নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সমাজের প্রতিটি ছোট বড় সমস্যার প্রকৃতি নির্ধারণ করা, আমাদের আচার ব্যবহার, সমাজের প্রচলিত কৃষ্টি কালচার, সৃষ্টিশীলতা, চারিত্রিক উদারতা এবং বক্রতা, অপরাধ প্রবৃত্তি, অপরাধ সঙ্ঘঠনের ধাঁচ ইত্যাদির স্থানীয় জ্ঞানের আলোকে সমাজের সমস্যার সমাধান বাতলে দেয়াই অগ্রসর নাগরিকের দায়িত্ব। বাংলাদেশে দুর্নীতি রোধ, প্রাতিষ্ঠানিক শুদ্ধিকরন এবং টেকনোলজির কার্যকরীতার সাথে স্থানীয় অপরাধের জ্ঞান কে সমন্বয় ঘটিয়ে দেশের ছোট বড় সমস্যা সমাধান এর জন্য লিখা লিখি করি। আমার নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি আছে কিন্তু দলীয় সীমাবদ্ধতা নেই বলেই মনে করি, চোর কে চোর বলার সৎ সাহস আমার আছে বলেই বিশ্বাস করি। রাষ্ট্রের অনৈতিক কাঠামোকে এবং দুর্নীতিবাজদের সবাইকে তীক্ষ্ণ ভাবে চ্যালেঞ্জ করার চেষ্টা করি। রাষ্ট্র কে চ্যালেঞ্জ করতে চাই প্রতিটি অক্ষমতার আর অজ্ঞতার জন্য, তবে আঘাত নয়। ব্যক্তিগত ভাবে নাগরিকের জীবনমান উন্নয়ন কে দেশের ঐক্যের ভিত্তিমূল মনে করি। ডাটাবেইজ এবং টেকনোলজি বেইজড পলিসি দিয়ে সমস্যা সমাধানের প্রোপজাল দেবার চেষ্টা করি। আমি মূলত সাস্টেইন এবল ডেভেলপমেন্ট (টেকসই উন্নয়ন) এর নিরিখে- অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ডিজাইন ত্রুটি, কৃষি শিক্ষা খাতে কারিগরি ব্যবস্থাপনা ভিত্তিক সংস্কার, জলবায়ু পরিবর্তন, মাইক্রো ইকনমিক ব্যাপার গুলো, ফিনান্সিয়াল মাইগ্রেশন এইসব ক্রিটিক্যাল ব্যাপার নিয়ে লিখার চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে চোরকে চোর বলার জন্য দুর্নিতি নিয়ে লিখি। পেশাঃ প্রকৌশলী, টেকনিক্যাল আর্কিটেক্ট, ভোডাফোন।
নগরীতে নাগরিকের পানি ব্যবহার, ওয়াসার পানি ব্যবস্থাপনা, পাউবোর ডেভেলপমেন্ট সেন্স গড়ে তুলতে সমন্বিত উদ্যোগ সময়ের প্রয়োজন। এখানে পানি ব্যবস্থাপনার ইফিসিয়েন্সি আনয়নে কিছু দিক আলোচনা করা হয়েছে।
নির্মাণ শিল্পের পানিঃ
পানির মটরের মুখে ওয়াটার হোজ লাগিয়ে নির্মানাধীন বাড়িতে কনক্রিট জমাট বাধার জন্য পানি দেয়ার ভয়ংকর প্রচলন এখনই থামাতে হবে। এটাকে ব্যাপক আর্থিক পেনল্টির আওতায় আনতে হবে। নির্মান শিল্পে পানির ব্যবহার একেবারেই সীমিত করতে হবে। হ্যা কনক্রিট বনানো এবং জমাট বাধার পাউডার আমাদের দেশে কেউ ব্যবহার করে না, না জানার কারনে, খরচ কমানোর কারনে, খরচ কমিয়ে বেশি চুরির নিমিত্তে (সরকারি কাজে)।
ওজুর পানিঃ
০১। মসজিদ মাদ্রাসা হল এবং অন্যান্ন প্রার্থনা ঘর গুলোতে ওজুর পানির ব্যবস্থাপনার বিকল্প পদ্ধতি উদ্ভোদন করা আমাদের প্রকৌশলী দের দায়িত্ব, ওয়াসা এবং সরকারকে এটা নিয়ে ভাবতে হবে। আফ্রিকাতে ওজুর জন্য পরিমান মত পানি অতি পাতলা পলিথিন ব্যগ এ সাপ্লাই করতে দেখেছি। এটা পাইলট করা যেতে পারে।
০২। গুলশান-১ মসজিদে পানি অপচয় কমানোর জন্য ফ্লো কন্ট্রল করা হয়েছে, সেখানে ওজু খানায় বড় করে লিখা রয়েছে "এই মসজিদের পানির কল নস্ট নয়, পানি অপচয় রোধের জন্য পানির প্রবাহ কামানো আছে"। পানি স্বল্পতায় ভোগা আফ্রিকার মুসলিম দেশ গুলোতে এই পদ্ধতি বহুল প্রচলিত। এটা ঢাকায় বাধ্যতা মূলক করা দরকার।
কার ওয়াশ এর পানিঃ
পানির মটরের মুখে ওয়াটার হোজ লাগিয়ে কার ওয়াশ করা হয়, বর্ধিত সংখ্যার কারনে এই পরিমান বাড়ছে, এগুলোকে শক্ত আর্থিক জরিমানার আওতায় এবং মনিটরিং এ আনতে হবে।
কাপড় ধোয়ার পানিঃ
শহুরে কাপড় ধোয়ায় পানি ব্যবহার পদ্ধতি সাস্টেইন এবল না, এটা পরিবর্তন করতে হবে। শহরে কাপড় ধোয়ায় কিভাবে টেকনলজি ব্যবহার বাড়ানো যায় এটা নিয়ে ভাবতে হবে।
শহুরে মানুষকে (বিশেষ করে উচ্চ এবং উচ্চ মধ্যবিত্ত) শুকনো টয়লেট কন্সেপ্ট এর আওতায় আনতে হবে। কমিউনিটি ওয়াশিং প্ল্যান্ট এর কন্সেপ্ট উদ্ভাবন করা যায়।
টয়লেট ফ্ল্যাশঃ
যে পানি বস্তি এলাকার লোকে পান করে সে পানি আমরা বড় ছোট টয়লেটের পরে ফ্ল্যাশ করি, ব্যাপারটা কি আমাদের ভাবায়! এত ব্যয় বহুল এবং কষ্টকর শোধিত পানি টয়লেটে ব্যবহার। গরীবকে ছাড় দেয়া যায়, কিন্তু ধনীদের? কোটি টাকার ফ্ল্যাটে ওয়াটার রিসাইকেল ব্যবস্থাপনা থাকবে না কেন?
হ্যাঁ, প্রতিটি বড় বড় বিল্ডিং কম্পাউন্ড এ বাথরুম এবং কাপড় কাচার পানি টয়লেট পানি থেকে আলাদা করতে হবে। বাথরুম এবং কাপড় কাচার পানি সামান্য রিসাইকেল করে টয়লেট ফ্ল্যাশে নেয়া যায়। টয়লেট এর পানিও রিসাইকেল প্ল্যান্ট আনতে হবে।
আর এম জি ওয়াশিং প্ল্যান্টঃ
ওয়াশিং প্ল্যান্ট এর ওয়াটার রিসাইক্লিং হয় কিনা জানা নেই, এসব ভাবনায় আনতে হবে।
এগুলো কারো কারো কাছে ছোট ব্যাপার হতে পারে, কিন্তু আদতে তা নয়। স্ট্যাডি করে বের করে আনা যেতে পারে পানি ব্যবহার কোন খাতে কেমন হচ্ছে।
সেচ এবং সেচ ইনভেস্টঃ
ধানে কয়েক ইঞ্চি কন্টিনিউয়াস বদ্ধ পানি ব্যবহার থেকে কিভাবে সরে এসে ড্রপ সাপ্লাই ব্যবহার করা যায় কিনা এই নিয়ে বিরি বারি কে গবেষণা করতে হবে। সেচ এ পানি ব্যবহার ইফিসিয়েন্ট করা জরুরী। হস্তচালিত কলগুলোতে পানি না থাকায় বা কমে যাবার কারনে উৎপাদন খরচ বাড়ছে। কিছু এলাকায় শ্যালো দিয়েও আর স্বাভাবিক পদ্ধতিতে পানি আসছে না তাই ‘ডীপ সেট’করা হচ্ছে তা আরো ব্যয় বাড়াচ্ছে। তবে এটা করা হচ্ছে একই মেশিন ব্যভহারের জন্য, উচ্চ ক্ষমতার (হর্স পাওয়ার) এর মেশিন ব্যবহার করলে ডিপ সেট অপ্রয়োজনীয়। তবে এটাও ইনভেস্ট এর ব্যবপার।
বৃষ্টির পানি ব্যবহার
গ্রামেঃ আর্সেনিক, আয়রন প্রবন এলাকাগুলোতে কমন বৃষ্টির পানি নির্ভর ড্রিংকিং ওয়াটার প্ল্যান্ট করা বাধ্যতামূলক। এটা কিছু কিছু গ্রামে স্বেচ্ছাসেবী কিংবা স্ব উদ্যোগী প্রকল্প হিসেবে চালু আছে। বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ পৃথিবীর শুষ্ক অঞ্ছলে ব্যাপক প্রচলিত পদ্ধতি, এই পানি সুপেয়, বিশুদ্ধ এবং খনিজ পানির মতই মিনারেল যুক্ত।
বৃষ্টির পানির বানিজ্যিক প্রক্রিয়া জাতকরন
তবে বানিজ্যিক ভাবে বৃষ্টির পানি প্রক্রিয়া জাতকরন এবং বিপনন শুরু হয় নি কেন এটা একটা বিস্বয়, বাজারজাত ক্রিত পানির মান নিয়ে কাজ করলে হয়ত বের হয়ে আসবে অতি নিন্ম মানের পানি বিক্রি হচ্ছে। পানির মান বাড়ানো বাধ্যতামূলক করা গেলে কোম্পানী গুলো বিকল্প সোর্স হিসেবে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের প্রতি মনোযোগী হতে পারে।
তবে নতুন বাজার সৃষ্টি তৃতীয় বিশ্বের দেশে সরকারকেই করতে হয়, কারন আর্থিক নিরাপত্তা এখানে নিশ্চিত নয়, তার উপর আমাদের দেশর শিল্প প্রসার চাঁদাবাজি ও বখরা নির্ভর।
শহরেঃ
ছাদের সারফেইস এর রকমভেদ, আকার, মৌসুমি বৃষ্টির পরিমানের ভিত্তিতে প্রাপ্ত পানির গড় পরিমান, উচ্চতা, ভাসমান ধূলি ইত্যাদি আমলে নিয়ে ঠিক কি পদ্ধতিতে আরবান রেইন ওয়াটার প্রসেসিং প্ল্যান্ট করলে ব্যক্তি পর্যায়ে লাভজনক হবে সেটার অনেকগুলো ইঞ্জিনিয়ারিং ইমপ্লিমেন্টেশন পাইলট করতে হবে। এর বাইরে রয়েছে এই প্ল্যান্ট এর মেইন্টেনেন্স, ফারদার ওয়াটার ফিল্ট্রেশন, প্রসেসিং এগুলার কস্ট। রিজার্ভার এর সাইজ, নির্মান ম্যাটেরিয়াল (স্বাস্থ্য সম্মত) এগুলা সব মিলেই এধরনের প্ল্যান্ট থেকে প্রাপ্ত পানির খরচ বাজার মূল্য থেকে অনেক সাশ্রয়ী হতে হবে, নাইলে এই প্রকল্প মার খাবে।
তবে ভবিষ্যতে বৃষ্টির পানিকে পানের জন্য ব্যবহার করতেই হবে কারন ভূগর্ভস্ত পানির লেয়ার অতি গভীরে চলে গেলে সেই পানির উত্তোলন প্রসেসিং উৎপাদন খরচ বাড়বে। আমাদেরকে আমাদের গ্রামীণ জনসাধারণ এবং শুহুরে নিন্ম বিত্তের জন্য সুপেয় পানির অধিকার নিয়ে ভাবতে হবে, সুপেয় পানির জন্য তাঁদের খরচ এর খাতা খোলা গ্রহনযোগ্য নয়।
পানি, পানি ব্যবস্থাপনা, কৃষি, কৃষক এবং কৃষি ব্যবস্থাপনা নিয়ে আমাদের নাগরিক, গবেষণাগত ভাবনা গভীর করতে হবে। রাষ্ট্র কে দুরদর্শী হতে হবে, আজ থেকে ৫০ বছর পরে ইরি চাষের পানি ভুগর্ভ থেকে তোলা সাধ্যের ভিতরে নাও থাকতে পারে। ভূগর্ভস্থ পানির এবং বৃষ্টির পানির ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার সাথে সাথে আন্তর্জাতিক নদীর (বিশেষ ভাবে গঙ্গা ও তিস্তা ব্যারেজ) পানির হিস্যার জন্য আলোচনা চালাতে হবে, রাজনৈতিক ভাবে লড়তে হবে নিরন্তর।
একদিকে সারফেইস ফ্রেশ ওয়াটার (নদ নদীর পানি) এর হিস্যা নিয়ে নিরন্তর লড়তে হবে ভারতের সাথে, অন্যদিকে শোধিত পানি ব্যবস্থাপনায় দূরদর্শী হতে হবে, খরুচে হতে হবে। দূষণ কমাতে হবে নদীগুলোর, যাতে নদীর পানির শোধন ব্যয় সাধ্যে থাকে। অন্যথায় ভূগর্ভস্থ পানিই হবে একমাত্র ভরসা, যা কোন ভাবেই আশার কথা নয়।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৪
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: তবে দেশের পানির মৌলিক সমাধানের জন্য নদী গুলোকে তাদের অধীকার ফিরিয়ে দিতে রাজনৈতিক উদ্যোগ বেশি জরুরী। আজ নদীগুলো সব মৃতপ্রায়! অথচ এই নদ-নদীই পানির সবচে বড় এবং নির্ভরযোগ্য আধার।পাশাপাশি শহুরে জীবনে পানির অঢেল অপচয় রোধে অব্যশই সময় এসেছে অনেক বেশী পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের।
২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আরেকটু যোগ করি-
বাংলাদেশ হলো ভাটির দেশ। পানি যার প্রাণ। সেই দেশে যদি পানির জন্য মানুষ হাহাকার করে তাহলে তা অবশ্যই দুখজনক।
আর সেই দু:খ দূর করার সবচে বড় যে কাজ উজানের দেশের সাথে পানির দরকষাকষি। সেটাই বন্ধ প্রায়! সাগর কন্যা কি এদিকটায় নজর দেবার সাহস রাখেন?
ফারক্কার ন্যায্য অংশটা পেলেও বাংলাদেশের পানি সমস্যা ৫০ ভাগ দূর হয়ে যাবে। তিস্তা সহ বাকী ৫২টা নদীতে ভারতের একতরফা বাঁধের কারণে যে এত সংকটের মূল এই কথাটা কেউ যেন মূখ ফুটে বলতে চায়না।
অথচ এই নদীমাতৃক দেশে এমনটা হবার কথা নয়। পানির স্তর নীচে নেমে গেছে? কেন?
নদীর সেই প্রবাহমানতা নেই বলেই। পানির স্বাভাবিক যে গতিতে পানির স্তর স্বাভাবিক থাকতো তা ৫৪টা নধীতে অবৈধ বাঁধ দেবার কারণেই ঘটছে।
এবং বাংলাদেশকে আগের মতো নদীমাতৃক জলে ভরভর সুন্দর, সুখি ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হলে নদী সমস্যা সমাধানে রাজনৈতিক দৃঢ় উদৌগ গ্রহণ করতেই হবে। নদী মাতৃক দেশের নদীতেই যদি প্রাণহারি বাঁধ থাকে তবে আর নদীর থাকেটা কি? অথচ লক্ষকোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে পানির স্তর সন্ধানের নামে, কারণ গবেষরা অনুসন্ধানের নামে। সরল নিরেট প্রাকৃতিক সত্যটাকে পাশ কাটিয়ে!!!!! মিনমিন করে পানি সমস্যা নিয়ে যেভাবে গদাই লস্করি চালে চলছে তাতে বাংলাদেশ মরুভূমিই হলে হতে পারে। অন্যকিছূ নয়।
নেপালের মতো কিংবা আরও দৃঢ়তায়, সাহসে, নিজের অধিকারের আওয়াজ তুলতে হবে।
অন্তর্জাতিক নদী কমিশন, জাতিসংঘ সহ প্রযোজ্য সকল প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করে নদীর ন্যায্য দাবী আদায় করতে হবে।
তবেই বাঁচবে বাংলাদেশ।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৬
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: বিদ্রোহী ভাই,
০১। সারফেইস ওয়াটার / ফ্রেশ ইনল্যান্ড ওয়াটার, ভূগর্ভস্ত পানি থেকে মিলিয়ন টাইমস বেশি গুরুত্ব পূর্ন। ভূগর্ভস্ত পানি যত বেশি তোলা হবে তত বেশি প্রাকৃতিক বিপর্যয় আসবে।
জলবায়ু পরিবর্তনের যে চ্যালেঞ্জ গুলো বাংলাদেশ (বেঙ্গল ডেল্টা) এর রয়েছে তার অন্যতম হলো সমতলে স্যালাইন পেনিট্রেশন (লোনা পানির ইনল্যান্ড পেনিট্রেশন), এতে করে পুরো কৃষি এবং জল জৈব বৈচিত্র (মাছ এবং অন্যান্য অণুজীব সহ) ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এর বাইরে রয়েছে- লোনা পানির আগ্রাসনে কৃষকের ফলন হারানো, বীজ বৈচিত্র নস্ট হবার ভয়।
০২। "ফারক্কার ন্যায্য অংশটা পেলেও বাংলাদেশের পানি সমস্যা ৫০ ভাগ দূর হয়ে যাবে। তিস্তা সহ বাকী ৫২টা নদীতে ভারতের একতরফা বাঁধের কারণে যে এত সংকটের মূল এই কথাটা কেউ যেন মূখ ফুটে বলতে চায়না।"
আপনার সাথে সম্পূর্ন সহমত। আন্তর্জাতিক নদীতে বাঁধ বঙ্গীয় ডেল্টার মরন ফাঁদ। বাংলাদেশ এর রাজনৈতিক বন্ধুর বিরুদ্ধে সরকার গুলো দৃশ্যত কিছুই করতে পারছে না। এই সরকার তো ভারর তোষণে বাংলাদেশের জল ও স্থল উদোম করে দিয়েছে। অথচ আওয়ামীলীগ যেহেতু ভারতের ঘনিষ্ঠ তাঁদেরই উচিৎ পানির ন্যায্য হিস্যা নিয়ে নিরন্তর কথা বলা।
গঙ্গা পানি চুক্তি একটা আশার বিষয় ছিল, কিন্তু ভারত প্রতরনা করছে, চুক্তি ২-৩ বছর মেনে এখন আর মানছে না। তিস্তার বিপরীতে একটার পর আরেকটা ট্রানজিট দাবি নিয়ে আসছে, সব পাওয়া হয়ে গেলে তখন তারা তিস্তা চুক্তি করবে, ১-২ বছর পানি আসবে, পরে আবার চুক্তি মানবে না।
গুগল ম্যাপে, গঙ্গা এবং তিস্তা ব্যারেজের এপাশ এবং ওপাশ মাঝে মাঝে দেখি, হৃদয় ভেঙ্গে যায়! এই বিশ্ব বড়ই নিষ্ঠুর! সামরিক শক্তি আর রাজনৈতিক অর্থনৈতিক ক্ষমতাই এখানে সব।
শীতের সময় প্লেন ল্যান্ডিং এর সময় যদি গাঙ্গেয় অববাহিকার বাংলাদেশ অংশের এরিয়াল ভিউ দেখে কেউ, যদি দেশপ্রেমিক হয় কেউ, তার চোখে পানি আসবে। আসলে তো নদী বলে তেমন কিছু নেই! আছে বিস্তৃত স্যান্ড বেসিন, কয়েটি মাত্র বৈচিত্র ময় অশ্ব খুরাক্রিতির পরিত্যাক্ত নদীর বাঁক!
০৩। জাতি হিসেবে কতটা স্ব স্বার্থ বিরোধী হলে, একটি দেশের প্রজন্মের পর প্রজন্ম ফারাক্কা এবং অন্যান্য মরন ফাঁদ নিয়ে বেখবর। এই লজ্জা আমাকে তাড়িয়ে বেড়ায়। খুব বয়স্ক না হলে ফারাক্কা কি এটা এদেশের তরুনরা জানেই না। আমাদের তথাকথিত জাতীয়তাবাদীরাও এগুলা জানে না।
তবে আলোচ্য আর্টিক্যাল এ পানি ব্যবহারের, ব্যবস্থাপনা সেন্স আনয়নের একটা সাধারণ আলোচনা টানা হয়েছে, দশ জন মিলে ভিন্ন ভিন্ন প্রস্তাবনা নিয়ে আসবে, ইন্টেলেকচুয়াল পর্জায়ে কিছুটা কথাবার্তা হবে, কিছু কথার রেফারেন্স থাকবে এই ভাবে সচেতনাতে সমাজের সামনে এগিয়ে নেয়া আরকি! (কত লেইম চিন্তা আমাদের, এমন একটা রাষ্ট্র আমাদের যেখানে আমাদের নাগরিকদের ভাবনা গুলো প্লেইস করার রাষ্ট্রীয় ফরাম নেই)।
ভালো থাকবেন।
৩| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০৮
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। বেশ কিছু বিষয় নতুন জানলাম। পরিকল্পনাগুলোও কার্যকর।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৯
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ভাই, অনেক ধন্যবাদ।
৪| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
অনেক বিষয়ে জানা হলো। চমৎকার পোষ্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ। +++
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২১
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: কান্ডারি ভাই, অনেক ধন্যবাদ।
৫| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: লেখক বলেছেন: ..............গুগল ম্যাপে, গঙ্গা এবং তিস্তা ব্যারেজের এপাশ এবং ওপাশ মাঝে মাঝে দেখি, হৃদয় ভেঙ্গে যায়! এই বিশ্ব বড়ই নিষ্ঠুর! সামরিক শক্তি আর রাজনৈতিক অর্থনৈতিক ক্ষমতাই এখানে সব।
শীতের সময় প্লেন ল্যান্ডিং এর সময় যদি গাঙ্গেয় অববাহিকার বাংলাদেশ অংশের এরিয়াল ভিউ দেখে কেউ, যদি দেশপ্রেমিক হয় কেউ, তার চোখে পানি আসবে। আসলে তো নদী বলে তেমন কিছু নেই! আছে বিস্তৃত স্যান্ড বেসিন, কয়েটি মাত্র বৈচিত্র ময় অশ্ব খুরাক্রিতির পরিত্যাক্ত নদীর বাঁক!
কি আর বলব?
আমাদের মিডিয়া গুলো যেন খালি নকলের মাঝেই সৃষ্টির আনন্দ খুজে পায়। আর দেশপ্রেম কেবলই ২৬ মার্চ, ১৬ ডিসেম্বরের বিশেষ অনুষ্ঠারে নামে পাওয়া বেশি বেশি বিজ্ঞাপন বিলে
অথচ দেশের প্রতি দায় থেকেই তাদের নিরবে নিভৃতে এইরকম হাজারটা প্রোগ্রাম করা উচিত যার আল্টিমেট রিজালে্ট উপকৃত হবে স্ব-দেশ। নদী, পানি, যোগাযোগ, সমুদ্র সম্পদ, মানব সম্পদ এরকম নানা বিষয়ে হাজারো নানামূখি অনুস।টান হতে পারে্ শর্ট ফিলম হতে পারে। ণ্যাশণাল জিউগ্রাফি শুধূই দেখেই! কিছূ শিখে বরে মনে হয় না।!
আমাদের মুভি আর নাট্য নির্মাতাদের কাছে বিষয় বলতেই সুরসুড়ি প্রেম, পরকিয়া,একটু খোলা মেলা , সেক্স পার্ভার্সন, সিনেমায় কনডম কিনা শট মারছে দেখাইয়া ভাবে আহ জাতির কত্ত উপকার করলাম!...
মৌলিক বিষয়গুলোর শেকড়ে গিয়ে অনুসন্ধান কই?
৬| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:১৭
starit বলেছেন: Nice helpful article to know more click the link Kent water purifier in Bangladesh
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সুপেয় পানির ব্যবহারে অবশ্যই মিতব্যায়ী সাশ্রয়ী এবং হিসেবী হতে হবে। তাতে কোন দ্বিমত-নেই।
তবে দেশের পানির মৌলিক সমাধানের জন্য নদী গুলোকে তাদের অধীকার ফিরিয়ে দিতে রাজনৈতিক উদ্যোগ বেশি জরুরী। আজ নদীগুলো সব মৃতপ্রায়! অথচ এই নদ-নদীই পানির সবচে বড় এবং নির্ভরযোগ্য আধার।
পাশাপাশি শহুরে জীবনে পানির অঢেল অপচয় রোধে অব্যশই সময় এসেছে অনেক বেশী পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের।