নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানব মঙ্গল আমার একান্ত কাম্য

মহাজাগতিক চিন্তা

একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।

মহাজাগতিক চিন্তা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আলেমগণের সর্ববৃহৎ দলের সাথে মতভেদ পরিহার না করলে মুসলিম আল্লাহর গজব থেকে রক্ষা পাবে না

১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:০২



সূরাঃ ৯ তাওবা, ১১৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
১১৯। হে মুমিনগণ! আল্লাহকে ভয় কর এবং সাদেকীনদের (সত্যবাদী) সাথে থাক।

* আল্লাহ সাদেকীনদের সাথে থাকতে বলেছেন। কারা সাদেকীন?

সূরাঃ ৫৩ নাজম, ৩ নং ও ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। আর সে মনগড়া কথা বলে না।
৪। এটাতো ওহি যা তারপ্রতি ওহি হিসেবেই পাঠানো হয়।

সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।

সূরাঃ ৪৮ ফাতহ, ২৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৯। মোহাম্মাদ আল্লাহর রাসুল; তাঁর সহচরগণ কাফিরদের প্রতি কঠোর এবং নিজেদের মধ্যে পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল; আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনায় তুমি তাদেরকে রুকু ও সিজদায় অবনত দেখবে।তাদের লক্ষণ তাদের মুখমন্ডলে সিজদার প্রভাব পরিস্ফুট থাকবে: তওরাতে তাদের বর্ণনা এরূপ এবং ইঞ্জিলেও তাদের বর্ণনা এরূপই। তাদের দৃষ্টান্ত একটি চারা গাছ, যা থেকে নির্গত হয় নতুন পাতা, অতঃপর ইহা শক্ত ও পুষ্ট হয় এবং পরে কান্ডের উপর দাঁড়ায় দৃঢ়ভাবে যা চাষীদের জন্য আনন্দ দায়ক। এভাবে মুমিনদের সমৃদ্ধি দ্বারা আল্লাহ কাফিরদের অন্তর্জালা সৃষ্টি করেন। যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে আল্লাহ তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ক্ষমা ও মহাপুরস্কারের।

সূরাঃ ৯ তাওবা, ১০০ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০০। মুহাজির ও আনসারদের মধ্যে যারা প্রথম অগ্রগামী এবং যারা ইহসানের সাথে তাদের অনুসরনের কাজ করে, আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট, আর তারাও তাঁর প্রতি সন্তষ্ট।তিনি তাঁদের প্রতি প্রস্তুত রেখেছেন জান্নাত, যার নিম্নদেশে নদী প্রবাহিত, যেথায় তারা চিরস্থায়ী থাকবে। এটা মহাসাফল্য।

সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।

সহিহ তিরমিযী, ৩৭০১নং হাদিসের [রাসূলুল্লাহ (সা.) ও তাঁর সাহাবীগণের মর্যাদা অধ্যায়] অনুবাদ-
৩৭০১।হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) আলআব্বাসকে (রা.) বললেন, আগামী সোমবার আপনি আমার কাছে আসবেন এবং আপনার সন্তানদেরকেও সাথেনিয়ে আসবেন।আমি আপনার জন্য এবং আপনার সন্তানদের জন্য একটি দোয়া করব, যার দরুন আল্লাহ আপনাকেও উপকৃত করবেন এবং আপনার সন্তানদেরও।সকালে তিনি গেলেন এবং আমরাও তাঁর সাথে গেলাম।তিনি আমাদের গায়ে একখানা চাদর জড়িয়ে দিলেন, এরপর বলেন, হে আল্লাহ! আল আব্বাস ও তাঁর সন্তানদের বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ উভয় দিক থেকে এমনভাবে মাফ করেদিন, যারপর তাদের আর কোন অপরাধ বাকি না থাকে।হে আল্লাহ! তাঁকে তাঁর সন্তানদের অধিকার পূরণের তৌফিক দিন।

রাযীন এবাক্যটি অতিরিক্ত বলেছেন, খেলাফত এবং রাজত্ব তার সন্তানদের মধ্যে বহাল রাখ-মেশকাত ৫৮৯৮ নং হাদিস।

* সাদেক রাসূলের (সা.) পর তাঁর সাহাবায়ে কেরামের (রা,)সর্ববৃহৎ দল সাদেকীন। তাঁদের মত উপেক্ষা করে আব্দুল্লাহ ইবনে সাবা শিয়া মত প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালিয়ে হযরত আলীর (রা.) বংশকে ক্ষতিগ্রস্থ্য করেছে। আজ পর্যন্ত হযরত আলীর (রা.) বংশে কোন মুসলিম খলিফা হয়নি। আর শিয়ামত ছাড়াই রাসূলের (সা.) চাচা হযরত আব্বাসের (রা.) বংশে ছাপ্পান্ন জন খলিফা হয়েছেন। হযরত আলীর (রা.) বংশের ইমামগণ শিয়া মতের পোষকতা করতে গিয়ে আল্লাহর গজবে পড়েছেন।

সূরাঃ ৩৫ ফাতির, ২৮ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৮। এভাবে রং বেরং- এর মানুষ, জন্তু ও আন’আম রয়েছে। নিশ্চয়ই আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে আলেমরাই তাঁকে ভয় করে।নিশ্চয়্ই আল্লাহ পরাক্রমশালী ক্ষমাশীল।

সূরাঃ ২৯ আনকাবুত, ৪৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪৩।এসব দৃষ্টান্ত আমি মানুষের জন্য পেশ করে থাকি, যেগুলো কেবল আলেমরাই বুঝে থাকে।

সহিহ আবু দাউদ, ৩৬০২ নং হাদিসের (জ্ঞান-বিজ্ঞান অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৬০২। কাছীর ইবনে কায়েস (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আমি দামেশকের মসজিদে আবু দারদার (রা.) কাছে বসে ছিলাম। এ সময় এক ব্যক্তি এসে বলে, হে আবু দারদা (রা.) আমি রাসূলুল্লাহর (সা.) শহর মদীনা থেকে আপনার কাছে একটা হাদিস শোনার জন্য এসেছি। আমি জানতে পেরেছি আপনি উক্ত হাদিসটি রাসূলুল্লাহ (সা.) হতে বর্ণনা করেন। এছাড়া আর কোন কারণে আমি এখানে আসিনি। তখন আবু দারদা (রা.) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.) বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি ইলম অর্জনের জন্য কোন পথ অতিক্রম করে, আল্লাহ তাকে জান্নাতের পথসমূহের একটি পথ অতিক্রম করান। আর ফেরেশতারা ত্বলেবে এলেম বা জ্ঞান অন্বেষণকারীর জন্য তাদের ডানা বিছিয়ে দেন এবং আলেমের জন্য আসমান ও জমিনের সব কিছুই ক্ষমা প্রার্থনা করে, এমনকি পানিতে বসবাসকারী মাছও তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। আর আবেদের উপর আলেমের ফজিলত এরূপ যেমন পূর্ণিমার রাতে চাঁদের ফজিলত সকল তারকা রাজির উপর। আর আলেমগণ হলেন নবিদের ওয়ারিছ এবং নবিগণ দীনার ও দিরহাম মীরাছ হিসেবে রেখে যান না; বরং তাঁরা রেখে যান ইলম।কাজেই যে ব্যক্তি ইলম অর্জন করল সে প্রচুর সম্পদের মালিক হলো।

সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।

* সাহাবায়ে কেরামের (রা.) পর আলেমগণের সর্ববৃহৎ দল সাদেকীন। সুতরাং তাঁদের সাথে থাকা মুসলিমদের জন্য আল্লাহ ফরজ করেছেন।

সূরাঃ ৬ আনআম, ১৫৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৫৩। আর এপথই আমার সিরাতাম মুসতাকিম (সরল পথ)। সুতরাং তোমরা এর অনুসরন করবে, এবং বিভিন্ন পথ অনুসরন করবে না, করলে তা’ তোমাদেরকে তাঁর পথ হতে বিচ্ছিন্ন করবে। এভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিলেন যেন তোমরা সাবধান হও।

সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে। তাদের জন্য মহাশাস্তি রয়েছে।

সূরাঃ ৪ নিসা, আয়াত নং ১১৫ এর অনুবাদ-
১১৫। কারো নিকট সৎপথ প্রকাশ হওয়ার পর সে যদি রাসুলের বিরুদ্ধাচরণ করে এবং মু’মিনদের পথ ব্যতিত অন্যপথ অনুসরন করে, তবে সে যে দিকে ফিরে যায় সে দিকেই তাকে ফিরিয়ে দেব এবং জাহান্নামে তাকে দগ্ধ করব, আর উহা কত মন্দ আবাস।

* আলেমগণের সর্ববৃহৎ দল সাদেকীন বিধায় তাঁদের সাথে থেকে মুসলিমদেরকে তাদের পথ অভিন্ন করতে হবে। তাঁদের সাথে মতভেদ করে মুসলিমগণ যদি তাদের পথ বিভিন্ন করে নেয় তবে আল্লাহর দরবারে তাদের ইবাদত গৃহিত হবে না। এমতাবস্থায় আল্লাহ তাদেরকে জাহান্নামে দগ্ধ করবেন। পরে কালেমার কারণে তারা জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেলে পাবে। আর ইহকালেও এসব জাহান্নামী আল্লাহর গজবে গ্রেফতার থাকবে। যেসব মুসলিম আল্লাহর গজবে গ্রেফতার আছে খোঁজ নিলে দেখা যাবে যে তাদের সবাই আলেমগণের সর্ববৃহৎ দল সাদেকীনদের সাথে মতভেদে লিপ্ত। অথচ এরা মনে করছে আল্লাহ এদেরকে পরীক্ষা করছেন। আল্লাহ তো তাদেরকে পরীক্ষা করেন যারা আলেমগণের সর্ববৃহৎ দল সাদেকীনদের সাথে সম্পৃক্ত থাকে। আর তাদেরকে পরীক্ষা করা হয় জান্নাতে তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করার জন্য।আলেমগণের সর্ববৃহৎ দল সাদেকীনদের সাথে মতভেদকারীরা গজবের সাথে পরীক্ষাকে তালগোল পাকিয়ে ফেলে।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৯

মিরোরডডল বলেছেন:




তারগোলপাকিয়ে

তারগোল না,
সঠিক হবে তালগোল পাকিয়ে ফেলা।

১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:২৪

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ভুল সংশোধনের জন্য ধন্যবাদ।

২| ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:৫৭

কামাল১৮ বলেছেন: চিন্তা স্বঠিক না হলে তালগোল হয় না।তারগোলই হয়।ব্রাহ্মন বাড়িয়ার ঐ দিকে বলে তার ছিরা।

১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:২৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আর একটু স্পষ্ট করে বললে ভালো হতো।

৩| ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২১

কাঁউটাল বলেছেন: মাত্র ৩ মিনিটে নাস্তিক ধর্মের অসারতা

২৫ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৩

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: বিজ্ঞানের নামে অখাদ্য খাওয়ানো যায় না।

৪| ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:২০

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আপনার মত আরেকজন বুজুর্গ পাইছি, সে স্বপ্ন দেখে ১০১ মনের এক বিশাল হাড়ি আবিষ্কার করছে, লক্ষ লক্ষ যার ভক্ত।




এখন বলেন আপনি স্বপ্ন দেখে এখন পর্যন্ত কি কি আবিষ্কার করলেন? ফেসবুক ছাড়া, বাস্তব দুনিয়ায় আপনার কত হাজার ভক্ত রয়েছে?

আপনি কি স্বপ্নের মাধ্যমে এখন পরর্যন্ত কোন তাবিজ, কবজ আবিষ্কার করতে পেরেছেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.