নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফরহাদ উদ্দীন

ফরহাদ উদ্দীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মতিঝিল হত্যাকাণ্ড দ্বিতীয় কর্ডোভা গণহত্যা বলে পরিচিতি পাবে

২৮ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:০২

মতিঝিলে ৬ মে গভীর রাতে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের ওপর সাঁড়াশি অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনীর কয়েক সদস্যও নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ।







সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে দৈনিক আমার দেশ পরিবার ও ফ্রি থিংকার্স ফোরাম আয়োজিত ‘গণতন্ত্র: গণমাধ্যম ও মাহমুদুর রহমান’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ দাবি করেন। হান্নান শাহ বলেন, হেফাজতের বিরুদ্ধে অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনীর কয়েক সদস্যও মারা গেছেন। রাতের অন্ধকারে চালানো অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতেই হেফাজতকর্মীদের সঙ্গে এসব নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মারা যান। এটাকে সামরিক ভাষায় ফ্রেন্ডলি ফায়ার বলা হয়।







মতিঝিল শাপলা চত্বরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে কেউ হতাহত হয়নি বলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার বেনজীর আহমেদ যে দাবি করেছেন তার সমালোচনা করে তিনি বলেন, অভিযানে হতাহত না হলে সুইপার কলোনি থেকে সুইপার এবং ওয়াসার পানির ট্যাংক এনে সমাবেশস্থল পরিষ্কার করেছেন কেন?







মতিঝিলের হত্যাকাণ্ডকে কর্ডোভা গণহত্যার সাথে তুলনা করে হান্নান শাহ বলেন, স্পেনে মুসলমানদের কর্ডোভার খ্রিস্টানরা মসজিদের ভেতরে ঢুকিয়ে যেভাবে হত্যা করেছে, সেভাবে মতিঝিলে হেফাজতের সমাবেশে সরকার হুজুরদের ডেকে এনে গণহত্যা চালিয়েছে। মতিঝিলে হেফাজতের ওপর চালানো হত্যাকাণ্ড ইসলামের ইতিহাসে দ্বিতীয় কর্ডোভা গণহত্যা হিসেবে পরিচিতি পাবে।







হেফাজতের ওপর হামলার খবর আমার কাছে আছে- এমন দাবি করে তিনি সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ১০ হাজার নিরাপত্তা বাহিনী, এক লাখ ৬০ হাজার বুলেট ও হাজার হাজার গ্রেনেড সেদিন হেফাজতের ওপর ব্যবহার করা হয়েছে। রাষ্ট্রের এসব সম্পদ কাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছেন? জনগণের ওপর।







শাপলা অভিযানের পর সরকারের পক্ষ থেকে ডিএমপি কমিশনার বেনজীর আহমেদ দাবি করেছিলেন, ৬ মে পরিচালিত অপারেশন ফ্লাশ-আউটে কোনো মুসল্লি মারা যাননি। তবে হেফাজতের অবরোধ কর্মসূচিকে ঘিরে ১১ জন নিহত হয়েছে। তবে, কাতারভিত্তিক নিউজ চ্যানেল আল-জাজিরা বলেছে, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার মতিঝিলের শাপলা চত্বরে ৫ মে মধ্যরাতে হেফাজতবিরোধী অভিযানে মৃত্যুর বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার ভুল তথ্য দিয়েছে।







শাপলা অভিযানের পরপরই হেফাজতে ইসলামের নেতারা দাবি করেন, ঘুমন্ত ও ইবাদতরত মুসল্লিদের ওপর গুলি চালিয়ে ওই রাতে অন্তত তিন হাজার লোককে হত্যা করা হয়। এছাড়া অন্তত ১০ হাজার লোক আহত হয় এবং বহু লোক এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।





দেশ-বিদেশের একাধিক মানবাধিকার সংগঠন এবং গণমাধ্যমও হেফাজতের এ দাবির সঙ্গে সুর মিলিয়েছে। হংকংভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন এশিয়ার হিউম্যান রাইটস কমিশন জানিয়েছে, শাপলা চত্বরে নিহতের সংখ্যা আড়াই হাজারেরও বেশি হতে পারে।





বাংলাদেশের খ্যাতনামা মানবাধিকার সংগঠন অধিকার বলেছে, শাপলা চত্বরে শত শত লোককে হত্যা করা হয়। এরপর ট্রাক ও কভার্ডভ্যানে করে লাশ সরিয়ে ফেলা হয়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.