নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
যারা অন্যায়কে অন্যায় বললো না
যারা মিথ্যাকে মিথ্যা বললো না, বরঞ্চ সত্য বলে প্রচারে শামিল হলো
যারা নূর হোসেন, আবু সাঈদ, মুগ্ধ'দের আত্মদানকে
তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে হেসে উড়িয়ে দিল
যারা স্বৈরাচারের হাতে হাত মিলিয়ে, কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে
ঝাঁপিয়ে পড়ে রচনা করলো
বাংলার ইতিহাসে সবচাইতে ঘৃণিত ও কলঙ্কময় ইতিহাস
বাংলার মানুষ ঐসব হায়েনাদের চিনে ফেলেছে
৭১-এর গণহত্যা কীভাবে ফিরে আসে,
কীভাবে ম্লান হয়ে যায় নব্বই-স্বৈরাচারের দুর্বিষহ দৌরাত্ম্য
আমি বেঁচে থেকে তার জীবন্ত সাক্ষী হয়ে রইলাম
বন্ধু, তুমি যদি মানবিক হও, ন্যায় ও সত্যের পথে লড়ো-
আমার স্বাধীন বাংলাকে পুনর্বার স্বৈরাচার-মুক্ত করো।
দিনে দিনে ফুঁসছিল দেশ, বুকে তার প্রচণ্ড অগ্নিলাভা
দিকে দিকে বিস্ফোরণ, মুক্তিকামী মানুষের তীব্র গর্জন
কী দারুণ সময় বিক্ষোভের, বিদ্রোহের, ন্যায়-প্রতিষ্ঠার যুদ্ধের
কেঁপে ওঠে স্বৈরাচারের সন্ত্রস্ত স্বর
বন্ধু, তুমি যদি সত্যিকারেই মানুষ হও, আমার মানবিক বন্ধু যদি হও
তবে তুমি ন্যায় ও সত্যের পথে লড়ো -
বঙ্গবন্ধুর স্বাধীন বাংলাকে স্বৈরাচার-মুক্তো করো।
৩১ জুলাই ২০২৪
০১ লা আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:৩৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
সমাজে একশ্রেণির মানুষ আছে যারা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্যে অন্যায় পথ বেছে নেয়। তারা দুর্নীতি করে, অন্যকে ঠকায়, আইনকে অবজ্ঞা করে ।
আমরা অন্যায় সহ্য করি বলেই অন্যায়কারীরা সুযোগ পায়।
ভাব-সম্প্রসারণে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। আমরা অন্যায়কে সহ্য করলে অন্যায়কারী শুধু সুযোগই পায় না, কয়েকগুণ উৎসাহে স্বকর্মে ঝাঁপিয়ে পড়ে। আমাদের কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তি এসব অন্যায়কারীর আশ্রয়ে লালিত-পালিত হয়, তারা উপরওয়ালাকে অন্যায়কর্মে সহায়তা করে সর্বাত্মকভাবে, বেনজীর ভাই হলেন যার উৎকৃষ্ট উদাহরণ। নিজে অন্যায়কারী ও দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে কেউ যখন গলা ফাডাইয়া বলে - দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্স, তখন ক্ষোভ ও বিরক্তির সকল সীমা পার হয়ে যায়।
সোহানী আপুর পোস্টে ক্ষুদিরাম বসুর যে-কবিতাটি শেয়ার করেছেন, সেটিও খুব তাৎপর্যবহ। আমাদের ইসলাম ধর্মের কনসেপ্টেও একই কথা বলা হয়েছে। অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে অবশ্যই। প্রতিবাদ ব্যতীত মুক্তি নাই।
আপনার সুন্দর মন্তব্যে প্লাস রইল।
২| ৩১ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১১:১৮
শেরজা তপন বলেছেন: ৭১-এর গণহত্যা কীভাবে ফিরে আসে জুলাই-২০২৪-এ!
কীভাবে ম্লান হয়ে যায় নব্বই-স্বৈরাচারের দুর্বিষহ দৌরাত্ম্য
আমি বেঁচে থেকে তার জীবন্ত সাক্ষী হয়ে রইলাম...
আমিও সাক্ষী হয়ে রইলাম।
০১ লা আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:৩৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ প্রিয় শেরজা তপন ভাই। খুব ভালো ছিলাম গান-বাজনার বিনোদন নিয়ে। কিন্তু এ অবস্থায় কি বিনোদনে মন বসে?
৩| ০১ লা আগস্ট, ২০২৪ রাত ১২:০৬
নব অভিযান বলেছেন: ব্লগ কর্তৃপক্ষ কি নিয়ম মেনে চলছে?
০১ লা আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:৪৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ঠিক বুঝতে পারি নি কোন নিয়মের কথা বলেছেন। প্রথম পাতায় অ্যাক্সেস পান নি এখনো? লিখতে থাকুন, কমেন্ট করতে থাকুন, অ্যাক্সেস পাবেন অচিরেই। শুভ কামনা।
৪| ০১ লা আগস্ট, ২০২৪ রাত ১:৩৮
আরেফিন৩৩৬ বলেছেন: যারা এ লড়াইয়ে স্বৈরাচার পক্ষে তারা বড় স্বৈরাচার
০১ লা আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:৪৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কথাটা শতভাগই ঠিক।
৫| ০১ লা আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:৩৭
কাঁউটাল বলেছেন:
০১ লা আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:১২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: দারুণ একটা কোটেশন। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
৬| ০২ রা আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:২৪
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: যারা সুবিধাভোগী কিংবা স্বার্থপর তারা আপনার এই কথা গুলো বুঝবে না। তাদের পাওয়ার চাই, পাওয়ার। বাকী সব গোল্লায় যাক!
০২ রা আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:৪০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সবকিছুরই একটা শেষ আছে, স্বৈরাচারের মেয়াদও একদিন শেষ হয়।
স্বৈরাচারী এরশাদ : ১৯৮১ - ১৯৯০ : ৯ বছর
স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা : ২০১৩ - ২০২৪ : ১১ বছর
স্বাধীন বাংলায় জুলাই-২০২৪-এর মতো কালো ও রক্তাক্ত জুলাই আর আসে নি
সবার আগে তৈলবাজ, দালাল আর জুলাই-রাজাকারদের চিনে রাখুন, দেশের স্বার্থে তাদেরও বিচার হতে হবে।
আগামী রবিবার থেকে সর্বাত্মক অসহযোগের ডাক দিয়েছে আন্দোলনকারীরা।
৭| ০৩ রা আগস্ট, ২০২৪ রাত ১২:৫৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: স্বৈরাচার নিপাত যাক।
১০ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: স্বৈরাচার নিপাত যাক।
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:২৫
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: কবিতায় +++
অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে, তব ঘৃণা যেন তারে তৃণ সম দহে ।
সম্প্রসারিত ভাব : অন্যায়কারী ও অন্যায় সহ্যকারী উভয়ই সমানভাবে নিন্দনীয় ।কেননা, অন্যায়ের প্রতিবাদ না করার ফলে অন্যায়কারী প্রশ্রয় পেয়ে অধিকতর সক্রিয় হয়। ফলে অন্যায়ের সমাজে অন্যায়কারীর সংখ্যা খুব বেশি নয়। কিন্তু উপযুক্ত সাজা না হলে কিংবা প্রশ্রয় পেলে এ সীমিত সংখকদের কাছেই পুরো সমাজ জিম্মি হয়ে পড়ে। সমাজে একশ্রেণির মানুষ আছে যারা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্যে অন্যায় পথ বেছে নেয়। তারা দুর্নীতি করে, অন্যকে ঠকায়, আইনকে অবজ্ঞা করে । এভাবে তারা প্রভাব-প্রতিপত্তি আর অর্থ-বিত্তের অধিকারী হয়। অন্যায়ের বিরুদ্ধে জনমত গঠিত না হলে এবং অন্যায়কারীর শাস্তি না হলে এ পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে পড়ে। আমরা অন্যায় সহ্য করি বলেই অন্যায়কারীরা সুযোগ পায়। তাদের মনে অন্যায় সম্পর্কে অনুশোচনা বা ভীতি জাগে না; বরং শক্তির দম্ভে দাপট দেখাতে থাকে তারা। সমাজে এমন অবস্থা কখনো কাম্য নয়। অন্যায় দেখে নীরব থাকা উচিত নয়। সুস্থ, বিবেকবান মানুষের উচিত বলিষ্ঠভাবে অন্যায়ের প্রতিবাদ করা। তা না হলে আমাদের নীরবতার সুযোগ নিয়ে অন্যায়ের শক্তি প্রবল আকার ধারণ করতে পারে। তখন তাকে নিয়ন্ত্রণ করা যে প্রায় দুঃসাধ্য হয়ে পড়বে সে কথা বলাই বাহুল্য।
মন্তব্য : অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ না করে যদি চুপ করে থাকি , তবে আমাদের ভবিষ্যৎ সুস্থ সমাজ পাবে না । অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়ার জন্যে তাদের চোখে আমরা অপরাধী বলে গণ্য হব ।
ক্লাস নাইন টেনে থাকতে এই ভাবসম্প্রসারন আমরা মুখস্থ করতাম।