নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
তুমি যদি ভালোবেসে ভুল করে থাকো তবে
মিছেমিছি আফসোস কেন
তোমাকে রাখি নি বেঁধে, মুক্ত পাখির মতো
যেখানে খুশি যেতে পারো
আমি তো এমনি ছিলাম,
আমাকে করেছি উপভোগ
ছিল না প্রেমের প্রতি
কোনো মোহ, কোনো মনোযোগ
শিখেছি তোমায় দেখে
ভালোবাসা হলো এক মানসিক রোগ
কখনো টলি না আমি, আমাকে টলাতে কেন
অযথাই এতকিছু করো
কে এলো, কে চলে গেল,
কার দায়, সে খবর কে রাখে!
আমি শুধু ভালোবাসি
একরোখা এই আমিটাকে
ডিজিটাল ভালোবাসা
আজকাল পথেঘাটে মরে পড়ে থাকে
বোকাপাখি, তুমি শুধু বার বার ভুল করে
বার বার ভুল পথই ধরো।
৩০ নভেম্বর ২০২২
গানের কথা, সুর, মিউজিক কম্পোজিশন ও কণ্ঠ : খলিল মাহ্মুদ
মিউজিক কম্পোজিশন গাইড : বেবি লাবিব
গানের লিংক : তুমি যদি ভালোবেসে ভুল করে থাকো - ফটোমিক্স
অথবা নীচের লিংকে ক্লিক করুন।
ও সুজানা, দেখে যা না
ও সুজানা, দেখে যা না
একবার এসে দেখে যা
তোর মতো আর কেউ আমাকে
হায়রে তোর মতো আর কেউ আমাকে
কেউ আমাকে
ভালোবাসে না
যখন মেঘলা থাকে মন
কাঁদে চাঁদ-ছাওয়া এক রাত
পিঠের ওপর কেউ রাখে না
আলগোছে এক হাত
তোর মতো আর কেউ বোঝে না
অবুঝ আমার মনটাকে
এই অবুঝ আমার মনটাকে
কেউ ভালোবাসে না
যখন ভেঙে পড়ে পথ
যখন থমকে দাঁড়ায় পা
পৃথিবীটা ধু-ধু করে,
কাউকে দেখি না
চমকে দিয়ে সামনে হঠাৎ
তোর মতো কেউ দাঁড়ায় না
কেউ ভালোবাসে না
আমরা পদ্মাপাড়ের গাঁয়
কত সন্ধ্যা দেখেছি
পাগলা ঢেউয়ের তালে তালে
কণ্ঠ ছেড়েছি
তোর জন্য আজ বুক পুড়ে যায়
মন যে আমার মানে না
মন যে মানে না
আমার প্রাণ যে বাঁচে না
প্রাণ যে বাঁচে না
ও সুজানা তোকে ছাড়া
হায় রে ও সুজানা তোকে ছাড়া
প্রাণ বাঁচে না
প্রাণ বাঁচে না
প্রাণ যে বাঁচে না
ও সুজানা, দেখে যা না
একবার এসে দেখে যা
তোর মতো আর কেউ আমাকে
হায়রে তোর মতো আর কেউ আমাকে
কেউ আমাকে
কেউ আমাকে
ভালোবাসে না
২০ ডিসেম্বর ২০২২
গানের কথা, সুর, মিউজিক কম্পোজিশন ও কণ্ঠ : খলিল মাহ্মুদ
মিউজিক কম্পোজিশন গাইড : বেবি লাবিব
গানের লিংক : ও সুজানা, দেখে যা না - লিরিক্যাল মিউজিক ভিডিও
অথবা নীচের লিংকে ক্লিক করুন।
আমি কণ্ঠশিল্পী নই, আপনারা জানেন, এ কথা বহুবার বহু পোস্টে বলেছি, বলতে বলতে মুদ্রাদোষের মতো হয়ে গেছে তবে নিজেকে গীতিকার ও সুরকার হিসাবে ভাবতে ভালো লাগে। যখন যে-সুর চলে আসে, ওটাকে সাথে সাথে ধরে রাখতে চেষ্টা করি। আমার কণ্ঠটাকে সেই সুরের ধারক বা বাহক হিসাবে ব্যবহার করি। প্রতিষ্ঠিত শিল্পীরা যেমন কোনো গান সৃষ্টির সময় গীতিকার, সুরকার, মিউজিশিয়ানগণ এবং শিল্পীরা একসাথে বসে একটা সমন্বয় ও সমঝোতার মাধ্যমে গান তৈরি করতেন/করেন, আমার মতো আনকোরা বা নন/আন-প্রফেশনালের পক্ষে তা করা সম্ভব না। আমার বিখ্যাত হোম স্টুডিয়োতে বসে দিনরাত আমার আপন কর্ম করতে থাকি, স্ত্রীসহ বাসায় আগত লোকজন বেশ অবাক ও লজ্জিত হন বলে মনে হয়, মাঝে মাঝে। আত্মীয়স্বজনরা এসে তা দেখে বেশ মজা লয়
এ পোস্টের দুটো গানই আগে গাওয়া হয়েছিল এবং এ নিয়ে পোস্টও দেয়া হয়েছিল। ও সুজানা, দেখে যা না এবং বোকাপাখি। আমি এফএলস্টুডিয়োতে মিউজিক কম্পোজ করি। যাদের এ ব্যাপারে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা আছে, তারা জানেন এটা মোটেও সহজ কাজ না, এটা একটা নেশা এবং এ নেশা আপনাকে অন্য সব নেশা থেকে খাবলে খুবলে ছড়িয়ে এনে এখানে বুঁদ করে রাখবে। আমিও সেরকম নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছি। আগে শুধু খালি গলায় রেকর্ড করে শেয়ার করতাম, মাঝে মাঝে ছেলেরা গিটারের টুং টাং দিত, যৎসামান্য, কিন্তু ওরা নিজেদের সঙ্গীত নিয়েই মহাব্যস্ত, তাই আমাকে বেশি সময় দিতে পারে না। একদিন ছোটো ছেলে এই এফএলস্টুডিয়ো'র সফট কপি এনে আমার পিসিতে ডাউনলোড করে দিল। সে কিছুটা দেখিয়ে দিল, তবে, আমি প্রায় পুরোটাই শিখেছি এবং শিখছি ইউটিউবের টিউটোরিয়াল থেকে।
আগের লেখালেখি যেমন প্রতিনিয়ত এডিট করার অভ্যাস (যে লেখকমাত্রই করে থাকেন), আমি সময় পেলেই আগের মিউজিকগুলো রিফাইন বা রি-ডিফাইন করি। আজকের গানদুটোর মিউজিকও নতুন করে ডিফাইন করা হয়েছে।
এ গানটার একটা শর্ট ভার্সন বা প্রোমো এর আগে আপলোড করেছিলাম - প্লিজ ক্লিক করুন - তুমি যদি ভালোবেসে ভুল করে থাকো - প্রোমো
আগের এক পোস্টে এ গানটা কীভাবে সুর করা শুরু করলাম, সে ব্যাপারে একটা হাইলাইট করেছিলাম। রাত জেগে ফুটবল বিশ্বকাপ দেখার পর যথারীতি অনেক বেলা করে ঘুম থেকে উঠেছি সেদিন। টিভি ছেড়ে দিয়ে পিসিতে বসেছি। জিটিভিতে যেহেতু খেলা দেখি, জিটিভিই অন থাকে সারাদিন। জিটিভিতে তখন শুরু হচ্ছে এক বাংলা ছায়াছবি। ছবির আবহ সঙ্গীত কেবল শুরু - ৫ সেকেন্ডও হয় নি - অমনি একটা সুর ঢুকে গেল মগজে। ছবির মিউজিকের সাথে কোনো মিল বা সম্পর্ক নেই, কিন্তু আমার সুর চলে এসেছে মাথায়। টিভি মিউট করে আমি সাথে সাথে ওটা নিয়ে লেগে পড়লাম। প্রথম অংশের সুর মোবাইলে রেকর্ড করে পুরো লিরিক লিখতে শুরু করলাম। লিরিক লেখা শেষে গানের প্রথম অংশ তাড়াহুড়ো করে গেয়ে ঐ পোস্টের সাথে জুড়ে দিয়েছিলাম।
এটা একটা দ্রুত লয়ের গান। অনেক উঁচু স্কেলে গাওয়ার দরকার। আমি গাইতে যেয়ে গলার ১২টা বেজে গেছে। যতটুকু পেরেছি, গেয়েছি। কোনো সুরকার, গীতিকারের নিজের গান গেয়ে আমার মতো গলা ফাটানোর ইতিহাস আছে কিনা জানি না; আমার এটাই গর্ব যে আমি গলা ফাটিয়ে গলার তার ছিঁড়ে ফেলছি
লিরিকটা লিখে তৃপ্তি পেয়েছি। 'আমাকে করেছি উপভোগ' - নিজে লিখে নিজেই চমকে গেছি - এ লাইন আমি কীভাবে পেলাম? ব্যক্তি-জীবনে আমি খুব নিরীহ, নির্ঝঞ্ঝাট, কারো সাতেও নাই, সতেরতেও নাই; উচ্চাভিলাষী নই, এবং অনেকে খুব হাইফাই লাইফ লিড করে, উচ্চাঙ্গীয় জীবন যাপন করছে, সেটা দেখে আমি পরশ্রীকাতরতায় ভুগি না, এবং ঐ লাইফের জন্য লালায়িতও না, খুবই সাধারণ লাইফ স্টাইল। আমি নিজের মতো করেই জীবন যাপন করতে অভ্যস্ত; তবে আমার এই অতি সাধারণ জীবনযাত্রায় কেউ বাগড়া দিতে এলে তা আমাকে খুব বিরক্ত ও ক্ষীপ্ত করে। আমি আমার পরিকল্পনায় অটল, বলতে পারেন একগুঁয়ে, নাছোড়বান্দা (অন্যের জন্য ক্ষতিকারক না)। এই যে আমার নিজস্ব একটা বৈশিষ্ট্য আছে, যা অনেকের সাথেই মিলে যেতে পারে - আমি আমার এই বৈশিষ্ট্যটাকেই খুব উপভোগ করেছি। আমি এমনই থেকে যেতে চাই। যাই হোক, যারা লিরিকটা পড়ার সময় মনোযোগী ছিলেন না, রিকোয়েস্ট করছি, আবার উপরে গিয়ে লিরিকটা পড়ে আসুন। আপনার বৈশিষ্ট্য যদি আমার সাথে পুরোপুরি মিলে যায়, লিরিকটা আপনার ভালো লাগবে।
ঐ কথাটা আবারও বলি, আমি কণ্ঠশিল্পী নই, আমাকে বলতে পারেন সুরকার ও গীতিকার। শুধু সুরটাকে ধরে রাখার জন্য একটা কণ্ঠের দরকার, আমি সেই কণ্ঠটাই দিচ্ছি। রবীন্দ্র-নজরুল বা জসীমউদ্দীন গান গাওয়ার জন্য বা কণ্ঠশিল্পী হিসাবে গানের জগতে খ্যাতি লাভ করেন নি, তারা খ্যাতি লাভ করেছিলেন গীতিকার ও সুরকার হিসাবে, যদিও নজরুলের কণ্ঠ ভালো ছিল। ঠিকই ধরেছেন, বড়োদের তুলনা দিলাম নিজেকে ঐ সারিতে নেয়ার জন্যই
এটা একটা কঠিন গান হয়ে গেছে। সুরটাও কঠিন। লম্বা দম না নিতে পারলে গাওয়া সম্ভব হবে না।
ও সুজানা, দেখে যা না গানের সুরটাও বেশ আগেই তৈরি করা ছিল। শুরুতে প্ল্যান ছিল একটা হাসির গান করবো এটা দিয়ে। ডলি আপাকে বলেছিলাম এর উপর লিরিক লেখার জন্য। তিনি লেখেন নি। এটা আমার অনেক ভালো লাগা একটা সুর, এটাকে এতদিন ফেলে রেখে নিজেও স্বস্তি পাচ্ছিলাম না। অবশেষে লিরিকটা বানিয়ে ফেললাম। আগের ডামি ভার্সন দেখতে পারেন এই লিংকে - ও বাবু, তুই খাইছো নাকি?
০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:৪৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
তোমাকে রাখি নি বেঁধে খুব ফাস্ট স্পিডের গান এবং চড়া গলায় গাওয়ার গান। এ গান গাইতে যাইয়া আমার গলার ছ্যাড়াব্যাড়া অবস্থা আর কী এবার নতুন করে এডিট করতে যেয়ে এ অংশটা নতুন করে গেয়ে রিপ্লেস করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু গলার যে অবস্থা, সাহস করি নাই তবে, আপনি সত্যিই সঙ্গীতজ্ঞ, গানের দুর্বল জায়গাটা ধরে ফেলেছেন।
২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:৩৮
শায়মা বলেছেন: ও সুজানা গানটা বেস্টো!
০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:৪৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আপু। দুটো গানই শুনে ফেললেন, এটাই আমার জন্য অনেক আনন্দের।
৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:৫৪
শায়মা বলেছেন: বাবু খাইসো নাকি বল......... হা হা হা হাসতে হাসতে মরে গেলাম!!
এটা হিট হয়ে যাবে ........ভাইরাল হয়ে যেতেও পারে ভাইয়া!!!!
০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:৩১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহা
এটা আসলে একটা ফানি বা হিউমারাস গান করার সুরই ছিল। ডলি আপাকে লিরিক লিখতে বলেছিলাম। লেখেন নি। অন্য কেউও লেখেন নি। কী আর করা, আমি নিজেই লিখে ফেললুম আর সেটা হয়ে গেল যথারীতি ছ্যাঁকা খাওয়া কান্নাকাটি করার গান
৪| ০৫ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: সহজ সরল সুন্দর।
৫| ০৫ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:২৫
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এক কথায় চমৎকার কথাগুলো। আপনার কণ্ঠে একটা ক্লাসিক ব্যাপার আছে। এটা ভালো লাগে।
০৫ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:৪০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সাধু। শুভেচ্ছা।
৬| ০৫ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:৫৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
আমি তো এমনি ছিলাম,
আমাকে করেছি উপভোগ
ছিল না প্রেমের প্রতি
কোনো মোহ, কোনো মনোযোগ
এই চারলাইন অতি অসাধারণ হয়েছে।
০৫ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:৪১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমি নিজেও এ কথাগুলো লিখে তৃপ্তি পেয়েছি, পোস্টে উল্লেখও করেছি। আপনার উদ্ধৃতি দেখে ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ জলদস্যু ভাই। শুভেচ্ছা।
৭| ০৬ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৬
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: দারুণ।
০৬ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ সাহাদাত উদরাজী ভাই।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:৩৫
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া!!!
এক্সসেলেন্টো!!!!!!!!!!!!
তোমাকে রাখিনি বেঁধে গানটার ও হো এই জায়গাটা একটু চেইঞ্জ করো বা গায়কীটা একটু চেইঞ্জ করো তাহলে মনে হয় আরও সুন্দর হবে!