নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
প্রতিটা মৃত্যু আমাদের চোখ আর্দ্র করে
হৃৎপিণ্ড ফালি ফালি করে
হোক সে আপন অথবা পর, প্রতিটা মৃত্যুসংবাদ
আমাদের বুকের ভেতর ছুরির ফলার মতো গেঁথে যায়।
মৃতব্যক্তি জানিয়ে যান- আমিও তোমাদের
রক্তের অংশ ছিলাম।
টেলিভিশনে ‘লাইভ’ কণ্ঠে ঝরে পড়ছিল অবিরল মধুরতা।
সস্ত্রীক আমি বুঁদ ছিলাম রাত্রিভূক স্নিগ্ধ মূর্ছনায়।
হায়, একদিন সকালে চমকে উঠলো বুক, তখনো মন জুড়ে
‘শুয়াচান পাখি’র মুহুর্মুহু সুরের রেশ, আর স্ক্রলে
দ্রুত ভেসে যাচ্ছে – ‘বারী সিদ্দিকী আর নেই’।
আমাদের রক্তসম্পর্কের কেউ তো নন তিনি, তবু কেন হায়,
হুহু করে বুক, চর চর করে পাঁজর ফেটে যায়!
এভাবে নিভৃতে কবিতায় ঘুমিয়ে পড়েন অনাত্মীয় বারী সিদ্দিকী,
অনাত্মীয় সকল সুজনেরা।
কখনো কি ভেবেছেন - মৃত্যু এত বেদনাময় কেন!
অর্থাৎ, কারো মৃত্যুতে আমরা কীজন্য কাঁদি!
যিনি চলে যান, চলে গেলেন যিনি, পৃথিবীতে আর
কোনোদিন তাঁর মুখ দেখা হবে না,
তাঁর হাসি আর ভাসবে না সকালের রোদে,
চাঁদের জোসনায়; তাঁর সুমিষ্ট ভাষ্যে কারো
হৃদয় বিগলিত হবে না। দিনে দিনে, জনে জনে
যত জড়িয়েছিলেন মায়া, বুনেছিলেন মমতার বীজ
অজস্র মননে - সকল বন্ধন ছিঁড়ে উড়ে যাবে পাখি
অনন্ত দূরের অসীম ভুবনে- আর কোনোদিনই ফিরবে না, হায়
যখন এরোপ্লেন বা টেলিফোন ছিল না,
হয়ত যুগ যুগ ধরে পৃথিবীর অন্য প্রান্তে প্রবাসী ছিল
মায়ের কোলছেঁড়া সন্তান; সর্ববিষণ্ণা জননী
সন্তানবিহনে সতত চোখ ক্ষয় করেন,
তবু তাঁর সান্ত্বনা - সর্বাঙ্গ আনন্দে
ঝলসে দিয়ে কোনো একদিন আদরের সন্তানেরা
খলবল করে নেচে উঠবে।
- মা একদা চিঠি পান, বহুকাল আগেই
শূন্যের সমীপে সমর্পিত হয়েছে কলজের ধন।
তাঁর আহাজারিতে পৃথিবী আকুল হয়, হায়,
আত্মার অংশেরা আর কোনোদিন আত্মার স্পর্শে ফিরবে না।
আমরা হাসি। আড়ালে দুঃখ কাঁদে।
অন্তরের খবর কতটুকু জানি?
আমরা হাসতে হাসতে ছুটে চলি
পরম গন্তব্যের দিকে- সে খবর রাখি না।
প্রতিটা মৃত্যু আমাদের জানিয়ে দেয় চিরায়ত
অমোঘ সত্য- জন্মের মতোই এ এক
অলঙ্ঘ্য নিয়তি- প্রতিটা বস্তু, জড় বা জীবন্ত প্রাণী,
সৃষ্টির পরই প্রতিনিয়ত ধাবিত হতে থাকে অনিবার্য
বিনাশের দিকে। মৃত্যুহীন বা অবিনশ্বর কিছুই
সৃষ্টি করেন নি তিনি।
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ডাক্তারেরাও কারো মৃত্যু ঠেকাতে পারে না,
পথের ধুলোয় সম্পদ মিশে যায়; মানুষ শূন্যহাতে জন্মায়,
ফিরে যায় শূন্য হাতে। সারা বিশ্ব জয় করে মহামতি আলেকজান্ডারও
শূন্যহাত দেখিয়ে মাটির গর্ভে নিমজ্জিত হলেন,
শীর্ষ ঐশ্বর্যশালী স্টিফ জবস তেমনি পাহাড়প্রমাণ সম্পদের চূড়া হতে
গড়িয়ে গড়িয়ে ভূপাতিত হলেন; তাঁর স্থাবর-অস্থাবর
সমুদয় বৈভব ভেসে যাচ্ছে সাগরের স্রোতে।
মৃত্যুর জন্য আমাদের প্রস্তুতির প্রয়োজন। পার্থিব সঞ্চয়
সঙ্গে যাবে না। এগুলো অপরে খাবে।
ইঁদুরে কাটবে। আগুনে পুড়বে।
কিছু কিছু সম্পদ হয়ত অভিশাপ দেবে।
বয়োক্লিষ্ট সোনাভান আলয় অভিমুখে অস্থির হাঁটছেন,
কুঞ্চিত চোখে পড়ন্ত সূর্যের দিকে তাকান। অল্প কিছু আলোর
পরই ছায়াহীন সন্ধ্যা, তারপর নিকষ রাত্রি। দীপহীন
ঘোর অন্ধকারে কে তাঁকে দেখাবে পথ!
চিন্তাগ্রস্ত সোনাভান অস্থির। অস্থির পায়ে আলয় অভিমুখে
ছুটছেন। তাঁর অন্তর জুড়ে বিগত দিনের শোচনা।
কতটুকুই বা তাঁর ‘সম্পদ’! আদৌ কি আছে কোনো সঞ্চয়!!
২৪ নভেম্বর ২০১৭
০৫ ই মে, ২০২১ সকাল ১০:০৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই, সুপ্রভাত।
হ্যাঁ, আপনি ঠিকই বলেছেন- 'মৃত্যু এক অলংঘ্য অভিযাত্রা' - এটা নতুন কোনো বাণী নয়। মৃত্যু নিয়ে সব কবিই কিছু না কিছু লেখেন, আসলে কেউই মৃত্যু নিয়ে নতুন কোনো বাণী তৈরি করতে পারেন না, যা কবিতায় পাওয়া যায়, তা আমাদের চিরচেনা, প্রচলিত ধারণামাত্র, যা মৃত্যু সম্পর্কে কবির অনুভূতি মাত্র। আমার কবিতার শিরোনামও তাই।
গল্প, প্রবন্ধ অনেক লিখেছেন। হাত আগের চাইতে বেশ ম্যাচিউর হয়েছে আপনার। এবার আপনি কবিতায় হাত লাগান। আপনার কবিতা পড়তে আগ্রহী। মৃত্যু নিয়েই লিখুন।
কবিতা হৃদয়ঙ্গম করতে হলে কবিতা পড়তে হয় বেশি করে। হঠাৎ হঠাৎ দু-একটা কবিতা পড়লে কবিতার রস আস্বাদন থেকে বঞ্চিত থাকার সম্ভাবনাই বেশি। আপনি নিয়মিত কবিতা পড়ুন, কবিতা আপনিও বুঝতে পারবেন।
বর্তমান কবিতাটায় মৃত্যু বিষয়টা কেন, কীভাবে আমাকে ভাবিয়ে তুললো, মৃত্যুর জন্য আমার প্রস্তুতি কতখানি, এরকম একটা অনুভূতি ব্যক্ত করেছি।
শুভেচ্ছা নিন।
২| ০৫ ই মে, ২০২১ রাত ৩:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: আমি মৃত্যুকে ভয় পাই।
০৫ ই মে, ২০২১ সকাল ১০:১২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মৃত্যু কোনো ভয়ের বিষয় না। মৃত্যু একটা ঘুমের মতো। ভয় হলো আঘাত, অপঘাত, দুর্ঘটনা, ইত্যাদি। কেউ আপনার উপর আক্রমণ করলো, বাঘ বা কুকুর তাড়া করলো, এগুলো ভয়ের কারণ।
মৃত্যুর কথা আমাদের ভাবতে হবে। বেশি করে মৃত্যু কথা ভাবলে মৃত্যুভয়কে জয় করা যাবে।
জীবনে আমি ৪/৫ বার মৃত্যুর স্বাদ পেয়েছি। আসলে স্বাদ পেয়েছি- কথাটা ঠিক হলো কিনা জানি না। আমার ৪/৫ বার সার্জারি/অপারেশন হয়েছে। কীভাবে আমাকে ঘুম পাড়ানো হলো, অনেক চেষ্টা করেও আমি বুঝতে পারি নি। ৩/৪ ঘণ্টা পর আমাকে ডেকে তুলে বলা হয়েছে, আপনার অপারেশন শেষ!! এই ৩/৪ ঘণ্টা ঘুমের ভেতর, নাকি মৃত্যুর ভেতর ছিলাম, তা জানি না। এ থেকে আমার উপলব্ধি হলো- মৃত্যু একটা ঘুমের মতো। এক জীবন থেকে অন্য জীবনে স্থানান্তর মাত্র।
৩| ০৫ ই মে, ২০২১ ভোর ৬:২৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
অনাদিকাল হতেই প্রত্যেক মানুষই মৃত্যুর মিছিলের নীরব যাত্রী।
ইচ্ছা-অনিচ্ছায় সবাইকে সেই আন্তিম যাত্রায় অংশগ্রহণ করতে
হচ্ছে। কেউ জানে না কার, কোথায়, কিভাবে মৃত্যু হবে। মানুষের
মৃত্যুর স্থান ও সময় জানেন শুধু রাব্বুল আলামিন। মৃত্যুকে নিয়ে
মানুষ অনেক ভেবেছে; কিন্তু কেউই এ থেকে রেহাই পায়নি।
মৃত্যুকে ঠেকানো পৃথিবীর কারো ক্ষমতা নেই মহান আল্লাহ ব্যতীত।
দুনিয়ার সব কবি , দার্শনিক বিজ্ঞানীরা এক বাক্যে স্বীকার করেছেন
মানুষ মরণশীল।
কবির ভাষায়, ‘জন্মিলে মরিতে হবে, চিরদিন কে কোথায় রবে?’
মানুষ মরিবে সবে, নহে সে অমর ভবে’। যার মৃত্যু যেখানে হওয়ার
কথা সেখানেই হবে। তবে ওই ব্যক্তি সবচেয়ে বুদ্ধিমান, যে মৃত্যুকে
সর্বাধিক স্মরণ করে এবং সেজন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করে রাখে ।
যে জন্মেছে সে মরবেই। যার সূচনা হয়েছে তার সমাপ্তি ঘটবেই।
অবশ্য বেঁচে থাকাকালীন সময়ে মানুষের জীবনে থাকে অনেক
আশা-আকাঙ্খা, কত কত রঙিন স্বপ্ন। কারো জীবন ভরে উঠে অফুরন্ত
সুখ সাচ্ছন্দে, কেও জীবনকে পরিপূর্ণ উপভোগ করার সুযোগ-সুবিধে
ও উপায়-উপকরণ পায় , অনেকেই তা পায়না। সোনাভানের মত
অনেকেই চিন্তাগ্রস্থ হয়ে অস্থিরতার মধ্যে থাকেন। তারপরেও অকাল মৃত্যু
কেও চায়না পরিবার পরিজন চায়না তার পরিবারের কেও চলে যাক
অকালে । কবি গুরু বলেছেন মরিতে চাইনা আমি এই সুন্দর ভুবনে ।
তার পরেও তাঁকে সুন্দর ভুবন ছেড়ে চলে যেতেই হল । তবে তিনি সহ
অনেকে বেঁচে আছেন, বেঁচে থাকবেন যুগযুগ ধরে তাদের সুকর্মের জন্য ।
পৃথিবীর মানুষের কল্যানের জন্য যারা কর্ম করে যান তারা সকলেই
একটি মৃত্যুহীন প্রাণ নিয়ে আসেন সাথে করে, মরনের পরে সেই
প্রাণ করে যান দান মানবের তরে। তাই মরন যেন হয় সুখের
সে কামনাই হোক মরনশীল এ জগতের সকল মানবের ।
যাহোক, এই মরণঘাতি করোনার ছোবলে কোন প্রাণ যেন ঝড়ে
যা যায় অকালে , ঘরে ঘরে যেন না উঠে মৃত্যুর আহাজারি
সে কামনাই করি বিধাতার কাছে । সকল মানুষ নিরাপদ
স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলুক সর্বাত্মক ভাবে । আল্লাহ তাঁর অপার
মহিমায় সকলের হায়াত দরাজ করুন এই দোয়াই করি ।
সুন্দর কবিতাটির জন্য ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছা রইল
০৫ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:৩৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
তবে ওই ব্যক্তি সবচেয়ে বুদ্ধিমান, যে মৃত্যুকে সর্বাধিক স্মরণ করে এবং সেজন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করে রাখে । খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যবহ কথাটা পড়ার পরই আমাকে ১৯৯৩ সালে বিটিভিতে প্রচারিত আতিকুল হক চৌধুরীর একটা নাটকের কথা মনে পড়লো। ঐ নাটকটার কথা আমি বিভিন্ন জায়গায় উল্লেখ করে থাকি। লিও টলস্টয়ের What Man Live By গল্পের ছায়া অবলম্বনে আতিকুল হক নির্মাণ করেছিলেন 'তাঁর রহস্যময় হাসি' নাটকটি। ওখানে স্বর্গ থেকে স্রষ্টার অভিশাপে অভিশপ্ত হয়ে এক পাগল ও বোবা মানুষে রূপান্তরিত হয়ে মাটির পৃথিবীতে নেমে আসেন এক দেবদূত। তার কাছে অনেক দূর থেকে কয়েকটা প্রশ্ন ভেসে আসতো, যেমন, মানুষের কী আছে, মানুষের কী নেই, মানুষ কী নিয়ে বাঁচে। এই বোবা পৃথিবীতে এই তিনটা প্রশ্নের উত্তর খুঁজতো। বিভিন্ন অভিজ্ঞতায় যখন এই তিনটা প্রশ্নের উত্তর সে পেয়ে যায়, তখন সে আনন্দে আবেগে উদ্বেবিলত হয় এবং তার মুখে কথা ফোটে।
এই বোবা এক দরিদ্র শু-মেকারের বাসায় থাকে। সে আবার জুতা বানানো শিখে ফেলেছে এবং তার দক্ষতায় দরিদ্র শু-মেকারের দিন ফিরে আসে। সেখানে একদিন এক ধনী লোক বাঘের চামড়া নিয়ে আসে জুতা বানানোর জন্য। জুতার অর্ডার নেয়া হয়, কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জুতা বানানো হয় না। শু-মেকার এই বোবাকে বার বার তাগাদা দেয়, কিন্তু বোবা ঐ জুতা তো বানায়ই না, তার উপর আবার রহস্যময় হাসি হাসতে থাকে। জুতা ডেলিভারির দিন ধনী লোকের ম্যানেজার এসে জানায়, দুদিন আগেই ধনী লোকটা মারা গেছে, জুতা বানানোর দরকার নেই।
বোবা লোকটা এখান থেকেও একটা শিক্ষার কথা বলে। ধনী লোকটা যখন জুতার অর্ডার দিচ্ছিল, তখন তার পেছনেই যমদূত দাঁড়ানো ছিল। বোবা জানতো, এই ধনী লোক এই জুতা পরতে পারবে না, অথচ জুতা পরার জন্য তার কতই না সাধ ও আকাঙ্ক্ষা ছিল। ধনী লোকের এই আকাঙ্ক্ষা দেখেই বোবাটা রহস্যময় হাসি হাসছিল- আপনার সাধ, ইচ্ছা পূরণের জন্য আপনার চেষ্টা ও তদবিরের অন্ত নেই, অথচ, আপনার মৃত্যু যে ছায়ার মতো সবসময় আপনার পাশে পাশে ঘুরছে, সেটা কি কখনো ভাবছেন?
মানুষের কী নেই - মানুষের মৃত্যুচিন্তা নেই। দুর্দান্ত ঐ নাটকের ভেতর দিয়ে অতি চমৎকারভাবে এই থিমটা প্রকাশ করা হয়েছে। ঐ নাটক থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আমি একবার একটা কবিতা লিখেছিলাম - প্রতিটা গভীর নিশীথে যে নারী আমাকে ডাকেন
আপনার দীর্ঘ ও গভীর চিন্তাশীল কমেন্টটি পড়ে আমিও বড়ো একটা রিপ্লাই লেখার বাসনাকে সংযত করতে পারি নি প্রিয় আলী ভাই।
আপনার জ্ঞানগর্ভ কমেন্টগুলো যে-কোনো পোস্টের জন্য মূল্যবান সংযোজনী। আমার এ পোস্টটিকেও মহিমান্বিত করেছে।
অনেক ভালো থাকবেন প্রিয় আলী ভাই।
৪| ০৫ ই মে, ২০২১ সকাল ১০:১৪
ডার্ক ম্যান বলেছেন: মৃত্যুর জন্য আমি এখনো প্রস্তুত নয়
০৫ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:৪১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কবিতার লাস্ট প্যারাগ্রাফটা প্রণিধানযোগ্য। সোনাভান অস্থির, সে জানে যে-কোনো সময় তার মৃত্যু হতে পারে, কেননা, মানুষ তার মৃত্যুর দিন-ক্ষণ সম্বন্ধে কিছুই জানে না। কিন্তু, মৃত্যু পরবর্তী জীবনের জন্য যে সম্পদের দরকার, তা কি তার আছে?
আমাদের মৃত্যুচিন্তা নেই বলেই আমাদের প্রস্তুতি নেই। মৃত্যুর প্রস্তুতি সম্পর্কে একটা কথা আছে (শিওর না হাদিসে কথা কিনা)- আমাদের এমন ভাবে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে যে, এখনই আমার মৃত্যু হবে। এই প্রস্তুতিটা ইন ফ্যাক্ট আমাদের এবাদত বন্দেগি সম্পর্কিত।
ভালো থাকবেন সৈকত ভাই।
৫| ০৫ ই মে, ২০২১ সকাল ১০:৪৩
শেরজা তপন বলেছেন: বারি সিদ্দিকীর মৃত্যু আমাকেও ব্যাথিত করেছিল। অবশ্য যে কোন মৃত্যুই আমাকে ব্যাথিত করে!
কবিতাটা পড়তে পড়তে বার বার বুক মুচড়ে ওঠে!
আমিতো কবি নই তবে আমার ইচ্ছে আছে মৃত্য ও জীবন নিয়ে বেশ বড় একটা গদ্য লেখা। দেখি আর হয় কিনা...
০৫ ই মে, ২০২১ বিকাল ৩:৫০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মৃত্যুর কিছুদিন আগেই তার একটা লাইভ অনুষ্ঠানে বহু রাত জেগে আমি আর আমার স্ত্রী একসাথে গান শুনছিলাম। একদিন অফিসে যাওয়ার জন্য সকালে রেডি হচ্ছি, স্ক্রলে দেখি - বারী সিদ্দিকী আর নাই। খবরটা খুব আচমকা ছিল। এ কবিতাটা বারী সিদ্দিকীর মৃত্যুর পর আমার যে মানসিক অনুভূতি হয়, তার উপর ভিত্তি করে লেখা।
আপনি ঠিকই বলেছেন, যে-কোনো মৃত্যুই আমাদের আহত করে, ব্যথিত করে।
মৃত্যু ও জীবন নিয়ে আপনার গদ্যের অপেক্ষায় রইলাম।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ শেরজা তপন ভাই। শুভেচ্ছা।
৬| ০৫ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:৪৪
জটিল ভাই বলেছেন: মৃত্যু আছে বলেই প্রতিমুহূর্ত বেঁচে থাকার এতো আকুতি। হৃদয়গ্রাহী কবিতার জন্য ধন্যবাদ
০৫ ই মে, ২০২১ বিকাল ৩:৫৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মৃত্যু আছে বলেই প্রতিমুহূর্ত বেঁচে থাকার এতো আকুতি। চমৎকার একটা কথা বলেছেন তো!!
৭| ০৫ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:৪৮
ডার্ক ম্যান বলেছেন: The fear of death follows from the fear of life. A man who lives fully is prepared to die at any time.
Mark Twain
০৫ ই মে, ২০২১ বিকাল ৪:১১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: A man who lives fully is prepared to die at any time. মার্ক টোয়েনের কথার এ অংশটুকু সাধারণভাবে সত্য না। বরং সত্য হলো রবীন্দ্রনাথের এ কথাটা - 'মরিতে চাহি না আমি'। মানুষ মরতে চায় না, বেঁচে থাকার সাধ কখনোই পূর্ণ হয় না। তাই, ৯০ বছর বয়সেও ঝাঁপসা চোখে দূরের দিগন্তে তাকিয়ে থেকে আনমনে বলে ওঠে - মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে।
A man who lives fully - ঠিক কত বছর বেঁচে থাকলে পুরোপুরি বেঁচে থাকা হবে, তার কোনো স্ট্যান্ডার্ড লিমিট নাই বলেই এ কথাটা ঠিক না।
তবে, মানুষের বয়স বেশি হলে, রোগভোগে, একাকিত্বের কারণে, যন্ত্রণা থেকে মুক্তির জন্য স্বেচ্ছামৃত্যু কামনা করতে পারে। এরকম উদাহরণ সাম্প্রতিক কালেই দেখা গেছে ভারতসহ আমেরিকার নাগরিকদের মধ্যে।
আবার এসে কোটেশন দেয়ার জন্য ধন্যবাদ নিন।
৮| ০৫ ই মে, ২০২১ বিকাল ৩:৫৬
রানার ব্লগ বলেছেন: আফটার ডেথ জীবন নিয়া কিছু লেখেন !!!
০৫ ই মে, ২০২১ বিকাল ৪:১৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আফটার ডেথ নিয়ে লেখা আমার পক্ষে সম্ভব না, ওটা হয়ত নূর মোহাম্মদ নূরু ভাই, নতুন নকিব ভাইয়েরা লিখতে পারবেন, তাদের ধর্মীয় জ্ঞান ও দর্শনের আলোকে। তবে, আমি কিছু লিখলে সেটা কাল্পনিক গল্প ফিকশন জাতীয় কিছু হয়ত হতে পারে।
কবিতা পড়ার জন্য ধন্যবাদ রানার ব্লগ।
৯| ০৫ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৪
সভ্য বলেছেন: যারা জীবনকে ভালোবাসে তারা মৃত্যু চিন্তা করতে পারে না। মৃত্যু আসবে মৃত্যুর মতো করে, সেটা চিন্তা করার কোনো কারণ ই নেই। সে যদি আসে তবে যেতেই হবে। আমি কোনো প্রবলেম দেখি না। যত্তক্ষণ না আসছে, সুখের জীবন চিন্তা করি, ভালো থাকার চেষ্টা করি।
০৫ ই মে, ২০২১ রাত ৮:০৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এটাও একটা তত্ত্ব বা দর্শন। মৃত্যুচিন্তা হলো আধ্যাত্মিক ভাবনার একটা অংশ, আমার কাছে মনে হয়। আচ্ছা যাই হোক, গানের জগতে আশা করি ভালোই আছেন। এটা শোনেন দেখি, কেমন লাগে
১০| ০৬ ই মে, ২০২১ রাত ১২:৩৮
ঢুকিচেপা বলেছেন: মৃত্যু শব্দটাই একটা আতঙ্ক ধ্বনি, ক্ষণিকের জন্য হলেও স্বাভাবিক চিন্তা চেতনায় ছেদ পড়ে।
আপনজন বা পরিচিতদের মৃত্যু খবর শুনলে মনে হয় কলিজায় সাঁড়াশি আটকে গেছে।
আবার অপরিচিতদের জন্যও মন কেঁদে উঠে, যেমন-রানার প্লাজার ঘটনা, ঈদের আগে লঞ্চ ডুবি, অগ্নিকান্ডে মৃত্যু এমন কতশত।
যাইহোক চারিদিকে মৃত্যু সংবাদে আমরা মানসিকভাবে একটু হলেও অসুস্থ তাই অন্য কবিতা হোক বা গল্প।
০৬ ই মে, ২০২১ সকাল ১০:১৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: চারিদিকে মৃত্যু সংবাদে আমরা মানসিকভাবে একটু হলেও অসুস্থ তাই অন্য কবিতা হোক বা গল্প। কথাটা ভালো লাগলো। আসলে চারদিকে এত মৃত্যু, তাই এই ভাবনাটা অনেক কাজ করে। কাল হয়ত আমি নিজেই খবর হয়ে যাব।
সুন্দর কমেন্ট ও সাজেশনের জন্য ধন্যবাদ ঢুকিচেপা।
১১| ০৬ ই মে, ২০২১ সকাল ১১:৩৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই,
গতরের ঘাম ফেলে সোনাবীজ রোপন করে করে আর জীবনভর ধুলোবালিছাই উড়িয়ে উড়িয়ে যে চিরসত্যের দেখা মেলে তার নামই " অমোঘ মৃত্যু " ।
নিশ্বাস থেমে গেলে একদিন আমরাও মুছে ফেলবো নাম। শুধু পৃথিবী, পৃথিবীর মতোই ঘুরে ঘুরে যাবে নিত্যদিন !
০৬ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: নিশ্বাস থেমে গেলে একদিন আমরাও মুছে ফেলবো নাম। শুধু পৃথিবী, পৃথিবীর মতোই ঘুরে ঘুরে যাবে নিত্যদিন ! কথাটা সত্যই খুব করুণ শোনালো। নিভৃতে হারিয়ে যাব, পৃথিবীর সবকিছু চলতে থাকেব আগের মতোই, আমাকে ছাড়া। কেউ কি আমার অনুপস্থিতি ফিল করবে? বিজয় সরকারের এ গানটা মনে করিয়ে দিলেন :
এই পৃথিবী যেমন আছে তেমনি ঠিক রবে
সুন্দর এই পৃথিবী ছেড়ে একদিন চলে যেতে হবে
যখন নগদ তলব তাকিত পত্র নেবে আসবে যবে
সুন্দর এই পৃথিবী ছেড়ে একদিন চলে যেতে হবে
মোহ ঘুমে যে দিন আমার মুদিরে দুই চোখ
পাড়াপড়শী প্রতিবেশী পাবে কিছু শোক
তখন আমি যে এই পৃথিবীর লোক ভুলে যাবে সবে
সুন্দর এই পৃথিবী ছেড়ে একদিন চলে যেতে হবে
যতো বড় হউক না কেন রাজা জমিদার
পাকা বাড়ি জুড়ি গাড়ি ট্রানজিস্টার
তখন থাকবে না কোন অধিকার বিষয় ও বৈভবে
সুন্দর এই পৃথিবী ছেড়ে একদিন চলে যেতে হবে
চন্দ্র সূর্য গ্রহ তারা আকাশ বাতাস জল
যেমন আছে তেমনি ঠিক রইবে অবিকল
শুধু আমি আর থাকবো না এই জনপূর্ণ ভবে
সুন্দর এই পৃথিবী ছেড়ে একদিন চলে যেতে হবে
শব্দ স্পর্শ রূপ রস গন্ধ বন্ধ হলো যেন
এই পৃথিবীর অস্বস্তি বোধ থাকবে না আর হেন
পাগল বিজয় বলে সেই দিন যেন এসে পড়ে কবে
সুন্দর এই পৃথিবী ছেড়ে একদিন চলে যেতে হবে
অসাধারণ এ গানটা কিরণ চন্দ্র রায়ের কণ্ঠে
১২| ০৬ ই মে, ২০২১ দুপুর ১২:২১
সভ্য বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, গানটাই কমেন্ট করেছি.একটু দেখে নিবেন, গানটার সুর, কথা কি আপনার?
০৬ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমি ২০০৬ সালের আগ পর্যন্ত নানা ধরনের সফটওয়্যার ইউজ করেছি ভিডিও মেকিঙের জন্য, সেগুলোতে অল্পকিছু ফিচার ছিল। ২০০৬ সাল থেকে ইউলিড মিডিয়া প্লাস ইউস করি। ২০১৪ সালে কী কারণে এটা আর ইউস করতে পারলাম না। এরপর খোঁজ পেলাম ওয়ান্ডারশেয়ার ফিলমোরা সফটওয়্যারের। এখন ভার্সন ১০-ও বোধহয় বেরিয়ে গেছে, কিন্তু আমি ইউজ করি ভার্সন ৯-এর আগের ভার্সন। ৯ থেকে এর নাম হয়ে গেছে ফিলমোরা। এগুলো ক্রমাগত ইউস করতে করতে আমার হাত এখন একটু চালু হয়েছে, তবে খুব বেশি না, কারণ, এর পেছনে যত সময়ের প্রয়োজন অত সময় আমি দিতে পারি না (তাও যা দিচ্ছি, রাতের ঘুম অনেক কম হচ্ছে )
ভিডিও মেকিঙের সাথে আপনাকে আরো শিখতে হবে ফটোশপিং। সেটাও আমাকে নিজের চেষ্টায় শিখতে হয়েছে।
যাই হোক, প্রথমত সফটওয়্যার আপনাকে কিনতে হবে বাজার থেকে। গুগল সফটওয়্যার স্টোরেও পাবেন, আপনাকে খুঁজতে হবে। সফ্টওয়্যার খুঁজে ইন্সটল করতে আমার ঘাম ঝরেছিল অনেক। আপনি এক্সপার্ট হলে আপনার ঘাম ঝরার বদলে আনন্দ পাইবেন
আপনি ইউটিউব থেকে সার্চ দিয়ে How to install and activate Wondershare Filmora বের করে ট্রাই করতে থাকুন। এর জন্য প্রচুর ধৈর্যের দরকার, মনে রাইখেন
হ্যাঁ, ওটা আমার রচনা ও সুর করা আপনি আরেকটু ফিল দিয়ে ট্রাই করতে পারেন
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই মে, ২০২১ রাত ২:২৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
মৃত্যু এক অলংঘ্য অভিযাত্রা, ইহা নতুন কোন বাণী নয়; পদ্য ইহাকে কোনভাবে নতুন রূপে পরিবেশন করতে পারেনি।