নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শব্দকবিতা : শব্দেই দৃশ্য, শব্দেই অনুভূতি [email protected]

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই

দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

কনফারেন্স টেবিলের উলটো পাশে মেয়েটি বসে ছিল

৩১ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:৪০





মেয়েটি সুন্দরী; আমরা সুন্দরী মেয়েদের নিয়েই কাব্য লিখি; যারা সুন্দরী নয়, তারা বড়জোর মানবতাবাদীদের সামান্য কৃপা পেয়ে থাকে মাঝে-সাঝে, সেটা মেয়েটির জন্য নয় যতোটা, তার চেয়ে ঢের বেশি তাঁদের নাম ফাটিয়ে অস্তিত্ত্ব ও কৃতিত্ব জাহিরের জন্য।



সুন্দরী মেয়েটির কথাই বলছিলাম।



মেয়েটি কোন্‌ দেশের? ছোটোবেলায় পড়েছিলাম, ইরানি ও টার্কিশ মেয়েরা পরীর মতো সুন্দরী। পরে যোগ হয়েছিল লেবানিজ আর ইসরাইলি মেয়েদের চোখ-ধাঁধানো রূপের গল্প। যে-কজন ইরানি-তুরানি-লেবাননি ললনা আমার চোখে পড়েছে, তাদের তুলনায় বাংলাদেশের মেয়েদের মনে হয়েছে ‘অতুলনীয়া’।



ব্রিটিশ, ফিনিশ, জার্মান আর আমেরিকানদের খসখসে চামড়াঅলা চেহারায় কোনও মোহ কিংবা মাদকতা আছে বলে মনে হয় নি। তবে, এ্যান-সোফি-এ্যালেগ্রি, ফ্র্যান্সের মেয়েটিকে দেখে, আর পপ-এলিজিকে, আমার মনে হয়েছে, কোনও এককালে বাঙালি-ফ্রেঞ্চ পাশাপাশি বসত ছিল; এদের মধ্যে জিনের এক্সচেঞ্জ ও মিকশ্চার ঘটেছে; কিন্তু তা ঐতিহাসিকভাবে সত্যসম্ভব নয়।



এ্যান-সোফি-এ্যালেগ্রি প্রথম সাক্ষাতে যে অপরূপ হাসিটি আমায় উপহার দিয়েছিল, অনেক কাল আগে, সদ্য-কৈশোর-পেরোনো উত্তাল বয়সে আফরোজার একদিনের-একটা হাসির সাথেই কেবল তার তুলনা চলে।



কনফারেন্স টেবিলের উলটো পাশে মেয়েটি বসেছিল রেসিডেন্ট কোর্ডিনেটরের গা-ঘেঁষা সিটটাতে; সে কি সদ্যনিযুক্ত পার্সোনাল সেক্রেটারি? শুকনো কাঠির মতো ব্ল্যাঙ্কা লোপেজ; ও যেন কোন্‌ দেশের, ভুলে গেছি; রানি মুখার্জির ফ্যাঁসফেসে গলায় কী অপূর্ব মাধুর্য আছে, তাই না? আর থোবড়ানো পাটের আঁশের মতো এলোমেলো চুলঅলা এ ব্ল্যাঙ্কা লোপেজ, হাসে খুব শুকনো ঠোঁটে, হ্যান্ডশেকের সময় শরীরের হাড়গুলো যেন কড়কড় করে নড়ে ওঠে, আর মনে হয় ওর মনটাও বড্ড খসখসে। মেয়েদেরকে আমরা 'পেলবতার' সাথে উপমিত করে অভ্যস্ত। কাষ্ঠখণ্ড ব্ল্যাঙ্কা লোপেজ এদ্দিন পার্সোনাল সেক্রেটারি ছিল। এ মেয়েটি কে? কী সে?



‘স্যার, আমায় কি ডেকেছিলেন?’ আমি ঘাড় ঘুরিয়ে হেডউইগ-এর দিকে তাকাই। বলি, ‘আপনি বরং এখানে বসুন। আমাদের বেশ কিছু পেন্ডিং ইস্যু রয়ে গেছে। আজ সেগুলো ডিস্‌কাশনে তুলতে হবে।।’



আমি ভুল দেখছিলাম চোখে। ব্ল্যাঙ্কা লোপেজ রেসিডেন্ট কোর্ডিনেটরের পাশে বসে শুকনো মন নিয়ে শুকনো আঙুলে শুকনো নোটবুকে কনফারেন্সের শুকনো বিষয়গুলো নোট করে নিচ্ছে, মিনিট্‌স অফ মিটিঙের জন্য। হেডউইগ ওখান থেকে উঠে এসেছে আমার ইশারা পেয়ে।



হেডউইগ ম্যায়েক্স। ব্রাসেলসের নাগরিকা। সুন্দরী। স্মার্ট। চুলগুলো কালো। ভ্রূ তার কালো। তার চোখের মণিও কালো। ঠোঁটে লিপস্টিক পরেছে, যেভাবে বাঙালি মেয়েরা পরে। একটা ব্রাউন-পিঙ্ক মিশ্র স্ট্রাইপের লং স্কার্টের সাথে ডার্ক ব্লু টপস পরেছে, তার উপর ধবধবে সাদা ওভারকোট। বেলজিয়ামের কোনও মেয়ে এর আগে দেখি নি। হেডউইগ-এর পূর্বপুরুষ বাংলাদেশ বা এর আশপাশের দেশের নাগরিক ছিল কিনা জানা নেই। কিন্তু হেডউইগের চেহারা ও কথা অবিকল বাঙালি নারীর।



ফলপ্রসূ মিটিঙের পর হেডউইগ আর আমি দ্রুত বেরিয়ে পড়ি। ও গাড়ি চালায়, আমি ওর পাশে বসে কনফারেন্সের পয়েন্টগুলো আলোচনা করি, আলোচনার অন্তরালে হেডউইগ-এর সমগ্র ভুবন উথাল-পাথাল ঘুরতে থাকি। সুদান ভেঙে যাচ্ছে। দশ হাজার শান্তিরক্ষীকে পাঠানো হয়েছে মূলত সুদানকে শান্তিপূর্ণভাবে টুকরো টুকরো করবার জন্যই, উত্তর সুদানিদের সুদৃঢ় বিশ্বাস; ৯ জুলাইয়ে সিপিএ পিরিয়ড শেষ হবার পর নর্থ সুদানের সরকার এক ঘণ্টাও ইউএনকে নর্থে থাকতে দেবে না; অথচ উভয় সুদানেই আমাদের কর্মকাণ্ড ব্যাপ্ত। আমাদের অফিস ভাগ হয়ে যাবে।



‘আমরা দুজন খার্তুমেই থেকে যাই। কী বলেন, হেডউইগ?’



‘সেটা খুব মন্দ প্রস্তাব নয়। কিন্তু নর্থের ক্রুয়েল গভর্ন্টমেন্ট দারফুরবাসীদের উপর অমানুষিক জেনোসাইট চালাচ্ছে, আমি বরং ওখানে থাকতেই প্রেফার করছি।’



‘আপনি খুব নিষ্ঠুর হয়ে যাচ্ছেন, ডিয়ার লেডি হেডউইগ ম্যায়েক্স । আপনার শরীরের জাফরান ঘ্রাণ আপনার মনের সাথে বিলকুল বৈসাদৃশ্যময়।’ এ বলে আমি বাঁ-দিকে কাত হয়ে আলগোছে তার বাহু টেনে কাছে এনে নরম গালে মৃদু টোকার মতো একটা চুমু দিই। হেডউইগ স্মিত হেসে জানায়, ‘অতোটা নই, যতোটা আপনি সব সময় ভাবছেন।’



ব্লু নাইল আর হোয়াইট নাইল যেখানে একত্রে মিশেছে, আর জন্ম দিয়েছে দীর্ঘতম নাইল নদী, তারপর হোয়াইট নাইলের উজান টেনে চলে গেছে সুদানের বৃহত্তম নগরী অম্দুরমানকে পদ-পললে রেখে দক্ষিণ বরাবর, একদিন অপরাহ্নে এই রুটে আমরা কয়েকজন কলিগ সাফ-এর স্পিড বোটে রিভার ক্রুজ করেছিলাম। এমন রোমান্টিক মোমেন্ট জীবনে বহুবার আসে না। স্মারক ফটোগুলো দেখে হেডউইগ আফসোসে ভেঙে পড়েছিল- সাথে থাকতে পারে নি বলে; আর হেডউইগকে রিভার ক্রুজের দিন পাশে বসিয়ে রোমান্স না-করতে পারার বেদনা প্রকাশের কোনও ভাষা আমার ভাণ্ডারে ছিল না।



যেসব মেয়েরা এভাবে প্রতিদিন কনফারেন্স টেবিলের উলটো পাশে বসে, অহেতুক টেড়া চোখ তাদের বুক ছিদ্র করে নাড়িভুঁড়ি ছিঁড়ে ফেলে, কদাচিৎ চোখাচোখিও ঘটে, তাদের নিয়ে উড়াল দিতে ভয়ানক সাধ হয়। মেরি-ফ্র্যান্স আর নায়ালা কী অদ্ভুত ঢঙে শার্পিন্টিয়ারের গায়ে গড়াগড়ি খায়। এ্যান-সোফি-এ্যালেগ্রিকে দেখবার দুর্মদ বাসনায় এলিজির ‘লা-ইসলা-বোনিতা’ দেখি; কী কবিতা জড়িয়ে আছে এ গায়িকার প্রত্যঙ্গের প্রতি ভাঁজে! আমার এ্যান-সোফি-এ্যালেগ্রি, আমার এলিজি, হায় হেডউইগ, তোমাদের প্রতিদিন কনফারেন্স টেবিলের উলটো পাশে দেখি, দেখি আর কৈশোরের আফরোজাকে খুঁজি - ভারী বাতাসে উড়াল দিতে দিতে আমার ডানায় এখন জমাট ক্লান্তি- হায়, তোমরা পরীর দেশে উড়ে উড়ে ঘুরে ঘুরে সরে যেতে থাকো, নীল উড্ডয়নে আমি কেবল ভাসতেই থাকি, জমে যেতে থাকি প্রগাঢ় ঠাণ্ডা ও তমিস্রায়- যেখানে আফরোজার একঝাঁক ছায়া ঝাপসা হাত নেড়ে নেড়ে নিবিড় আকুতি জানায়, আর দিগন্তের সুরের সাথে মিলিয়ে যায়।



*২১ এপ্রিল ২০১১

মন্তব্য ১১২ টি রেটিং +২৬/-০

মন্তব্য (১১২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:৪৯

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
আমরা সুন্দরী মেয়েদের নিয়েই কাব্য লিখি; যারা সুন্দরী নয়, তারা বড়জোর মানবতাবাদীদের সামান্য কৃপা পেয়ে থাকে মাঝে-সাঝে, সেটা মেয়েটির জন্য নয় যতোটা, তার চেয়ে ঢের বেশি তাঁদের নাম ফাটিয়ে অস্তিত্ত্ব ও কৃতিত্ব জাহিরের জন্য।

হাজার টা লাইক এই বাক্যগুলোয় কম মনে হবে।

৩১ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:০১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাজারটা লাইক! হাজারটা ধন্যবাদেও এর বিনিময় মূল্য শোধ হয় না। ধন্যবাদ।

২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:১৫

জুন বলেছেন: ছাই ভাই অসম্ভব কতগুলো সত্যি কথা দিয়ে অসাধারন একটি পোষ্ট।এত সুন্দর করে আপনি কি করে লিখেন বলেনতো ?? একবার পড়লে মনে হয় আপনার নিজের কথা আবার মনে হয় এমন আচরন কি আর আপনি করবেন !! কনফিউশনে পরে যাই।

আমিও আপনার সাথে সম্পুর্ন একমত মধ্যপ্রাচ্য সহ অন্যান্য দেশের ললনাদের সম্পর্কে।
এ প্রসংগে একটি ব্যাক্তিগত ঘটনা শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারলাম না । আমার স্বামীর পছন্দে আমার বিয়ে। এরপর তার এক খালা আমার গায়ের রং নিয়ে প্রশ্ন তোলায় আমার স্বামীর উত্তর " খালা আপনি আমার চোখ দিয়ে ওর দিকে তাকিয়ে দেখেন, ও কত সুন্দর"।
উল্লেখ্য আমার শ্যামবর্ন গায়ের রং তাদের এই কথাটি বলার কারন।
+

৩১ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:০৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার উপস্থিতি একটা বড় প্রেরণা, আপু। ভাষায় প্রকাশ করার নয়।

সুন্দর বা ফরসা কথাটা আজও আমার কাছে পুরোপুরি বোধগম্য নয়। ছোটোবেলায় যাদেরকে আমার চোখে খুব 'সুন্দর' মনে হতো, অনেকেই তাদেরকে বলতো 'কালো।' অনেক পরে বুঝতে পারি যাদের গায়ের রং ধবদবে ফরসা, 'সুন্দর' বলতে মানুষ তাদেরকেই বুঝিয়ে থাকে। গায়ের রং ফরসা হলেই সে সুন্দর, ব্যাপারটা তো আদতে তা নয়। ব্যক্তিগত ঘটনা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।

সব সময়ের জন্য শুভ কামনা।


৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:৩০

দুষ্ট_ছেলে বলেছেন: :) :) :) :)

৩১ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:০৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ওরে আমার দুষ্টু ছেলে রে:):):):)

৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:৪৫

মুনসী১৬১২ বলেছেন: স্মৃতি

৩১ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:১০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: স্মৃতি! ব্যাপারটা পুরোপুরি তা নয়।

ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:১৪

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: ভারত বর্ষের রমণীদের মতো রহস্যময়ী ও আকর্ষক নারী পৃথিবীতে বিরল।

৩১ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:১৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: খুব সত্যি কথা বলেছেন শামীম ভাই। ১০০% একমত।

আপনার ছবি/এ্যাড/ভিডিও মেকিং কেমন চলছে?

৬| ৩১ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:১৭

ফালতু বালক বলেছেন: চরম হইছে ,বস।

৩১ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:১৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় বালক।

৭| ৩১ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:১১

আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
মেয়েটি সুন্দরী; আমরা সুন্দরী মেয়েদের নিয়েই কাব্য লিখি; যারা সুন্দরী নয়, তারা বড়জোর মানবতাবাদীদের সামান্য কৃপা পেয়ে থাকে মাঝে-সাঝে, সেটা মেয়েটির জন্য নয় যতোটা, তার চেয়ে ঢের বেশি তাঁদের নাম ফাটিয়ে অস্তিত্ত্ব ও কৃতিত্ব জাহিরের জন্য।



এই লাইন কয়টা কিছু আত্ন জিঘাংসার উত্তর দিয়ে দিয়েছে ! অনেক অনেক লাইক এই লাইন কয়টার জন্য ।

শুভকামনা ভাইয়া ।

৩১ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:১৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এটি উদ্ধৃত করার জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি সরকার ভাই।

কথাটা 'আত্ম জিঘাংসা' কেন বললেন তা নিয়ে ধন্দে পড়ে গেলাম যে:( এটি 'আত্মজিজ্ঞাসা'ও হতে পারতো:)

৮| ৩১ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:১৬

বুড়া মানব বলেছেন: মনোযোগ সহকারে পড়লাম। এক কথা্য দারুণ। :)

৩১ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:১৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ বুড়া মানব, মনোযোগ সহকারে পড়ে 'এক কথায় দারুণ' বলবার জন্য।

৯| ৩১ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:২১

তানিয়া হাসান খান বলেছেন: হাহাহাহাহাহাহাহাহ.....। =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~
হাসলাম লেখার ধরণ দেখে। অনেক মজার করে লেখা।
পোষ্ট+++++++++++
আলাউদ্দিন আহমেদ সরকার বলেছেন:
মেয়েটি সুন্দরী; আমরা সুন্দরী মেয়েদের নিয়েই কাব্য লিখি; যারা সুন্দরী নয়, তারা বড়জোর মানবতাবাদীদের সামান্য কৃপা পেয়ে থাকে মাঝে-সাঝে, সেটা মেয়েটির জন্য নয় যতোটা, তার চেয়ে ঢের বেশি তাঁদের নাম ফাটিয়ে অস্তিত্ত্ব ও কৃতিত্ব জাহিরের জন্য।


এই লাইন কয়টা কিছু আত্ন জিঘাংসার উত্তর দিয়ে দিয়েছে ! অনেক অনেক লাইক এই লাইন কয়টার জন্য ।

আমিও একমত।
ধন্যবাদ আপনাকে।

৩১ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:৩৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ হাসি একটা সংক্রামক ব্যাধি। আপনার হাসি দেখে আমার হাসি থামছে না। আপনার হাসি বাঁধ ভেঙেছে উছলে উঠছে গান, ও তানিয়া দয়া করে এবার হাসি থামান:):):)

পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১০| ৩১ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:২৬

সায়েম মুন বলেছেন: যত যাই বলেন না কেন ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্টের মেয়েদের তুলনা হয় না। ওসব বিড়াল চামড়া নারীরা ছবি আর মুভিতেই সুন্দর। কাছে ঘেঁষলে ঘসঘসে চামড়ায় ত্বকের মলিনতা চোখে পড়ে:P

৩১ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:৪০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ১০০% একমত। পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ। কেমন আছেন কবি সায়েম মুন?

১১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:২৬

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: এই মানের লেখা আমাকে দিয়ে একজীবনে হবে না, দারুন বাক্যবিন্যাস, দারুন উপমা।

আর হ্যাঁ, নিচের লাইনটা -

"......তুলনায় বাংলাদেশের মেয়েদের মনে হয়েছে ‘অতুলনীয়া’।"

এলাইনটার সাথে যে একমত হবে না তার তার সাথে আমি "খেলমুনা"।

ক্যামন আছেন ভাই, আপনার দুই রাজপুত্র-কন্যা ক্যামন আছে ?


৩১ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:৪৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বিনয় মানুষকে অনেক বড় করে, যার তুলনা হয় না। আপনি একজন মহান মনের মানুষ।

এ লেখাটার শুরু এখানে।

আমি ভালো আছি। বড় ছেলে ঢাকাতে, নটরডেম কলেজে পড়ছে। এই ঈদে যোগ হয়েছে এক ভাতিজা। তার মা তাকে কন্ট্রোল করতে পারছিল না:( নাইনে পড়ে। বাসায় নিয়ে এলাম আমার কাছে। কয়েকদিন পড়াচ্ছি নিজেই। এতো মেধাবী ও বাধ্যগত ছেলে গাঁয়ের 'চাটে' পড়ে উচ্ছন্নে যাচ্ছিল। মেয়ে পরছে ১০ম শ্রেণিতে। সবচেয়ে ছোটোজন নার্সারিতে পড়ে:) সবাই ভালো আছে।

পোস্ট পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:২৮

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: @ জুন : "খালা আপনি আমার চোখ দিয়ে ওর দিকে তাকিয়ে দেখেন, ও কত সুন্দর"।

এই লাইনটা মনে গেঁথে গেছে.....

৩১ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:৫১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: জুন আপু খুব ভাগ্যবতী। এমন প্রেমিক-স্বামী যার, তার মতো সুখী আর কে? দুলাভাইয়ের মাহাত্ম্য আমাদের জন্য শিক্ষণীয় দিক।

১৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:৩৬

আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
আপনাকে ধন্দে ফেলতে পেরে ভালো লাগছে :P নিজেই ধন্দে পড়ে আছি গত কিছুদিন যাবত !

৩১ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:৫৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনি ধন্দে পড়ে আমাকেও ধন্দে ফেলে দিলেন:(

১৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:৪৪

বাঁধলেই বাঁধন বলেছেন: রোমান্টিক লেখা ! তাই ভরদুপুরে পড়তে চাচ্ছিনা । রাতের নীল চাঁদটা উপভোগ করে... তারপর পড়বো ? :-B

৩১ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:৫৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এটা একটা দারুণ আইডিয়া তো!

১৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:৫৪

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: আমার ও' কোমল সময়ে আমাকে প্রায়ই প্রশ্ন করে, কেন তাকে ভালবাসলাম, কিদেখেছি তার ভেতর ? উত্তরে তাকে বলি, প্রথম দেখায় একমাত্র তোমার চোখের মাঝেই যা দেখেছি, তার জন্যই বেচে থাকতে পারব একজীবন, জুনে'র ২ নং কমেন্টটি পড়েই এটা মনে পড়ল......

৩১ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:৫৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বউ বা প্রেমিকাকে কেন ভালোবাসেন তার এক হাজারটা কারণ খাতায় লিখে ফেলা সম্ভব। এটা করবেন না, তাতে আপনার ভালোবাসা বা ভালোলাগার কারণগুলো সীমিত হয়ে গেলো। ভালোলাগার কারণগুলো সংখ্যায়িত করা যায় না; কোনো নির্দিষ্ট কারণে ভালোবাসেন না; ভালোলাগার মূল কারণগুলো অনেক সময় খুঁজেও পাওয়া যায় না, এতোটা অজ্ঞাতবাসী।


আপনাদের জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা থাকলো।

১৬| ৩১ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:০১

মাক্স বলেছেন: এককথায় প্রকাশ; মারাত্মক সুন্দর মেয়ে=মাতো
টারকিশ দেইখা মনে পইরা গেল একটা পেন্ট কিনতে গেছি টারকিশ কইয়া ধরাইয়া দিসে। আইন্না দখি মেইড ইন বাংলাদেশ। B-) B-) B-)

৩১ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:২৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ আমরা মূলত বিদেশি বস্তুর নামে টাসকি খেয়ে থাকি। কিন্তু ওটা যদি বি.দেশি (বি.>বাংলা) হয় তাহলেও টাসকি না খেয়ে উপায় থাকে না:(

একবার সুদানে ছিলাম। দেশে ফেরার আগে শপিংয়ে গেলাম 'অম্দুরমান' নামক জায়গায়। চাইনিজ জিনিসে ভরপুর, মিশর, সউদি আরব ও ভারতের পণ্যও প্রচুর। ছেলেমেয়ের জন্য পোশাক খুঁজতে গিয়ে হঠাৎ যা চোখে পড়লো তা স্বপ্নেও ভাবি নি- মেড ইন বাংলাদেশ। ব্যাপারটা এতো আনন্দময় ও গৌরবের ছিল যা ভাষায় বোঝানো অসম্ভব। দোকানিকে তখন বললাম, এ কাপড় আমাদের বাংলাদেশে তৈরি। এরপর যতগুলো দোকানে ঘুরলাম, ফাঁক পেলেই দোকানিকে জিজ্ঞাসা করতাম, বাংলাদেশের কোনো পোশাক আছে কিনা। বাংলাদেশের কাপড় কেনার জন্য নয়, বাংলাদেশের পোশাক সুদানে কতোটুকু ঢুকতে পেরেছে তা এ্যাসেস করার জন্য এরূপ জিজ্ঞাসাবাদ করতাম।

সেবার বাংলাদেশের ম্যাংগো বার, প্রাণ চানাচুর, প্রাণ বাদাম সহ বেশ কিছু খাদ্যদ্রব্যও নিয়ে গিয়েছিলাম। ম্যাংগো বার খেয়ে বিদেশিরা 'টাসকি' খাওয়ার মতো অবস্থা। ভাবছিলাম, এসব খাদ্যদ্রব্যের কিয়দংশ বিনামূল্যে বাসার নিকটস্থ কোনো দোকানে দেবো দেখার জন্য যে এগুলো সুদানিদের আকৃষ্ট করে কিনা। কিন্তু ব্যাপারটা আমি ভুলে গিয়েছিলাম। অনেকদিন পর একটা মোটামুটি ভালো মানের দোকানে ঢুকতেই দেখি একটা কর্নারে থরে থরে ঝোলানো রয়েছে চানাচুর, বাদাম, ইত্যাদি। বাংলাদেশের ৬টাকার বাদামের প্যাকেট ৫০ টাকা দরে কিনে বাসায় নেয়ার পর এটা দেখে সবাই 'টাসকি' খাওয়ার মতো অবস্থা।

কথাগুলো অপ্রাসঙ্গিকভাবে চলে এলো।

আপনার এক কথায় প্রকাশ 'মাতো' মারাত্মক হয়েছে:)

শুভ কামনা মি. মাক্স:)

১৭| ৩১ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:২১

বিতর্কিত বিতার্কিক বলেছেন: সৌন্দর্য ব্যাপারটা একেবারেই আপেক্ষিক। সৌন্দর্যের ছোট একটা অংশ জুড়ে আছে দৈহিক বা শারীরিক সৌন্দর্য যা উপেক্ষা করার যেমন কোন কারন নেই তেমনি অত্যাধিক গুরুত্ব দেওয়ারও কিছু দেখিনা।

আপনার বর্ণনা ভঙ্গি অসাধারণ।

আর কৈশোরের আফরোজাদের কথা বলব? পূর্ণযৌবনের কয়েকশো সুস্মিতা, আঞ্জেলিনা জোলি, ঐশ্বরিয়া সাধ্য কি কোন এক কৈশোরের আফরোজার হাসির সাথে পাল্লা দেয়?

তবে সুন্দরকে শুধু সুন্দর বা উপভোগ্য হিসেবে দেখতে আমরা অনেকেই অভ্যস্ত নই। উপভোগের চেয়ে ভোগের আগ্রহই যেন বেশি চোখে পড়ে। এই স্থুলতা পরিহার করা গেলেই সুন্দরের প্রকৃত উপলব্ধি সম্ভব।

চমৎকার লেখার জন্য আবারও ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন, শুভেচ্ছা নিরন্তর।

৩১ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:৩৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার বক্তব্যের সাথে একমত। আপনার সারগর্ভ মন্তব্য এ পোস্টকে অনেক সমৃদ্ধ করলো। ধন্যবাদ জানবেন।

সময় হলে একবার ঢুঁ মারবেন এখানে।

১৮| ৩১ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:৪১

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: সেটা অবশ্যই ঠিক, জুনের বরের ঐ লাইনটি পড়েই নিজের কথা মনে পড়ে গেল তো.............।

আসলে কেনো ভালবাসি, তরল সময়ে উত্তরটি হবে হরলিক্স এর মত "এমনিই"। আরও জোর করে ধরলে "জানিনাতো" ;)

৩১ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:৪১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: জুনের বরের ঐ লাইনটি পড়েই নিজের কথা মনে পড়ে গেল তো.............
এ লাইন পড়ে কেবল হাসি পাচ্ছিল:):):)



আমিও তো এমনি এমনিই ভালোবাসতাম!

‘তোকে ছাড়া আমি বাঁচবো না’, অহনা এক দিবসে এ কথাটা আমায় একশত বার বলতো। ‘কেন আমায় এতো ভালোবাসিস, তার তিনটি কারণ আমায় বল্ তো সোনা’, আমি খুব আগ্রহ নিয়ে ওর কাছে এক দিবসে একশত বার এর উত্তর জানতে চাইতাম। জানার জন্য আমি যতোই অস্থির হয়ে উঠতাম, অহনা ততোই শান্তসৌম্য ভাব নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে থাকতো।

তিন বছরের মাথায় অহনা ওর এই ‘ভালোবাসা-দর্শন’ আমাকে জানালো; তারপর আমাকে পাগলের মতো এতো ভালোবাসার একটা কারণও না জানিয়ে চলে গেলো।

১৯| ৩১ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:০২

রূপা কর বলেছেন: আপনি খুব ভালো লিখেছেন

৩১ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:৪১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ রূপা কর।

২০| ৩১ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:০২

ব্লগপাতায় কামরুন নাহার বলেছেন:
‘…ভারী বাতাসে উড়াল দিতে দিতে আমার ডানায় এখন জমাট ক্লান্তি- হায়, তোমরা পরীর দেশে উড়ে উড়ে ঘুরে ঘুরে সরে যেতে থাকো, নীল উড্ডয়নে আমি কেবল ভাসতেই থাকি, জমে যেতে থাকি প্রগাঢ় ঠাণ্ডা ও তমিস্রায়- যেখানে আফরোজার একঝাঁক ছায়া ঝাপসা হাত নেড়ে নেড়ে নিবিড় আকুতি জানায়, আর দিগন্তের সুরের সাথে মিলিয়ে যায়।’
একগুচ্ছ ভালো লাগা...

৩১ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:৪৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, নিয়মিত কেন পাই না? কেন মেঘ এলে ঢাকার শহরে চটপটি কিনে খাই না:)

পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

২১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:১১

মতামত চাই বলেছেন: আপনি লেখালেখি করলে ভাল করতে পারবেন।

৩১ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:৪৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: দোয়া করবেন যাতে লেখালেখি করতে পারি।

২২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:১৭

ভারসাম্য বলেছেন: যা বলতে পারতাম তার অনেক কিছুই উপরে মন্তব্যে বলা হয়ে গেছে। সেখানে জুন'র মনতব্যে "খালা আপনি আমার চোখ দিয়ে ওর দিকে তাকিয়ে দেখেন, ও কত সুন্দর" কথাটা দারুন লাগলো।

আমি ঠিক তথাকথিত মানবতাবাদীদের মত করে বলবনা যে, পৃথিবীর সকল প্রান্তের সব মেয়েরাই সুন্দরী। বরং জুনাপু'র মত করে বলব, সৌন্দর্য আসলে দর্শকের দৃষ্টিভঙ্গী, রুচিবোধ বা অভ্যস্ততার সাথে সমানুপাতিক।

যদিও আমার কাছেও বাঙালী মেয়েরাই হয়তো সবচেয়ে সুন্দর কিন্তু এ কেবলই আমার রুচি ও অভ্যস্ততার ব্যাপার। কোন আফ্রিকান নিগ্রো যুবকের কাছে হয়তো তার স্বগোত্রীয় কোন কৃষ্ণবর্ণা লাস্যময়ী তরুনীই সবচেয়ে সুন্দরী হতে পারে।

শেষে আমিও অন্য অনেকের মতই এই লেখার একদম শুরুর অংশটা কোট করার লোভ সামলাতে পারলাম না।

মেয়েটি সুন্দরী; আমরা সুন্দরী মেয়েদের নিয়েই কাব্য লিখি; যারা সুন্দরী নয়, তারা বড়জোর মানবতাবাদীদের সামান্য কৃপা পেয়ে থাকে মাঝে-সাঝে, সেটা মেয়েটির জন্য নয় যতোটা, তার চেয়ে ঢের বেশি তাঁদের নাম ফাটিয়ে অস্তিত্ত্ব ও কৃতিত্ব জাহিরের জন্য।

খুবই সুন্দর একটা ভূমিকা দিয়ে শুরু লেখা খানি যে সৌন্দর্য বজায় ছিল পুরো লেখায়। লেখায় অনেক অনেক ভাল লাগা এবং আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

৩১ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:৫২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনাদের ভারী ভারী মন্তব্যে ধীরে ধীরে মূল পোস্ট সমদ্ধতর হয়ে উঠছে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও বুদ্ধিদীপ্ত কথা বলেছেন- যদিও আমার কাছেও বাঙালী মেয়েরাই হয়তো সবচেয়ে সুন্দর কিন্তু এ কেবলই আমার রুচি ও অভ্যস্ততার ব্যাপার। কোন আফ্রিকান নিগ্রো যুবকের কাছে হয়তো তার স্বগোত্রীয় কোন কৃষ্ণবর্ণা লাস্যময়ী তরুনীই সবচেয়ে সুন্দরী হতে পারে।

অনেক অনেক ধন্যবাদ ভারসাম্য।

২৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:২৭

বড় বিলাই বলেছেন: সৌন্দর্য্য নিয়ে সুন্দর করে লেখাও আরেকটা সৌন্দর্য্য।

৩১ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:৫৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আপু সুন্দর কথাটার জন্য।

২৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:৪৮

চেয়ারম্যান০০৭ বলেছেন: আসলে সৌন্দর্য ব্যাপার টাই আপেক্ষিক।আপনার কাছে যা সুন্দর আমার কাছে তা নাও হতে পারে এবং ভাইসভার্সা।অনেক সময় আমরা একজনের সৌন্দর্যের মাঝে আরকজনকেও খুজে পেতে চাই।যাই হোক লেখাটা পড়ে খুব ভালো লাগলো কারন মনে হলো আপনার নিজের ঘটনাই বলছেন।চমৎকার পোস্টে ভালোলাগা।শুভকামনা,।

৩১ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:৫৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আসলে সৌন্দর্য ব্যাপার টাই আপেক্ষিক। এ কথার সাথে দ্বিমত করার কোনো কারণ ও সুযোগ নেই।

পোস্ট পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ চেয়ারম্যান সাহেব।

২৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৭

সান্তনু অাহেমদ বলেছেন: সৌন্দর্যের নির্দিষ্ট কোন রূপ, রস, গন্ধ আছে। কিন্তু সুন্দরের তা নেই।

দু'টোর মধ্যে কোনটি নেবে? কেউ প্রশ্ন করলে আমি ২য়টা নেব নির্দ্বিধায়।

তবে, চোখ খুব ভালোবাসি। কেননা, চোখের মধ্যে দিয়ে আত্মার ছায়া দেখতে পাই।

পোস্টে ভালোলাগা ও +

৩১ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ৮:৫৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সুন্দর আর সৌন্দর্য্যের মধ্যকার মূল পার্থক্য বুঝবার চেষ্টা করছি:(

চোখ আমিও খুব ভালোবাসি। দারুণ বলেছেন- চোখের মধ্যে দিয়ে আত্মার ছায়া দেখতে পাই।


***

ডাবের পানির মতো ঘোলা হলো সূক্ষ্ম প্রেমের মতো চোখ
কী দেখে চোখের ভেতরের চোখ, দূরের ভবিষ্যতে?

কে আমারে আর দেবে তোর অপ্রেমের মতন অসুখের সুখ?
তোর সাথে সবটুকু চলে গেছে পিছু পিছু, সোনার কদম ফেলা পথে।

পুরোনো, চোখের ভেতরের চোখে

২৬| ৩১ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৮

সায়েম মুন বলেছেন: ভাল আছি কবি। পরিবার পরিজন নিয়ে আপনিও ভাল থাকুন :)

৩১ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ৮:৫৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ভালো থাকাটা একটা বিরাট ব্লেসিং। দোয়া করবেন যেন আমরাও ভালো থাকতে পারি।

২৭| ৩১ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ৮:০০

তাসনুভা সাখাওয়াত বীথি বলেছেন: সত্যি সুন্দর পোস্ট । পোস্টে + + ।

৩১ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ৮:৫৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ বিথি।

২৮| ৩১ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ৮:০৪

নীলঞ্জন বলেছেন: চমৎকার পোস্ট।

ভালো লাগা রইল বেশ।++++++++

৩১ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ৯:০০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ নীলঞ্জন।

২৯| ৩১ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ৮:৩৪

ব্লগপাতায় কামরুন নাহার বলেছেন: জী নিয়মিত হওয়ার চেষ্টা করছি। ঢাকার শহরে চটপটি খাওয়ার কবিতা দেখে একটা গল্প মনে পড়লো... বাংলাদেশে ভালো আবহাওয়ায় সেধে নিমন্ত্রণ চাইলেও নাকি মানুষ ?খরচের ভয়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়! :) অনুপ্রাণিত করার জন্য ধন্যবাদ।

৩১ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ৯:০২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ গল্পটা দারুণ।



অনুমানটা ঠিক না। অন্য কতো কারণ থাকতে পারে, যা বলা যায় না:(

শুভ কামনা।

৩০| ৩১ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ৯:৫৯

ইশতিয়াক আহমেদ চয়ন বলেছেন: ১৭ তম ভালোলাগা রইলো :)

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৭:৫৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ চয়ন ভাই।

৩১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:০৬

রাতুল_শাহ বলেছেন: আপনার পোষ্টের সূচনাটা অসম্ভব ভাল লাগল।


সৌন্দর্য্যের ব্যাপারটা আপেক্ষিক.......... চাচার কথা মতে রুপবতী বউ ৬মাস ভাল লাগে- কিন্তু গুণবতী বউ আজীবন ভাল লাগে।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৮:০৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: চাচার কথাটা তো বাণী চিরন্তনী - রুপবতী বউ ৬মাস ভাল লাগে- কিন্তু গুণবতী বউ আজীবন ভাল লাগে। 'সৌন্দর্য' হলো সব ভালো গুণের সমাহার বিশিষ্ট বৈশিষ্ট্য।

ধন্যবাদ কবি রাতুল শাহ।

৩২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৭:৫২

তুমি আমায় ডেকেছিলে ছুটির নিমন্ত্রনে বলেছেন: তোমাদের প্রতিদিন কনফারেন্স টেবিলের উলটো পাশে দেখি, দেখি আর কৈশোরের আফরোজাকে খুঁজি - ভারী বাতাসে উড়াল দিতে দিতে আমার ডানায় এখন জমাট ক্লান্তি- হায়, তোমরা পরীর দেশে উড়ে উড়ে ঘুরে ঘুরে সরে যেতে থাকো, নীল উড্ডয়নে আমি কেবল ভাসতেই থাকি, জমে যেতে থাকি প্রগাঢ় ঠাণ্ডা ও তমিস্রায়- যেখানে আফরোজার একঝাঁক ছায়া ঝাপসা হাত নেড়ে নেড়ে নিবিড় আকুতি জানায়, আর দিগন্তের সুরের সাথে মিলিয়ে যায়---------আমার তো শেষটাই ভালো লাগলো

আমি সবার আগে দেখি মন , কারো সাথে কিছুক্ষন কথা বললেই আমি তার মনটা অনেকটা
ধরে ফেলতে পারি তারপর দেখি হাসি --- সৌন্দর্যের আপেক্ষিক

সুন্দর লেখায় ++++

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৮:১৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনি পোস্টের মূল অংশটুকুই উদ্ধৃত করেছেন; সমগ্র রস শুরু থেকে ধীরে ধীরে ঘনীভূত হতে হতে পোস্টের শেষাংসে এসে পূর্ণতাপ্রাপ্ত হয়েছে। বলা যেতে পারে এ কথাগুলো বলবার জন্যই অমন কিছু 'সূচনা'র অবতারণা হয়েছিল।

আমি সবার আগে দেখি মন, কারো সাথে কিছুক্ষণ কথা বললেই আমি তার মনটা অনেকটা ধরে ফেলতে পারি, তারপর দেখি হাসি। এটাই হওয়া উচিত। তবে কোনো এক আচানক দৃষ্টি, তীব্র আগুনজ্বলা একজোড়া নেশাঘোর চোখ- বুকের পর্দা ছিদ্র করে হৃৎপিণ্ড ফালি ফালি করে দিতে পারে। এসব কখনো বড্ড আচানক ঘটে যায়। গুরুগম্ভীর ব্যক্তিত্ত্বময় এক টুকরো স্মিতহাস্যে কেউ কেউ সহসাই তলিয়ে যেতে পারে। ইত্যাদি। এগুলো ব্যাখ্যাতীত।

ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

৩৩| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৫২

ফারাহ দিবা জামান বলেছেন: এত সুন্দর লেখা আর কমেন্ট , সব কিছু পড়ে নিয়ে মনে হচ্ছে , সবাই আমার মনের সবগুলো কথাই বলে দিল ।আমার জন্য আর কিছু বাকী নেই ।
তবু লেখার লোভ সামলাতে পারছি না ।
আফরোজাদের হাসি কেন ভোলা যায় না জানেন ?
সুন্দর বলে নয় কিন্ত ।তারা যখন হাসে , হাসির সাথে তাদের মনগুলো পাহাড়ি নদীর মতন আকুলি বিকুলি পথ বেয়ে নীচে নামতে থাকে । প্রেমিক মন সে নদীর উথাল পাতাল স্রোতে ডুবে যায় , ভেসে যায় । আফরোজারা থাকে না । থাকে জলের রিমঝিম শব্দ , যা চিরটা কাল মনকে অবশ করার ক্ষমতা রাখে ।
অতীব সুন্দরী , সুন্দরী নয় , যদি তার মনের মানচিত্র সুন্দর না হয় ।
কম সুন্দরীও মায়াবিনী , পলক না ফেলা সুন্দরী হতে পারে , মনের অবারিত সবুজ মাঠের জন্য ।
ভাল থাকবেন ভাইয়া ,
পৃথিবীর সকল সুন্দর নিজের মনে ধারণ করে ,
লেখাটা অসাধারণ হয়েছে ,
তাই এত কথা বললাম ।
গল্প লেখা আমার কাছে অত্যন্ত কঠিন বিষয় মনে হয় । আমি বোধ হয় কোনদিনও পারব না ।
আর কি অবলীলায় এত সুন্দর করে জীবনের বোধ গুলোকে বাক্য বিন্যাসে গেঁথে ফেলেন ,
সত্যিই অবাক লাগে ।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৮:০৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: খুব সুন্দর। চমৎকার কথা বলেছেন আপু।


আফরোজাদের হাসি কেন ভোলা যায় না?


***
যে গানটি শোনা হয় নি, যে কবিতাটি লেখা হয় নি...
একটা চিঠি হারিয়ে গেলে প্রথম প্রেমিকার
একটা সম্পর্ক ভেঙে গেলে, অনেক পুরোনো ও মধুর

ভুলে গেছি তার কাঁকনের রং, চুলের গহনে নিঝুম আঁধার
খুব দূরে, খুব খুব দূরে একটা অচেনা সুর ভেসে যেতে যেতে দিগন্তে মিশে যায়
মধুরতম গানটি শোনা হলো না

এমন একটা গানের জন্য হু হু করে বুক, তৃষ্ণার মতো অতৃপ্তিময় জ্বালা
কী বাণী লেখা ছিল গানের শরীরে? কার কথা লেখা ছিল করুণ হরফে?
আমি কি চিনি সেই দুঃখিনী মেয়েটাকে? তার গায়ের বর্ণ, ‘উজান গাঙের নাইয়া’র পানে চেয়ে থাকা ছলছল চোখ; আমি কি দেখেছি কোনওদিন দুঃখিনী মেয়েটাকে?
প্রিয় কবিতাটি লেখা হলো না আজও

পেন্সিলের আনাড়ি দাগের মতো দুর্বোধ্য হস্তাক্ষরে
লেখা ছিল কাঁচা বয়সের প্রথম চিঠিটা
আমি কি সেই ভাষা বুঝি? সেও কি হায় বুঝতো অনাগত প্রেমের যন্ত্রণা?
শার্টের নিচপকেটে, লুঙ্গির কোঁচড়ে, বেড়ার ফাঁকে, বইয়ের ভেতরে ঘুরতে ঘুরতে
অমোঘ বিধানে চিঠিটা সত্যিই হারিয়ে গেলে হন্যে হয়ে ছুটতে ছুটতে
একদিন অনায়াসে বুঝি- এর নাম প্রেম নয়, কুহক
কী লেখা ছিল চিঠির ভাষায়? আহা, আজও আফরোজার ঠিকানা জানি না;
অনেক দূরে ঝাপসা গোধূলিতে ওড়না উড়িয়ে আফরোজা হেঁটে যায়
আর ওর চিঠিটার মতো একটা অচেনা সুর ভেসে যেতে যেতে মিশে যায় দিগন্তে

এমন একটা কবিতা লেখা হলো না, এমন একটা গান শোনা হলো না
আফরোজার চিঠিটা কোথায় হারিয়ে গেলো

আড়িয়াল বিলের ওপারে তার মায়ের বাড়ি, পশ্চিমে তার বাপের ভিটা
মাঝখানে সমুদ্র আর ঢেউ
তোমরা যদি কেউ কোনওদিন আফরোজাকে ভেসে যেতে দেখো
আমায় অন্তত একটুখানি খবর দিও

৩৪| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:১২

সোমহেপি বলেছেন: ধুর! মেয়ে কৈ এত দেখি মহিলা /:)

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৮:০৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ বড় আপু একটা গান গেয়েছেন - আমাকে দেখার সেই চোখ তোমার কই গো!

কেমন আছেন? ঈদ মুবারক।

৩৫| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩২

ব্লগপাতায় কামরুন নাহার বলেছেন: সুন্দর আর সৌন্দর্য বিষয়ে আলোচনা উপভোগ করার মতো।

‘‘... My beloved, in you I find refuge
Beauty is sweet for a short time
And then it is gone
Knowledge is precious
But we will never have time to complete it
All is done and finished
In eternal heaven
But our life here is eternally fresh

Keep that in mind, and love...’’ আমার নয় রবী ঠাকুরের কথা।

ভদ্রমহোদয়গণ একদিন মহিলাদের ভদ্রমহিলা বলে সম্বোধন করবেন সেইদিনের প্রত্যাশা। সবার জন্য শুভকামনা।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৮:১৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সুপ্রিয় ভদ্রমহোদয়া, আপনার উপস্থিতি খুব ভালো লাগছে। আপনার উদ্ধৃতি অসাধারণ।





Nothing lasts forever
No one lives forever
Keep that in mind, and love

Our life is not the same old burden
Our path is not the same long journey
The flower fades and dies
We must pause to weave perfection into music
Keep that in mind, and love

My beloved, in you I find refuge

Love droops towards its sunset
To be drowned in the golden shadows
Love must be called from its play
And love must be born again to be free
Keep that in mind, and love

My beloved, in you I find refuge
Without seeing my love, I cannot sleep

Let us hurry to gather our flowers
Before they are plundered by the passing winds
It quickens our blood and brightens our eyes
To snatch kisses that would vanish
If we delayed

Our life is eager
Our desires are keen
For time rolls by
Keep that in mind, and love

My beloved, in you I find refuge

Beauty is sweet for a short time
And then it is gone
Knowledge is precious
But we will never have time to complete it
All is done and finished
In eternal heaven
But our life here is eternally fresh
Keep that in mind, and love

৩৬| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৮:২৫

ব্লগপাতায় কামরুন নাহার বলেছেন: Lisa Bonet অপূর্ব গেয়েছেন বার বার শুনেও প্রাণ ভরে না। পুরো গানটি তুলে ধরার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ সুপ্রিয় ভ্রদ্রমহোদয়... :):)

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:০৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ মহোদয়া:)


কোনো এক মহোদয়ার উদ্দেশে অনেক আগে কেউ একজন লিখেছিল:)

***

সুপ্রিয় মহোদয়া, আমাদের আদি পিতামাতাগণ যেদিন গন্ধম খেয়ে
অভিশপ্ত হলেন, অতঃপর মর্তে করলেন অবতরণ, আপনার প্রতি আমার
অনুরাগের অঙ্কুরোদগম বস্তুত সেদিনই ঘটেছিল। আপনি চমকাবেন না, আমার
বাম পাঁজরের হাড় থেকে এক টুকরো তুলে নিয়ে
আপনার পুরো শরীরের অবকাঠামো গড়া হয়েছিল, প্রকৃতপক্ষে আমাদের
আদি পিতামাতাগণেরই অনুরূপে; আপনি জ্ঞানবতী, বুদ্ধিমতী,
এসব জানেন বলেই আপনি আজ আর চমকাবেন না, তা আমি ঢের জানি।
আপনার শিরা-উপশিরায়, ধমনিতে, হৃৎপিণ্ডে, আপনার সর্বশরীরে
আমার শরীরেরই রক্তস্রোত অনর্গল প্রবহমান, তেমনি আমার শরীরেও অবিরল বহে একই রক্তকণিকার ধারা। আপনার হৃৎপিণ্ডে অনবরত বেজে চলা টিকটিক
ধ্বনি আমি প্রবল শুনতে পাই। বস্তুত আমি আর আপনি, আপনি আর আমি, আপনার স্মৃতি থেকে খুঁজে বের করে দেখুন, সহস্র বৎসর পূর্বে আমরা আরেকবার মিলিত হয়ে নিশ্চিত করেছিলাম, আমরা অভিন্ন ও একক সত্তা বটে। তাই মহোদয়া, আপনাকে এক ঝলক দেখলেই মনে হয়, অনাদি বৎসর আগে থেকেই আমাদের পরিচয়। এজন্য মহোদয়া, আপনাকে আমি এতো কঠিন ভালোবাসি।

কিন্তু মহোদয়া, এতো নিষ্কাম প্রেম পৃথিবীতে আর কোথাও কোনোদিন রচিত হয় নি; এর বাইরে যদি কিছু একটা সংঘটিত হয় মহোদয়া, আপনি জেনে রাখুন, সেটা বড্ড অলীক হবে, অসিদ্ধ এবং অবৈধ হবে। একই রক্ত ও একই আত্মায় তা ঠিকও নয়।

***
সেই 'কেউ একজন' আর কে হবে:)

৩৭| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৫৫

শহিদুল ইসলাম বলেছেন: শুধু বলব , দুর্দান্ত ! শুরু থেকে সমাপ্তি পর্যন্ত কোথাও টলে যায় নি !

শব্দ চয়ন চমৎকার !

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:২৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ কবি শহিদুল ইসলাম। আপনার পরের কবিতা কবে আসবে?


শুভ কামনা।

৩৮| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:২৮

উম্মে মারিয়াম বলেছেন: ভাইয়া পিচ্চিটা কে?অনেক দিন ধরে জিজ্ঞেস করব করব করেও করা হচ্ছিলনা।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পিচ্চি সাহেবের নাম ফারিহান আল মাহ্‌মুদ লাবিব (আদিব)। তাঁর বয়স যখন ৩-৫ মাস, তখন এ ছবিটি তোলা হয়েছিল। বর্তমানে তিনি নার্সারিতে অধ্যয়ন করছেন:)

লাবিবের কাণ্ডকীর্তি

৩৯| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৪১

যাযাবর৮১ বলেছেন:

ভালু পোস্টু :)
পাইছি টেস্টু :-B



পূর্ণতার মাঝে জীবন সাজুক
অপূর্ণতার মাঝে পূর্ণতা আসুক।
শুভকামনা সর্বক্ষণ
থাকুক সুস্থ দেহ মন। :)

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনাকে ভাই থ্যাঙ্কু দিলাম এক ট্যাঙ্কু:)

শুভ কামনা।

৪০| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৩:০৯

নিশাচর ভবঘুরে বলেছেন: মানুষের বয়স বাড়লে কি হাতের আঙ্গুলের বয়স কমে? ;)


আপনার আঙ্গুলগুলো কী-বোর্ডে অসাধারণ সব শব্দ টাইপ করে যাচ্ছে :)


++++++++++++

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার বিনয়ী মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।

৪১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৩:৩৭

অনাহূত বলেছেন:

লেখনীতে আপনার দর্শন খুব সুন্দর ফুটে উঠেছে। তর তর করে পড়ে গেলাম উপর থেকে নিচ পর্যন্ত। মেয়েদের সৌন্দর্য্য যেভাবে আপনার লেখায় ফুটে উঠেছে, এই লেখা যে কোন মেয়ে পড়লেই সম্ভবত: মন ভালো হয়ে যাবে। আর কনফারেন্স টেবিলের উল্টো পাশে বসা মেয়েদের নিয়ে উড়াল দেয়ার ইচ্ছেটা খারাপ না।

আবারো বলছি, আপনার খুব সুক্ষ্ণ দর্শন। খুব ভাল লাগল।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ১। মেয়েদের সৌন্দর্য্য যেভাবে আপনার লেখায় ফুটে উঠেছে, এই লেখা যে কোন মেয়ে পড়লেই সম্ভবত: মন ভালো হয়ে যাবে। :):):)

২। আর কনফারেন্স টেবিলের উল্টো পাশে বসা মেয়েদের নিয়ে উড়াল দেয়ার ইচ্ছেটা খারাপ না। :):):)

গুরুত্বপূর্ণ কথাগুলো কোট করার মতো, তাই কোট করলাম উপরে:)

আমার দর্শন সুক্ষ্ম, এটা জেনে খুব চিন্তিত হচ্ছি- আসলেই দৃষ্টি বা 'দর্শন' খুব ক্ষীণ হয়ে আসেছে, রিডিং গ্লাস পড়ি এখন:)

আপনি কিন্তু এ ধাঁধাটি সল্‌ভ করতে পারবেন না, এতো কঠিন! :):):)

৪২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৩:৫০

হিবিজিবি বলেছেন: অভিজ্ঞতা আর অনুভূতির চমৎকার প্রকাশ ঘটেছে লেখাটায়। সৌন্দর্য ব্যাপারটা যেমন আপেক্ষিক তেমনি আবার কিছু শ্বাসত সৌন্দর্যের ব্যাপারও থাকে, যেগুলোকে কেউ উপেক্ষা করতে পারেনা। তবে মানুষের সৌন্দর্য যতটা না রূপে তার চেয়ে বেশি গুণে, আর রূপে গুণে হলে তো অসাধারণ!!

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কিছু শ্বাসত সৌন্দর্যের ব্যাপারও থাকে, যেগুলোকে কেউ উপেক্ষা করতে পারেনা। যুগে যুগে কবি-মহাকবিগণ সেই শাশ্বত সৌন্দর্যের পাগল ছিলেন, আমি কোন্‌ ছার!

সৌন্দর্যের দেবদেবীগণ এখানে জড়ো হয়েছেন :)

অনেকদিন পর দেখা হলো। কেমন আছেন/ছিলেন?

৪৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৩০

আবু সালেহ বলেছেন:

অসাধারন কিছু কথা দিয়ে সুন্দর একটা পোস্ট সাজিয়েছেন.......................অনেক ভালো লাগা রইলো...

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আবু সালেহ ভাই।

৪৪| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৩৬

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার অর্ন্তদৃষ্টির প্রশংসা করতেই হয়। যে সবকিছু আমাদের মত অতি সাধারনের দৃষ্টি এড়িয়ে যায় খুব সহজেই সেইসব অতি সাধারন অথচ অসাধারন বিষয়গুলো আপনি অতি বিচক্ষনতার সাথে তুলে ধরেছেন আপনার নিপুন লেখনিতে। দারুন


০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শেরজা তপন ভাই। অনেকদিন পর আপনার সাথে সাক্ষাৎ হলো। আপনার চলমান পোস্টের শেষ পোস্টটা খুব উপভোগ্য। এ ধরনের পোস্ট আগেও পড়েছি, যা সুখপাঠ্য ও তথ্যসমৃদ্ধ ছিল। আশা করি আমরা একসাথেই চলবো। ভালো থাকুন।

৪৫| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:১৭

ইসরা০০৭ বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো লেখাটি ।খুব সুন্দর করে লিখেছেন।

+++++

ভালো থাকুন।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৫৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ। অনেকগুলো প্লাস দেখতে পাচ্ছি, একুটা, দুটা...পাঁচটা!!!!

শুভ কামনা।

৪৬| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৩৯

হাসি .. বলেছেন: দারুনতো


অনেক সুন্দর :)

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৫৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৪৭| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৯:৫৮

ঘুমন্ত আমি বলেছেন: বাহ্যিক সুন্দর্য আমাদের আকৃষ্ট করে প্রবলভাবে ! আপনার পোষ্টটি সত্যিকার অর্থেই ভালো লাগলো ।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বাহ্যিক সুন্দর্য আমাদের আকৃষ্ট করে প্রবলভাবে। একমত।

ধন্যবাদ ও শুভ কামনা।

৪৮| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:২৮

অনাহূত বলেছেন:

আপনি আবার ধাধা দিলেন? X( আপনার এই ধাধা পোষ্টটা আমি আগেও পড়ছি। :) কমেন্ট না করেই ভাইগা গেছিলাম। যদি আপনি ধইরা বসেন। কিন্তু হায়! :(

Permutations and Combinations।
ধাধাটা আবারো ভাল করে পড়লাম। আচ্ছা ভাইয়া, প্রশ্নের সিরিয়াল নাম্বারগুলো কি ধরণের অর্থ বহন করে?

ওকে আমি সমাধান করার চেষ্টা করব। ভারসাম্য তো মনেহয় সমাধান করেই ফেলেছেন।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
এ অংকের ধাঁধায় প্রশ্ন নম্বরগুলো বিশেষ অর্থ বহন করে, যার বেশিরভাগ আমার ব্যক্তিগত, কিছু ঐতিহাসিক, কিছু আবার একান্ত ব্যক্তিগত যা সর্বসমক্ষে প্রকাশযোগ্য নয়:( ঐতিহাসিক নম্বরগুলো দেখলেই বোঝা যায়, ব্যক্তিগত গুলো?

:):):)

****

অনাহূত
২৯ নং প্রশ্ন। ব্লগিং একটা সংক্রামক ব্যধি। এ ব্যধি থেকে পরিত্রাণের উপায় হলোঃ
ক। বিয়ে করা।
খ। সবগুলো।
গ। চাকরি ছেড়ে দেয়া।
ঘ। ল্যাপটপ বিক্রি করে দেয়া।

২৯ সংখ্যাটি ব্যক্তিগত; এটি একটি বিশেষ দিনকে নির্দেশ করে। ২৯ মে তারিখে আমার বড় ছেলের জন্ম হয়েছিল:)

****

স্বদেশ হাসনাইন
প্রশ্ন নং ৮৬। সামহোয়্যারইন ব্লগে কোন ক্যাটাগরির পোস্ট সবচেয়ে বেশি উপভোগ্যঃ
ক। ক্যাচাল পোস্ট।
খ। ১৮+ পোস্ট
গ। রম্য পোস্ট
ঘ। কৌতুক পোস্ট

এই ৮৬ নম্বরটা খুব তাৎপর্যপূর্ণ আমার ব্যক্তিজীবনে:) ঐ বছর আমি এইচএসসি পাশ করলাম:) ঐ বছর আমি প্রেমে পড়ে চাপদাঁড়ি রাখলাম:) ঐ বছর আমি প্রেমে ছ্যাঁকা খেয়ে চাপদাঁড়ি সমূলে উৎপাটন করলাম:)

আরো আছে:) ঐ বছর আমি অন্য এক রমণীর পাণি গ্রহণে ব্রতী হই, যিনি বর্তমানে আমার তিন-চতুর্থাঙ্গিনী:)

সর্বেশষ, এবং আরো গুরুত্বপূর্ণ- ঐ বছরই আমার কেরিয়ারের গোড়াপত্তন ঘটে:)

ঘরের কথা আপনজনদের বলে দিলাম:)

***

সুরঞ্জনা
৪৩ নং প্রশ্ন। আপনার চোখে ২০১২ সালে সাহিত্যে সম্ভাব্য সোনা, রুপা ও ব্রোঞ্জ জয়ী ব্লগার কারা?
ক। মাহী ফ্লোরা, স্বদেশ হাসনাইন, ভারসাম্য।
খ। চেয়ারম্যান সাহেব, রেজোয়ানা, জুন আপু।
গ। ইশতিয়াক আহমেদ চয়ন, প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার, কবিশহিদুল।
ঘ। মাহমুদা সোনিয়া, আরজুপনি, শায়মা।

এবার আপনার জন্য ধাঁধা : এই ৪৩ সংখ্যাটি কী হতে পারে, আন্দাজ করে বলুন :):):)

৪৯| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৪৬

ব্লগপাতায় কামরুন নাহার বলেছেন: “এ অংকের ধাঁধায় প্রশ্ন নম্বরগুলো বিশেষ অর্থ বহন করে, যার বেশিরভাগ আমার ব্যক্তিগত, কিছু ঐতিহাসিক, কিছু আবার একান্ত ব্যক্তিগত যা সর্বসমক্ষে প্রকাশযোগ্য নয়” ... এই জন্য ধাঁধার আসরে নিজের সিরিয়াল নাম্বার সম্পর্কে জানতে চাওয়া সম্ভবত সমীচীন নয়... :)

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:১০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:


ব্লগপাতায় কামরুন নাহারের কাছে এটি এরকমঃ

৭০ নং প্রশ্ন। ব্লগিং একটা সংক্রামক ব্যধি। এ ব্যধি থেকে পরিত্রাণের উপায় হলোঃ
ক। ল্যাপটপ বিক্রি করে দেয়া।
খ। চাকরি ছেড়ে দেয়া।
গ। বিয়ে করা।
ঘ। সবগুলো।

এ নাম্বারটি আমার জীবনের সাথেও জড়িত। ইন ফ্যাক্ট সাড়ে ৭ কোটি মানুষের জীবনের সাথে জড়িত তা বলাই বাহুল্য।

ভদ্র মহোদয়ার জন্য শুভ কামনা। আজকাল নিয়মিত দর্শন পাচ্ছি। ভালো লাগছে:)

৫০| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:০৮

অনাহূত বলেছেন:



হা হা হা। আমি অনেকটাই নিশ্চিত আপনার বয়স ৪৩। আমার উত্তর ভুলও হতে পারে। তবে বিশ্লেষণ করি -

০ আপনার বড় ছেলে নটরডেম কলেছে পড়ছে

০ আপনার মেয়ে ১০ম শ্রেণীতে পড়ছে

০ ছোট ছেলে নার্সারীতে পড়ছে

০ ১৯৮৬ সালে আপনি এইচএসসি পাশ করেছেন

০ ১৯৮৬ সালে আপনি একজন সুশীল ভাবী খুঁজে পেয়েছেন যিনি আপনার
৩ চতুর্থাংশই দখল করে আছেন। :)

এই ক্লুগুলো থেকে ধারণা করলাম ৪৩ আপনার বয়স। এখন ঝটপট বলে দিন '৪৩' এর রহস্য কি?

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:২৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনি খুব ব্রিলিয়ান্ট।


উত্তর কাছাকাছি হয়েছে। বিশ্লেষণী ক্ষমতা অসাধারণ। কিন্তু সংখ্যাটা একটা করুণ ইতিহাসের বাহক। আমার বয়সের সাথে সাথে আমার পিছু পিছু এটি হাঁটে বা দৌড়ায়, মৃদু পায়ে।

আমার কলেরা হয়েছিল। আমি মরে যাচ্ছি, বা মরে গেছি হয়তোবা। সারা বাড়ি ভরে কান্নার রোল। আমার মনে আছে এতোটুকু- তৃষ্ণায় আমার বুক ফেটে যাচ্ছে, 'পানি, পানি' বলে আমি অনর্গল চিৎকার করছি, কিন্তু আমার মুখে তুলে দেয়া হচ্ছে ছোট্ট চা-চামচ দিয়ে ফোটায় ফোটায় লবন মেশানো পানি। বুক ফেটে যাচ্ছিল পিপাসায়। এমন দুর্বিষহ অবস্থার ভেতর থেকে তার পরদিন সকালে আমার শরীর ফুরফুরে হয়ে ওঠে। কিন্তু 'অলেছা', আমার চেয়ে দেড় বা ২ বছরের ছোটো, যার সাথে আমি গলায় গলায় হাঁটতাম, খেলতাম, মায়ের দু কোল জড়িয়ে থাকতাম- সে কলেরায় পড়লো ঐদিন ভোর রাতের দিকে। আনুমানিক বেলা ১০টার দিকে অলেছা মারা যায়।

অলেছা গুটি গুটি পায়ে হাঁটতো, আমার মনে পড়ে- আমিও অমন বয়সে অমন করেই হাঁটতাম। ব্যাপারটা ভাবলে খুব অবাক লাগে, মৃত্যুর দুয়ার থেকে আমাকে ফিরিয়ে এনে সেই গুহার ভিতর চিরতরে পাঠিয়ে দেয়া হলো অলেছাকে?

অলেছার চেহারা আমার একটুও মনে নেই। অলেছার কথা আমার আর কোনো ভাই বোনেরা জানে না, বা জানলেও মনে নেই, মনে পড়ে না। অলেছার মৃত্যুর মাস কয়েক পর আমার যে ভাইটির জন্ম হয়, সেই এখন ২য়।

অলেছার কথা মাঝে মাঝেই ভাবি। যে নেই তার অনুপস্থিতি সবচেয়ে বেশি টের পাওয়া যায়। অলেছা বেঁচে থাকলে ওর বয়স আজ ৪৩ হতো। ওর সাথেই মনে হয় সবচেয়ে বেশি কথা শেয়ার করতে পারতাম।

আমি বা অলেছা আলাদা কেউ নই। আমরা দু ভাই বোন ছিলাম।

৫১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:১১

অনাহূত বলেছেন:

ওহ্, আমি আপনার কাছ থেকে আমার লেখার সমালোচনা পাওয়ার অপেক্ষায় আছি।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:০৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:

একজন সুখী মানুষের চেহারা

আমি সমগ্র সুখী মানুষ-
ঠিক শীতে কাঁপা শরীরে যেন নরম রোদ;
গভীর রাতে স্বপ্ন দেখে চিৎকার করে উঠলে
স্ত্রীর কোমল হাত বুক ছুঁয়ে দেয়
অথবা জড়িয়ে ধরে গভীর আবেগে।

আমি সমগ্র সুখী মানুষ-
অফিস শেষে ক্লান্ত দেহে বাড়ি ফিরতেই
আমার ছোট্ট মেয়েটা কোলে উঠে ঘাম মুছে দেয়
সে এখনো ‘ঘাম’ শব্দটা ঠিকভাবে উচ্চারণ করতে পারে না।

আমি যথেষ্ঠই সুখী মানুষ
প্রতিদিন বিকেলে সপরিবারে চলে যাই পার্কে
অথবা মৃদু আলোর কোন রেষ্টুরেন্টে
সবগুলো গর্তবাসী
আমাদের স্বাগত জানায়।

আমি ঠিক ততটাই সুখী
যতটুকু সুখ পেলে মানুষ নিজেকে সুখী ভাবে।

- অনাহূত



সুখের অসুখ

শাদা পৃষ্ঠায় কলম ধরতেই
আমার চারপাশে জমে ওঠে বিষণ্ণ বরফ
এক সময় বিষণ্ণতার তৃষ্ণা চেপে বসে
আঙ্গুলের ভাঁজে ভাঁজে
আমি কলম ছুঁড়ে ফেলে চেপে ধরি মেঘের টুটি
একে একে শেষ করতে থাকি
বিষণ্ণতায় নীল হয়ে যাওয়া এ্যালকোহলীয় মেঘ
পোড়াতে থাকি তামাক দণ্ড।

আমি তো আপাতমস্তক সুখী মানব
আমার কবিতা হবে
সৌখিন শব্দে ভরপুর, হাস্যোচ্ছল ছবি
তবুও বিষণ্ণতা চলে আসে
এ বিষণ্ণতার জন্ম কোথায়?

বিষাক্ত বিষণ্ণতা নিয়ে আমি নুয়ে পড়ি শাদা পৃষ্ঠার 'পর। আমার কানে বাজতে থাকে খুব বিষণ্ণ কোন গান। আহ্ কী হাহাকার! হে মধুর হাহাকার, তুমি কোথায় থাক? আমাকে ছিন্নভিন্ন করে দাও। ব্যবচ্ছেদ করো তোমার ধ্বনিতে। দয়া করে বিষণ্ণতার তৃষ্ণা মিটিয়ে দাও। আমি এক আহিমাচল সুখী মানব।


- অনাহূত


- আলোচনা১৯ নম্বর কমেন্ট

৫২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৪৩

অনাহূত বলেছেন:
কাহিনীটা সত্যিই খুব করুণ।'অলেছা'দির কথা শুনে খুব খারাপ লাগলো। আসলে খুব ছোটবেলার কোন স্মৃতি মানুষের ব্রেইণে একবার ঢুকে গেলে সেটা ভুলা যায় না হয়তো কখনোই।

সচেতনভাবে সচরাচর মনে না পড়লেও অবচেতন মন সবসময়ই মনে রাখে। আমার ধারণা কখনো যদি আপনি ঘোরগ্রস্থ হয়ে যান তাহলে - 'অলেছা..' নামটাই আপনার মুখে চলে আসবে প্রথমে।

ছোটবেলায় আমার বয়স যখন ৩ অথবা ৪ আমি তখন কলেরায় আক্রান্ত হয়েছিলাম। অত ছোটবেলার কথা সাধারণত: কারো মনে থাকে না। কিন্তু আমার স্পষ্ট মনে আছে। আমি সারাদিন ছাদের দিকে তাকিয়ে থাকতাম। আমি অনেককেই আমার চোখের সামনে দেখতাম, কথা বলতাম যাদেরকে আমি চিনি না।

দাদু, আম্মু আমার কানের কাছে দোয়া পড়তেন সারাক্ষণ। দোয়াগুলো্ও স্পষ্ট শুনতে পেতাম এবং মুখস্ত হয়ে গিয়েছিল। এখনো মনে আছে। বড় হয়ে অবশ্য ক্বোরআন পড়তে গিয়ে এই দোয়াগুলো আরো ভাল ভাবে পড়েছি। তাই মনে থাকা ব্যাপারটা স্বাভাবিক।

সারাদিন স্যালাইন চলত। যা ই খেতাম বমি হয়ে যেতো। হাতগুলো অসাঢ় হয়ে গিয়েছিল। আমি যখন সুস্থ হই ঐ সময়কার একটা ছবি আছে। ভয় লাগে ওটা দেখলে।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:২১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ অনাহূত। নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

৫৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩০

ব্লগপাতায় কামরুন নাহার বলেছেন: “যারা কাছে তারা কাছে থাক
তারা তো পারে না জানিতে
তাহাদের চেয়ে তুমি কাছে আছো
আমার হৃদয়খানিতে”..

কাছের মানুষেরা কখনও দূরে যেতে পারে না তাঁদের ভুলে যাওয়ার প্রসঙ্গ অপ্রাসঙ্গিক।
‘অলেছা’ আছে সবচেয়ে কাছে...দিনের আলোর আঁধারে ‘তারা’ দের মতো...

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৩৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
কাছের মানুষেরা কখনও দূরে যেতে পারে না তাঁদের ভুলে যাওয়ার প্রসঙ্গ অপ্রাসঙ্গিক। ‘অলেছা’ আছে সবচেয়ে কাছে...দিনের আলোর আঁধারে ‘তারা’ দের মতো...




যারা কাছে আছে তারা কাছে থাক
তারা তো পারে না জানিতে
তাহাদের চেয়ে তুমি কাছে আছো
আমার হৃদয়খানিতে...

৫৪| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:৫৩

অনাহূত বলেছেন:

ভাইয়া, আপনি কবিতাটাকে দু’ভাগে উপস্থাপন করেছেন। একভাবে বিষণ্নতা আরেক ভাগে সুখ। এভাবে ভাবতেও খারাপ না।

ভালই লাগছে। :)

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৩৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: চেষ্টা করে দেখলাম কী হয়।
:):):)

৫৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:০২

মেহবুবা বলেছেন: পোষ্ট পড়ে এসে মন্তব্য করতে গিয়ে অনাহূতের কবিতার উপহার কবিতা পড়ে ভুলে গেলাম , পোষ্টের কথা ।

ইরানী, তুরানী( জানতে চাইবেন না এরা কারা), ইসরাইলী এমনকি কাশ্মীরি ও নয় ; দক্ষিন এশিয়ার কিছু অঞ্চলের মেয়েরা 'মেয়ে' এবং স্নিগ্ধ, লাবন্যময়ী, সুন্দরী, ভুবনমোহিনী, হৃদয়হরনী যা কিছু শব্দ সব এদের জন্য ।

মাঝে মাঝে রাস্তা দিয়ে চলবার সময় সকালে পোশাক কারখানার উদ্দেশ্যে ছুটে চলা কিছু মেয়ে, সাধারন কমমূল্যের পোষাকে কেমন অপরূপা !

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:২৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
মাঝে মাঝে রাস্তা দিয়ে চলবার সময় সকালে পোশাক কারখানার উদ্দেশ্যে ছুটে চলা কিছু মেয়ে, সাধারন কমমূল্যের পোষাকে কেমন অপরূপা!

আপু, অসাধারণ একটা কথা বলে ফেলেছেন। এ থেকে আমার মনে দারুণ একটা ভাবনা গজিয়ে উঠছে। যদি কিছু লিখে ফেলি, তার ঋণ থাকবে আপনার কাছেই।

আপু, বেশ আগের একটা পোস্টের মূল অংশটা আপনার জন্য নিচে উঠিয়ে দিলাম। এ পোস্টটা খানিকটা বিতর্কিত ছিল বাংলাদেশের কোনো এক টিভি-অভিনেত্রীর ছবি দিয়েছিলাম বলে। পোস্টটা হলো এই : সৌন্দর্যের দেবীগণ; পৃথিবীর সর্বকালের শ্রেষ্ঠ সুন্দরী


***
প্রায় ৫০০০ বছর আগে মিশরীয়গণ ‘প্যাপিরাস’ গাছ থেকে মসৃণ ও সমতল পৃষ্ঠ বিশিষ্ট বস্তু আবিষ্কার করেন, যার উপর লেখাজোকা করা যেতো। দ্বিতীয় শতকের গোড়ার দিকে চীনে কাগজ প্রস্তুতপ্রণালী শুরু হয়; এবং চীন থেকেই মুসলমানদের দ্বারা কাগজের ব্যবহার ছড়িয়ে পড়ে; ইউরোপে কাগজ প্রস্তুত শুরু হয় দ্বাদশ শতকের শুরুতে। ১৮৪৪ সালে কানাডা ও জার্মানে যুগপৎভাবে কাগজের মেশিন আবিষ্কৃত হবার ফলে ব্যাপক হারে কাগজ প্রস্তুত হতে থাকে এবং গোটা বিশ্বে একটা সাংস্কৃতিক পরিবর্তন সাধিত হয়।

১৮১৪ সালে প্রথম ক্যামেরাবন্দি সাদাকালো ছবি তোলা হয়; পৃথিবীর প্রথম রঙিন ছবি তোলা হয়েছিল ১৮৬১ সালে। ১৯০২ সালের আগে কোনো রঙিন চলচ্চিত্র ছিল না।

৩২০০০ বছর আগেও মানুষ গুহার দেয়ালে চিত্রাঙ্কন করতো।

লিওনার্দো দা ভিঞ্চি ১৫০৩ সালে মোনালিসা আঁকতে শুরু করেন, এবং ১৫১৯ সালে মৃত্যুর কিছুদিন আগে তাঁর মোনালিসা-অঙ্কন শেষ হয় বলে ধারণা করা হয়। প্রথম সর্বাধুনিক শিল্পকর্মটি পাবলো পিকাশের বুরুশ থেকেই সৃষ্টি হয় ১৯০৭ সালে।



কাগজ, আর্টওয়ার্ক আর ক্যামেরা আবিষ্কৃত হবার আগে ভূমিষ্ঠ হওয়া সৌন্দর্যদেবীগণ কেবল লেখকের বর্ণনার গুণেই শ্রেষ্ঠত্ব পেয়েছেন।

আমরা যাঁদেরকে সাম্প্রতিককালে সামনাসামনি বা চলচ্চিত্রে কিংবা স্থিরচিত্রে দেখেছি, অথবা সৌন্দর্যের বর্ণনা পড়ে প্রেমে পড়েছি- এঁদের চেয়ে এনসাইক্লোপিডিয়ার কিওপেট্রা আর মোনালিসাগণ অধিক সুন্দরী ও আবেদনময়ী ছিলেন- তা অপ্রমাণিত।

ঐশ্বরিয়া রাই অথবা লিজ টেলরের প্রগাঢ় চোখের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করুন। অড্রে হেপবার্নের হাড়বেরুনো ঘাড়ের দিকে তাকান। আর এই যে কিছুক্ষণ আগে বাঙালি মেয়ে প্রভার একজোড়া ধ্যানমগ্ন চোখ ও অবয়ব দেখলেন- অদেখা কোনো দেবীই এর চেয়ে অধিক মাদকতাময়ী নয়।

মোনালিসার সৌন্দর্যের শাশ্বত্ব এখন শুধু কবিতায়ই পাবেন, তেমনি বনলতা সেনের কথাও বলা যায়। সুচিত্রা সেনের কতোটুকু শিল্পই বা ভিঞ্চির আর্টিফিশিয়াল মোনালিসায় খুঁজে পাবেন? নার্গিস, এই কিছুদিন আগেও যাঁকে বলা হতো এ উপমহাদেশের সুন্দরীতমা নায়িকা, ঐশ্বরিয়া রাইয়ের ঔজ্জ্বল্যের কাছে প্রিন্সেস ডায়ানা এবং সমগ্র বিশ্ব ক্রমশ বিমর্ষ ও ম্লান হয়ে গেলো।

এই যে কম্পিউটার আর এনিমেশনের যুগ চলে এসেছে, সত্যিকারের সুন্দরীদের অনন্ত মহাকাল অবধি অনায়াসে ধরে রাখা যাবে একচিলতে মেমোরি কার্ড বা ডিভিডি-লেন্সের ভেতর।

কাগজ, আর্টওয়ার্ক আর ক্যামেরা আবিষ্কৃত হবার পর ভূমিষ্ঠ হওয়া সৌন্দর্যদেবীগণই প্রমাণিতভাবে পৃথিবীর সর্বকালের শ্রেষ্ঠ সুন্দরী।



৫৬| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৫:২৭

শুভ পাটগ্রাম বলেছেন: হুমম! বুঝলাম;
আপনি দেশি কৈ,দেশি মাগুড়,কিংবা স্রোতস্বিনী নদী পাঙাসের দারুন ভক্ত|
নাইলোটিকা-সিলভারকার্প তেমনভাবে না|
অনিন্দ্যসুন্দর!

২১ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ১২:১৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বুঝতে পারার জন্য ধন্যবাদ নিন। ভালো থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.