নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।
এক সরকার বলল, ‘জয় বাংলা’। অন্য সরকার এসে বলল, ‘বাংলাদেশ জিন্দবাদ’। এক সরকার যা স্থাপন করতে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে, অন্য সরকার তা’ উচ্ছেদ করতে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে।প্রতিবেশী দেশে মসজিদ ভেঙ্গে মন্দির করা হচ্ছে মন্দির ভেঙ্গে মসজিদ করার অভিযোগে। তারা যারা জয় শ্রীরাম বলতে চায় না তাদেরকে দিয়ে জোর করে জয় শ্রীরাম বলায়। মুক্তি যুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার ‘জয় বাংলা’ বাদ দিয়ে ‘বাংলাদেশ জিন্দবাদ’ কেন স্থাপন করলেন? সেটা তাঁর ভক্তের আব্দার। একাত্তরে এক লোকের মাথায় পেরেক ঢুকিয়ে তাকে দিয়ে ‘জয় বাংলা’ বলানোর চেষ্টা করে তাকে দিয়ে ‘জয় বাংলা’ বলানো যায় নাই। সমস্যাটা কি? কেউ বলছে এটা সন্ত্রাসীদের শ্লোগান। কেউ বলছে এটা মুক্তি যুদ্ধের শ্লোগান। তবে কি কেউ কেউ মুক্তি যোদ্ধাদেরকে সন্ত্রাসী বলতে চায়? তাহলে তাদের হিসাবে সন্ত্রসী জিয়ার দলের প্রতি তাদের এমন সখ্যতা কেন ছিল? প্রয়োজনে তারা ছাত্রলীগ করে, আবার সময়মত তাদেরকে ছুড়ে ফেলে দেয়। বাংলাদেশের কোন দলের হিসাব নিকাস জনগণের ঠিক বুঝে আসে না। তারা হয়েগেছে ভেঁড়ার পালের মত। ভেঁড়ার পালকে যে যখন যে দিকে ছুটায় এগুলা তখন সে দিকে ছুটে। জনগণকে যখন যে যা ঠিক বলে জনগণ তখন সেটাকে ঠিক বলে। ফলে ক্ষণিকে যা সঠিক সাব্যস্ত হয় ক্ষণিকে তা’ বেঠিক সাব্যস্ত হয়ে যায়।
ভারতীয় উপমহাদেশের এক দল অখন্ড ভারত চায় এবং এক দল খন্ড খন্ড ভারত চায়। বাস্তবতায় ভারত প্রথমে দুই খন্ড পরে তিন খন্ড হয়। বেচারা বাঙ্গালী, পাঞ্জাবী ও কাস্মিরী এখন খন্ডিত অবস্থায় বিদ্যমান। কেউ কেউ বলছে এটাই ঠিক, কেউ কেউ বলছে কিচ্ছু ঠিক নাই।এসব ঝগড়া শুনতে শুনতে ত্যাক্ত বিরক্ত অবস্থা। অবশেষে এমন একটা অবস্থা তৈরী হলো যারা ক্ষমতায় থাকবে তাদের কথা শুনতে হবে। সুতরাং আমরা এখন তাই শুনছি আর বলছি আপনারা যা বলছেন সেটাই ঠিক সেটাই ঠিক। তবে বিপত্তি ঘটে যখন এক পক্ষ অনাদীকাল ক্ষমতায় থাকার বাসনা পুরণ করতে থাকে। তখণ অন্য পক্ষে অত্যাধীক উষ্মতায় বিস্ফোরন ঘটে সব কিছু তছনছ হয়ে নতুন পক্ষ ক্ষমতায় আসে। তখন এক পক্ষ বলে আগেই ভালো ছিলাম, অন্য পক্ষ বলে এখন ভালো আছি। আমার মনে হয় ভালো-মন্দ ছিল, আছে ও থাকবে। সুতরাং আমাকে আমার মত থাকতে দাও। অন্য পক্ষ তখন বলছে সেটা হবে না তোমাকে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে। কিন্তু কোনটা ন্যায় আর কোনটা অন্যায়? একপক্ষ যেটাকে ন্যায় বলছে অন্য পক্ষ সেটাকেই ভীষণ অন্যায় বলছে। যেমন, সরাদেশে জাতির পিতার ভাস্কার্য ও প্রতিকৃতি স্থাপন; এক পক্ষ বলছে এটা ন্যায়, অন্য পক্ষ বলছে এটা ভীষণ অন্যায়। কেউ কেউ তো বলছে এ আবার জাতির পিতা হলো কবে? এ তো হলো হাসিনার বাপ। তারপর তারা হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে তাড়িয়ে হাসিনার বাপের ভাস্কার্য ও প্রতিকৃতির বারোটা বাজিয়ে ছেড়ে দিল। যে প্রতিকৃতিতে আমরা ক’দিন আগে লাইন ধরে পুস্পস্তবক অর্পণ করলাম। এখন দেখছি অন্য পক্ষ সেই প্রতিকৃতি খাবলে দিয়েছে। সিরিয়ার জাতির পিতার ভাস্কার্য দেখলাম বালকেরা মুতে ভাসিয়ে দিচ্ছে। আমার মনে হয় এসব ঝগড়ার বিষয় বাদ দিয়ে জনগণের সুখে থাকার ব্যবস্থা সবার আগে করা দরকার।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৭
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: তাহলে সে বাশারের বাপ! সেজন্যই জনতার এমন ক্ষোভ। আমাদের হাসিনার বাপকে এক পক্ষ জাতির পিতা মানে অন্য পক্ষ জাতির পিতা মানে না।
২| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: জয় বাংলা স্লোগান স্থগিত করে সরকার আমাদের হাতে আরেকটি ইস্যু তুলে দিলো। এদিকে দেড় হাজার অস্ত্র উদ্ধার হয় নি এবং ৭০০ সন্ত্রাসী সমাজে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:০৫
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কোন কাজ আগে করতে হবে আর কোন কাজ পরে করতে হবে সেটা কোন শাসকই বুঝে না।
৩| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:২৪
শায়মা বলেছেন: নতুন কিছু উদ্ভাবন করতে করতেই তো সময় চলে যাবে।
জয় বাংলা বা বাংলাদেশ জিন্দাবাদ একসাথে করে জয় জিন্দা বাংলাদেশ আবার না করে ফেলে চিন্তায় আছি!
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:০৬
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: এরা কখন কি অদ্ভূত কান্ড ঘটিয়ে বসে বলা যায় না।
৪| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: কথা একটাই ''জয় বাংলা'' থাকবেই।
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:০৮
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: জয় বাংলার বিরোধীতা বাংলাদেশী নয়, বরং ভারতীয়রা করার কথা। কারণ জয় বাংলার মানে হলো বাংলা ভাষায় কথা বলা সকল অঞ্চল একত্রে এক দেশ গঠন করা।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৪
Ruhin বলেছেন: হাফেজ আল আসাদ সিরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা নয়