নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফরহাদ উদ্দীন

ফরহাদ উদ্দীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

নওগাঁয় সঞ্চয়ের আড়াইকোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা বৈশাখী সোসাইটি

০২ রা জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৩০





নওগাঁ শহরের উপকণ্ঠে অবস্থিত বৈশাখী মাল্টিপারপাস সোসাইটি নামে একটি বেসরকারি সংস্থা প্রায় এক হাজার আমানতকারীর আড়াইকোটি সঞ্চয়ের টাকা হাতিয়ে নিয়ে শনিবার সকালে লাপাত্তা হয়েছে। অধিক লাভের আশায় এসব আমানতকারী তাদের সর্বস্ব আমানত বিনিয়োগ করেছিলেন। সর্বস্ব হারানো আমানতকারীদের আহাজারিতে এলাকার আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে।



ঘটনার পর নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব এবং নওগাঁ সদর মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।



ভুক্তভোগীরা জানান, সদরের তিলকপুর ইউনিয়নের মঙ্গলপুর গ্রামের রাশেদুল ইসলাম ২০০৫ সালে প্রথমে মাদার নামে একটি সংগঠন গড়ে তোলে। পরবর্তীতে নাম পরিবর্তন করে সংগঠনের নাম দেওয়া হয় দেশ উন্নয়ন।



সর্বশেষে সমবায় অধিদফতর থেকে (রেজি নম্বর- ০২৩/০২) রেজিস্ট্রেশন করে বৈশাখী মাল্টিপারপাস সোসাইটি লিমিটেড নামে একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও প্রধান কার্যালয় স্থাপন করে।



এরপর প্রথমে মঙ্গলপুর পরে বোয়ালিয়া, দূর্গাপর, সান্তাহার, ছাতিয়ানগ্রাম, ফতেপুরসহ কয়েকটি গ্রামের প্রায় এক হাজার মানুষকে প্রতি লাখে মাসিক আড়াই হাজার টাকা লাভ দেওয়ার নাম করে টাকা হাতিয়ে নেয়।



রাশেদের বাড়ি জেলার বদলগাছি উপজেলার বিলাসবাড়ি গ্রামে। তার বাবা-মা মারা যাওয়ার পর নানার বাড়ি মঙ্গলপুর গ্রামে বড় হয়।



সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত একেকজন এ প্রতিষ্ঠানে সঞ্চয় করেন।



এলাকার মৃত আফছার আলীর ছেলে আবুল কালাম আজাদ ২ লাখ ৬০ হাজার, মৃত রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে আমজাদ ৩ লাখ ও আলতাফ হোসেন ১ লাখ, তছির সরদারের ছেলে আবুল কাশেম ৪ লাখ, হারান সরদারের ছেলে সমোজাহা সরদারের ৩ লাখ ৫০, মৃত বাবুর আলীর ছেলে সোবহান ১ লাখ, সোবাহানের ছেলে মোজাম সরদার ১ লাখ ২ হাজার, তাহের আলীর ছেলে আনিছুর ১ লাখ ৫০ হাজার, প্রবাসী মাহমুদুর ইসলামের স্ত্রী বিদেশ থেকে পাঠানে সমুদয় ৫ লাখ ৫০ হাজার, রমজান আলীর স্ত্রী চাতাল শ্রমিক রেজিয়া বেগম মেয়ের বিয়ের জন্য জমানো সমুদয় ৮৫ হাজার, জহির সরদারের ছেলে ফেরদৌস ১ লাখ ৮২ হাজার, আবেদ আলী সরদারের ছেলে বারিক ১ লাখ, আব্দুর রাজ্জাক ১ লাখ ১০ হাজার, মজিদের স্ত্রী বেগম ১ লাখ ১০ হাজার, বাদেশ আলীর ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেন ৪ লাখ, মৃত ফরেজ আলীর ছেলে মহাতাব আলীর ১ লাখ ৫০ হাজার ও মহাতাব আরীর ছেলে রানার ১ লাখ টাকাসহ প্রায় এক হাজার আমানতকারীর উল্লেখিত পরিমাণ টাকা সঞ্চিত রয়েছে ওই প্রতিষ্ঠানে।



এদিকে রাশেদের মামা ঢাকায় বাংলাদেশ ব্যাংকে কর্মরত মোখলেছুর রহমান আমানতকারীদের বিশ্বাস অর্জনের জন্য সংগঠনের দু’টি পৃথক সভায় ভাগ্নের পক্ষে জিম্মাদার হয়ে টাকা সঞ্চয়ের নিশ্চয়তা প্রদান করেছিলেন। ওই দু’টি সভায় সভাপতিত্ব করিছেলেন অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম।



বর্তমানে বৈশাখী মাল্টিপারপাস সোসাইটির কার্যকরি পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন রাশেদের নানা হাবিবুর রহমান।



খোঁজ নিয়ে আরও জানা গেছে, রাশেদ দু’দিন আগে তার মালিকানাধীন সম্পত্তি বিক্রি করেছেন। এছাড়াও নওগাঁ শহরের পার-নওগাঁ ঈদগাহ পাড়ায় তার নানা বাড়ির সবাই পালিয়ে গেছে।



এ ব্যাপারে নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক জানান, ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.