নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
নিপুণ অক্টোপাসের মতো সংসার ঘিরে
মায়া তার বিছায়েছে জাল
মায়া খুব নিষ্ঠুর বিষ, তিলে তিলে নিঃশেষ করে
মায়া এক গোপন হন্তারক, অজান্তেই করে যায় খুন
মায়া এক অলঙ্ঘ্য বেড়ি, ছেঁড়া যায় না যাকে
আমাদের হৃদয়গুলো মায়ার আখড়া
মনগুলো আবেগের খনি
মায়াগুলো শুধু বিষই নয়,
ধারালো চাকুর মতো হৃদয় কেটে ফালি ফালি করে
মায়া আমাকে অস্থির করে, তুফানের মতো ঢেউ তোলে মায়া
মায়া আমাকে কুরে কুরে খায়
মায়া আমাকে শান্তিতে বাঁচতে দেয় না
দূরবাসী সহোদর রাতদিন অশ্রু ফেলে, ইথারে
ভেসে আসে কান্নার সুর
কী করে স্থির থাকি এ করুণ বিষাদে?
কী করে স্থির থাকি যখন মনে পড়ে বোনের অন্ধ আর্ত চোখ
কতদিন ‘মা’ ‘মা’ বলে কাঁদতে কাঁদতে ঘুম ভেঙে গেছে
বাবার হাত ধরে গুঁটি পায়ে হেঁটে যায় ছোট্ট এক শিশু-
ঝাঁপসা চোখ একধ্যানে তাকিয়ে থাকে, অবিরাম বুক ভেসে যায়
আমি তো থাকবো না আর মাত্র কিছুদিন পর। দু-বেলা
খেয়ে-পরে সুখে থাকবে তো সোনার সন্তানেরা?
বহুদিন দেখি না কন্যার মুখ। হবে তো ওদের ভূরি ভূরি সুখ?
অলক্ষুণে অজস্র চিন্তা মাথায় করে ভিড়
ওরা খুব গরীব হয়ে গেল। ফুৎকারে উবে গেল সবগুলো সুখ।
হয়ত-বা, কারো খাবারের দিকে ফ্যাল ফ্যাল চোখে চেয়ে থাকবে
শীর্ণকায় ক্ষুধার্ত ছেলেটা, ঝলমলে কাঁচের ভেতর রঙিন চকোলেট,
হাই-ফাই রেস্টুরেন্টের ফাস্টফুড, বার্গার খেতে
অনেক সাধ হবে- একদিন এসবের ওপর শুয়ে-বসে
ওরা খেলতো, আনন্দ করতো; কষ্টে ওদের বুক ফেটে যাবে।
হায়, এসব ভাবতে ভাবতে বাষ্পরুদ্ধ হয়ে ওঠে আমার কণ্ঠ
আর বিশ্বাস করুন, এখন লিখতে যেয়েও টনটন ব্যথায়
ফুলে উঠছে চোখ।
আরো কত স্বজনের কথা, বহুদূর-বন্ধুর কথা মনে হলে
পাঁজর ভেঙে খান খান হয়ে যায়
চোখ ফেটে রক্ত ঝরে, মায়া আমাকে উন্মাতাল করে
মায়া আমাকে একদণ্ড সুখ দেয় নি কখনো
মায়া আমাকে আষ্ট্রেপৃষ্ঠে বেঁধে রাখে অগণিত রজ্জুর মতো
মায়া আমাকে গ্রাস করেছে কুটিল অক্টোপাসের মতো
আমি তাই মুক্তি চাই, বিভ্রমের মায়াকুঞ্জ থেকে
সংসারের ব্যুহ থেকে মুক্তি চাই আকাশের অবারিত বুকে
এমন একটা জীবন চাই, যে-জীবনে মায়াময় কারাগার নেই
আমি সেই নিগূঢ় অরণ্যে যাব, কেটে ফেলে এইসব মায়ার বাঁধন
যেখানে কান্না নেই, সংসার নেই। অনুপম শান্তি নিকেতন।
হে আমার প্রিয়তমা স্ত্রী, আশা করি মনকে শান্ত রাখবেন,
যেদিন সকালে দরজা খুলে দেখবেন – আমি নেই।
শূন্য ঘর। শূন্য পাটাতন।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১
০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:১৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
দুনিয়াটাই তো মায়া। হ্যাঁ আপু, মায়া খুব কাবু করে মানুষকে। তাই 'মায়া বড়ই খারাপ জিনিস।'
ধন্যবাদ আপু।
২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৫৫
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: কিসের কথা বলছেন বুঝতে পারলাম না।’যেখানে কান্না নেই,সংসার নেই।অনুপম শান্তি নিকেতন।’
০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:১৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অন্যের জন্য আমাদের কান্না আসে, কষ্ট পাই। বুকে ভাঙচুর হয়। এর মূলে রয়েছে 'মায়া'। মায়া যদি না থাকতো, আমাদের অন্তর এভাবে পুড়তো না।
এমন একটা জীবন চাই, যেখানে কান্না নেই, সংসার নেই। সেই জীবনটাই বোধ হয় সবচাইতে সুখের জীবন।
এটাই বোঝাতে চেয়েছি।
ধন্যবাদ নুরুলইসলাম ভাই।
৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৫৯
ঢুকিচেপা বলেছেন: এত করুণ কবিতা পড়লে বুকের মধ্যে কি যেন বেজে উঠে।
০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:১৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমরা যে বিষাদগ্রস্ত হই, করুণ আবহ সৃষ্টি হয়, আমাদের ভিতরে 'মায়া' জিনিসটা আছে বলেই ওরকম অনুভূতি হয়।
মন্তব্যে জন্য ধন্যবাদ ঢুকিচেপা।
অনেকদিন পর দেখলাম। আশা করি ভালো ও সুস্থ আছেন।
৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: কি সুন্দর কবিতা লিখেছেন।
আমি যে কেন কবিতা লিখতে পারি না!!
০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:২০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কবিতাটাকে সুন্দর বলার জন্য ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই।
আপনিও কবিতা লিখতে পারেন। লিখছেন তো।
৫| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:৫৫
জুল ভার্ন বলেছেন: ”বেদনার পায়ে চুমু খেয়ে বলি এইতো জীবন,
এইতো মাধুরী, এইতো অধর ছুঁয়েছে সুখের সুতনু সুনীল রাত! ”
০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:২৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার লাইনগুলো ভালো লাগলো। গুগলে সার্চ করে পাওয়া গেল, এটা রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ'র কবিতা। পুরো কবিতাটা জুড়ে দিলাম।
সুন্দর কবিতার সূত্র দেয়ার জন্য ধন্যবাদ জুল ভার্ন ভাই।
---
অভিমানের খেয়া
- রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
এতোদিন কিছু একা থেকে শুধু খেলেছি একাই,
পরাজিত প্রেম তনুর তিমিরে হেনেছে আঘাত
পারিজাতহীন কঠিন পাথরে।
প্রাপ্য পাইনি করাল দুপুরে,
নির্মম ক্লেদে মাথা রেখে রাত কেটেছে প্রহর বেলা__
এই খেলা আর কতোকাল আর কতোটা জীবন!
কিছুটাতো চাই__হোক ভুল, হোক মিথ্যে প্রবোধ,
আভিলাষী মন চন্দ্রে না-পাক জোস্নায় পাক সামান্য ঠাঁই,
কিছুটাতো চাই, কিছুটাতো চাই।
আরো কিছুদিন, আরো কিছুদিন__আর কতোদিন?
ভাষাহীন তরু বিশ্বাসী ছায়া কতোটা বিলাবে?
কতো আর এই রক্ত-তিলকে তপ্ত প্রনাম!
জীবনের কাছে জন্ম কি তবে প্রতারনাময়?
এতো ক্ষয়, এতো ভুল জ’মে ওঠে বুকের বুননে,
এই আঁখি জানে, পাখিরাও জানে কতোটা ক্ষরন
কতোটা দ্বিধায় সন্ত্রাসে ফুল ফোটে না শাখায়।
তুমি জানো না__আমি তো জানি,
কতোটা গ্লানিতে এতো কথা নিয়ে এতো গান, এতো হাসি নিয়ে বুকে
নিশ্চুপ হয়ে থাকি
বেদনার পায়ে চুমু খেয়ে বলি এইতো জীবন,
এইতো মাধুরী, এইতো অধর ছুঁয়েছে সুখের সুতনু সুনীল রাত!
তুমি জানো নাই__আমি তো জানি।
মাটি খুঁড়ে কারা শস্য তুলেছে,
মাংশের ঘরে আগুন পুষেছে,
যারা কোনোদিন আকাশ চায়নি নীলিমা চেয়েছে শুধু,
করতলে তারা ধ’রে আছে আজ বিশ্বাসী হাতিয়ার।
পরাজয় এসে কন্ঠ ছুঁয়েছে লেলিহান শিখা,
চিতার চাবুক মর্মে হেনেছো মোহন ঘাতক।
তবুতো পাওয়ার প্রত্যাশা নিয়ে মুখর হৃদয়,
পুষ্পের প্রতি প্রসারিত এই তীব্র শোভন বাহু।
বৈশাখি মেঘ ঢেকেছে আকাশ,
পালকের পাখি নীড়ে ফিরে যায়
ভাষাহীন এই নির্বাক চোখ আর কতোদিন?
নীল অভিমান পুড়ে একা আর কতোটা জীবন?
কতোটা জীবন!!
৩১.০৫.৭৬; কাঁঠালবাগান, ঢাকা
৬| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:৫২
নেওয়াজ আলি বলেছেন: কবিতা পড়ে মন খারাপ হয়ে গেলো। আমার প্রিয়তমা......
০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:৫৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কবিতা পড়ার জন্য ধন্যবাদ নেওয়াজ আলি ভাই। শুভেচ্ছা নিবেন।
৭| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:২২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: দুনিয়া একটা ধোঁকা। গৌতম বুদ্ধ মনে হয় এই কবিতা পড়েই ঘর ছেড়েছিলেন। কবিতা উপভোগ করলাম।
০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:৫৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আসল কথা মনে হয় এটাই। হ্যাঁ, এই মায়ার সংসার থেকে নিষ্কৃতি পেতেই সিদ্ধার্থ ঘর ছেড়েছিলেন। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত তাকে আবার ঘরে ফিরে আসতে হয়েছিল।
আমি আর ফিরতে চাই না।
কবিতা উপভোগ করলেন জেনে ভালো লাগলো। আনন্দিত আমি।
শুভেচ্ছা সাচু ভাই।
৮| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: কবিতাটাকে সুন্দর বলার জন্য ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই।
আপনিও কবিতা লিখতে পারেন। লিখছেন তো।
হ্যা লিখি। প্রতিমাসে একটা দুইটা লিখি। এগুলো কবিতার 'ক' ও হয় না।
০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:৫৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কবিতার ক হলো নাকি খ হলো তা পাঠকের বিবেচনার উপর ছেড়ে দিন। আপনি গদ্যে অনবদ্য, কবিতায়ও সেই দক্ষতা আসবে চর্চা অব্যাহত রাখলে।
শুভেচ্ছা কবিতার জন্য।
৯| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৪৬
করুণাধারা বলেছেন: মন বিষন্ন করে দেয়া কথামালা!
ভেবেছিলাম একে একে সব গোছাবো, সন্ধ্যা যেমন ধীরে নেমে আসে রাতের আগমনী বার্তা নিয়ে তেমনি ভাবে ধীরে ধীরে সব মায়া কাটিয়ে চলে যাবার জন্য প্রস্তুত হবো। কিন্তু দেখছি মায়া কাটানো বড় কঠিন...
আমি তো থাকবো না আর মাত্র কিছুদিন পর। দু- বেলা
খেয়ে- পরে সুখে থাকবে তো সোনার সন্তানেরা?
বহুদিন দেখি না কন্যার মুখ।
জানিনা মৃত্যুর আগে সন্তানদের মুখ দেখতে পাব কিনা!
ভালো লেগেছে...
১০ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:১১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
জানিনা মৃত্যুর আগে সন্তানদের মুখ দেখতে পাব কিনা! কথাটা বুকের মধ্যে বিঁধে যায়।
আমার বৃদ্ধ শাশুড়িকে দেখেছি, তার সন্তানদের দেখার জন্য তিনি কীভাবে সারাক্ষণ ছটফট করতে থাকেন। আমি নিজে একজন বাবা হয়ে শাশুড়ির আকুতি ও ব্যাকুলতাকে উপলব্ধি করি। ছেলেমেয়েরা যখন দূরে থাকে, তখন সবসময়ই একটা টেনশন কাজ করে মাথায়, যা শান্তিতে থাকতে দেয় না। সন্তানদের জন্য এই টেনশন আমৃত্যু থাকবে, কোনো সন্দেহ নাই। এর এসবের মূলেই হলো মায়া।
নির্মম দিকটা হলো, আমি যেমন দূরদেশে থেকে কোনোদিন বুঝতে পারি নি, আমার জন্য বাবা-মা কতখানি অস্থির থাকতেন, আমাদের সন্তানরাও সেরকম নির্বিকার। দুনিয়াটা এমনই।
আপনার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা থাকলো প্রিয় আপু।
১০| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। আমার দুটা মন্তব্যেরই উত্তর দিয়েছেন।
১০ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:১২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
কোনো কারণে বাদ পড়ে না গেলে আমি সব কমেন্টেরই উত্তর দিই। আমাদের বেশিরভাগ ব্লগারই অবশ্য তাই করে থাকেন।
আপনাকেও আন্তরিক ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই।
১১| ১০ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৩:১৩
মিরোরডডল বলেছেন:
মায়া, সে যে এক রহস্যের নাম !
কখনও মনে হয় মায়ার আরেক নাম ভালোবাসা ।
আবার কখনও মনে হয় মায়া হচ্ছে কষ্টের বেড়াজাল ।
একইসাথে কাঁদায় আবার হাসায় ।
মায়ার মাঝেও থাকতে চাই
আবার মায়া থেকে দূরে যাই
এ এক টানাপোড়নের খেলা ।
১০ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:১৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ডুলু, অনেক ভালো হয়েছে কবিতাটা বা কবিতাংশ।
কখনও মনে হয় মায়ার আরেক নাম ভালোবাসা ।
আবার কখনও মনে হয় মায়া হচ্ছে কষ্টের বেড়াজাল ।
মায়া এক জটিল আবেগের সমষ্টি, যা আমাদের মন ও শরীর দুটোই বেঁধে রাখে।
১২| ১০ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৩:১৬
মিরোরডডল বলেছেন:
১০ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:১৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
১৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫২
মিরোরডডল বলেছেন:
এটাতো কবিতা বা কবিতাংশ না, এটা ডুলুর মনের কথা
১০ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:১৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হ্যাঁ, বুঝেছি তো ঐটা মনের কথা। প্রকাশিত হয়েছে কবিতার ভাষায়।
১৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:১৮
মিরোরডডল বলেছেন:
আচ্ছা ধুলোর না লিরিক নিয়ে লেখার কথা ।
কবে হবে সেটা ? দেখে যেতে পারবো ?
১০ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৩৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ভিডিও ক্রিয়েটিং নিয়ে ব্যস্ত আছি, তাই লেখালেখিতে তেমন মনোযোগ আসে না।
নীচের গানটা চ্যানেল আইয়ের এক ছবিতে হচ্ছিল। আমার দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়। তন্ময় হয়ে শুনি। শিল্পীর নাম জানার জন্য অনেকক্ষণ ওয়েট করি, যতক্ষণ বিজ্ঞাপন বিরতি না আসলো। তখন টিভিতে সিনেমার নাম দেখি, সিনেমা থেকে গান এবং গান থেকে শিল্পীকে খুঁজি। পর পর দুদিন এ গানটা অজস্রবার শুনি।
আজকে শুনছি জয়তী চক্রবর্তীর সে জানে আর আমি জানি।
১৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৪৮
মিরোরডডল বলেছেন:
থ্যাংকস ধুলো শেয়ার করার জন্য ।
খুবই সুন্দর, আগে শোনা হয়নি আমার ।
১০ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৫৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: গানটা আগে শুনেছি, কিন্তু কত আগে যে শুনেছি তা আন্দাজ করতে পারছি না, হয়ত ছোটোবেলায় স্কুল-কলেজ জীবনে।
একটা সাধারণ কথাকে কীভাবে কবিতা বানানো যায়, তার উপর একটা পোস্ট দেয়ার কথা ভাবছি।
নীচের গানটাও প্রথম শোনার পর অনেকবার শুনেছিলাম।
১৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৮:৫৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: মায়ার কারাগারে বন্দী আমরা, ইচ্ছে করলেই বের হয়ে আসতে পারি না।
এই মায়া আমাকেও অনেক ভাবায়, অনেক কাঁদায়। কবোষ্ণ হৃদয়ে মায়া ঘুমিয়ে থাকে। কখনো কখনো জেগে উঠে প্রলয় ঘটায়।
"আমি সেই নিগূঢ় অরণ্যে যাব, কেটে ফেলে এইসব মায়ার বাঁধন
যেখানে কান্না নেই, সংসার নেই। অনুপম শান্তি নিকেতন" - অরণ্য প্রান্তরে মায়ার বাঁধন আরো বেশি প্রগাঢ় হয়।
চমৎকার মায়াময় কবিতায় অষ্টম ভাললাগা রেখে গেলাম। + +
১১ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: স্যার, শুরুতেই আপনাকে শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি এ পোস্টে দুটো অমূল্য রত্নসম কমেন্ট করে পোস্টটিকে মহিমান্বিত করার জন্য।
ক্লাস সিক্স বা সেভেনের দ্রুতপঠনের এক গল্পে একটা কথা পড়েছিলাম, গল্পের নায়িকা বৃদ্ধ বয়সে উপনীত হবার পর বলে, 'সংসার বিরাগী হতে গিয়ে আজ সংসারী হয়েছি।' ঐ বয়সে এসব বোঝার কথা না, কিন্তু কেন যেন কথাটা বুঝে গেছিলাম, মনে দাগও কেটে ফেলেছে, তাই আজও ভুলি নাই।
সুখের জন্য সংসার গড়ে মানুষ। একদিন দেখা যায়, সংসার একটা ফাঁদ ছাড়া আর কিছুই না। আর ফাঁদটা গড়ে উঠে মায়ার জন্যই।
আমাদের গ্রামে প্রতিবেশী এক চাচির বাড়ি ছিল ভারতে। চাচা হয়ত ভারতে চাকরি করতেন, সেখানে প্রেম করে বিয়ে করেন। সেই চাচি নিজ দেশের সবাইকে ছেড়ে, এত দূরে পড়ে ছিলেন চাচার কাছে, শুধু ভালোবাসার কারণে। এই ভালোবাসাটাও মায়া ছাড়া আর কিছুই না।
সেই চাচি বন্ধ্যা ছিলেন। আমরা বড়ো হবার পর একদিন সেই চাচি বাড়ি বাড়ি গিয়ে সবার কাছে বিদায় চাইলেন, তারপর একদিন তিনি ভারতে ফিরে গেলেন। এই কাহিনিটা মনে পড়লে আমার এখনো খুব কষ্ট লাগে। জন্মের পর থেকেই মানুষের চারপাশে একটা মায়ার বলয় গড়ে ওঠে। সেই মায়ার জালে আমরা এতই কঠিন ভাবে আটকে যাই যে, তা থেকে ছুটতে পারি না। মায়ার কারণেই অন্যের জন্য আমাদের বুক ভেঙে যায়। কাঁদতে কাঁদতে চোখ শুকিয়ে যায়।
এজন্যই, বলি, এ মায়া না থাকলে থাকতো না কোনো পিছুটান, এত কষ্টও বইত না এ হৃদয়।
১৭| ১১ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:১৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: করুণাধারা এর মন্তব্য এবং আপনার উত্তর, দুটোই ভাল লেগেছে, দুটোতেই কত মায়ার হাহাকার!
"মায়া এক জটিল আবেগের সমষ্টি, যা আমাদের মন ও শরীর দুটোই বেঁধে রাখে" - খুবই চমৎকার এবং সত্য আপনার এ দর্শন বা পর্যবেক্ষণ।
মায়ার কারাগারে আমি এক স্বেচ্ছাবন্দী কয়েদি। কখনোই আমি মায়া থেকে দূরে যেতে চাই না। মায়ায় মায়ায় হেঁটে বেড়াতে চাই, মায়ায় মায়ায় ঘুমিয়ে থাকতে চাই।
১১ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মায়ার কারাগারে আমি এক স্বেচ্ছাবন্দী কয়েদি। কখনোই আমি মায়া থেকে দূরে যেতে চাই না। মায়ায় মায়ায় হেঁটে বেড়াতে চাই, মায়ায় মায়ায় ঘুমিয়ে থাকতে চাই। তিলে তিলে গড়ে তোলা প্রতিটা মানুষের সংসারই একটা মায়ার কারাগার। সবাই সেখানে প্রভূত সুখ ও তৃপ্তিতে সবাইকে নিয়ে জড়িয়ে থাকতে চায়। আপনার মতো একজন সফল ও গর্বিত পিতার চাওয়া এটাই হবে, তা অতি স্বাভাবিক। ভালো লাগলো স্যার, আপনার এই কবিতাশ্রিত অনুভূতিটা।
প্রথম অংশের প্রশংসাটুকু বিনয়ের সাথে গ্রহণ করলাম এবং সেজন্য অনেক ধন্যবাদ নিবেন স্যার।
১৮| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:১৪
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: এত গভর সুন্দর কবিত কিভাবে লিখেন? মায়ায় পরে গেলাম!
১৫ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার মন্তব্যটি আগেও দেখেছিলাম। কোনো কারণে তখন রিপ্লাই দিতে পারি নি। দুঃখিত দেরিতে রিপ্লাই দেয়ার জন্য।
১৯| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২২
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: এত গভীর সুন্দর কবিতা কিভাবে লিখেন? মায়ায় পরে গেলাম।
খুবই দুখিঃত বানান ভুলের কারনে।
১৫ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমার ব্লগে স্বাগতম। কমেন্টে অনুপ্রাণিত হলাম। আশা করি ব্লগেই থাকবেন। শুভেচ্ছা আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:২৯
ওমেরা বলেছেন: দুনিয়াটাই তো মায়া —- মায়া বড়ই খারাপ জিনিস ।
ভাইয়া আপনার কবিতাটা পড়ে আমারই তো কান্না লাগছে।