নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
১
প্রতিটা মানুষেরই কিছু না কিছু গল্প থাকে
গভীর ও গোপন
কেউ প্রকাশ করে, কেউ বুকে চেপে রাখে
সারাটা জীবন
২
হঠাৎ হঠাৎ খবরগুলো টিভিতে ভেসে ওঠে -
প্রিয়, হাস্যোজ্জ্বল মুখসকল, স্বজন বা অস্বজন লোকগুলো
আর নেই, আজ ভোরে বা দুপুরে মারা গেছেন
প্রতিটা মৃত্যুই স্মরণ করিয়ে দেয়- এভাবে তুমিও
একদিন হঠাৎ ‘খবর’ হয়ে যাবে।
৩
একদিন মুখ দেখেই বুঝে যেতে- আমার ভেতরে
উত্তাল নদী। তখন তোমার তীব্র আকুলতা।
জীবনে এমন সময়ও আসে, যখন হৃদয়ে থাকে না
প্রেম, এবং তুমিও আমাকে একটুও বোঝো না।
৪
আমাদের চোখে একবিন্দু ঘুম ছিল না
বুক উপচে ভূরি ভূরি গল্প বের হতো সারারাত
রাত শেষ হলে মনে হতো- হায়, কিছুই যে হলো না বলা
কী যে উদ্দাম ছিল আমাদের দিনগুলো, কী যে
বেপরোয়া, দুর্নিবার ছিল আমাদের প্রেম
একবার সদরঘাট থেকে লঞ্চ ছাড়লো। রেলিঙে ঘন হয়ে
দাঁড়িয়েছিলাম তুমি আর আমি। দুরন্ত গতিতে
ছুটে চলছে লঞ্চ। হঠাৎ তোমার হাত চেপে বললাম,
চলো, বুড়িগঙ্গায় ঝাঁপ দিই। তুমি যেন জানতে,
অমনি লঞ্চের কিনারে এসে একসারিতে দাঁড়ালে।
প্রেমের জন্য এভাবেই জীবন এত তুচ্ছ হয়ে যেত
মুহূর্তের জন্যও আমার ভাবনা থেকে আড়ালে চলে গেছো –
আমার মনে পড়ে না কখনো এমনটা ঘটেছে
আমি শুয়েছিলাম খাটে। তুমি নানা কাজে বাইরে যাচ্ছিলে,
আবার ঘরে ঢুকছিলে। একবার হলো কী,
ঘরে ঢোকার কালে আমার দিকে তাকাতে ভুলে গেলে,
বেরোবার কালেও আঁচলে তোমার চোখ ঢেকে যায়
কীভাবে এত নিষ্ঠুর, ভুলোমনা হলে তুমি? একটুকরো
চাহনি না ছুঁড়েই তুমি ঘর থেকে বেরোতে পারো,
বিশ্বাসই হচ্ছিল না। সেদিন সারারাত পার হয়ে যায়,
আমার অভিমান ভাঙাতে।
গ্রামের রাস্তায় আমরা রিকশায় যাচ্ছি দূরে এক
বিয়ে-বাড়িতে। এত মানুষের আনাগোনা! তুমি অস্থির,
ভীষণ অস্থির। আচানক অগণিত পথিকের চোখ ফাঁকি দিয়ে
আমার মাথা একঝটকায় টেনে নিলে বুকের কাছে,
কিছু বুঝে উঠবার আগেই অনবদ্য এক চুম্বন
এঁকে দিলে গালে। এমনটা আরো একদিন ঘটেছিল, তোমার
মনে পড়ে কিনা দেখো। বিরাণ এক চকের মাঝখান
দিয়ে আমরা হাঁটছি। গ্রামের সবগুলো চোখ জানালা
গলে আমাদের উপর স্থির। আমার ছুটি শেষ। আমাকে এগিয়ে
দিচ্ছ। আজও তুমি বড্ড ব্যাকুল। ছটফট করছো যন্ত্রণায়।
একটু দূরে ছোট্ট এক ঢিভি। ওখানে যেতেই ফিসফিসিয়ে
বললে- ‘জলদি নীচু হও, বসো।’ ঝড়ের মতো একমুহূর্তের
চুমুতে যেন সমগ্র সুখ লুফে নিলে। আমিও বিস্মিত, সুখে।
তুমি বললে- এটুকু না হলে আমি আজ মরেই যেতাম।
‘আজ আমি মরেই যেতাম’ – তোমার সেই ব্যাগ্রব্যাকুল
কথাটুকু এখনো কানে বাজে, সেই তৃপ্তিভরা মুখের
হাসি এখনো চোখে রঙিন আলো ছড়ায়।
আমাদের প্রেম ছিল ঝড়ের মতো। আমাদের কথা আর গল্প
ছিল অনন্ত আকাশের মতো অফুরন্ত। তোমার আত্মা আমার
আত্মার ভেতরে, আমার আত্মা তোমার আত্মার ভেতরে
একাকার হয়ে গিয়েছিল। তোমাকে ছাড়া আমি আর কিছু
বুঝতাম না। তোমাকে ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় আমার পা
চলতো না। আমার বুকে কান্না জমে পাথর হয়ে যেত,
আমি কাঁদতে চেয়েও কাঁদতে পারতাম না।
ছুটি শেষে চলে যাবার সময় বহু পথ হেঁটে হেঁটে তুমি আমার
সাথে আসতে। গ্রামের শেষ মাথায় এসে থামতে।
আমি চলে যাচ্ছি, বার বার পেছন ফিরে চাইছি।
আমার পা চলে না। হায়, আরেকটা দিন যদি থাকা যেত!
দিনগুলো কেন অনেক অনেক দীর্ঘ হলো না, রাতগুলো কেন
মুহূর্তেই ভোর হয়ে যায়?
গ্রামের শেষ মাথায় এসে থামতাম। তারপর আড়িয়াল বিলের
দীর্ঘ দু মাইল রাস্তা পায়ে হেঁটে পার হতাম, ধূ-ধূ চোখে
দেখা যেত, তুমি তখনো ঠায় দাঁড়িয়ে আছো।
অতদূর থেকেও যখন হাত নাড়াতাম, তোমারও হাত তুলতে
একটুও দেরি হতো না; আমার চোখ বেয়ে দরদর করে
পানি পড়তো, আমি বাতাসের স্বননে শুনতে পেতাম,
তুমিও ফুঁপিয়ে কাঁদছো। তোমাকে রেখে চলে যাওয়া কী যে
কষ্টের, তা শুধু জানতো ভাষাহীন দীর্ঘ পথ ও পথের ধূলিকণা।
তারপর যেখানেই থাকতাম, তোমার প্রতিটা কথা,
প্রতিটা হাসি আমার কানে অবিরাম বাজতো, আমাকে বিভোর
করতো। আমার চিন্তায়, মগজে, মননে সতত তুমিই থাকতে
তোমাকে আমি ধ্যান করতাম ঘুমের ভেতরে
তোমার কথা ভাবতে ভাবতে আমি পাগল হয়ে যেতাম
তারপর উন্মাদের মতো ছুটে আসতাম তোমার প্রেমপুণ্যের
কাননে।
তখন তো মুঠোফোন ছিল না। ল্যান্ডফোনও ছিল না
আমাদের। আমাদের ছিল চিঠি। তোমার চিঠির জন্য
অস্থির হয়ে উঠতাম। মরুভূমিতে শীতল বৃষ্টি নিয়ে
তোমার চিঠি যখন আসতো, চিঠির ঘ্রাণের ভেতর আমি
বুদ্ হয়ে ঘুমিয়ে যেতাম।
তোমার প্রতিটা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সুখ আমাকে আন্দোলিত করতো।
আমার প্রতিটা কষ্ট তোমার চোখে অশ্রু ঝরাতো।
আমার প্রতিটা কথাকে তুমি ভাবতে কবিতা।
তোমার প্রতিটা চাহনি আমার রোমকূপ ছুঁয়ে যেত।
শৈশব, কৈশোরে মায়ের কোল, বাবার হাত ছিল
আমার সব আনন্দের উৎস। তারুণ্যে ছিলে তুমি; যৌবনে,
মধ্যযৌবনেও তুমি। জীবনকে মধুর এবং অর্থবহ করলে
তুমি; এবং এখন পড়ন্ত জীবনের প্রতিটা মুহূর্তে
তোমার সান্নিধ্যের অপেক্ষায় থাকে সমস্ত হৃদয়।
তুমি যখন ঘরে ঢোকো, আমার চারপাশে আলোর ঘ্রাণ
ছড়াও, মনে হয়, আমি আজও সেই উদ্দাম যৌবনে
পড়ে আছি।
অশিতিপর বয়সেও প্রিন্স ফিলিপ যখন রানি এলিজাভেথের
কক্ষে ঢুকতেন, রানির মুখমণ্ডল আলোকিত হয়ে উঠতো।
তুমি তবে বুকে হাত রেখে বলো, তোমারও কি এমনটা হয় না কখনো
রানি এলিজাভেথের মতো? পড়তি জীবনে স্ত্রীর চেয়ে বড়ো সঙ্গী
আর কে আছে ভুবনে? কেউ নেই। স্বামী-স্ত্রীরাই মধুরতম বন্ধু।
কিন্তু আবেগ যেমন ক্ষণস্থায়ী, প্রেমও তেমনি স্থায়ী নয়। বলতে
পারো, প্রেম একসময় মরে যেতে পারে, কিংবা প্রেম
হারিয়ে যেতে পারে জীবন থেকেও।
তুমি কি জানো, একজন পুরুষের প্রথম কবে ভালোবাসায়
ঘাটতি দেখা দেয়? ভাবনাটা খুব নিষ্ঠুর, কিন্তু ঘটনাটা খুব
বাস্তব। প্রথম সন্তান জন্মের পরই প্রতিটা পুরুষ টের পায়,
স্ত্রীর ভালোবাসা কমতে শুরু করেছে। প্রতিটা পুরুষই
বুঝে ফেলে- তার ভালোবাসা ভাগ হয়ে যাচ্ছে।
আমারও মনে হতো, আগে তোমাকে যতখানি কাছে পেতাম,
এখন পাচ্ছি না, আগে তোমার যতখানি মনোযোগ পেতাম,
এখন তা থেকে ঢের কমে গেছে। কিন্তু এটাই জীবন।
বাস্তবতা এটাই। তাই ভাগ হওয়া ভালোবাসা মেনে নিয়েই
তোমার প্রেমেতে অন্ধ ছিলাম।
কিন্তু তুমি কি ভেবেছিলে, সেই ভালোবাসা একদিন
একেবারেই উবে যেতে পারে?
তুমি কি জানতে, একদিন তুমিও হয়ে উঠবে যে-কোনো
সাধারণ নারীর মতোই হৃদয়হীনা, নিষ্ঠুর, যার অন্তরে
একবিন্দু প্রেমও অবশিষ্ট থাকবে না?
ছোটোবেলায়, যখন প্রেম বুঝতাম না, তখন এ গান খুব
প্রিয় ছিল – এক হৃদয়হীনার কাছে, হৃদয়ের দাম কী আছে?
সারাটা জীবন প্রেমের জন্য উৎসর্গ করে পড়ন্ত বিকেলে মনে
হচ্ছে, সত্যিই, পৃথিবীতে প্রেম বলে কিছু নেই।
খোলা আকাশের নীচে দাঁড়িয়ে, নির্মল মেঘের দিকে তাকিয়ে
একবার বলো- তোমার কোমল হৃদয়ের গভীরে
কী করে ধরে রেখেছ এত নির্মম, কঠিন একটা মন, যে মন
থেকে সমস্ত প্রেম, মায়া, আর মমতা নিঃশেষ হয়ে গেছে?
সেই তুমি কীভাবে ‘প্রেমিকা’ থেকে আমূল বদলে গেলে, হয়ে উঠলে
নিরেট মমতাহীনা? এই যে নৃশংস চোখে তোমার আগুন
ঠিকরে পড়ে, তোমার কি একবারও মনে পড়ে না,
এই চোখে একদিন নদী ছিল, রহস্যের পাহাড় ছিল,
আর ছিল আবেগের অশ্রু, যা আমাদের ভালোবাসাকে ভিজিয়ে
দিত, শক্ত বাঁধনে আটকে দিত!
এর জন্য তুমি দায়ী নও, দায়ী নই আমিও।
দায়ী হলো এক রাক্ষস, যার নাম সংসার।
আমরা যখন সংসারে ঢুকে পড়ি, তখন প্রেম খুব কোণঠাসা
হয়ে পড়ে। প্রেম পড়ে যায় বিপাকে। সংসার আমাদের চাহিদা
বাড়িয়ে দেয়। প্রতিদিন বাড়ে সে চাহিদা। বাড়ে হিমশিম।
বাড়ে অস্থিরতা। টানাপোড়েন বাড়ে। বাড়ে আমাদের দূরত্ব।
আমাদের অজান্তেই অবহেলিত প্রেম একদা নীরবে
পালিয়ে যায়।
আমরা কি পারি না ভুলে যেতে এ গঞ্জনার সংসার?
আমরা কি পারি না ফিরে যেতে আগের সেই
টগবগে দিনগুলোতে?
আমি জানি না, তুমিও জানো না- তোমার বুকেও
হয়ত সর্বগ্রাসী মহামারি বেঁধেছে গোপন বাসা
নীরবে ক্ষয় হচ্ছ তুমি, ক্ষয় হচ্ছি আমি
হয়ত হঠাৎই আমরাও একদিন ‘খবর’ হয়ে যাব
বুকে নিয়ে অতৃপ্ত ভালোবাসা।
চলো তবে, সমূলে ঝেড়ে ফেলি মানসিক ব্যাধি-
হৃদয়নাশা জেদ ও ক্রোধ, ফিরে যাই বাঁধভাঙা প্রথম যৌবনে
আবার সেই উদ্দাম প্রেমিক-প্রেমিকা হয়ে উঠি।
যতদিন বেঁচে আছি, বাঁচতে চাই প্রেমে। প্রেমই জীবনকে
মহিমান্বিত করে, প্রেমই জীবনকে করে অর্থবহ।
চলো, এই দুরূহ সংসার থেকে নিই ছুটি।
১২ এপ্রিল ২০২১
১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:১৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সোনার খাঁচায় দিনগুলো মোর রইল না। সেই যে আমার নানান রঙের দিনগুলি।
চাইলেই ফিরে যাওয়া যায় না, এজন্যই আকুলতা এত বেশি। ফিরে যাওয়া গেলে তো মনের বাসনা পূর্ণই হয়ে যেত।
অতীতগুলো খুব মধুর। তাই সেখানে যেতে আমাদের এত আকুলতা।
পাঠ ও কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ স্বপ্নের শঙ্খচিল।
২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৩৭
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হায়রে.......
সংসারই তবে সকল প্রেমাবসানের কারণ....
১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৩৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: যখন মনে একটা টপিক আসে, সেটাকে দ্রুত লিখে ফেলাই বুদ্ধিমানের কাজ। আর একটা কিছু লেখা হলে তা ব্লগে শেয়ার করার আগ পর্যন্ত স্বস্তি হয় না। অনেকে আবার অনেক ছাঁটাছাঁটির পর ফুলপ্রুফ লেখাটিই পোস্ট করেন। প্রথম লেখাটা পোস্ট করার পর বার বার পড়ি এবং এডিট করতে থাকি, তাতে লেখাটা একটু ইম্প্রুভ করে।
গতরাতে পোস্ট করার পর এটা বহুবার এডিট করা হয়েছে। এখন ৪টা সিকোয়েলের মধ্যে ধারাবাহিকতা কিছুটা হলেও বোঝা যায়।
এ লেখাটার একটা বিশেষ ধরণ বা বৈশিষ্ট্য আছে, যা আমার নিজস্ব স্টাইল হিসাবেই আমি দাঁড় করাতে যাচ্ছি। আমার অম্লবচনগুলোর যে স্টাইল, এটাও ঐ স্টাইলের লেখা এটা। মূল কথা বলি - এটা হতে পারে কবিতা, হতে পারে গদ্য, কিন্তু সবকিছুর মূলে এখানে একটা গল্প আছে। কেউ কোনোদিন খুব গভীর ভাবে স্টাডি করলে গল্পটা ধরতে পারবে। আবার, আমি যদি আরেকটু খোলসা করে লিখি, তাহলে গল্পটা স্পষ্ট হয়ে উঠবে, সেইক্ষেত্রে এটাকে আর কবিতা মনে হবে না।
এই থিমের উপর আমার একটা কবিতাও আছে, নাম হলো রাক্ষস :
রাক্ষস
আমি তো চাই নি এমন পৃথিবী
আগুনের সংসার
চেয়েছি একটি প্রেমিকাবধূর
দুটো চোখ কবিতার
চেয়েছি একটি শীতল নদীর
জোসনামুখর বুক
চেয়েছি তোমার কমনীয় রাত
থির পরিপাটি সুখ
আমি তো চেয়েছি সংসার জুড়ে
অমরাবতীর ঘর
কোলাহলহীন নির্ঝঞ্ঝাট
বৈরাগ্যের বর
আজো মনে হয় - এই তো সেদিন
পদ্মাপাড়ের গাঁয়
বহুদূর থেকে ধুধু চোখে চেয়ে
দাঁড়িয়ে রয়েছ ঠায়
আমি ফিরে যাই বিভূঁই বিদেশে
মন রেখে যাই ঘরে
গোপনে আমার বুক ভেঙে যায়
চোখ ফেটে জল ঝরে
বিভূঁইয়ে আমার মন যে বসে না
বুক জ্ব’লে অঙ্গার
ঘরেতে আমার প্রেমিকার মন
কেঁদে কেঁদে হয় জার
আকাশে আমরা দোলনা বেঁধেছি
মেঘের সিঁড়িতে বাসা
হাওয়ায় হাওয়ায় ভেসেছি আমরা
ভুবন-সর্বনাশা
আমরা হেসেছি খেলেছি ঘুরেছি
দূর থেকে দূরগ্রাম
পাহাড়ের গায়ে পানিতে লিখেছি
তোমার-আমার নাম
অতুল মধুর প্রেমেতে আমরা
কাটিয়েছি বহুকাল
সেই প্রেম কবে কেড়ে খেয়ে নিল
সংসার দজ্জাল
আমি তো চাই নি এমন জীবন
বিষে ভরা সংসার
ঘোরলাগা এক জীবন চেয়েছি
প্রেমবতী প্রেমিকার
আমার প্রেমিকা হারিয়ে গিয়েছে
দজ্জাল সংসারে
কে দেবে আমাকে ফিরায়ে আবার
পুরোনো সে প্রেমিকারে
১৯ আগস্ট ২০১৯
---
লেখাটার উপর কিছু ব্যাখ্যা আপনার কমেন্টের উত্তরে দিয়ে রাখলাম, উৎসাহী কেউ পড়ে হয়ত খুশিও হতে পারেন, অ্যাট লিস্ট বেজার হবেন না কেউ, আশা করি।
---
তো, কমেন্টে জুড়ে দেয়া কবিতা আর বর্তমান পোস্টের কবিতায় আমি এ জিনিসটাই বোঝাতে চেয়েছি, সংসারের গঞ্জনায় একসময় প্রেম নামক বিষয়টা হারিয়ে যায়। যদিও, আরো অনেক গভীরে যাওয়ার পর বোঝা যায়, সংসারটাই একটা প্রেম, যা হলো জটিল সব আবেগের সমষ্টি, যা আমাদের জীবনকে একটা ফাঁদের মতো চারদিক থেকে আটকে রেখেছে।
অনেকদিন পর প্রহরকে দেখে ভালো লাগলো। শুভেচ্ছা।
৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১:১৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
সেখানে প্রেম নেই, ভালোবাসা নেই, নেই কোনো চাওয়া-পাওয়া, তাহলে এই জীবনের অর্থ কী?
ভালবাসা নয়ত ছেরা ফুল, নয় হৃদয়ের অবুঝ ভুল, কেঁদে কেদে বলেনা প্রেম মানে কি মরণ ?
কষ্টে ভরা জীবন যাদের ,দুঃখ ভরা মন, মনের সাথে যুদ্ধ করে যারা থাকে সারাক্ষন
আশায় ভাসে তাদের ভালবাসা, প্রেমে ভাসায় তাদের পুরোটা জীবন
প্রেমে দুঃখ পাওয়ার ভয়টা থাকে কম,মন উজার করে যায় যে ভালোবাসে।
ভালোবাসার জন্য উৎসর্গ করতে প্রস্তুত যারা তার জীবন, তারা কোনো সাধারণ
মানব-মানবী নয়; স্রেফ একটা অন্য কিছু , হাওয়ায় ভাসেনা তাদের জীবন
প্রেম ও সংসার হাত ধরা ধরি করে চলে অনন্ত অসীম সুখের পানে ।
শেষের কবিতায় প্রেম ধরা দিয়েও দেয়নি ধরা কিন্ত এখানে এই কবিতায়
হবেনা তা,মনে বাজে এ প্রেম কাহিনী পাবে স্বার্থকতা, পাবে সুখের সংসার।
কবিতা ভাল লেগেছে ।
শুভেচ্ছা রইল
১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৪৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রিয় ডঃ এম এ আলী ভাই,
আমি মুগ্ধ ও অভিভূত হয়েছি আপনার কমেন্ট পড়ে। আমার কবিতা পড়ে আপনিও নিজেও এক অসাধারণ কবিতা লিখে ফেললেন, ব্যাপারটা চমৎকার ও বিস্ময়কর।
যে প্রশ্ন দিয়ে কবিতা শুরু করেছেন, প্রশ্নেই তার উত্তর নিহিত রয়েছে। যে-জীবনে প্রেম নেই, ভালোবাসা ও চাওয়া-পাওয়া নেই, সে-জীবনের কোনো অর্থও নেই। এমন জীবন কেউ চায় না, আর এমন জীবন বেশিদূর যেতেও পারে না, একসময় মুখ থুবড়ে পড়ে থাকে।
প্রেম ও সংসার হাত ধরাধরি করে চলে অনন্ত অসীম সুখের পানে। দারুণ একটা কথা বলেছেন। আসলেই তো! প্রেম না থাকলে তো সংসার টিকতে পারে না। আবার সংসার না হলে প্রেমের কোনো সৃষ্টিও হয় না। কাজেই, এটা নিশ্চিত- প্রেম ও সংসার গলাগলি ধরে বহমান এক আরাধ্য সুখের নেশায়।
অনেক ভালো লাগলো কমেন্ট। এ পোস্টের মহিমা বাড়িয়ে দিয়েছে আপনার কবিতা-কমেন্ট।
অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা প্রিয় আলী ভাই।
৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:০৮
সন্ধ্যা রাতের ঝিঁঝিঁ বলেছেন: কি দারুণ লিখেন আপনি। পোষ্টে ++
১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৫৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি। 'কি দারুণ লিখেন আপনি।' কথায় উদ্বেলিত হলাম। ধন্যবাদ সেজন্য।
শুভেচ্ছা।
৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:৩৪
নেওয়াজ আলি বলেছেন: প্রতিটি মরণ বেদনার তবে এখন গাড়িতে গাড়িতে মরণটা বেদনার চেয়ে বেদনার।
১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:০১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: যার যায় সে জানে। আমার বা আপনার কাছে সেই মানুষটা খুব নিম্নবিত্তের, নগণ্য হতে পারে, কিন্তু ঐ মানুষটার সন্তান, স্ত্রী-পরিবারের কাছে সে এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।
মৃত্যু যেন সবেগে ধেয়ে আসছে। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে অনেক বেশি, একই সাথে সব বাস্তবতা মেনে নিয়ে মনকে দৃঢ়চেতাও করতে হবে।
কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ নেওয়াজ আলি ভাই।
৬| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৪০
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আমি বুঝেছি কমেন্ট ও পোস্টের দুটি কবিতাই।
আমিও এমন অনেক কিছু লিী কিন্তু কে কি ভাববে ভেবে পোস্ট করিনা। তবে অজানা নিকে লিখলে রিলাক্স ফিল করি।
পাছে লোকে কিছু বলে এই ভয় আমি পাইনা বটে তবে কিছু কিছু লেখা লিখতেই পারিনা পাছে লোকেদের ভাবনায়।
যাইহোক আমি একটা লেখা লিখেছি শুভ্রের কথা নিয়েই। এখুনি পোস্ট দিয়ে দেবো.....
পাছে লোকে যা খুশি তা বলুক না ভেবেই ...
১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:২৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: লোকে কী ভাববে এটা ভেবে পোস্ট দিই না আমিও। কারণ, আমি মনে করি যে, আমি এমন কোনো পোস্ট দিব না যাতে তুমুল আপত্তিকর বিষয় থাকবে। যা নিয়ে লিখব তা ডিফেন্ড করার মতো শক্তিমত্তা বা জ্ঞানদখল নিয়েই লিখি।
তবে, যে বিষয়ে অসুস্থ বিতর্ক হতে পারে, যা শুধু আমারই বদনাম না, ব্লগের উপরও যার প্রভাব পড়বে ব্লগের সুনামের উপর, সেগুলো নিয়ে কিছু লেখার আগে ভেবে নেয়া উচিত। কোনো পোস্টে আপত্তির পরিমাণ বেশি হলে তা ডিলিট করে দেয়া বুদ্ধিমানের পরিচায়ক।
শুভ্র'র লেখাটা পড়বো আরাম করে ওটা দারুণ একটা লেখা, প্রতিটা সিকোয়েন্সের স্বাদ উপভোগ করতে চাই।
৭| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:০৮
জুল ভার্ন বলেছেন: অসাধারণ সুন্দর একটা লেখা।
১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:২৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার প্রশংসা পাওয়া দারুণ ব্যাপার। অনেক ধন্যবাদ জুল ভার্ন ভাই।
৮| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি বরাবরই সুন্দর লিখেন। আপনি অভিজ্ঞ মানুষ।
১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:১৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনি অভিজ্ঞ মানুষ। বয়সের সাথে সাথে অভিজ্ঞতা তো বাড়ে। সেই হিসাবে আপনার কথাটা সত্য।
আপনি বরাবরই সুন্দর লিখেন। আপনাদের বিনয় ও ভালোবাসা। সত্যিকারে কতখানি ভালো লিখি, তা সময়ই বলে দিবে।
ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই।
৯| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: সত্য কথা বলি- আমার বয়স বাড়ছে কিন্তু বুদ্ধি বাড়ছে না।
১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:১১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: একবার আমার বাবা আমার বড়ো ছেলেকে জিজ্ঞাসা করলো, দাদা, তোমার বুদ্ধি বেশি, নাকি তোমার বাবার বুদ্ধি বেশি? প্রশ্ন শেষ হবার আগেই ছেলে বলে দিল- আমার বুদ্ধি বেশি (ছেলের বুদ্ধি বেশি)
প্রতিটা মানুষই কারো কারো কাছে সারাজীবনই শিশু থাকে। তাদের কাছে আসলে তাদের গাম্ভীর্য, ব্যক্তিত্ব বলে কিছু থাকে না। আচ্ছা, দু-একটা উদাহরণ দিতে পারবেন?
আমি কয়েকটা দিচ্ছি।
আমার স্ত্রীর কাছে আমি ও আমার বাচ্চারা একইরকম। বাচ্চারা যেমন ঘরদোর নষ্ট করে, দুষ্টুমি করে, আমিও ওদের সাথে পাল্লা দিয়ে ওসব করি। ছেলেমেয়েদের সাথে আমিও স্ত্রীর বকা খাই
মা-বাবার কাছে সন্তানরা সব বয়সেই আহ্লাদি থাকে।
১০| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:২০
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই,
শেষেরটা সাথে বাকীগুলো না দিলেও চলতো। যদিও ৪টিই একই সূত্রে গাঁথা। প্রথম তিনটি যেন শেষের কবিতাটির মুখবন্ধ।
দারুন লিখেছেন।
প্রেমকে টিকিয়ে রাখতে গেলে যে বিবাগী হতে হয়! বানপ্রস্থে গিয়ে সাধু হতে হয় । কিন্তু সাধু সাজা যায় , সাধু হওয়া যায়না!
আসলেই - রাতগুলো কেন যে নিমিষেই ভোর হয়ে যায় !!!!!!!!
১৬ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:০০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রথম তিনটি যেন শেষের কবিতাটির মুখবন্ধ।
প্রিয় আহমেদ জী এস ভাই, আপনি ঠিকই বলেছেন, প্রথম ৩টা সিকোয়েল যেন শেষ সিকোয়েলের মুখবন্ধ। আবার প্রতিটা সিকোয়েল আলাদাভাবেও স্বয়ং সম্পূর্ণ মনে হতে পারে।
প্রেমকে টিকিয়ে রাখতে গেলে যে বিবাগী হতে হয়! বানপ্রস্থে গিয়ে সাধু হতে হয়। কথাটা মনে গেঁথে গেল। সংসার একটা মহৎ প্রেমের নাম। সেটা টিকিয়ে রাখতে হলে কত ছাড় দিতে হয় কত ভাবে! সেটাও একটা প্রেম!
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৩৬
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আবার সেই উদ্দাম প্রেমিক-প্রেমিকা হয়ে উঠি।
........................................................................
চাইল্ই কি দিনগুলো ফিরে আসবে ???