![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঠিক ঐ পাকিস্তানেরই ড. আফিয়া সিদ্দিকী..!
মালালার শান্তিতে নোবেল প্রাপ্তি কেন জানি বারবার ড. আফিয়া সিদ্দিকীকে মনে করিয়ে দিচ্ছে ;-(
যেই মেয়েটা সারা বিশ্বে তার অকল্পনীয় প্রতিভা দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছিলো প্রায়, সেই মেয়েটিকে সইতে হলো সিমাহীন নির্যাতন আর নিপীড়ন, ইহুদীবাদী ষডযন্ত্রে হারিয়ে গেলো কালের আবর্তে. তার অপরাধ ছিলো একটাই 'তালেবানদের প্রতি সহানুভূতিশীল',, পাকিস্তানের ISI কর্তৃক যাকে তুলে দেয়া হয়েছিলো মার্কিন নরপিচাশদের হাতে.. মালালা নাটকের সবটুকুও ISI ভাল করেই জানে..
নোবেল পিস পুরস্কার নিয়ে নিচের লেখাটুকু পড়লেই আশা করি সব রহস্যের জট খুলে যাবে..
যার পাওয়ার কথা অস্কার, (সুনিপুন অভিনেত্রী হিসেবে) সে পেল নোবেল পুরস্কার!!!
তাও আবার শান্তিতে !!! কেন সেটা বলছি কারণটা শেষে লিখবো।
সব নোবেল পুরস্কারের ঘোষণা আসে সুইডেনের স্টকহোম থেকে। কিন্তু শুধু নোবেল শান্তি পুরস্কারের ঘোষণা আসে নরওয়ের অসলো থেকে। সম্পূর্ণ আলাদা একটি কমিটি ঠিক করে দেয় কে পাবে শান্তিতে নোবেল। আর এখানেই হয় বিশ্বের সবচেয়ে কুটিল ও স্বার্থের রাজিনীতি।
১৯৯৪ সাল... নোবেল শান্তি পুরস্কার পায় তিনজন। ফিলিস্তিনের ইয়াসির আরাফাত, ইসরায়েলের ইযহাক রাবিন, শিমন পেরেজ। যে ইয়াসির আরাফাত পশ্চিমাদের চোখে সন্ত্রাসী ছিল, তাকে হঠাৎ নোবেল দেওয়া হল!! কেন?
ইসরাইল জোর করে যে ফিলিস্তিন দখল করেছিল, এর প্রেক্ষিতে সৃষ্ট দু’পক্ষের মধ্যে গণ্ডগোল কমিয়ে শান্ত করার উদ্দেশ্যেই আরাফাতকে নোবেল হাতে ধরিয়ে দেওয়া হল। ব্যালান্স তৈরির জন্য দেওয়া হল ইসরাইলেরও দু’জনকে। এরপর জোর করে ইসরাইল-ফিলিস্তিনের মধ্যে চুক্তি করে দেওয়া হল- অসলো চুক্তি। ব্যস, সব ঠাণ্ডা। মাঝখান থেকে লাভের লাভ ইসরাইলের জোর করে দখল করে নেওয়া ফিলিস্তিনের সেই ভু-খন্ড।
১৯৭৮ সাল... শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পায় মিশরের আনোয়ার সাদাত ও ইসরায়েলের মেনাশিম বেগিন যৌথভাবে। কারণ আর কিছু না। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার এই দুজনকে ডেকে নিয়ে এসে জোর করে একটা চুক্তি করায়- বিখ্যাত বা কুখ্যাত ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি। বিনিময়ে আনোয়ার সাদাতের হাতে ধরে দেওয়া হয় শান্তিতে নোবেল। মিশর তখন ছিলো মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ। ব্যস, মিশর তারপর থেকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ঠাণ্ডা।
২০০৬ সাল... আমাদের ইউনুস সাহেব জড়িত সুদের সাথে আই মিন অর্থনীতির সাথে। অথচ তাকে দেওয়া হল শান্তিতে নোবেল। এমন একটা সময় দেওয়া হল যখন বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থা অস্থিতিশীল, প্রধান দুই দলের মধ্যে বিরোধ। দু নেত্রীকে সরাতে মাইনাস টু ফরমলা এপ্লাই করতে হলে তৃতীয় কোন শক্তিকে নিয়ে আসতে হবে। দেওয়া হল ড. ইউনুসকে নোবেল। দেশের পরবর্তী অবস্থা তো সবাই জানে। হঠাত্ করে ড. ইউনুসের রাজনৈতিক কথাবার্তা সবকিছুই স্পষ্ট করে দেয়! কিন্তু দুর্ভাগ্য! বাংলার জনগন গ্রামিন ব্যাংকের সুদের টাকায় ভাগ বসালেও রাজনীতির মাঠে হাসিনা-খালেদা ছাড়া অন্য কারো পাতে ভাগ বসাতে রাজি হলো না!!
--
এবার আসি আজকে শান্তিতে নোবেল পাওয়া মালালা প্রসঙ্গে।
যে কারণে মালালাকে নোবেল দেওয়া হয়, সেটাও ছিল সাজানো নাটক। মালালার ওপর কোন হামলাই হয়নি। উত্তর ওয়াজিরিস্তানে আক্রমণের একটা কারণ তৈরি করার জন্য পুরো ঘটনাটি পাকিস্তান গোয়েন্দা সংস্থা ISI ও মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা CIA এর মাধ্যমে সাজানো হয়েছিল।
মালালা অভিনয় করল...
উত্তর ওয়াজিরিস্তানে আক্রমণ হল...
বিনিময়ে মালালাকে দেওয়া হল শান্তিতে নোবেল !!!!
পাকিস্তানের একজন নোবেল পেল, ভারত আবার নাখোশ হবে। ব্যালান্স তৈরির জন্য ভারতের কৈলাস বাবুর হাতেও যৌথভাবে ধরিয়ে দেওয়া হল নোবেল।
ব্যাস, পাকিস্তান খুশি, ভারত খুশি, আর মালালাকে ব্যবহার করে পশ্চিমাদের এজেন্ডাগুলোরও বাস্তবায়ন হয়ে গেল। এরই নাম নোবেল রাজনৈতিক পুরস্কার থুক্কু নোবেল শান্তি পুরস্কার...
মালালার শান্তিতে নোবেল প্রাপ্তি কেন জানি বারবার ড. আফিয়া সিদ্দিকীকে মনে করিয়ে দিচ্ছে ;-(
যেই মেয়েটা সারা বিশ্বে তার অকল্পনীয় প্রতিভা দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছিলো প্রায়, সেই মেয়েটিকে সইতে হলো সিমাহীন নির্যাতন আর নিপীড়ন, ইহুদীবাদী ষডযন্ত্রে হারিয়ে গেলো কালের আবর্তে. তার অপরাধ ছিলো একটাই 'তালেবানদের প্রতি সহানুভূতিশীল',, পাকিস্তানের ISI কর্তৃক যাকে তুলে দেয়া হয়েছিলো মার্কিন নরপিচাশদের হাতে.. মালালা নাটকের সবটুকুও ISI ভাল করেই জানে..
নোবেল পিস পুরস্কার নিয়ে নিচের লেখাটুকু পড়লেই আশা করি সব রহস্যের জট খুলে যাবে..
যার পাওয়ার কথা অস্কার, (সুনিপুন অভিনেত্রী হিসেবে) সে পেল নোবেল পুরস্কার!!!
তাও আবার শান্তিতে !!! কেন সেটা বলছি কারণটা শেষে লিখবো।
সব নোবেল পুরস্কারের ঘোষণা আসে সুইডেনের স্টকহোম থেকে। কিন্তু শুধু নোবেল শান্তি পুরস্কারের ঘোষণা আসে নরওয়ের অসলো থেকে। সম্পূর্ণ আলাদা একটি কমিটি ঠিক করে দেয় কে পাবে শান্তিতে নোবেল। আর এখানেই হয় বিশ্বের সবচেয়ে কুটিল ও স্বার্থের রাজিনীতি।
১৯৯৪ সাল... নোবেল শান্তি পুরস্কার পায় তিনজন। ফিলিস্তিনের ইয়াসির আরাফাত, ইসরায়েলের ইযহাক রাবিন, শিমন পেরেজ। যে ইয়াসির আরাফাত পশ্চিমাদের চোখে সন্ত্রাসী ছিল, তাকে হঠাৎ নোবেল দেওয়া হল!! কেন?
ইসরাইল জোর করে যে ফিলিস্তিন দখল করেছিল, এর প্রেক্ষিতে সৃষ্ট দু’পক্ষের মধ্যে গণ্ডগোল কমিয়ে শান্ত করার উদ্দেশ্যেই আরাফাতকে নোবেল হাতে ধরিয়ে দেওয়া হল। ব্যালান্স তৈরির জন্য দেওয়া হল ইসরাইলেরও দু’জনকে। এরপর জোর করে ইসরাইল-ফিলিস্তিনের মধ্যে চুক্তি করে দেওয়া হল- অসলো চুক্তি। ব্যস, সব ঠাণ্ডা। মাঝখান থেকে লাভের লাভ ইসরাইলের জোর করে দখল করে নেওয়া ফিলিস্তিনের সেই ভু-খন্ড।
১৯৭৮ সাল... শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পায় মিশরের আনোয়ার সাদাত ও ইসরায়েলের মেনাশিম বেগিন যৌথভাবে। কারণ আর কিছু না। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার এই দুজনকে ডেকে নিয়ে এসে জোর করে একটা চুক্তি করায়- বিখ্যাত বা কুখ্যাত ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি। বিনিময়ে আনোয়ার সাদাতের হাতে ধরে দেওয়া হয় শান্তিতে নোবেল। মিশর তখন ছিলো মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ। ব্যস, মিশর তারপর থেকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ঠাণ্ডা।
২০০৬ সাল... আমাদের ইউনুস সাহেব জড়িত সুদের সাথে আই মিন অর্থনীতির সাথে। অথচ তাকে দেওয়া হল শান্তিতে নোবেল। এমন একটা সময় দেওয়া হল যখন বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থা অস্থিতিশীল, প্রধান দুই দলের মধ্যে বিরোধ। দু নেত্রীকে সরাতে মাইনাস টু ফরমলা এপ্লাই করতে হলে তৃতীয় কোন শক্তিকে নিয়ে আসতে হবে। দেওয়া হল ড. ইউনুসকে নোবেল। দেশের পরবর্তী অবস্থা তো সবাই জানে। হঠাত্ করে ড. ইউনুসের রাজনৈতিক কথাবার্তা সবকিছুই স্পষ্ট করে দেয়! কিন্তু দুর্ভাগ্য! বাংলার জনগন গ্রামিন ব্যাংকের সুদের টাকায় ভাগ বসালেও রাজনীতির মাঠে হাসিনা-খালেদা ছাড়া অন্য কারো পাতে ভাগ বসাতে রাজি হলো না!!
--
এবার আসি আজকে শান্তিতে নোবেল পাওয়া মালালা প্রসঙ্গে।
যে কারণে মালালাকে নোবেল দেওয়া হয়, সেটাও ছিল সাজানো নাটক। মালালার ওপর কোন হামলাই হয়নি। উত্তর ওয়াজিরিস্তানে আক্রমণের একটা কারণ তৈরি করার জন্য পুরো ঘটনাটি পাকিস্তান গোয়েন্দা সংস্থা ISI ও মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা CIA এর মাধ্যমে সাজানো হয়েছিল।
মালালা অভিনয় করল...
উত্তর ওয়াজিরিস্তানে আক্রমণ হল...
বিনিময়ে মালালাকে দেওয়া হল শান্তিতে নোবেল !!!!
পাকিস্তানের একজন নোবেল পেল, ভারত আবার নাখোশ হবে। ব্যালান্স তৈরির জন্য ভারতের কৈলাস বাবুর হাতেও যৌথভাবে ধরিয়ে দেওয়া হল নোবেল।
ব্যাস, পাকিস্তান খুশি, ভারত খুশি, আর মালালাকে ব্যবহার করে পশ্চিমাদের এজেন্ডাগুলোরও বাস্তবায়ন হয়ে গেল। এরই নাম নোবেল রাজনৈতিক পুরস্কার থুক্কু নোবেল শান্তি পুরস্কার...
২| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:৪৭
আমি তুমি আমরা বলেছেন: পোস্টটা দুইবার এসেছে। এডিট করে একবার মুছে দিন।
পোস্টে বল্লেন ড. আফিয়া তালেবানদের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিল। আপনার প্রতি প্রশ্ন, তালেবানদের কোন দিক দিয়ে কি ভাল মানুষ মনে হয়?
৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:১৭
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: সহমত --------------
@ বিশ্ববাসী আগেও জানতো মুসলিম বিশ্বের যে সব গাদ্দার গাদ্দারিতে এবং পাশ্চাত্যের পা'চাটার পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হতে পারে নোবেল প্রাইজ নামক একটা দাসত্বের সার্টিফিকেট কেবল তাদের পক্ষেই অর্জন করা সম্ভব। সোয়াতের ধর্মীয় পরিবেশ বিঘ্নিত করার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ (তাদের ধারণামতে) মালালা ইউসুফ জাঈর নোবেল প্রাপ্তিতে তাই অবাক হবার মতো কিছুই নেই। কোনো প্রকৃত অর্থের মুসলমান কখনো নোবেল প্রাইজ পেতে পারে না। আমরা দেখেছি মুসলিম নামধারী আব্দুস সালামকে নোবেল দিতে। কিন্তু আব্দুস সালাম মুসলমান হলো কবে? সে তো ছিল তাদের দেয়া নবুওতে নবী হওয়া গোলাম আহমদ কাদিয়ানির একজন বিশ্বস্ত উম্মত। বাংলাদেশের ডঃ ইউনুসের কথা? সে তো হলো ইহুদিবাদীদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সুদের প্রচার ও প্রসারের এম্বেসেডর। মিশরের নাজিব মাহফুজের কথা? সে ও তো ছিল তাদের চিন্তাধারা প্রসারের শ্রমিকমাত্র। নাজিবের সমস্ত লেখায় কেবল তাদের দর্শনটাই ফুটিয়ে তুলা হয়েছে। আর ইয়াসির আরাফাত ও আনোয়ার সাদাতের কথা? ক্যাম্পডেভিট চুক্তির মাধ্যমে শক্তিমান অারবদের কোমর ভাঙা আর ইন্তেফাদার গলায় ছুরি চালিয়ে ফিলিস্তিনিদের হত্যার পথ প্রশস্ত করার জন্যই মূলত দেয়া হয়েছিল অভিশপ্ত এ প্রাইজ। ডঃ আফিয়া সিদ্দিকার ন্যায় একজন বিদুষী নারীকে হিংস্র পশুদের খাচায় আটকে রেখে মালালার ন্যায় এক দক্ষ অভিনেত্রীকে পুরস্কৃত করা আসলে বিশ্বের নারী অধিকারের উপর শক্ত একটা চপেটাঘাত। মানবতাবাদ নিয়ে চরম উপহাস।
৪| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:৪০
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
যে কারণে মালালাকে নোবেল দেওয়া হয়, সেটাও ছিল সাজানো নাটক। মালালার ওপর কোন হামলাই হয়নি!
যুক্তিসঙ্গত? মোটেই না।
সোসালমিডিয়াগুলোতে একটি বর্বর দেশের বোকোহারাম-তালেবানদের এত সমর্থক!
যারা স্কুলে মেয়েদের পড়ালেখা করা হারাম মনে করে স্কুল ধ্বংশ করছে, যাদের ভয়ে লুকিয়ে ইউনিফর্ম বাদে স্কুলে যেতে হচ্ছে। এই বর্বর -তষ্করদের সমর্থনে মালালা হত্যা প্রচেষ্টা ঘটনাটিকে ‘সাজানো’ বলছে!
অতচ পাকিস্তানি তালেবান লিখিত বিবৃতি দিয়ে মালালা হত্যাচেষ্টা ঘটনা স্বীকার করে আবারো হতা হুমকি দেয়া হয়েছিল, তালেবানদের এদেশী সমর্থকরা সেই বিবৃতিটিও সাজানো বলেছে।
কিন্তু যখন একই পাকিস্তানি তালেবান যখন লিখিত বিবৃতিতে বর্বর IS কে সমর্থন দিল সেটা ঠিক আছে বলে উল্লাশ প্রকাশ করল।
এসব অবস্য নতুন না।
এরা ৯/১১ হামলাকেও সাজানো বলছে।
২১সে আগষ্ট গ্রেনেডহামলাও সাজানো বলে।
বংগবন্ধু হত্যা, জেল হত্যাও সাজানো, বলে তোফায়েলরাই জরিত!
২০১৩ শেষদিকের জামাতশিবিরের যুদ্ধাপরাধ বিচার বিরোধি, নির্বাচন বিরোধি সহিংশতা-নাশকতা, আওয়ামীলীগের সাজানো কাজ বলছে!
৭১এর বুদ্ধিজিবি হত্যাকান্ডও সাজানো বলে বিশ্বাস করে, বলে ভারতীয়দের কাজ!
লাদেন হত্যাও প্রথমদিকে সাজানো বলেছিল, পরে আর হালে পানি পায়নি।
এদেশী তালেবান, IS, বোকো-হারামজাদারা কবে যে মানুষ হবে!
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:৪৩
ফািহম িসিিদ্দকী বলেছেন: মিশ্র প্রতিক্রিয়া
==========
ঈদুল আযহার আনন্দের রেশ কাটতে না কাটতেই পাকিস্তানের সোয়াত উপত্যকায় বান ডেকেছে আরেক আনন্দের। এ আনন্দ কেবল সন্ত্রাসউপদ্রুত সোয়াত উপত্যকাকে বিশ্ব মঞ্চে মর্যাদা দান করে নি, মর্যাদা দান করেছে পুরো পাকিস্তানকে। বিজ্ঞানী আব্দুস সালামের প্রায় ৩৬ বৎসর পর এই দ্বিতীয়বারের মতো নোবেল প্রাইজ ধরা দিল পাকিস্তানের ভাগ্যে। তা-ও কম বয়সে প্রাপ্তির দিক দিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়ে। এ প্রাইজ প্রমাণ করে ধর্মের দোহাই দিয়ে নারীদেরকে ঘরে আবদ্ধ করে রাখার দিন শেষ। এ প্রাইজ প্রমাণ করে বিশ্ববাসী ধর্মের নামে উগ্রতা সহ্য করতে রাজি নয়। ------ -------- আমরা আশা করবো এরপর তালেবানদের বোধোদয় হবে। তারা সন্ত্রাসের পথ পরিহার করে একটি সুখি সমৃদ্ধ আধুনিক পাকিস্তান গড়ার পথে অন্তরায় হওয়া থেকে সরে দাঁড়াবে। ( ইত্যাদি ইত্যাদি। অনেক দীর্ঘ কথা।)
বিশ্ববাসী আগেও জানতো মুসলিম বিশ্বের যে সব গাদ্দার গাদ্দারিতে এবং পাশ্চাত্যের পা'চাটার পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হতে পারে নোবেল প্রাইজ নামক একটা দাসত্বের সার্টিফিকেট কেবল তাদের পক্ষেই অর্জন করা সম্ভব। সোয়াতের ধর্মীয় পরিবেশ বিঘ্নিত করার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ (তাদের ধারণামতে) মালালা ইউসুফ জাঈর নোবেল প্রাপ্তিতে তাই অবাক হবার মতো কিছুই নেই। কোনো প্রকৃত অর্থের মুসলমান কখনো নোবেল প্রাইজ পেতে পারে না। আমরা দেখেছি মুসলিম নামধারী আব্দুস সালামকে নোবেল দিতে। কিন্তু আব্দুস সালাম মুসলমান হলো কবে? সে তো ছিল তাদের দেয়া নবুওতে নবী হওয়া গোলাম আহমদ কাদিয়ানির একজন বিশ্বস্ত উম্মত। বাংলাদেশের ডঃ ইউনুসের কথা? সে তো হলো ইহুদিবাদীদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সুদের প্রচার ও প্রসারের এম্বেসেডর। মিশরের নাজিব মাহফুজের কথা? সে ও তো ছিল তাদের চিন্তাধারা প্রসারের শ্রমিকমাত্র। নাজিবের সমস্ত লেখায় কেবল তাদের দর্শনটাই ফুটিয়ে তুলা হয়েছে। আর ইয়াসির আরাফাত ও আনোয়ার সাদাতের কথা? ক্যাম্পডেভিট চুক্তির মাধ্যমে শক্তিমান অারবদের কোমর ভাঙা আর ইন্তেফাদার গলায় ছুরি চালিয়ে ফিলিস্তিনিদের হত্যার পথ প্রশস্ত করার জন্যই মূলত দেয়া হয়েছিল অভিশপ্ত এ প্রাইজ। ডঃ আফিয়া সিদ্দিকার ন্যায় একজন বিদুষী নারীকে হিংস্র পশুদের খাচায় আটকে রেখে মালালার ন্যায় এক দক্ষ অভিনেত্রীকে পুরস্কৃত করা আসলে বিশ্বের নারী অধিকারের উপর শক্ত একটা চপেটাঘাত। মানবতাবাদ নিয়ে চরম উপহাস।
গতকাল বিভিন্ন উর্দু ম্যাগাজিন আর ব্লগপোস্ট ঘুরে এমনই মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে।