গ অবস্থায় দেখতে পাই। এ সময় তারা দু’জনেই আমার কাছে এসে আমার পায়ে ধরে বাঁচানো জন্য আকুতি জানায়। পরে আমি সঞ্জয়-তত্তারামসহ পাহাড়ি যুবকদের কাছে এদেরকে ছেড়ে দিতে অনুরোধ করি। কিন্তু তারা আমার সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় লিপ্ত হয়। এ সময় আমি একটু রাগান্বিত হলে তারা তাদের ছেড়ে দেয়।
মালেক জানান, আমি নিজে দেখেছি সঞ্জয় ও তত্তারাম নিজেদের মোবাইলে এই জুটিকে উলঙ্গ করে ভিডিও করছে। এদিকে ঘটনাটি সম্পর্কে জানতে রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশনের ম্যানেজার আখলাকুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ পাননি বলে জানান। তিনি বলেন, আমার কাছে কেউ অভিযোগ না করলে আমি ব্যাপারটি কিভাবে জানবো। এছাড়া পর্যটন এলাকার স্থাপিত পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এরশাদ জানিয়েছেন, আমি ঘটনাটি রাতে শুনেছি। কিন্তু তার আগেই ভোক্তভুগীরা রাঙামাটি ছেড়ে চলে গেছে বলে শুনেছি।
এদিকে এলাকায় খোঁজ নিয়ে বিশ্বস্ত সূত্রের মাধ্যমে জানা গেছে, পর্যটকদের এ ধরনে যৌন নিগৃহের শিকারের ঘটনায় নেতৃত্ব দিয়েছেন সঞ্জয় চাকমা নামের এক যুবক। তার পিতা টুংকু মনি চাকমা জেলার খাদ্য গুদামে চাকরিরত আছেন। এ সময় তার সঙ্গে আরো ছিলেন—তত্তারাম চাকমা, মিন্টু চাকমা ও ভগিরথ চাকমা প্রমুখ।
এলাকাবাসী জানায়, এই সঞ্জয় চাকমা গত বছরে এরকম আরো একটি ঘটনায় দায়িত্বরত পুলিশকে মারধরের চেষ্টা চালিয়েছে। তার বিরুদ্ধে থানায় বেশ কটি মামলাও ছিলো এবং তার পিতাই তাকে বার বার জামিনে নিয়ে আসেন। এদিকে সঞ্জয় চাকমার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এই ধরনের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। তিনি এসবের সঙ্গে জড়িতও নন।
পর্যটন করপোরেশন এলাকায় দিনে-দুপুরে এই ধরনের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এখানে আগত পর্যটকদের মাঝে। অনেকেই বেড়ানোর সময় সংক্ষিপ্ত করে পরিবার-পরিজন নিয়ে পর্যটন এলাকা ছেড়ে চলে যান বলে জানিয়েছে করপোরেশনে কর্মরত একটি দায়িত্বশীল সূত্র।
২| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:১২
অদ্ভত সেই সেলেটি বলেছেন: যথাযথ তদন্ত করে দোষী ব্যক্তির শাস্তি আশা করছি, তবে পর্যটক দম্পতির পর্যটন এরিয়ার বাইরে যাওয়া ঠিক হয়নি।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:২০
অযাচিত বলেছেন: এ ঘটনার তদন্ত হোক এবং দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি দেয়া হোক।