নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
১
একজন রমণী, কিংবা নারী- বিকেলের নরম রোদ পেছনে ফেলে শান্ত সৌম্য পায়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। একটা ছোট্ট ছেলে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তার দিকে। তার মা যখন হাঁটতো, ঠিক এমন করেই হাঁটতো।
ছেলেটা একদৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখেছে- রমণী হেঁটে যাচ্ছেন। তার শাড়ির আঁচল একপাশে ঝুলে পড়ে বাতাসে উড়ছে। শৈশবে মায়ের হাত ধরে গুঁটি গুঁটি পায়ে হাঁটতে হাঁটতে আঁচলের ঝাঁপটায় তার মুখ ঢেকে যেত। দু’হাত পাখার মতো দু’দিকে ছড়িয়ে দিয়ে আঁচল ভেদ করে মুখের হাঁ আর নাক দিয়ে শুউশ্শ্ শব্দে সে বাতাস টানতো। তার খুব ভালো লাগতো। মা মারা গেছে সেই কবে; মায়ের ঘ্রাণও সে ভুলে গেছে। কখনো-বা হঠাৎ হঠাৎ কোথাও থেকে মায়ের একদঙ্গল ঘ্রাণ দমকা হাওয়ার মতো ভেসে এসে যখন ওর মুখ ভিজিয়ে দেয়- মা মা বলে সে করুণ আর্তস্বরে গুমরে কেঁদে ওঠে; ওর বুক ফেটে যেতে চায়, আর মনে হয় পাঁজরগুলো যেন ভেঙে যাচ্ছে।
২
একটু পরই সন্ধ্যা। ছিমছাম চারপাশ মাধুরীমাখা আলো-আঁধারীতে ছাওয়া। এমন সময়ে অকারণে মন চঞ্চল হয়ে ওঠে, ঢেউ ওঠে হৃদয়ে; মন কত কী যে ভাবে, কত কী যে চায়, মন নিজেই জানে না সে-সব।
ক্যানভাসের মতো সুচারু রাস্তা ধরে কবিতা বুনে যাচ্ছে কে এক স্নিগ্ধ অনামিকা। একটু পেছনে হাঁটছিল এক মন-চঞ্চল, স্বপ্নখোর, দিশাগ্রস্ত তরুণ।
সে এক তরুণী। খোঁপায় গুঁজেছে ফুল। কী সুন্দর ঢঙে ছন্দের মতো খুব ধীরে মাটিতে চরণ ফেলে, মিষ্টিমধুর তালে দুলে দুলে সে হেঁটে যাচ্ছে! বাতাসে মৌ মৌ করছে ফুলের ঘ্রাণ। বেলিফুল। হাসনাহেনা। রজনিগন্ধা। আরো নাম-জানা বা না-জানা হাজারো ফুলের ঘ্রাণে টগবগে ছেলেটা মাতাল হয়ে যাচ্ছে। বয়সটাই এমন। মেয়েদের খুব ভালো লাগে। খুব সহজেই মেয়েদের চোখে চোখ পড়ে যায়। প্রতিটা চোখেই কত শত কথা লুকানো! কত কথা যেন বলতে চায় চোখগুলো!
তরুণী হেঁটে যাচ্ছে। একটা লতানো কবিতার মতো সে দুলে দুলে হাঁটছে, সিনেমার স্লো-মোশন সিকোয়েন্সের মতো অতীব ধীর লয়ে, খুব ধীরে কদম ফেলে ফেলে। সে ডানে তাকায়, বামে তাকায়। মাঝে মাঝে আকাশে তাকায়। আকাশে মেঘ নেই। কী দেখে সে আকাশে? হায়, একবার যদি পেছন ফিরে তাকাতো! খুব দেখতে ইচ্ছে করছে মেয়েটার মুখ। দেখতে ইচ্ছে করছে অনন্ত মাধুর্যে ভরা সেই মুখে একটুকরো হাসির বিভা। একটু দ্রুত হাঁটে ছেলেটা। আরেকটু পা বাড়ালেই বামে ঘাড় ঘুরিয়ে সে মেয়েটার মুখ দেখতে পাবে। একটা দুরন্ত তৃষ্ণা জেগে ওঠে মেয়েটার মুখ দেখার জন্য।
মেয়েটা হাঁটছে; হাঁটছে মেয়েটা।
মেয়েটা ধীর পায়ে হাঁটছে; হাঁটছে ধীর লয়ে।
একটা স্নিগ্ধ কবিতার মতো গন্ধ ছড়িয়ে হাঁটছে।
হাঁটার ঢঙটিতেই এক অপরূপ শিল্প ফুটে উঠেছে।
ছেলেটা জানে না, বুঝতে পারে না- মেয়েরা কীভাবে এত সুন্দর করে হাঁটে। একপলক মেয়েটার মুখ দেখার জন্য সে অস্থির হয়ে উঠলো।
কিন্তু হঠাৎ ভিড়ের মধ্যে মেয়েটা হারিয়ে গেল। হায়, দেখা হলো না কবিতার মতো স্নিগ্ধ মুখখানি! আক্ষেপ আর বেদনায় তার মন ভরে উঠলো। যতদূর গেল, যতদিন গেল- অনেক অনেকদিন ধরে তার মনে জেগে থাকলো মধুর ছন্দে হেঁটে যাওয়া একটি অপরূপা কবিতার ছায়া, এবং তারপরও মেয়েটার হেঁটে-যাওয়া ছায়াটি তার মন থেকে কোনোদিন মুছে গেল না।
৩
সন্ধ্যার কিছু আগে। একটা বেতের চেয়ারে হেলান দিয়ে সামনের রাস্তায় গভীর মগ্নভাবে তাকিয়ে আছেন তিনি। গোধূলির অপূর্ব সৌন্দর্যে তার মন আকুল হয়ে উঠছে। এ সময়ে ধীর পায়ে হালকা নীলরঙা শাড়ি পরে যে মেয়েটিকে হেঁটে যেতে দেখলেন, তার মনে হতে থাকলো- এটি কিছুদিন আগে অকালে মরে যাওয়া তার মেয়েটিই যেন।
২৬ মে ২০১৯
১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:৩১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হ্যাঁ, ঠিকই বলেছেন। ছোটোবেলায় সন্ধ্যার অর্থ একরকম ছিল, এখন অন্যরকম। বয়স ফুরিয়ে গেলে এর তাৎপর্য বদলে যাবে।
কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই।
২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:০৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: একটা স্নিগ্ধ কবিতার মতো গন্ধ ছড়িয়ে হাঁটছে।
এমনটা শুধু স্বপ্নেই সম্ভব।
১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:৩৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বিকেলে এক্সারসাইজের জন্য হাঁটছিলাম। এ জায়গাটা এমনিতেই সুন্দর, আবাসিক এলাকা, খুব পরিপাটি। সামনে একটু দূরে হেঁটে যাচ্ছিলেন একজোড়া নরনারী। অপরিচিত হওয়ায় তাদের মধ্যকার সম্পর্ক জানি না। কিন্তু, ঐ রমণী এতই মনোমুগ্ধকর ঢঙে হেঁটে যাচ্ছিলেন যে, তা আমার চোখে লেগে গেল। সেই থেকে এ গল্পের কনসেপ্ট মাথায় আসে।
হ্যাঁ, এমনটা শুধু স্বপ্নেই সম্ভব। আবার, এমন অনেক কিছুই ঘটে, যার বর্ণনা কবির ভাষায় খুব অপ্রতুলই মনে হয়, যেমন ঐ রমনীর হেঁটে যাওয়ার দৃশ্য। তিনি যেভাবে হেঁটেছিলেন, আমার তৃপ্তিমতো তা ফুটিয়ে তুলতে পারি নি, আমার কাছেই অনেক অতৃপ্তি রয়ে গেছে।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ প্রিয় জলদস্যু। শুভেচ্ছা।
৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:২৮
মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: নারী ,পুরুষের তিন কাল ও তিন স্বরূপ উন্মোচন করেছেন।নারীর তিনটি রূপ উপস্থিত; মা, প্রেমিকা এবং কন্যা, সবই পুরুষের দৃষ্টিকোণ থেকে। শৈশবে মায়ের প্রতি অনুরক্ততা ,কৈশোর/ যৌবনে প্রেমিকার প্রতি ভালোবাসা এবং পরবর্তীকালে কন্যার প্রতি অপত্য স্নেহের স্বরূপ প্রকাশ করেছেন। ভালো লেগেছে পোস্ট।
১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:৪০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক সুন্দর করেছেন তমাল ভাই, একেবারে বুলে হিট। আমি মুগ্ধ।
শুভেচ্ছা।
৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৪
নীলসাধু বলেছেন: ত্রিকাল পাঠে ভালো লাগা রইলো।
শুভেচ্ছা জানবেন সোনাবীজ ভাই।
ভালো থাকবেন।
১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনাকে দেখে খুব ভালো লাগলো নীলসাধু ভাই। আশা করি সুস্থ আছেন, ভালো আছেন এবং নিরাপদেই আছেন।
শুভেচ্ছা রইল।
৫| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৮
রানার ব্লগ বলেছেন: অনুভূতির তিন দুরদান্ত প্রকাশ!!
১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রানা ভাই। নিন, মিষ্টি খান।
৬| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২০
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: সাধারন মানুষ যা সাধারন ভাবে দেখে কবি সাহিত্যিকরা সেটাই দেখে এক অসাধারন দৃষ্টিতে।দেথার এই পার্থক্যটাই একজনকে আরেকজন থেকে পৃথক করে।
১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ওয়াও! ওয়াও! খুব সুন্দর কথা বলেছেন নুরুল ইসলাম ভাই। এমন প্রশংসায় বুক ভরে যায়।
অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
৭| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৬
রানার ব্লগ বলেছেন: আমার ডায়াবেটিস
আপনার প্ল্যান সুবিধার না যা যা পছন্দ করি না এবং আমার জন্য খাওয়া অনুচিত তাই সধাছেন।
১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমি এটা খাই। মিষ্টি ছাড়া বাকরখানি। দুধ চা, উইথ স্প্লেন্ডা শুগার
এবার খান
৮| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৬
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: কারো হেঁটে যাওয়ার এমন শৈল্পিক প্রকাশ আসলেই টেনে নিয়ে যায় সেই রমণীর নমনীয় পায়ে উড়ে ওঠা ধুলোর ছায়ায়। সত্যিকার অর্থেই কিন্তু পরিপক্ব হয়েছে আপনার প্রকাশ ভঙ্গি। মনে হচ্ছে যেন ত্রিকালে আমিও দেখেছি এই হেঁটে যাওয়া। পিছে ফেলে আমায় হেঁটে চলেছে (এটা শান্তনার ইমো।)
নীল সাধু ভাইকে অধিক সক্রিয় দেখে ভালো লাগছে৷ আর আপনার এমন মনোমুগ্ধকর পোস্টের কারণেও। মনে হচ্ছে, জেগে উঠছে ব্লগ সেই পুরনোদিনের জম্পেশ আড্ডার মত।
একটু হাঁটায় গেঁথে দিয়েছেন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি কাল। এই তিনটি কালে একজনের পুরুষের সবচেয়ে বেশি আকাঙ্ক্ষার যে বস্তু থাকে সেটারই প্রকাশ ঘটিয়েছেন।
শিশু পুত্রের কাছে মাতা। আর যদি দুর্ভাগ্য ক্রমে সেই মাতা হয়ে থাকেন লোকান্তরিত তবে তো তাঁর আকাঙ্খা বেড়ে যায় কোটি গুণে বেশি। বিপদে-সুখে প্রতিটি মুহূর্তে যদিও সে লোকান্তরিত মাতার জায়গায় কাওকে চায় খুবই আকুতি ভরে। যদিও সে পায়। পেয়ে যায় কাউকে সাময়িক বা মোটামুটি বাকিটা জীবনের জন্য। তবু তার জেগে ওঠে ভালোবাসা যখন মায়ের মত কাউকে সামনে ধীরগতিতে হেঁটে যেতে দেখে। এই হেঁটে যাওয়ায় তার স্মৃতি হাঁটে।
একটু এগিয়ে যখন শিশুটির বয়স তারুণ্যের চাঞ্চল্যে ভরে ওঠে তখন তার কামনার পরিবর্তন ঘটে। তখন সে চাহনিতে মুগ্ধতা দেখতে চায়। ফুটে ওঠা গোলাপের হাসি দেখতে চায় তার বিপরীতে হেঁটে চলা/ দাঁড়িয়ে থাকা রমণীর ঠোঁটে। চাইলে কিন্তু সে চঞ্চল তরুণ জীবন বাজি রাখতে রাজি হয়ে যায় সেই হাসির জন্যে।
একজন পিতাকে পুত্রের চেয়ে কন্যাই কিন্তু অধিক ভালবাসে৷ অনেক ক্ষেত্রে তারা তার প্রকাশ ঘটাতে চায় না৷ যা অল্প একটু প্রকাশ পায় তাতেই পুত্রের ভালোবাসা হেরে যায়। সত্যিকার অর্থেই কিন্তু তা। পুত্রের চেয়ে কন্যার ভালোবাসা বেশি মাতাপিতার জন্য। বিশেষত, কন্যার ভালোবাসা অধিক হয়ে থাকে পিতার জন্য। আর পিতাও থাকেন সেই ভালোবাসার জন্য তৃষ্ণার্থ যেমন থাকে মরুভূমির বালুকারাশি বৃষ্টির জন্য।
নিরন্তর শুভকামনা আপনার জন্য।
১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কী বলবো, ভাষা হারিয়ে ফেললাম যেন। মনে হচ্ছে, সত্যিই সেই সোনালী অতীতে চলে এসেছি, যখন দিনরাত ব্লগিং করতাম, রাত জেগে ব্লগিং করতে করতে চোখের নীচে কালি পড়ে যেত, আর একেকটা দীর্ঘ কমেন্ট ও প্রতি-কমেন্টে পোস্ট দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হতো। অভিভূত, মুগ্ধ।
আমার চোখে নারীদের বিষয়ে পুরুষের ভাবনা মোটা দাগে তিন ভাগে বিভক্ত- শৈশব/কৈশোর, তারুণ্য ও বার্ধক্য। প্রতিটা কালকে গল্পে যেভাবে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি, আপনার বর্ণনায় সেটা আরো জীবন্ত ও সম্প্রসারিত হয়ে উঠেছে। এটা খুব ভালো লাগছে আমার।
নীল সাধু ভাই, কাওসার ভাই, সহ আরো কয়েকজন অনিয়মিত ব্লগারকে অ্যাক্টিভ দেখছি। পদ্ম পুকুর, মফিজ ভুইয়া, আখেনাটেন ভাই অনেকদিন বিরতির পর ফিরে এসেছেন। নীল আকাশ ভাইকেও দেখছি। ঠাকুর মাহমুদ ভাইকে দেখছি না। অ্যাক্টিভ ব্লগার আবু হেনা ভাই হারিয়ে গেলেন চিরতরে। নিয়মিত ব্লগারদের সাথে এই ব্লগাররা ব্লগে থাকলে ব্লগ আবার সরগরম হয়ে উঠবে আশা করি।
আর আমিও নিজের টেম্পু এবং ব্লগের টেম্পু- দুটাই ধরে রাখার জন্য প্রতিদিনই অ্যাক্টিভ থাকার চেষ্টা করি। ব্লগ যদি আবার জমজমাট হয়, কতই না আড্ডা হবে।
চমৎকার এই কমেন্টটিও এ পোস্টের প্রাণ। আমি আপ্লুত।
অনেক ধন্যবাদ তাজুল ভাই। শুভেচ্ছা।
৯| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৪
ওমেরা বলেছেন: একই মেয়ের হাঁটা আপনি দেখেছেন বাবা,ছেলে, ও প্রেমিকের চোখ দিয়ে ।খুব সুন্দর হয়েছে ভাইয়া।
আমার আম্মু মারা গিয়েছে কিছুদিন পর সাত বছর হবে, আমিও মাঝে মাঝে আম্মুর ঘ্রান পাই।
আর মাঝে মাঝে আম্মু আমাকে আমার নাম ধরে ডাকে । সেই ডাকটা আমি কানে শুনি একেবারে বাস্তবের মত।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এমন কিছু ঘ্রাণ আছে, যা কোনোদিন ভোলা যায় না। মায়ের ঘ্রাণ তেমনি একটা। আমার মা মারা গেছে ১৯৮০ সালের ১৬ এপ্রিলে, যখন আমি ক্লাস সেভেন পড়ি। (মায়ের কথাটা উঠে আসায় ব্লগার ডার্কম্যান/সৈকত ভাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ১৬ এপ্রিলে ফেইসবুকে আমার স্টেটাসে তিনি এটা উল্লেখ করেন)। মা মারা যাবার পর তেমন কাঁদি নি, কিন্তু খুব অবাক হতাম এবং ভাবতাম- মাকে ছাড়া বাকি জীবন কীভাবে বাঁচবো? মা আমাদের জীবনে এতটাই জড়ানো থাকে যে, মা-বিনা বাঁচা যায়, এই ধারণাটাও আমাদের জন্মায় না। মাকে হারিয়ে খুব অসহায় লাগতো। কোনো মহিলাকে দূর থেকে দেখলে ভাবতাম, যদি এমন হতো, মা ফিরে এসেছে! বা, মায়ের মৃত্যুটা একটা স্বপ্ন ছিল, আসলে মা মরে নাই! এভাবে তখন-এখন মা আমাদের ভাবনা জুড়ে আছে। থাকবে।
যৌবনে যে-কোনো নারীকে ভালো লাগবে, এটা পুরুষধর্ম। আর, এখন, বাবা হয়ে গেছি। শ্বশুর হতে যাচ্ছি ইনশাল্লাহ, ভাবনাও তাই পালটে যাচ্ছে।
নিজের ভাবনাটাকে একটা সার্বজনীন ভাবনায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। কনসেপ্টটা খুব সহজবোধ্য হওয়ায় লেখাটা অনেকের ভালো লাগবে বলে আমার বিশ্বাস।
কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু। আপনার আম্মুর জন্য অনেক অনেক দোয়া- আল্লাহ তাকে বেহেশত নসিব করুন।
১০| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই,
শুধু ত্রিকালেই নয়, সবটা কাল জুড়েই কবিতার মতো নারীরা হেটে যায় পুরুষের মনের অলি-গলি পথে।
সব পুরুষেরই তখন মনে হয় -
আবার আসিও তুমি - আসিবার ইচ্ছা যদি হয়
পঁচিশ বছর পরে ....
১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:০৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বিখ্যাত কবিতাটা বার বার আলোচনায় উঠে এসেছে, কিন্তু কখনো পড়া হয় নি। আপনার রেফারেন্সের বদৌলতে এবার পড়ে ফেললাম।
সব বয়সেই নারীরা আমাদের মনে আনাগোনা করবেন, এটা অস্বীকার করার জো নাই। তবে, কেউ মা হিসাবে, কেউ প্রেমিকা বা স্ত্রী হিসাবে, কেউ বা কন্যা হিসাবে। মনের ভেতর কোন নারীর আনাগোনা কত বেশি হবে, তা নির্ভর করবে স্থান, বয়স, পরিস্থিতির উপর। নারীরা হলেন আল্লাহর তরফ থেকে শ্রেষ্ঠ উপহার। নারীর জন্যই পৃথিবীতে এসেছি, নারীর জন্য বেঁচে থাকি। যত সুখ চাই, সবটুকু নারীতেই পাই।
কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ আহমেদ জী এস ভাই। কবিতাটাও দিয়ে দিলাম পুরোটাই এখানে।
--
পঁচিশ বছর পরে (মাঠের গল্প)
- জীবনানন্দ দাশ---ধূসর পান্ডুলিপি
শেষবার তার সাথে যখন হয়েছে দেখা মাঠের উপরে-
বলিলামঃ ‘ একদিন এমন সময়
আবার আসিও তুমি- আসিবার ইচ্ছা যদি হয়;
পঁচিশ বছর পরে ।‘
এই ব’লে ফিরে আমি আসিলাম ঘরে;
তারপর, কতবার চাঁদ আর তারা,
মাঠে- মাঠে মরে গেল, ইঁদুর – পেঁচারা
জ্যোৎস্নায় ধানক্ষেত খুঁজে
এল-গেল ! – চোখ বুজে
কতবার ডানে আর বাঁয়ে
পড়িল ঘুমায়ে
কত- কেউ !- রহিলাম জেগে
আমি একা- নক্ষত্র যে বেগে
ছুটিছে আকাশ,
তার চেয়ে আগে চ’লে আসে
যদিও সময়,-
পঁচিশ বছর তবু কই শেষ হয় !-
তারপর- একদিন
আবার হলদে তৃণ
ভ’রে আছে মাঠে –
পাতায় , শুকনো ডাঁটে
ভাসিছে কুয়াশা
দিকে- দিকে, - চড়ুয়ের ভাঙা বাসা
শিশিরে গিয়েছে ভিজে, - পথের উপর
পাখির ডিমের খোলা , ঠাণ্ডা – কড়কড় !
শসাফুল , - দু-একটা নষ্ট শাদা শসা,-
মাকড়ের ছেঁড়া জাল, - শুকনো মাকড়সা
লতায়- পাতায়;-
ফুটফুটে জ্যোৎস্নারাতে পথ চেনা যায়;
দেখা যায় কয়েকটা তারা
হিম আকাশের গায়,- ইঁদুর – পেঁচারা
ঘুরে যায় মাঠে – মাঠে , ক্ষুদ খেয়ে ওদের পিপাসা আজো মেটে,
পঁচিশ বছর তবু গেছে কবে কেটে !
১১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:১৩
নেওয়াজ আলি বলেছেন: এক নাম্বারটা মন খারাপ হলো পড়ে। সুন্দর লেখা
১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:১০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আশা করি ২ নাম্বারটা পড়ে মনে একটা রোমান্সের ভাব জন্মেছিল।
কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ নেওয়াজ আলি ভাই। শুভেচ্ছা।
১২| ২০ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: আমিত্তি, বাকরখানি, চা। আমাকে তো কিছু দিলেন না!!!
২০ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৩৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমার খাজাঞ্চি থেকে কেউ খালি মুখে ফেরে না
১৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১:৪৭
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
জীবনচক্রের তিন কাল। একটি জীবনের চিত্রনাট্য।
২০ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:৩৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
জীবনচক্রের তিন কাল। একটি জীবনের চিত্রনাট্য। সুন্দর বলেছেন কাওসার ভাই। অনেক ধন্যবাদ।
১৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:৩৪
জুল ভার্ন বলেছেন: কী অপূর্ব সুন্দর কবিতার মতো গদ্য!
২০ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:৩৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কবিতার কনসেপ্ট যেখান থেকে পাই, ওখানে পুরো পরিবেশটাই ছিল কবিতার মতো। চেষ্টা করেছি কবিতার গন্ধ ছড়িয়ে দেয়ার জন্য।
মন্তব্যে অনুপ্রাণিত জুল ভার্ন ভাই। ভালো থাকবেন।
১৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:৫১
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া।
২০ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:০৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ মোস্তফা সোহেল ভাই। শুভেচ্ছা।
১৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: নাস্তা হিসেবে বার্গার আর কোক মন্দ না।
২০ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:২৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
১৭| ২০ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:১১
রাজীব নুর বলেছেন: কোক কই?
২০ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:৫২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমি ঝানতাম, আপনি কোক চাইবেন কোল্ড ড্রিংক্স আমি নিজে এখন খাই না। আগেও খুব কম খাইতাম। বাচ্চাদেরও খাইতে মানা করি, কিন্তু বড়ো ছেলে খায় পাগলের মতো
তো, কী আর করা। গুগল থেকেই কোক দিলাম আপনারে
১৮| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১:৪২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
বহু দিন ধ'রে বহু ক্রোশ দূরে
বহু ব্যয় করি বহু দেশ ঘুরে
দেখিতে গিয়েছি পর্বতমালা,
দেখিতে গিয়েছি সিন্ধু।
দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া
ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া
একটি ধানের শিষের উপরে
একটি শিশিরবিন্দু।
- কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
কোনো একদন সময় ও সুযোগ হলে আমি লিখবো এই বিষয়ে - সেই দিন অবশ্যই আপনার কথা মনে থাকবে। আর তাই আপনার পোস্টটি প্রিয়তে রাখছি। - ধন্যবাদ।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:০৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এই দেখেন, আপনার এ চমৎকার কমেন্টটির উত্তর দিতেও দেরি হয়ে গেলো। পুরোনো পোস্টের কমেন্টের রিপ্লাইয়ের ক্ষেত্রে ভুলে যাওয়ার বাতিকটা আমার দিনে দিনে তীব্রতর হচ্ছে।
এ বিষয়ে যেটা লিখবেন, তা পড়ার আগ্রহ এখন বেড়ে যাচ্ছে। আশা করি অল্পদিনেই লেখাটা পাব
ধন্যবাদ ঠাকুর মাহমুদ ভাই। শুভেচ্ছা।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:০০
রাজীব নুর বলেছেন: ঘোর। সন্ধ্যার সময়টা অন্য রকম হয়। তখন মানুষের মধ্যে এক ধরনের ঘোর কাজ করে।