নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
তোমাদের যা কিছু খাবার সাধ হয়,
খেয়ে নিয়ো প্রথমা বৈশাখে
গরম ভাতে পানি ঢেলে পান্তা, মচমচে ইলশে ভাজা
নতুন কেনা মাটির বাসনে চুমুক দিয়ে
চুকচুক করে পান্তার পানি খেয়ো, আর উগড়ে দিয়ো তৃপ্তির ঢেকুর-
আহ! বড্ড বাঙালি হলুম!
আমি সেই বাসিভাতই খাব, গতরাতে ভাতের হাঁড়িতে পানি ঢেলে
যত্ন করে পঁচতে না দেয়া মায়ের রেখে দেয়া ধন; পেঁয়াজকুচি
আর ভাজা শুকনামরিচ ভেঙে মাখানো অমৃতে কী স্বাদ,
তোমরা জানবে না।
আমরা তো হদ্যিকাল থেকেই এসব খেয়েছি প্রতিটা সকালে
লাঙল আর কাস্তে লয়ে ক্ষেতে বেরোবার আগে।
আমাদের কালেভদ্রে ইলিশ জুটতো - বিশেষত মেজবানিতে;
একবেলা খেয়ে আরেক বেলার জন্য নুন-পানিতে জ্বাল দিয়ে
রেখে দিত মা। সকালের পান্তায় ইলিশভাজা - কোন হালায় শেখালো?
গ্রীস্মের বাংলায় কোন নদীতে ইলিশ গাবায়? পৌষ-মাঘ-ফাল্গুনে
কিংবা চৈত্র-বোশেখ ঝাঁকাভরা ইলিশ কে দেখেছে, কোন বাজারে?
কারা, কবে সকালের পান্তাভাতে ভাজা ইলিশে পেট পুরেছে?
এই যে গালভরা বুলি ঝাড়ো – বোশেখের সকালে পান্তা-ইলিশ –
এ ‘পোশাকি ঐতিহ্য’ বাঙালির নয়। এসব বুলিবাজেরাও
বাঙালি কেউ নয়; বাংলার জনপদে ওদের পদস্পর্শ পড়ে নি।
আমাদের ছিল সেঁচিশাক ডাঁটাশাক বুনোকচু কলমিলতা
আমাদের ছিল আলুভর্তা কুমড়ো ভাজা মাষকলাইয়ের লাউ
আমাদের ছিল খলসে বইচা ট্যাংরা ভেদা শোল টাকি আর
পুঁটিমাছের ভাগা
আমাদের ছিল খাল-বিল-পুকুর-ডোবার সহজ জীবন
সহজ সুখেই কেটেছে চিরটা কাল
আমাদের ছিল চৈত্রসংক্রান্তি-
গ্রামে গ্রামে মেলা, পাগলা ষাঁড়ের কাছি ছেঁড়া, আর ঘোড়দৌড়
আমাদের ছিল হালখাতা আর কলাপাতায় রসগোল্লা
আমাদের ছিল
বাজারে বাজারে দোকানে দোকানে প্রাণভরা উৎসবে পয়লা বৈশাখ
যখন রাতের খাবারেই কষ্টেসৃষ্টে কদাচিৎ জুটতো- আহা,
সকালের পান্তায় একটুকরো ইলিশ, কে আমায়
কবে খাইয়েছিল, কেউ কি বলবা?
গরম পান্তায় ভাজা ইলিশ- কোন হালায় তোমাগো শিখাইছে
এই কৃত্রিম বাঙালিপনা?
তোমরা আবহমান বাংলার কেউ নও, ধান্ধাবাজ পরদেশী।
খালি পিডাইতে ইচ্ছা করে- যখন শুনি তোমরা বলছো-
পান্তা-ইলিশ হইলো বাংলার ঐতিহ্য।
৮ এপ্রিল ২০১৮
-
হদ্যিকাল- আদিকাল (আঞ্চলিক/কথ্য ভাষা; ক্ষোভ প্রকাশের জন্য ব্যবহৃত)
হালা- শালা- (ঐ একই)
-
ফুটনোট : শিরোনামটি জীবনানন্দ দাশের 'তোমাদের যেখানে যাবার সাধ হয়' থেকে ধার করা
পহেলা বৈশাখ – আমাদের আসল খাদ্যসংস্কৃতি বনাম কৃত্রিম ইলিশ-সংস্কৃতি : ব্লগার ও ফেইসবুকারদের মতামত ভিত্তিক সমীক্ষা
উৎসর্গ : অকৃত্রিম বাঙালিরা
১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:৪৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: একেবারে বাস্তবিক জীবন্ত বুড়ির মতোই দেখাচ্ছে তাকে ছবিটা যেমন সুন্দর, সেটিংটা সুন্দর।
শুভেচ্ছা আপনাকেও।
২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:২৯
ঢুকিচেপা বলেছেন: “ সকালের পান্তায় ইলিশভাজা - কোন হালায় শেখালো?”
এই প্রশ্নের উত্তর পেলে জানাবেন।
ছোটবেলায় পান্তা খেয়েছি মরিচ, পেঁয়াজ, সরিষার তেল আর আলু ভর্তা দিয়ে।
বৈশাখ উপলক্ষে কোনদিন পান্তা খাইনি তাই বাঙালি আছি কিনা বুঝতে পারছি না।
১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:৫৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সকালের পান্তায় ইলিশভাজা
প্রথমত, পান্তা প্রধানত গ্রামবাসীদের খাবার ছিল আগে, যদিও এখন গ্রাম আর গ্রাম নেই, শহর হয়ে গেছে, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ এবং
ফ্রিজ আছে। শহরের লোকজন অধিকতর সচ্ছল এবং তাদের ফ্রিজ ছিল, বা পান্তার বদলে সকালে গরম ভাতই খেত। তাই সকালে পান্তার কথা উঠলেই গ্রামের মানুষের পান্তার কথা উঠে আসে।
এখন মূল কথা হলো, গ্রীষ্মকালে, বিশেষ করে মাঘ, ফাল্গুন, চৈত্র, বৈশাখে নদীর পানি কম থাকে (এখন তো নদী শুকিয়েই যায়), মাছ ধরা পড়ে অনেক কম, সেগুলোর দামও থাকে চড়া। বর্তমানে মাছ ধরার জন্য যেমন সমুদ্র ব্যবহার করা হয়, আগের দিনে সাগরের মাছ এত বেশি ধরা হতো না, সাগরের মাছ ততটা প্রিয়ও ছিল না। কক্সবাজারের মাছ সারাদেশে বহন করার নজীরও ছিল কম। ছিল প্রধানত নদীর মাছ। সেই অল্প পরিমাণ নদীর মাছ চড়ামূল্যে বিক্রি হতো। গ্রীষ্মকালে ঘরে ঘরে প্রতিদিনই ইলিশ কেনা হচ্ছে, সকালে ইলিশ ভেজে পান্তা দিয়ে খাওয়া হচ্ছে, এটা হলো সম্পূর্ণ কাল্পনিক একটা চিত্র। এটা কোনোদিনই গ্রামবাংলায় হয় নি। কাজেই, এটাকে বাংলার ঐতিহ্য বানিয়ে ইলিশের দাম আকাশচুম্বী করে একশ্রেণির হঠকারী দালালেরা। যেই প্রবণতা ২০১৫ সালের পর থেকে প্রধানমন্ত্রীর একটা ঘোষণার পর থেকে কমে গেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ১লা বৈশাখের অনুষ্ঠানে ইলিশ না রান্না করার জন্য। এটা খুব কার্যকরী ছিল। এর সুফল পাচ্ছি এখন। গত এক বছর ধরে ইলিশের যে দাম, গত ১০ বছরের মধ্যে তা সর্বনিম্ন।
আপনি যা দিয়ে পান্তা খাইতেন, আমরাও সেভাবেই খাইতাম কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় আমরাই এখন অবাঙালি, আর যার পান্তা কীভাবে রান্না করতে হয়, তা শিখে এবং সেভাবে সকালে ভাজা ইলিশ দিয়া পান্তা খায়, তারাই খাস বাঙালি
ভালো কথা, আপনার গলা তো অসাধারণ। সুরও করেছেন দারুণ। লিরিকও দারুণ।
ভালো কথা- আমার ছেলের নামও পাইলট। কেন পাইলট, একদিন গল্প বলবো নে
৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:৫১
শায়মা বলেছেন: ঢুকিচেপা ভাইয়া আমি ঠিক ঠিক পান্তা খাই জানো? মরিচ পেঁয়াজ আর সরিষার তেল আর গরুরমাংস ভাঁজা!
১৫ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:০৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পান্তা আমিও খাই। সার্জারির পর মেডিসিন ইনডিউসড ডায়াবেটিস হওয়ার পর পান্তা তেমন খাওয়া হয় নি।
পান্তাভাত মজাদার হওয়ার জন্য যা করতে হবে - রাতে ভাতের মধ্যে পরিমাণমতো পানি ঢালতে হবে। এটা ফ্রিজে রাখেন অনেকে, তবে, ফ্রিজে রাখার দরকার নেই। আসল ব্যাপার যেটা, সকালে পান্তার পানিটা ফেলা যাবে না। কেন বললাম, অনেকে ভাতগুলো নাড়া দিয়ে পুরোনো পানিটা ফেলে দেয়। অথচ ভাতের সবটুকু মজাই থাকে ঐ পানিতে।
আচ্ছা, এখন আর অন্যকিছু নিই না পান্তায় - শুধু একটা আইটেম- করলা বা উস্তা/উচ্ছে ভাজি। যারা করলা ভাজি খেয়ে অভ্যস্ত, তাদের কাছে এটা অমৃতের মতো লাগবে।
৪| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: দারুন কবিতা। প্রতিটা লাইনে অনেক কথা না বলেও বলে দিয়েছেন।
১৫ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:১৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই। শুভ নববর্ষ এবং রমজানুল মোবারক।
৫| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:১৩
আখেনাটেন বলেছেন: চমৎকার।
গতরাতে ভাতের হাঁড়িতে পানি ঢেলে যত্ন করে পঁচতে না দেয়া মায়ের রেখে দেয়া ধন; পেঁয়াজকুচিআর ভাজা শুকনামরিচ ভেঙে মাখানো অমৃতে কী স্বাদ,তোমরা জানবে না। আমরা তো হদ্যিকাল থেকেই এসব খেয়েছি প্রতিটা সকালে লাঙল আর কাস্তে লয়ে ক্ষেতে বেরোবার আগে। --- এগুলো তো এখনকার টিকটকাররা কখনই জানবে না। আমরা যাঁরা গ্রামের মাটির স্বাদ নিয়ে আজ শহুরে হয়েছি, তাদের কাছে এ জিনিস এখনও অমৃতই।
১৫ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:২৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
এগুলো তো এখনকার টিকটকাররা কখনই জানবে না। আমরা যাঁরা গ্রামের মাটির স্বাদ নিয়ে আজ শহুরে হয়েছি, তাদের কাছে এ জিনিস এখনও অমৃতই। একেবারে খাঁটি কথা বলেছেন। ভালো দিক হলো, জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে, টেকনোলজিক্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট হয়েছে, যার ফলে ভাতকে আর পানিতে মিশিয়ে প্রিজার্ভ করার প্রয়োজন পড়ে না। মানুষ রান্নাও করে মেপে মেপে, যাতে খাবার বাসি না হয়। বেশি হলে তার জন্য তো ফ্রিজ আছেই। কিন্তু তাই বলে পয়লা বোশেখের উপর একটা মিথ্যা মিথ সৃষ্টি করে বলবে - ভাজা ইলিশ দিয়ে সকালের পান্তা খাওয়া হল বাঙালি ঐতিহ্য সেটা মেনে নেয়া যায় না। ও ব্যাপারটায় সিনিয়র সিটিজেনদের মধ্যেও বিরক্তি ও ক্ষোভ লক্ষ করেছি।
আমি ৮৪ থেকেই ঢাকায় বসবাস করি। ঢাকায় কোথাও এরকম পান্তা ইলিশের ছিটেফোটাও ছিল না, কেউ আলোচনাও করতো না। ৯০-এর দশকেও কোথাও দেখি নি। এটা চাওড় হল ডিশ টিভির বহুল প্রচারের পর, ২০০৫ সালের পর থেকে, যখন বাংলাদেশেও একটা একটা করে চ্যানেল বাড়তে থাকলো। তারা ঘটা করে ১ল বৈশাখের অনুষ্ঠান প্রচার শুরু করলো, আর তার সাথে যুক্ত হতে থাকলো ইলিশ-পান্তা কালচার। ভালো দিক হলো, এই ইলিশ পান্তার হিড়িক এখন অনেক কমে গেছে।
কবিতা পড়ার জন্য ধন্যবাদ প্রিয় আখেনাটেন।
৬| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:২০
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া আমি তো করোলা ভাঁজি ঘি দিয়ে গরমভাতে মজা করে খাই.....
উচ্ছে দিয়ে পান্তা আমি খাই না
হাবুর মত করোনাকে করলা করলা করিও না.....
একটু যদি পাই
ঘি মাখিয়ে গাবুস গুপুস খাই
১৫ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:২৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহাহা।
তবে একদিন খেয়ে দেখবেন। টেস্ট কেস হিসাবে দু-এক লোকমা খাবেন, ভালো লাগলে তো পরের ইতিহাস জানাইবেনই
আচ্ছা, ঘি দিয়ে করোলা ভাজি - বাসায় বলতে হবে। করোলার চাইতে উচ্ছে আমার কাছে বেশি স্বাদ লাগে।
৭| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৩৯
শায়মা বলেছেন: উচ্ছে কোনটা আর করোলা কোনটা জানিনা। তবে আমাদের ছাঁদ বাগানে আসমা সুফিয়ারা নাকি বাজার থেকে কিনে আনা করোলার বিঁচি ফেলেছিলো।
সেখান থেকে এমন মজার করোলা বা উচ্ছে কিছু একটা হয়েছে ভাইয়া.......
আর একজন রাজবাড়ি থেকে ঘি পাঠিয়েছিলো.....
ভাইয়া আমি সব সময় ঘি খাই......
যে যা বলুক ভাই
আমি মোটু ভুটকি হই বা নই আমার ঘি আর ভাত চাই চাই চাই......
১৫ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৫২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাইব্রিড চাষের ফলে এখন উস্তার সাইজ হয়ে গেছে ওরিজিন্যাল করোলার সাইজ, আর করোলা হইয়া গেছে কুমিরের সমান
উস্তাটা সাইজে ছোটো হয়, গায়ের রঙ করোলার চাইতে বেশি সবুজ/ডার্ক গ্রিন। উস্তার শরীর একটু কুচকানো থাকে বেশি। উস্তার স্বাদ করলার চাইতে বেশি। করলা ২০টাকা কেজি হইলে উস্তা ৪০টাকা কেজি। অন্যান্য পার্থক্য আর কী বলবো - উস্তা পেকে গেলে হলুদ হয়ে যায়।
ঘি, চর্বি, বেশি খাইতে নিষেধ নাই। তবে, প্রতি ৩ মাস, অন্তত ৬ মাস পরপর কোলেস্টেরল/এল এফটি ব্লাড টেস্ট করাইবেন। এগুলো বেড়ে গেলে ঘি খাইয়া মাদবরি দেখাইয়া কোনো লাভ হইব না।
৮| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৫৯
ঢুকিচেপা বলেছেন: ধন্যবাদ।
কথা শেষ হইয়াও হইল না শেষ.........
“ভালো কথা- আমার ছেলের নামও পাইলট।”
উহা আমি জানি বহুদিন আগে থেকেই।
ভাবছি পাইলট এসোসিয়েশন গড়বো। ঢাকা দেখবে আপনার ছেলে, রাজশাহী দেখবে ক্রিকেটার পাইলট আর কি চাই ?
আউস চালের পান্তা সবচেয়ে মজা লাগতো। আর পান্তার পানি আরো মজার।
@শায়মা আপু গরুর মাংস দিয়ে পান্তা অমৃত।
১৫ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১:০৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ও আচ্ছা, উহা যেহেতু জানেন, তাহলে উহার পাইলট নাম রাখার শানে নযুল ভি জানেন জানলেও অন্য আরেকদিন কমু নে
পাইলট অ্যাসোসিয়েশন - গুড আইডিয়া। ঠিক আছে, আপনি রাজশাহী দেখুন। মনে পড়লো, কোনো এক গল্পে আপনি এজন্যই তাইলে শিক্ষাসফরে রাজশাহী গেছিলেন?
আমার ঘরে এখনো আউশ চালের ভাত খাচ্ছি। এসব ব্যবস্থা অবশ্য আমার গৃহবান্ধবীই করে থাকেন। তবে, এখনকার আউশ আর আগের আউশ এক না। আমাদের ক্ষেতে হতো আউশ, বোরো আর আমন। এর মধ্যে সেরা ছিল বোরো, আড়িয়াল বিলের ক্ষেতে। এরপরের র্যাংক ছিল আউশ ধানের। আমনটা কিছুটা অবহেলিত ছিল এখন সবই হয়ে গেছে হাইব্রিড
গরুর মাংশ দিয়া কখনো পান্তা ভাত খাইছি কিনা মনে পড়ে না। স্ক্যানার লাইয়া দেখবো নে
৯| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১:০৪
শায়মা বলেছেন: সেটাই তো আমিও খাই ভাইয়া ঢুকিচেপা.......
আর খলিলভাইয়া এখন থেকে উচ্ছে আর করলা চিনবো....
১৫ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১:১০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: উস্তার ছবি দিলাম না কষ্ট করে। গুগলে উচ্ছে লিখে সার্চ দিন। ভূরি ভূরি।
১০| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৭:১১
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: গরমে পান্তা শীতে কড়কড়া ভাত।এই ছিল সাধারন বাঙ্গালীর সকালের খাবার।এসব অবস্য অনেক আগেকার কথা।উন্নতির সাথে সাথে এখন অবস্য অনেক পরিবর্তন হয়েছে।
গ্রামবাংলার একটা সুন্দর ছবি এঁকেছেন।ঘোড়দৌড় অবস্য সারা বেলায় হতো না।আপনাদের এলাকায় অবশ্য ঘোড়দৌড়ের মাঠ আছে,এখন আছে কিনা জানি না।
১৫ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:১৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: গরমে পান্তা শীতে কড়কড়া ভাত।এই ছিল সাধারন বাঙ্গালীর সকালের খাবার। আমরা সেই আমল থেকেই বেড়ে উঠেছি। নব্বইয়ের দশক পর্যন্তও এমনটাই দেখেছি। এরপরে গ্রামে গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেল, ধীরে ধীরে গ্রামও হয়ে উঠলো শহর, ফলে বাসি ভাত চলে গেল ফ্রিজে। মানুষ অবস্থাপন্নও হলো, ফলে অনেকেই বাসিভাতে আর থাকলো না, চলে গেল সকালে নতুন রান্নায় বা রুটি-পরোটায়।
উন্নতির সাথে সাথে এখন অবস্য অনেক পরিবর্তন হয়েছে। হ্যাঁ এটাই ঠিক। তবে, অপপ্রচারের ফল হিসাবে আমরা মিথ্যা ঐতিহ্য নিয়া মেতে উঠছি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে।
পাগলা ষাঁড়ের দড়ি ছেঁড়া, ঘোড়দৌড়- এগুলো শেষ কবে দেখেছি মনে নেই, ৮৬ সালের পরে আর দেখার সুযোগ হয় নি। সেই মাঠ অবশ্য আছে, কিন্তু ষাঁড় বা ঘোড়দৌড়ের প্রভিশন এখন আছে বলে মনে হয় না।
সুন্দর কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ নুরুল ইসলাম ভাই।
১১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:২৩
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
এবার রমজান থাকায় পহেলা বৈশাল ম্লান ।
১৫ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:২৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আসলে, কোভিডের কারণে গতবার এবং এবার, দুইবারই ১লা বৈশাখ ম্লান হয়ে গেছে।
১২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:২৩
জুল ভার্ন বলেছেন: বরাবরের মতো চমৎকার লিখেছেন।
১৫ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:৪২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় জুল ভার্ন ভাই।
১৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই। শুভ নববর্ষ এবং রমজানুল মোবারক।
আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
করোনা সব কিছু মাটি করে দিচ্ছে। সুন্দর সময় গুলো নষ্ট করে দিচ্ছে।
১৫ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:১৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আবার এসে ধন্যবাদ জানানোর জন্য ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই।
করোনা আসলেই অনেক কিছু তছনছ করে দিচ্ছে।
১৪| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৩
মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: পান্তা ইলিশের কালচার আমাদের কখনোই ছিলো না। এটা ব্যবসায়ীদের একটা চাল। গ্রাম-বাংলার মানুষ সারাজীবন পুকুর, নদী, খালের মাছ খেয়েছে। এখন দেশি জিনিসের ট্রেন্ড থেকে এসব মাছেরও দাম বেড়ে গেছে। ফলে পাঙ্গাস, তেলাপিয়াই এখন প্রধান ভরসা। পান্তা ভাতের সাথে ডিমভাজা, পেয়াজ, মরিচ আমার সবচেয়ে প্রিয়। কবিতার মাধ্যমে একটা ভুল ট্রেন্ডের সমালোচনার পাশাপাশি আমাদের প্রকৃত সংস্কৃতির পরিচয়ও দিয়েছেন। সুন্দর কবিতা।
১৫ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার মন্তব্যে এই কবিতার মূলভাবের সাথে ঐকমত্য প্রকাশ পেয়েছে বলে ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন এবং আপনার মন্তব্যেও এই আর্টিফিশিয়াল বৈশাখী ঐতিহ্যের মূল রহস্য উঠে এসেছে।
সবসমই খুব সুন্দর এবং গঠনমূলক কমেন্ট করেন, যা খুব ভালো লাগে।
শুভেচ্ছা রইল তমাল ভাই।
১৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:৩৭
মিরোরডডল বলেছেন:
পহেলা বৈশাখে কখনও পান্তা খাইনি, তার মানে আমিও বাঙালি না
কবিতার শেষ দুলাইন ...... কি বলবো...... হাসি ছাড়া কিছু বলার নেই
লেখাটা সেরকম হয়েছে !!!
১৬ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:৪৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বাংলার শুভ নববর্ষ
১৬| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:০১
মিরোরডডল বলেছেন:
শুভ নববর্ষ ধুলো ।
এটা নিশ্চয়ই শোনা হয়েছে, অসাধারণ লিরিক !
এমনি দুই পাখি দোঁহারে ভালোবাসে,
তবুও কাছে নাহি পায়।
খাঁচার ফাঁকে ফাঁকে পরশে মুখে মুখে,
নীরবে চোখে চোখে চায়।
দুজনে কেহ কারে বুঝিতে নাহি পারে,
বুঝাতে নারে আপনায়।
দুজনে একা একা ঝাপটি মরে পাখা
কাতরে কহে, কাছে আয়।
বনের পাখি বলে না, কবে খাঁচায় রুধি দিবে দ্বার
খাঁচার পাখি বলে হায়, মোর শকতি নাহি উড়িবার।
১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:০৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এটা শুনি নি। ইমন চক্রবর্তীর গান শোনা আপাতত বন্ধ রেখেছি। একটু ক্ষোভ আছে তার উপর। নোবেলম্যান সংক্রান্ত ইস্যুতে সে বাংলাদেশকে নিয়ে কিছু কটু কথা বলেছিল ফেইসবুক স্টেটাসে। সে ভালো গান গায়, কিন্তু ক্ষোভটা কমাইতে পারছি না
১৭| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:০৪
মিরোরডডল বলেছেন:
লিংকটা ঠিকমতো যায়নি
১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:০৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এটা লোপা একা গেয়ে থাকলে, বা অন্য কেউ গেয়ে থাকলে শুনে নেব নে
১৮| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:২৫
মিরোরডডল বলেছেন:
ইমন চক্রবর্তীকে আমি এখানেই প্রথম শুনলাম, তাই কিছুই জানিনা ।
আর ফেসবুকিং করা হয়না বলে অনেক কিছুই মিস হয়ে যায় ।
যাইহোক, রেজওয়ানারটা শুনবে ।
১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৩২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: স্কুল-কলেজ লাইফে এটার সারাংশ/সারমর্ম লিখেছি। গত পরশুও এটা থেকে খায়রুল আহসান স্যারের কবিতায় উদ্ধৃতি দিলাম। কিন্তু এটা গান হিসাবে আজই প্রথম শুনলাম।
খাঁচার পাখি ছিল সোনার খাঁচাটিতে, বনের পাখি ছিল বনে।
একদা কী করিয়া মিলন হল দোঁহে, কী ছিল বিধাতার মনে।
বনের পাখি বলে, ‘খাঁচার পাখি ভাই, বনেতে যাই দোঁহে মিলে।’
খাঁচার পাখি বলে, ‘বনের পাখি আয়, খাঁচায় থাকি নিরিবিলে।’
বনের পাখি বলে, ‘না, আমি শিকলে ধরা নাহি দিব।’
খাঁচার পাখি বলে, ‘হায়, আমি কেমনে বনে বাহিরিব।’
বনের পাখি গাহে বাহিরে বসি বসি বনের গান ছিল যত,
খাঁচার পাখি গাহে শিখানো বুলি তার— দোঁহার ভাষা দুইমত।
বনের পাখি বলে, ‘খাঁচার পাখি ভাই, বনের গান গাও দেখি।’
খাঁচার পাখি বলে, ‘বনের পাখি ভাই, খাঁচার গান লহো শিখি।’
বনের পাখি বলে, ‘না, আমি শিখানো গান নাহি চাই।’
খাচার পাখি বলে, ‘হায় আমি কেমনে বনগান গাই।’
বনের পাখি বলে, ‘আকাশ ঘন নীল কোথাও বাধা নাহি তার।’
খাঁচার পাখি বলে, ‘খাঁচাটি পরিপাটি কেমন ঢাকা চারি ধার।’
বনের পাখি বলে, ‘আপনা ছাড়ি দাও মেঘের মাঝে একেবারে।’
খাচার পাখি বলে, ‘নিরালা কোণে বসে বাঁধিয়া রাখো আপনারে।’
বনের পাখি বলে, ‘না, সেথা কোথায় উড়িবারে পাই!’
খাচার পাখি বলে, ‘হায়, মেঘে কোথায় বসিবার ঠাঁই।’
এমনি দুই পাখি দোঁহারে ভালোবাসে, তবুও কাছে নাহি পায়।
খাঁচার ফাঁকে ফাঁকে পরশে মুখে মুখে, নীরবে চোখে চোখে চায়।
দুজনে কেহ কারে বুঝিতে নাহি পারে, বুঝাতে নারে আপনায়।
দুজনে একা একা ঝাপটি মরে পাখা— কাতরে কহে, ‘কাছে আয়!’
বনের পাখি বলে, ‘না, কবে খাঁচায় রুধি দিবে দ্বার!’
খাঁচার পাখি বলে, ‘হায়, মোর শকতি নাহি উড়িবার।’
১৯| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৫৪
মিরোরডডল বলেছেন:
ধুলো কোনটা ? খাঁচার না বনের পাখি ?
নাকি দুটোই অর কোনটাই না
১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১:০৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কী মনে হয়?
২০| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১:১৩
মিরোরডডল বলেছেন:
কুটি মিয়া আর প্রেমের গল্প পড়লে মনে হয় বনের পাখি ।
কিন্তু ইলিশ পোলাও ধরণের লেখা পড়লে মনে হয় খাঁচার পাখি ।
কখনও মনে হয় মুক্ত বিহঙ্গ আবার কখনও খুবই সাংসারিক ।
১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১:২০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: নীচের মন্তব্য দ্রষ্টব্য
২১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১:১৫
মিরোরডডল বলেছেন:
অবশ্য প্রতিটা মানুষের মনেই দুটো পাখি একই সাথে পাশাপাশি বসবাস করে ।
কখনও ঘরের বাঁধন ভালো লাগে আবার কখনও মুক্ত আকাশ ।
১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১:২৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
প্রেম ও সংসার নিয়ে তো পর পর বেশ কয়েকটা লেখা দেয়া হয়েছে। মানুষের মন হলো একটা বনের পাখি, আর সংসার হলো তার ফাঁদ, যেখানে 'মায়া' বা মমতা বা প্রেম হলো শিকল। বৃহত্তর ও মহত্তর অর্থে এই হলো মতামত, যা আবার সার্বজনীনও।
২২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১:২৫
মিরোরডডল বলেছেন:
ধুলো, মাস্টারদার পোষ্ট দেখবে ।
মনটাই বিষণ্ণ হয়ে গেলো ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:১৪
শায়মা বলেছেন:
ভাইয়া আমার পান্তাবুড়ির পক্ষ থেকে সবার জন্য পান্তাভাত আর বৈশাখী শুভেচ্ছা!