নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
৭ ডিসেম্বর ২০১৮। কুর্মিটোলা হাসপাতালে যাচ্ছি, তখন দুপুর হবে হবে। হাসপাতালের সামনে একটা ওষুধের দোকানে যাব। রাস্তা পার হওয়ার জন্য দাঁড়িয়েছি, ডানে তাকিয়ে। ফ্লাই ওভারটি যেখানে নেমে গেছে, রোদে ধু-ধু করছে যানবাহন ছড়ানো সেই রাজপথ। হঠাৎই এই লাইনটা মনে এলো - এই শহরের পথে পথে হাঁটি, শুধু তাই না, সাথে সুরটাও, তখনই গুন গুন করে গানটা গেয়ে উঠি। ঐদিন বিকালে প্রথম অন্তরা লিখি এবং সুর করি। ২০১৮'র সেপ্টেম্বরে লেখা ও সুর করা এক অন্তরার সেই গানটি নীচে জুড়ে দেয়া হয়েছে। এক অন্তরার গানটি শুরু থেকেই অসম্পূর্ণ মনে হচ্ছিল। গান সচরাচর মিনিমাম দুই অন্তরারই হয়ে থাকে বলে এই অতৃপ্তি ছিল এত বেশি।
এরপর ৩ বছরেরও বেশি সময় চলে গেছে, দ্বিতীয় অন্তরা আর লেখা হয় নি। ১০ মার্চ ২০২২-এ সকল আলসেমি ঝেড়ে ফেলে দ্বিতীয় অন্তরাও লিখে ফেললাম। এই হলো দুই অন্তরার সম্পূর্ণ লিরিক।
আমি এই শহরের পথে পথে হাঁটি, মানুষগুলোরে চিনি
এই শহরের প্রাণের ভেতরে ডুবে যাই প্রতিদিনই
আমি গায়ে মাখি সব ধুলিবালুকণা শহরের আলোছায়া
আমি মানুষের থেকে দু হাত বাড়িয়ে বুক ভরে নেই মায়া
এই শহরের পাখিদের চোখে স্বপ্নরা খেলা করে
এই শহরের রাত্রির গায়ে অশ্রুরা ঝরে পড়ে
এই শহরের জোছনার নদী বেদনা ও সুখে ভরা
এই শহরের স্বপ্নপাখিরা দেয় কি কখনো ধরা?
এই শহরের মানুষেরা ছোটে ভোর থেকে মাঝরাতে
দিনগুলো কারো ঘামে ভিজে থাকে, ফুল ফোটে কারো হাতে
এই শহরের রাজপথ যেন প্রতি পায়ে পায়ে কাঁদে
এই শহরের ইতিহাস যেন আমাতেই মিশে আছে
৭ ডিসেম্বর ২০১৮ / ১০ মার্চ ২০২২ (দ্বিতীয় অন্তরা)
কথা, সুর ও মিউজিক কম্পোজিশন : খলিল মাহ্মুদ
গিটার : সাইফ আল মাহমুদ পাইলট
মিউজিক কম্পোজিশন গাইড : ফারিহান আল মাহমুদ লাবিব (বেবি লাবিব)
গানের ইউটিউব লিংক : আমি এই শহরের পথে পথে হাঁটি। মিউজিক উইদাউট ড্রাম। শুরুতে এটিতে ড্রাম ছিল। বেবি লাবিব গানটি শুনে ড্রাম রিমুভ করে দিতে বললো। তাই করলাম। তবে ড্রামযুক্ত গানটিও আছে।
আমি এই শহরের পথে পথে হাঁটি। মিউজিক উইথ ড্রাম।
মিউজিক উইদাউট ড্রাম/বিট
ড্রাম/বিটসহ মিউজিক
উল্লেখ্য, এ গানটি গাওয়া হয়েছে ১০ মার্চ ২০২২-এ। মিউজিক এডিট করে সর্বশেষ ভিডিওটি আপলোড করা হয়েছিল ২৫ মে ২০২২-এ।
২০১৮'র সেপ্টেম্বরে লেখা ও সুর করা এক অন্তরার সেই গান এটি। উপরে এক অন্তরার গানটির লিংক না দেয়ার কারণ আছে অতীতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যেটা হয়েছে, ফোকাস্ড গানটাকে এড়িয়ে গিয়ে পুরোনো গানটা শুনেছেন অনেকে। ফলে, বুঝতে পারেন নি আমি কী শোনাতে বা দেখাতে চেয়েছি। এজন্য ফোকাস্ড গানটা দিলাম সবার আগে এবং ২য় ফোকাস্ড গান তার নীচে।
এর আগে, একবার খালি গলায় এবং তারপর গিটারের মিউজিকসহ এ গানটা শেয়ার করা হয়েছিল। এবার গিটারের সাথে আরো কিছু মিউজিক যোগ করা হলো। মিউজিকের সাথে প্রথমে ড্রাম বা বিট যোগ করেছিলাম। ছোটো ছেলে এসে ড্রাম বাদ দিয়ে দিল। ফলে, দুটো ভার্সন হলো এ অডিও'র।
আগের গানের ইউটিউব লিংক : এখানে ক্লিক করুন > আমি এই শহরের পথে পথে হাঁটি
এ গানের উপর আগের পোস্ট - আমি এই শহরের পথে পথে হাঁটি। ২৩ মে ২০২২
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:০৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমি এটাকে সম্পূর্ণ করবো না, আপনিই করুন। লাইন দুটো ভালো লিখেছেন। যে ভাবনা মাথায় রেখে এ দু লাইন লিখেছিলেন, সেটা ভেবেই বাকিটা শেষ করুন। শুধু ছন্দ মিলিয়ে লাইন লিখে যান, অন্ত্যমিল মেলানোর দরকার নাই, প্রয়োজনে ওটা আমি করবো নে। আমি সুর করে দিব নে
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:২৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এই নিন, আপনার জন্য ইন্সট্যান্টলি সুর করে দিলাম এই দুই লাইনের
২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি গান নিয়ে ব্যস্ত আছেন।
দেশের সমস্যা থেকে দূরে আছেন।
৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৯
বাকপ্রবাস বলেছেন: আপনার গানে কলি সুন্দর। তব সুরগুলো সব একই মাত্রার হয়ে যাচ্ছে, আজকেরটা শুনা হয়নি, অপিষে তায়
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:২০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কমেন্ট করার জন্য অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ছড়াকার। অফিসে ছিলেন বলে আগের গানটাও শুনতে পারেন নি। সমস্যা নাই, সুযোগ হলে শুনে দেখবেন। শুভেচ্ছা রইল। আর সুরের মাত্রাগুলো অবশ্যই একই মাত্রার নয় কিন্তু
৪| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৫০
সোনালি কাবিন বলেছেন: কথাগুলো বেশ সুন্দর ।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:২১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ সোনালি কাবিন। শুভেচ্ছা রইল।
৫| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৩
মিরোরডডল বলেছেন:
কেমন আছে ধুলো?
ধূলি কেমন আছে?
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আল্লাহর রহমতে আমরা দুজনেই ভালো আছি। ধন্যবাদ।
৬| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৩
বাকপ্রবাস বলেছেন: শুনব শুনব করে কত গান আর শোনা হয়না শেষে
কত কথা মিলিয়ে যায় কতো রং যায় ভেসে
কাজ ছুড়ে তায় রেখে দিলাম ব্যস্ততাটাকে
গানটা আজ শুনেই নিলাম অপিষের কাজের ফাঁকে
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অসাধারণ। আপনি আমার প্রিয় একটা ছন্দে চমৎকার ৪ লাইনের একটা কবিতা লিখেছেন। আপনি জানেন কি, এ ছন্দটার নাম কী?
ইয়ে, আপনার পিসিতে বোধ হয় 'ই' লিখতে পারেন না, এজন্য ম্যাক্সিমাম টাইম 'ই'-এর জায়গায় 'য়' দেখতে পাই। ব্যাপার না, আমি এটা বুঝেছি
৭| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৬
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: পিচঢালা এই পথটারে - গানটার কথা মনে পড়ে গেল ।
এইবারেরটাও সেইরকম !! এবারও সাতখুন মাফ । তবে টেম্পো একটু কমালে ভালো হয় খুব দ্রুত হয়ে গেছে ।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হ্যাঁ, গানটা তো ঢাকার ঐ পিচঢালা পথের উপরই লেখা হয়েছে
আপনার টেকনিক্যাল কথাটা ভালো লেগেছে। তবে, এ গানটার মিউজিক পুরোটাই চেঞ্জ করে দেব, প্ল্যান আছে।
ধন্যবাদ গানটা শোনার জন্য।
৮| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৩১
বাকপ্রবাস বলেছেন: হা হা এটা আমার অনেক পুরানা রোগ। অনেক আগের একটা ঘটনা বলি, আমার এক সহপাঠিকে আমার একটা পদ্য গিফ্ট করেছিলাম, পরে সেই পদ্য আবার দেখাস সুযোগ হয়েছিল, দেখতে পেলাম সে, য় এবং ই এর যায়গায় ভুল ছিল কয়েকটা, সে কেটে ঠিক করে রেখেছে।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৫৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহাহা। আমি মজা পেলুম আপনার সহপাঠীকে পদ্য গিফ্ট করার ব্যাপারটায় আমার কোনোদিন এই প্রিভিলেজ হয় নাই তবে, কঠিন দুর্দিনে প্রেমিকাকে ১২-১৪ পাতার চিঠি লিখেছি। যা লিখেছিলাম তা প্রিজার্ভ করলে আজ তা বিশ্বসাহিত্যে স্থান পাইয়া যাইত ঐ সময়ে ইন্সট্যান্টলি প্রেমিকাকে কবিতাও লিখে পাঠিয়েছি, যে আবেগের কবিতা এখন আর হয় না কবিতার দুর্দিন আমার
৯| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৩৪
বাকপ্রবাস বলেছেন: ছন্দের মাত্রা ঠিক রেখে আমি লিখিনা, কারন প্রচুর সময় যায়, আর অপিষের কাজের বেঘাত ঘটে, কিছুদিন ট্রাই করেছিলাম, পরে ছেড়ে দিয়েছি, যখন দেখি অপিষের কাজে প্রচুর ভুল হয়ে যাচ্ছে।
তায় যেটা লিখি সেটা স্বভাব সুলভ। মাত্রা ছন্দে ফেললে মিল থাকবেনা, তবে শুনতে বা পড়তে যেন বাধা না পায় সেটা খেয়াল রেখে লিখি
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:১৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: শুনতে বা পড়তে যেন বাধা না পায় সেটা খেয়াল রেখে লিখি। ছন্দ বোঝার মূল মন্ত্র এটাই; যিনি এটা ভালোভাবে রপ্ত করতে পারবেন, তার ছন্দ সম্পর্কে পড়ালেখা করার দরকারই নাই। আমরা মূলত সবাই অন্যদের কবিতা বা ছড়া পড়ে তাদের সেই ছন্দেই লিখতে শুরু করি। যত পড়ি, তত বিচিত্র ছন্দের সাথে পরিচিত হই এবং নানান রকম ছন্দে লেখার চেষ্টা করি। আমাদের সেই অধীত জ্ঞানই আমাদেরকে স্বভাবসুলভ ছন্দে লিখতে সহায়তা করে; জীবনে যে ব্যক্তি কোনো কবিতা পড়েন নি, কবিতা কী জিনিস তার নামও শোনেন নি, তিনি কবিতা লিখতে পারবেন না।
তবে, সাবলীল ও সুন্দর এবং নির্ভুলভাবে লিখতে হলে ছন্দ সম্পর্কে পড়ালেখা করার বিকল্প নাই। ছন্দ পড়ার পর বোঝা যায়, লেখাটার কোন জায়গায় ছন্দপতন হয়েছে এবং ছন্দপতন ধরা গেলে ছন্দপতন সংশোধনও করা যায়।
আপনার উপরের ৪ লাইনার কবিতাটির ছন্দের নাম হলো 'সমিল মুক্তক অক্ষরবৃত্ত'। কবিতার প্যাটার্ন নিয়ে আমি একটা আলোচনা করেছিলাম। সময় থাকলে ওটা দেখতে পারেন - কবিতার প্যাটার্ন। আর ছন্দ সম্পর্কে জানতে চাইলে দেখতে পারেন আমার এ পোস্টটি - বাংলা কবিতার ছন্দ – প্রাথমিক ধারণা
১০| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:১৩
ডার্ক ম্যান বলেছেন: আমি লিখেছি সীমায়। আপনি গেয়েছেন সীমানায়।
এটা যদি সম্পূর্ণ করতে পারেন তবে আমি খুব খুশি হব।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সুরের তাল বা মাত্রা মেলানোর জন্য সীমা-কে সীমানায় করা হয়েছে। এ সুর একেবারে প্রথম যা কণ্ঠ থেকে বের হয়েছে, সেটা।
না, আপনার এটা কখনোই আমি সম্পূর্ণ করতে পারবো না। অন্যের বলা গল্প, অন্যের দেয়া কনসেপ্টের উপর আমি কোনোদিন কিছু লিখি নি, ভবিষ্যতেও লেখার সম্ভাবনা মাইনাস ১০০% আপনি নিজেই ট্রাই করুন, হয়ে যাবে।
১১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ভোর ৬:১৫
সোহানী বলেছেন: বাহ দারুনতো।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৫৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আপু।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৫৪
ডার্ক ম্যান বলেছেন: আমি ২ লাইনের একটা গান লিখেছিলাম অর্ধযুগ আগে। আপনি এটাকে সম্পূর্ণ করতে পারলে খুশি হব।
কেন বৃষ্টি নামে ঐ দৃষ্টির সীমায়
কেন তুমি দূরে থাক ভুলের মায়ায়।