নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব,ইইই প্রকৌশলী। মতিঝিল আইডিয়াল, ঢাকা কলেজ, বুয়েট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র।টেলিকমিউনিকেশন এক্সপার্ট। Sustainable development activist, writer of technology and infrastructural aspects of socio economy.

এক নিরুদ্দেশ পথিক

সমাজের প্রতিটি ছোট বড় সমস্যার প্রকৃতি নির্ধারণ করা, আমাদের আচার ব্যবহার, সমাজের প্রচলিত কৃষ্টি কালচার, সৃষ্টিশীলতা, চারিত্রিক উদারতা এবং বক্রতা, অপরাধ প্রবৃত্তি, অপরাধ সঙ্ঘঠনের ধাঁচ ইত্যাদির স্থানীয় জ্ঞানের আলোকে সমাজের সমস্যার সমাধান বাতলে দেয়াই অগ্রসর নাগরিকের দায়িত্ব। বাংলাদেশে দুর্নীতি রোধ, প্রাতিষ্ঠানিক শুদ্ধিকরন এবং টেকনোলজির কার্যকরীতার সাথে স্থানীয় অপরাধের জ্ঞান কে সমন্বয় ঘটিয়ে দেশের ছোট বড় সমস্যা সমাধান এর জন্য লিখা লিখি করি। আমার নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি আছে কিন্তু দলীয় সীমাবদ্ধতা নেই বলেই মনে করি, চোর কে চোর বলার সৎ সাহস আমার আছে বলেই বিশ্বাস করি। রাষ্ট্রের অনৈতিক কাঠামোকে এবং দুর্নীতিবাজদের সবাইকে তীক্ষ্ণ ভাবে চ্যালেঞ্জ করার চেষ্টা করি। রাষ্ট্র কে চ্যালেঞ্জ করতে চাই প্রতিটি অক্ষমতার আর অজ্ঞতার জন্য, তবে আঘাত নয়। ব্যক্তিগত ভাবে নাগরিকের জীবনমান উন্নয়ন কে দেশের ঐক্যের ভিত্তিমূল মনে করি। ডাটাবেইজ এবং টেকনোলজি বেইজড পলিসি দিয়ে সমস্যা সমাধানের প্রোপজাল দেবার চেষ্টা করি। আমি মূলত সাস্টেইন এবল ডেভেলপমেন্ট (টেকসই উন্নয়ন) এর নিরিখে- অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ডিজাইন ত্রুটি, কৃষি শিক্ষা খাতে কারিগরি ব্যবস্থাপনা ভিত্তিক সংস্কার, জলবায়ু পরিবর্তন, মাইক্রো ইকনমিক ব্যাপার গুলো, ফিনান্সিয়াল মাইগ্রেশন এইসব ক্রিটিক্যাল ব্যাপার নিয়ে লিখার চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে চোরকে চোর বলার জন্য দুর্নিতি নিয়ে লিখি। পেশাঃ প্রকৌশলী, টেকনিক্যাল আর্কিটেক্ট, ভোডাফোন।

এক নিরুদ্দেশ পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

র‍্যাবের সাতটি মৌলিক দায়িত্বঃ দুটি অবজেকশন

২৭ শে মে, ২০১৪ রাত ২:৩৭

সাম্প্রতিক সময়ে নৈতিক বিপর্যয়ের পর এলিট ফোর্স র‍্যাব কে কৌশলগত ভাবে কিছু মৌলিক দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। একনজরে দেখে নেই র‍্যাবের সাতটি মৌলিক দায়িত্বঃ



১। অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিত,

২। সশস্ত্র জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের আটক করা,

৩। অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ-বিস্ফোরক দ্রব্যসহ সব ধরনের অবৈধ দ্রব্য উদ্ধার করা,

৪। অন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তা করা,

৫। গোয়েন্দা তথ্য সংগহ করা,

৬। সরকারি নির্দেশে যেকোনো অপরাধের তদন্ত করা এবং

৭। যেকোনো ধরনের সরকারি দায়িত্ব পালন করা।



৬ নং পয়েন্টঃ



৬ নং পয়েন্ট নিয়ে আমার ইন্সটিটিউশনাল ডিস্পুট আছে, সরকারি নির্দেশে একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান "যেকোনো অপরাধের" তদন্ত করতে পারে না। বরং একটি মামলার কন্সিকিউন্সে এবং আদালতের নির্দেশে করতে পারে। এখানে পুলিশী তদন্তের কথা বলা হছে, অন্য প্রাতিষ্ঠানিক তদন্তের ব্যাপারে না। আমরা বলছি অপরাধা সংঘঠন কে মামালার আওতায় এনে পরেই পুলিশ কে জড়াতে হবে তদন্ত কাজে। এভাবে অপ্রাতিষ্ঠানিক উপায়ে "যেকোনো অপরাধের" তদন্ত করার দায়িত্ব (বিশেষ করে মামলা না করে) সরকার একটি এলিট ফোর্স কে দিতে পারে না। সরকার "অপরাধের অভিযোগে" রাষ্ট্রীয় ভাবে প্রাতিষ্ঠানিক তদন্ত করতে পারে, সেটা করতে ডিকটেটিভ ব্রাঞ্চ রয়েছে। কিন্তু অপরাধ সঙ্ঘঠিত হয়ে গেলে মামলা দিয়েই যে কোন প্রসেস শুরু করতে হবে। অর্থাৎ "হয়ে যাওয়া অপরাধ" এবং "অপরাধের অভিযোগে" এই দুটি কে আলাদা করতে হবে। প্রথমটির প্রসেস শুরু হবে মামলার মাধ্যমে আদালতের হাত ধরে। দ্বিতীয়টি সরকার এবং যে কোন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান (বিশেষ করে দুর্নীতি দমন কমিশন) প্রয়োজন মাত্রই ট্রিগার করতে পারে। ""সরকারি নির্দেশে যেকোনো অপরাধের তদন্ত করা"" এই ধরনের অবারিত দায়িত্ব একটা এলিট ফোর্স কে দেয়া যায় না। তাইলে নিয়মিত ফোর্স এর ফাংশনালিটির প্রয়োজন থাকে না।



বরং আদালত কে বলে দিতে হবে সরকারি নির্দেশে কি কি ধরনের অপরাধের তদন্ত করা যাবে, সেই সব তদন্ত রিপোর্ট কিভাবে আদালত, সরকার এবং নাগরিকের সামনে পেশ করা হবে। অর্থাৎ সেই সব কাজে কিভাবে তারা (এলিট ফোর্স) নাগরিকের কাছে দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করবে।







৭ নং পয়েন্টঃ




৭ নং পয়েন্টে আবারো র‍্যাব কে পুরাপুরি দেউলিয়া করে ফেলা হয়েছে।



"যে কোন ধরনের দায়িত্ব" মানে কি? একটি দলীয় সরকার কখনও রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে যে কোন দায়িত্ব দিতে পারে না। এই যে কোন মানে হোল রাজনৈতিক এজেন্ডা।



এর মানে হতে পারে এত দিন যেসব অপকর্ম হয়েছে, তার সবই অব্যহত থাকবে, কিন্তু খুল্লাম খুল্লা হবে না, নিয়ন্ত্রিত হবে, গোপনীয়তায় হবে।



দায়িত্ব এ ধরনের হলে সেটা আর মৌলিক থাকে না, কমপ্লেক্স মানে যৌগিক হয়ে যায়, যার ধকল নাগরিক কে পোহাতে হয় অত্যাচার, অর্থ কিংবা রক্ত দিয়ে।।





৬ নং পয়েন্টে আদালতের যুক্তিযুক্ত নির্দেশনা চাই।

৭ নং পয়েন্টের রাজনৈতিক ভান্ডামীর পুরাপুরি বিলোপ চাই।



সরকারের সক্ষমতার একটা সীমানা সমসময়ই আছে, এই সীমা সংবিধান নির্ধারিত। এককেন্দ্রিক ক্ষমতার অনৈতিক এবং অনিয়মতান্ত্রিক আঁধার হিসেবে প্রধান্মন্ত্রীর কার্যালয় যতই আবির্ভূত হোক না কেন, তাকে রাষ্ট্রের অঙ্গ প্রতিষ্ঠানের স্বীকিয়তা এবং সাংবিধানিক ক্ষমতা মেনে নিতেই হবে। সরকারের ক্ষমতার সীমানা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সমূহের সক্ষমতা কে অতিক্রম করতে পারবে না। যদি সরকার অন্য প্রতিষ্ঠানের উপর অনৈতিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে আদালতকে সেটা পর্যবেক্ষণ করে রুল দিতে হবে। অন্য প্রতিষ্ঠান ও তাদের নিজ নিজ ক্ষমতার চর্চা করবে যাতে নাগরিকের কাছে তাদের একাউন্টিবিলিটি নিশ্চিত হয়।



সরকার অনৈতিক হস্তক্ষেপ করলে যে কোন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান আদালতের কাছে তাঁর সাংবিধানিক সুরক্ষা চাইতে পারে। এই চর্চা আমাদের দেশে বিরল। দুরব্রিত্তায়িত সমাজে অনৈতিক সরকারি হস্তখেপের লাগাম টেনে ধরতে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান গুলোকে নাগরিক অধিকার রক্ষায় বিবেক দাঁড়াতে হবে। আমাদের দেশে আজ এর বড় প্রয়োজন।



অন্যভাবে বলতে হয়, আমাদের দেশে সরকার গুলো আইন-আদালত, প্রতিষ্ঠান এবং নিয়মতান্ত্রিকতার উপর করতিত্ব পরায়ন হয়ে উঠেছে, তাই আমাদের কোন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান দাড়াতে পারছে না বিশেষত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান গুলোরই দুর্বলতার সুযোগে। আদালত, নির্বাচন কমিশন, আইন কমিশন, বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, কর্ম কমিশন, পরিকল্পনা কমিশন ইত্যাদি সবার স্বকীয় সত্তায় আবির্ভূত হয়ে উঠার উপর দেশের উন্নয়ন আর নাগরিকের ভাগ্য পরিবর্তন নির্ভর করে।

[/sb



পরিমার্জিত ২৭.০৫.২০১৪

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে মে, ২০১৪ ভোর ৬:৫৬

ঢাকাবাসী বলেছেন: সবগুলোই ভয়ংকর ফাকির কারবার। যেকোনটাই বিভিন্ন ব্যাখ্যায় মানুষকে ঝামেলায় ফেলতে পারে। আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা কি জিনিস? আপনাকে যা বোঝাবে আপনি তাই বুঝতে বাধ্য! আর এই সুযোগটাই নেয় রেব, মাল বানায়।

২৭ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৫২

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: বস, ইন্টেনশন খারাপ থাকলে অনেক কিছুই সম্ভম। যার প্রতিফলন সমাজে দৃশ্যমান।

২| ২৭ শে মে, ২০১৪ সকাল ৭:৫২

মাইরালা বলেছেন: আইনের ফাকফোকর আর ক্ষমতার অপব্যবহার কাকে বলে বাঙালি হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে।

২৭ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৫২

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ক্ষমতার অপব্যবহা এর প্রতিফলন সমাজে দৃশ্যমান।

৩| ২৭ শে মে, ২০১৪ সকাল ৯:১১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
অবস্যই সরকারি নির্দেশে যেকোনো অপরাধের তদন্ত করবে।
কোন অপরাধ ঘটলে পুলিশ অপরাধীর বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমান যোগার করে চার্জশিট তৈরি করবে, এরপর তা আদালতে তুলে ধরবে'
র‍্যাব পুলিশেরই একটি অংশ, আর্মড পুলিশের একটি ব্যাটেলিয়ন।

সরকার সে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য সরকার পুলিশ, বিজিবি, সেনাবাহিনী নিয়োগ করতে পারে।

সুধু এসবে কোন অনিয়ম দেখা দিলে যে কেউ আদালতে যেয়ে আর্জি জানাতে পারে। আদালত নিজেই কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।

২৭ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৫০

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: বস সেটা তো মামলা করার এবং সেই সম্পর্কিত তদন্ত সংক্রান্ত। মামলার তদন্ত একটা প্রতিষ্ঠিত প্রসেস। কিন্তু এখানে আমি সেটা বলছি না, সরকারি নির্দেশে তদন্ত মামলা ছাড়াও করতে ভিন্ন ভাবে এই দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

সরকারি নির্দেশে অপরাধের তদন্ত হয় না, মামলার কন্সিকুয়েন্স এ হয়। সরকারি নির্দেশে ডিক্টেটিভ টিম গুলো মাঠে নামবে।

মামলা সংক্রান্ত না হলে পুলিশ কাজ করবে না। মানে সরকারি তদন্ত সেটা পুলিশী সেটা কে প্রাতিষ্ঠানিক করে ফেলতে হবে।

২৭ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৫:০০

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: "'কোন অপরাধ ঘটলে পুলিশ অপরাধীর বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমান যোগার করে চার্জশিট তৈরি করবে, এরপর তা আদালতে তুলে ধরবে'"" .....এটা একটা মামলার প্রসেস। এটা স্টাব্লিশড। আমি একে চ্যালেঞ্জ করছিনা। বলছি মামলার ছাড়া যাতে যে কোন পুলিশী তদন্ত না হয়।

"সরকার সে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য সরকার পুলিশ, বিজিবি, সেনাবাহিনী নিয়োগ করতে পারে।"...সহমত।

"সুধু এসবে কোন অনিয়ম দেখা দিলে যে কেউ আদালতে যেয়ে আর্জি জানাতে পারে। আদালত নিজেই কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।"

ব্যবাপারটা এরকম হবার কথা নয় পুরোপুরি। আদালত সংবিধানের অভিভাবক। সতরাং সরকার পুলিশের উপর সংবিধান বহির্ভূত অন্যায় কর্তিত্ব করতে চাইলে সেটা আদালত কে সেটা পর্যবেক্ষণ করে রুল দিতে হবে। এটা আদালত নিজেই শুরু করতে পারে, কিংবা কোন নাগরিক সেটা ইনিশিয়েট করতে পারে।

আদালতের খরচ এবং নাগরিকের আর্থিক সামর্থ্য বিবেচনা করে আমরা আশা করি আদালত রাষ্ট্রের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান সমূহের উপর অন্যায় হস্তক্ষেপ নিবারন করবে নিজে উদ্যোগী হয়ে।

সরকারের সক্ষমতার একটা সীমানা আছে। সেই সীমানা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সমূহের সক্ষমতা কে অতিক্রম করতে পারবে না। যদি সরকার অন্য প্রতিষ্ঠানের উপর অনৈতিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে আদালতকে সেটা পর্যবেক্ষণ করে রুল দিতে হবে। অন্য প্রতিষ্ঠান ও তাদের নিজ নিজ ক্ষমতার চর্চা করবে যাতে নাগরিকের কাছে তাদের একাউন্টিবিলিটি নিশ্চিত হয়।

কিন্তু আমাদের দেশে সরকার সবার উপর করতিত্ব পরায়ন হয়ে উঠেছে, তাই আমাদের কোন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান দাড়াতে পারছে না। আদালত, নির্বাচন কমিশন, আইন কমিশন, বিশ্ব বিদ্যালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, কর্ম কমিশন, পরিকল্পনা কমিশন ইত্যাদি সবার স্বকীয় সত্তায় আবির্ভূত হয়ে উঠার উপর দেশের উন্নয়ন আর নাগরিকের উন্নয়ন নির্ভর করে।

৪| ২৭ শে মে, ২০১৪ সকাল ১০:০০

ভুয়া প্রেমিক বলেছেন: র‍্যাব বিলুপ্ত করা হোক।

২৭ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৬

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: প্লেইন দৃষ্টিতে সেটাই কাম্য। কিন্তু অপরাধ প্রবন সমাজে এই মুহূর্তে সেটা আত্তঘাতী হবে। অপরাধ রাজ্য সম্প্রসারিত হবে, আন্ডারগ্রাউন্ড নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। অবশ্য এটা এখনই বাইরে চলে গেসে।

র‍্যাবের রাজনৈতিক ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে।

৫| ২৭ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:১৪

ইসপাত কঠিন বলেছেন: ৭ নং পয়েন্টটাই তো যত গন্ডগোলের মূল। কিন্তু কিছুই করার নাই। ভালো সরকারের পাল্লায় পড়লে ৭ নং পয়েন্টে আপনি উপকৃত হবেন আর ...........।

২৭ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৮

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: যে কোন দায়িত্ব একটি এলিট ফোর্স কে দিতে লাগলে নিয়মিত পুলিশ কি করবে।

আমরা এর বিলোপ চাই। এটা অপব্যবহারের ফন্দি।

৬| ২৭ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:০২

নীল ভোমরা বলেছেন: সরকারের ইচ্ছের উপরই সব নির্ভর করে....এটাই আমাদের দেশের সকল সরকারী সংস্থা / প্রতিষ্ঠান পরিচালনার মূল মন্ত্র!

২৭ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:১৬

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: একটা সুশাসিত দেশে এমনটা হবার কথা না। আদালত সংবিধানের অভিবাবক। সরকারের সক্ষমতার একটা সীমানা আছে। সেই সীমানা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সমূহের সক্ষমতা কে অতিক্রম করতে পারবে না। যদি সরকার অন্য প্রতিষ্ঠানের উপর অনৈতিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে আদালতকে সেটা পর্যবেক্ষণ করে রুল দিতে হবে। অন্য প্রতিষ্ঠান ও তাদের নিজ নিজ ক্ষমতার চর্চা করবে যাতে নাগরিকের কাছে তাদের একাউন্টিবিলিটি নিশ্চিত হয়।

কিন্তু আমাদের দেশে সরকার সবার উপর করতিত্ব পরায়ন হয়ে উঠেছে, তাই আমাদের কোন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান দাড়াতে পারছে না। আদালত, নির্বাচন কমিশন, আইন কমিশন, বিশ্ব বিদ্যালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, কর্ম কমিশন, পরিকল্পনা কমিশন ইত্যাদি সবার স্বকীয় সত্তায় আবির্ভূত হয়ে উঠার উপর দেশের উন্নয়ন আর নাগরিকের উন্নয়ন নির্ভর করে।

৭| ২৭ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:৩৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ভালো সরকারের পাল্লায় পড়লে ....?

৪২ বছরে ভাল সরকার কারা ছিল?
বা কোন দল আসলে ভাল সরকার হবে?

৮| ২৭ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:০৯

অলওয়েজ এ্যান্টি গর্ভণমেন্ট বলেছেন: র্যাবের আইনে ইতর বিশেষ পরিবর্তন হয় নাই। বর্ংচ তাদের আকাম করার আরো সুযোগ দেয়া হোলো।

যাকে বলে আমলার কলমের কেরামতি।

৯| ২৮ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:৩১

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ১। ভাল সরকারের আশায় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের উপর কর্তিত্তের আইন বলবত করা যাবে না। দুরবৃত্ত্বায়িত সমাজে ভালো সরকার এমনি এমনি আসবে না। অপরাধ প্রবন সমাজে নাগরিকের জেগে উঠা এবং সততার অনুশীলন ব্যাতীত ভালো সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে না।

২। ভালো সরকার আনতে হলে-

হয় রাষ্ট্রের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান গুলা সম্মিলিত ভাবে তাদের সাংবিধানিক স্বাধীনতা অনুযায়ী কাজ করা শুরু করবে এবং নাগিরিকের কাছে দায়বদ্ধতা রাখবে।

সরকার সৎ এবং নৈতিক কাজে হস্তক্ষেপ করলে এই প্রতিষ্ঠান সমূহ আদালতের কাছে সাংবিধানিক সুরক্ষা চাইবে এবং আদালত তা দিতে বাধ্য থাকবে।

নতুবা নাগরিক কে বিপ্লব করতে হবে, সেই বিপ্লবে অর্জন আসলে তাকে সৎ থেকে মানুষের কল্যানে কাজে লাগাতে হবে।

৩। বিকল্প দল খারাপ তাই লুণ্ঠনকারী বর্তমান ক্ষমতাসীন দলকে সাপোর্ট দিবার সুজোগ নাই। হয় ক্ষমতাসীন কে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, প্রতিষ্ঠান ধ্বংস, লূন্ঠন এবং দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দেয়া থেকে বিরত রাখতে আন্দোলন করতে হবে (এটা করতে হবে নাগরিক, নাগরিক প্রতিষ্ঠান এবং সরকার বিরোধী সবাইকে)। একই সাথে বিকল্প দল কেও এইসব চ্যালেঞ্জ দিয়ে পাকাপোক্তো কমিট্মেন্ট নিয়ে, নাগরিকের কাছে মুচলেকা দিয়েই তবে ক্ষমতায় আস্তে হবে।
বর্তমানে আওয়ামীলীগ যে ভাবে নির্লজ্জ ভারত মূখীতা দিয়ে দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়েছে এবং বি এন পি যে ভাবে নতুন ভারত সরকারের সাথে পাল্লা দিয়ে সম্পর্ক তইরি করছে তাতে আমরা ভীত।

১০| ২৮ শে মে, ২০১৪ রাত ১:১০

ইসপাত কঠিন বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী, যারা যে দলকে সমর্থন করে তাদের কাছে সেই দলের সরকার ভালো আর প্রতিদ্বন্দী দলের সরকার খারাপ। আমার ব্যাখ্যা আমার কাছেই থাকতে দিন। আর উই ক্লিয়ার?

১১| ২৮ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
প্রশ্নের জবাব পাস কাটিয়ে গেলেও যা বোঝার বুঝে নিয়েছি।

আমি কোন দলের না, সেভাবে কাউকে সমর্থনও করি না।
ভাল দল বলতে যা বুঝি -

১। দলটিকে অবস্যই মুক্তিযুদ্ধের মুল আদর্শ ধারন করতে হবে।
২। দলটি ১০০% আইনের শাসন মেনে চলবে।
৩। আমলা নির্ভরতা কমিয়ে, জেলা পরিষদ সহ স্থানীয় সরকারগুলোকে পুর্ন ক্ষমতা দিবে।
৪। পর্যাপ্ত অবকাঠামো নির্মান করে চীন কোরিয়া জাপানের মত ব্যাপক বিনিয়োগ আকর্ষন করে বেকারত্ব কমিয়ে আনবে।

১২| ২৮ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:৫২

ইসপাত কঠিন বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী, কি বুঝেছেন? আপনার তো আবার ভুল বোঝার রেকর্ড অনেক। আমি সামুতে কোনকালেই নিয়মিত ছিলাম না। আপনার বিডিআর সংক্রান্ত গল্প পড়ে সামুতে রেজিস্ট্রেশন করি এবং অনেক ধৈর্য্যের পর আপনার লেখার প্রতি উত্তরে লিখি। ইট ইজ ইউ হু হ্যাজ ব্রট মি হিয়ার।

যাই হোক, আপনি ভালো দল বলতে যা বোঝেন, আমিও আপনার সাথে একমত। আর আপনি "কোন দল তেমন সমর্থন করেন না" টাইপের কথা বলেন না।

বললে পাগল ডাক্তার আর ডাক্তার পাগল হয়ে যাবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.