![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।
সূরাঃ ৫৫ রাহমান, ১ নং ও ২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১। আর রাহমান (পরম মেহেরবান)।
২। তিনিই শিক্ষা দিয়েছেন কোরআন।
সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।
সূরাঃ ৪৯ হুজরাত, ১০ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০। মু’মিনগণ পরস্পর ভাই ভাই; সুতরাং তোমরা ভাইদের মাঝে ইসলাহ (শান্তি স্থাপন) কর, আর আল্লাহকে ভয় কর যাতে তোমরা অনুগ্রহ প্রাপ্ত হও।
সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৩। ঐসব রাসূলদের আমরা তাদের কোন জনের উপর কোন জনকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি। তাদের মধ্যে কোন জনের সঙ্গে আল্লাহ কথা বলেছেন।আর কোন জনকে উচ্চ মর্যাদায় উন্নীত করেছেন। আর আমরা মরিয়ম পুত্র ঈসাকে প্রকাশ্য মুজেযা দান করেছি। আর তাকে পবিত্র আত্মা দ্বারা সাহায্য করেছি।আর আল্লাহ ইচ্ছা করলে নবিগণের পরবর্তী লোকেরা পরস্পরের সঙ্গে যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হতো না। কিন্তু তারা পরস্পর ইখতিলাফ (মতভেদ) করেছিল।তাতে তাদের কিছু লোক মুমিন এবং কিছু লোক কাফের হয়ে গেল। আল্লাহ ইচ্ছা করলে তারা পরস্পর যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হতো না। কিন্তু আল্লাহ যা ইচ্ছা তাই করে থাকেন।
সূরাঃ ৪৮ ফাতহ, ২৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৯। মোহাম্মাদ আল্লাহর রাসুল; তাঁর সহচরগণ কাফিরদের প্রতি কঠোর এবং নিজেদের মধ্যে পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল; আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনায় তুমি তাদেরকে রুকু ও সিজদায় অবনত দেখবে।তাদের লক্ষণ তাদের মুখমন্ডলে সিজদার প্রভাব পরিস্ফুট থাকবে: তওরাতে তাদের বর্ণনা এরূপ এবং ইঞ্জিলেও তাদের বর্ণনা এরূপই। তাদের দৃষ্টান্ত একটি চারা গাছ, যা থেকে নির্গত হয় নতুন পাতা, অতঃপর ইহা শক্ত ও পুষ্ট হয় এবং পরে কান্ডের উপর দাঁড়ায় দৃঢ়ভাবে যা চাষীদের জন্য আনন্দ দায়ক। এভাবে মুমিনদের সমৃদ্ধি দ্বারা আল্লাহ কাফিরদের অন্তর্জালা সৃষ্টি করেন। যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে আল্লাহ তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ক্ষমা ও মহাপুরস্কারের।
সহিহ বোখারী ৮২ নং হাদিসের (কিতাবুল ইলম) অনুবাদ-
৮২। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে রেওয়ায়েত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) কে বলতে শুনেছি যে, নিদ্রিত অবস্থায় আমাকে এক পেয়ালা দুধ দেওয়া হলো। আমি তা পান করলাম। এমন কি আমার নখের ভেতর থেকে তৃপ্তি প্রকাশ পেতে দেখলাম। অতঃপর আমি আমার অবশিষ্ট দুধটুকু ওমর ইবনে খাত্তাবকে প্রদান করলাম। সাহাবীরা বললেন, হে মহান আল্লাহর রাসূল, আপনি এ স্বপ্নের কি তাবীর করছেন? তিনি বললেন, ইলম।
* রহমান কোরআন শিক্ষা দিয়ে থাকেন এর জন্য উপযুক্ত বয়স চল্লিশ বছর। সেজন্য সর্ব কালের সর্ব শ্রেষ্ঠ মহামানবের নিকটেও তিনি চল্লিশ বছরের আগে কোরআন নাযিল করেননি। সুতরাং রাসূলের (সা.) কিতাব ও হিকমাত শিক্ষার যোগ্য ছাত্র ছিলেন তাঁরা যাদের বয়স তাঁর জীবদ্দশায় চল্লিশ বছর ছিল।উপযুক্ত বয়সে হযরত আবু বকর (রা.) ২০ বছর রাসূলের (সা.) ছাত্র ছিলেন। উপযুক্ত বয়সে হযরত ওমর (রা.) ১০ রাসূলের (সা.) ছাত্র ছিলেন।উপযুক্ত বয়সে হযরত ওসমান (রা.) ১৪ বছর রাসূলের (সা.) ছাত্র ছিলেন।অন্য দিকে রাসূলের (সা.) ইন্তেকালের সময় হযরত আলীর (রা.) বয়স ছিল ৩৩ বছর। রাসূলের (সা.) ইন্তেকালের সময় হযরত মুয়াবিয়ার (রা.) বয়স ছিল ৩০ বছর। রাসূলের (সা.) ইন্তেকালের সময় হযরত আয়েশার (রা.) বয়স ছিল ১৮ বছর। সুতরাং রাসূলের (সা.) জীবদ্দশায় হযরত আলী (রা.), হযরত আয়েশা (রা.) ও হযরত মুয়াবিয়ার (রা.) কিতাব ও হিকমাত শিক্ষার যথেষ্ট বয়স ছিল না। সেজন্য যেখানে মুমিন ভাইদের মাঝে ইসলাহ (শান্তি স্থাপন) করার কথা সেখানে তাঁরা পরস্পর যুদ্ধ করার পর ইসলাহ (শান্তি স্থাপন) করেছেন। তবে ইসলাহ (শান্তি স্থাপন) করার পরেও হযরত আলী (রা.) ও হযরত মুয়াবিয়া (রা.) পরস্পর লানত করেছেন। তাঁদের সেই লানত তাঁদের পরিবারের দিকে ফিরেছে। হযরত মুয়াবিয়ার (রা.) ছেলে হয়ে গেল কূখ্যাত। তারপর খেলাফত পেল মারওয়ান বংশ ও আব্বাসীয় বংশ।তথাপি হযরত আলী (রা.) ও হযরত মুয়াবিয়ার (রা.) বংশে খেলাফত ফিরলো না। তাঁরা ইসলাহ না করলে হয়ত আল্লাহ তাঁদের ঈমান কেড়ে নিতেন। ইসলাহ (শান্তি স্থাপন) করায় তাঁরা আল্লাহর ক্ষমা পেয়েছেন। উপযুক্ত বয়সে যে তিনজন খলিফা রাসূলের (সা.) ছাত্র ছিলেন তাঁদের খেলাফতে ইসলামের উন্নতি বেশী হয়েছে। প্রথম জন তো ছিলেন ইসলামের ত্রাণকর্তা, দ্বিতীয়জন ছিলেন ন্যায়বিচারী, তৃতীয় জন ছিলেন কোরআন সংকলক। এখন মাদ্রাসা শিক্ষা শেষ হয় চল্লিশ বছরের আগেই। এরপর এরা শিক্ষক হয়ে ছাত্র পিটিয়ে মেরে ফেলে। অনেকে কওমে লুত কান্ড ঘটায়। অনেকে ওয়াজ করতে গিয়ে বিশ্রি ভাবে চিৎকার করে। এসব আলেম ভোটে দাঁড়ালে জনগণ এদেরকে ভোট দেয় না। হাফিজ্জী হুজুরকে কেন ভোট দিবেন না জিজ্ঞাস করায় এক ভোটার বললেন তিনি দেশ চালাতে পারবেন না। উপযুক্ত বয়সে দশ বছর এলেম তলব করলে আলেম হওয়ার সম্ভাবনা আছে। হযরত ওমর (রা.) উপযুক্ত বয়সে দশ বছর এলেম তলব করে আলেম হয়েছেন। এমন আলেমের মধ্যে দেশ চালানোর যোগ্যতা থাকবে। হযরত ওমর (র.) সফলভাবে সাম্রাজ্য পরিচালনা করেছেন। অনুপযুক্ত বয়সের আলেমগণকে মানুষ ইউপি চেয়ারম্যানও বানায় না। এমনকি তারা মেম্বর, কাউন্সিলওে হয় না। এরা রাষ্ট্র পরিচালনার স্বপ্ন দেখে। তার আগে সংখ্যায় বেশী মেয়র, চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর ও মেম্বার হোক। তারপর না হয় তাদের দ্বারা রাষ্ট্র পরিচালনার কথা ভাবা যাবে।
সূরাঃ ৩১ লোকমান, ১২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২। আমরা লোকমানকে হিকমাত দান করেছিলাম এবং বলেছিলাম যে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সে তো তা’ করে নিজের জন্য। আর কেউ অকৃতজ্ঞ হলে আল্লাহ তো ধনি ও প্রশংসিত।
* একজন সঠিক আলেম হলেন হযরত লোকমান (আ.)। যারা আলেম হতে চান তাঁরা তাঁর বিষয়ে মনযোগী হতে পারেন। উপযুক্ত ছাত্র পেলে আল্লাহ এবং রাসূল (সা.) তাঁদের শিক্ষক হয়ে যাবেন। তাঁরা স্বপ্নযোগে তাঁদেরকে এলেম শিক্ষা দিবেন।আল্লাহ শিক্ষক হলেন না, রাসূল (সা.) শিক্ষক হলেন না, এদিকে লোকেরা আল্লামা, শায়েখ ইত্যাদি কত কিছু হয়ে গেল। পীরদের খেতাবের জ্বালায় তাদের নামটাই ডুবে যায়। এদের দ্বারা মানুষ হেদায়াত যা পায় বিভ্রান্ত হয় তারচেয়ে বেশী।
©somewhere in net ltd.