নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।
সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর, আর আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের মধ্যে আমির।কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে বিরোধ দেখাদিলে উহা উপস্থাপিত কর আল্লাহ ও রাসুলের নিকট। ওটা উত্তম এবং পরিনামে ভাল।
সহিহ মুসলিম, ৪৬১৪ নং হাদিসের (কিতাবুল ইমারাহ) অনুবাদ-
৪৬১৪। আবু হুরায়রা (রা.) সূত্রে নবি করিম (সা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে ব্যক্তি আমার আনুগত্য করল, সে আল্লাহর আনুগত্য করল। আর যে ব্যক্তি আমার অবাধ্যতা করল সে আল্লাহর অবাধ্যতা করল। যে ব্যক্তি আমিরের আনুগত্য করে সে আমারই আনুগত্য করল। আর যে ব্যক্তি আমিরের অবাধ্যতা করল সে আমারই অবাধ্যতা করল।
সহিহ মুসলিম, ৪৪৫৬ নং হাদিসের (কিতাবুল জিহাদ) অনুবাদ-
৪৪৫৬। হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি তার আমিরের মধ্যে এমন কোন ব্যাপার দেখে, যা সে অপছন্দকরে তবে সে যেন ধৈর্য্য অবলম্বন করে। কেননা, যে লোক জামায়াত থেকে কিঞ্চিত পরিমাণ সরে গেল এবং এ অবস্থায় মৃত্যুবরণ করল সে জাহেলিয়াতের মুত্যুই বরণ করল।
মেশকাত ২২৪ নং হাদিসের (ইলম অধ্যায়) অনুবাদ-
২২৪। হযরত আওফ ইবনে মালেক আশজায়ী (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, স্বয়ং আমির অথবা আমীরের পক্ষ থেকে নির্দেশ প্রাপ্ত ব্যক্তি অথবা কোন অহংকারী ব্যতীত অপর কেউ ওয়াজ করতে পারে না।
* সংগত কারণে মুসলিম জাতির অনুসরনের জন্য কোন পুস্তক প্রস্তুত করলে তাতে আমিরের অনুমোদন প্রয়োজন হবে। মাওলানা জালাল উদ্দিন রুমী যখন মসনবি শরীফ প্রস্তুত করেন তখন আব্বাসীয় আমির ছিলেন। কিন্তু মাওলানা জালাল উদ্দিন রুমী তাঁর লিখিত মসনবী শরীফে আমিরের অনুমোদন না নিয়ে তা’ মুসলিম জাতির অনুসরনের জন্য প্রচার করেন। সুতরাং তাঁর কিতাব মুসলিম জাতির অনুসরনযোগ্য হয়নি। আর তাঁর এ অকাজের জন্য তিনি হাদিস অনুযায়ী অহংকারী সাব্যস্ত হয়েছেন। আর কোন অহংকারী মুসলিম জাতির অনুসরনীয় নয়।
সূরাঃ ২ বাকারা, ৩৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩৪। আর যখন আমি ফেরেশতাগণকে বলেছিলাম, তোমরা আদমকে সিজদা কর, তখন ইবলিশ ছাড়া সবাই সিজদা করেছিল; সে অমান্য করল ও অহংকার করল।সুতরাং সে কাফেরদের অন্তর্ভূক্ত হয়েগেল।
* অহংকারী শয়তানের দলের লোক। সুতরাং কোন অহংকারী মুসলিম জাতির অনুসরন যোগ্য হতে পারে না।
সূরাঃ ৩৫ ফাতির, ২৮ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৮। এভাবে রং বেরং- এর মানুষ, জন্তু ও আন’আম রয়েছে। নিশ্চয়ই আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে আলেমরাই তাঁকে ভয় করে।নিশ্চয়্ই আল্লাহ পরাক্রমশালী ক্ষমাশীল।
সূরাঃ ২৯ আনকাবুত, ৪৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪৩।এসব দৃষ্টান্ত আমি মানুষের জন্য পেশ করে থাকি, যেগুলো কেবল আলেমরাই বুঝে থাকে।
সহিহ আবু দাউদ, ৩৬০২ নং হাদিসের (জ্ঞান-বিজ্ঞান অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৬০২। কাছীর ইবনে কায়েস (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আমি দামেশকের মসজিদে আবু দারদার (রা.) কাছে বসে ছিলাম। এ সময় এক ব্যক্তি এসে বলে, হে আবু দারদা (রা.) আমি রাসূলুল্লাহর (সা.) শহর মদীনা থেকে আপনার কাছে একটা হাদিস শোনার জন্য এসেছি। আমি জানতে পেরেছি আপনি উক্ত হাদিসটি রাসূলুল্লাহ (সা.) হতে বর্ণনা করেন। এছাড়া আর কোন কারণে আমি এখানে আসিনি। তখন আবু দারদা (রা.) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.) বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি ইলম অর্জনের জন্য কোন পথ অতিক্রম করে, আল্লাহ তাকে জান্নাতের পথসমূহের একটি পথ অতিক্রম করান। আর ফেরেশতারা ত্বলেবে এলেম বা জ্ঞান অন্বেষণকারীর জন্য তাদের ডানা বিছিয়ে দেন এবং আলেমের জন্য আসমান ও জমিনের সব কিছুই ক্ষমা প্রার্থনা করে, এমনকি পানিতে বসবাসকারী মাছও তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। আর আবেদের উপর আলেমের ফজিলত এরূপ যেমন পূর্ণিমার রাতে চাঁদের ফজিলত সকল তারকা রাজির উপর। আর আলেমগণ হলেন নবিদের ওয়ারিছ এবং নবিগণ দীনার ও দিরহাম মীরাছ হিসেবে রেখে যান না; বরং তাঁরা রেখে যান ইলম।কাজেই যে ব্যক্তি ইলম অর্জন করল সে প্রচুর সম্পদের মালিক হলো।
সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।
মুসনাদে আহমদ, ২০৩৩৫ নং হাদিসের অনুবাদ-
২০৩৩৫। হযরত আবু যার গিফারী (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একদিন নবির (সা.) নিকট উপস্থিত ছিলাম এবং আমি তাঁকে বলতে শুনেছি, এমন কিছু রয়েছে যেটির ব্যাপারে আমি আমার উম্মতের জন্য দাজ্জালের অপেক্ষাও অধিক ভয় করি। তখন আমি ভীত হয়ে পড়লাম, তাই আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (সা.)! এটি কোন জিনিস, যার ব্যাপারে আপনি আপনার উম্মতের জন্য দাজ্জালের চাইতেও বেশী ভয় করেন? তিনি (সা.) বললেন, পথভ্রষ্ট আলেমগণ।
* কোরআন ও হাদিস অনুযায়ী আলেমগণের সর্ববৃহৎ দল হেদায়াত প্রাপ্ত ও সঠিক। সুতরাং তাঁদের সাথে মতভেদকারী আলেম হলো পথভ্রষ্ট আলেম। এসব আলেম দিয়ে শয়তান মুসলিম জাতিকে বিপথে পরিচালিত করে। এসব আলেম অনেক বড় আলেমের মানে হলো এরা অনেক বড় পথভ্রষ্ট আলেম।
সহিহ আল বোখারী, ৩৪৪২ নং হাদিসের (আম্বিয়া কিরাম অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৪৪২। হযরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত। যখন অভাব অনটন দেখা দিত তখন ওমর ইবনে খাত্তাব (রা.) আব্বাস ইবনে আব্দুল মুত্তালিবের উছিলায় বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করতেন। তিনি বলতেন হে মাবুদ! আমরা আমাদের নবির (সা.) উছিলায় তোমার নিকট প্রার্থনা করতাম যে, তুমি আমাদের উপর বৃষ্টি বর্ষণ কর তখন প্রবল বর্ষণ করতে। এখন আমরা আমাদের নবির চাচা আব্বাসের (রা.) উছিলায় প্রার্থনা করছি। তুমি আমাদের উপর বৃষ্টি বর্ষণ কর। তখন ভারী বর্ষণ শুরু হত।
* উছিলায় হযরত আব্বাস (রা.) ছিলেন মহানবির (সা.) ধারাবাহিক ব্যক্তি এবং তাঁর বংশের খলিফাগণ ছিলেন মহানবির (সা.) ধারাবাহিক ইসলামী নেতা।
সহিহ তিরমিযী, ৩৭০১ নং হাদিসের [ রাসূলুল্লাহ (সা.) ও তাঁর সাহাবীগণের মর্যাদা অধ্যায়] অনুবাদ-
৩৭০১। হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) আল আব্বাসকে (রা.) বললেন, আগামী সোমবার আপনি আমার কাছে আসবেন এবং আপনার সন্তানদেরকেও সাথে নিয়ে আসবেন। আমি আপনার জন্য এবং আপনার সন্তানদের জন্য একটি দোয়া করব, যার দরুন আল্লাহ আপনাকেও উপকৃত করবেন এবং আপনার সন্তানদেরও। সকালে তিনি গেলেন এবং আমরাও তাঁর সাথে গেলাম। তিনি আমাদের গায়ে একখানা চাদর জড়িয়ে দিলেন, এরপর বলেন, হে আল্লাহ আল আব্বাস ও তাঁর সন্তানদের বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ উভয়দিক থেকে এমনভাবে মাফ করে দিন, যার পর তাদের আন কোন অপরাধ বাকি না থাকে। হে আল্লাহ তাঁকে তাঁর সন্তানদের অধিকার পূরণের তৌফিক দিন।
রাযীন এ বাক্যটি অতিরিক্ত বলেছেন, খেলাফত এবং রাজত্ব তার সন্তানদের মধ্যে বহাল রাখ- মেশকাত ৫৮৯৮ নং হাদিস।
* আব্বাসীয়গণ মহানবির (সা.) দোয়ায় খলিফা হওয়ায় তারা মুসলিম বিশ্ব আমির হিসেবে সঠিক ছিলেন। সুতরাং আব্বাসীয় খলিফার অনুমোদন বিহীন পুস্তক মুসলিম জাতির অনুসরনের জন্য ছেড়ে দিয়ে মাওলানা জালাল উদ্দিন রুমী সঠিককাজ করেননি। তাঁর পুস্তকের যে সব বিষয়ে আলেমগণের সর্ববৃহৎ দল একমত নন, মুসলিম জাতি অবশ্যই সেসব বিষয় পরিহার করবে।
সূরাঃ ১১ হুদ, ৬৯ নং থেকে ৭৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬৯। আমার ফিরিশতাগণ তো সুসংবাদ নিয়ে ইব্রাহীমের নিকট এসেছিল। তারা বলল, সালাম, সেও বলল, সালাম।সে অবিলমন্বে এক কাবাবকৃত গো-বৎস নিয়ে আসলো।
৭০। সে যখন দেখলো তাদের হাত এর দিকে প্রসারিত হচ্ছে না, তখন সে তাদেরকে অবাঞ্চিত মনে করলো এবং তাদের সম্বন্ধে তার মনে ভীতি সঞ্চার হলো। তারা বলল, ভয় করবে না, আমরা তো লুতের সম্প্রদায়ের প্রতি প্রেরিত হয়েছি।
৭১। তার স্ত্রী দন্ডায়মান ছিল। অতঃপর সে হেসে ফেলল। অতঃপর আমি তাকে ইসহাকের এবং তার পরবর্তী ইয়াকুবের সুসংবাদ দিলাম।
৭২। সে বলল, কি আশ্চর্য! সন্তানের জননী হব আমি? যখন আমি বৃদ্ধা এবং আমার স্বামী বৃদ্ধ! এটা অবশ্যই এক অদ্ভুত ব্যাপার!
৭৩। তারা বলল আল্লাহর কাজে তুমি বিস্ময় বোধ করতেছ? হে আহলে বাইত তোমাদের প্রতি রয়েছে আল্লাহর রহমত ও বরকত । তিনিতো প্রশংসিত সম্মানিত।
সূরাঃ ৩৩ আহযাব, ৩২ নং ও ৩৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩২। হে নবী পত্নিগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও। যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় কর তবে পর পুরুষের সহিত কোমল কন্ঠে এমনভাবে কথা বলবে না, যাতে অন্তরে যার ব্যাধী আছে, সে প্রলুব্ধ হয়। আর তোমরা ন্যায় সঙ্গত কথা বলবে।
৩৩। আর তোমরা নিজগৃহে অবস্থান করবে এবং প্রচীন যুগের মত নিজদিগকে প্রদর্শন করে বেড়াবে না।তোমরা সালাত কায়েম করবে ও যাকাত প্রদান করবে। আর আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অনুগত থাকবে। হে আহলে বাইত (নবি পরিবার)! নিশ্চয়ই আল্লাহ চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদেরকে সম্পূর্ণরূপে পবিত্র করতে।
# সূরাঃ ৩৩ আহযাব, ৩৩ নং আয়াতের তাফসির তাফসিরে ইবনে কাছির
৩৩। আহলাল বাইত আয়াতাংশ বিষয়ে ইকরিমা (রা.) বাজারে বাজারে বলে বেড়াতেন এ আয়াত রাসূলুল্লাহর (সা.) স্ত্রীদের জন্য বিশেষভাবে নাযিল হয়েছে। ইবনে আবী হাতিম (র.) বলেছেন আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাসও (রা.) এ কথা বলেছেন।
ইবনে জারীর (র.) বর্ণনা করেন, সাফিয়াহ বিনতে শাইবাহ (র.) বলেন, আয়েশা (রা.) বলেছেন, একদা ভোরে রাসূলুল্লাহ (সা.) উটের চুলের তৈরী একটি ডোরাকাটা চাদর গায়ে জড়িয়ে বের হন। তখন তাঁর নিকট হাসান আসলে তিনি তাঁকে চাদরের মধ্যে জড়িয়েনেন। অতঃপর হুসাইন (রা.) তাঁর কাছে আসলে তাঁকেও তিনি চাদরে জড়িয়ে নেন। এরপর ফাতিমা (রা.) এলে তাঁকেও চাদরে জড়িয়ে নেন। অতঃপর আলী (রা.) তাঁর কাছে আসেন রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁকেও তাঁর চাদরে জড়িয়ে নেন। এরপর তিনি পাঠ করেন, আল্লাহতো শুধু চান তোমাদের হতে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদেরকে সম্পূর্ণরূপে পবিত্র করতে।
ইয়াজিদ ইবনে হিব্বান (র.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি হুসাইন ইবনে সাবরাহ (র.) এবং উমর ইবনে মুসলিম যাইদ ইবনে আরকামের (রা.) নিকট গমন করি। আমরা তাঁর কাছে বসলে হুসাইন (র.) তাঁকে বলেন, হে যাইদ (রা.) আপনি তো বহু কল্যাণ লাভ করেছেন। আপনি রাসূলুল্লাহকে (সা.) দেখেছেন, তাঁর হাদিস শুনেছেন, তাঁর সাথে যুদ্ধ করেছেন এবং তাঁর পিছনে সালাত আদায় করেছেন। সুতরাং হে যাইদ (রা.) আপনি বহু কল্যাণ ও মঙ্গল লাভ করেছেন। আপনি রাসূলুল্লাহর (সা.) নিকট থেকে যা শুনেছেন তা’ আমাদের নিকট বর্ণনা করুন। তিনি তখন বলেন, হে আমার ভাতিজা! আল্লাহর শপথ! এখন আমার বয়স খুব বেশী হয়ে গেছে, রাসূলুল্লাহর যামানা দূরে চলেগেছে, যা আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) থেকে শুনেছি তার কিছু কিছু ভুলেগেছি। এখন আমি তোমাকে যা বলি তাই কর এবং তা মেনে নাও। আর আমি যা বলতে ভুলে যাই তার জন্য মনে কষ্ট নিও না। শোন! মক্কা ও মদীনার মাঝখানে একটা পানির জায়গা রয়েছে যার নাম ‘খাম’। সেখানে রাসূলুল্লাহ (সা.) দাঁড়িয়ে আমাদের সামনে ভাষণ দেন। তিনি প্রথমে আল্লাহর প্রশংসা করেন, অতঃপর তিনি বলেন, আমি একজন মানুষ। অতি সত্ত্বর আমার রবের নিকট থেকে একজন দূত আগমন করবেন এবং আমি তাঁর ডাকে সাড়া দেব। আমি তোমাদের নিকট দু’টি বস্তু ছেড়ে যাচ্ছি। প্রথমটি হলো আল্লাহর কিতাব, যাতে হিদায়াত ও জ্যোতি রয়েছে। তোমরা আল্লাহর কিতাবকে দৃঢ়ভাবে ধারণ কর। অতঃপর তিনি আল্লাহর কিতাবের দিকে আমাদের দৃষ্টি পূর্ণভাবে আকর্ষণ করলেন। তারপর তিনি বললেন, আমার আহলে বাইতের ব্যাপারে আমি আল্লাহর কথা তোমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি। তিনি তিনবার এ কথা বললেন। তখন হুসাইন (র.) তাঁকে জিজ্ঞাস করলেন, হে যাইদ (রা.)! আহলে বাইত কারা? তাঁর স্ত্রীরা কি আহলে বাইতের অন্তর্ভূক্ত নন? উত্তরে তিনি বললেন, তাঁর স্ত্রীরাও আহলে বাইতের অন্তর্ভূক্ত বটে, তবে তাঁর আহাল তাঁরা যাদের উপর তা্ঁর মৃত্যুর পরে সাদাকাহ হারাম। আবার তিনি (হুসাইন) জিজ্ঞাস করলেন তারা কারা? জবাবে তিনি বললেন, তারা হলেন আলীর (রা.) বংশধর, আকীলের (রা.) বংশধর, জাফরের (রা.) বংশধর ও আব্বাসের (রা.) বংশধর। তাঁকে প্রশ্ন করা হলো, এদের সবার উপর কি সাদাকাহ হারাম? তিনি নউত্তর দিলেন, হ্যাঁ। (মুসলিম)।
* আয়াত ও তাফসির অনুযায়ী মহানবির (সা.) আহলে বাইত হলেন ১। মহানবি (সা.), তাঁর স্ত্রী, কন্যা ও পুত্রগণ ২। আলীর (রা.) বংশধরগণ ৩। আকীলের (রা.) বংশধরগণ ৪। জাফরের বংশধরগণ ৫। আব্বাসের (রা.) বংশধরগণ।
সহিহ তিরমিযী, ৩৭২৪ নং হাদিসের (আহলে বাইত এর মর্যাদা অধ্যায়) অনুবাদ-
হযরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.) তাঁর বিদায় হজ্জে আরাফাতের দিন তাঁর কাসওয়া নামক উষ্ট্রীতে আরোহণ অবস্থায় খোৎবা দিতে দেখেছি এবং তাঁকে বলতে শুনেছি, হে লোক সকল! অবশ্যই আমি তোমাদের মাঝে এমন জিনিস রেখে গেলাম, তোমরা তা’ ধারণ বা অনুসরন করলে কখনও গোমরাহ হবে না। আল্লাহর কিতাব এবং আমার ইতরাত (আহলে বাইত)।
সহিহ তিরমিযী, ৩৭২৬ নং হাদিসের (আহলে বাইত এর মর্যাদা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৭২৬। হযরত যায়েদ ইবনে আরকাম (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমি তোমাদের মাঝে এমন জিনিস রেখে গেলাম যা তোমরা শক্তভাবে ধারণ করলে আমার পরে কখনো গোমরা হবে না। তার একটি অপরটির চেয়ে চেয়ে অধিক মর্যাদা পূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহর কিতাব যা আসমান হতে জমিন পর্যন্ত প্রসারিত এবং আমার পরিবার (আহলে বাইত)।এ দু’টি কখনও পৃথক হবে না কাওসার নামক ঝর্ণায় আমার সাথে উপস্থিত না হওয়া পর্যন্ত। অতএব তোমরা লক্ষকর আমার পরে একদুভয়ের সাথে তোমরা কিরূপ আচরণ কর।
* সুতরাং মুসলিমজাতি আব্বাসীয় আহলে বাইতের অনুসারী হবে। তাঁদের অনুমোদন বিহীন কিতাব মসনবী ও এর লেখকের অনুসারী মুসলিমজাতি হবে না। আর মসনবী ও এর লেখকের কারণে কারো হেরাজমেন্টের দায় মুসলিম জাতি নিবে না।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৪৮
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ধর্মীয় অনেক কথাকে ধর্মহীনরা রূপকথা বলে থাকে। যদিও তাতে ধার্মিকের ঈমান টলে না।
২| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৫০
কামাল১৮ বলেছেন: যে শিরক করলো সে ইসলাম থেকে বাদ হয়ে গেলো।শিরক হলো আল্লাহর সাথে কাউকে যুক্ত করা।ইসলামী আকিদা মতে।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৫৬
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: এ পোষ্টের সাথে এ মন্তব্যের সংগতিটা একটু বুঝিয়ে দিবেন।
৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:০৫
রানার ব্লগ বলেছেন: একজন আধ্যাতিক লেখকের ভাষা বুঝতে হলে তাকে বারবার চর্চা করতে হবে।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:০৯
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আধ্যাতিক লেখকের আমিরের আনুগত্য লাগবে না, কোরআন ও হাদিস তো সেকথা বলেনি। ইসলাম কারো খেয়াল-খুশী নয়, বরং সু-শৃঙ্খল বিধানে চলে।
৪| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:১২
সোনাগাজী বলেছেন:
"আধ্যাত্মিক" একটি ভুল শব্দ; জীবনভাবনাই সঠিক শব্দ।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:২৪
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: "আধ্যাত্মিক" লোকেরা এমন কিছু বলে ও করে যা অনেকের নিকট গ্রহণযোগ্য নয়।
৫| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৪৫
কামাল১৮ বলেছেন: সহি মুসলিমের ৪৬১৪ নং হাদিস মতে,যে আমার অনুগত সে আল্লাহর অনুগত।এটা দ্বারা কি বুঝায়।এই হাদিসটি আপনি এই পোষ্টে উল্লেখ করেছেন।আমি ওয়াজে শুনেছি,আল্লাহ যখন কায়ায় তখন তিনি রাশুল আর যখন বতেনে থাকেন তখন তিনি আল্লাহ।ইউটিউবে খুঁজলে পাবেন।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৬:২৫
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ইউটিউব ইসলামের রেফারেন্স নয়।
৬| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৫৭
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনি কম্প্যুটারের লজিক ( কম্প্যুটার ম্যাথ, কম্প্যুটিং থিওরী ) নিয়ে কাজ করেন; তারপর গল্প করেন রুপকথাভিত্তিক!
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৬:২৭
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ধর্মহীন হওয়ার কারণে আপনি মুমিনের ঈমানকে রূপকথা বলেন। সুতরাং আপনার এমন বক্তব্যে কোন মুমিন একমত হবেন না।
৭| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:২৮
কানিজ রিনা বলেছেন: চাঁদগাজী কোনও দিন শায়েস্তা হবেনা হাজার ব্যান
খেয়েও। একটা কি জানেন? যার ধ্যান নেই,সে কাঁ
পুরুষ। ধ্যান ছারা আধ্যাতীকতা হয়না অর্থাৎ তৃতীয়
নয়ন খুলেনা। কোরআনই আধ্যাত্ববাদের আধাঁর।
কোরআনের জ্ঞানবিজ্ঞান অনুধাবন করাই তৃতীয় নয়ন
খোলা। (ধন্যবাদ)
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৬:৩২
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: তাঁর ঈমান বিরোধী মন্তব্য যে আসলে বেকার, এটা তিনি বুঝতে পারেন না।
৮| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৩:০৪
সোনাগাজী বলেছেন:
@কানিজ রিনা ,
আপনাকে ব্লগে দেখে ভালো লাগছে; কেমন আছেন?
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৬:৩২
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: অনেক দিন পর তাঁর উপস্থিতি টের পেয়ে ভালো লাগছে।
৯| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৭:১৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
মহান আল্লাহ সুবহানাতায়ালা ফেরেশতাদেরকে সিজদা করতে বলেছিলেন।
কিন্তু ঘটনাচক্রে আজাজিল শয়তান ফেরেস্তা ছিলেন না ।
সুতরাং আল্লাহর আদেশ অনুযায়ী তিনি সেজদা না করলেও কিন্তু আদেশ ভঙ্গকারী হবেন না ।
এছাড়া শয়তান আল্লাহকে ছাড়া অন্য কাউকে সেজদা করতে যাবে কেন ?
অন্যায় সব সময় অন্যায় ।
সেটা যদি একজন বিচারপতি ও আদেশ করেন তাহলে ও সেটা অন্যায়ই থেকে যাবে।
আফসোস!!
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আল্লাহর অনুগত্যের বিষয় আল্লাহ থেকে বেশী বুঝলে সমস্যা।
১০| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:০২
অহরহ বলেছেন: সোনাগাজী বলেছেন : দাজ্জাল হচ্ছে, ধর্মীয় রুপকথার চরিত্র।
লেখক বলেছেন: ধর্মীয় অনেক কথাকে ধর্মহীনরা রূপকথা বলে থাকে। যদিও তাতে ধার্মিকের ঈমান টলে না।
একদম ঠিক জাগতিক ভাইয়া : জান্নাতের খেজুর, আঙ্গুর, মধুর নহর এবং হুরপরীর লোভ কী এত সহজে ভুলা যায়??
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:০০
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: মুমিন হলো ঈমান ভিত্তিক জনগণ। তাদেরকে ঈমানের বাইরে কথা বলতে গেলে সমস্যা।
১১| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: মাওলানা জালাল উদ্দিন একজন গ্রেট ম্যান। তাকে আমি ভালা পাই।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৪৬
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ধর্মহীনরা কাকে ভালোবাসে মুমিন সেটা ভাবতে যাবে না।
১২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৩৩
নতুন বলেছেন: “We are born of love; Love is our mother.” ― Rumi
“Do not feel lonely, the entire universe is inside you.” ― Rumi
“You were born with wings, why prefer to crawl through life?” ― Rumi
“Everything that is made beautiful and fair and lovely is made for the eye of one who sees.” ― Rumi
“Don’t grieve. Anything you lose comes round in another form.” ― Rumi
“Yesterday I was clever, so I wanted to change the world. Today I am wise, so I am changing myself.” ― Rumi
রুমীকে বুঝতে না পারলে তো আর কিছুই বলার থাকেনা।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৪৭
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: রুমীকে বুঝতে পেরেই কি আপনি ধর্মহীন?
১৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:২৯
নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: রুমীকে বুঝতে পেরেই কি আপনি ধর্মহীন?
দুনিয়াতে অনেক ধান্দাবাজি আছে। ধর্মের ধান্দাবাজী আপনি এখনো বুঝতে পারেন নাই।
অবশ্য সবাই সব কিছু বুঝতে পারেনা।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৬
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: রুমীর মসনবী আমাদের ঘরে ছিলো। ওটা কোরআনের মগজ বলে আমার মনে হয়নি। আর সেজন্য আমি ধর্মহীন হইনি।
১৪| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৫৫
রানার ব্লগ বলেছেন: লেখক বলেছেন: আধ্যাতিক লেখকের আমিরের আনুগত্য লাগবে না, কোরআন ও হাদিস তো সেকথা বলেনি। ইসলাম কারো খেয়াল-খুশী নয়, বরং সু-শৃঙ্খল বিধানে চলে।
ধর্ম সৃষ্টিকর্তা ব্যতীত অন্যকারো আনুগত্যের আদেশ করে নাই । এখন যারা নিজেদের আয় রোজগার বাড়াবার জন্য আনুগত্য ফানুগত্যের কথা বলে তারা ভুল পথে ধাবমান । রুমী কি তার আনুগত্যের কথা বলেছেন ?
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:০৭
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: তিনি বলুন অথবা না বলুন। তাঁর অনুসরন ইসলাম নয়। অনেকে অনেক কথায় তাঁর কথার রেফারেন্স টানে সেজন্যই এ পোষ্ট দেওয়া হয়েছে। পোষ্টের ছবিতে তাঁর কথার রেফারেন্স দিয়ে একটা কথা বলা হয়েছে। যাতে দাবী করা হয়েছে তাঁর কিতাব কোরআনের মগজ। কিন্তু তাঁর পুস্তক পড়ে আমার এটাকে কোরআনের মগজ মনে হয়নি। আর তাঁর রেফারেন্স দিয়ে আলেমগণকে জঘণ্যভাবে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। অথচ আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল (সা) আলেমগণের অনেক সুনাম করেছেন। সুতরাং আলেমগণের সুনামটাই ইসলাম হিসাবে বিবেচিত হবে। এখানে রুমীর নামে চালানো কথা ইসলামের সাথে সাংঘর্সিক বিধায় এটা বাতিল সাব্যস্ত হবে।
১৫| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮
রানার ব্লগ বলেছেন: লেখক বলেছেন: তিনি বলুন অথবা না বলুন। তাঁর অনুসরন ইসলাম নয়। অনেকে অনেক কথায় তাঁর কথার রেফারেন্স টানে সেজন্যই এ পোষ্ট দেওয়া হয়েছে। পোষ্টের ছবিতে তাঁর কথার রেফারেন্স দিয়ে একটা কথা বলা হয়েছে।
তিনি একজন কবি। তার লেখায় ধর্মীয় বিষয়ের আধ্যাতিকতা ফুটে উঠেছে । কেউ যদি এটা রেফারেন্স হিশাবে ব্যবহার করে দোষ রুমির না দোষ তার যে রেফারেন্স দিচ্ছে ।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:০৫
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সেই আতি উৎসাহিতদের জন্যই এ পোষ্ট। আর তা’ হলো তাঁর নামে যা খুশী চাই মুমিনদের মাঝে চালিয়ে দেওয়া যাবে না।
১৬| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৪২
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: আলেমগণকে কুকুরের সাথে তুলনা করা ঠিক হয়নি।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:০৬
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: এটা এক জঘণ্য উক্তি। যদি এ উক্তি মাওলানা রুমীর হয়ে থাকে তবে আমি তাঁকে ঘৃণা করি।
১৭| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:২২
নতুন বলেছেন: একটা বিষয় খটকা লাগছে সেটা হইলো। আলেমদের সে কুকুরের সাথে তুলনা করার কথা না।
এটা কই পাইলেন? এটা কি সত্যিই তার কথা?
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৫০
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: তাঁর অতি ভক্ত কুল তাঁর নামে এসব প্রচার করে। কথা সত্য হলে আমি তাঁকে তীব্র ঘৃণাকরি।
১৮| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৪২
মায়াস্পর্শ বলেছেন: আপনার লেখা পড়লাম । বেশ ভালো লিখেছেন । মজা লাগে মন্তব্য পড়ে। ধর্মহীনরা দারুন দারুন মন্তব্য করে থাকে , যা দেখে নিতান্তই হাসি পায়। ধর্মীয় বিষয়ে কোনো মন্তব্য আমি করিনা , ধর্ম প্রতিষ্ঠার এতো সময় পর আসলে ধর্মের ভিত্তি নিয়ে যারা মন্তব্য করে তারা কোনো কারণে আঘাত প্রাপ্ত যা তার পরিপার্শের দ্বারা বা কোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনার দ্বারা ,যেখানে ধর্মের কোনো হস্তক্ষেপ ছিল না কখনোই।
আপনি আরো লিখবেন এরকম পোস্ট। শুভকামনা রইলো।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৫১
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ধর্মহীনদের মতবাদের মূলত কোন ভিত্তি নািই। সেজন্য মানব জাতির মধ্যে তারা খুব একটা সুবিধা করতে পারে না।
১৯| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:২৫
নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধর্মহীনদের মতবাদের মূলত কোন ভিত্তি নািই। সেজন্য মানব জাতির মধ্যে তারা খুব একটা সুবিধা করতে পারে না।
ধর্মের মুল ভিক্তি হইলো একজন মানুষের মুখের কথা। কিছু মানুষ বিশ্বাস করে নিয়েছে বাকীরা অন্ধ অনুসরন করছে মাত্র।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৪০
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ধর্মহীনদের মতবাদও মানুষের মুখের কথাই। তাদের অনুসারীরাও মুখের কথারই অন্ধ অনুসারী।
২০| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৫৯
সমূদ্র সফেন বলেছেন: ইতিহাসে মাওলানা জালাল উদ্দিন রুমী আব্বাসীয় আমিরের অনুমোদন নিয়েছিলেন কিনা তার স্পষ্ট প্রমাণ নেই।
তবে, রুমী ছিলেন একজন সম্মানিত আলেম এবং তাঁর সময়ের সুলতানদের সাথে তাঁর ভালো সম্পর্ক ছিল।মুসলিম জাতির অনুসরণের জন্য কোন পুস্তক প্রস্তুত করলে তাতে আমিরের অনুমোদন প্রয়োজন কিনা।
[মাওলানা জালাল উদ্দিন রুমী কি আব্বাসীয় আমিরের অনুমোদন নিয়েছিলেন।
" মসনবী শরীফ" কি মুসলিম জাতির অনুসরণযোগ্য।
"মসনবী শরীফ" এর লেখক কি "অহংকারী"।
"মসনবী শরীফ" এর লেখকের কারণে কারো হেরাজমেন্টের দায় মুসলিম জাতি কি নিবে।
উত্তর:
১. আমিরের অনুমোদন:
সংগত কারণে মুসলিম জাতির অনুসরণের জন্য প্রস্তুতকৃত পুস্তকে আমিরের অনুমোদন প্রয়োজন।
তবে, সকল আলেমের একমত (ইজমা) থাকলে আমিরের অনুমোদন ছাড়াই পুস্তক অনুসরণযোগ্য হতে পারে।
২. মাওলানা জালাল উদ্দিন রুমীর অনুমোদন:
৩. "মসনবী শরীফ" এর অনুসরণযোগ্যতা:
"মসনবী শরীফ" সুফিবাদের একটি বিখ্যাত গ্রন্থ।
সকল আলেম এটি সম্পর্কে একমত নন।
কিছু আলেম এটিকে অনুসরণযোগ্য মনে করেন, আবার কিছু আলেম এটি সম্পর্কে সমালোচনামূলক।
"মসনবী শরীফ" এ ইসলামের কিছু মৌলিক বিষয়ের ব্যাখ্যা রুমীর নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেওয়া হয়েছে।
সকল মুসলিমকে অবশ্যই "মসনবী শরীফ" এর সকল বিষয় মেনে চলতে হবে, এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই।
৪. "মসনবী শরীফ" এর লেখকের "অহংকারী":
"মসনবী শরীফ" এর লেখক মাওলানা জালাল উদ্দিন রুমী একজন বিখ্যাত আলেম ও সুফি ছিলেন।
তাঁর জ্ঞান ও তাকওয়ার জন্য তিনি সম্মানিত ছিলেন।
তবে, কিছু সমালোচক তাঁর কিছু লেখার ব্যাখ্যা "অহংকার" হিসেবে ব্যাখ্যা করে থাকেন।
রুমীর লেখার ব্যাখ্যা নিয়ে আলেমদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৪৫
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: রুমীর ভক্তবৃন্দ মসনবীকে কোরআনের মতই অনুসরনীয় মনে করে। আমি এটা পড়েছি। আমার নিকট এটা আহামরি কিছু মনে হয়নি।
২১| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:০২
সমূদ্র সফেন বলেছেন: মসনবী শরীফ, মাওলানা জালাল উদ্দিন রুমী রচিত একটি বিখ্যাত সুফি কবিতা, যা ইসলামী রহস্যবাদ ও ধর্মীয় দর্শনের একটি গুরুত্বপূর্ণ রচনা।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৪৬
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কিছু লোকের নিকট এর অনেক গুরুত্ব থাকলেও ঘটনা আসলে সেরকম কিছু নয়।
২২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:০৪
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আপনি নিজেই একজন মওলানা হয়ে আবার অন্য মওলানার বিরুদ্ধে লাগছেন কেন?
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৩৯
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: মুসলিম ৭৩ দলে বিভক্ত হওয়ার পিছনে মাওলানাদের অবদান আছে। কেউ নিজের ঢোল পিটালে তার বিরোধীতা করা লাগে। আপনি যদি বলেন, আমি জ্যাক! আমি যা বলি এটা সঠিক। তারপর আপনি বললেন, সৃষ্টিকর্তা বলতে কিছু নাই। তাহলে মুমিনগণ আপনার কথা বিশ্বাস করবে কি? মাওলানা রুমী এমন অনেক কথা বলেছেন, যা তাঁর নিজস্ব মত। তাঁর সেসব মত ইসলামের রিপ্রেজেন্ট করে না বলে অন্যদের অভিমত। আমি সেটাই বলতে চেয়েছি।
২৩| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৪:৪৮
চারাগাছ বলেছেন:
সুফীবাদে আমিও আগ্রহী।
মাওলানা রুমীকে চর্চা আর ইসলাম চর্চা একজিনিস নয়।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৩৯
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ঠিক বলেছেন। পোষ্টের বক্তব্য এটাই।
২৪| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধর্মহীনরা কাকে ভালোবাসে মুমিন সেটা ভাবতে যাবে না।
মুমিনের চিন্তা ভাবনা করার ক্ষমতা সীমিত।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৪১
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: মুমিনদের চিন্তা ভাবনা সীমিত হলেও তাতেই তারা সন্তুষ্ট। সসীম মানুষের অসীম ভাবনার সময় কই?
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৪২
সোনাগাজী বলেছেন:
দাজ্জাল হচ্ছে, ধর্মীয় রুপকথার চরিত্র।