নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
১
মুঠি খোলো, অন্ধকারে একঝাঁক নরম অক্ষর;
পালকেরা ঝরে পড়ে।
লিখো নি; যাকে তুমি আজন্ম চেয়েছো, নীরবে
ভুলে গেছো তার নাম ও গন্ধ; সব কিছু
২৮ মে ২০১৩
২
পাঁজর ফুঁড়ে তীব্র বেরিয়ে পড়ে জ্বলন্ত আগুন, টগবগে বাঘ। তোমার বুক খুঁড়ে হন্যে হয়ে খুঁজি, গহিন অরণ্যে গেঁথেছো কার নাম!
৫ জুলাই ২০১৩
৩
এ শহর ছেড়ে যে চলে যাবে, তার পায়ে নেই কোনো বেড়ি;
তবু সে একদিন তার কবির জন্য কেঁদেছিল, অভিমানে
তারপর পাহাড়ের রহস্য থেকে ছিঁড়ে এনে
বহুদিন লুকিয়ে রেখেছিল অজর একটি ফুল
গভীর কুয়ো খুঁড়ে আমিও তার জন্য একটি অক্ষয় শব্দ কুড়িয়ে পেলাম
হাত পাততেই খাঁ-খাঁ করে যে-শব্দটি জ্বলে উঠলো, তার নাম ‘শূন্যতা’
৯ জুলাই ২০১৩
৪
সে এক ক্ষণজন্মা পাখি, প্রতিটা গোপন সাঁঝে অরূপ পাথারে নেমে এসে
অলৌকিক সুর তোলে গানে। তারপর রাত্রি শেষে
ফিরে যায়, পেছনে রেখে যায় একগুচ্ছ পদছাপ, ও কয়েকটা পালক
মাটিতে করুণ দাগ কেটে একধ্যানে চেয়ে থাকে বিবাগী বালক
১১ জুলাই ২০১৩
৫
সময় আমাকে গিলে খায়, আমি আকাশ গিলবো বলে পানিতে ডুব দিই। একঝাঁক চিত্রা হরিণ আর চিতল মাছ যখন জোনাকি হয়ে আলোয় ভরে তোলে পানির হৃদয়, আমি তখন প্রাণ ভরে শ্বাস নিই, আর মস্ত একটা আকাশ বুকের ভিতর পুষে নিয়ে পাহাড়ে ঘুমিয়ে পড়ি।
৪ অক্টোবর ২০১৩
৬
তোমার যে গান আমাকে পুড়িয়ে ছাই করে, নির্বীজ ধূলির ভেতর জাগিয়ে তোলে উদ্ভিন্ন প্রাণ, আমাকে সেই অপার্থিব বর দাও। ‘গানের ভিতর দিয়ে যখন দেখি’ তোমায়, অজস্র রোমকূপ ভেদ করে লাখ লাখ গুল্মলতারা ডগা তুলে দোহারের সুরে সুরে দুলে ওঠে। কখনো-বা হারিয়ে যেতে ভালো লাগে। হারিয়ে যেতে যেতে পথগুলো দীর্ঘতর হয়, অবশেষে অচেনা- সেই অচেনা পথের প্রান্তে তন্ত্রীছেঁড়া সুরগুলো সুচের মতো ফালি ফালি করে ছিঁড়ে ফেলে হৃৎপিণ্ড। তখনই মনে হয়, যদি কাউকে ভালোবেসে হারিয়ে থাকি অমূল্য প্রেমের অর্ঘ্য, সে তুমি।
৪ অক্টোবর ২০১৩
৭
পৃথিবীর প্রতিটা মানুষই কবি হয়ে জন্মায়-প্রতিটা মানুষের ভেতরে বাস করে সমুদ্র। যখন উথলে ওঠে আবেগ, তখন ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে ডুবে যায় মরমিয়া হিয়া। আমরা তখন সত্যিকার কবির হৃদয়কে উন্মোচিত হতে দেখি।
৮ অক্টোবর ২০১৩
৮
আজকের পবিত্র প্রত্যুষে ঘুম ভাঙতেই কী এক আনন্দ বয়ে যাচ্ছে সমগ্র মন ও শরীরে। আজন্ম লালিত ক্ষোভ ও অভিমান, দ্বেষ ও ক্লেদ কোথায় মিলিয়ে গেছে- ঘাসের ডগায় সূর্যোদয়ের নরম তাপে সকালের শিশিরেরা যেভাবে মিশে যায় হাওয়ার হৃদয়ে। এমন নির্ভেজাল ও সজীব মন অনন্য প্রাপ্তির মতো বার বার জীবনে আসবে না।
হে মন, তুমি বিশুদ্ধ চারাগাছ, উদার অনন্তে মেলে দাও পাখা পুণ্যস্নাত সত্যের মতো।
৩ নভেম্বর ২০১৩
তোমার জন্য
সব কবিতারই কিছু মানে হবে
এ ভেবে কখনো কবিতা লিখি নি
সব ইশারায় সাড়া দেবে তুমি
এমন করেও কখনো ভাবি নি
যখন যেভাবে শব্দরা আসে
ক্রোধ ও কান্না, প্রেম ও দ্রোহে
ওভাবেই ওরা ঠাঁই করে নেয়
আপন গুণ ও গন্ধ-আবহে
যা কিছু লিখেছি প্রেমের জন্য
হয়ত সবই তা নিরেট বর্জ্য
অশ্রু ফেলো না, যেদিন বুঝবে
তোমার জন্য এসব অর্ঘ্য।
১৬ অক্টোবর ২০১২
ঋণ
তুমি চলে গেছো, সেই বেদনার অমৃত-খনি থেকে
উঠে আসে চির-ফল্গুধারার কবিতারা একে একে
তুমি চলে গেছো, চলে-যাওয়া পথে সোনা ফোটে প্রতিদিনই
আমার সকল কবিতারা তাই তোমার কাছেই ঋণী।
১৭ অক্টোবর ২০১২
২| ১৪ ই জুন, ২০২২ রাত ১২:৫১
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
৫ জুলাই,২০১৩ / থাম্বস আপ।
৩| ১৪ ই জুন, ২০২২ রাত ১২:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর।
৪| ১৪ ই জুন, ২০২২ সকাল ৯:২৫
মিষ্টি লবণ বলেছেন: ৪ অক্টোবর ২০১৩ বুঝিনাই ।তবে গভিরতা টের পেয়েছি।
৫| ১৪ ই জুন, ২০২২ সকাল ১০:১৬
জুল ভার্ন বলেছেন: হৃদয় ছুঁয়ে দেওয়া পংক্তি মালা!
৬| ১৫ ই জুন, ২০২২ সকাল ১০:৪৭
ফয়সাল রকি বলেছেন: তুমি-টার কাছে সকল কবিরাই ঋণী! ভালো বলেছেন।
৭| ১৬ ই জুন, ২০২২ রাত ১২:৩৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কী সমস্যা হয়েছে জানি না। প্রত্যেক কমেন্টের উত্তর আলাদা ভাবে দেয়ার জন্য বক্সটা নাই কেন? যাই হোক, বক্স উদয় হওয়া মাত্র সবাইকে ব্যক্তিগতভাবে রিপ্লাই দিব। আপাতত সবাইকে ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা নিয়েন।
৮| ১৬ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:৩৫
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।
তোমার জন্য করতে পারি সব
বুক পাঁজড় জুড়ে যেন তোমার অনুভব
হয়তো কিছু হয়
বাকিটা আর হয় না
চেহারাটা যে পোড়া আমার তুমি সোনার গয়না
আগুনের ছোঁয়া না পেলে তেমন টা তো হয় না ।
আমার কাছে তোমার বোধ হয় অনেক ব্যথা পাও না ।
ইচ্ছে করে নয় যদিও আমার আছে সুখের অভিনয়
তুমিহীনতার দুঃখ তো আর প্রশমন হবার নয়
অনিচ্ছা সত্ত্বেও মনের অজান্তে তোমায় দুঃখ দেয়া হয়।
আমি তো আর দেইনা তুমিই টেনে নাও
গভীর পরিণয়ে প্রেম প্রেম খেলা যেন এমন করেই হয়...
৯| ১৪ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ২:১৬
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: দারুণ। প্রতিটি কবিতা, মুগ্ধ পড়ে মুগ্ধ হয়েছি
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই জুন, ২০২২ রাত ১২:০৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ইদানিং সবাই কঠিন কঠিন করে লিখে!!