![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বহুল আলোচিত পদ্মা সেতুর জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে ছয় হাজার ৮৫২ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বিশ্বব্যাংকসহ অন্য দাতা গোষ্ঠীরা এই প্রকল্প থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করার পর সরকার নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর কাজ শুরু করে। তবে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী ইসলামিক উন্নয়ন ব্যাংকসহ অন্য দাতাদের সমর্থন পাওয়ার প্রত্যাশার কথা বলেছেন।
প্রস্তাবিত বাজেটে পদ্মা বহুমুখী প্রকল্পের জন্য ছয় হাজার ৮৫২ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। যেখানে সড়ক, রেল ও সেতু বিভাগের জন্য মোট বরাদ্দ ১৮ হাজার ২৩২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।
এর মধ্যে পরিবহন ও যোগাযোগে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ৬০ কোটি টাকা। সেতু বিভাগের জন্য ৭ হাজার কোটি টাকা। যা চলতি অর্থ বছরে সেতু বিভাগের জন্য ৮২৩ কোটি টাকা। শুধু মাত্র পদ্মা সেতু প্রকল্পের জন্য সেতু বিভাগে প্রায় ছয় হাজার ৮৫২ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হচ্ছে।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘প্রকল্পের জন্য ভারতের অনুদান ২০০ মিলিয়ন ডলার আমরা ব্যবহার করব। আমি এ-ও আশা করছি যে, এই প্রকল্পের জন্য ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক এবং আরও কতিপয় উন্নয়ন সহযোগীর সমর্থন আমরা যথাসময়ে আদায় করতে পারব। নিজস্ব অর্থায়নে আমরা পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ যে শুরু করেছি, সেটিই একমাত্র উপায় বলে আমার মনে হয়।’
মুহিত বলেন, ‘পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অভিযোগ প্রমাণে বা খণ্ডনে এবং কানাডার মামলা শেষ হতে অনেক সময় লাগবে। এ জন্য অপেক্ষা করা ঠিক হবে না।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা হলো, দুর্নীতি দমন কমিশন এই মামলাটির দ্রুত তদন্ত করে রহস্য উদঘাটন ত্বরান্বিত করবে।’
তিনি জানান, জাজিরা সংযোগ সড়ক এবং সংশ্লিষ্ট নদী শাসনের কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। মাওয়া ও জাজিরায় নির্মাণ ঘাঁটি স্থাপন এবং মাওয়া সংযোগ সড়কের ক্রয় প্রস্তাব অচিরেই নির্দিষ্ট হবে।
মুহিত বলেন, ‘৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের মূল সেতু ও নদী শাসনের কাজটি সারাবিশ্বে শুধু কয়েকজন ঠিকাদারই করতে সক্ষম। এ জন্য পূর্ব-নির্বাচিত এসব ঠিকাদারদের প্রস্তাব অতিসত্বরই আমরা আহ্বান করছি। তাই আমি মনে করি যে এই দুই কাজের জন্য চুক্তি সম্পাদন সরকারের বর্তমান মেয়াদকালেই সম্ভব হবে।’
©somewhere in net ltd.