নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
তুমি বলো, কেউ কোনোদিন কোনো সুন্দরীকে ‘না’ বলতে পেরেছেন?
ঠায় দাঁড়িয়ে তীর্থের যুবকেরা।
আমি দেখেছি, সুন্দরীরা বড়ো আনমনা, আত্মভোলা হোন, তাঁরা চাটুকারিতা ভালোবাসেন;
তাঁরা আদেশ করতে খুব বেশি ভালোবাসেন। তাঁরা কবিতা পড়েন না,
কবিতা ভালোবাসেন না, তাঁরা কবিতা লিখতেও জানেন না;
তুমি হাসলেই, কথা বললেই, তাকালেই, এমনকি ঔদাসীন্যে এড়িয়ে গেলেও
অবিরাম ঝরে পড়ে থোকা থোকা কবিতার রেণু।
তোমার অসংখ্য গুণগ্রাহীর ভিড়ে, হে মহতী, অনন্যসাধারণা,
আমি বড্ড অপ্রতুল একজনা;
তোমার সান্নিধ্যের স্বাদ অপার্থিব অমৃতের মতো জনে জনে ভাগ হয়–
আমার কপালেও জোটে ক্ষুদ্র এককণা।
এতে শুধু তৃষ্ণা বাড়ে, জ্বালা বাড়ে, হু-হু করে লালসা বাড়ে
আমাকে কুরে কুরে খায় দুর্মর যন্ত্রণা।
কোনো কোনো মানুষ খাওয়ার জন্যই দীর্ঘ জীবন চায়,
যদিও বাঁচবার জন্যই মানুষকে করতে হয় খাদ্যগ্রহণ;
তোমাকে পাবার সাধনায় আমি অমরত্ব চাই
তোমার হৃৎপিণ্ডে হাত রেখে চাই নিশ্চিন্ত মৃত্যুবরণ।
হে সুন্দরী, অজস্র প্রেমিকের আরাধ্য রমণী, তোমাকে কোনোদিনই
একান্তে পাব না, এ কথা জানি, তাই সর্বগ্রাসী ইচ্ছেরা ক্রমশ সোচ্চার,
রক্তে রক্তে নীরব তোলপাড়
তাই প্রতিদিন চুরি করে পত্রিকায়, ব্লগে ও ফেইসবুকে
তোমার ফটোগ্রাফ ছেপে যাই
তোমার কথাগুলো সামান্য সাজিয়ে নিজের নামে চালিয়ে দিই কবিতা হিসেবে
আর রসখোর বন্ধুদের অসামান্য বাহবা কুড়াই
এই যে প্রেমের নামে প্রতিদিন তোমাকে ধ্বংস ও ব্ল্যাকমেইল করি
আমি জানি, তুমি এর একতিলও খবর রাখো না
কে তোমাকে ভালোবাসে জানো না, জানো না কার মনে বাস করে
সুগোপন ক্রূর বাসনা
তোমার প্রাণহীণ ছবির ভেতর প্রাণ ঢেলে
তোমাকে ফালি ফালি করে কাটি প্রমত্ত ঘোরে
জানো তো, সাবধানে মার নেই, তাই সতত সাবধানে থেকো
একদিন নিরুদ্দেশে সহসা তীব্র উড়াল দেব স্বয়ং তোমাকেই চুরি করে।
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ রাত ১২:৩৭
০১ লা মে, ২০২৩ দুপুর ২:৫৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রথমেই অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি, এতদিন পর ব্লগে এসে আমার পোস্টে প্রথম লাইক ও প্রথম কমেন্টটি করার জন্য।
প্রথম ৫ লাইন একভাবে, পরের অংশ অন্যভাবে এগিয়েছে - আমার কাছে এটাকে তো সাধারণ স্টাইলই মনে হচ্ছে, ব্যতিক্রমী কিছু না। কাউকে উদ্দেশ্য করে লেখা কোনো কবিতায় পুরোটায়ই যে 'তুমি' থাকবে, তা না, কখনো ভাববাচ্যে, কখনো নাম-পুরুষেও থাকতে পারে। কবিতার কোনো অংশে সাধারণ বর্ণনা থাকতে পারে, সেটা প্রেমিকাকে সরাসরি উদ্দেশ্য না করে ভাববাচ্যে বা নাম পুরুষে হতে পারে। এ কবিতায় প্রথম ৫ লাইনে কবির মতে 'সুন্দরী'দের বৈশিষ্ট্য কীরূপ, তা প্রেমিকাকে বর্ণনা করা হচ্ছে। প্রেমিকা নিজেও সুন্দরী। ঐ বর্ণনা দ্বারা প্রেমিকাকে স্মরণ করিয়ে দেয়া হচ্ছে, তার প্রতি অপরাপর প্রেমাকাঙ্ক্ষী যুবকদের মনোভাব কীরকম। পরের অংশে প্রেমিকার প্রতি কবির মনোভাব ও মনোবাঞ্ছা ব্যক্ত করা হয়েছে।
যাই হোক, আমার কাছে কখনো এটাকে খটকা মনে হয় নি। এটা এর আগেও পোস্ট করা হয়েছিল, সেখানেও এভাবে কেউ বলে নি। তবে, আপনার কথার পর শুরুতে 'তুমি বলো' কথাটা জুড়ে দিলাম। এখন আশা করি কোনো কনফিউশন আর থাকবে না।
তুমি বলো, কেউ কোনোদিন কোনো সুন্দরীদের 'না' বলতে পেরেছেন?
ঠায় দাঁড়িয়ে তীর্থের যুবকেরা।
আবারও ধন্যবাদ সুনীল সমুদ্র ভাই।
২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:৩৫
অপু তানভীর বলেছেন: আমি আজকেই না বলেছি । সে বলেছে ফোন দিয়ে তার প্রেমিককে ভয় দেখাতে আমি বলেছি, না পারবো না ।
০১ লা মে, ২০২৩ বিকাল ৩:০৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ও ওয়াও!!! আপনার সাহসের তারিফ করতে হয়। আপনি হলেন এই বাংলার দ্বিতীয় সাহসী পুরুষ, যিনি সোনাবীজের পর এই প্রথম কোনো সুন্দরীকে 'না' বলতে পারলেন। আপনাকে অভিবাদন
৩| ০১ লা মে, ২০২৩ সকাল ৭:৪৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ছুটছেন ফেলিয়া চরণ কবিতার ধরণ
অবশেষে তাকেই করিতে চান হরণ
এভাবেই কি ঘটিবে কবিবরের বিচরণ
অতি সংগোপনে সুন্দরীসনে করিবেন চারণ
তবেই না হবে কবিতা চুরি কাব্য অসাধারণ
খুব ভাল লাগল কবিতাখানি ।
শুভেচ্ছা রইল
০১ লা মে, ২০২৩ বিকাল ৩:১১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ওয়াও! ওয়াও! ওয়াও! আপনিও অসাধারণ লিখে ফেলেছেন প্রিয় আলী ভাই।
অতি সংগোপনে সুন্দরীসনে করিবেন চারণ সত্যিই রোমাঞ্চিত বোধ করিতেছি আলী ভাই
অনেক অনেক ধন্যবাদ কবিতা সহযোগে কমেন্ট করার জন্য।
৪| ০১ লা মে, ২০২৩ সকাল ৮:৪০
শেরজা তপন বলেছেন: সত্যিই প্রথম পাঁচ লাইন অসাধারণ।
আমি ঘুরে ফিরে আপনার কবিতা পড়ি-বেশীরভাগ কবিতায় বাস্তব উপলব্ধির প্রকাশ থাকে।
মেয়েরা উদাসীন থেকেও চোরা চাহনীতে সব খেয়াল করে (ছেলেবেলা থেকেই এই চাহণীতে সে অভ্যাস্ত হয়ে ওঠে, আর সুন্দরীরা তো এবিষয়ে বিশেষজ্ঞ)-এটাকে আমরা বলি তৃতীয় চক্ষু। ছেলেদেরও সেই চক্ষু আছে- তবে তাদের উদাসীনতা মানে নিশ্চিত উদাসীনতা।
০১ লা মে, ২০২৩ বিকাল ৩:২৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
আমি ঘুরে ফিরে আপনার কবিতা পড়ি-বেশীরভাগ কবিতায় বাস্তব উপলব্ধির প্রকাশ থাকে। আমার পোস্টে আপনার নিয়মিত বিচরণ আমাকে সত্যি বিমল আনন্দ দেয়। এ কথাটায় খুব অনুপ্রাণিতও হলাম।
মেয়েরা, বিশেষ করে সুন্দরী মেয়েরা যে কী, তা বোঝার জন্য কয়েকটা জীবনের দরকার, তবু সেই বোঝা অধরাই থেকে যাবে
কবিতা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ প্রিয় শেরজা তপন ভাই।
৫| ০১ লা মে, ২০২৩ সকাল ১০:০৭
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: কবি, আপনারই জন্য মনে হয় কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখে রেখে গিয়েছেন,
"নিরুদ্দেশ যাত্রা"
"আর কত দূরে নিয়ে যাবে মোরে
হে সুন্দরী?
বলো কোন্ পার ভিড়িবে তোমার
সোনার তরী।
যখনি শুধাই, ওগো বিদেশিনী,
তুমি হাস শুধু, মধুরহাসিনী--
বুঝিতে না পারি, কী জানি কী আছে
তোমার মনে।
নীরবে দেখাও অঙ্গুলি তুলি
অকূল সিন্ধু উঠিছে আকুলি,
দূরে পশ্চিমে ডুবিছে তপন
গগনকোণে।
কী আছে হোথায়-- চলেছি কিসের
অম্বেষণে?
বলো দেখি মোরে, শুধাই তোমায়
অপরিচিতা--
ওই যেথা জ্বলে সন্ধ্যার কূলে
দিনের চিতা,
ঝলিতেছে জল তরল অনল,
গলিয়া পড়িছে অম্বরতল,
দিক্বধূ যেন ছলছল-আঁখি
অশ্রুজলে,
হোথায় কি আছে আলয় তোমার
ঊর্মিমুখর সাগরের পার,
মেঘচুম্বিত অস্তগিরির
চরণতলে?
তুমি হাস শুধু মুখপানে চেয়ে
কথা না ব'লে।
হু হুক'রে বায়ু ফেলিছে সতত
দীর্ঘশ্বাস।
অন্ধ আবেগে করে গর্জন
জলোচ্ছ্বাস।
সংশয়ময় ঘননীল নীর,
কোনো দিকে চেয়ে নাহি হেরি তীর,
অসীম রোদন জগৎ প্লাবিয়া
দুলিছে যেন।
তারি 'পরে ভাসে তরণী হিরণ,
তারি 'পরে পড়ে সন্ধ্যাকিরণ,
তারি মাঝে বসি এ নীরব হাসি
হাসিছ কেন?
আমি তো বুঝি না কী লাগি তোমার
বিলাস হেন।
যখন প্রথম ডেকেছিলে তুমি
"কে যাবে সাথে'
চাহিনু বারেক তোমার নয়নে
নবীন প্রাতে।
দেখালে সমুখে প্রসারিয়া কর
পশ্চিম-পানে অসীম সাগর,
চঞ্চল আলো আশার মতন
কাঁপিছে জলে।
তরীতে উঠিয়া শুধানু তখন
আছে কি হোথায় নবীন জীবন,
আশার স্বপন ফলে কি হোথায়
সোনার ফলে?
মুখপানে চেয়ে হাসিলে কেবল
কথা না ব'লে।
তার পরে কভু উঠিয়াছে মেঘ
কখনো রবি--
কখনো ক্ষুব্ধ সাগর, কখনো
শান্ত ছবি।
বেলা বহে যায়, পালে লাগে বায়--
সোনার তরণী কোথা চলে যায়,
পশ্চিমে হেরি নামিছে তপন
অস্তাচলে।
এখন বারেক শুধাই তোমায়,
স্নিগ্ধ মরণ আছে কি হোথায়,
আছে কি শান্তি, আছে কি সুপ্তি
তিমির-তলে?
হাসিতেছ তুমি তুলিয়া নয়ন
কথা না ব'লে।
আঁধার রজনী আসিবে এখনি
মেলিয়া পাখা,
সন্ধ্যা-আকাশে স্বর্ণ-আলোক
পড়িবে ঢাকা।
শুধু ভাসে তব দেহসৌরভ,
শুধু কানে আসে জল-কলরব,
গায়ে উড়ে পড়ে বায়ুভরে তব
কেশের রাশি।
বিকল হৃদয় বিবশ শরীর
ডাকিয়া তোমারে কহিব অধীর,
"কোথা আছ ওগো করহ পরশ
নিকটে আসি।'
কহিবে না কথা, দেখিতে পাব না
নীরব হাসি।"
০১ লা মে, ২০২৩ বিকাল ৩:২৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহাহাহা। মনে হয় ঠিকই বলেছেন মল্লিক ভাই, রবিকাকা এটা আমার জন্যই লিখে গেছেন
আমার কবিতা পড়ে রবিকাকার কবিতাটা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
৬| ০১ লা মে, ২০২৩ সকাল ১১:৪২
বাকপ্রবাস বলেছেন: তুমি সুন্দর তায় চেয়ে থাকি সারাক্ষণ
০১ লা মে, ২০২৩ বিকাল ৩:২৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সেটা তো আমার দোষ না
৭| ০১ লা মে, ২০২৩ দুপুর ২:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর।
৮| ০১ লা মে, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৮
মিরোরডডল বলেছেন:
পুরো লেখাতেই ভালো লাগা।
দুটো লাইন বিশেষ ভালো লেগেছে।
তোমার হৃৎপিণ্ডে হাত রেখে চাই নিশ্চিন্ত মৃত্যুবরণ।
একদিন নিরুদ্দেশে সহসা তীব্র উড়াল দেব স্বয়ং তোমাকেই চুরি করে।
০১ লা মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পুরোটাই ভালো লাগায় আমি আনন্দিত। উদ্ধৃতির জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
৯| ০১ লা মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৬
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।
কবিতারা এমনই হয়।
০১ লা মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কমেনতের জন্য ধন্যবাদ প্রিয় কবি সেলিম আনোয়ার ভাই।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:২২
সুনীল সমুদ্র বলেছেন: ভালো কবিতা। ..... তবে..... প্রথম পাঁচলাইন একরকম ভাবে এগিয়েছে ..। আর পরবর্তী অংশ 'তুমি' সম্বোধনে একেবারে অন্যরকম ভাবে এগিয়েছে ..। .... এই বিষয়টা একটু দ্বিধায় রেখেছে ....।