![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খালি খাই আর খাই।খাওয়ার পরে ঘুমাই।ঘুম থেকে উঠে আবার খাই।তারপর আবার ঘুমাই।এইভাবেই নিজের ওজনটাকে প্রায় শতকের কাছাকাছি নিয়ে গিয়েছি।এখন শতকে পৌঁছানোর চেষ্টায় আছি।
আগে ঈদ মানেই একটা বাড়তি উত্তেজনা ছিল, রোজা শুরু হবার পর থেকেই দিন গুনতামI শেষের দিনগুলো আর যেন শেষ ই হতোনা I রোজার ঈদ শেষ হলেও অতটা মন খারাপ হতোনা. ভাবতাম আর কয়েকদিন পর ই তো আরেকটা ঈদ I ঈদের পরের দিন সকালে মন খারাপ হতো I আরো খারাপ লাগতো যখন মামা, চাচা আর ভাইয়ারা ঢাকা যাওয়া শুরু করতেন I ঈদের আগে এতই উত্তেজিত থাকতাম যে ঈদের পোশাক বারবার পরে দেখতাম যে কেমন লাগে, জুতা বা স্যান্ডেল এর গন্ধ শুকতাম I মামার উপহারের জন্যে অপেক্ষা করে থাকতাম I কি আনবে মামা এইবার, সেইজন্যে টেনশন হতো I আগে যখন ফোন ছিলোনা তখন একবার মামার জন্যে টানা দুইদিন রাস্তায় অপেক্ষা করে ছিলাম I ঈদের দিন আমার পছন্দের জন্যেই আম্মা শুধু খিচুড়ি মাংস রান্না করতেন I সারাদিন ওই খিচুড়ি খাইতাম আমি ঈদের দিনের পোলাও মাংস না খেয়ে।
দিন বদলালো, আমি বড় হলাম I চাকরি পেয়ে নিজেরে বড় ভাবা শুরু করলাম I সবার জন্যে ঈদএর জামাকাপড় কিনলেও নিজের জন্যে কিনতাম না. তবু আম্মা জোর করে কিছু না কিছু ধরায়ে দিতেন. ফারিয়ার সাথে রিলেশনের পর ও কোনো ঈদ মিস দেয়নি, ও সবসময় আমাকে পাঞ্জাবি কিনে দিতো. ওর পছন্দ খুব ভালো, ও যাই কিনে দেয় তাই আমার ভালোলাগে I ঈদের কয়েকদিন আগে থেকেই আম্মা পথ চেয়ে বসে থাকতেন, আমি যেদিন আসতাম ঐদিন আমার প্রিয় শাক ভাজি আর ছোট মাছ রান্না হতো I ঈদের দিন থেকে ফারিয়া তার বাইরে যাওয়ার সুযোগের কোটা জমিয়ে রাখতো আমার সাথে ঘুরতে যাওয়ার জন্যে,আর আমাকে বারবার ফোন দিয়ে বলতো এইবার একটু আগেই আসোনা I আর কতদিন বাসায় বসে থাকবো I
আর কয়েকদিন পর ঈদ, আম্মা যথারীতি জিজ্ঞেস করতেসিল কিছু কিনছিস? হালকা করে একটা না বলে দিছি I কিনে কি করবো?ঈদের দিন সকালে নামাজ পরেই হয়তো ল্যাব এ আসা লাগবে I সময়ের অভাবে হয়তো সেমাই রান্না করে হবেনা I খিচুড়ি আর হাঁসের মাংস সেতো অনেক দূরের কথা I আমার আম্মা হয়তো একগাদা সেমাই রান্না করে বসে থাকবে আমার অপেক্ষায় I বাসায় হয়তো আর খিচুড়ি রান্না হবে না গতবারের মতো I প্রতিবারের মতো আব্বা হয়তো আমাকে ঘুম থেকে উঠার তাড়া না দিয়ে একাই মন খারাপ করে নামাজ পড়তে চলে যাবে I আম্মা হয়তো না খেয়ে কাঁদতে কাঁদতে চোখ ফুলায়ে ফেলবে I ফারিয়া হয়তো এবার বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যাবে, আড্ডার ছলে আমাকে হয়তো মিস করবে I ক্যাফে গুনগুন এর শর্মাতে গার্লিক সস মিশাতে মিশাতে পাশের সিট্ এ আমাকে কল্পনা করবে I আমি হয়তো ল্যাবের পিসিতে ম্যাটল্যাব এর একটা উইন্ডো খুলে সারাদিন বসে থাকবো আর কখন ৫ টা বাজবে হিসাব করবো I মা বাবার শুকনা মুখখান মনে পড়বে, ফারিয়াকে মনে পড়বে I চোখে পানি আসবে, নিজেকে শান্তনা দেয়া ছাড়া আর কিসুই করার থাকবে ন।
জীবন এতো নিষ্ঠূর কেন? কেন আমরা একটু বেশি শান্তির জন্যে লড়াই করতে করতে নিজেকে বারবার অশান্তিতে ফেলে দেই? আসলেই কি এতকিছুর দরকার আছে?
পুনশ্ছঃ বাংলা একাডেমী নাকি ঈদ কে ইদ এ পরিবরতন করে ফেলেছে, এখন ঈদ শব্দটাই স্মৃতি হয়ে থাকবে
২| ২১ শে জুন, ২০১৭ রাত ৯:৩৫
জি.এম. সাদমান বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ২১ শে জুন, ২০১৭ রাত ১১:২৬
দিকভ্রান্ত এক পথিক বলেছেন: বাংলা একাডেমী কি শুরু করলো! ছোটবেলা থেকে ঈদ শুনে বড় হয়েছি, এখন ইদ কেন? আর এই প্রতিষ্ঠান নিয়ে আমার হাসি পায়, বাংলা ভাষার উপর কাটাছেড়া করে অথচ নিজের নামেই ইংরেজী শব্দ!
৪| ২১ শে জুন, ২০১৭ রাত ১১:৫০
ওমেরা বলেছেন: আমাদের চাহিদার কারনে আমরা নিজেরাই জীবনকে জটিল করে ফেলি । ধন্যবাদ
২৩ শে জুন, ২০১৭ ভোর ৬:৪০
জি.এম. সাদমান বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে জুন, ২০১৭ রাত ৯:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: লেখা পড়ে ভালো লাগলো। জানিয়ে গেলাম।