নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শব্দকবিতা : শব্দেই দৃশ্য, শব্দেই অনুভূতি [email protected]

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই

দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন অসূয়াবতী, অহংকারই ছিল যার সম্পদ অথবা সৌন্দর্য

১২ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৫৫

চুলের ঘ্রাণের সাথে চারদিকে অহংকার ছড়িয়ে
যে-মেয়েটি চলে গিয়েছিল আমাকে পেছনে ফেলে,
পাহাড়ভর্তি কবিতার ফুল ফুটিয়েছিলাম যার নামে,
যার নামে উদাসী দুপুরে একলা ঘুঘুর কান্না থামিয়ে
তাকে গান শিখিয়েছিলাম, সে আর একদিনও
পুরোনো পথে চরণ রাখে নি

মেয়েরা এমনি অহংকারী হয়। কে তাকে ভালোবাসলো
ভালোবেসে নিজেকে করে ফেললো খুন- এসবে কিচ্ছু
যায় বা আসে না তাদের। প্রেমিকের চোখ শুকিয়ে
মরুভূমি; দেহের প্রতিটি ভাঁজে দুরারোগ্য প্রেম
খাবলে খুবলে খায় ঘুণের মতো; দুর্মর আকাঙ্ক্ষারা
কুরে কুরে সর্বস্ব করে ছাই; হায়, অসূয়াময়ীর উৎচোখ
ঠিকরে বেরিয়ে পড়ে লেলিহান হিংস্রতা, পদতলে পিষ্ট
হতে থাকে উপহৃত পুষ্পকবিতা, মৃত্যুগামী অনুৎকর্ষ প্রেম
অথবা পুণ্যপ্রার্থী পাপ।

আমাকে উত্তরের শ্যেনপাখি তার চোখের আগুন নিভিয়ে
বলেছিল, মেয়েটির চোখেও একদিন আগুন নিভে যাবে,
সেদিন সে ফিরবে প্রেমের অন্বেষায়, কোনো এক সন্ধ্যার
বাতাসে আঁচল উড়িয়ে, পাথরবিছানো পুরোনো পথের
পাড় ধরে; হাসনাহেনার গন্ধে সেদিন বিভোর অন্ধকার

যে আর একদিনও পুরোনো পথে ফিরে আসে নি, সেই
মেয়েটিকেই আমি ভালোবেসেছিলাম; মেয়েটির চোখে
এখনো আগুন জ্বলে, আমি জানি; আর আমার চোখে
আজও জ্বলে অনির্বাণ প্রেম, শুধু সেই অসূয়াবতীর জন্য,
অহংকারই ছিল যার সম্পদ, অথবা সৌন্দর্য।

২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭

মন্তব্য ৫০ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৫০) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২৩

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: মৃত্যুগামী অনুৎকর্ষ প্রেম অথবা পূণ্যপ্রার্থী প্রেম !

এই অংশটুকু পুরো বিমূঢ় করে দিল !

এত অসাধারণ কবিতা কী করে লিখেন বলুন তো । কতদিন ধ্যানমগ্ন হয়ে থাকলে এমন কবিতা ভাবনালোকে ধরা দেয় বলতে পারেন ?

একগাদা মুগ্ধতা নিয়ে স্থবির হয়ে গেলাম !!

১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:

মৃত্যুগামী অনুৎকর্ষ প্রেম অথবা পূণ্যপ্রার্থী পাপ!

একটা উল্লেখযোগ্য লাইন উদ্ধৃত করার জন্য এং লাইক-এর জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

এত অসাধারণ কবিতা কী করে লিখেন বলুন তো। কতদিন ধ্যানমগ্ন হয়ে থাকলে এমন কবিতা ভাবনালোকে ধরা দেয় বলতে পারেন?

আমি আসলে আপনার প্রশংসায় কীংলিখব্যবিমূঢ় হয়ে গেলাম! কবিতা অসাধারণ, কী সাধারণ, তা সত্যিই পাঠকের ভালোলাগা ও অনুভূতি প্রকাশের মাত্রার উপর নির্ভরশীল। আপনার মতো তেজোদ্দীপ্ত, টগবগে, তরুণ ও বিদগ্ধ কবির এমন মহৎ ও উদার মন্তব্যে আমার কবিতাটি সত্যিই 'অসাধারণত্ব' লাভ করলো। আপনার প্রতি অপরিমেয় ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা।

২| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৩৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: অসাধারণ বর্ণনা।

১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় সাধু। শুভেচ্ছা।

৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ ভোর ৬:১১

শার্দূল ২২ বলেছেন: আসসালুমুআলাইকুম ভাইয়া। কেমন আছেন আপনি? অনেক বছর হয়ে গেলো আপনাকে এখানে দেখছি। ব্লগের ভালো মন্দ , উত্থান পতন, যৌবণ সব আপনার সামনে দিয়ে যায়। আপনাকে দেখি আপনার পথেই পথ চলা। না কারো সামনে না পিছে। আপনার কি কখনো কোন কিছুতে রাগ হয়না? ইচ্ছে করেনা মুখোশ পড়া মুখটা খুলে দিতে? কিংবা জ্ঞানপাপীদের পাপ গুলো ধরিয়ে দিতে? সব কিছু সয়ে যাওয়ার এমন শক্তি কোথায় পান? আপনার একটা ছবিতে দেখেছি আপনার চার পাশে অনেক গুলো খাবার থাকে। রেগে গেলে রাগ কমাতে কোনটা খান? হাহাহাহা এখনও কি সেই খাবার গুলো সাথে থাকে?

ভাইয়া আমি কবিতা বুঝিনা তাই এই নিয়ে কিছু বলার নেই, একটু কথা বলতে আসলাম আপনার সাথে।

শুভ কামনা

১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ওয়ালাইকুম আসসালাম প্রিয় শার্দূল ২২ ভাইয়া। আপনাকে শুভেচ্ছা এবং অনেক অনেক ধন্যবাদ কথা বলতে আসার জন্য। আপনার প্রতি আমার বিশেষ ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা রয়েছে এজন্য যে, আমার প্রতি আপনার একটা সফট কর্নার আছে, যা বিভিন্ন জায়গায় আমার সম্পর্কে আপনার কিছু কিছু কথায় আমি বুঝতে পেরেছি। আপনার কোনো কোনো কথা আমাকে খুব আপ্লুতও করেছে। কৃতজ্ঞতা সবকিছুর জন্য।

হ্যাঁ, আমার ব্লগীয় বয়স ১৫ বছর ৩ মাস (এই নিকে), যদিও প্রথম নিক (অন্য নিক) থেকে হিসাব করলে বয়স একটু বেশি হবে। এ দীর্ঘ সময়ে অনেক কিছুই দেখেছি। তবে, কখনো যে মুখ খুলি নি তা না, মুখ খুলেছি। আমার রাগ বা অভিমান নেই, তাও না, কাছের মানুষ দেখে যে আমার অনেক রাগ, অভিমান এবং ঘাড়ত্যাড়ামি আছে, যদিও ব্লগে তা প্রকাশ পাওয়ার তেমন সুযোগ নেই :)

যদি কোনো অসামাজিক ও দুষ্টু লোককে পথে আনুতে চান, কিংবা শিক্ষা দিতে চান, পরামর্শ ও প্রতিবাদে যদি কোনো কাজ না হয়, তবে সর্বোত্তম ও কার্যকর পন্থা হলো তাকে একঘরে করে রাখা, তার সাথে কথা না বলা - তার সম্পর্কে সব আলোচনা ও সমালোচনা বন্ধ করে দেয়া। এ সাধারণ সাইকোলজিটা আমরা কেউ বুঝি না, ফলে আমরা আরো বেশি করে তার সাথে ঘেষাঘেষি ও সংঘর্ষে লিপ্ত হই, এই সুযোগে তার প্রচার ও খ্যাতি তরতরিয়ে আরো বাড়তেই থাকে। থাক এসব কথা।

আমি বিস্মিত হয়েছি আমার সেই ব্লগিং করার ছবির কথা এখনো আপনার মনে আছে দেখে :) আমি আগাগোড়া অগোছালো :) সবকিছু নিজের হাতের কাছে থাকা চাই, বেডের উপর টিপয়, তার উপর ল্যাপটপ, চারপাশে ছড়ানো ছিটানো বইপত্র, ফাইলটাইল, আর মুখরোচক কিছু খাবার তো থাকতেই হবে, তাই না? :)








বিশেষভাবে দ্রষ্টব্য :) এখানে অনেক নিট অ্যান্ড ক্লিন দেখা গেলেও বাস্তবে অমন না কিন্তু :)

৪| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:০৬

মিরোরডডল বলেছেন:




ধুলোর আরও একটা অপূর্ব সৃষ্টি!
শুরু থেকে শেষ পুরো কবিতা ভালো লেগেছে , তারপরও বিশেষ ভালো লাগা .........

যে আর একদিনও পুরোনো পথে ফিরে আসে নি, সেই
মেয়েটিকেই আমি ভালোবেসেছিলাম; মেয়েটির চোখে
এখনো আগুন জ্বলে, আমি জানি; আর আমার চোখে
আজও জ্বলে অনির্বাণ প্রেম, শুধু সেই অসূয়াবতীর জন্য,
অহংকারই ছিল যার সম্পদ, অথবা সৌন্দর্য।


১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:০৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:

শুরু থেকে শেষ পুরো কবিতা ভালো লেগেছে

আমি খুবই আনন্দিত। সেই সাথে কিছু অংশ উদ্ধৃত করার জন্য সেই আনন্দ বেড়ে গেল। অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৫| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:০৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



একজন অসূয়াবতী, অহংকারই ছিল যার সম্পদ অথবা সৌন্দর্য তাকে নিয়ে লেখা কবিতায় দেখা যায় যাকে
পাহাড়ভর্তী কবিতার ফুল ফুটিয়ে শিখিয়ে ছিলেন গান ,সে আর আর একদিন ও পুরোনো পথে চড়ণ রাখেনি
কি নিদারুন আক্ষেপের কথা ।

বুঝেছি কত দুখ্যেই না বলা হয়েছে মেয়েরা এমনি অহংকারী হয় ,অসূযাবতির উৎসোক
ঠিকরে বেরিয়ে পড়ে লেলিহান হিংস্রতা , পড়মুলে পিষ্ট হতে থাকে উপহৃত পৃষ্প কবিতা ,
মৃত্যুগামী অনুৎকর্ষ প্রেম , অথবা পুণ্য প্রার্থী পাপ।

যাহোক পরক্ষনেই দেখা গেল কিছুটা আশার কথা । উত্তরের শ্যেনপাখী তার চোখৈর আগুন নিভিয়ে বলেছে
মেয়েটির চোখেও একদিন আগুন নিভে যাবে সেদিন সে ফিরবে প্রেমের অন্বেষায় । বেশ এখানে এসে পাঠক
হিসাবে বলাই যায় অন্য কিছু কথা। শুনেছি অন এবং অসূয়া শব্দ দুটি নিয়ে নাকি গঠিত অনসূয়া। অন একটি
নেতিবাচক উপসর্গ এবং অসূয়া অর্থ ঈর্ষা। অর্থাৎ, অনসূয়া অর্থ দাঁড়ায় ঈর্ষা বা হিংসা থেকে মুক্ত।যতদুর জানা
যায় ঋষী অত্রীর স্ত্রী নাকি ছিলেন দেবী অনসূয়া । তারা বাস করতেন চিত্রকোট বনের ধারে একটি আশ্রমে ।
আর অনসূয়া নাকি ছিলেন খুবই ধার্মিক এবং সর্বদা অনাড়ম্বর ও নিষ্ঠার অনুশীলন করতেন। এগুলি দেবী
অনসুয়াকে অলৌকিক ক্ষমতা অর্জন করতে সাহায্য করেছিল। তবে এটা তাকে কিছুটা অহংকারীও করে তুলেছিল।
পৌরানিক কাহিননুসারে, অনসূয়া আকাশে ঝড় তুলেছিলেন, দেবতাদের অস্বীকার করেছিলেন এবং মন্দাকিনী
নদীকে পৃথিবীতে নামিয়ে এনেছিলেন।

ঋষি নারদ তার স্তোত্র এবং শ্লোকে অবশ্য অনসূয়ার প্রশংসা করেছিলেন। সে কারণে লক্ষ্মী পার্বতী এবং সরস্বতী
অনসূয়ার কাছ থেকে পতিব্রত্য শিখতে চেয়েছিলেন। তারা তাদের পতিদের অনুরোধ করেছিলেন অনসূয়ার কাছে
গিয়ে তার অনুমতি নিয়ে আসতে, যাতে তারা মানবী রূপে অনসূয়ার কাছে যেতে পারেন। ত্রিদেব ঋষির ছদ্মবেশে
অনসূয়ার কাছে গেলেন এবং সেখানে ভিক্ষার মাধ্যমে পত্নীদের জন্য অনুমতি চাইলেন। অনসূয়া যখন তাদের
পরিচর্যা করতে গেলেন, তখন তার চোখের মাতৃসুলভ ভালবাসা দেবতাদের ছয় মাস বয়সী শিশুতে পরিণত করল।
এরপরে অনেক দিন কেটে গেল। আরদিকে তিন দেবী পতিদের ফিরে আসার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু যখন
তারা ফিরলেন না, তারা অনসূয়ার কুটিরে গিয়ে দেখেন দেবতারা শিশুতে রূপান্তরিত। দেবীগণ অনসূয়াকে অনুরোধ
করেছিলেন, তাদের পতিদের স্বাভাবিক করে তোলার জন্য। একটি কথন অনুযায়ী, দেবতারা মিশে গিয়ে অনসূয়ার
ত্রিমস্তকধারী পুত্রে রূপান্তরিত হলেন।

যাহোক বুঝা গেল নারী অসূয়া কিংবা অনসূয়া সে যাই হোক তার দুটো রূপই বেশ মারাত্বক ।
অনসুয়া প্রসঙ্গে আদিকবি বাল্মীকি তার রামায়ণে লিখেছেন, এক সময় অনসূয়ার আশ্রম এলাকা চিত্রকূটে দশ
বছর যাবৎ বৃষ্টি হয়নি। সেখানে মারাত্মক দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিল, এবং প্রাণী ও পাখিদের খাওয়া ও পান করার
মত কিছুই আর অবশিষ্ট ছিলনা। দেবী অনসূয়া তখন কঠোর ও নিবিড় তপস্যা করেন এবং মন্দাকিনী নদীকে
পৃথিবীতে নামিয়ে আনেন। মন্দাকিনীর জলধারায় সবুজ এবং বনভূমি পুনর্জীবিত হয়েছিল, এবং সকল ঋষি ও
প্রাণীজগতের দুর্গতি নিবারণ হয়েছিল।

সুন্দর অর্থবহ কবিতার রেশ ধরে প্রাসঙ্গিক অপ্রাসঙ্গিক বেশ কিছু কথাই বলে গেলাম । তবে আশা রেখে গেলাম,
অসূয়াবতী - অহংকারই যার সম্পদ অথবা সৌন্দর্য তার জন্য যে চোখে এখনো আগুন জ্বলে, আজো জ্বলে অনির্বাণ
প্রেম, সে যেন পুরোনো পথেই ফিরে আসে ত্বরিতে প্রেম ক্ষুধা করতে নিবারণ।

শুভেচ্ছা রইল

১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রিয় আলী ভাই, আমি স্তব্ধবাক। এর রেশ ধরে কিছুটা সময় আনন্দবিশ্রাম ও সুখ-উদ্‌যাপনে কাটিয়ে আসি, তারপর আবার লিখবো।

২৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:২৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ক্লাস এইট, অথবা নাইন-টেনে থাকাকালীন ঘটনা। বাংলা ২য় পত্রের ক্লাস - এক কথায় প্রকাশ। যে নারীর অসূয়া নেই - এক কথায় কী হবে? অনসূয়া। অসূয়া অর্থ কী স্যার? স্যার জানালেন, অসূয়া অর্থ হিংসা। যে নারীর হিংসা নেই, সেই নারীকে বলা হয় অনসূয়া নারী। সেই থেকে 'অসূয়া' এবং 'অনসূয়া' শব্দযুগল আমার অনেক প্রিয়। আমার লেখালেখিতে এ শব্দটা বেশ কিছু জায়গাতেই আছে।

পুরাণ বা মহাভারতের কাহিনি আমার অ-পড়া। কিন্তু আপনার কাছ থেকে 'অনসূয়া'র যে পটভূমিকা জানতে পারলাম, তা এক কথায় অনবদ্য। অনসূয়া শব্দটি যুগবৎ পজিটিভ ও নেগেটিভ অর্থ বহন করে, তাও আমার কাছে নতুন বিস্ময়ের মতো, ভালো লাগলো।

বেশ কিছুদিন পর এলাম প্রিয় আলী ভাই। চমৎকার এ মন্তব্যের জন্য আবারও অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

৬| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:২৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
বানান প্রমাদ সংশোধন তরে-
উৎসোক হবে উৎচোখ
পড়মুলে হবে পদতলে

২৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:২৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এটা অবশ্য বুঝতে পেরেছিলাম। ধন্যবাদ আলী ভাই।

৭| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:৫৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই,



অহংকারের সম্পদ নিয়ে,
সেই অসূয়াবতী কবে যে গেছে হারিয়ে
আমারই সকল প্রেমের উঠোন মাড়িয়ে।
তবুও তাকেই অনির্বাণ প্রেম গিয়েছি দিয়ে.....

অনেকদিনের পরে অপূর্ব একটি কবিতার দেখা মিললো আপনার হাতে।

২৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:২৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমার কবিতা থেকে আপনার হাতেও উঠে এলো এক সুন্দর কবিতা। অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় আহমেদ জী এস ভাই। শুভেচ্ছা।

৮| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৫০

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:



কবিতাটা ভালো লেগেছে।

২৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:২৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ শূন্য সারমর্ম ভাই। শুভেচ্ছা।

৯| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:০১

কামাল১৮ বলেছেন: এতোসব ভাবের কথা আসলেই বুঝিনা।মেয়েটি যদি বুঝতেই না পারলো কে তাকে ভালো বাসে, তবে সেটা ভালোবাসা হয় কি ভাবে। হায়রে ভালোবাসা।ভালোবাসার কতো রূপ।

২৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৩২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহাহা। ভালো বলেছেন প্রিয় কামাল ভাই। তবে, কিছু একটা মিস করেছেন মনে হয়। মেয়েটি বুঝতে পারে নি কে তাকে ভালোবাসলো - কবিতায় এ তথ্য যে নেই :) বলা হয়েছে, মেয়েরা এমনই অহঙ্কারী যে, কে তাকে ভালোবাসলো, ভালোবেসে নিজেকে করে ফেললো খুন - এসবে কিচ্ছু তাদের যায় বা আসে না :)

যাই হোক, আপনি পড়েছেন দেখে আমি আনন্দিত। ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা।

১০| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:১৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


কবিতা ইজ গ্রিক টু মি!
কিছুই বুঝতে পারি না। অথচ বাকি সবাই দেখি দারুণ বুঝে যাচ্ছে।
আফসোস!

২৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহাহাহা। ভালো বলেছেন।

কথা হলো, এক বিদগ্ধ কবি বুদ্ধদেব বসু বলে গেছেন, কবিতা বুঝবার বিষয় নয় - আমি কথাটায় পুরোপুরি আস্থাশীল না হলেও মাঝে মাঝে আমারও মনে হয়, আমিই বা কবিতা কতখানি বুঝি, তবুও তো পড়ি্, শুধু পড়িই না, লিখিও তো! কী আজব এ ব্যাপারটা, তাই না?

ভাল থাকবেন প্রিয় সাজ্জাদ ভাই। শুভেচ্ছা।

১১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:২২

মিরোরডডল বলেছেন:




কামাল১৮ বলেছেন: এতোসব ভাবের কথা আসলেই বুঝিনা।মেয়েটি যদি বুঝতেই না পারলো কে তাকে ভালো বাসে, তবে সেটা ভালোবাসা হয় কি ভাবে। হায়রে ভালোবাসা।ভালোবাসার কতো রূপ।


কামালের মন্তব্য পড়ে সত্যি মজা পাই :)

আমার এক বন্ধুর কথা মনে পড়ছে যে তপনের একটা গান শুনে কি মন্তব্য করেছিলো।

সোলসের তপন চৌধুরীর গানের লিংক, তারপর কমেন্ট দিলাম।





এই গান শুনে ফ্রেন্ড বলে, বুঝলাম না এতে কষ্ট পাওয়ার কি আছে।
একজন প্রেমিকা ফুল নেয়নি, আরেকজন নিবে।

এতো রোম্যান্টিক বিরহের গানের যদি কেউ এমন মন্তব্য করে :)

আজকের ধুলোর কবিতাটা চমৎকার লেখা রোম্যান্টিক ট্র্যাজেডি!
তাই কামালের মন্তব্যে সেই বন্ধুর কমেন্ট মনে পড়লো :)



২৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:০১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এত গান নিয়ে তফসারা করি, অথচ প্রতিদিনই সামনে এত এত গান চলে আসে, যা জীবনে প্রথম শুনলাম। আপনার লিংকের গানটাও জীবনে প্রথম। ঘণ্টাখানেক আগে শোনা শুরু করেছিলাম, কয়েক সেকেন্ড পরই অন্যত্র চলে যেতে হয়। শুনবো একসময়।

কামাল ভাই সত্যিই জ্ঞানী মানুষ, তাই যে-কোনো কথাই মজা করে বলতে পারেন।

আজকের কবিতাটা ভালো ট্র্যাজেডি হয়েছে জেনে আনন্দিত। এটা অবশ্য পুরোনো লেখা

গানের লিংকসহ কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ।

১২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:২৬

মিরোরডডল বলেছেন:





এই চারটা লাইনও অনেক ভালো লেগেছে।

পাহাড়ভর্তি কবিতার ফুল ফুটিয়েছিলাম যার নামে


সেদিন সে ফিরবে প্রেমের অন্বেষায়, কোনো এক সন্ধ্যার
বাতাসে আঁচল উড়িয়ে, পাথরবিছানো পুরোনো পথের
পাড় ধরে; হাসনাহেনার গন্ধে সেদিন বিভোর অন্ধকার


থ্যাংকস ধুলো।

২৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:০৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাসনাহেনা শব্দটা যেমন আমার অতিপ্রিয়, এর গন্ধটাও খুব প্রিয়। ফুলের মধ্যে হাসনাহেনাই আমার কবিতায় আমি বেশি ব্যবহার করেছি। এ লাইনটা আমার খুবই প্রিয় - হাসনাহেনার গন্ধে সেদিন বিভোর অন্ধকার। এমন একটা পরিস্থিতির কথা ভেবে ভেবে আমি অনেক বিভোর হই।

আবারও ধন্যবাদ।

১৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:০৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: লাইক ও কমেন্টের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। আমি সময়মতো এসে সবার কমেন্টের উত্তর দিব।

একটা কথা বলে যাই, যারা জানেন, তারা তো জানেনই, যারা জানেন না, তাদের জন্য - এ বিশ্বকাপের মন্দের মধ্যে ভালো খবর হলো - বাংলাদেশ ২০২৫ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলবেন। শ্রীলংকা ও নেদারল্যান্ডস নিস্ক্রান্ত হয়েছেন।

১৪| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৩১

কামাল১৮ বলেছেন: আমাদের মিরোরমনি অনেক গান শুনে।রবি ঠাকুর যেমন মানব মনের সকল অনুভূতি গানে,কবিতায়,গল্পে প্রকাশ করতে পারতেন তেমনি করে পারে আমাদের মিরোরমনি।কোন এক গায়কের গান দিয়ে সে না বলা কথা প্রকাশ কবে দেয়।
তবে উদাহরণটা দিয়ে আমাকে এক হাত নিলো।তার এই প্রতিভায় আমি খুশিই হয়েছি।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৩৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আহা, কতদিন পর এ পোস্টে আবার এলুম। কী নিয়ে কী কী কনভার্সেশন হচ্ছিল, তা ভুলে গেছি। নিজেকে সে-ব্যাপারে ওরিয়েন্টেড করতে হলে আবার আগে থেকে পড়তে হবে, যা এখন বেশ কষ্টকরই মনে হচ্ছে।

আচ্ছা, কী নিয়ে কথা হচ্ছিল যেন? :)

১৫| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: দুনিয়াতে বহু রকমের ভালোবাসা আছে।

১৬| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:০৫

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: কবিতা আসলে এরকমই হওয়া উচিত। অসাধারণ একটি কবিতা।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৪০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অনন্য দায়িত্বশীল। অনেকদিন পর ব্লগে দেখলাম আপনাকে। আশা করি ভালো ছিলেন এবং ভালো আছেন। শুভেচ্ছা রইল।

১৭| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:০৯

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: অসাধারণ কবিতা। কবিতা পড়ে যদি মনে ছোঁয়া না লাগে আসলে তা কবিতাই না। আপনার কবিতায় একরাশ মুগ্ধতা সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই ভাই।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৪৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বরাবরের মতোই কমেন্টে অনুপ্রেরণা দিয়ে গেলেন প্রিয় মশিউর ভাই। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন সবসময়।

১৮| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯

গেঁয়ো ভূত বলেছেন:
দেহের প্রতিটি ভাঁজে দুরারোগ্য প্রেম
খাবলে খুবলে খায় ঘুণের মতো; দুর্মর আকাঙ্ক্ষারা
কুরে কুরে সর্বস্ব করে ছাই; হায়, অসূয়াময়ীর উৎচোখ
ঠিকরে বেরিয়ে পড়ে লেলিহান হিংস্রতা, পদতলে পিষ্ট
হতে থাকে উপহৃত পুষ্পকবিতা, মৃত্যুগামী অনুৎকর্ষ প্রেম
অথবা পুণ্যপ্রার্থী পাপ।


সুগভীর অনুভূতির কি দারুন সৌকর্যময় প্রকাশ! ওদিকে আলী ভাইয়ের সাবলীল বিশ্লেষণে কবিতা টি আরো বাঙময় হয়ে উঠেছে। অভিবাদন কবি!!

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৪৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এ কবিতাটা আগেও ব্লগে পাবলিশ করা হয়েছিল। ব্লগারদের ভালোলাগা ছিল সেই পোস্টেও। এ থেকেই আমি বুঝতে পারছি, কবিতাটা পাঠকদের কাছে ভালো লাগছে।

সহ-ব্লগারদের এরকম পজিটিভ রি-অ্যাকশনে আমি আপ্লুত এবং অনেক অনেক উজ্জীবিত।

চমৎকার উদ্ধৃতিটির জন্য এবং সুন্দর কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ প্রিয় মল্লিক ভাই। শুভেচ্ছা।

১৯| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:১০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চুলের ঘ্রাণের সাথে চারদিকে অহংকার ছড়িয়ে
যে-মেয়েটি চলে গিয়েছিল আমাকে পেছনে ফেলে,
পাহাড়ভর্তি কবিতার ফুল ফুটিয়েছিলাম যার নামে,
যার নামে উদাসী দুপুরে একলা ঘুঘুর কান্না থামিয়ে
তাকে গান শিখিয়েছিলাম, সে আর একদিনও
পুরোনো পথে চরণ রাখে নি



দুর্দান্ত ভাই !!!
এমন সব কবিতা পড়লে আবার কবিতায় ফিরতে ইচ্ছে জাগে।

২০| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৫৫

Edwin Whitfield বলেছেন: মহান প্রেম সম্পর্কে একটি কবিত। flappy bird

২১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ ভোর ৪:২৬

শার্দূল ২২ বলেছেন: অনেকটাই আবেগিত হলাম আপনার জবাব পড়ে।

আমি মানুষের মধ্যে শুধু মাত্র দুটো বিষয় খুঁজি, এক- ছেলে বুড়ো সবাইকে ভালোবাসতে জানে এমন মানুষ। দুই- কোন রকম অহংকার থাকবেনা। অহংকার আছে এমন মানুষ সে যেই হোক আমি তার আশে পাশেও যাইনা, অহংকার শুধু মাত্র আল্লাহর জন্য। মানুষের অহংকার আল্লাহ নিতে পারেননা। কিন্তু মানুষ অহংকার করতে পারে শুধু মাত্র তার ভালো গুন গুলো নিয়ে। যেমন আমার একটা অহংকার হলো আমার পছন্দের মানুষ গুলো সব সময় ভালো হয়। এটা আমার শুধু অহংকার নয় এটা আমার আত্মবিশ্বাস ও।

এখানে আমি যত গুলো মানুষকে মন থেকে পছন্দ করি সেসব মানুষ গুলো কোননা কোন দিক দিয়ে সেরা । এখানে এসেছি আমি একদম কম বয়সে, তখন আমার মধ্যে আবেগের ছড়াছড়ি। এর মধ্যে কিছু সিনিয়র আপু ভাইয়া ছিলো যাদের কাছ থেকে আমি ছোট ভাইয়ের মত ভালোবাসা পেয়েছি, যদিও অনেকেই আজ নেই। এই ব্লগ ততদিন পর্যন্ত ভালো ছিলো যতদিন কেউ কারো সাথে পারসনালি কন্টাক্ট করেনি। এটা করলে সমস্যা হতোনা যদি তারা এই অভ্যান্তরীণ যোগযোগের ভালো মন্দ ব্লগ পর্যন্ত না আনতো অথবা ব্লগের ভালো মন্দ সেখানে নিয়ে না যেত। এই ব্লগ আরো ভালো থাকতো যদি মানুষ গুলো ব্যক্তির দিকে না তাকিয়ে শুধু মাত্র তার বক্তব্য নিয়ে থাকতো। যেমন আমি- পোষ্ট পড়লে ব্যক্তিকে মাথায় রাখিনা। যা বলি শুধু পোষ্টের উপর বলি। যতক্ষণ ঐ ব্যক্তি যুক্তি এবং ভদ্রতার মধ্যে থাকে।

আমি কবিতা বুঝিনা বলে আপনার সাথে আমার তেমন কনভারসেশান নেই।ঐসব কবিতা বুঝি যেখানে বার্তা থাকে, একজন ভালো মানুষ হবার, একজন ভালো দেশ প্রেমিক অথবা দায়িত্ববান প্রেমিক প্রেমিকা হবার। কবিতায় পিটুইটারি আমার সহ্য হয়না, পিটুইটারি চার দেয়ালের বাইরে একাধিক ব্যক্তিতেও পছন্দ করিনা। আপনার কবিতা গুলোতে রগরগে ব্যপার থাকেনা, থাকে আঙ্গুলের ডগায় আঙ্গুল রেখে জীবনের স্পর্শ। আপনার অন্য অনেক লেখা আমি পড়েছি, বিশেষ করে আপনার যত্নে করা মন্তব্য গুলো আমার কিছু পড়া হয়েছে। মানুষ হিসেবে আপনি অসাধারণ সেটা আমি বরাবরি বলেছি বহু জায়গায়।

আমরা পড়া লেখা করি যেন একজন ভালো মানুষ হতে পারি। এমন কিছু মানুষ আছে পড়ালেখাকে হাতিয়ার হিসেবে নিয়ে মানুষের মনে গেঁথে দেয়। সেসব মানুষ গুলোকে আমি সব চেয়ে বেশি ঘৃণা করি। আমি ঘৃণা করি সেই সব মানুষ গুলোকে যারা মানুষের আবেগ নিয়ে খেলে। ঘৃণা করি তাদের যারা তাদের নিজের ব্যর্থতার বোঝা কারো কাঁধে রেখে ভালো থাকার চেষ্টা করে। ঘৃণা করি তাদের যারা ষ্পষ্টবাদি নয়।

আপনার ছবি গুলোর জন্য অসংখ্যা ধন্যবাদ ভাইয়া, এবং দেশে এসে আপনার ঐ মজার খাবার গুলোতে ভাগ বসাবো ভাবছি ইনশাল্লাহ,

আপনার সাথে অফটপিকে আমার কথোপোকথন চলবে । তবে বানানের জন্য আমাকে ক্ষমা করবেন সব সময়।

শুভ কামনা সব সময়

২২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:০৬

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া আগেই বলেছি তুমি যা লেখো তাই আমার কাছে সর্বশ্রেষ্ঠ!!!
তুমি আমার চোখে এই ব্লগের সবচাইতে বড় একজন কবি।
এছাড়াও তোমার মেধা শক্তি দিয়ে তুমি কি ভাবে নিজেকে গড়ে তুলেছো তার অনেক ধারনাই আমার আছে।

যাইহোক অহংকারেরও সৌন্দর্য্য আছে তাই না?? তবে সেই অহংকারের শৈল্পিক সৌন্দর্য্য চর্চা করতে হবে। নইলে তাকে দিয়ে কাব্য হবে না।


তাইনা বলো??? :P

২৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:০৮

শায়মা বলেছেন: হা হা কামাল১৮ ভাইয়ার মিররমনি মিররমনি শুনে হাসছি! :P

২৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:১৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: প্রেমে পড়তে না পারাও একটা না পারা মানে ব্যর্থতা। প্রেম হোক স্বতস্ফূর্ত ।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৩৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:

:)

হ্যাঁ, কথা ঠিক, প্রেমে পড়তে না পারাও একটা অযোগ্যতা বটে। তবে, আমি তো প্রেমে পড়েছিলাম, প্রেমটা সফল হয় নাই, এই আর কী :)

কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ প্রিয় কবি সেলিম আনোয়ার ভাই+

২৫| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০৬

চন্দ্ররথা রাজশ্রী বলেছেন: আবারও দেখিয়ে দিলেন কবিতা আসলে কেমন হওয়া উচিৎ। কয়েকটা জায়গা মেনশন করে খুব প্রশংসা করতে ইচ্ছা হচ্ছিলো। ইচ্ছাটা আসতে আসতে একটা দুঃসাহস এসে গেল। কবিতাটা অন্য পক্ষের দৃষ্টিকোণ থেকে লেখার লোভটা সামলাতে পারলাম না। আশা করি ক্ষমার চোখে দেখবেন। (কেবল লিখেই মন্তব্য করছি, কোথায় কি লিখেছি জানিনা)



একজন কবি, প্রেম কিংবা ঘৃণায় যে অনন্য ও অপ্রত্যাশিত


মাত্র কয়েকটা আঙ্গুলে এতগুলো বসন্ত জড়িয়ে
পথ চলতে চলতে যে ছেলেটি হঠাৎ থেমে গেল,
তাল মেলাতে যার পায়ের সাথে হেটেছি বিক্ষত পায়ে,
যার নামের আদ্যক্ষরে সাজিয়েছিলাম শেষবেলা,
সে নামের সাথে আমার নামটা আর জোড়েনি।


কবিরা হয়ত এমনই অবিশ্বাসী হয়!
কবে কার জন্য প্রেম কাগজে ঝরে পরলো, কাকে ভেবে কলমের কালি গোলাপি হয়ে ওঠে, কিছুর হিসাব রাখে না।
কেবল পাতায় পাতায় লেগে থাকে কবির হাতের মৃত প্রেমের কোষ।
প্রেমিকার মন যেন কবিতার মতন,
কলমের নিব দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে কেটে কুটে একাকার করায় সে দক্ষ সার্জন।
তবু অনুতপ্ততার কাঁচা গন্ধ তার নাক ছোঁয় না,
সকল সস্তা অনুভূতি পেরিয়ে সে এক বিবেকহীন অস্পৃশ্য ঝড়।


মিথ্যেগুলো যখন সূর্যের মত প্রকট হয়,
রাস্তার অচেনা মানুষও আসতে যেতে বলেছিল, তাকে যেন খুব করে ভুলে যাই সেই প্রহরেই।
এক ফোঁটা আশার আলোর আশায় একটুখানি সন্দেহ বাঁচিয়ে রেখেছিলাম ঘরের অন্ধকারতম কোণে,
বুঁক কেঁপে উঠেছিল সেদিন,
যেদিন আরেকজন কবি স্পষ্ট জানিয়ে দিল, "কবিরা কখনও মিথ্যে বলেনা"।


সে আর কখনও আমাকে নিয়ে কবিতা লেখেনি, যাকে আমি ভালবাসতে চাইনি।
কিন্তু আমার কবিতায় এখনও তার নামের সব অক্ষর মেলে,
জানিনা এ প্রেম না ঘৃণা,
যার সর্বোত্তম ব্যবহারে মানুষ হয় অনন্য এবং অপ্রত্যাশিত.....

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৩৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এ পোস্টে আরো বেশকিছু কমেন্টের উত্তর দেয়া হয় নি, তা জানা ছিল, কিন্তু এখানে ফিরে আসার সময় হয়ে উঠছিল না। আপনার কমেন্ট পেয়ে এ পোস্টে আসা। আমি আসলে মুগ্ধতায় ভাষা হারিয়ে ফেলছি, কীভাবে আপনার এ কমেন্টের প্রশংসা করা যায়, তা আমি বুঝে উঠতে পারছি না। আমি আপনার প্রকৃত কবি-নাম জানি না, তবে আপনি যেই হোন না কেন, আপনার মধ্যে যে খুব শক্তিশালী কবিত্ব বিদ্যমান, তা ইন্সট্যান্টলি লিখে ফেলা এ কবিতা থেকেই স্পষ্ট। কবিতার বিষয়বস্তু যাই হোক না কেন, খুব সাবলীল গাঁথুনির একটা কবিতা লিখেছেন। কবিতায় আপনার হাত সাবলীল, তা আপনার আগের একটা কবিতায় বলেছিলাম। ব্লগে যারা ভালো কবিতা লেখেন, আপনি তাদের মধ্যেই আছেন।

আমার বিগতা প্রেমিকা যদি কবিতা লিখতো, তাহলে সে আপনার কবিতায় উচ্চারিত শব্দের চাইতেও আরো অনেক কঠোর, নিষ্ঠুর, এমনকি অপমানসূচক কথাও লিখতো, যে-ব্যাপারে আমার সন্দেহ ছিল না কোনোকালেই :) আমার কিছু আলগা রাগ বা ঘাড়ত্যাড়ামি ছিল, যা আমার প্রেম ব্যর্থ হওয়ার জন্য শতভাগ দায়ী। তো, আমি নিজের দোষেই দোষী :) খামোখাই চাই প্রেমিকার ফাঁসি :) যাক, এই ফাঁকে কিছু ফান করা গেল।

সুন্দর এ কবিতাটার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় রাজশ্রী। আমি মুগ্ধ। মুগ্ধ আপনার কবি-প্রতিভায়ও।

কবিতায় থাকুন, কবিতায় বাঁচুন। শুভেচ্ছা।

২৬| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০১

salmawisokyঢম বলেছেন: এই উত্তেজনাপূর্ণ অ্যাডভেঞ্চারে আমার সাথে যোগ দিন! Drift Boss

২৭| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০২

salmawisokyঢম বলেছেন: FAGFAG

২৮| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯

TomHiddleston বলেছেন: example

২৯| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯

TomHiddleston বলেছেন: [url=https://example.com/]example[/url]

৩০| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:৩২

Techglobal360 বলেছেন: TechGlobal360 is one of the best seo company in Jaipur that provide best Digital services, which includes SEO, PPC, ORM , SMM, Web Design & Development. Visit now https://techglobal360.com

৩১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:০৪

তৃসডেবৃপদডু বলেছেন: আপনি যে লেখা টি শেয়ার করেছেন, তা খুব গভীর এবং ভাবনাপূর্ণ। এটা প্রেম, [time calculator](https://time-calculator.io/) হারানো কিছু এবং সময়ের উপর চিন্তা নিয়ে কথা বলে মনোনিবেশ করে। আপনি এটা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.