নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব,ইইই প্রকৌশলী। মতিঝিল আইডিয়াল, ঢাকা কলেজ, বুয়েট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র।টেলিকমিউনিকেশন এক্সপার্ট। Sustainable development activist, writer of technology and infrastructural aspects of socio economy.

এক নিরুদ্দেশ পথিক

সমাজের প্রতিটি ছোট বড় সমস্যার প্রকৃতি নির্ধারণ করা, আমাদের আচার ব্যবহার, সমাজের প্রচলিত কৃষ্টি কালচার, সৃষ্টিশীলতা, চারিত্রিক উদারতা এবং বক্রতা, অপরাধ প্রবৃত্তি, অপরাধ সঙ্ঘঠনের ধাঁচ ইত্যাদির স্থানীয় জ্ঞানের আলোকে সমাজের সমস্যার সমাধান বাতলে দেয়াই অগ্রসর নাগরিকের দায়িত্ব। বাংলাদেশে দুর্নীতি রোধ, প্রাতিষ্ঠানিক শুদ্ধিকরন এবং টেকনোলজির কার্যকরীতার সাথে স্থানীয় অপরাধের জ্ঞান কে সমন্বয় ঘটিয়ে দেশের ছোট বড় সমস্যা সমাধান এর জন্য লিখা লিখি করি। আমার নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি আছে কিন্তু দলীয় সীমাবদ্ধতা নেই বলেই মনে করি, চোর কে চোর বলার সৎ সাহস আমার আছে বলেই বিশ্বাস করি। রাষ্ট্রের অনৈতিক কাঠামোকে এবং দুর্নীতিবাজদের সবাইকে তীক্ষ্ণ ভাবে চ্যালেঞ্জ করার চেষ্টা করি। রাষ্ট্র কে চ্যালেঞ্জ করতে চাই প্রতিটি অক্ষমতার আর অজ্ঞতার জন্য, তবে আঘাত নয়। ব্যক্তিগত ভাবে নাগরিকের জীবনমান উন্নয়ন কে দেশের ঐক্যের ভিত্তিমূল মনে করি। ডাটাবেইজ এবং টেকনোলজি বেইজড পলিসি দিয়ে সমস্যা সমাধানের প্রোপজাল দেবার চেষ্টা করি। আমি মূলত সাস্টেইন এবল ডেভেলপমেন্ট (টেকসই উন্নয়ন) এর নিরিখে- অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ডিজাইন ত্রুটি, কৃষি শিক্ষা খাতে কারিগরি ব্যবস্থাপনা ভিত্তিক সংস্কার, জলবায়ু পরিবর্তন, মাইক্রো ইকনমিক ব্যাপার গুলো, ফিনান্সিয়াল মাইগ্রেশন এইসব ক্রিটিক্যাল ব্যাপার নিয়ে লিখার চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে চোরকে চোর বলার জন্য দুর্নিতি নিয়ে লিখি। পেশাঃ প্রকৌশলী, টেকনিক্যাল আর্কিটেক্ট, ভোডাফোন।

এক নিরুদ্দেশ পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিদ্যুৎ উৎপাদন রেকর্ড ২০১৫ঃ ক্যাপাসিটি অবজার্ভেশন ও উত্তরণের দিক সমূহ

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৪

বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড সামার পিক হিসেবে ৮,১৭৭ মেগা ওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড করেছে ১৩ আগস্ট ২০১৫ ইং তারিখে।



গ্রাফ ০১ ব্যাকগ্রাউন্ডঃ
বার গুলো যথক্রমে ৯ টি BPDB জোন এর পাওয়ার স্টেশনের নিমিনাল ইন্সটলেশন ক্যাপাসিটি (জোন এর গড়), একচূয়াল উৎপাদন সক্ষমতা (জোন এর গড়), ১৩ আগস্ট ২০১৫ এর একচুয়াল উৎপাদন (জোন এর গড়) এবং একই জোনে গড় বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের সংখ্যা দেখানো হয়েছে। উল্লেখ্য ১৩ আগস্ট ২০১৫ বাংলাদেশে রেকর্ড ৮১৭৭ মেগা ওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে।

Installed Capacity (Avg)-নীল বার, Derated Capacity (Avg)-মেরুণ বার, Actual Peak Evening (Avg)-সবুজ বার। Actual Peak Day-বেগুনী বার টা ভ্যালূ হিসেবে আনি নাই, বরং পাওয়ার স্টেশনের সংখ্যা দেখানোর জন্য ব্যবহার করেছি। যেহেতু ইভনিং পিক ডে পিক হতে বেশি, তাই ডে পিকের হিসেব অগুরুত্ব পুর্ন।

ক্যাপাসিটি অবজার্ভেশন

১। ৮১৭৭ মেগা ওয়াট বিদ্যুৎ উতপাদনে মোট ১০৮ টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র লেগেছে। (নোট- লং টার্ম মেইন্টেনেন্স এর আওতাধীন ৯ টি প্ল্যান্ট সহ মোট ১৬টি কেন্দ্র উৎপাদনে যায়নি কিংবা বন্ধ ছিল, মোট প্ল্যান্ট হিসেবে এই সংখ্যা ১১৭)। জ্বালানী ইফেসিয়েন্সি, ক্যাপেক্স এবং ওপেক্স সকল কস্ট হিসেবে এত অধিক সংখ্যক প্ল্যান্টের এর মাধ্যমে মাত্র ৮১৭৭ মেগা ওয়াট ডেলিভারি আন্তর্জাতিক স্টান্ডার্ড এ ঠিক কোন অবস্থানে রয়েছে, সেটা বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড এর ইভালূয়েশন করা টা গুরুত্ব পুর্ন।

২। ঢাকা খুলনা সিলেট রংপুর জোনের ডি-রেটেড ক্যাপাসিটির তুলনায় ইভনিং পিক যথেষ্ঠ কম! এটা এই জোন গুলোর নিন্ম উৎপাদন ইফিসিয়েন্সি কিংবা নিন্ম মেইন্টেনেন্স ইফিসিয়েন্সি নির্দেশক।


গ্রাফ ০২ঃ ইন্সটল্ড কিং ডি-রেটেড ক্যাপাসিটির সাথে ইভনিং পিক এর ডিফারেন্স

৩। বরিশাল (১ম) এবং রাজশাহী (২য়) জোনের একচুয়াল উৎপাদন ইন্সটল্ড কিংবা ডি-রেটেড ক্যাপাসিটির খুব কাছাকাছি, যা এই কেন্দ্র গুলোর বা জোনের উৎপাদন ইফিসিয়েন্সি কিংবা উচ্চ মেইন্টেনেন্স ইফিসিয়েন্সি নির্দেশক। এই ধরনের সক্ষমতা আনয়ন এবং সময়ের সাথে তা ধরে রাখা জোন গুলোর জন্য চ্যালেঞ্জ।

৪। কুমিল্লা জোনে ২০ টি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে ৬৪,১৫ মেগাওয়াট করে উৎপাদন করছে। জ্বালানী ইফেসিয়েন্সি, ক্যাপেক্স এবং ওপেক্স সকল কস্ট হিসেবেই এত বেশি ছোট ছোট কেন্দ্রের উপস্থিতির এই চিত্র খুব হতাশা জনক। রাজশাহী জোনে ১৩টি প্ল্যান্ট গড়ে ৫৮.৬৯ মেগাওয়াট করে উৎপাদন করছে।

৫। অন্তত ৮টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন সক্ষমতা এবং ইভনিং পিক ডেলিভারির পার্থক্য ছোখে পড়ার মত!


৬। লং টার্ম মেইন্টেনেস ২ টি খুব ছোট ( মাত্র ৩২ ও ৬৪ মেগাওয়াট) বিদ্যুৎ প্রকল্প রয়েছে যা অবাক করার মত।

৭। ১২ টি অতি নগন্য সক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে! এগুলো বা এধরনের প্ল্যান্ট বন্ধ করা জরুরী।



৮। রেকর্ড উৎপাদনের এর দিনে উৎপাদন ইন্সটল্ড প্ল্যান্ট এবং ডি রেটেড ইন্সটল্ড প্ল্যান্ট ক্যাপাসিটির যথাক্রমে ৬৮,৮৫% ও ৭২.৫%। এটা সম্ভবত জেনারেশন এবং মেইন্টেনেন্স ইন ইফিসিয়েন্সি বাস্তব নির্দেশক। উল্লেখ্য বাংলাদেশের মোট পাওয়ার প্ল্যান্টের ইন্সটল্ড হার্ড-ওয়ার ক্যাপাসিটি ১১,৮৭৭ মেগাওয়াট এবং প্ল্যান্ট গুলোর সম্মিলিত ডি-রেটেড ক্যাপাসিটি ১১২৮২ মেগাওয়াট।


ব্যাখ্যাঃ আমাদের পুরানা গ্যাস জেনারাটর গুলোর ইফিসিয়েন্সি মাত্র ২৫-৩০% (ম্যাক্স)। কারন মেয়াদ উত্তীর্ন বিদেশি গ্যাস জেনারেটর ক্রয়, শুধু প্ল্যান্ট চ্যাঞ্জ করে বা আধুনিক প্ল্যান্ট দিয়ে প্রায় অর্ধেক গ্যাস বেইজড প্ল্যান্ট থেকে একই ফুয়েল খরচে দ্বিগুন বিদ্যুৎ পাওয়া যায়।

৯। বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ডঃ প্রতিটি গ্রীষ্ম কালীন মাসেই এক একটি নতুন রেকর্ড কাম্য, যা কন্টিনিউয়াস ডেভেলপমেন্ট এবং ইফিসিয়েন্সি নির্দেশক।


[প্রাসঙ্গিক একটা কথা বলি,
গত তত্তাবধায়ক আমলে জাইকার অর্থায়নে চমৎকার একটা কাজ হয়েছে, পাওয়ার জেনারেশন এ জাপানি ডিজাইনাররা একটা মাস্টার প্ল্যান বানিয়ে দিয়েছিল। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর এটি বাস্তবায়ন শুরু করেছে, এটা খুব ভালো বিষয়।

(০১। কুইক রেন্টাল এর অতি দীর্ঘ লাইফ টাইম এর চুক্তি, ০২। কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ এর রেট দিয়ে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং বাজেটে এর ভর্তুকি প্রভিশন রাখা, ০৩। কুইক রেন্টাল প্ল্যান্ট গুলো বিদেশ থেকে কিনা পুরানো জেনারেটর,এগুলো জ্বালানী সাশ্রয়ী না, এগুলোর ম্যাক্স ইফিয়েসিয়েন্সি ২০-২৫%। এই তিনটি বিষয় বিদ্যুৎ খাতের হোল!) লো পার্ফর্মিং প্ল্যান্ট গুলোর অনেক কটাই কুইক রেন্টাল, এই ফাঁদ থেকে মুক্তি জরুরি।

ফাইনালি, প্রাইম মিনিস্টার বুঝতে পেরেছেন পাওয়ার (ইলেক্ট্রিসিটি!) দরকার, এটা একটা ভালো দিক। যেটা আগের সরকার বুঝেই নাই! ]


আমরা চাই, বিদ্যুৎ খাত দুর্নীতি মুক্ত হোক।
মেইন্টেনেন্স সহ যে যে কারিগরি খাত গুলোতে নজর দিলে ইফিসিয়েন্সি বাড়বে, তা সততার সাথে করা হোক।

অতি ইনভেস্ট ইনভল্ভড এই খাত অতি দুর্নীতি থেকে মুক্ত হয়ে উপর্জপুরি বিকশিত হোক,
বাংলাদেশ এগিয়ে যাক!



ডেটা সোর্সঃ বি পি ডি বি ডেইলি পাওয়ার জেনেরেশন, ১৩ অগাস্ট ২০১৫ দিনের।
ডেটা প্রসেসঃ ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, সবাক নির্বাক স্ট্যাডি। ​

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এখন মফস্বলেও বিদ্যু যায় না।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৯

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আমি সেপ্টেম্বর-অক্টবরে ২ সপ্তাহ টানা গ্রামে থেকে এসেসি। সন্ধ্যা হলেই বিদ্যুৎ যায় এক থেকে দেড় ঘন্টা পর আসে, এটা নিয়মতিই। ওভার-অল সিসুয়েশন ইম্প্রুভ করেছে। আগের চেয়ে কম যায়। আগে প্রায়ই মাগ্রিবের আজানের পর থেকে টানা রাত ১০টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাক্তো না। তবে এটা এই ব্লগের আলোচ্য বিষয় না।

ভাই, প্লিজ সাধারণ কমেন্ট না করি, এসব রাজনীতির লোকেরা করে। বরং ব্লগ আর্টিকেলের কন্টেন্ট এর উপর কমেন্ট করি। অনেক শ্রম সাপেক্ষ লিখা, ডেটা প্রসেস করা অনেক সময় সাপেক্ষ। আমরা ফোকাস করছি, গ্রাউন্ড প্রিপারেশন কেমন, ইম্প্রুভমেন্ট অপরচুনিটি কোথায়, এইসব।

ধন্যবাদ।

২| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৮

নতুন বলেছেন: বিদ্যুৎ না থাকলে দেশ কখনোই উন্নতি করতে পারবেনা। তেমনি জোর দেওয়া দরকার ইন্টারনেটের ক্ষেত্রেও...

সৌর বিদ্যুৎ আমাদের দেশে অনেক ভাল একটা বিষয় হবে...

কিন্তু এখন দরকার নিজেদের বিদ্যুৎ উতপাদন শুরু করা... দেশী বিদ্যুৎ উতপাদন কেন্দ্রগুলিকে উন্নত করা যাতে আমাদের কুইকরেন্টালের বিদ্যুৎ কিনতে না হয়...

এটাতে কিছু পরিবারের পকেটে সারা দেশের পয়সা চলে যাচ্ছে। এই দূনিতি থেকে এখন বের হয়ে আসা দরকার।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৮

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: সৌর বিদ্যুৎ আমাদের দেশে অনেক ভাল একটা বিষয় হবে...

ভাই, ঠিক আসল কথা বলেছেন, এক লাইনে। এটা নিয়ে একটা লিখা জার্নাল আকারে লিখবো, আংশিক লিখা হয়েছে। এই ব্লগও তারই প্রিপারেশন।

রিনিউ এবল এনার্জি খাত গুলোর মধ্যে সৌর বিদ্যুৎ ই আমাদের জন্য সাস্টেইনেবল, আমাদের রয়েছে ইরশনীয় সোলার রিসোর্স, যা নিয়ে ইউরোপের অনেক দেশ আফসোস করে। এর বিপরীতে আমাদের নেই ইউন্ড রিসোর্স।

সোলার ওয়েস্ট কে কভার করে, সোলার এনার্জি প্ল্যান্ট স্থাপন সহজীকরন, লোকাল প্যানেল ম্যানুফ্যাকচারিং এইসব নিয়ে গুরুত্ব দেয়া দরকার। ব্যক্তিগত পর্জায়ে সোলার এনার্জি উৎপাদন এবং সেইল করার সুযোগ দেয়ার, কিংবা গ্রীডে পাঠানোর জন্য স্মার্ট গ্রীড করার দিকে নজর দেয়াই দূরদৃষ্টি সম্পন্ন!

৩| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৬

নতুন বলেছেন: ব্যক্তিগত পর্জায়ে সোলার এনার্জি উৎপাদন এবং সেইল করার সুযোগ দেয়ার, কিংবা গ্রীডে পাঠানোর জন্য স্মার্ট গ্রীড করার দিকে নজর দেয়াই দূরদৃষ্টি সম্পন্ন!

বিদেশের বিভিন্ন দেশে গ্রীড টাইআপ এর ব্যবস্তা আছে....

সবাই ঘরের উপরে সোলার প‌্যানেল লাগিয়ে দিনের বেলায় বিদ্যুৎ উতপাদন করে তা নিজে ব্যবহার করে এবং গ্রিডে বিক্রি করে... আর রাতে গ্রিডের বিদ্যুৎ ব্যবহার করে...

আমাদের দেশে এই আইন করে সবাইকে নিজের বাড়িতে বিদ্যুৎ উতপাদন করার জন্য ব্যাংক লোনের ব্যবস্তাও করা উচিত.. :)

লিখুন..এটা নিয়ে সচেতনা দরকার।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৩

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ, ভাইয়া।

ব্যক্তি গত খাতে সোলার প্ল্যান্ট বসানো এবং এলাকা ভিত্তিক সেইল কিংবা আরো ভালো হল ন্যাশনাল গ্রীড এ বিদ্যুৎ প্রদানের মত সুযোগ দিলে অনেকেই এই খাতে ইনভেস্ট করবে। কিন্তু সে জন্য মেলা সঞ্চালন (পাওয়ার ট্রান্সমিশন) প্রিপারেশন দরকার, স্মার্ট গ্রীড দরকার, পিক অফ পিক রেইট ভিন্নতা আনা দরকার, যাতে পিকে বিদ্যুৎ উৎপাদন কে এঙ্কারেজ করা যায়। তারপর আছে এলাকা ভিত্তিক ডিসি সঞ্চালন লাইনের মত আইডিয়া।

তাছাড়া আছে, আপনি যা বললেন, ব্যাংক লোন কমানো, প্রবাসীদের উৎসাহিত করা। একটা ব্যাড এযাম্পলও দেয়া যায়- কালো টাকা এই খাতে এনে সাদা বানানো (যেমনটা আবাসন খাতে নেয়া হয়েছে)।

আসলে সরকার চাইলে এই খাতকে ব্যক্তি পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে বিভিন্ন প্রনোদনা দিয়ে। কথা হচ্ছে তাঁরা চান কিনা?

যেহেতু সরকার কোন কাজে হাত দিলেই খরচ ১০ গুন পড়ে, দুর্নীতি ঝেকে ধরে, তাই সোলার সেক্টর এর মত ব্যক্তি খাতে দেয়া যায়।

৪| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫৮

নতুন বলেছেন: এই বিষয়টা খুব দ্রুতই সম্ভভ যদি দেশপ্রেম, সততা এবং আন্তরিকতা নিয়ে কেউ কাজ করে তবে

সবই সম্ভব...

নতুন আইন করতে হবে যাতে আপনি নিজের ছাদে উতপন্য বিদ্যুৎ বিক্রি করতে পারেন গ্রীডে...
লোন দেওয়া হবে যাতে আপনি নিজের ছাদে সোলার প‌্যানেল বসাতে পারেন।
লোন দেওয়া হবে যাতে আপনি মানুষের বাড়িতে সোলার প‌্যানেল বসিয়ে বিক্রির ব্যবসা করতে পারেন।

স্মাটগ্রীডের জন্য দরকারী জিনিসে টেক্স কমানো এবং এই খাতে সবাইকে উতসায়িত করতে পারলে কত নতুন চাকুরী সৃষ্টি হবে??

এর জন্য দরকার ভিষনারি একজন নেতা... এমন কেউই আছে কিনা সন্দেহ আছে.. :(

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩১

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: সহমত।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৫| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


কুইক রেন্টালের ফাঁদ থেকে মুক্ত হওয়াটা খুব বেশি জরুরী। সাময়িক লাভের চেয়ে দীর্ঘমেয়াদী সুফল অর্জন করাটাই অধিকতর যৌক্তিক। পাওয়ার ইলেক্ট্রিসিটি যদি বাস্তবায়ন করা পুরোপুরি সম্ভব হয় তবেই বলবো এই সরকার আগের সরকারের তুলনায় সফল। আর দুর্নীতি সব আমলেই সক্রিয়। এ থেকে এখন পর্যন্ত পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব হয়নি। বরং অনেক ক্ষেত্রেই তা পূর্বের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। অথচ যেখানে বিদ্যুৎ সেক্টর হওয়া উচিত সম্পূর্ণ দুর্নীতি মুক্ত সেই সেক্টর সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত।

তবে পাওয়ার ইলেক্ট্রিসিটি যদি সৌর নির্ভর হয় সেক্ষেত্রে সেটাকে হতে হবে সুলভ মূল্যের। নতুবা অনেকেই এই সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারবেনা। সেক্ষেত্রে এইটা শুধু একটি শ্রেণী বিশেষের জন্যই হয়ে যাবে। আর যদি সুন্দরবনে কয়লা বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের কথা ভাবা হয়, তাহলে বলতে হয় বুল শিট এক প্রকল্প এইটা।

ধন্যবাদ ভাই, আপনার এমন কষ্টসাধ্য একটি পোষ্টের জন্য।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১২

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ। আশা করি "সোলার এনার্জি কথামালা" নিয়ে শীগ্রই আস্তে পারবো!

৬| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৩

যান্ত্রিক বলেছেন: খুব গুরুত্বপূর্ণ ও শ্রমসাধ্য লেখা লিখেছেন। এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
বাংলাদেশের গোল্ডেন এনার্জি সোর্স হলো সৌরবিদ্যুৎ ও বায়োগ্যাস।
বাংলাদেশের অবস্থান সৌরবিদ্যুৎ উতপাদনের জন্য খুবই কার্যকরী। একই সাথে বিপুল পরিমাণে জৈব বর্জ্য বায়োগ্যাসের উতপাদনের জন্য সব সময়েই মজুদ আছে। সরাসরি ল্যন্ডফিল গ্যাস ব্যবহার করে বা খামারভিত্তিক ও মিউনিসিপ্যাল জৈব বর্জ্য ব্যবহার করে একই সাথে গ্যাস ও বিদ্যুতের চাহিদা মেটানো সম্ভব।
এর জন্য দরকার সঠিক পরিকল্পনা আর সরকারের সদিচ্ছা।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৭

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: বাংলাদেশের গোল্ডেন এনার্জি সোর্স হলো সৌরবিদ্যুৎ ও বায়োগ্যাস।
বাংলাদেশের অবস্থান সৌরবিদ্যুৎ উতপাদনের জন্য খুবই কার্যকরী। একই সাথে বিপুল পরিমাণে জৈব বর্জ্য বায়োগ্যাসের উতপাদনের জন্য সব সময়েই মজুদ আছে। সরাসরি ল্যন্ডফিল গ্যাস ব্যবহার করে বা খামারভিত্তিক ও মিউনিসিপ্যাল জৈব বর্জ্য ব্যবহার করে একই সাথে গ্যাস ও বিদ্যুতের চাহিদা মেটানো সম্ভব।


আন্তরিক ধন্যবাদ। খুবই উচ্চমান মন্তব্যের জন্য। সময় পেলে আরো বিস্তারিত মত দিবেন।

৭| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৩

চলতি নিয়ম বলেছেন: সুন্দর লেখা।
আমাদের রয়েছে ইরশনীয় সোলার রিসোর্স, যা নিয়ে ইউরোপের অনেক দেশ আফসোস করে। আসলেই কি তাই? কিভাবে? একটু বিস্তারিত বলা যাবে কি? আমার তো মনে হয় আমাদের যথেষ্ট জায়গা সংকট রয়েছে। আর সোলার এনার্জি শুধু গ্রাম অঞ্চলের জন্য ভালো সমাধান। শহরের বাসিন্দাদের ডিমান্ড মিট করতে পারবে?

অতি জরুরি পিক/অফ পিক এর দাম আলাদা করা দরকার। কুইক রেন্টাল সেই সময়ে জন্য একমাত্র সমাধান ছিলো, যেটা খুব শীঘ্রই বন্ধ করা উচিত।

আর বাংলাদেশে ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশনের জন্য জে পরিমানে বিদ্যুত দরকার সেটার জন্য থার্মাল পাওয়ার প্লান্টের বিকল্প কিছু আছে বলে মনে হয় না।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৬

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন:

১। সোলার ইর‍্যাডিয়েন্স এ বাংলাদেশের অবস্থা প্রায় মাঝামাঝি, ইউরোপের অবস্থান একেবারেই নিচে। শীতের দিনের গড় দৈর্ঘ্য ইউরোপ থেকে আমাদের অনেক বেশি, পশ্চিম ইউরোপের বছর মেঘলা এবং ড্রিজলিং আবহাওয়া থাকে, তাঁর পরেও লম্বা সামার ডের উপর ভর করে তারা সোলার এ ঝুঁকছে। তাদের সরকার গ্রীন এনার্জির উপর নানা বিধ প্রনোদনা দিচ্ছে।

তার উপর জলবায়ু পরিবর্তনের কারনো আমাদের রোদের সময়কাল এবং প্রখরতা বাড়ছে।

২। ইউন্ড সার্ভে ম্যাপিং এ বাংলাদেশের অবস্থা আসলেই খুব খারাপ, পাইলট উইড প্ল্যান্ট এ দেখা গেসে প্রাই সময় পাখা ঘুরেই না! বাতাসের গতিবেগের সাথে কিউবিক রিলেশনে বিদ্যুৎ উতপন্ন হয়। আমাদের উইন্ড এনার্জি ফিউচার নাজুক।

৩। কুইক রেন্টাল সেই সময়ে জন্য সাময়িক সমাধান ছিল, কিন্তু যখন প্ল্যান্ট এর চুক্তি ৬-৭ বছর কিংবা ১০ বছর থাকে তখন, থ্যাট ডাজ নট মেইন এনি ফিন্যান্সিয়াল সেন্স।

৪। থার্মাল পাওয়ার বলতে কোল বুঝাচ্ছেন? তাইলে সহমত। আমদানি নির্ভর এবং পরিবেশ বান্ধব হলে ভালো হয়।
কিছু লোকে জিও থার্মাল নিয়ে কথা বলেন। অতি সীমিত উৎপাদন ছাড়া তেমন কাজের কিছু হবে আমাদের ভূ-গর্ভস্ত জিও এনভায়রন্মেন্ট এ।

আন্তরিক ধন্যবাদ।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩২

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।

৮| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৯

যান্ত্রিক বলেছেন: আমার মন্তব্যকে গুরুত্ব দেয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আসলে বায়োগ্যাস নিয়ে আমি বেশ কয়েক বছর চিন্তা-ভাবনা করে নানা রকম প্ল্যানিং দাঁড় করিয়েছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো যখনই কোন ব্যবসায়ীকে দেখিয়েছি ইনভেস্টমেন্ট পাওয়ার আশায় তারা কেউই গুরুত্ব দেয়নি। এমনকি সরকারের উচ্চ পর্যায়েও কথা বলেছি কিন্তু বিষয়টা নিয়ে কেউই সিরিয়াস না। তাই কিছুটা হতাশ। তবে হয়তো প্রয়োজনের তাগিদেই সরকারী বা বেসরকারী পর্যায় থেকেই এই উদ্যোগ আসবে। ততদিন ওয়েট করব।
এখন সংক্ষেপে এই বিষয়ে বলি,

প্রথমেই, আমাদের বিভিন্ন সিটি কর্পোরেশনের অন্যতম মূল সমস্যা হলো মিউনিসিপ্যাল বর্জ্য। আর তাদের কাজ হলো সেই বর্জ্যকে হয় নদীতে ফেলে নদী দূষণ ঘটানো বা ল্যান্ডফিলে ডাম্পিং করা বা রাস্তার পাশে ফেলে রাখা।
কিন্তু আমার আইডিয়া হলো, সরাসরি ল্যান্ডফিল গ্যাস ব্যবহার করে গ্যাস বা ইলেক্ট্রিসিটি প্রোডিউস করা অনেকটা এরকম করে
এক্ষেত্রে প্রধান মাথাব্যথা হলো প্লাস্টিক। এখন অনেক ধরণের প্লাস্টিকই রিসাইকেল করা যায়। আবার কিছু দিয়ে সরাসরি ক্রুড অয়েল উতপাদন করা যায়। আরো ব্যবহার আছে, বিস্তারিত বললাম না।
আর লং টাইম প্ল্যানিং-এ বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সরাসরি পরিবর্তন আনতে হবে। সামাজিকভাবে মানুষকে উদ্বুদ্ব করতে হবে জৈব বর্জ্য আর প্লস্টিক ও মেটাল বর্জ্য আলাদা করে ফেলতে। এটা খুবই সম্ভব, শুধু সরকারের সদিচ্ছা দরকার।

দ্বিতীয়ত, খামার ও এলাকাভিত্তিক বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট তৈরী করে তা দিয়ে সিএনজির বিকল্প তৈরী করা ও যানবাহনে সাপ্লাই দেয়া ( অনেকটা এরকম )। এটা বেসরকারী উদ্যোগেও করা সম্ভব তবে ভালো ইনভেস্টমেন্ট দরকার।
এছাড়াও এটা থেকে ইলেকট্রিসিটি প্রোডিউস করে ন্যাশনাল গ্রিডেও দেয়া সম্ভব।

এরকম আরো আইডিয়া নিয়ে ঘুরিফিরি, কিন্তু বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা চায় ঝালমুড়ি বেচতে, তাদের দৌড় ঐ পর্যন্তই, দুঃখজনক।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৮

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: বিস্তারিত মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা।
১।
কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো যখনই কোন ব্যবসায়ীকে দেখিয়েছি ইনভেস্টমেন্ট পাওয়ার আশায় তারা কেউই গুরুত্ব দেয়নি। এমনকি সরকারের উচ্চ পর্যায়েও কথা বলেছি কিন্তু বিষয়টা নিয়ে কেউই সিরিয়াস না।

ভেঞ্চার ইনভেস্টমেন্ট নেই ব্যাংক গুলোর কিংবা সরকারের, তাই বিজনেস আইডিয়াতে ইনভেস্ট করার ব্যবসায়িক কালচার গড়ে উঠেনি, সময় লাগবে আরো। বিকল্প হচ্ছে সরকার কিছু পাইলট করে উৎপাদনশীলতা এবং প্রফিটিবিলিটি টা উদ্যোক্তাদের সামনে নিয়ে আস্তে পারে। তৃতীয় বিশ্বের দেসে নিউ প্রডাক্টিভ প্ল্যান এভাবেই সমাজে নিয়ে আস্তে হয়।

হতাশ হবেন না, নিজের আইডিয়ার উপর কাজ করে সেটাকে দিন দিন ম্যাচিউর করে তুলুন, একদিন কাজে আসবে ইনশাল্লাহ।

২। LFG খুবই ভালো প্ল্যান। পাইলট করা দরকার খুব খুব।

৩। উৎস থেকে ক্ল্যাসিফাইড বর্জ্য ব্যবস্থাপনা খুবই দরকার। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে আমার কিছু আইডিয়া দিয়েছি। সময় হলে দেখবেন আশা করি।

এটা সিটি কর্পোরেশনের নিজের কাজ শৃঙ্খলিত কিংবা কমানোর জন্যই দরকার। পরিবেশের তো বটেই।

৪। প্লাস্টিক এর রি-ইউজ হচ্ছে। কিন্তু উৎস থেকে প্ল্যাসিফাই করে LFG কন্সেপ্ট এগিয়ে নেয়া যায় অনেক দ্রুত।

৫। বায়ো সি এন জি- অসাধারন আইডিয়া। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। বায়োগ্যাস অনেকেই করেছেন, কিন্তু লোক প্রিয়তা পায়নি, তাছাড়া রান্নায় দুর্ঘন্ধ জনিত কারনে গৃহিণীরা পছন্দ করেননি। একই প্ল্যান্ট এর জাতক লিকুইফাইড করে ফেলার আইডিয়া অসাধারণ। তবে ব্যক্তি পর্যায়ে করলে পুষিয়ে উঠা যাবে না। লিকুইফাইড এর জন্য কমিউনিটি প্ল্যান্ট (প্রতি উপজেলায় একটি) করার প্রোনদনা দিতে পারে সরকার। আর অবশ্যই বায়োগ্যাস এবং এলেঞ্জি ট্রান্সপোর্টেশন এর চ্যাম্বার এবং পরিবহণ মিডিয়াম গুরুত্বপুর্ন।

বিস্তারিত মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা।

৯| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৩:৫৬

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রেখে লোডশেডিং

১০| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৩:৫৬

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: সঞ্চালন ও বিতরণ দুর্বলতায় ঢাকা পড়ছে বিদ্যুতের সাফল্য

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.