নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শব্দকবিতা : শব্দেই দৃশ্য, শব্দেই অনুভূতি [email protected]

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই

দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বপ্নের কফিহাউস || \'কফিহাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই\' গানের দ্বিতীয় সিকোয়েল সুর রেন্ডিশনসহ আমি গাইলাম

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:১৪

'কফিহাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই' গানের একটা দ্বিতীয় সিকোয়েল আছে, সেই কবে এটা শুনেছিলাম কী শুনি নাই, তা ভুলেই গিয়েছিলাম। সেদিন শেরজা তপন ভাইয়ের এই পোস্ট পড়ে মনে পড়লো, কিংবা জানতে পারলাম, বাহ!, এ গানটার দ্বিতীয় সিকোয়েলও করা হয়েছিল।



যারা গান ভালোবাসেন, বা গানের ইতিহাস পড়তে ভালোবাসেন, তারা ইতিমধ্যে 'কফিহাউসের সেই আড্ডাটা' ও পরের সিকোয়েল সম্পর্কে অনেক তথ্যই জেনেছেন। এ কালজয়ী গানটি আমি অনেক শুনে থাকলেও এর পটভূমিকা সম্পর্কে আমার জানাশোনা খুব কম ছিল। তবে, এ গানটি গাওয়ার পর এবং ভিডিও মেকিং-এর সময় আমি অনলাইনে বেশ স্টাডি করলাম। আমি নিজে কম্পোজ না করে সরাসরি উইকিপিডিয়া থেকে তুলে দিলাম নীচের অংশ।

***

‘কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই’ ১৯৮৩ সালে প্রকাশিত বাংলা সঙ্গীত। স্মৃতিচারণী এই সঙ্গীত বা গানটি ১৯৮৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত।

গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের লেখা ও সুপর্ণকান্ত ঘোষের সুরে এই গানে কন্ঠ দেন মান্না দে।

১৯৮৩ সালের দিকে, গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার অনেক জনপ্রিয় প্রেমের গান লিখে ফেলেছেন, কিন্তু তখনো তিনি মান্না দের জন্য গান লিখেন নি। কারণ, ঔ সময় মান্না দের জন্য কেবল পুলক বন্দ্যোপাধ্যায় গান লিখতেন। গীতিকার গৌরীপ্রসন্নের মনে মান্না দের জন্য পুজোর গান লেখার ইচ্ছা ছিল। সেই সময় নচিকেতা ঘোষ ও গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার বাংলা সংগীতের সেরা সুরকার-গীতিকার জুটি হিসেবে জনপ্রিয় ছিলেন। কিছুদিন পর গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার, শক্তি ঠাকুরকে দিয়ে একটি গানে কণ্ঠদানের জন্য একদিন নচিকেতা ঘোষের নিউ আলিপুরের বাড়িতে গিয়েছিলেন। তাদের মধ্যকার সম্পর্কও ছিল বেশ মুধুর, সেই সূত্রে নচিকেতার ছেলে সুপর্ণকান্তির সঙ্গেও গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের বেশ ভাল সম্পর্ক ছিল। গৌরীপ্রসন্ন, নচিকেতার বাড়িতে আসার বেশ অনেকক্ষণ পরে নচিকেতার ছেলে সুপর্ণকান্তির সাথে সাক্ষাৎ হওয়াতে গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার অনেকটা মজা করেই সুপর্ণকান্তিকে বলেন, কী, বাইরে আড্ডা মেরেই সময় কাটাচ্ছ বুঝি? উত্তরে সুপর্ণকান্তি তার গৌরী কাকাকে বলেন, "কী সব গদগদে প্রেমের গান লিখছ, একটা অন্যরকম গান লিখে দেখাও না, এই আড্ডা নিয়েও তো গান লিখতে পার।"

জবাবে গৌরীপ্রসন্ন বলেন, "তুমি [সুপর্ণকান্তি] তো বিশ্ববিখ্যাত অক্সফোর্ড থেকে এমএ লাভ করেছ। তুমি আড্ডা নিয়ে কি আর বাংলা গান গাইবে?" সুপর্ণ এবার বলে, "কেন নয়? কফি হাউসের আড্ডা নিয়েও তো একটা গান লিখতে পার।" গৌরীপ্রসন্ন বলেন, "লিখলে তোমার বাবা [নচিকেতা ঘোষ] কি সে গান গাইবেন?" তাদের দুজনের কথারবার্তার ফাঁকেই গৌরীপ্রসন্ন মনে মনে তৈরি করে ফেলেন গানের দুটি লাইন।

এরপর সুপর্ণকান্তিকে বলেন, "আচ্ছা তাহলে লিখে নাও — কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই / কোথায় হারিয়ে গেল সোনালি বিকেলগুলো সেই।" সুপর্ণও সঙ্গে সঙ্গে সেই গানের দুটো লাইনেই সুর দিয়ে শুনিয়ে দেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত শক্তি ঠাকুর গানটি সুপর্ণকে সেবার পূজায় গানটা গাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন কিন্তু সুপর্ণ তাতে রাজি হন নি। তিনি সঙ্গে সঙ্গেই ঠিক করে নিয়েছিলেন যে গানটি মান্না দে কে দিয়ে গাইবার কথা।

কিন্তু গানের বাকি লাইনগুলো তখনো অসম্পূর্ণ ছিল, পরের দিন সকালেই গৌরীপ্রসন্নের স্ত্রী সুপর্ণকান্তিকে ফোন দিয়ে জানান যে, বহুদিন পরে সারা রাত জেগে অসুস্থ গৌরীপ্রসন্ন গান লিখেছেন। ঐ সময় তখন গৌরীপ্রসন্ন ক্যান্সারেও আক্রান্ত ছিলেন। দু’দিন পরে গৌরীপ্রসন্ন গানটা প্রস্তুত করে নিয়ে হাজির হন। কিন্তু গৌরীপ্রসন্ন শেষ স্তবক যোগ করার পক্ষপাতী ছিলেন না। কিন্তু সুপর্ণকান্তির ইচ্ছাতেই শেষ পর্যন্ত গৌরীপ্রসন্ন আরও একটি স্তবক যোগ করতে রাজি হন। এরপর দুর্দান্ত সেই লাইন লেখেন — সেই সাতজন নেই, তবুও টেবিলটা আজও আছে। কিন্তু সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে তিনি (গৌরীপ্রসন্ন) শেষ তিনটি লাইন তিনি লিখেছিলেন চেন্নাইয়ে চিকিৎসা করাতে যাওয়ার পথে হাওড়া স্টেশনে বসে একটি সিগারেটের প্যাকেটের উল্টো পিঠের খালি সাদা অংশে করে, যা একজন পরিচিত লোকের মাধ্যমে তা সুপর্ণকান্তির কাছে পাঠিয়ে দেন।

তারপর সুপর্ণকান্তির গানটিতে সুর করে মুম্বইয়ে মান্না দে-কে দিয়ে গানটি রেকর্ড করান। যে গান তৈরি হয়ে যায় বাংলা গানের একটি ইতিহাস।

১৯৮৩ সাল কালজয়ী এই গানটি মুক্তির পর থেকে আজও গানটি শ্রোতাপ্রিয় হয়ে আছে। ২০০৬ সালে বিবিসি জরিপে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাংলা গানের তালিকায় এই গানটি চতুর্থ স্থানে রয়েছে।

গানটি এতই জনপ্রিয়তা পেয়েছে যে শ্রোতাগণ এর সত্যতার স্মৃতিচিহ্ন খুঁজতে চলে আসে সেই কফিহাউসে, যেখানে গানের পটভূমি অনুযায়ী মান্না দে তার বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতেন বলে জনশ্রুতি।

উইকিপিডিয়া অংশ শেষ

***

'কফিহাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই' গানটির দ্বিতীয় সিকোয়েল 'স্বপ্নের কফিহাউস' কিংবা 'স্বপ্নের মতো ছিল দিনগুলো কফিহাউসেই' লেখা হয় প্রথম গানটি লেখার ২০ বছর পর। প্রথমটি লিখেছিলেন গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার, দ্বিতীয়টি লিখেছেন শমীন্দ্র রায় চৌধুরী। তবে প্রথম সিকোয়েলের চরিত্রগুলোরই জীবনের পরের ধাপ দ্বিতীয় সিকোয়েলে বিমূর্ত হয়েছে। গানটায় চরিত্রগুলোর জীবনের ট্রাজেডিই ফুটে উঠেছে। এ পোস্ট লেখার সময় আমি আরেকবার প্রথম সিকোয়েলের লিরিক পড়লাম। কষ্টে বুকের ভেতরটা মোচড়া দিয়ে ওঠে। মানুষের জীবনে কত চাওয়াই তো থাকে, ক'জনের ক'টা চাওয়া আর পূর্ণ হয়?

দ্বিতীয় সিকোয়েল পড়লে মনে হয় সুজাতা আর ডিসুজাই হলো এ গানের মূল চরিত্র, কিন্তু দুটো গানের লিরিক মিলিয়ে পড়লে দেখা যায়, প্রতিটা চরিত্রই প্রধান, অনন্য, এবং জীবনের ট্রাজেডিতে ক্ষত-বিক্ষত।

এত ভালো লিরিক, মান্না দে'র মতো শিল্পীর কণ্ঠে গাওয়া সত্ত্বেও দ্বিতীয় সিকোয়েলটি তেমন জনপ্রিয় হয় নি। অনেকে তো জানেনই না যে, এ গানের একটা দ্বিতীয় সিকোয়েল আছে। আপনি যদি প্রথম গানটি না শুনে জীবনে প্রথমবারের মতো দ্বিতীয় সিকোয়েলটি শোনেন, আপনি নির্ঘাত ভালোবাসায় ও বিস্ময়ে মুগ্ধ-অভিমুগ্ধ হবেন। এরপর প্রথম সিকোয়েলটি শুনলে হয়ত দ্বিতীয় সিকোয়েলের মতো অতো ভালো নাও লাগতে পারে। যে-কোনো জিনিসের একটা ফার্স্ট ইম্প্যাক্ট ও ইম্প্রেশনের ফলে এমনটা হয়ে থাকে। শেরজা তপন ভাইয়ের পোস্টে আমি একটা কমেন্ট করেছি। সেটা এখানে তুলে দিলাম (সামান্য এডিটেড)।

---

পোস্টটা অফ লাইনে পড়ে গিয়েছিলাম। এরপর ইউটিউবে খুঁজলাম এ গানের অন্য ভার্সন পাওয়া যায় কিনা। যেটা পেলাম সেটা আর এটা একই বস্তু, তবে এটার মিউজিকটা একটা বেশি অরিজিন্যাল মনে হলো, অর্থাৎ আপনার লিংকের গানটি এডিটেড, বা ডাটা লস হয়েছে বেশি, ফলে গানের মাধুর্য নষ্ট হয়ে গেছে। আমি যেটা পেলাম, এটার মিষ্টতা একটু বেটার, যদিও রেকর্ডিং একই।

কফিহাউস, পার্ট-২, মান্না দে



আমার কাছে তো গানটা অরিজিন্যালই মনে হয়েছে। তবে, দুটি গানই যদি একই স্কিলনেসে গাওয়া হতো, ইভেন, পরেরটার মাধুর্য যদি আগেরটার চাইতে বেটারও হতো, প্রথমটার ঔজ্জল্যের কাছে পার্ট-২ চিরকালই ম্লান থাকতো বলে আমার মনে হয়। কারণ, প্রথম গানটা খুবই মেলোডিয়াস ও জীবনমুখী হওয়ায় ওটা আগেই কালজয়ী গানে রূপান্তরিত হয়েছে (মান্না দে'র প্রায় সব গানই এমন, বিশেষ করে আধুনিক গান)। এ অস্থায় ২য় গানটি প্রথম গানটির কাতারে আসতে পারে না।

তবে, ২য় গানের লিরিক খুবই আবেগময় ও বেদনাঘন। এখানে ট্রাজেডির পরিমাণ বেশি। ডিসুজা নামক এক চরিত্র দেখা যায়, যার মেয়ে পার্ক স্ট্রিটে রাতে নাচে গায়, কিন্তু শখে বা নিজের ইচ্ছায় নয়। খুব করুণ এ ঘটনাটা। এ গানটার শেষ ৪ লাইনে হাই নোট দিয়ে শেষ করা হয়েছে, তবে গানে সেটা ভালো মতো ফুটে ওঠে নি।

২য় পার্ট-এর লিরিক খুব ভালো হলেও ১ম গানের তুলনায় এটি অনেক পিছিয়ে, গায়কীতে অনেক দুর্বল দিক আছে। মান্না দে'র গলায় তারুণ্যের তেজ ও মাধুর্য নেই। স্বর বসে গেছে। সুরে বৈচিত্র আনা হয়েছে, কিন্তু লিরিকের ভাবের সাথে অনেক ক্ষেত্রেই মিলে নি বলে আমার মনে হয়েছে। আমি গাইবার চেষ্টা করেছিলাম, সুর অনেক চেঞ্জও করেছি যেখানে প্রয়োজন মনে হয়েছে, যদিও এটা ধৃষ্টতা।

এ বিষয়ে ব্লগে এর আগে আমি দুটো পোস্ট পড়েছি, দুটো পোস্টে না হলেও অন্তত একটায় কমেন্ট করেছি। গানের চরিত্রের নামগুলো কাকতালীয়ভাবে মিলে গেছে, বাস্তবে এর কোনো অস্তিত্ব নেই, কিংবা বাস্তব কোনো চরিত্র থেকে এদেরকে গানে নেয়া হয় নি বলে আমি ব্লগ ছাড়াও অন্যান্য জায়গায় পড়েছি। অনেকটা বনলতা সেনের মতোই এ নামগুলোর অস্তিত্ব রহস্যময়।

আমিও গান ও কবিতা লিখেছি। আমার গানে ও কবিতায় অনেক নায়িকা-চরিত্র আছে। আমার গান বা কবিতা নিয়ে তো কোনোদিন কেউ আলোচনা করবে না, তাই আমি এটা উহ্য রাখলাম, আমার নায়িকা-চরিত্রগুলো বাস্তবে আছে, কী নাই :)

পোস্ট খুব ভালো লাগলো। কফিহাউসের ২য় পার্ট খুঁজতে গিয়ে পেলাম আরেক হীরক খণ্ড, যেটি গেয়েছেনও এক হীরক তুল্য শিল্পী।

সেই স্বপ্নের কফিহাউস, নচিকেতা চক্রবর্তী



নচিকেতা চক্রবর্তীর গানে গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের চরিত্ররা আর আবহ বিদ্যমান। অর্থাৎ, একই গানের তৃতীয় সিকোয়েল বলা যায়।

---

দ্বিতীয় সিকোয়েলটি আমি গাইলাম। অনেক বড়ো গান। নন-প্রফেশনাল এবং নন-সিঙ্গারদের পক্ষে এত বড়ো গান গাওয়া খুব কষ্টকর। আমার অনেক কষ্ট হয়েছে। এরপর এডিটিং ও মিক্সিং, মিউজিক মেকিং ছিল আরো জটিল।

তবে ভিডিও মেকিং করতে যেয়ে এ গানটার ভেতরে ঢুকতে হয়েছে আমাকে। কেউ যদি ভিডিওটি খেয়াল করেন, দেখবেন, গানটির ইতিহাস ও গল্প বেশ ভালোভাবেই ফুটিয়ে তোলানোর চেষ্টা করেছি ভিডিওতে।

লিরিক

স্বপ্নের মতো ছিল দিনগুলো কফি হাউসেই,
আজ আর নেই
জীবনে চলার পথে হারিয়ে গিয়েছে অনেকেই,
আজ আর নেই...

নিখিলেশ লিখেছে প্যারিসের বদলে
এখানেই পুজোটা কাটাবে।
কী এক জরুরি কাজে ঢাকার অফিস থেকে
মঈদুলকেও নাকি পাঠাবে
একটা ফোনেই জানি রাজি হবে সুজাতা
আসবে না অমল আর রমা রায়
আমাদের ফাঁকি দিয়ে কবেই তো চলে গেছে
ওদের কখনো কি ভোলা যায়?

ওরা যেন ভালো থাকে একটু দেখিস তোরা
শেষ অনুরোধ ছিল ডিসুজার
তেরো তলা বাড়িতে সবকিছু আছে
তবু কিসের অভাব যেন সুজাতার।
একটাও তার লেখা হয় নি কোথাও ছাপা
অভিমান ছিল খুব অমলের
ভালো লাগে দেখে তাই সেইসব কবিতাই
মুখে মুখে ফেরে আজ সকলের...

নাম যশ খ্যাতি আর অনেক পুরস্কার
নিখিলেশ হ্যাপি থেকে গিয়েছে
একটা মেয়ে বলে সুজাতা বিয়েতে তার
দু হাত উজাড় করে দিয়েছে।
সবকিছু অগোছালো ডিসুজার বেলাতে
নিজেদের অপরাধী মনে হয়
পার্ক স্ট্রিটে মাঝরাতে ওর মেয়ে নাচে গায়
ইচ্ছে বা তার কোনো শখে নয়।

কার দোষে ভাঙলো যে মঈদুল বলে নি
জানি ওরা একসাথে থাকে না
ছেলে নিয়ে মারিয়ম কোথায় হারিয়ে গেছে
কেউ আর কারো খোঁজ রাখে না।
নাটকে যেমন হয় জীবন তেমন নয়
রমা রয় পারে নি তা বুঝতে
পাগলা গারদে তার কেটে গেছে শেষ দিন
হারানো সে চেনা মুখ খুঁজতে।

দেওয়ালের রঙ আর আলোচনা পোস্টার
বদলে গিয়েছে সব এখানে
তবুও প্রশ্ন নেই, যে আসে বন্ধু সেই
আড্ডা তর্ক চলে সমানে...
সেই স্বপ্নের দিনগুলো বাতাসে উড়িয়ে ধুলো
হয়ত আসছে ফিরে আজ আবার
অমলের ছেলেটার হাতে উঠে এসেছে
ডিসুজার ফেলে যাওয়া সে গিটার...

স্বপ্নের কফিহাউস
'কফিহাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই' গানের পরের সিকোয়েল এ গানটি
এ গানের (দ্বিতীয় সিকোয়েলের) গীতিকার : শমীন্দ্র রায় চৌধুরী
প্রথম সিকোয়েলের গীতিকার : গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার
দুটি সিকোয়েলেরই সুরকার : সুপর্ণকান্তি ঘোষ
দুটি সিকোয়েলেরই মূল শিল্পী : মান্না দে
এ গানের কভার, সুর রেন্ডিশন, মিউজিক কম্পোজিশন ও কণ্ঠ : খলিল মাহ্‌মুদ
মিউজিক কম্পোজিশন গাইড : বেবি লাবিব

*

আমার গাওয়া গানের লিংক : প্লিজ এখানে ক্লিক করুন - স্বপ্নের কফিহাউস - খলিল মাহ্‌মুদ

অথবা নীচের লিংকে ক্লিক করুন।




ভিডিওতে ব্যবহৃত ছবিগুলোর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

গীতিকার, সুরকার ও শিল্পীর ছবি বিভিন্ন অনলাইন সোর্স থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এ আই দ্বারা এক্সপ্যান্ড করা এবং কিছু ছবি আপস্কেল করা হয়েছে। দ্বিতীয় সিকোয়েলের গীতিকার শমীন্দ্র রায় চৌধুরীর কোনো ছবি অনলাইনে কোথাও খুঁজে পাই নি বলে ভিডিওতে সংযুক্ত করা সম্ভব হয় নি।

নিখিলেশ, ডিসুজা, অমলের ছেলে : এ আই দ্বারা তৈরি করা (কাল্পনিক)
সুজাতা : এ আই দ্বারা রি-টাচ করা। মূল ছবি - নুসরাত ইমরোজ তিশা, বাংলাদেশী অভিনয়শিল্পী
অমল ও রমা রয় (এক ছবিতে দুজন) : উত্তম কুমার ও সুচিত্রা সেনের ছবি রিটাচ করা। 'ইন্দ্রাণী' ছবি থেকে স্ন্যাপশট
মঈদুল (১ম ছবি) : উত্তম কুমারের ছবি রিটাচ করা। 'ইন্দ্রাণী' ছবি থেকে স্ন্যাপশট
অমল (কবি, সিঙ্গেল ছবি) : সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, 'চারুলতা' ছবি থেকে স্ন্যাপশট
মারিয়ম ও মঈদুল : এ আই দ্বারা রি-টাচ করা। মূল ছবি - সালহা খানম নাদিয়া ও নিলয় আলমগীর, বাংলাদেশী অভিনয়শিল্পী
রমা রয় (গারদে) : এ আই দ্বারা রি-টাচ করা। মূল ছবি - নুসরাত ইমরোজ তিশা, বাংলাদেশী অভিনয়শিল্পী
ডিসুজার মেয়ে : শ্রীণিকা পুরোহিত, ওডিসি নৃত্যশিল্পী। ভারতের বিখ্যাত ওডিসি নৃত্যশিল্পী সোনালিকা পুরোহিতের কন্যা
নূর আহমেদ মঈদুল ও সুজাতা রানী দাশ : অনলাইন সোর্স থেকে নেয়া। এ আই দ্বারা এক্সপ্যান্ড ও আপস্কেল করা।

ছবির ইতিহাস অনেকের কাছে ইন্টারেস্টিং হতে পারে মনে করে দেয়া হলো।

বাংলাদেশ আর ৪২ রান পার করলেই বৃহত্তম ইতিহাস সৃষ্টি হবে। ১৪৩/৩, টার্গেট ১৮৫। পাকিস্তানের মাটিতে পাকিস্তানকে ২-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ হারিয়ে ইতিহাস গড়বে বাংলাদেশ, এ প্রত্যাশায় রইলাম।

শুভেচ্ছা সবার জন্য।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৮

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: প্রথম সিকোয়েলে বা চরিত্রে কিছুটা বাস্তবতা থাকতে পারে। তবে গানটা বেশ হৃদয়গ্রাহী।

আপনি বেশ সুন্দর গেয়েছেন।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:২৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: জুনায়েদ ভাই, অনেকদিন পর ব্লগে আপনাকে দেখে ভালো লাগলো। আশা করি ভালো ছিলেন।

এ গানের মঈদুল ও সুজাতা চরিত্রটির বাস্তব অস্তিত্ব আছে বলে জনশ্রুতি আছে। তবে, সুরকার সুপর্ণকান্তি ঘোষ বলেছেন, এ গানের সব চরিত্র কাল্পনিক। আর গানটি রচনা করার ঘটনা জানার পর আমার কাছেও চরিত্রগুলো কাল্পনিকই মনে হয়েছে। তবে, গীতিকার আর শিল্পীর মনের খবর তো আমরা জানি না। হয়ত সত্যিই সুজাতাকে গৌরীপ্রসন্ন ভালোবাসতেন, কিন্তু লোকলাজ বা লোকভয়ে তা কোনোদিন প্রকাশ করতে পারেন নি।

আমার গানটি শোনার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জুনায়েদ ভাই। শুভেচ্ছা রইল।

২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আমার মনে হয় - এ গানটা শুনলে মনে এক অন্যরকম অনুভূতি আসে যা ভাষায় বুঝিয়ে বলা যায়না। আর এ ঐতিহাসিক গান নিয়ে আপনার প্রচেষ্টা সত্যিই প্রশংসনীয়।

ইতিমধ্যে ৬ উইকেটে জিতে পাকিস্তানকে ধবলধোলাই করলো বাংলাদেশ এবং দেশবাসী পেল দ্বিতীয় স্বাধীনতার পর প্রথম বড় কোন বিজয়ের স্বাদ । আর সেই বিজয়ের স্বাদ তাদেরকে হারিয়েই পেল যাদের হারিয়ে এ দেশ অর্জন করেছিল প্রথম স্বাধীনতা।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মোহামমদ কামরুজজামান ভাই, হ্যাঁ, এ গানটা শুনলে এক অন্যরকম অনুভূতি হয় এবং গানটা শোনার পর অনেকক্ষণ ধরে এক বেদনাঘন আবেশ মনকে আচ্ছন্ন করে রাখে। বিরহের গানই শ্রেষ্ঠ গান, এজন্যই বোধ হয় গানটা এত হৃদয়গ্রাহী এবং এত জনপ্রিয়।

বাংলাদেশ এক অনন্য ইতিহাস সৃষ্টি করলো। পাকিস্তানের মাটিতে পাকিস্তানকে ২-০ ম্যাচে হারিয়ে ঐতিহাসিক জয় ছিনিয়ে আনলো। অবিশ্বাস্য একেবারেই। আগামী ১৫ বছর পরও এটা বিশ্বাস করতে কষ্ট হবে যে, পাকিস্তানের মাটিতে আমরা পাকিস্তানকে হোয়াইট ওয়াশ করেছিলাম। দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। বিরাট অভিনন্দন প্রিয় টাইগার্স।

কমেন্টের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ মোহামমদ কামরুজজামান ভাই।

৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০১

সোহানী বলেছেন: অসম্ভব প্রিয় গান কিন্তু সিকোয়ালের কথা জানা ছিল না। যদিও গানটা তেমন ভালো লাগেনি।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কফিহাউসের ২য় সিকোয়েলের কথা আমিও আগে শুনেছি কী শুনি নাই, ঠিক মনে পড়ে না :(

গানটা তেমন ভালো না লাগার কারণ হতে পারে আপনি হয়ত শুনেছেন সোনাবীজের গাওয়া গানটি :) আপনি মহান মান্না দে'র গাওয়া এ গানটি শুনে দেখতে পারেন।

কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ আপু।

৪| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৩১

রাইসুল সাগর বলেছেন: দুইটা সিকুয়ালই আমার অসম্ভব প্রিয়। প্রায়ই শুনি। যখন কাজের শেষে প্রচন্ড ক্লান্তিতে অতীতের আড্ডার বন্ধুদের মনে পড়ে। আপনার গাওয়াটা বেশ ভালো লেগেছে। এভাবেই ভালো থাকবেন লিখে যাবেন। শুভকামনা নিরন্তর।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:০৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মান্না দে মানেই বিশেষ কিছু। আর এই গানটাতে যেন আছে এক অলঙ্ঘ্য জাদু।

পুরোনো পোস্টে আসার জন্য এবং আমার গানটাও শোনার জন্য অনেক ধন্যবাদ রাইসুল সাগর ভাই। শুভেচ্ছা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.