নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শব্দকবিতা : শব্দেই দৃশ্য, শব্দেই অনুভূতি [email protected]

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই

দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

\'স্খলন\' : প্রকাশ কাল, একুশে বইমেলা ২০০৩। আমার প্রথম উপন্যাসের প্রথম সিকোয়েল

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩১

রাগে এবং দুঃখে জাহিদের বুকের ভেতরটা জ্বলেপুড়ে খাক হয়ে যাচ্ছে। একটা ইজি চেয়ারে গা এলিয়ে বসে আছে সে। সামনে রাখা টিপয়ের উপর দু’পা পাকিয়ে দোলাচ্ছে। স্পোর্টস চ্যানেলে পেপসি তিন জাতি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের পাকিস্তান বনাম শ্রীলংকার খেলা লাইভ দেখানো হচ্ছে। শ্রীলংকা হলো জাহিদের মোষ্ট ফেভারিট ক্রিকেট টিম। খেলা মানেই ক্রিকেট এবং ক্রিকেট মাত্রই যেন শ্রীলংকার সাপোর্টার হওয়া। কারণ, ক্রিকেট পাগল বাঙালিদের জন্য শ্রীলংকাই হতে পারে অনুকরণীয় আদর্শ। ক্রিকেটের অতীত ইতিহাস খতিয়ে দেখতে গেলে দেখা যাবে শুরুতে শ্রীলংকার অবস্থান বর্তমান বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের চেয়েও নাজুক ছিল। ক্রিকেটের যত বড়ো বড়ো রেকর্ড রয়েছে বলতে গেলে প্রায় সবকটি রেকর্ডই শ্রীলংকার বিপক্ষে গড়া। এরা তবু হতাশ হয়ে হাল ছেড়ে দেয় নি। ধীরে ধীরে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছে এবং অবশেষে সবাইকে অবাক করে দিয়ে ৯৬-এর বিশ্বকাপ তারা ঘরে তুলে নিয়েছে। বাংলাদেশের জন্য শ্রীলংকা ছাড়া আর কোন দেশ এতবড়ো অনুপ্রেরণা হতে পারে? অথচ জাহিদ ভেবেই পায় না বাঙালিদের মাথায় এ জিনিসটা কেন ঢুকছে না। বাঙালিদের কাছে ক্রিকেট মানেই পাকিস্তান। জাহিদের ধারণা, ক্রিকেটের স্বার্থে কোনো কোনো বাঙালি হয়ত নিজেকে পাকিস্তানি ভেবে মনে মনে গর্ববোধও করে। কেউ কেউ হয়ত এ-ও ভাবে, পাকিস্তান না ভাঙলে আজ আমরাও বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেট টিম থাকতাম। জাহিদের এই ধারণা যে একেবারেই ভিত্তিহীন তা-ও নয়। বহুবার সে গোপনে জরিপ করে এর সত্যতা পেয়েছে।

ভারত-পাকিস্তানের খেলায় টিভি সেটের সামনে বসা পনের-বিশ জনের একটা দলে সতের-আঠার জন দর্শকই পাকিস্তানের সমর্থক। দু-এক জন ভারতের পক্ষে, তবে এরা প্রকাশ্যে তা বলে না পাছে ভারতের দালাল বলে আখ্যা পেয়ে যায়। যারা বাকি থাকবে তারা হলো নিরপেক্ষ সমঝদার, এরা বসে থাকে শহীদ আফ্রিদির আরো একটা রেকর্ড ভংগকারী দ্রুততম সেঞ্চুরি অথবা শচীনের আরো একটা শতক দেখার জন্য। যে কোনো দলের চার কিংবা ছক্কা হলে এরা সজোরে চেঁচিয়ে বলে … ফোর … ছক্কা।

পাকিস্তান প্রথমে ব্যাট করে ২৪৬ রানের একটা মোটামুটি ডিফেন্ডেবল স্কোর দাঁড় করিয়েছে। তা তাড়া করতে গিয়েই শ্রীলংকার মতো রান তাড়া করা দক্ষ দলটি হাঁপিয়ে উঠেছে। এই কিছুক্ষণ আগেও ৬৪ বলে জয়ের জন্য দরকার ছিল ৬০ রান, হাতে ছিল সাত-সাতটি উইকেট। সে অবস্থা থেকে এখন দরকার হয়ে পড়েছে ৪০ বলে ৪০ রান এবং হাতে রয়েছে মাত্র ৪টি উইকেট। অন্য যে-কোনো দিন হলে এ পরিস্থিতিতে জাহিদ দাঁতে দাঁত কেটে উত্তেজনায় ছটফট করতে থাকতো। কিন্তু তার মুখাবয়বে আজ কোনো ভাবাবেগের চিহ্নমাত্র নেই। অপলক টিভি সেটের দিকে তাকিয়ে আছে সে। তার বুকে আজ অনেক ক্ষোভ এবং অভিমান।
জাহিদ একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার, কিন্তু তার কথা-বার্তা চাল-চলনে ইঞ্জিনিয়ারত্বের ছাপ দেখতে পায় না কেউ। সে সরকারি চাকুরি করে এবং সেই সুবাদে সরকারি বাসা পেয়েছে। থাকে মিরপুর ১২ নম্বরের স্টাফ কোয়ার্টারে, সপরিবারে। জাহিদ একটু-আধটু লেখালেখির চর্চাও করে। সে-লেখা ডাকযোগে পত্রিকায় পাঠায়। কদাচিৎ তা ছাপা হয়, কিন্তু সবগুলো লেখার হিসাব রাখা, ও-গুলো ছাপা হলো কিনা সে ব্যাপারে নিয়মিত খোঁজখবর রাখার সময় ও ধৈর্য কোনোটাই তার থাকে না। লেখা পাঠিয়ে সম্পাদকের সাথে ব্যক্তিগত যোগাযোগ সে কখনোই করে নি। তার যুক্তি হলো এতে লেখার প্রকৃত মান নির্ণিত হয় না। লেখা ভালো হলে একদিন না একদিন কোনো না কোনো সম্পাদকের নজরে তা পড়বেই এবং তখন নিশ্চিতভাবেই তা ছাপা হবে। তার কিন্তু ব্যাংকে প্রচুর ঋণও আছে। ওভার ড্রোন হতে হতে ঋণের পাহাড় গড়ে উঠেছে। বেতন যে খুব কম তা-ও নয়। বাংলাদেশের চাকুরি হিসাবে বরং বলা চলে বেশ উঁচু বেতনের চাকুরি। কিন্তু যৌথ পরিবারের অর্থ সংকুলান করতে গিয়ে এই টাকায় নিজের বউ-বাচ্চা নিয়ে স্বচ্ছন্দে চলা যায় না। জাহিদের ঘরদুয়ারের সাজসজ্জা আর আসবাবপত্র দেখে মোটেও বিশ্বাস হয় না সে এত বেতনের একজন পদস্থ সরকারি চাকুরিজীবী। ঘরদোরের সাধারণ সাজসজ্জার মতো তার চালচলনও অতি সাধারণ। হতদরিদ্র পরিবারের মধ্যে যে-রকম চাকচিক্যহীন বাল্যকাল ও কৈশোর অতিবাহিত করে এসেছিল, আজও তার পরিবর্তন তেমন একটা ঘটে নি। তাকে এক টাকা করেই টাকা গুনতে হয়, প্রতিটি টাকাই তার কাছে হিসাবযোগ্য। আরেকটি কথা না বললেই নয়, বাসার বাজার সচরাচর সে নিজেই করে থাকে, কারণ বাজার-সওদা করা তার একটা বড়ো সখ। অবশ্য কাজের ছেলেটি প্রায় সময়েই তার সংগে বাজারে যায়, কখনো সখনো তার স্ত্রী শিরিও।

শিরির অনেক দিনের আবদার ছিল একটা নূপুরের। একটা নূপুরের আর কতই বা দাম হবে। সাড়ে চারশো কি পাঁচশো - বড়োজোর সাতশো টাকা। বিয়েতে একটা আংটি পর্যন্ত দেওয়া হয় নি বউটাকে। আংটি আংটি করে তো বিয়ের ছয় বছর চলে গেল। ঘরে দুটি ছেলেমেয়েও এলো। সেবার শিরির মামা বিদেশে যাবার আগে পুরো বারো আনার সোনার আংটিটা আঙুল হতে খুলে দিয়ে গেলেন। বললেন, নে, এটা তুই পরিস। তোকে তো কিছুই দেয়া হয় নি।
হাতে একটা আংটি থাকলে আরেকটা আংটির আর কী দরকার? তাই শিরি নতুন করে আবদার করলো, আংটিতো দিতে পারলেই না। একজোড়া নূপুর করে দাও না!

কথাটার মধ্যে একটা সূক্ষ্ম খোঁচা আছে। তাই জাহিদ প্রতিজ্ঞা করেছিল, যে করেই হোক একজোড়া নূপুর সে শিরিকে কিনে দেবেই। সেজন্য প্রায় সারা মাসই বাজার করার সময় খুব হিসেব করে সে কিছু টাকা কম খরচ করতো, যাতে মাস শেষে কিছু সঞ্চয় থাকে। কিন্তু শেষমেষ আর সঞ্চয় থাকে না। হয় কোনো এক বাসায় জন্মদিনের পার্টি উপলক্ষে উপহার কিনতে হয়। অথবা গ্রাম থেকে কেউ কাজের খোঁজে এসে বাসায় ওঠে কয়েকদিন থাকার জন্য। এ ছাড়া বাড়ির জন্য তো হাজার পাঁচেক দিতে হয়ই। তবে বেশিরভাগ সময়েই কিছু বাড়তি টাকা পাঠাতে হয়। কখনো ছোটোবোনের চিঠি, পাঁচ মাস কলেজের বেতন বন্ধ। কলেজ ড্রেস চাই, জুতো ছিঁড়ে গেছে - মেয়েরা সেলাইকরা জুতো পরে কলেজে যায় না। একজোড়া কলেজ ড্রেসও অপমানকর।

গতমাসের বেতনে প্রায় অভাবনীয়ভাবে জাহিদ নয়শো ষাট টাকা বেশি পেয়ে গেছে। পে ফিক্সেশানে ভুল ছিল। সংশোধনের পর এরিয়ারসহ এই টাকা পেয়েছে সে। বাড়তি টাকাগুলোর কথা আর শিরিকে বলা হয় নি। মনে মনে পরিকল্পনা করেছে - এবার শিরিকে একটা সারপ্রাইজ দেয়া যাবে। চমৎকার একটা সারপ্রাইজ। সে স্বর্ণকারের দোকানে গেছে। আশেপাশের সবগুলো দোকান খুঁজেও মনের মতো রেডিমেড নূপুর পাওয়া যায় নি। অবশেষে ক্যাটালগ দেখে একটা সুন্দর ডিজাইন পাওয়া গেছে। স্বর্ণকার হিসেব করে বললো সাতশো বিশ টাকা লাগবে। জাহিদ মনে মনে ভাবলো, সাতশো বিশ টাকা! এটা কোনো ব্যাপারই না। নয়শো ষাট থেকে সাতশো বিশ টাকা গেলে আরো দুশো চল্লিশ হাতে থাকবে। তা দিয়ে শিরিকে একজোড়া জুতাও কিনে দেয়া যাবে।
নূপুর বানাবার অর্ডার দিয়ে খুব ফুর্তিতে বাড়ি ফিরেছিল জাহিদ। রান্নাঘরে ঢুকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে শিরিকে চুমু খেয়েছিল। সারারাত জেগে বাতি জ্বালিয়ে গল্প করেছিল - বিয়ের প্রথম দিনগুলোতে যেমন করতো।

আজ সকালবেলা থেকেই জাহিদের মনটা বেশ চনমনে ছিল। কারণ স্বর্ণকারের দোকান থেকে নূপুর ডেলিভারির তারিখ ছিল আজ। অফিসে বসে বসে সে অনেক ভাবলো কীভাবে নূপুর দেখিয়ে শিরিকে অবাক করে দেবে। সে মনে মনে অভিনয় করলো, ঘরে ঢুকেই শিরির কাছ ঘেঁষে দাঁড়াবে। তারপর সুর করে বলবে, চোখ বন্ধ – উহ্হু, একদম দেখবে না। তখন আস্তে আস্তে পকেট থেকে নূপুর বের করবে। এখানেই জাহিদ থেমে যায়। নাহ্, এটা কী করে হয়? একটা হার হলে না হয় এভাবে পরিয়ে দেয়া যেত। একটা তুচ্ছ নূপুর তো আর এভাবে পরালে ঠিক মানায় না এবং তাতে কোনো সারপ্রাইজও অবশিষ্ট থাকে না। এলেবেলে আরো কত কী মনের মধ্যে ঘুরপাক খায়, কিছুই স্থির হয় না। ওর সবচেয়ে বেশি ভালো লাগলো এই ভেবে যে নূপুরটি পেয়ে শিরি যারপরনাই খুশি হবে। আনান্দে ঝলমল করতে থাকবে, অনেকক্ষণ অভিভূত থাকবে।

নূপুর হাতে পেয়ে শিরি বিন্দুমাত্র খুশি হয় নি। স্বর্ণকারের দোকান হতে নূপুর নিয়ে সোজা রিক্সা করে বাসায় ফিরে এসেছিল জাহিদ। ঘরে ঢুকে মনে মনে সাজানো কাব্যগাঁথার কোনো অভিনয়ই সে করতে পারে নি। পকেট হতে বের করে হাতে দিয়ে বলেছে, পরো তো দেখি কেমন মানায়! শিরি নূপুর জোড়া হাতে নিয়ে সামান্য নেড়েচেড়ে দেখলো। তারপর অবজ্ঞা ভরে খাটের উপর ফেলে দিয়ে বললো, নূপুর কিনবে তো আমাকে সংগে নিলে না কেন? পুরুষ মানুষ নূপুরের কী বুঝবে? তুমি বরং এটা ফেরৎ দিয়ে এসো, আমার একদম পছন্দ হয় নি। নূপুর আমি নিজে অর্ডার দিয়ে বানিয়ে নেব।
মুহূর্তে জাহিদের মাথায় খুন চেপে গেল। এক থাবায় খাটের উপর হতে নূপুর জোড়া তুলে নিল এবং শিরি কিছু বুঝে উঠবার আগেই জানালার ফাঁক দিয়ে বাইরে ছূঁড়ে দিল। রাগে কাঁপতে কাঁপতে বলতে লাগলো, আমার কেনা কিছুই তোমার পছন্দ হয় না, কিচ্ছু না…
আরো কিছু বলতে চাইলো, পারলো না। অত্যধিক রাগলে জাহিদ কথা বলতে পারে না, যা-ও পারে তা গুছিয়ে ওঠে না। সব মানুষেরই এমন হয়।
ঘরের মাঝখানে রাখা টিপয়টা ঘড়ঘড় করে টেনে এনে ইজি চেয়ারের সামনে রাখলো। দুপা টিপয়ের উপরে উঠিয়ে পাকিয়ে প্রচণ্ড রকম দোলাতে লাগলো। তার অন্তর পুড়ে কেবলই খাক হতে থাকলো।
ঘটনার অকস্মিকতায় শিরি প্রথমে হকচকিয়ে গেল। তারপর কাঁদো কাঁদো হয়ে বললো, কী এমন দোষের কথা বলেছি যে তুমি এমন করলে?
জাহিদ কোনো উত্তর দেয় নি। যেমন ছিল তেমনই টিভি সেটের দিকে তাকিয়ে থাকলো। যেন খেলার উত্তেজনায় এখন তার সর্বাংগ কাঁপছে। একটা ঝামটা মেরে বের হয়ে দ্রুত পায়ে শিরি রান্না ঘরে ঢুকলো।

*স্খলন, একুশে বইমেলা ২০০৩ 'স্খলন'-এর ডাউনলোড লিংক

**স্খলন-এর উপর সমালোচনামূলক আরেক উপন্যাস :) 'খ্যাতির লাগিয়া', একুশে বইমেলা ২০০৪ 'খ্যাতির লাগিয়া'র ডাউনলোড লিংক


মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪৫

রাকু হাসান বলেছেন: আমি কাল আপনার ব্লগে চুপি চুপি আসছিলাম :) । বেশ কিছু মূল্যবান পোস্ট পড়েছি । সুগন্ধী রুমাল গল্পের পিডিএফ নিয়েছি পড়বো :-B । আজ এটাও নিলাম । পড়বো :)

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এটা জেনে খুব বিস্মিত অভিভূত ও আপ্লুত হলাম যে চুপি চুপি এসে কিছু 'মূল্যবান' পোস্টই শুধু পড়েন নি, 'সুগন্ধি রুমাল' ডাউনলোডও করে ফেলেছেন (ওয়াও ইমো)। আজ আবার এটাও নিলেন!! যাক, আপনাকে শুধু ধন্যবাদই না, একটা সুখবরও দিতে চাই। এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ৯ উইকেটে ১৬৯ রান করছে। এশিয়া কাপের সুপার ফোর পর্বের প্রথম ম্যাচে ভারতের মুখোমুখী।

২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সোনা দাদা সত্যিই আ্পনার লেখা
সোনার মতোই মূল্যবান।
খুবই ভালো লাগলো আপনার
প্রথম উপন্যাসের প্রথম সিকোয়েন্স!
আশা করি পরবর্তী সিকোয়েন্সগুলোও
সুখপাঠ্য হবে। শুভেচ্ছা রইলো অফুরাণ।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রিয় নূর মোহাম্মদ নূরু ভাই, অনেক ধন্যবাদ প্রথম সিকোয়েল পড়ার জন্য। বাকি সিকোয়েলগুলো হয়ত ধারাবাহিকভাবে দেয়া হবে না, দু-একটা সিকোয়েল আলাদা ভাবে দেয়ার প্ল্যান আছে।

সুন্দর কমেন্টে অনেক অনুপ্রাণিত। অনেক ধন্যবাদ।

৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৭

চিটাগং এক্সপ্রেস বলেছেন: বইটির কোন কপি কি আছে। কিভাবে সংগ্রহ করব

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ইনবক্সে ঠিকানা পাঠিয়ে দিয়েন, চেষ্টা করবো ১ কপি পাঠাতে, যদি ভালো অবস্থায় থেকে থাকে।

৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: রেস্পেক্টেড স্যার,

স্খলনের প্রথম পর্বেই ক্রিকেটীয় মেজাজে জাহিদ ও শিরি দুজনেই বোল্ড হলেন।

জাহিদের শ্রীলংকার সাপোর্ট করার পিছনে বোধহয় একটি ঝামেলা এড়ানোর মনোভাবও আছে। যে যুক্তিতে সে লংকার সাপোর্টার সেখানে শ্রীলংকার অবস্থান বর্তমান বাংলাদেশ টিমের থেকেও নাজুক ছিল। যে কারনে শ্রীলংকা বাঙালী জাতির আদর্শ বা রোলমডেল হওয়াটা কাম্য। আমার ব্যক্তিগত অভিমত উপমহাদেশে পাকিস্তান তুলনায় আগাগোড়া বেশ শক্তিশালী টিম ছিল। ওদের ফাস্ট বলের বেশ সুনাম দীর্ঘদিনের। ভারত সেদিনও পর্যন্ত যথেষ্ট দুর্বল ছিল।এদিক দিয়ে ভারতও বেশ দ্রুত নিজেদের উন্নতি করেছে। ধারাবহিক সাফল্যে ভারত বরং লংকার চেয়ে এগিয়ে। যে কারনে আমার দৃষ্টিতে জাহিদ সমালোচনা এড়াতে শ্রীলংকাকে চুজ করেছেন।
আর ভারতের সাপোর্ট করার মধ্য আপনার যুক্তিটি সার্বজনীন গ্রাহ্য । তবে ধর্মীর আবেগে বাঙালী জাতি ভারত - পাক ম্যাচে বোধহয় পাককে সমর্থন করে।

শেরির মামার কাছ থেকে পাওয়া আংটিটি নিয়ে একদিকে তার প্রাপ্তিযোগ হলেও জাহিদের কাছে বেশ হীনমন্যতার মনে হয়েছে । আমার মনে হয় একারনে সে তার সাধ্যমত পে - ফিক্সেশন থেকে পাওয়া টাকায় প্রিয়তমাকে সারপ্রাইজ দিতে চেয়েছিল নূপুরের । ভেবেছিল শেরির পছন্দের নূপুর দিলে সে আরও খুশি হবে। কিন্তু এখানে সোনার কিছু না দিয়ে রূপোর নূপুর দেওয়ার মধ্যে মধ্যবিত্ত পরিবারের একটি মানসিকতা ফুঁটে উঠেছে, যে কারনে তারা যতই একে অপরকে ভালোবাসুক বা একে অন্যের কথা ভাবুক, সেটা একদিকে হিসাব নিকেশ করে টাকার অঙ্কটা ঠিক করা। শেরিও কম যায়না। তারও একটি পছন্দ - অপছন্দের বিষয় আছে। কাজেই নুতন নূপুর পেয়ে তার প্রতিক্রিয়া স্বাভাবিক। নূপুরটি নিজের পছন্দের দাবী করা যে কারনে অন্যায় মনে হয়নি। অন্যদিকে অফিস থেকে ফেরার পথে সারপ্রাইজ নিয়ে একরকম ভাবতে ভাবতে বাড়ি এসে শেরির এমন আচরণে জাহিদেরও ওরকম প্রতিক্রিয়া দেওয়া স্বাভাবিক। এটাই আমার দৃষ্টিতে অত্যন্ত গতিময় ও চমকপ্রদ মনে হয়েছে। ++

ভাগ্যিস তখন টিভিতে ম্যাচ চলচিল, নতুবা রান্নাঘরের ঝংকারের সঙ্গে আটও কিছু পদস্খলনের সম্ভাবনা থাকতো। আপনি লিংক দেওয়াই আমি পরের পর্ব থেকে আরও কিছু কমেন্ট দিতে গিয়ে পিঁছিয়ে এলাম। পরের দিনের জন্য তোলা রইল
। তবে একেবারে শেষ পর্বে বই মেলায় জাহিদের বইটির সন্ধান নিয়ে এলাম।

শুভেচ্ছা ও বিনম্র শ্রদ্ধা আপনাকে।


২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ আপনার কাছে আপনার এই চুলচেরা বিশ্লেষণের জন্য। ১ম সিকোয়েলের উপর করা আপনার বিশ্লেষণে বইয়ের মূল বিষয়ের অনেকখানিই উঠে এসেছে। এবং অত্যন্ত চমৎকারভাবে এবং নিখুঁতভাবে জাহিদ ও শিরির মধ্যকার মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব, ইচ্ছা-অনিচ্ছা, ও খুনসুটির দিকগুলো তুলে ধরেছেন। আপনার বিজ্ঞতায় আমি মুগ্ধ।

ফেভারিট টিমের ব্যাপারে আপনার মূল্যায়ন ঠিকই আছে।

পাঠে আপনি খুব দ্রুতগামী। শুধু ২য় সিকোয়েলই না, শেষ সিকোয়েলেরও সন্ধান নিয়ে এসেছেন। বাপরে! আমি মাফ চাইয়া গেলাম :)

অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় চৌধুরি ভাই। ভালো থাকবেন।

৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪৫

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: পড়লাম , উপন্যাসের পটভূমি বেশ আগের মনে হচ্ছে , ২০০৩ সালে আমি এস এস সি পরীক্ষার্থী ছিলাম , যাই হোক ডাউনলোড করে পুরোটা পড়ব , শেষে কিসের স্খলন হবে ??? পরিবারের চাহিদা মেটাতে কি জাহিদ অবৈধ পথে পা বাড়াবে

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হ্যাঁ, পটভূমি বেশ আগের। এটা লেখা শুরু করি, যদ্দূর মনে পড়ে, ৯৯-এর নভেম্বরের দিকে। পটভূমি মোটামুটি ঐ সময়েরই।

কীসের স্খলন- ওটা আপাতত থাক। যেহেতু ডাউনলোড করেছেন, এটা জানা হয়ে গেলে পড়ার মজাটা আর পাবেন না হয়ত।

ধন্যবাদ সোনাকী ঈগল২৭৪।

৬| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০০

আরোগ্য বলেছেন: দীর্ঘ লেখা, পড়ে মতামত জানাবো।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ঠিক আছে আরোগ্য। শুভেচ্ছা।

৭| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:২৫

সুদীপ কুমার বলেছেন: আমিও পরে মতামত জানাবো।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:২৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ঠিক আছে, এক সময় মতামত জানালেই হবে। প্লিজ রিল্যাক্স।

৮| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:১০

শামচুল হক বলেছেন: বইটির কোন কপি কি আছে?

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সর্বমোট আর ২টা কপি দেয়ার মতো ব্যবস্থা করা যাবে। চিটাগাং এক্সপ্রেস যদি ১কপি নেন, আপনাকে আরেক কপি দেয়া যাবে। নাতি-নাতনিদের জন্য দু-এক কপি রেখে দিতে হবে না? :)

ফেইসবুকে ঠিকানা ইনবক্স করুন প্লিজ। Khalil Mahmud

৯| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ২:২২

আরোগ্য বলেছেন: ঘটনাটা দুঃখজনক হলেও দৈনন্দিন জীবনে নির্মম সত্য।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: জি ভাই, ঠিক বলেছেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ গল্পটি আবার এসে পড়ে যাবার জন্য। শুভেচ্ছা রইল।

১০| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ভোর ৪:১২

সোহানী বলেছেন: বাঙ্গালী মধ্যবিত্তের নিত্যদিনের চিত্র। চমৎকার লেখনীর গুনে অসাধারন হয়ে উঠেছে সোনবীজ ভাই।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আপু। আপনাদের মতো বিজ্ঞ ব্লগারের মূল্যায়ণ আমাকে আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। কখনো কখনো সবকিছুই বর্জ্য এবং পানসে মনে হয়। তখন এ রকম কিছু কমেন্টে আবার উঠে দাঁড়াই।

কৃতজ্ঞতা জানবেন।

১১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৩৫

সনেট কবি বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন ।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় সনেট কবি ফরিদ ভাই। শুভেচ্ছা রইল।

১২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: আমি আপনার সব গুলো বই পড়তে চাই।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমার বই আপনার পড়ার দরকার নাই। ইনবক্সে ঠিকানা দিয়েন। আপনার বুকশেলফে আমার বইগুলো কিছু জায়গা পেলেই আমি ধন্য হব। এসব আবর্জনা আপনার পড়ার জন্য নহে।

১৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: আমার ক্যামেরা হলো নাইকন। ৩৩০০ মডেল।
কিন্তু নাইকন ক্যামেরাটা আপাতত নষ্ট।
তাই আমার মোবাইল ফোনে ছবি তুলি। একমাস আগে কিনেছি হুয়াওয়ে নোভা থ্রি আই।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার ছবিগুলো অসাধারণ। রেজিয়্যল্যুশন খুব ভালো। এটা ক্যামেরা ও ক্যামেরাম্যান- দুজনেরই ক্যারিশমা।

তবে, আমি ভেবেছিলাম আপনার ক্যামেরার নাম SURABHI Model RazNR K

১৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩১

চিটাগং এক্সপ্রেস বলেছেন: আপনার ফোন নাম্বার আছে। আমি কি কল অথবা টেক্সট করবো

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: জি, টেক্সট করুন। ধন্যবাদ।

১৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৩

নীলপরি বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন ।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ নীলপরি।

১৬| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার লেখা ভাইয়া ।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ মনিরা আপু।

১৭| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২০

বলেছেন: চমৎকার

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ মিস্টার ল।

১৮| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৫

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: সুন্দর গল্প।
অত্যাধিক রেগে গেল কোন মানুষই ঠিক মত কথা বলতে পারেন না। তবে শিরির উচিৎ ছিল জাহিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অত্যাধিক রেগে গেল কোন মানুষই ঠিক মত কথা বলতে পারেন না। ঠিক।

ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.