| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফারহানা শারমিন
অতি সাধারন পরিবারের সাধারন একটি মেয়ে। জাহাঙ্গিরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরকার ও রাজনীতি বিভাগ এর উপর মাস্টার্স করেছি। একটি এনজিও তে ছোট চাকরী করছি। রিসার্চ এসিস্টেন্ট পদে।
আমরা অনেকেই জানিনা বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলা কবি কে ছিলেন? গবেষকদের মতে বাংলাসাহিত্যের ইতিহাসে আজ অবধী, প্রথম বাঙ্গালী মহিলা কবির নাম চন্দ্রাবতী। তাঁর সময়কাল খ্রীষ্টিয় ১৫৫০-১৬০০। তাঁর পিতা, ‘মন্নসা মঙ্গল’ কাব্যের অন্যতম রচয়িতা দ্বিজবংশী দাশ এবং মা সুলোচনা দেবী। ধারনা করা হয়, কবি চন্দ্রবতীর জন্ম ষোড়শ শতকে। বাড়ি কিশোরগঞ্জের নীল গঞ্জের পাতুয়াইর গ্রামে।কিশোরগঞ্জ শহর থেকে উত্তর পূর্ব দিয়ে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে ওই গ্রাম। আর ঈশা খার স্মৃতি বিজরিত জঙ্গঁলবাড়ি অঞ্চলের পাতুয়াইর এলাকার ‘কাচারি পাড়া গ্রামে ফুলেশ্বরী নদীর তীরে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে চন্দ্রাবতীর শিব মন্দির। চন্দ্রাবতীর রচনাণ্ডলোর মধ্যে মলুয়া, দস্যু কেনারামের পালা ও রামায়ন কথা (অসমাপ্ত) অন্যতম।
নারায়ন ঘোষের বর্ণনা থেকে জানা যায়, কবি চন্দ্রাবতী একদিকে যেমন ছিলেন সাহিত্য প্রতিভা দীপ্ত, অন্যদিকে তেমনি ছিলেন অসম্ভব রূপবতী ও রোমান্টিক মনের অধিকারিনী চন্দ্রাবতী রচিত অন্যতম পালাণ্ডলো, সাহিত্যণ্ডলো ময়মনসিংহ গীতিকায় স্থান পেয়েছে।
চন্দ্রাবতী রচিত পালাগান ণ্ডলো যতনা লোকের মুখেমুখে প্রচারিত, বৃহত্তর ময়মনসিংহের মানুষদের মুখে তার চেয়ে বেশী জনপ্রিয় ও প্রচারিত চন্দ্রবতীর নিজস্ব বিরহাত্নক জীবন কাহিনী।
নয়নঘোষ প্রনীত পালাগান ‘চন্দ্রাবতী’ থেকে জানা যায় চন্দ্রবতীর গ্রন্থে বিয়ের কথা ছিলো ছোট বেলার সাথী ব্রাহ্মনযুবক জয়ানন্দের। কবির ভাষায় “তোমারে দেখিব আমি নয়ন ভরিয়া/ তোমারে লইব আমি হৃদয়ে তুলিয়া। কিন্তু জয়ানন্দ বিশ্বাসঘাতকতা করে ধর্মান্তরিত হয়ে কমলা নামে এক মুসলিম রমনীকে বিয়ে করেন। এ ঘটনায় চন্দ্রাবতী অত্যন্ত মর্মাহত হয়ে পিতার কাছে দু’টি প্রার্থনা করেন। একটি ফুলেশ্বরী নদী তীরে একটি শিবমন্দির প্রতিষ্ঠা করা অন্যটি চিরকুমারী থাকা। স্নেহময় পিতা কন্যার দু’টো প্রার্থনাই মঞ্জুর করছিলেন। কবির ভাষায়-
‘অনুমতি দিয়া পিতা কয় কন্যায় স্থানে
শিব পূজা কর আর লেখ রামায়নে।’
এভাবেই চন্দ্রাবতীর শিব মন্দিরটি নির্মিত হয় এবং ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আজো চন্দ্রাবতীর স্মৃতি মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে।
পরবর্তীতে জয়ানন্দ অনুশোচিত হয়ে ফিরে আসেন চন্দ্রাবতীর কাছে। কিন্তু চন্দ্রাবতী তাকে প্রত্যাখ্যান করার পর জয়ানন্দ বেদনাহত হয়ে ফুলেশ্বরীতে আত্মাহতি দেন।
সেই ফুলেশ্বরী নদী আজ কালের গর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে। কিন্তু শিবমন্দিরটি চন্দ্রাবতীর বেদনাবিধুর স্মৃতি নিয়ে আজো টিকে আছে।
১৯৬৬ সালে ময়মনসিংহের কবি চন্দ্রকুমার দে চন্দ্রাবতীর রচিত পালাগান অথবা
গাথাঁণ্ডলি সংগ্রহ করেছিলেন। আচার্য দীনেশচন্দ্র সেনের উৎসাহে ময়মনসিংহ গীতিকা তা পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে প্রকাশিত হয়। সে সঙ্গে তারা পান চন্দ্রাবতীর লেখা রামায়ন কথা এবং আরও একাধিক পালা। সবণ্ডলো পালা ময়মনসিংহ গীতিকায় নামেই পরিচিত লাভ করে। চন্দ্রাবতীর রামায়নকে অনেকে অসমাপ্ত এবং দুর্বল সাহিত্য রচনা বলে মনে করতো। শ্রদ্ধেয়া সাহিত্যিক নবনিতা দেব সেন এই রামায়ন কথা পাঠ করে বিস্মিত হয়ে বলেছিলেন যে এ রচনাটি দুর্বল তো নয়ই এটি অসমাপ্তও নয়। এ রচনাটিতে রামের জয়গান না করে একজন নারীর দু:খ ও দুর্দশাকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। যা তৎকালীন পুরুষশাষিত সমাজের বিরুদ্ধাচারন হিসিবেও মনে করা যেতে পারে। শ্রীমতি সেন চন্দ্রাবতী রচিত রামায়নের ইংরেজী অনুবাদ করেছেন।
সুত্রঃ শ্রাবণী এবং দি যোগাযোগ ওয়েবসাইট।
২|
২৬ শে মে, ২০১২ রাত ২:৪৯
ফারহানা শারমিন বলেছেন: ধন্যবাদ ৪০৪। ৪২০ এর কথা শুনেছি আগে। এই ৪০৪ টা আবার কি জিনিশ?
৩|
৩০ শে মে, ২০১২ রাত ৩:৩৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। স্বাগতম ব্লগে।
৪|
২১ শে জুন, ২০১২ সকাল ৯:২৫
এস এম ফারুক হোসেন বলেছেন: ব্লগে স্বাগতম +++
৫|
১৬ ই জুলাই, ২০১২ বিকাল ৫:১৭
শব্দহীন জোছনা বলেছেন:
ব্লগের প্রথম পোস্ট টাই অনেক ভাল একটা টপিক নিয়ে। সুন্দর হোক ব্লগিং চর্চা...
পরথমে লিখিল পত্র চন্দ্রার গোচরে |
পুষ্পপাতে লেখে পত্র আড়াই অক্ষরে ||
পত্র লেখে জয়ানন্দ মনের যত কথা |
"নিতি নিতি তোলা ফুলে তোমার মালা গাঁথা ||
............প্রেম-লিপি
.............চন্দ্রাবতী(বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলা কবি)
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে মে, ২০১২ রাত ২:৪৩
৪০৪ পাওয়া যায়নি বলেছেন: দারুণ লাগলো। +++ ব্লগে স্বাগতম।