![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খালি খাই আর খাই।খাওয়ার পরে ঘুমাই।ঘুম থেকে উঠে আবার খাই।তারপর আবার ঘুমাই।এইভাবেই নিজের ওজনটাকে প্রায় শতকের কাছাকাছি নিয়ে গিয়েছি।এখন শতকে পৌঁছানোর চেষ্টায় আছি।
দুনিয়াতে আমরা কেও ই স্বয়ংসম্পূর্ণ না। আমাদেরকে এমনভাবে সৃষ্টি করা হইছে যেন দুনিয়াতে প্রতিকুল পরিবেশে একজন আরেকজনকে সাহায্য করে বেঁচে থাকতে পারি। একজন আরেকজনের সাহায্য যে খালি গরীবের লাগে তা কিন্তু না। বড়লোক গরীব সবারই জীবনে টিকে থাকতে অন্যদের উপরে নির্ভর করতে হয়। কাল থেকে সারা দুনিয়ার কৃষক যদি বলে যে আজ থেকে আমরা আর খাদ্য উৎপাদন করব না তাইলে দুনিয়ার সবচেয়ে বড়লোক মানুষটাও হয়ত খাদ্যাভাবে মারা যাবে, অথবা কাল থেকে ঢাকার সব রিকশাওয়ালা রিকশা চালান বন্ধ করে দিলে অনেক মানুষেরই হাঁটতে হাঁটতে স্যান্ডেল ছিঁড়ে যাবে। এখন যদি মুচি স্যান্ডেল সেলাই না করে??
আসলে একরকমভাবে আমরা দেখতে না পেলেও একজন মূলত আরেকজনকে দুনিয়াতে সারভাইভ করার জন্যে সাহায্য করে যাচ্ছি। এটা আদিকাল থেকেই হয়ে আসতেছে। মূলত কিছু সাহায্য ঠিক টাকার মূল্যে পরিমাপ না করা গেলেও এটা সমাজে বিদ্যমান। রহিম সাহেব সকালে অফিসে ড্রাইভারের সাহায্য ছাড়া যেমন যেতে পারেন না, তেমনি বিরাট বড়লোক চৌধুরী সাহেবও তার কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাহায্য নিয়েই টিকে আছেন। রিকশাওয়ালা সাখাওয়াতের যেমন রিক্সা না চালাইলে সংসার চলে না, তেমনি সবজি ব্যাবসায়ির ক্রেতাদের সাহায্যেই দৈনিক ভাত জোটে। এভাবেই চলছে জীবন সবার।
আজকে করোনা ভাইরাসে সারা দুনিয়ার অর্থনীতি বেশ হুমকির মুখে। এখানে শুধু অভাবী শ্রেণি বা নিম্ন আয়ের মানুষ যে শুধু অভাবে পরবে তা না, আমরা সবাই একধরনের অভাবের মধ্যও দিয়েই যাব। তাই এই বিপদের দিনে সাহায্যের প্রয়োজন হউয়াটা লজ্জার কিছু না। সাহায্য যে শুধু রিকশাওয়ালা বা ভ্যানয়ালাদের লাগতে পারে তা না, বড় বড় ব্যাবসায়িদের লাগতে পারে, মধ্যবিত্তদের লাগতে পারে ইভেন এই সমস্যা খুব বেশিদিন থাকলে ইকনমির ধ্বস নামলে অনেক উচ্চবিত্তও হয়ত পথে বসে যেতে পারেন। তাই এই মুহূর্তে সাহায্যের জন্যে লাইনে দাড়িয়ে নিজেকে চোর ভাবার দরকার নাই, অপরাধী ভাবারও দরকার নাই। এটা খুব স্বাভাবিক, আমরা সবাই হয়ত একধরনের খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, তাই এটা সাময়িক। আমি সাহায্য নিলে অনেক নিচে নেমে যাব এরকম চিন্তা করে ঘরে বসে থাকার চেয়ে বাইরে যেয়ে যেভাবে হোক খাবার মানেজ করে পরিবার পরিজন নিয়ে একটু খেয়ে বেঁচে থাকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কে কি ভাবল আমাকে নিয়ে এসব আমার জীবনে কাজে আসবে না কোনদিন, আল্লাহ চাইলে টিকে থাকলে আজকের এই ১০০ টাকার সাহায্য কয়েকগুণ ফিরিয়ে দিতে পারব আমরা সবাই।
যারা সাহায্য দিচ্ছেন, তারা অবশ্যই খুব ভালো কাজ করছেন। সবাই যাতে শুরু করে তাই ভিডিও করতেছেন বা ছবি তুলতেছেন, সেটাও খুব ভালো। কিন্তু খেয়াল করবেন কাওকে সাহায্য করে তার ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে আপলোড দিয়ে কাওকে বিব্রত করছেন না তো? তাই ১০ জনকে সাহায্য দিলে সবার অনুমতি নিয়ে প্রয়োজনে ১ জনের ছবি প্রকাশ করেন, অন্তত আপনার দেয়া সাহায্য নিয়ে কেও যেন সামাজিক ভাবে নিজেকে ছোট না ভাবে। আর যারা মুসলমান তারা এটা মনে রাখলেই হবে, যে দান যত গোপনীয়তা রক্ষা করে করা যায় সেই দান ততই উত্তম।
পরিশেষে, এই বিপদের দিনে সবাই সবার পাশে দাঁড়াক। বড়লোকের ৩ বেলা মাংস খাওয়ার বদলে 1 বেলা মাংস খাওয়ার যেই বাঁচান টাকা, সেই টাকা দিয়ে প্রান্তিক কোন অভাবী তার বাচ্চা কাচ্চা নিয়ে একটু ডাল ভাত খেয়ে বেঁচে থাকুক। অথবা আমাদের সামনের এক মাসের বিড়ি খাওয়ার টাকায় কোন এক রিকশাওয়ালার আহার জুটুক, টিফিন থেকে বাঁচান কোন এক কিশোরের দশ টাকা হয়ে উঠুক কোন এক অভাবীর গরম ভাতের ধোঁয়া, অথবা আপনার মেয়ের এই মাসের কেকের খরচ অন্য কোন গরিবের মেয়ের কয়েকদিনের দুনিয়াতে টিকে থাকার গল্প হয়ে উঠুক।
সবাই বাড়িতে, সাব্ধানে থাকি। পাশের বাড়ির কালাম চাচা খেয়ে আছে কিনা সেই খোঁজ রাখি, সবাই মিলে একসাথে বেঁচে থাকি। আজকের এই সাহায্য একদিন বিধাতা অন্য কোন উপায়ে আমার ঘরে ফিরিয়ে দিয়ে হয়ত ব্যালেন্স করে দিবেন। ইনশাল্লাহ।
২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৩২
নেওয়াজ আলি বলেছেন: সহমত। সবাই যেন আপনার মত ভাবে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো কথা্লেছেন।
বিপদেই মানুষের আসল পরিচয় পাওয়া যায়।