নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শব্দকবিতা : শব্দেই দৃশ্য, শব্দেই অনুভূতি [email protected]

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই

দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমেরিকার নির্বাচন পদ্ধতি - প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট

৩০ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৬

আগামী ০৫ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে আমেরিকার ৬০তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ৫৯তম নির্বাচনের আগে এ নিয়ে একটা পোস্ট লিখেছিলাম। এ নির্বাচন পদ্ধতি সম্পর্কে আমার আদৌ কোনো ধারণা ছিল না, কিন্তু আমেরিকার নির্বাচন বিশ্বে অনেক বড়ো একটা ঘটনা। ব্যক্তিগত আগ্রহ থেকে উইকিপিডিয়া ও অনলাইনে প্রাপ্ত কিছু পোর্টাল/আর্টিকেল/নিউজ ঘেঁটে পোস্টটি লিখেছিলাম। এখনো যে খুব পরিষ্কার ধারণা জন্মেছে তা নয়, তবে আগের চাইতে বেশ ভালো কিছু জ্ঞান হয়েছে, তা নিশ্চিত। সেই পোস্টটি হুবহু এখানে রিপোস্ট করা হলো।

***

স্মরণকালের মধ্যে এবারই বোধহয় আমেরিকার নির্বাচন নিয়ে আমেরিকানসহ বিশ্ববাসীর মধ্যে এত আগ্রহ, উচ্ছ্বাস আর উত্তেজনা দেখা গেছে। কিন্তু, আমেরিকান নির্বাচন পদ্ধতিটা এত জটিল যে, আমেরিকার বাইরের মানুষ এ বিষয়ে খুব পরিষ্কার ধারণা রাখেন বলে মনে হয় না। আমার নিজেরই এ ব্যাপারে স্বচ্ছ ধারণা ছিল না কয়েকদিন আগেও। ইন্টারনেট ঘাঁটাঘাঁটি করে যতখানি বুঝেছি, তা থেকে আমি অল্প কথায় বিষয়টা বোঝানোর চেষ্টা করছি। তথ্যে বা পদ্ধতি বর্ণনায় কোথাও ভুল পরিলক্ষিত হলে তা সংশোধনের জন্য তুলে ধরার অনুরোধ রাখলাম। মূলত United States Electoral College আর্টিকেলটিই আমার এ লেখাটির প্রধান উৎস।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন মোটা দাগে দুই ধাপে সম্পন্ন হয়, যা নিম্নরূপ :

ক। প্রথম ধাপে সারাদেশের জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে ইলেক্টোরাল কলেজের সদস্যদের নির্বাচন করা হয়, যাদেরকে বলা হয় ইলেক্টর।
খ। দ্বিতীয় ধাপে ইলেক্টরগণ নিজ নিজ অঙ্গরাজ্যের রাজধানীতে মিলিত হয়ে আলাদা আলাদা ব্যালটের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্টকে ভোট দিয়ে থাকেন, যার মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচত হোন।

এই আর্টিকেলটি ভালোভাবে বোঝার জন্য নীচের সংজ্ঞাদুটো আগেভাগে বুঝে নিলে সুবিধা হবে :

ক। পপুলার ভোট বা জনগণের ভোট : প্রতি ৪ বছর পর পর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন বছরের ০১ নভেম্বরের পরের প্রথম মঙ্গলবার হলো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য সুনির্দির্ষ্ট ‘নির্বাচন দিবস’। এইদিন জনগণ যে-ভোট দিয়ে ইলেক্টোরাল কলেজের সদস্যদের বা ইলেক্টরদের নির্বাচন করে থাকেন, তাকে এই আর্টিকেলে ‘পপুলার ভোট’ বলে ধরে নি্তে হবে। নির্বাচন দিবসে ওয়াশিংটন ডিসি ও ৫০টি অংগরাজ্যের জনগণ প্রত্যক্ষ ভোটে ৫৩৮ জন ইলেক্টর নির্বাচন করেন।

খ। ইলেক্টোরাল ভোট : জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য ও ওয়াশিংটন ডিসি’র ইলেক্টরগণ নির্বাচিত হয়ে থাকেন। এই ইলেক্টরগণ যে-ভোটের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করে থাকেন, তাকে ইলেক্টোরাল ভোট বলা হবে। পপুলার ‘নির্বাচন দিবস’-এর পরের মাসে, অর্থাৎ ডিসেম্বরের ২য় বুধবারের পর প্রথম সোমবারে প্রতি অঙ্গরাজ্যের ইলেক্টোরালগণ নিজ নিজ রাজধানীতে মিলিত হয়ে আলাদা আলাদা ব্যালটে প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্টকে নির্বাচনের জন্য ভোট প্রদান করেন।

আমেরিকার নির্বাচন পদ্ধতি সম্পর্কে যাদের ধারণা কম, বা ধারণা নেই, তারা হয়ত সংজ্ঞাদুটো ভালোমতো বোঝেন নি; তবে, পুরো পোস্ট পড়ার পর আবার এসে পড়লে সংজ্ঞাদুটো ক্লিয়ার হবে বলে আশা করি।

চলুন বিস্তারিত বর্ণনায়।

নির্বাচন দিবসে, ওয়াশিংশটন ডিসিসহ আমেরিকার ৫০টা অঙ্গরাজ্য থেকে সর্বমোট ৫৩৮জন ইলেক্টোরাল ভোটার নির্বাচিত হন জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে, এবং এই ভোটারগণই প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেন। একেকটা অঙ্গরাজ্যে ইলেক্টোরাল ভোটারের সংখ্যা একেক রকম। সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ইলেক্টোরাল ভোটার হলেন ক্যালিফোর্নিয়ায় – ৫৫জন। এর পরের অবস্থানে টেক্সাস- ৩৮। নিউ ইয়র্ক ও ফ্লোরিডায় ইলেক্টোরাল ভোটারের সংখ্যা ২৯জন করে। ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যে ১২জন এবং ওয়াশিংটন ডি,সি,’র ৩জন।

নীচে দেখুন বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের ইলেক্টোরাল ভোটারের সংখ্যা।

আলবামা-৯, আলাস্কা-৩, আরিজোনা-১১, আরকানসাস-৬, ক্যালিফোর্নিয়া-৫৫, কোলোরাডো-৯, কানেক্টিকাট-৭, ডেলাওয়ের-৩, ডিস্ট্রিক্ট অব কলাম্বিয়া-৩, ফ্লোরিডা-২৯, জর্জিয়া-১৬, হাওয়াই-৪, ইডাহো-৪, ইলিনয়-২০, ইন্ডিয়ানা-১১, আইওয়া-৬, কানসাস-৬, কেন্টাকি-৮, লুইজিয়ানা-৮, মাইনে-৪, ম্যারিল্যান্ড-১০, ম্যাসাচুসেটস-১১, মিশিগান-১৬, মিনেসোটা-১০, মিসিসিপি-৬, মিসৌরি-১০, মনটানা-৩, নেব্রাস্কা-৫, নেভাদা-৬, নিউ হ্যাম্পশায়ার-৪, নিউজার্সি-১৪, নিউ মেক্সিকো-১৪, নিউইয়র্ক-২৯, নর্থ ক্যারোলিনা-১৫, নর্থ ডাকোটা-৩, ওহাইও-১৮, ওকলাহোমা-৭, অরেগন-৭, পেনসিলভানিয়া-২০, রোডে আইল্যান্ড-৪, সাউথ ক্যারোলিনা-৯, সাউথ ডাকোটা-৩, টেনেসে-১১, টেক্সাস-৩৮, উতাহ-৬, ভারমন্ট-৩, ভার্জিনিয়া-১৩, ওয়াশিংটন-১২, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া-৫, উইকনসিন এবং উইয়োমিং-৩।

৫৩৮ সংখ্যাটা যেভাবে এলো : প্রতিটা অঙ্গরাজ্যের কংগ্রেশনাল ডিস্ট্রিক্টের সংখ্যা (হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভের সংখ্যা) ও সিনেটরের সংখ্যা মিলে যে সংখ্যাটা দাঁড়ায়, তাই হলো ঐ অঙ্গরাজ্যের ইলেক্টোরাল ভোটারের সংখ্যা। যেমন, ক্যালিফোর্নিয়ায় ২জন সিনেটর আছেন এবং ৫৩টা ডিস্ট্রক্টের জন্য ৫৩ জন হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ আছেন। ২ ও ৫৩ মিলে ৫৫ হয়। প্রতিটিতে ২জন করে সিনেটর ধরে ৫০টি অঙ্গরাজ্যের মোট সিনেটরের সংখ্যা হয় ১০০। ৫০টা অঙ্গরাজ্যে মোট কংগ্রেশনাল ডিস্ট্রিক্ট্রের সংখ্যা ৪৩৫, যার প্রতিটিতে একজন করে হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ রয়েছেন; মোট হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভের সংখ্যা ৪৩৫। ১০০ + ৪৩৫ = ৫৩৫। ওয়াশিংটন ডিসি থেকে ৩জন ইলেক্টোরাল নির্বাচিত হোন। ৫৩৫+৩=৫৩৮।

জনসংখ্যার ভিত্তিতে কংগ্রেশনাল ডিস্ট্রিক্টের সীমানা নির্ধারণ করা হয়। ১৯১৩ সালে এই ডিস্ট্রিক্টের সংখ্যা ৪৩৫ নির্দিষ্ট করা হয়। তবে, জনসংখ্যার হ্রাস-বৃদ্ধির ফলে কিছুকাল পরপর সীমানা পুনঃনির্ধারণ করা হয় এবং মোট সংখ্যা ৪৩৫ স্থির রেখে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের কংগ্রেশনাল ডিস্ট্রিক্টের সংখ্যা হ্রাস-বৃদ্ধি করা হয়। সর্বেশেষ ২০১২ সালে কংগ্রেশনাল ডিস্ট্রিক্টের সীমানা পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। ১৯৬০ সাল পর্যন্ত মোট ইলেক্টোরাল ভোটারের সংখ্য্যা ৫৩৭ ছিল, এবং ১৯৬৪ সাল থেকে এ সংখ্যা ৫৩৮। এর মধ্য থেকে ২৭০ বা তার চাইতে বেশি ইলেক্টোরাল ভোট প্রাপ্ত প্রার্থীই প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত হোন।

ইলেক্টর মনোনয়ন। ইলেক্টর মনোনয়নের বিভিন্ন পদ্ধতি থাকলেও সচরাচরর প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় পলিটিক্যাল পার্টিগুলো প্রতি অঙ্গরাজ্যে বিশ্বাসভাজন ব্যক্তিগণকে ‘ইলেক্টর’ হিসাবে মনোনয়ন দান করে। এই মনোনীত ইলেক্টরগণ বিজয়ী হলে নিজ নিজ প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকেই ভোট দিবেন বলে অঙ্গীকারাবদ্ধ থাকেন। প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচনই হলো এই ইলেক্টোরাল ভোটারদের একমাত্র কাজ।

ইলেক্টোরাল কলেজ বা নির্বাচন পদ্ধতি (গুরুত্বপূর্ণ অংশ এটিই)। ইলেক্টোরাল ভোটারের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পদ্ধতিকে ‘ইলেক্টোরাল কলেজ’ বলা হয়। বাস্তবে এই কলেজের কোনো অস্তিত্ব নেই। ভোট শেষ হওয়ার পর এই ভোটারদেরও আর কোনো কাজ থাকে না। কিন্তু, প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পদ্ধতিটা খুবই ইন্টারেস্টিং। ভোট গ্রহণের দিন প্রতিটা অঙ্গরাজ্যের জনগণ ভোট সেন্টারে গিয়ে ভোট প্রদান করেন (ডাক ও মেইলযোগেও ভোট প্রাদনের নিয়ম আছে, এমনকি অগ্রিম ভোটও দেয়া যায়)। মাইনে ও নেব্রাস্কা ছাড়া, অন্য প্রতিটা অঙ্গরাজ্যে যে দল সর্বোচ্চ ভোট পাবে, ঐ অঙ্গরাজ্যে ঐ দলই বিজয়ী হবে এবং ঐ অঙ্গরাজ্যের মোট ইলেক্টোরাল ভোটারের সংখ্যা ঐ দলের অনুকূলে যাবে। এ ব্যাপারটা ক্লিয়ার করার জন্য একটা উদাহরণ দিচ্ছি। ২০২০ নির্বাচনে ক্যালিফোর্নিয়ায় জো বাইডেন পেয়েছেন 10,268,890, ট্রাম্প পেয়েছেন 5,368,263 পপুলার ভোট। জো বাইডেন এখানে বিজয়ী। এই রাজ্যে ইলেক্টোরাল ভোটারের সংখ্যা ৫৫। এই ৫৫ ইলেক্টোরাল ভোটারই জো বাইডেনের অনুকূলে থাকবেন, অর্থাৎ, এই ৫৫ ইলেক্টোরাল ভোটারের সবাই জো বাইডেন ও কামালা হ্যারিসকে ভোট দেয়ার জন্য অঙ্গীকারাবদ্ধ। অন্যদিকে, টেক্সাসে ট্রাম্প পেয়েছেন 5,865,913, আর জো বাইডেন 5,218,631। এই রাজ্যে ট্রাম্প বিজয়ী এবং ইলেক্টোরাল ভোটারের সংখ্যা ৩৮-এর পুরোটাই চলে যাবে ট্রাম্পের অনুকূলে। নেব্রাস্কা এবং মাইনে অঙ্গরাজ্যের জন্য নিয়মটা ভিন্ন। এই দুই অঙ্গরাজ্যে সর্বোচ্চ প্রাপ্ত পপুলার ভোটের হিসাবে ২জন করে ইলেক্টোরাল ভোটার নির্বাচিত হবেন। বাকি ইলেক্টোরাল ভোটার প্রতিটা কংগ্রেশনাল ডিস্ট্রিক্টে প্রাপ্ত সর্বোচ্চ পপুলার ভোটের ভিত্তিতে আলাদা ভাবে নির্বাচিত হবেন। এখানেও উদাহরণ দিলে বিষয়টা স্পষ্ট হবে। মাইনে অঙ্গরাজ্যে জো বাইডেন পেয়েছেন 430,023 এবং ট্রাম্প পেয়েছেন 359,502 পপুলার ভোট। এখানে কংগ্রেশনাল ডিস্ট্রিক্টের সংখ্যা ২ এবং ইলেক্টোরাল ভোটারের সংখ্যা ৪। অন্যান্য অঙ্গরাজ্যের হিসাবে জো বাইডেন এই রাজ্যে বিজয়ী এবং ৪ ইলেক্টোরাল ভোটারের ৪জনই তার অনুকূলে থাকার কথা। কিন্তু, এখানকার পলিসি ভিন্ন; ফলে, পুরা অঙ্গরাজ্যে জো বাইডেন বেশি পপুলার ভোট পেয়ে বিজয়ী হওয়ায় পেয়েছেন মোট ২ ইলেক্টোরাল ভোটার। ২ ডিস্ট্রিক্টের ১টিতে জো বাইডেন সর্বোচ্চ, অন্যটিতে ট্রাম্প সর্বোচ্চ পপুলার ভোট পেয়েছেন। ফলে ডিস্ট্রিক্টওয়াইজ জো বাইডেন ১ এবং ট্রাম্প ১জন ইলেক্টোরাল ভোটার পেয়েছেন। মাইনে অঙ্গরাজ্যের চূড়ান্ত ইলেক্টোরাল ভোট : জো বাইডেন ২্+১=৩, এবং ট্রাম্প ১।

এখানে একটা মজার জিনিস লক্ষণীয়। জনগণ যদিও ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিয়ে ইলেক্টরদের নির্বাচন করেন, কিন্তু ব্যালটের মধ্যে সচরাচর ইলেক্টরদের নাম থাকে না, তার বদলে প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্টের নাম থাকে। তবে, কোনো কোনো অঙ্গরাজ্যে ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতিও ব্যবহার করা হয়, যেমন, ৮টি অংগরাজ্যের ব্যালটে থাকে ইলেক্টরদের নাম।

প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। প্রতিটা অঙ্গরাজ্যের বিজয়ী ইলেক্টোরালগণ নিজ নিজ রাজধানীতে মিলিত হয়ে আলাদা আলাদা ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিয়ে প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেন। দিনটি হলো ডিসেম্বরের দ্বিতীয় বুধবারের পর প্রথম সোমবার। ভোট দেয়ার পর প্রতি অঙ্গরাজ্যের ইলেক্টরগণ একটা সার্টিফিকেটে এই মর্মে স্বাক্ষর করেন যে, তারা তাদের নিজ নিজে অঙ্গীকারকৃত প্রার্থীকে ভোট প্রদান করেছেন। ৬ কপি সার্টিফিকেটের প্রধান কপিটি যায় সিনেটে।



ইলেক্টোরাল ভোটারগণ নিজ নিজ অঙ্গীকারাবদ্ধ প্রার্থীকেই ভোট দিয়ে থাকেন। তবে, কেউ যদি বেইমানি করে ফেলেন, তার জন্য শাস্তির ব্যবস্থাও আছে। এ পর্যন্ত বিভিন্ন কারণে ১৭১ জন ফেইথলেস ইলেক্টরের রেকর্ড রয়েছে। কিন্তু তাদের ফেইথলেসনেসের কারণে কোনো প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর অবস্থান পরিবর্তন হয় নি, যদিও ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর অবস্থান বদলে যাওয়ার রেকর্ড আছে।

ব্যাপারটা অনেক জটিল এবং বিতর্কিতও। এই পদ্ধতিতে পপুলার ভোটে জিতলেও ইলেক্টোরাল ভোটে হেরে যাওয়ার রেকর্ড আছে। হিলারি ক্লিন্টনসহ আরো অনেকে পপুলার ভোটে জিতেছিলেন, কিন্তু ইলেক্টোরাল ভোটে হেরে যান। আমেরিকায় এখন এটা নিয়ে পক্ষে ও বিপক্ষে অনেক বিতর্ক হচ্ছে।

পোস্টে অনেক কিছুই উহ্য রয়ে গেছে। কেউ বুঝে থাকলে ভালো। না বুঝে থাকলে প্রশ্ন করুন, চেষ্টা করবো বোঝানোর জন্য। কেউ যদি আরো সহজ ভাষায় কোনো বিষয় বোঝাতে পারেন, কমেন্টে লিখুন প্লিজ। পোস্টটি আরেকটু আপডেট করবো সময় পেলে।

পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।

খলিল মাহ্‌মুদ
১১ নভেম্বর ২০২০

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ২:০৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:




পপুলার ভোট আর আর ইলেক্টরাল কলেজ ব্যাপারটিতে জনমতের সঠিক প্রতিফলন হয় না।
তার চেয়ে বৃটিশ ওয়েস্ট মিনস্টার ধাচের গণতন্ত্রই বেশী ভালো।

৩০ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৪:৫০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমেরিকার নির্বাচন পদ্ধতির সুবিধা হলো, জনপ্রতিনিধিগণ সবগুলো রাজ্যে সমানভাবে মনোযোগ দিতে ও সুষম উন্নয়ন করতে বাধ্য হন। কালের বিবর্তনে এটাই আমেরিকার সেরা নির্বাচন পদ্ধতি হিসাবে বিবেচিত হয়ে আসছে, এ পদ্ধতির কোনো ডিমেরিট আলোচনায় এসেছে কিনা আমার সঠিক জানা নেই।

বৃটিশ পদ্ধতি সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা নেই, তাই মতামত দিতে পারলাম না।

কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ সাজ্জাদ ভাই।

২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:




- মোটামুটি জটিল একটি পদ্ধতি হলেও বেশ কার্যকর।
- বেশ কয়েকবার পড়েটি এই ভোট পদ্ধতি সম্পর্কে আগেই।।

৩০ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হ্যাঁ, আমেরিকানদের জন্য এ পদ্ধতিটা কার্যকর বলেই তারা এটা বহাল রেখেছে, নইলে বদলে ফেলতো অনেক আগেই।

কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ জলদস্যু ভাই।

৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৪:১১

আমি সাজিদ বলেছেন: আমেরিকায় এবার একটা গৃহযুদ্ধ বেঁধে গেলে কী হবে? পাগলা ট্রাম্প না জিতলে দেশেই যুদ্ধ বাঁধাবে। নিজেদের নাগরিকদের মাঝে বিক্রি করে অস্ত্র তৈরির কারখানাগুলো বেশ লাভ করবে। মেডিকেল ইনস্যুরেন্স কোম্পানিগুলো আরও ফুলে ফেঁপে উঠবে।

এমন কল্পনা করতে তো দোষ নাই।

৩০ শে অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পাগলা ট্রাম্প এবার জিতলে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ইসরাইলি গণহত্যা বন্ধ হওয়ার কি সম্ভাবনা আছে?

ট্রাম্প পাগলা টাইপের হলেও যুদ্ধবাজ ছিল না বুশ, ওবামার মতো। সে ক্ষমতায় থাকলে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধও হয়ত লাগতো না।

কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ সাজিদ ভাই।

৪| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫১

আমি সাজিদ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রতিমন্তব্যের জন্য৷ আপনার বিশ্লেষণ কি বলে? কি হতে পারে?

৩০ শে অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমার কাছে মনে হয়েছে, জো বাইডেন একজন ঠান্ডা মাথার খুনি। সে ক্রমাগত উস্‌কানি দিয়া গেছে ইউক্রেনকে যুদ্ধে জড়ানোর জন্য। অন্যদিকে পুতিনেরও জেদ বেড়ে যায় যুদ্ধে জড়িয়ে ইউক্রেন দখলের ইচ্ছায়। জো বাইডেনের জায়গায় ট্রাম্প থাকলে হয়ত এ ব্যাপারে এত সম্পৃক্ত হতো না। এ হলো আমার সাদামাটা ধারণা।

৫| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৮:০৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: আমাদের দেশের নির্বাচন পদ্ধতিতেও পরিবর্তন আসা জরুরী। বিশেষ করে মার্কা আসক্ত দরিদ্র জনগোষ্ঠী কখনই নির্বাচনে দাড়ানো প্রার্থীদের প্রতি সুবিচার করতে সমর্থ হয় না। এই বিষয়গুলোতে সংস্কার আসা জরুরী।

৩০ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৯:৫৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
বিশেষ করে মার্কা আসক্ত দরিদ্র জনগোষ্ঠী কখনই নির্বাচনে দাড়ানো প্রার্থীদের প্রতি সুবিচার করতে সমর্থ হয় না। দরিদ্র এবং অশিক্ষিত জনগণ, যাদের সংখ্যাটাই এ দেশে বেশি, তারা প্রায়শ ভোটের মাহাত্ম্য বোঝেন না, সঠিক নেতৃত্ব বোঝেন না, সঠিক প্রতিনিধি কে হতে পারেন, সে সম্পর্কেও ভালো জ্ঞান রাখেন না এবং তারা ভোটের সময় হুজুগে দলবদ্ধ হয়ে একটা নির্দিষ্ট মার্কায় একযোগে ভোট দিয়ে থাকেন, যদিও বিগত ৩টা নির্বাচনে তারা এ অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিলেন।

আমাদের নির্বাচন পদ্ধতি সংস্কারের ব্যাপারে ড. আলী রিয়াজকে বেশ সরব দেখা যাচ্ছিল কয়েকদিন। এখন বোধ হয় তিনি সংবিধান সংস্কারের দায়িত্ব পেয়েছেন। জামায়াতে ইসলামী জনগণের সংখ্যার অনুপাতে আসন বণ্টনের কী যেন একটা কনসেপ্ট প্রচার করছিল। যাই হোক, নির্বাচন পদ্ধতি পরিবর্তন করতে চাইলে তার জন্য একটা কমিশন গঠন করা জরুরি। হুবহু আমেরিকান পদ্ধতিও আমাদের এখানে অ্যাডাপ্ট করা যেতে পেরে, অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ জেলাগুলোকে মৌলিক ইউনিট বিবেচনা করে, যেখানে আমেরিকায় অঙ্গরাজ্যগুলো হয়ে থাকে। আমি এক্সপার্ট না, জ্ঞানও নাই, সাধারণ আইডিয়া থেকে বললাম।

আপনার কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ ঢাবিয়ান ভাই। শুভেচ্ছা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.