নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শব্দকবিতা : শব্দেই দৃশ্য, শব্দেই অনুভূতি [email protected]

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই

দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

সমালোচনা, ব্যক্তি-আক্রমণ, ব্লগীয় আচরণ এবং বিদগ্ধ মুক্তিযোদ্ধা-ব্লগার জুল ভার্নের ব্লগ ছেড়ে যাওয়া

০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১:৪৯

ব্লগে একটা পোস্ট প্রকাশ করার পর সে-পোস্টের বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা যত বেশি হবে, সাধারণ ভাবে সে-পোস্টটি তত বেশি গুরুত্ববহ হয়ে উঠবে। সব পোস্ট যেমন আলোচনার যোগ্য নয়, বা কম আলোচনার যোগ্য, আবার সবার পোস্টই আলোচনা বা সমালোচনার ঝড় তুলবে, সেটাও খুব কমই দেখা যাবে। নিজেদের প্রজ্ঞা, বুদ্ধিমত্তা, অন্য ব্লগারদের সাথে মিথস্ক্রিয়া ও সৌহার্দপূর্ণ আচরণ দ্বারা কোনো কোনো ব্লগার জনপ্রিয়তা ও খ্যাতির দিক থেকে প্রথম সারিতে স্থান লাভ করতে সক্ষম হোন। তেমনি, কোনো কোনো ব্লগার হয়ত তাদের অসামাজিক, অমার্জিত ও আপত্তিকর আচরণ দ্বারা সর্বকালের নিকৃষ্ট, বিতর্কিত, ধিকৃত ও নিন্দিত ব্লগারদের তালিকায় নিজেকে নামিয়ে ফেলেন।

বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায়, বাংলা অক্ষরে বাংলা ভাষায় ব্লগিং করার সুবর্ণ সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়ে জানা-আরিল্ড দম্পতি বাংলাদেশসহ সমগ্র বাংলাভাষাভাষীদের জন্য যে অবিস্মরণীয় ও ঐতিহাসিক ঘটনাটি ঘটিয়ে ফেলেছেন, কালের গর্ভে তা চির-অম্লান ও অক্ষয় থাকবে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিসহ যে-কোনো সামাজিক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে দেশ ও জাতির স্বার্থে ব্লগারগণ যেভাবে সোচ্চার ও অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন এবং এখনো করে যাচ্ছেন, তা নজিরবিহীন। 'ব্লগার' - এ নামটার মধ্যে একটা গাম্ভীর্য আছে, যাতে বিবেক, বিদ্যা, বুদ্ধি, মেধা, আভিজাত্য, শিক্ষা, সদাচরণ, মার্জিত রুচিবোধ, ইত্যাদি যাবতীয় সদ্‌গুণের সমাহার থাকবে বলে প্রত্যাশিত।

বিভিন্ন জাতীয় ও সামাজিক ইস্যুতে ব্লগারগণ একযোগে অংশগ্রহণ করে থাকলেও ব্লগের সূচনালগ্ন থেকেই ব্লগারদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে মতবিরোধ বা মতানৈক্য দেখা দিয়েছে, এবং কখনো তা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে, যখন এর প্রভাব গিয়ে পড়েছে ব্লগের বাইরে, অফ-লাইন লাইফে, যেখানে ধর্মীয় বা অন্যান্য ইস্যুতে বেশ কয়েকজন ব্লগারকে প্রাণ হারাতে হয়েছে। সেটা ব্লগের জন্য একটা কালো অধ্যায় বটে, যা থেকে জনমনে ব্লগ ও ব্লগার সম্পর্কে একটা নেগেটিভ ইম্প্রেশনও সৃষ্টি হয়েছিল। তবে, আমার ধারণা, সেই নেগেটিভ ইম্প্রেশন ধীরে ধীরে অনেকাংশেই কমে এসেছে।

বিভিন্ন বিষয়ে মতানৈক্য বা মতবিরোধ থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেই মতবিরোধের বিষয়গুলো আলোচনা বা সমালোচনার ভাষা হতে হবে মার্জিত, অভিজাত, বিশুদ্ধ, অহিংস, নিরপেক্ষ ও বুদ্ধিদীপ্ত। আমরা শুধু একটা পোস্ট পড়েই তা থেকে আনন্দ বা জ্ঞান লাভ করি না, অনেক সময় পোস্টের উপর যে জ্ঞানগর্ভ আলোচনা হয়, তা মূল পোস্টকে ছাপিয়ে যায়, জ্ঞানপিপাসু পাঠকগণ ওসব কমেন্ট পড়ে অধিক জ্ঞান লাভ করেন, এবং বুদ্ধিদীপ্ত তর্ক-বিতর্ক অনেক সময় আমাদের মনকেও খুব আনন্দিত ও উদ্বেলিত করে তুলতে পারে।

সাম্প্রতিক সময়ে ব্লগে সবচাইতে আলোচিত বা সমালোচিত বা ঘৃণিত শব্দ বা টার্মটির নাম 'ব্যক্তি-আক্রমণ'। ব্যক্তি-আক্রমণকে কেন্দ্র করে ব্লগে এখন দুটো গ্রুপ বিদ্যমান; একটা গ্রুপ, যারা মনে করেন তারা ব্যক্তি-আক্রমণের শিকার, তাদের সংখ্যাই সর্বাধিক, হয়ত ৯৫% ব্লগারই নিজেদেরকে ব্যক্তি-আক্রমণের শিকার মনে করছেন, তারা বাকি ৫%-কে ব্যক্তি-আক্রমণকারী মনে করছেন। ইন্টারেস্টিং বিষয় হলো, এই ৫% ব্যক্তিরাও নিজেদেরকে ব্যক্তি-আক্রমণের শিকার মনে করছেন বাকি ৯৫% ব্যক্তিদের দ্বারা। তাহলে ব্যাপারটা কী দাঁড়ালো? কেউ কি ব্যক্তি আক্রমণ করেন নি? নাকি, সবাই ব্যক্তি-আক্রমণকারী? আরো মজার বিষয় হলো, এই ৫% ব্যক্তিরা বলছেন, তারা কাউকে ব্যক্তি-আক্রমণ করেন নি কখনো, শুধু বিষয়ের ভুলগুলো ধরিয়ে দিচ্ছেন, বা সমালোচনা করছেন। এদের এ দাবি অবশ্য সংখ্যাগরিষ্ঠ ৯৫% ব্যক্তিরা কখনো মেনে নেন নি, তারা বিভিন্ন সময়ে সমালোচনা ও ব্যক্তি-আক্রমণ কী, তা নিয়ে বেশকিছু পোস্টও লিখেছেন, যা দিয়ে পরিষ্কারভাবে বোঝাতে চেয়েছেন, তারা ৫% ব্যক্তিদের দ্বারা ব্যক্তি-আক্রমণেরই শিকার, তা কখনো সমালোচনা ছিল না; সমালোচনা তো একজন ব্লগারের কোয়ালিটি ও তার লেখার কোয়ালিটির জন্য সহায়ক, সমালোচনাকে সব সময়েই স্বাগত জানানো হয়।

আমি আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান দিয়ে এর আগে একটা পোস্ট লিখেছিলাম - ব্লগীয় লেখালেখি - কীভাবে একটা বিশ্লেষণমূলক কমেন্ট লিখবেন। এতে আমি আমার ধারণা দিয়েছি, কীভাবে একটা পোস্টের সমালোচনা করা যায়, এমনকি আমার রম্যপোস্ট তারকাজরিপ-২-এও এ বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করেছি। আমার ১৪ বছর সামহোয়্যারিনীয় ব্লগীয় জীবনে আমি প্রচুর সমালোচনা করেছি, বিশেষ করে সাহিত্যের বিষয়গুলো, যেমন, গল্প, কবিতা, ছড়া, রম্য, ইত্যাদি গত ৮-১০ বছরে আমার চাইতে বেশি সমালোচনা করেছেন, এমন ব্লগার কেউ আছেন বলে আমার মনে হয় না। সবাই যে আমার সাহিত্যসমালোচনামূলক কমেন্টগুলো খুব সহজ ও হাসিমুখে গ্রহণ করেছেন তা না, কেউ মুখ কালো করেছেন, কেউ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন, তবে, অধিকাংশ ব্লগারই তা সানন্দে গ্রহণ করেছেন। আমার একটা কথা হলো - আমি অনেক মনোযোগ দিয়ে একটা কবিতা বা গল্প পড়লাম, ওটার ভালো ও দুর্বল দিকগুলো তুলে ধরলাম যাতে দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠা যায়, এতে আমার কোনো লাভ নেই, লাভ হলো ঐ লেখকের। আমি নিজের খেয়ে অন্যের উপকার করছি, এতে বাহবা চাই না, মূল্যায়ন চাই, কিন্তু কেউ উলটো রিঅ্যাক্ট করলে তখন চিরতরে আমি সেই ব্লগারের পোস্ট পড়া বাদ দিয়ে দিই।

কিন্তু, এই যে আমি এত লেখকের সমালোচনা করেছি, আমার নামে কেউ কোনো অভিযোগ রিপোর্ট করেছেন, এটা শুনি নি। আমার দ্বারা অতীষ্ঠ হয়ে কেউ ব্লগ ছেড়ে গেছেন, এটা অসম্ভব। কারণ, আমি বুঝি, কোনটা সমালোচনা, কোন কাজটা করা অন্যায় নয়; আমি ব্যক্তি-আক্রমণও বুঝি, এও বুঝি ব্যক্তি-আক্রমণ হলো একটা অপরাধ, ক্রিমিনাল অফেন্সও বললে অত্যুক্ত হবে না মনে করছি (আমি জানি না, আইনে এর কোনো বিধান আছে কিনা)।

খুব সহজ কথায় ব্যক্তি-আক্রমণ হলো ব্যক্তিকে আক্রমণ করা। ব্যক্তি-আক্রমণে শুধু 'আক্রমণ' বা অ্যাটাক বা আঘাতই থাকবে। সমালোচনার ক্ষেত্রে ব্যক্তি নয়, ব্যক্তির পোস্টের বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা হয়; সেই আলোচনায় ভালো ও মন্দ উভয় দিকই থাকে; কীভাবে মন্দ বা খারাপ দিকগুলোকে ইম্প্রুভ করা যায়, সে ব্যাপারে সুপারিশ বা পরামর্শ দেয়া হয়। ব্যক্তিকেও সমালোচনা করা যায়, তবে, সেখানেও ব্যক্তির ভালো ও মন্দ উভয় দিকই থাকতে হবে। সমালোচনার ভাষা হয় মার্জিত ও রুচিশীল, সমালোচিত ব্যক্তি বা বিষয়ের উন্নতির জন্য। ব্যক্তি-আক্রমণ করা হয় কাউকে আঘাত, অপমান বা হেয় করার জন্য। কয়েকটা উদাহরণ দেয়া যাক।

আপনি চাল কিনতে গেছেন। চালগুলো ভাঙা ভাঙা, মরা চাল প্রচুর, পাথরকণাও প্রচুর, তূষ দেখা যায়, কিরাও নড়েচড়ে। চালের দর ৫০ টাকা কেজি। সব দেখেশুনে আপনি দোকানিকে বললেন, হালার পো, তুই একটা শূকরের বাচ্চা। খেয়াল করুন, আপনি কিন্তু বলতে পারতেন, আপনার চালে ভাঙা দানা বেশি, মরা চাল প্রচুর কেন? এত পাথরকণা কেন? তূষ কেন? আপনি চালের দাম ৩০ টাকা, এমনকি ১৫টাকাও বলতে পারতেন। তা না বলে আপনি শুরুতেই চালওয়ালাকে আক্রমণ করে বসলেন, হালার পো, তুই একটা শূকরের বাচ্চা। আপনি যদি চাল সম্পর্কে আলোচনা করেন, সেটা হবে বিষয়ভিত্তিক সমালোচনা, আর যদি চালের দোকানিকে ঐরকম হুট করে গালি দিয়ে বসেন, সেটা হবে ব্যক্তি-আক্রমণ। এখন বলুন, আপনি চাল কিনতে যেয়ে কখনো চালের দোকানদারকে এভাবে গালি দিয়ে বসেন? মাছের দোকানিকে কি বলেন, তুই দেখতে বান্দরের মতন? কাপড়ের দোকানদারকে কি কখনো বলেন, তোর বাবা একটা চোর, তোর মা একজন পতিতা? নিশ্চয়ই বলেন না। সেখানে আপনার আচরণ ভদ্রজনোচিত হতে হবে। তাহলে, একটা পোস্ট পড়ে আপনি কেন বলবেন, আপনার মগজে কুকুরের ক্রোমোজম? যদি কোনো ব্লগার কাউকে 'আপনার মগজে কুকুরের ক্রোমোজম?' বলে আক্রমণ করতে পারেন, তিনি সর্বকালের নিকৃষ্ট ব্লগার ও সবচাইতে দাগী ক্রিমিনাল। আপনি কি মনে করেন, কোনো ব্লগে এ ক্রিমিনাল ব্লগারের ব্লগিং করার অধিকার থাকে?

হয়ত একজন ব্লগার ফরেইন রিজার্ভ নিয়ে একটা পোস্ট লিখেছেন। ঐ ব্লগারের পোস্ট পড়েই বুঝতে পারলেন, সাবজেক্টের উপর তার জ্ঞান খুবই সীমিত। এ ব্যাপারে আপনার কিছু জ্ঞান থাকায় সুন্দর একটা কমেন্ট লিখলেন, কীভাবে ফরেইন রিজার্ভ হয়, সেটাও ব্যাখ্যা করলেন। অন্য এক ব্লগার আপনার কমেন্ট দেখে হুট করে বলে বসলেন, এসব মগজহীন, বেকুবদেরকে নোবেল প্রাইজ দেয়া হোক। এটা তার ব্যক্তি-আক্রমণ। তিনি যদি জ্ঞানী ও বুদ্ধিমান ব্লগার হতেন, তাহলে শালীন ভাষায় আপনাকে বলতেন যে, আপনার দেয়া ব্যাখ্যায় কিছু ত্রুটি আছে; তারপর প্রয়োজনীয় রেফারেন্সসহ (প্রয়োজনে) ফরেইন রিজার্ভের ব্যাখ্যা পেশ করতেন। তার ব্যাখ্যাই যে সঠিক, তা নাও হতে পারে। তখনই শুরু হবে আপনার পালটা ব্যাখ্যা। এভাবে উভয়ের মন্তব্যে-প্রতি-মন্তব্যের মাধ্যমে উক্ত পোস্টটি জ্ঞান আহরণের একটা উন্মুক্ত ও উপভোগ্য স্পট হয়ে উঠতে পারে। শালীন ভাষায় কেউ একটা ভুল ধরিয়ে দিলে পোস্টদাতা উপকৃত হয়; অনেক সময় নিজের ভুল তথ্যের জন্য অবনত ও লজ্জিতও হয়ে থাকেন।

এই যে দুটি উদাহরণ দিলাম, চাল, মাছ, কাপড় এবং ফরেইন রিজার্ভের ডেফিনিশন - এগুলো ব্যক্তি-আক্রমণের উদাহরণ।

অমুক ভাই কবিতার রাজা, তমুক ভাই গানের কোকিল, আমি এমন তোষামোদকারী কমেন্ট পছন্দ করি না, যারা করেন তাদেরও পছন্দ করি না। লেখক হিসাবে আমি আমার লেভেলটা জানি। লেখাটা কতখানি ভালো বা মন্দ হয়েছে সেটুকু জানি। এজন্য ধন্যবাদ আমার কতখানি প্রাপ্য বা মন্দ হলে কত গ্রেড নীচের রেটিং পেতে পারে, সে ধারণাও আমার আছে। যার পোস্ট মানসম্পন্ন হয় নি, তাকে সরাসরি বলতে কোনো অপরাধ নেই, এটা ভালো পোস্ট নয়; সম্ভব হলে বলুন, কীভাবে ভালো পোস্ট লেখা যায়। কিন্তু পোস্টদাতাকে মগজহীন, বেকুব, ডোডো, পিগমি, ইত্যাদি বলে ব্যক্তি-আক্রমণ করা শালীনতার মধ্যে পড়ে না, এগুলো হলো ক্রিমিনাল অ্যাক্টিভিটি। যখন আপনি নিজেই এসব ক্রিমিনাল অ্যাক্টিভিটির প্রচলন করেছেন, তখন অন্য কোনো ব্লগারকে ক্রিমিনাল বলা আপনার শোভা পায় না, ওটা খুবই হাস্যকর হয়ে যায়। যদি কেউ বিরামহীন ভাবে এরকম ব্যক্তি-আক্রমণচর্চা চালিয়ে যেতে থাকেন, তখন এটাকে তার ভয়ানক আচরণগত সমস্যা হিসাবে বিবেচনা করতে হবে, এটা কোনো স্বাভাবিক চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য নয়।

ব্লগার জুল ভার্ন একজন পুরোনো ব্লগার। তার প্রতিটা পোস্টে তার মেধা, বুদ্ধিমত্তা, জ্ঞান ও মার্জিত রুচিবোধের পরিচয় পাওয়া যায়। ব্লগারদের সাথে তার সুসম্পর্ক রয়েছে। তার পোস্টগুলো খুব পাঠকনন্দিত হয়। ওগুলো পড়ে নিজেকে ঋদ্ধ ও মননশীল করা যায়। তিনি নিজের আচরণ দ্বারা ব্লগারদের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা অর্জন করেছেন। তিনি একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্লগার। ব্লগের প্রাণ সঞ্চালনক্রিয়া অব্যাহত রাখার জন্য তার ভূমিকা অপরিসীম। তার লেখা পোস্টগুলো এ ব্লগের আর্কাইভকে সমৃদ্ধ করেছিল। কিন্তু ব্লগের দুর্ভাগ্য, তিনি তার সকল পোস্ট ড্রাফটেড করে ব্লগ ছেড়ে চলে গেছেন। তিনি চলে যাবার পর থেকেই পুরো ব্লগে তোলপাড়, ব্লগ ও ব্লগারগণ অস্থির এবং তাকে নিয়ে বেশকিছু পোস্ট প্রকাশিত হয়েছে ব্লগে; অনেক আলোচনা হচ্ছে তার চলে যাওয়ার বিষয়টি; প্রতিটা পোস্টেই তার প্রতি ব্লগারদের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা এবং তার উন্নত মানের লেখালেখির বিষয়টি উঠে এসেছে। এমন একজন বিদগ্ধ ব্লগারের ব্লগ ছেড়ে চলে যাওয়া ব্লগের জন্য বিরাট ক্ষতি।

কিন্তু কেন তিনি ব্লগ ছেড়ে চলে গেলেন? তাকে নিয়ে লেখা পোস্টগুলো থেকে (যেখানে তার কমেন্ট বা কমেন্টের স্ক্রিনশটও আছে) জানা যায় যে, তিনি দীর্ঘদিন ধরে জনৈক ব্লগারের ব্যক্তি-আক্রমণের শিকার হয়ে আসছিলেন, যা তার সহ্যের বাইরে চলে গেছে। এ ব্যক্তি-আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পেতেই তিনি ব্লগ ছেড়ে চলে গেছেন। উল্লেখ্য, অল্প কয়েকজন ব্লগার 'ব্লগের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন বলে ব্লগার জুল ভার্ন চলে গেছেন' বা 'এমনি এমনি চলে গেছেন', বা 'নতুন নিকে আসবেন বলে চলে গেছেন', বা 'কেউ ব্লগ ছেড়ে চলে যেতে চাইলে তাকে বাধা দেয়া উচিত না, এটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার' বলে ব্লগার জুল ভার্নের ব্লগ ছেড়ে যাওয়ার বিষয়টি খুবই হালকা করার চেষ্টা করেছেন (এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করে থাকলে তার নিন্দা জানাচ্ছি)।

ব্লগে ব্যক্তি-আক্রমণের মাত্রা সত্যিই খুব ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে। একগুঁয়েমি করে নিরন্তর এভাবে ক্রিমিনাল অফেন্স করে গেলে প্রথম সারির অন্য কোনো ব্লগার যে এভাবে ঘোষণা দিয়ে ব্লগ ছেড়ে যাবেন না, তা বলা যায় না।

আমি নিজেও ব্যক্তি-আক্রমণের শিকার হয়েছি বহুবার। অন্যায়ের প্রতিবাদও করেছি মার্জিত ভাষায়। এরপর ব্যক্তি-আক্রমণের শিকার থেকে রক্ষা পাবার জন্য আমি আমার নিজস্ব পন্থায় প্রিভেন্টিভ মেজর অ্যাপ্লাই করে আসছি। কিন্তু আমার প্রিভেন্টিভ মেজরগুলো হলো খুবই প্যাসিভ। প্রথমত, আমি কোনো ব্যক্তি-আক্রমণকারীর পোস্টে কমেন্ট করতে যাই না। দ্বিতীয়ত, আমি আমার পোস্টের মধ্যেই বেশিরভাগ কমেন্ট আদান-প্রদান করে থাকি। তৃতীয়ত, আমি এমন কোনো পোস্টে কমেন্ট করি না, যে পোস্টে হুট করে কোনো ব্যক্তি এসেই ব্যক্তি-আক্রমণমূলক কথা বলে বসতে পারেন। আমি নিজের পোস্টে অন্যের কমেন্ট মডারেট/কন্ট্রোল করতে পারবো, অন্যের পোস্টে সেটা সম্ভব নাও হতে পারে।

আরেকটা কাজ আমি সচরাচর করি না - ঘৃণ্য বা বিতর্কিত ব্যক্তিদের নিয়ে আমি আলোচনা করি না; আমি তার সম্পর্কে একটা কথা বললেও আমার নিজের অজান্তেই তার নামটা ছড়িয়ে দিচ্ছি মানুষের মধ্যে, বিনা পয়সায় আমি কোনো ঘৃণ্য ব্যক্তি বা অপরাধীর প্রচারণা করতে চাই না।

জুল ভার্ন ভাইয়ের উদ্দেশ্যে বলতে চাই : ব্যক্তি-আক্রমণের যন্ত্রণায় ব্লগ ছেড়ে চলে যাওয়া মানে পরাজয় বরণ করে নেয়া, ব্যক্তি-আক্রমণকারীকে পুরো মাঠ জুড়ে নির্বিঘ্নে খেলার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়া, এতে তার উল্লাস যাপন চিরস্থায়ী করে দেয়া। আপনি ভদ্র লোক, শিক্ষিত লোক, দেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশগ্রহণ করা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। এভাবে পরাজিত হওয়া আপনার জন্য সাজে না। আপনি শীঘ্র চলে আসুন ব্লগে। আপনার নিয়মিত সেরা পোস্টগুলো দিয়ে ব্লগকে সরব ও প্রাণবন্ত রাখুন। ব্লগারগণের কাছে আপনার একটা সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য ইমেজ আছে। আপনি নির্বিঘ্নে লিখবেন। কে আপনাকে আক্রমণ করলো, ওদিকে চোখই দেবেন না। ন্যাংটা হয়ে লাঠি হাতে যে লোক মানুষকে দাবড়ানি দিতে থাকে, ভদ্রলোকরাও তাতে দাবড়ানি খান, কিন্তু গাঁয়ের তাবত লোকই জানেন, কে ভদ্রলোক আর কে পাগল। আপনি একজন সুসভ্য, সুশীল মানুষ, এটা ব্লগবাসী জানেন।

ব্লগারদের কাছেও আমার কিছু বিনম্র আরজ আছে। আমি অতীতে দেখেছি, কেউ একজন অবিরাম ব্যক্তি-আক্রমণ করে যাচ্ছেন, আর কিছু ব্লগার তার পোস্টে যেয়ে আনন্দে গদ গদ হয়ে বলছেন, উনি আমাকে এখনো পর্যন্ত কোনোকিছু বলেন নাই, উনি খুব ভালো লোক। আমি তাজ্জব হয়ে গেছি এসব ব্লগারের এমন উৎফুল্লতা দেখে। যেখানে মানুষের কর্তব্য হলো অন্যায়ের প্রতিবাদ করা, সেখানে কীভাবে কিছু ব্লগার এরূপ উল্লাস প্রকাশ করতে পারেন - উনি আমারে কিছুই বলেন না? আমি এরূপ উল্লাস প্রকাশ দেখে আমি বিভিন্ন জায়গায় অন্যায়ের প্রতিবাদ করে এদেরকে সতর্ক করেছি বারংবার যে, এভাবে আনন্দ না করে প্রতিবাদ করুন, নইলে একদিন আপনারাও এমন ব্যক্তি-আক্রমণের শিকার হবেন। এরপর নিজেকে সার্থক ভবিষ্যতবক্তা হিসাবে আবিষ্কার করলাম - দেখলাম, তারাও ব্যক্তি-আক্রমণের শিকার হয়ে খুব মুষড়ে পড়েছেন। এখনো কিছু ব্লগারকে দেখা যায়, অতিমাত্রায় আদিখ্যেতা করার জন্য - আমি হারিয়ে যাব, দেখবো আপনি আমায় খোঁজেন কিনা, ইত্যাদি। আমি জানি, ব্যক্তি-আক্রমণ প্রবণতা না কমলে এসব ব্লগারও একদিন সপাট করে তীব্র ব্যক্তি-আক্রমণের শিকার হবেন। যাদের ব্যক্তি-আক্রমণের অভ্যাস, তাদেরকে পারলে মোটিভেট করুন আক্রমণাত্মক না হওয়ার জন্য, কিন্তু তাদের সাথে পেলি পেলি করে তাদের কর্মে অনুপ্রেরণা দেয়া সুব্লগারের বৈশিষ্ট্য না।

যিনি বা যারা ব্যক্তি-আক্রমণ করেন, আর যিনি বা যারা তাদের সাপোর্ট করেন, তাদের প্রতিও বিনত আরজ, দয়া করে ব্যক্তি-আক্রমণের পন্থা থেকে বেরিয়ে আসুন। ব্লগের সূচনা দিনের মতো অগুনতি ব্লগার এখন ব্লগে নেই। অল্প কয়েকজন ব্লগার আমরা উপস্থিত থাকি, সবার লেখালেখি, এমনকি অনেকের ব্যক্তি-জীবন পর্যন্ত আমরা এখন জানি। মাঝে মাঝেই ব্লগ-ডে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে আমরা সশরীরে উপস্থিত থাকি। আমাদের মধ্যে এত রেষারেষি, যুদ্ধংদেহী মনোভাব থাকলে সামনাসামনি দেখা হলে একে অপরকে মুখ দেখাবো কীভাবে? আমাদের চোখে কি লজ্জার একফোঁটাও অবশিষ্ট নেই? আমরা দেশ-বিদেশে মানুষের সাথে মিশি, আমাদের আচরণ, রুচিবোধ আরো অনেক সভ্য হবার কথা। কিন্তু কারো আচরণ থেকে যদি কাউকে খচ্চর বা ইতরশ্রেণির মনে হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে, বিদেশে বিভিন্ন বিদেশীদের সাথেও তার আচরণ আপ টু দ্য মার্ক নয়, হয়ত, বিদেশীদের কাছেও নিজের অসভ্য আচরণ দ্বারা দেশের নাম ও মান ডুবাচ্ছেন। আমি পরিবারের সবাইকে নিয়ে আনন্দে আছি, নাকি পরিবারের কেউ আমাকে দু চোখে দেখতে পারেন না, সপরিবারে, সস্ত্রীক ব্লগপোস্ট পড়ি, নাকি স্ত্রীর কাছেও আমার মর্যাদা একবিন্দু অবশিষ্ট নেই, এগুলো অন্য ব্লগারদের সাথে আমার আচরণ থেকেই বোঝা যায়, আমাকে লিখে বোঝানোর দরকার নেই, আমি আর আমার স্ত্রী এক সার্থক আনন্দজুটি। আমাদেরকে একে অপরের সাথে বন্ধুর মতো আচরণ করতে হবে। প্রবাদ আছে, দুটি হাঁড়ি পাশাপাশি থাকলে টোকা লাগবেই। সত্য। কিন্তু জোরে ঝাঁকি দিলে হাঁড়ি দুটো ভেঙে যাবে। আমাদের মতানৈক্য থাকবে, কিন্তু তা আলোচনা করতে হবে উপভোগ্য যুক্তি তর্কের মাধ্যমে।

সর্বশেষ যেটি হতে পারে, তা খুবই প্যাসিভ এবং নেগেটিভও - যদি কেউ ব্যক্তি-আক্রমণ অব্যাহত রাখনে, এতকিছুর পরও, একযোগে তার/তাদের পোস্ট বয়কট করাই হবে উত্তম। সেই সাথে, একা একা বা নিজেদের পোস্টে তারা যতই আক্রমণাত্মক কথা বলুন না কেন, ওগুলোতে সাড়া না দিয়ে নিজেদের মতো করে ব্লগিং করে যেতে হবে।

আমাদের কারো লেখালেখি বা জ্ঞানের মাত্রা এমন পর্যায়ের না যে, কেউ বলতে পারেন, আমার লেখাই সেরা ও নির্ভুল। কাজেই, অন্য যে-কোনো ব্লগারই কোনো একটা পোস্টে তথ্যগত ভুল খুঁজে পেতে পারেন। ভুল ধরিয়ে দিলে চটে না গিয়ে সেটাকে সহজভাবে গ্রহণ করে সংশোধন করতে হবে। যিনি ভুল ধরছেন, তাকেও ভুল ধরার সঠিক পদ্ধতিটা জানতে হবে, যে ব্যাপারে পোস্টের মাঝামাঝি স্থানে আলোকপাত করা হয়েছে।

পরিশেষে, জুল ভার্ন ভাইকে দ্রুত ব্লগে ফিরে আসার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

সেই সাথে, ব্যক্তি-আক্রমণ করা থেকে যেন আমরা সবাই বিরত থাকি, সবার প্রতি পুনর্বার এই আর্জি পেশ করে গেলাম।

শুভ ব্লগিং।

মন্তব্য ৩৫ টি রেটিং +২১/-০

মন্তব্য (৩৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৮:০৯

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ সোনাবীজ ভাই, বড় ভাই সূলভ লিখা পড়ে ভালো লাগছে।

সবাই যদি একসাথে দাঁড়াই তাহলে অপব্লগিং রোধ করা সম্ভব। একজন ব্যাক্তি এমন কোন শক্তিশালী হয়নি যে তার কারনে ব্লগিং পরিবেশ নষ্ট হতে পারে। আর যে মোটাবুদ্ধি সম্পন্ন তাকে ইশারা দিয়ে লাভ নেই, সরাসরিই বলতে হবে। অনেক ইশারা ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে কিন্তু কিছুই হয়নি, তার কোন পরিবর্তন অন্তত দেখিনি।

২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৯:১১

ডার্ক ম্যান বলেছেন: বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচ্যগ্র মেদিনী?

৩| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৯:৩৪

জটিল ভাই বলেছেন:
আসসালামুআল্ইকুম প্রিয় ভাই।
আমার নয়, আমাদের সকল ব্লগারের মনের খাপছাড়া কথাগুলো দিয়ে অসাধারণ মালা গেঁথেছেন। আাপনার এই পোস্টের পর আরকিছু বলার দরকার আছে বলে অন্তত আমি মনে করিনা। এই পোস্টটিকে যদি সসম্মানর স্টিকি করা হয় তবে আশা করি সামুর সম্মানও বৃদ্ধি পাবে। অনেককিছু জানার, বুঝার, আর শেখার আছে। মাঝেমাঝেই আপনাদের মতো বিজ্ঞদের হতে এমন নির্দেশনামূলক পোস্ট পেলে নিজেদের অনেক সমৃদ্ধ করতে পারতাম।
পরিশেষে সবার কাছে আহ্বান থ্কবে চর্চার মাধ্যমে আপনার এতো কষ্টে তৈরী পোস্টের যথাযথ মূল্যায়ণ করার।
শুভ ব্লগিং।

৪| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:২১

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সুন্দর উপদেশ। এর পরও যদি অহেতুক কেউ ব্যক্তি আক্রমন করে যায় ব্লগে তাহলে ধরে নেওয়া যেতে পারে এটা তার মজ্জাগত স্বভাব এবং এ কারণে তাকে ব্যান করা উচিৎ।

ব্লগ জুল ভার্ন ফিরে আসুন । ধন্যবাদ।

৫| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:৩৪

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: আমি প্রায় ১১ বছর ধরে ব্লগিং করছি এবং এরকমী আচরণ দেখছি
আমি বুঝি না ব্যক্তিগত ভাবে আাঘাত করতে হবে তাহলে সাহিত্য চর্চা এমন
কবি সাহিত্যীক লেখক কেরা আচার আচারণ এরকম হবে যাই হোক
সবাই একটু বুঝার চেষ্টা করি--------------

৬| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:৫৩

কলাবাগান১ বলেছেন: আপনাদের একচোখা লেখা নিয়ে অতিস্ঠ.....।শুধু একদিকের কথাই লিখেন কিন্তু আমি দেখেছি চাদগাজী/সোনাগাজী কে হেয়/ব্যক্তিআক্রমন করার জন্য ডজন ডজন নতুন নিকের পোস্ট/কমেন্ট এ সয়লাব করা হয়েছে..। কুকুর এর নাম গলুই নাম দিয়ে গল্প ফাদা হয়েছে নামকরা 'গল্পকার' (এখন ভাব নিচ্ছেন যে উনি কিছুই বলেন নাই- নিরীহ সেজেছেন).।এমন কোন জগন্য কথা নাই যেটা উনাকে উদ্দেশ্য করে বলা হয় নাই... সব কিছু এক চোখে দেখেন .. সিন্ডেকেট শক্তিসালী হয়েছে.... ভালো....

৭| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:৫৮

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: বর্তমান পরিবর্তিত বাস্তবতায় এবং ব্লগ এর বিদ্যমান সংকটে একটি দিকনির্দেশনামূলক লিখা। পোস্ট এর প্রতিটি বাক্য এমনভাবে লেখা হয়েছে যার সাথে দ্বিমত করার অবকাশ নাই। প্রিয় ব্লগার সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই সামহোয়ারইনব্লগের বর্তমান সংকট, এর কারণ এবং এই সংকট থেকে উত্তরণের উপায় নিয়ে অত্যন্ত আন্তরিকভাবে নিখুঁত ও বিস্তারিত আলোচনা করেছেন যা এই মুহূর্তে এবং পরবর্তী সময়ের জন্যও অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হবে বলে মনে করি।

আমি শুধু এটুকু যোগ করতে চাই যে বা যারা অন্যকে নির্বিচারে আঘাত করতে অভ্যস্থ তাদের পক্ষে কখনো আত্নসমালোচনা করা সম্ভব নয় আয়নায় নিজের মুখও দেখা সম্ভব নয়। সে বা তারা তাদেরই মত। এভাবে একসময় তারা নিজেরাই নিজেদেরকে গুরুত্বহীন করে ফেলে এবং হচ্ছেও তাই, এটা আপনি নিশ্চই খেয়াল করেছেন। লেংটা পাগল দর্শক পেলে বেশি লাফায়, তাদেরকে একা একা থাকার সুযোগ দিন দেখবেন নিজের চুল নিজে ছিড়া ছাড়া আর কিছু করার থাকবে না।

আর ব্লগার জুলভার্ন ভাই এর প্রতি শুধু আমার একটাই প্রশ্ন আপনি কি চোরের সাথে রাগ করে ভাঙা থালায় ভাত খাবেন? উত্তরটাও আমিই দিয়ে দিলাম, নিশ্চই না।

৮| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:১৯

নীল আকাশ বলেছেন: এই পোস্ট ইসটিকি করার জোর আবেদন জানাচ্ছি। আমি এই বিষয়ে একটা ছোট করে পোস্ট দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু উনি বিস্তারিত ভাবে সবকিছুই উল্লেখ করে দিয়েছে। একই বিষয়ে আরেকটা পোস্ট দেওয়ার কোনো মানে হয় না।
ব্লগে ব্যক্তি আক্রমণ অবশ্যই বন্ধ করতে হবে এবং যারা যারা এটা করছে তাদের ব্লগ থেকে চিরতরে ব্যান করে দিতে হবে, ব্লগে সুষ্ঠু পরিবেশ আবার ফিরিয়ে আনার জন্য।
আপনাকে ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা পোস্ট দেওয়ার জন্য।

৯| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৩

রানার ব্লগ বলেছেন: ব্যাক্তি আক্রমন উভায়পক্ষ থেকে বন্ধ হওয়া জরুরী। আমি আগে বলি নাই সে আগে বলছে এই সব কাচ্চাবাচ্চা সুলভ অভিযোগ এখনি বন্ধ হোক । সকল ধরনের ব্যাক্তি আক্রমন বন্ধ হোক ।

১০| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৫০

অপু তানভীর বলেছেন: সত্য বলতে কী সোনা ভাই এতো এতো লেখা আসলে বৃথা । এসবের কোন গল আদতেই নেই । পরিস্থিথি যা তেমনই থাকবে ।
একটা মানুষ যখন জানে যে আমি যা করি না করি না কেন তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না কিংবা সামান্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং তার কয়েকজন সমর্থন গোষ্ঠী আছে যারা সব কিছুতেই যতই অন্যায়ই করুক না কেন তাকেই সমর্থন দিয়ে যাবে তখন সে যা ইচ্ছে তাই করতে পারে ।

আমাদের বেলাতে কিন্ত এমনটা না । আমার নিজের কথাই যদি ধরি । আপনার সাথে আমার ভাল সম্পর্কে । এখন আমিও যদি একই ভাবে নিয়মিত অন্য সবাইকে কটাক্ষ করে মন্তব্য করা শুরু করি তাহলে আমি নিশ্চিত আপনি কিংবা আরো কয়েকজন যারা আছেন তারা কিন্তু আমাকে মোটেই সমর্থন দিবেন নি । আমিও এও জানি আমার কিছু পোস্ট নিয়ে অনেকেই আমার উপরে নাখোশ আছেন এবং তারা কিন্তু আমার ভাল চায় । তারা হয়তো সরাসরি কিছু বলেন নি কিন্তু তারা সেটা ভাল চোখে দেখেন নি । এটা আমি জানি । কিন্তু ওপর পক্ষে এসবের বালাই নেই । যাই করুক সহমত ভাই আপনিই সেরা ! দেখেন না দ্বিতীয় দিনই তাকে দায় মুক্তি দিয়ে পোস্ট চলে এসেছে ।

ভুলভার্ন ভাইয়ের ব্যাপারে বলি । ব্লগের প্রথম জীবনে তিনি খুব বেশি সক্রিয় ছিলেন রাজনৈতিক পোস্ট মন্তব্যে । সেই সময়ে স্বাভাবিক ভাবেই দুই পক্ষ ছিল । আক্রমন প্রতি আক্রমন হত । কিন্তু তারপর দীর্ঘ একটা সময়ে সে ব্লগ থেকে দুরে ছিলেন । ফিরে এসে খুব সাধারণ ব্লগিং শুরু করেন । যা পড়তে লিখতেন । কারো সাতেপাছে নাই । কারো পোস্টের সমালোচোনাও করতেন না । সেই সময়ে এই ঐ বিখ্যাত ব্লগার তার পেছনে লাগে । আমার মনে আছে সেটা কবে থেকে ।একজন পোস্ট দিয়েছিলো বিজয় দিবসে ব্লগে মুক্তিযোদ্ধাদের নাম নিয়ে । সেখানে পরে ওনার নাম যুক্ত হওয়ার পর থেকেই খেয়াল করা শুরু করলাম যে বিখ্যাত সেই সেরাজ্ঞানী ব্লগার তার ব্লগে গিয়ে নানান প্রশ্ন মন্তব্য করা শুরু করেছে যা পোস্টের সাথে বিন্দু মাত্র সম্পর্কৃত নয় । প্রথম প্রথম জুলভার্ন সেই সব প্রশ্নের উত্তর ধৈর্য্যের সাথেই দিতেন কিন্তু এক সময়ে তা বন্ধ করে দিয়ে তাকে কমেন্ট ব্যান করে দেন ।

ঝামেলা এখানেই শেষ হলে কিন্তু পারতো । ব্লগে একজনের মনের মত সবাইকে হতে হবে এমন কোন কথা নেই । যাকে ভাল লাগবে না তাকে এড়িয়ে চললেই হয় । কিন্তু না সেই বেভিজ্ঞানী ব্লগার কী করা শুরু করলো অন্যান্য ব্লগে গিয়ে জুলভার্নের নামে কথা বলা শুরু করলো । বিশেষ বিশেষ যে যে পোস্ট জুলভার্ন মন্তব্য করতো সেই সেই ব্লগে গিয়ে সে হাজির হত । পোস্টে অযাচিত ভাবে তার নাম টেনে আনতো । এই যেমন সর্বশেষ কয়েকদিন আগে জুলভার্ন আমার আর আরও কয়েকজনের নাম অপ্রয়োজনীয় ভাবে ব্লগের শুরুতে এনে বললেন যে আমরা জানি ব্লগার চাকরি ছেড়ে উদ্যোক্তা হতে পরামর্শ দিই । উন্নত শ্রেণীর গাজা খেলেই কেবল এই ধরণের কথা লেখা যায় । এই ভাবে দিনের পর দিন জুলভার্নের পেছনে সে লেগেছেই আছে । ছিল ।

আমাদের ব্লগ মডারেটর সেদিন গ্রুপে জানালো যে রেজাউল৯০ তাকে বিরক্ত করার জন্য ৬০টা নিক খুলেছেন । সব গুলো ব্যান করে দেওয়া হয়েছে । এটাকে মানসিক রোগ হিসাবেই তিনি আখ্যায়িত করা হয়েছে এবং সেই ব্যাপারে ব্যবস্থাও গ্রহন করা হয়েছে । কিন্তু এই হেভিজ্ঞানী ব্লগার জুলভার্নকে সেই ২০১৯ সাল থেকে টানা বিরক্ত করে আসছে । ইভেন গত কালকেই সে জুলভার্নকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেছে । এই ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা তো গ্রহন করা হয় নি ।

আমি একটা সময়ে ব্লগের নিয়ম দিয়েই সব সমাধান করার পক্ষপাতি ছিলাম । যেমন কেউ নিয়ম ভাঙ্গলে আমি সবার আগে রিপোর্টই করতাম । চাইতাম যেন ব্লগ কর্তৃপক্ষই সেটার ব্যবস্থা গ্রহন করুক । কিন্তু একটা সময়ে এসে খেয়াল করলাম যে এসবের কিছুই হচ্ছে না । তখন আর আসলে এসবের ধার ধারা বন্ধ করে দিয়েছি । এখন মানুষের সাথে ঠিক তেমনই আচরণ করা হবে যেমন সে আমার সাথে করে । এই নীতি গ্রহন করেছি । কেউ যদি আমার সাথে ভাল ব্যবহার করে তার সাথে তার থেকেও দ্বিগুণ ভাল ব্যবহার করবো ঠিক একই ভাবে কেউ যদি আমার পেছনে লাগে তার পেছনে তার থেকেও বেশি প্রবল বেগে লাগবো । তবে শুরুটা কখনই আমি করবো না ।

এটা নিয়ে আলাদা ভাবে পোস্ট দেওয়ার ইচ্ছে ছিল । গতকয়েকদিন ধরে একটু ব্যস্ত ছিলাম তাই দিতে পারি নি । আপনার পোস্টের পরে আসলে আর পোস্ট দেওয়ার কোন দরকার নেই । তাই মন্তব্যটা এখানে করলাম ।

ভাল থাকুন ।

১১| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৪

নতুন বলেছেন: গেঁয়ো ভূত বলেছেন: আর ব্লগার জুলভার্ন ভাই এর প্রতি শুধু আমার একটাই প্রশ্ন আপনি কি চোরের সাথে রাগ করে ভাঙা থালায় ভাত খাবেন? উত্তরটাও আমিই দিয়ে দিলাম, নিশ্চই না।

ব্যক্তি আক্রমন একটা মানুষিক ব্যাধী বলে আমি মনে করি। ব্লগে যারা লিখতে আসেন তারা সবাই শিক্ষিত এবং সমাজে ভালো স্থানেই আছে।

যারা কাউকে ব্যাক্তিগত আক্রমন করে সেটা তার দৈনতা মাত্র। একজন মূর্খের জন্য রাগ করে ব্লগিং বন্ধ করা ঠিক না। এখানে আমরা একটা ভালো সময় কাটাতে আসি, যখন কেউ বাজে কমেন্ট করে সেটার প্রতিবাদ সবাই মিলে করতে হবে। তখন ঐ মূর্খরা সুবিধা করতে পারবেনা।

১২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:০৯

ক্যাপ্টেন অফ ব্যাচেলর বলেছেন: অনেকেই অনেক কথা বলছেন। যে চোরের উপর রাগ করে মাটির থালায় ভাত খাওয়া ঠিক কিনা। কিন্তু আমার মনে হয় জুল ভার্ন ক্রমাগত যে ব্যক্তি আক্রমণের শিকার হয়েছেন। আমরা তার ধারে কাছেও কোন কিছুর এখনো পর্যন্ত শিকার হইনি। হলে আমাদের মনের অবস্থা কেমন হতো আল্লাহই ভাল জানেন। জুল ভার্ন ফিরে আসুন বা না আসুন। কিন্তু উনার চলে যাওয়ার মনে কষ্টটা আমি অনুভব করতে পারি।

১৩| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:২৪

অপু তানভীর বলেছেন: কেবল একটা ছোট্ট কাজ যদি মডারেশন থেকে কঠিন ভাবে পালন করা হয়, তাহলে এই ব্যক্তিআক্রমন প্রায় বন্ধ সম্ভব । একটা ব্যাপার খেয়াল করে দেখবেন এই যে ব্যক্তি আক্রমন সেটা যে পক্ষ থেকেই হোক না কেন সেটার সাথে পোস্টের কোন সম্পর্ক থাকে না । এই কটাক্ষ করে মন্তব্য গুলো করা হয় একেবারেই পোস্ট বহির্ভুত ভাবে । পোস্ট বহির্ভুত সকল মন্তব্য কঠিন ভাবে পর্যবেক্ষন করা হোক । তাহলেই সবাই সোজা হয়ে যাবে ।

১৪| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:২৮

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: যা বুঝতে পারলাম; সোনাগাজী এবং জুলভার্ন এরা দুজনেই মুক্তিযোদ্ধা এবং বায়োজেষ্ঠ লোক এদের মধ্যে ঠিক কবে এবং কি নিয়ে
দন্দ শুরু হয়েছিল তা আমি সঠিক জানি না। তবে আমি সাধারণ সেন্সে যা বুঝি তা হলো; শুধুমাত্র একজন ব্লগারের প্রতি অতিষ্ঠ হয়ে নিজের কষ্টার্জিত বহু বছরের পুরোনো লেখা সব ড্রাফ্ট করে ব্লগ ছেড়ে চলে যাওয়াটা নিতান্তই শিশুশুলভ। সিম্পলি তিনি সোনাগাজীকে ব্লক দিতে পারতেন ঝামেলা শেষ, তা না করে তিনি সব মুছে দিয়ে ব্লগ থেকে চলে গেলেন যা মোটেও যুক্তিযুত কাজ হতে পারে না।

১৫| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: প্রথমেই ৫ নং মন্তব্যকারী কলাবাগানকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

জুল ভার্ন ফিরে আসবেন। তিনি বর্তমানে খুবই ব্যস্ত। ব্যস্ততা কমলে ফিরে আসবেন।

আপনি যে পোস্ট দিলেন। ভালো পোস্ট। কিন্তু সমস্যা হলো এরকম পোস্ট গুলোতে কতিপয় ব্লগার সরাসরি চাঁদগাজীকে আক্রমণ করে। ইহা অন্যায় এবং ভুল।

১৬| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৫৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার সুচিন্তিত পোস্টের জন্য। অনেকেই ব্লগার চাঁদগাজীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন, কিন্ত আমি আমার পোস্টেও বলেছি আর এখানেও বলছি যে, উনার শুভাকাংখীদের দিকেও এন্টেনা তাক করুন। শুভাকাংখীদের সমর্থন ছাড়া এককভাবে গাজীসাহেব ব্যক্তি আক্রমন করে সফলতা লাভ করতে পারেন না। উনার পোস্ট বয়কটের কথা যারা বলছেন, তারা দেখতে পারেন যে এত আলোচনা/ সমালোচনার পরও উনার পোস্টে কমেন্টের কোন কমতি নাই। উনার শুভাকাংখীরা পোস্টে সুন্দর সুন্দর কমেন্ট করে উনাকে আরো উৎসাহ , অনুপ্রেরনা দিয়ে যাচ্ছে । একজন অতি উৎসাহী শিষ্যতো দেখছি সরাসরি জুলভার্ন ভাইকে আক্রমন করে দুই দুইটি পোস্ট দিয়েছে!! প্রতিবাদ কি সেগুলোর বিরুদ্ধে হবে না ?

ব্লগ কতৃপক্ষকে আসলে দোষারোপ করে ফায়দা হবে না। কারন তাদেরকে সবদিক রক্ষা করতে হয়। আপাতত তারা গাজী সাহেবের কমেন্ট সুবিধা কেড়ে নিয়েছেন। আসুন আওয়াজ তুলি এটা যেন পার্মানেন্ট হয়। উনি যদি অন্যের পোস্টে আর কখনই কমেন্ট করতে না পারেন, তবে ব্যক্তি আক্রমন একেবারে শূন্যের কোঠায় নেমে যাবে। নিজের পোস্টে উনার যা খুশি তাই লিখুক, সেখানে আমরা কেউ উকি না দিলেই হল।

১৭| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:০৯

রানার ব্লগ বলেছেন: ঢাবিয়ান বলেছেন:আসুন আওয়াজ তুলি এটা যেন পার্মানেন্ট হয়। উনি যদি অন্যের পোস্টে আর কখনই কমেন্ট করতে না পারেন

এমনটা তাহলে অন্যদের বেলায় ও করা হোক ।

১৮| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:০৬

নীল আকাশ বলেছেন: জ্যাক স্মিথ বলেছেন: যা বুঝতে পারলাম; সোনাগাজী
ব্লগে অনর্থক মিথ্যা কথা প্রচার করা বন্ধ করুন। এর আগেও দেখছি ব্লগে আপনি অনর্থক কথাবার্তা লিখে বেড়ান। ‌
আপনাকে কে বলেছে উনি মুক্তিযোদ্ধা? উনি কখনো সেটা নিজে লিখেছে? ব্লগের কোথাও দাবি করেছে?
আন্দাজে যাকে তাকে মুক্তিযুদ্ধ দাবি করবেন না। এটা খুবই সেনসিটিভ বিষয়।

১৯| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:০৯

নীল আকাশ বলেছেন: জুল ভার্ন ভাইয়ের ব্লগ থেকে চলে যাওয়া আমি বলবো ব্লগ মডারেশন কর্তৃপক্ষের উপযুক্ত সময় যথাযথ ব্যবস্থা না নেয়ার ফলাফল।
যে বনে বাঘ সিংহ হাতি থাকে না, সেখানে মুরগি চোর শিয়ালই সারা দিনরাত হুক্কা হুয়া বলে বেড়ায়।
আদতে ব্লগে এখন এই অবস্থাই হয়েছে।

২০| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:২০

অর্ক বলেছেন: ভালো বলেছেন। দ্বিমত নেই। কমাস আগে আপনার ফুটবল বিশ্বকাপ নিয়ে কোনও এক পোস্টে বোধহয় আমার মন্তব্য থেকে খানিক তিক্ততা তৈরি হয়েছিলো। সে জন্য দুঃখিত। খুব ছোটবেলায় জমিজমা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজে বাবার গ্রামের বাড়ি যাবার কথা ছিলো। বাবার ভাতিজা এসেছিলো তাকে জানাতে যে, অমুক দিন সেখানে উপস্থিত থাকতে হবে। বাবা জানিয়েছিলো যে, সেদিন কিছুতে যাওয়া সম্ভব হবে না, কারণ বিটিভিতে ফুটবল আছে। তখন সপ্তাহে একদিন বিটিভিতে এক আধ ঘন্টার ফুটবল দেখানো হতো। খুব সম্ভবত ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের হাইলাইটস। আমি নিজেও ফুটবলের বড়ো সমর্থক। দেশ দল নয়, বাবার মতো ভালো ফুটবলের সমর্থক। আপনার পোস্ট পড়ে তৎক্ষনাৎ মনে হয়েছিলো যে, ফুটবল নিয়ে আমাদের সবার আবেগকে যেন তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা হলো।

যা হোক লেখা নিয়ে দ্বিমতের সুযোগ নেই। মন্তব্যে শিষ্টাচার শালীনতা পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ সবসময় কাম্য। জীবন সবসময়ই শেখার চমৎকার এক প্রকৃয়া। ছোটোখাটো ভুলভ্রান্তি আঁকড়ে না থেকে মিলেমিশে এগিয়ে যাওয়াই উত্তম। যে সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন এগুলো ব্লগে প্রথম দিন থেকে দেখে আসছি। রাতারাতি কিছু হয়নি। এখন বিশেষভাবে আকাশ থেকে পড়ার কারণ হলো, ব্যাপারটা নিজের বা ঘনিষ্ঠ কারও ওপরে এসে পড়েছে। যেমন এখানে একজনকে একবার দেখেছিলাম, বিশেষ একজন ব্লগারের পোস্টে বলছে, ব্লগে যারা আরেকজন ব্লগারের মন্তব্য সুবিধা বন্ধ করে তারা নরাধম, মগজহীন, বেকুব, সমালোচনা নেবার সাহস নেই। মজার ব্যাপার হলো, কদিন আগে কোনও পোস্টে আলাপচারিতায় দেখলাম, সেই একই ব্যক্তি উক্ত ব্লগারকে তার লেখায় মন্তব্য সুবিধা বন্ধ করে দিয়েছে। হা হা হা। বিস্মিত হলাম দেখে। একেবারে বোকা বনে গেলাম। শেষমেশ নিজেই তা করলো যার জন্য আগে সে অন্যদের সম্পর্কে অপমানকর মন্তব্য করেছিলো। এখানে যারা মন্তব্য করেছে তারাও প্রকারান্তরে এখন ভণ্ডামি করছে। ব্লগের পরিস্থিতি আমার আট বছরে চুল পরিমাণও হেরফের হয়নি। যে যেরকম ছিলো, যা করে বেড়াতো, সে বা তারা এখনও তাই করে বেড়াচ্ছে। রাতারাতি তাদের এতো উত্তেজিত সোচ্চার হবার কারণ হলো যে, সেই আঁচ এবার নিজেদের গায়ে লেগেছে। আমি বরাবরই শুরুতেই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি। এখানে আমার সমস্যা হচ্ছে, বারবার কামড়াকামড়িতে না জড়িয়ে যার যার রাস্তায় যাই। তবে সবচেয়ে বড়ো সত্য হলো, ব্লগের আজকের এ দশার জন্য মেইন কালপ্রিট হলো মডারেশনের দায়িত্বে থাকা বান্দারা। ক্ষমতা বরাবরই তাদের হাতে ছিলো। কিছুই করেনি। কিছু বলতেও ভয় লাগে, পাছে আমাকেই আবার চূড়ান্তভাবে ব্যান না করে দেয়! হা হা হা।

অনেক কথা বললাম। বিরক্তির উদ্রেক করলে ক্ষমাপ্রার্থী। এই ব্লগ সাইটটিকে আমি খুব ভালবাসি। অনেককিছু পেয়েছি এখান থেকে। ভালবাসা থেকেই চাই যে, ব্লগটি সচল থাক। সরগরম থাক সভ্য সুন্দর মানুষের মুখর পদচারণায়। আদর্শ রাষ্ট্র নির্মাণে ভূমিকা রাখুক ব্লগ ও ব্লগারগণ। শুধু রাষ্ট্রই বা বলি কেন। সমস্ত পৃথিবীতেই দৃষ্টান্ত রাখুক সামহোয়্যারইন ব্লগ। ধন্যবাদ ও শুভকামনা থাকলো। বড়ো হয়ে গেছে মন্তব্য। আর চেক করলাম না। মন্তব্যের ভুলত্রুটি সকলকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ করছি।

২১| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৮

সোনালি কাবিন বলেছেন: জ্যাক স্মিথ বলেছেন: যা বুঝতে পারলাম;...... জুলভার্ন........ সিম্পলি তিনি সোনাগাজীকে ব্লক দিতে পারতে


# একথা আপনি আরো এক পোস্টে বলেছেন। এত নিশ্চিত কীভানে হলেন? জুল ভার্ন ভাই বলেছিলেন অনেক আগেই শমসের গাজীকে উনি ব্লক করেছিলেন। তারপরও গাজী এ পোস্টে ও পোস্টে গিয়ে জুল ভার্ন নিয়ে মাঝেমধ্যেই খোচাখুচি করত।

২২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:২৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। আশা করি দলাদলি ভুলে আমরা দায়িত্বশীল ব্লগিং করবো এবং ব্লগের পুরানো সমৃদ্ধি ফিরিয়ে আনবো।

২৩| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৮

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আপনার এই পোস্টের গুরুত্ব মনে হয় না এই ব্লগে খুব একটা পালন করা হবে । কারণ যাদের উপলক্ষ্যে এই পোস্ট তারা তাদের মত থেকে যাবে । তারা না কোন সমালোচনা করতে জানে না তারা সমালোচনার মানে বোঝে ব্যক্তি আক্রমণ তাদের একমাত্র বৈশিষ্ট্য !!


কলাবাগান যে খেদোক্তি প্রকাশ করলেন তা ঠিক আছে তাকে গলু বলে ডেকেছে সেই নিয়ে গল্প ফেঁদেছে ইত্যাদি ইত্যাদি । যে ফেঁদেছে সে অপরাধী , বেশ !

তো সোনাগাজী কী করে ? তার কথার সাথে না মিললে তিনি প্রশ্নফাঁস জেনারেশন বলে ব্যক্তি আক্রমণ শুরু করে , এরপর পোস্টে বলেছি এক উনি সমালোচনা শুরু করেন অন্যরকম । আর তাকে জীবনেও প্রাসঙ্গিক কথা বলতে দেখিনি । হিংটিং ছট মন্তব্য করা তার বৈশিষ্ট্য এবং সমালোচনা নয় পোস্টদাতাকে আক্রমণ করাই ওনার কাজ । তো ওনাকে আক্রমণ করলে সেটা মহাভারত অসুবিধা হবে কেন ?

যদি তাকে গলু বলে সেই পোস্টদাতা কোন অপরাধ করে থাকে তবে আমি বলব তিনি গলুর বদলে সারমেয় বলেননি বলে তিনি অপরাধী । আর কিছূ নয় !

ঢাবিয়ানের কথার সাথে আমি একমত ! ওনার সাগরেদেরও কথা বলতে হবে যারা তাকে পুজা করে চলে তার অহেতুক কথাকেই বহুত হেতুওয়ালা বানিয়ে দেয় !!

২৪| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৬

সোনালি কাবিন বলেছেন: নির্বহণ ভাই চমৎকার কথা বলেছেন। ইত্রামির ফ্রাংকেন্সটাইনের অনুসারীদের বলতে গেলে দেখলামই না যে ফ্রাংকেনস্টাইন সাহেবকে সদুপদেশ দিয়ে সুপথে আনতে। এখন অধিকাংশ ব্লগার যখন মুখ খুলেছে, তখন কান্নাকাটি শুরু হয়ে গিয়েছে।

২৫| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:১৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: @অর্কঃ

আমি প্রায় দশ বছরের অধিক সময় ধরে মডারেটর হিসাবে দায়িত্ব পালন করছি। ব্লগ মডারেটরকে সমালোচনা করার কারনে কেউ কখনও 'ব্যান' হয়েছেন বা কোন ব্লগীয় অসুবিধার মুখোমুখি হয়েছে বলে কোন উদহারন নেই। ফলে আপনি নিশ্চিন্তে অভিযোগ বা মডারেটর সম্পর্কে আপনার চিন্তাভাবনা জানাতে পারেন। আর এই উদহারন আপনি নিজেই। আমার ভুল হয়ে না থাকলে, আপনি ইতিপুর্বেও বিভিন্ন সময়ে ব্লগ মডারেটর নিয়ে আপনার অসন্তোষ ও কাজের সমালোচনা করেছিলেন। আশা করি, আপনার স্বাভাবিক ব্লগিং এর ক্ষেত্রে সেই সকল সমালোচনার কোন প্রভাব বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয় নি।

শুভেচ্ছা জানবেন।

২৬| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:৫৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় সোনাবীজ ভাই,

অত্যন্ত মূল্যবান যুগোপযোগী সুচিন্তিত মতামত তুলে ধরেছেন। অনেকেই আবার জুল ভার্ন ভাইয়ের চলে যাওয়া নিয়ে বিরুদ্ধ কথা বলছেন।সে পথে যাবো না। একজন লেখালেখির মানুষ যিনি সবকিছু ফেলে লেখালেখি করতেন এখন সেই মানুষটি লেখালেখি বিসর্জন দিয়ে কর্মে ব্যস্ত আছেন।যে যেভাবে চলতে চায় সেটা কারোর নিজস্ব ব্যাপার। কিন্তু ব্লগমুখি মানুষটার এমন নির্লিপ্ততা আমাদের মতো অনেকেরই কাছে খুব স্বাভাবিক লাগছে না। তবুও আশায় থাকবো একদিন জুল ভার্ন ভাই নিজের ক্লেদকে পরিহার করে আবার ব্লগে ফিরবেন। আপনার সুচিন্তিত মতামত আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। সোহানীপুর সুরে বলি,যথার্থই বড় ভাইয়ের কাজ করেছেন।++
অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা আপনাকে।

২৭| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:০১

শেরজা তপন বলেছেন: প্রিয় সোনাবিজ ভাই, এমন একটি পোষ্টের জন্য আপনার প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা বেড়ে গেল আর কয়েক গুণ!

২৮| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:১১

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই,




ব্লগের এই ক্রান্তিকালে এইরকম লেখা যুক্তিযুক্ত এবং প্রশংসার দাবী রাখে।
কিন্তু কথা হলো, এর রকম করে পোস্ট আমাদেরকে লিখতে হবে কেন? কতোকাল এমন করে আমরা ব্লগারদের চেতনা ফেরাতে পোস্ট লিখেই যাবো... লিখেই যাবো ?
ব্লগারদের কি কখনও চৈতন্যবোধ হবেনা ?????? ব্লগাররা কি নিজেদের "মানুষ" ভাবতে পারেন না - সুন্দর মানুষ..... শুদ্ধ মানুষ.....রূচিবান মানুষ.... বোধওয়ালা মানুষ..... ব্লগপোলব্দিওয়ালা মানুষ???????????????

ব্লগে এমন করে আত্মপোলব্ধি মূলক লেখা আর কাউকেই লিখতে হবেনা, এর জন্যে কতোকাল ধরে আমাদের অপেক্ষা চলবে ?????????????????

২৯| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:২২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: প্রিয় ব্লগার জুলভার্ন ফিরে আসবেন সেই শুভকামনা থাকলো।

৩০| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:৪১

কামাল১৮ বলেছেন: লেখার সাইজ দেখেই পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ছেলেছি।এমন কি জটিল সমস্যা নিয়ে লিখলেন যে লেখা এতো বড় হয়ে গেলো।সাহিত্যিক মানুষদের এই সমস্যা ,একবার লেখা শুরু করলে থামতে চায় না।

৩১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৩:৪৬

জিকোব্লগ বলেছেন:



০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৫৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: "
----- একজন অতি উৎসাহী শিষ্যতো দেখছি সরাসরি জুলভার্ন ভাইকে আক্রমন করে দুই দুইটি পোস্ট দিয়েছে!! প্রতিবাদ কি সেগুলোর বিরুদ্ধে হবে না ?

ব্লগ কতৃপক্ষকে আসলে দোষারোপ করে ফায়দা হবে না। কারন তাদেরকে সবদিক রক্ষা করতে হয়। আপাতত তারা গাজী সাহেবের কমেন্ট সুবিধা কেড়ে নিয়েছেন। আসুন আওয়াজ তুলি এটা যেন পার্মানেন্ট হয়। উনি যদি অন্যের পোস্টে আর কখনই কমেন্ট করতে না পারেন, তবে ব্যক্তি আক্রমন একেবারে শূন্যের কোঠায় নেমে যাবে। নিজের পোস্টে উনার যা খুশি তাই লিখুক, সেখানে আমরা কেউ উকি না দিলেই হল। "


- অতি উৎসাহী শিষ্যতো আরেকজন ব্লগারের কাছে হাত পাতে,
দিনের পর দিন ঐ ব্লগারকে টাকা না দিয়ে ঘুরায়; যা ঐ ব্লগারের
মন্তব্য থেকে প্রমাণিত। কে জানে, হয়তোবা ঐ অতি উৎসাহী শিষ্য
উহার গুরুর কাছেও ডলারের জন্য অথবা বিদেশ আসার জন্য হাত
পেতেছে এবং গুরুর নির্দেশেই এই কাজ গুলো করে যাচ্ছে।

সোনাগাজীকে চিরস্থায়ী কমেন্ট ব্লক করলে, সোনাগাজীর ব্লগিং বলে
কিছু থাকবে না। এইজন্য উহা ও উহার শিষ্যরা এটা মানতে চাইবে না।

অন্যদিকে সোনাগাজীকে চিরস্থায়ী কমেন্ট ব্লক করলে ব্লগে উহার ব্যক্তি
আক্রমণ বলে কিছু থাকবে না। কিছু সময় হয়তো পোস্ট দিয়ে পরোক্ষভাবে
ব্যক্তি আক্রমণ চালাবে। কিন্তু ঐ নোংরা পোস্ট গুলো সুলেখক ব্লগারদের ও
উহার শিষ্য ব্যাতীত প্রায় সব ব্লগারদের -ই ইগনোর করা সম্ভব।

ব্লগ কর্তৃপক্ষ -ই সিদ্ধান্ত নিবেন , উনারা কোন দিকে যেতে চান।

সোনাগাজীকে চিরস্থায়ী কমেন্ট ব্লক করার মত এর আগেও মন্তব্যে জানিয়েছিলাম।
কিন্তু কার্যকর হয় নি। কিছু দিন ব্লক রেখে আবার পরিস্থিতি বুঝে ব্লক উঠিয়ে দেওয়া
হয়েছে। ফলাফল কিছু দিন পরে সোনাগাজীর ব্যক্তি আক্রমণ আবার শুরু হয়েছে।

এখন মিলিয়ন ডলারের (মজা করে ) প্রশ্নঃ

ব্লগ কর্তৃপক্ষ আদ্য কি সোনাগাজী কে স্থায়ী ভাবে কমেন্ট ব্লক দিয়ে রাখবেন ?

নাকি ব্যক্তি আক্রমণ - সাময়িক ব্যান , আবার ব্যক্তি আক্রমণ - সাময়িক ব্যান,
আবার ব্যক্তি আক্রমণ - সাময়িক ব্যান ...............বিপ্লবী ভাই বোনদের আন্দোলন
...... সুলাইমানি ব্যান ....... নতুন আইডি - দ্রুত সেইফ ........ আবার
ব্যক্তি আক্রমণ - সাময়িক ব্যান .... .... বিপ্লবী ভাই বোনদের আন্দোলন .....
এই ভাবে পুনরাবৃত্তির ব্লগ বিনোদন / খেলা দেখিয়ে যাবেন ?

তবে সোনাগাজী সামু ব্লগে যা সুবিধা পেয়ে যাচ্ছে , অন্য কোন ব্লগার এতো সুবিধা পান নি।
কিন্তু কেন ?? এটা কি শুধুই উহার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় ? নাকি আরো অন্য কিছু ?
এটা এখনো অনেক ব্লগার ও পাঠকের প্রশ্ন।

৩২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ ভোর ৫:৩৮

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: সামু ব্লগ মূমুর্ষু। ব্যক্তি ও সাম্প্রদায়িক আক্রমণকারী ব্লগারই বর্তমানে এর প্রাণ। এরূপ ব্লগারকে প্রাধান্য দিতেই হবে। রূপক অর্থে বলতে গেলে, লেজ যখন কুকুর নাড়ায়, তার মধ্যেও কুকুরের সুবিধা নিহিত। কেউ আবার রূপক-আক্ষরিক গুলিয়ে ফেলবেন না।

৩৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:১০

অর্ক বলেছেন: #কাল্পনিক ভালবাসা

মন্তব্যের ওই বিশেষ অংশ নেহাতই রাজনৈতিক ব্যাঙ্গ হিসেবে বলা হয়েছে। আক্ষরিক অর্থে নেবেন না দয়া করে। মডারেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সকলের প্রতি পূর্ণ সম্মান আছে। এবং যে কোনও সমালোচনার জন্য কারও বিরুদ্ধে যে কোনও ব্যবস্থা নেয়া হবে না তাও পরিষ্কার জানি। বরং এগুলো খেলোয়াড়সুলভভাবেই গ্রহণ করা হবে। আসলে এ দায়িত্বটাই অত্যন্ত জটিল। ত্রুটিহীনতা আদৌ সম্ভব নয় কারও পক্ষে, কিম্বা এতো বিরাট সংখ্যক মানুষকে তুষ্ট রাখা। ব্যাপারটা প্রকৃতই অসম্ভব। আমাদের সবার জন্যই।

তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে মডারেশনের স্বাভাবিক যৌক্তিক সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থতা আমার কাছে ভয়ানকভাবে ভুল ও ব্লগের গ্রহণযোগ্যতার ক্ষেত্রে ক্ষতিকর মনে হয়েছে। দীর্ঘসময় ধরে দেখে আসছি। যা দুঃখজনক। সেসব নিয়ে পরে কখনও কথা বলা যাবে।

ধন্যবাদ।

৩৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৩

নীল আকাশ বলেছেন: @ জিকোব্লগ: ধন্যবাদ আপনাকে। এই সাইকেল চলতেই থাকবে। কারণ কেউ কেউ চাচ্ছে না এটা বন্ধ হোক।

৩৫| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:০১

কিরকুট বলেছেন: ব্যাক্তি আক্রমনের দায় কি কেবল একজনার উপরে পরে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.