নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
আমার এই পোস্টে রবীন্দ্রনাথের বিখ্যাত একটা ব্রজবুলি গান শাঙন গগনে ঘোর ঘনঘটা'র কথা বলতে গিয়ে আমার প্রথম ওয়াকম্যান কেনার কথা বলেছিলাম (১৯৮৯ সালের মার্চ-এপ্রিলে); আরো বলেছিলাম, প্রথমদিন আমি তিন-চারটা ক্যাসেট কিনেছিলাম যাতে রবীন্দ্রসঙ্গীতের ২টা (রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা) ক্যাসেট ছিল। আমার গান শোনার কিছু অভ্যাস ছিল, যার মধ্যে একটা ছিল ক্যাসেট বা রেডিওর ভলিয়্যুম খুবই কমিয়ে দিয়ে কানের কাছে রেখে গান শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়া এবং ঘুমের ঘোরে সুরের মূর্ছনায় আন্দোলিত হওয়া। সেই ক্যাসেটের গানগুলো শুনতে শুনতে সুর মুখস্থ হয়ে গিয়েছিল যাই হোক, ক্যাসেটে ৩/৪টা এমন ধরনের গান ছিল, যেগুলো ঘুমের ঘোরে আমাকে খুবই মোহাচ্ছন্ন করতো, সেগুলো হলো - ভাঙা পথের রাঙা ধুলায় পড়েছে কার পায়ের চিহ্ন, ডাকবো না, ডাকবো না, এমন করে বাইরে থেকে ডাকবো না এবং জগতে আনন্দযজ্ঞে আমার নিমন্ত্রণ। আরো যে কটা এ ধরনের ছিল, যেগুলোর নাম এখন মনে পড়ছে না। এ গানগুলো শুনতে শুনতে মনে হতো, সুরের মূর্ছনায় আমি দূরে কোথাও উড়ে যাচ্ছি, ডুবে যাচ্ছি, হারিয়ে যাচ্ছি। এ গানগুলো খুবই মেলোডিয়াস এবং রেজওয়ানা চৌধুরীর কণ্ঠে খুবই ভালো লাগতো। পরবর্তীতে অদিতি মহসিনের কণ্ঠেও গানগুলো শুনেছি। চিন্ময় চট্টোপাধ্যায়ের কণ্ঠে 'ডাকবো না, ডাকবো না' গানটাও অসাধারণ লাগে।
গান ৩টা খুবই সুরেলা। তবে গাইতে গেলে ততই কঠিন। আবার, গাইতে পারলেও সুর ঠিকঠাক মতো তুলতে পারা আরো কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। আমি গেয়ে ফেলেছি
জগতে আনন্দযজ্ঞে আমার নিমন্ত্রণ।
ধন্য হল ধন্য হল মানবজীবন॥
নয়ন আমার রূপের পুরে
সাধ মিটায়ে বেড়ায় ঘুরে,
শ্রবণ আমার গভীর সুরে হয়েছে মগন॥
তোমার যজ্ঞে দিয়েছ ভার, বাজাই আমি বাঁশি--
গানে গানে গেঁথে বেড়াই প্রাণের কান্নাহাসি।
এখন সময় হয়েছে কি?
সভায় গিয়ে তোমায় দেখি
জয়ধ্বনি শুনিয়ে যাব এ মোর নিবেদন॥
আমার গাওয়া গানের লিংক : জগতে আনন্দযজ্ঞে আমার নিমন্ত্রণ - কোরাস
জগতে আনন্দযজ্ঞে আমার নিমন্ত্রণ - একক কণ্ঠ
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:০৯
শাওন আহমাদ বলেছেন: আহা প্রতিভা!