নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
একদিন খুব ভোরে আমরা পালিয়ে যাব
এক অজানা পাহাড়ের দেশে – কথা ছিল
ছুটন্ত লঞ্চের পাটাতন থেকে বুড়িগঙ্গার ঢেউয়ে
দুজনে একসাথে ঝাঁপ দিব - কথা ছিল
কথা ছিল - একদিন সারাদিন
ডিঙ্গিনৌকায় আড়িয়াল বিলের বর্ষা দেখবো-
আমি বাইব, আপনি উবু হয়ে শাপলা তুলবেন,
কলমিলতা, কচুরিফুলে আপনার টোপড় ভরে যাবে
রক্তে এখনো প্রচণ্ড ঝড়, অথচ হায়, আমাদের ইচ্ছেগুলো
অপূর্ণই রয়ে গেল।
জীবন কত ক্ষুদ্র, মৃত্যু এখন অতীব আকস্মিক-
সুঠাম, তরতাজা, ‘উজ্জ্বল’ মানুষগুলো হঠাৎ হঠাৎ
খবর হয়ে উঠছেন – ‘তিনি বা তারা আর নেই।’
আপনি কিংবা আমিও নিশ্চিত নই, ইতিমধ্যেই
আমাদের ফুস্ফুসে পঁচন ধরেছে কিনা।
আমাদের ইচ্ছেগুলো কি অপূর্ণই রয়ে যাবে?
আপনার পরনে থাকবে একটা কলাপাতা-রঙ শাড়ি,
যে-রঙ আমার অতি প্রিয়, এবং আপনারও।
কপালে থাকবে সবুজ একটা টিপ। দু কানে শিমের মতো
দুটো দুল, আর মটরদানার মতো
একটা নাকফুল থাকবে নাকে। আপনার রেশমি চুলগুলো
বাতাসে উড়বে পতাকার মতো ঢেউ খেলে।
পাঞ্জাবি কদাচিৎ পরি, ভালো লাগে না বলে।
আজ পরবো আপনার উপহার পাতাছাপের লাল পাঞ্জাবিটা।
আমার প্রবাসী বন্ধুরা অনেকেই, যেমন করিম, কিংবা
জসীম, অথবা মান্নান বা নূরু বহুদিন পূর্ণিমা দেখে না; সূর্যাস্ত কিংবা
সূর্যোদয়ের রূপ ওরা শেষ কবে দেখেছে, তা ভুলে গেছে।
নির্মম কথাটা কি শুনবেন? আমিও এসব দেখি নি,
কম করে হলেও চল্লিশ বছর।
এই অন্তরীণকালে কোথায়ই বা যাওয়ার আছে?
এই যে একুটুকরো ঘর, আর তার একটুকরো বিনম্র ছাদ
আজ এই ছাদের দেশে আমরা অনাবিল ঘুরে বেড়াবো
পুরোটা বিকেল; চোখ উজাড় করে
সূর্যাস্ত দেখবো, হালকা বাতাসে গা ভিজিয়ে রাতভর
আকাশের তারা গুনবো;
কোথায় যেন চলে গেল টগবগে দিনগুলো! ঘুরেফিরে
চোখে ভাসে জয়পাড়া-বান্দুরার পথ, ইছামতি নদী,
সুনসান রাতদুপুরে
ভুতুড়ে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে বাড়ি ফেরা;
ছুটি শেষে চলে যাচ্ছি, যতদূর দেখা যায়, গ্রামের শেষ মাথায়
দাঁড়িয়ে দুটো চোখ নীরবে অশ্রু ফেলছে।
আজ আমরা সেইসব পুরোনো গল্প পাড়তে পাড়তে
উদ্দাম চব্বিশে ফিরে যাব।
তারপর সকালের সূর্যোদয় কপালে মেখে ঘরে ফিরবো।
অপূর্ণ অযুত ইচ্ছেগুলো থেকে অন্তত এই ইচ্ছেটুকু
পূর্ণ করা যাক।
বলুন, আপনি কি রাজি?
৯ এপ্রিল ২০২১
১০ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১:৫৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: তমাল ভাই, শুরুতেই শুভেচ্ছা এবং ধন্যবাদ আপনাকে এত মনোযোগ দিয়ে পড়ে সুন্দর একটা কমেন্ট করার জন্য।
বদ্ধ সময় থেকে বের হয়ে সোনালি অতীতের স্মৃতিতে ঘুরে আসার আকাঙ্ক্ষা ভালো লেগেছে। - ঠিক করোনাকালীন না, তবে, অতীতে ঘুরে আসার একটা গল্প প্রায় বছর দুই আগেই শুরু হয়েছিল। অল্প একটু লেখার পর আর তাতে মনোযোগ দিই নি। আমি একটু বেশিই অতীতপ্রিয়, তাই বার বার অতীতে ফিরে যাই, আর যে-গল্পটা অলরেডি শুরু হয়ে স্থির বসে আছে, ওখানেও মাঝে মাঝে ঢুকে পড়ি।
অপূর্ণতাই আসলে মানুষকে বেঁচে থাকার আশা দেয়,প্রেরণা দেয়। একথাটা সুন্দর বলেছেন। আসলে সবকিছু পাওয়া হয়ে গেলে মানুষ আর কীসের জন্য বেঁচে থাকবে? তখন আরেকটা ফ্রাস্ট্রেশন সৃষ্টি হবে। অপূর্ণতাই আসলে বেঁচে থাকার প্রেরণা - সুন্দর বলেছেন।
বিঃদ্রঃ-এর কথা আর কী বলবো? আমার গুরুর কথা তো আপনার অজানা নাই কিছুই তবে, এ টেকনিকের কিছু কবিতা আমার গুরু ২০০২-২০০৫ সালে লিখেছিলেন। সেখানে আবার একটু ঘুরতে গেছেন আর কী!!
আবারও শুভেচ্ছা রইল প্রিয় তমাল ভাই।
২| ১০ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ২:৪৫
শায়মা বলেছেন: হায় হায় তমালভাইয়ার মত আমিও ভাবছিলাম উনাকে আবার আপনি আত্তি কেনো!!!
১০ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৩:০৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ফেইসবুকে এরকম একটা স্টেটাস দিয়েছিলাম
বাংলা কবিতার ইতিহাসে যেই না আমি প্রেমিকাকে 'তুই' বলে সম্বোধন করা শুরু করলাম, তা দেখে কোলকাতার সিনে-গীতিকাররা প্রেমিকাকে 'তুই' করে লেখা শুরু করলো। সেটা এখনো চলমান, কোনো ব্যতিক্রম কালেশ্রাবণে চোখে পড়ে। আচ্ছা, উহা দেখে ঢাকাই সিনেমার গীতিকাররাও গানের প্রেমিকারে 'তুই' বলে সম্বোধন করা শুরু করলো। শুধু কি তাই, এখন নরমাল প্রেমের গানেও 'তুই' 'তুই' 'তুই'-তে ম্যাসাকার হয়ে গেছে।
আমি নতুন করে প্রেমিকারে 'আপনি' করে বলা শুরু করলাম। আপনারা দেইখা রাইখেন, এই সম্বোধন যেন কেউ নকল না করে।
আপনি এসেছিলেন সোমবার
মঙ্গলবারে কেন আসেন নি
তবে কি আপনার করোনা হয়েছে
একাকী ঘরে চলছে কোরেন্টিন
---
ঘটনা মূলত ওখান থেকেই। সৈকত ভাই, তমাল ভাই আর সোহানী আপুরা অবশ্য তাতে সম্মতি দিয়েছেন বলে প্রতীয়মান
প্রেমিকাকে 'আপনি' সম্বোধনে লেখা আমার আরো কয়েকটা কবিতা আছে, অনেক আগে লেখা, ২০০২-২০০৫ সালের মধ্যে হবে। ব্লগে আছে কিনা দেখতে হবে।
আমি অবশ্য, মেয়ে, ছোটো ছেলে আর স্ত্রীকে যখন-তখন 'আপনি' বলে ডাকি, যদিও তা ফান করে
৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ২:৪৫
ভুল বানান বলেছেন: কত কথা মনে করিয়ে দিলেন। ভালো লাগলো ভীষণ।
১০ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ২:৫৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কবিতা ভালো লাগলো জেনে খুশি হলাম।
আপনার নিকটা আরো সরস হইত যদি 'ভূল বানান' করা হইত ঠাট্টা করলাম।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ২:৫২
নেওয়াজ আলি বলেছেন: আচ্ছা প্রবাসী বন্ধুরা কেনো পূর্ণিমা দেখে না ?
১০ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ২:৫৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ব্যাপারটা প্রতীকী, এবং বাস্তবিকও। ওরা কোনো বিলাসী জীবন যাপন করে না ওখানে, অনেক পরিশ্রম করতে হয়। সারারাত কাজ করে, ভোরে কাজ শেষ করে শুতে যায়। ঘুম থেকে ওঠে অনেক পরে। এজন্য, ফেইসবুকে আমার এক প্রবাসী বন্ধু আফসোস করে লিখছিল, সে ১৫ বছর ধরে সুর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দেখে না। আমি তার স্টেটাসে বললাম, দোস্ত, আমি তো মনে হয় ৪০ বছর ধরেই দেখি না। ওগুলো দেখার যেমন সময় নাই, ঐরকম রোমান্টিসিজম বা বিলাসী মনও নাই।
৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৩:১৩
শায়মা বলেছেন: হা হা ভেরি গুড ভাইয়া।
তবে তুই এর উপর ডাক নাই।
রেগে গেলে কষ্ট করে আর তুই বলা মনে করতে হয় না !
১০ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:২৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: তুই হলো সার্বজনীন সম্বোধন। এ ডাকে যত কাছে যাওয়া যায়, বাকিগুলোতে তা হয় না।
সম্রাটগণ তাদের স্ত্রীদের 'আপনি' সম্বোধন করতেন বলে কোথাও পড়েছি। কায়কোবাদের কোনো নাটক বা কবিতায় দেখেছি, যদ্দূর মনে পড়ে।
আশ্চর্য, রেগে গেলে সবারই অটোমেটিক্যালি 'তুই' শব্দটা চলে আসে মুখে। তবে আরো আশ্চর্য হলো, আমার মুখে 'তুই' এর বদলে 'আপনি' আসে? কারণ কী?
৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৩:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: সহজ সরল সুন্দর কবিতা।
১০ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:২৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সহজ সরল সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই।
৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:১৬
জুল ভার্ন বলেছেন: চমতকার!!!
১০ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:২৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ জুলভার্ন ভাই। শুভেচ্ছা।
৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৫১
শায়মা বলেছেন: কারণ তখন তোমার উপর কায়কোবাদ ভর করে ভাইয়া!!!!!!!!!!!!!!!! হা হা হা হা
১০ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৫৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহাহা। এইটা কখনো ভাবি নাই
৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০১
মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন:
সব ইচ্ছে পূর্ণ হতে নেই, তাহলে হয়তো বেঁচে থাকার ইচ্ছেটাই মরে যেত……
১০ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৪০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ সাখাওয়াত হোসেন।
১০| ১০ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:১৭
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: 'আপনার পরনে থাকবে কলাপাতা-রঙ শাড়ী'
লেখকের পরনে, 'আপনার উপহার পাতাছাপের লাল পাঞ্জাবিটা'
পুরো কবিতাটার একটা চমৎকার ভিজ্যুয়ালাইজেশন...
ভীষণ ভালো লেগেছে।
১১ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপু, চমৎকৃত হয়েছি আপনার উদ্ধৃতাংশ দেখে। পুরো কবিতায় আমার অনেক ভালো লাগা দুটো পঙ্ক্তি।
কবিতার চিত্রটা ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।
১১| ১০ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:২১
এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: এই কবিতা তো কবির ৩০ বছর আগে লেখা প্রয়োজন ছিল।
১১ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহা। ভালো বলেছেন ম্যাভেরিক ভাই।
তবে, সেই সময়ে বেশির ভাগ কবিতাই ছিল জ্বালাময়ী, তবে রোমান্টিক কবিতাও যে একেবারেই ছিল না, তা না।
স্বপ্নকুসুম
হাজার রজনি একাকী হয়েছে পার,
ওখানে আজও বাসর-দুয়ার খুলে
আমি সাজিয়েছি আমার ফুলদানিতে
রাতের বাগানে রজনিগন্ধা তুলে।
নীরব নিশীথে মলিন দীপের শিখায়
আমি জেগে আছি কবিতার খাতা হাতে,
মাতাল গন্ধ রজনিগন্ধা ছড়ায় :
কেউ যদি হতো নিঃসঙ্গ এ রাতে!
ভাবি যত কথা যত কবিতাই লিখি
লক্ষ্মী কে মেয়ে করে নাচানাচি এসে
বাগানে সহসা ডাকলো ভোরের পাখি-
ফুটেছে সেখানে স্বপ্নকুসুম হেসে।
• ১৯৮৬
১২| ১০ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:৫৩
ঢুকিচেপা বলেছেন: ইচ্ছেগুলো সুন্দর, স্বপ্নের মতো তবে নায়িকা রাজি হবে না।
আলিফ লায়লার মতো আপনি করে বলার কারণে নায়িকা লজ্জা পেয়ে ফুরুত....
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৩২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। এই নিকের পাসওয়ার্ড কি হারিয়ে গেছে?
১৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম কে কি মন্তব্য করেছে সেটা জানতে।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১:৫১
মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: অপূর্ণতার হাহাকার সমগ্র কবিতা জুড়ে। বদ্ধ সময় থেকে বের হয়ে সোনালি অতীতের স্মৃতিতে ঘুরে আসার আকাঙ্ক্ষা ভালো লেগেছে। অপূর্ণতাই আসলে মানুষকে বেঁচে থাকার আশা দেয়,প্রেরণা দেয়।
বিঃদ্রঃ আপনার গুরু প্রেমিকাকে তুমি/তুইয়ের বদলে আপনি বলে সম্বোধন করবেন বলেছিলেন। গুরুর পথ ধরে আপনিও সেই সংস্কৃতি ধারণ করে ফেলেছেন ইতোমধ্যে।