নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব,ইইই প্রকৌশলী। মতিঝিল আইডিয়াল, ঢাকা কলেজ, বুয়েট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র।টেলিকমিউনিকেশন এক্সপার্ট। Sustainable development activist, writer of technology and infrastructural aspects of socio economy.

এক নিরুদ্দেশ পথিক

সমাজের প্রতিটি ছোট বড় সমস্যার প্রকৃতি নির্ধারণ করা, আমাদের আচার ব্যবহার, সমাজের প্রচলিত কৃষ্টি কালচার, সৃষ্টিশীলতা, চারিত্রিক উদারতা এবং বক্রতা, অপরাধ প্রবৃত্তি, অপরাধ সঙ্ঘঠনের ধাঁচ ইত্যাদির স্থানীয় জ্ঞানের আলোকে সমাজের সমস্যার সমাধান বাতলে দেয়াই অগ্রসর নাগরিকের দায়িত্ব। বাংলাদেশে দুর্নীতি রোধ, প্রাতিষ্ঠানিক শুদ্ধিকরন এবং টেকনোলজির কার্যকরীতার সাথে স্থানীয় অপরাধের জ্ঞান কে সমন্বয় ঘটিয়ে দেশের ছোট বড় সমস্যা সমাধান এর জন্য লিখা লিখি করি। আমার নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি আছে কিন্তু দলীয় সীমাবদ্ধতা নেই বলেই মনে করি, চোর কে চোর বলার সৎ সাহস আমার আছে বলেই বিশ্বাস করি। রাষ্ট্রের অনৈতিক কাঠামোকে এবং দুর্নীতিবাজদের সবাইকে তীক্ষ্ণ ভাবে চ্যালেঞ্জ করার চেষ্টা করি। রাষ্ট্র কে চ্যালেঞ্জ করতে চাই প্রতিটি অক্ষমতার আর অজ্ঞতার জন্য, তবে আঘাত নয়। ব্যক্তিগত ভাবে নাগরিকের জীবনমান উন্নয়ন কে দেশের ঐক্যের ভিত্তিমূল মনে করি। ডাটাবেইজ এবং টেকনোলজি বেইজড পলিসি দিয়ে সমস্যা সমাধানের প্রোপজাল দেবার চেষ্টা করি। আমি মূলত সাস্টেইন এবল ডেভেলপমেন্ট (টেকসই উন্নয়ন) এর নিরিখে- অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ডিজাইন ত্রুটি, কৃষি শিক্ষা খাতে কারিগরি ব্যবস্থাপনা ভিত্তিক সংস্কার, জলবায়ু পরিবর্তন, মাইক্রো ইকনমিক ব্যাপার গুলো, ফিনান্সিয়াল মাইগ্রেশন এইসব ক্রিটিক্যাল ব্যাপার নিয়ে লিখার চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে চোরকে চোর বলার জন্য দুর্নিতি নিয়ে লিখি। পেশাঃ প্রকৌশলী, টেকনিক্যাল আর্কিটেক্ট, ভোডাফোন।

এক নিরুদ্দেশ পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা এবং জ্বালানী ইফেসিয়েন্সিতে এক্সসিলেন্স আনার কিছু প্রাসঙ্গিক কথামালা

১৩ ই মে, ২০১৬ রাত ৩:৪৮

লিখায় প্রবেশের পুর্বে বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি নিয়ে আমার পূর্বের লিখা গুলোর দেখে নিবার আমন্ত্রণ।

বিদ্যুতের চাহিদা এবং বাস্তবতা
বিদ্যুৎ উৎপাদন রেকর্ড ২০১৫ঃ ক্যাপাসিটি অবজার্ভেশন ও উত্তরণের দিক সমূহ
পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যান ২০১০ এবং বাংলাদেশের জ্বালানী নিরাপত্তা- একটি সাধারণ রিভিউ
কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নীতি, বিগ-বি এবং রাষ্ট্রীয় অঙ্গীকার

বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা এবং জ্বালানী ইফেসিয়েন্সি

এনার্জি মিক্স ২০৩০ এর উৎপাদন পরিকল্পনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ অবাকাঠামো

১। ইন্টিগ্রেটেড স্মার্ট গ্রিড-এনার্জি মিক্স ২০৩০ এর উৎপাদন পরিকল্পনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ রেখে ইন্টিগ্রেটেড স্মার্ট গ্রিড ডিজাইন এবং বাস্তবায়ন শুরু করা চাই ২০২১ এর মধ্যেই, সুস্পষ্ট বাস্তবায়ন শেষের টার্গেট রোডম্যাপ সহ। এই পরিকল্পনা অবশ্যই আর্বান, সাব আর্বান এবং রুরাল সকল স্তরে কমার্শিয়াল এবং হোম সলিউশনের কাস্টমারের জন্য গ্রীড টাই আপ সোলার মডেল এবং অন্য যে কোন ব্যক্তি কিংবা বিজনেস পর্জায়ের নবায়ন যোগ্য শক্তির গ্রিডে সরবারোহ উপযোগী হতে হবে।

২।প্রত্যন্ত অঞ্চলে নবায়নযোগ্য উৎসকে প্রাধান্য দেয়া-দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেখানে এখনও কার্জকর এবং সক্ষম ক্যাপাসিটির সঞ্চালন ইনফাস্ট্রাকচার নেই সেখানে বিকল্প সোলার বা অন্য নবায়নযোগ্য শক্তির অনুকূলে কমিউনিটি গ্রীড এবং বিতরণ ব্যবস্থা সাজানো (এমনকি ডিসি সঞ্চালন এর কমিউনিটি গ্রিড যেটা ব্যবসা বান্ধব) । তার সাথে সমন্বয় রেখে ডিসি বিদ্যুৎ উপযোগী এপ্ল্যেন্স প্রোমোশনের প্ল্যান।

৩। বেইজ লোড প্ল্যান্টকে প্রাধান্য দেয়া- বর্তমানের গ্রীষ্মকালীন চাহিদাকে (সামার ডে অফ পিক) বেইজ লোড ধরে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় শুধু মাত্র হাই প্ল্যান্ট ফ্যাক্টর (১০০ ঘন্টায় যতক্ষণ প্ল্যান্ট প্রোডাকশনে থাকে বা দিনের যত% সময়ে প্ল্যান্ট অপারেশনে থাকে) সম্পন্ন জেনারেশন প্ল্যান্ট রাখা। বেইজ লোড পাওয়ার প্ল্যান্ট ডিজাইন এবং বাস্তবায়নে বেশি মনযোগী হওয়া। উল্লেখ্য বর্তমানের পুরো সঞ্চালন সক্ষম লোডই বেইজ লোড, ইভনিং পিক আওয়ারের লোড ডেটা হচ্ছে একটা ক্লিপ অফ লিমিট যা নিন্ম সঞ্চালন এবং বিতরণ ক্যাপাসিটির কারনে বাড়তে পারছে না। উৎপাদনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে সঞ্চালন এবং বিতরণ মহাপরিকল্পনা তৈরি জরুরি।

লোড ডিমান্ডকে আঞ্চলিক (ইন্ডাস্ট্রিয়াল, আর্বান এবং রুরাল) চাহিদা মোতাবেক, আবাসন- কর্পোরেট-এস এম ই এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল চাহিদা মোতাবেক ভিন্ন ভিন্ন ভাবে ক্লাসিফাইড করে আলাদা আলাদা গ্রোথ ফ্যাক্টর সহ নির্ণয় করতে হবে। উদাহরণ স্বরূপ গ্রীষ্ম কালীন সময়ে ভোর রাতে ( রাত ৩ টা - ৪ টা) পিউর ইন্ডাস্ট্রিয়াল লোড এর ডেটা এনালাইসিস করে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিমান্ড এর পিক এবং অফ পিক এবং এদের ট্রেন্ড এনালাইসিস করে তার গ্রোথ বের করতে হবে। এই বহুবিধ লোড ট্রেন্ড গুলোর সমন্বয়ে দেশের চূড়ান্ত বিদ্যুৎ (তড়িৎ প্রবাহ) চাহিদা এবং চাহিদার ট্রেন্ড বের করার এক্সসিলেন্স অর্জন করতে হবে। এই আঞ্চলিক, ডোমেইন এবং কেন্দ্রীয় ডিমান্ড এবং ডিমান্ড ট্রেন্ড গুলোর আলোকে যথাযথ ডাইমেনশনিং অনুযায়ী দেশের বিদ্যুৎ উতপাদন-সঞ্চালন-বিপণন ব্যবস্থার সমন্বিত ডেভেলপমেন্ট এর মহা পরিকল্পনা এগিয়ে নিতে হবে। শুধু মাত্র এই ধরনের সমন্বিত উন্নইয়নকেই বিদ্যুৎ খাতে টেকসই উন্নয়ন বলা যাবে।

৪। পিক অফ পিক ইউনিট রেট ভিন্নতা- লোড শেডীং জঞ্জাল মুক্ত হয়ে ক্যাপাসিট গ্রোথ স্বাভাবিকে আসার রোডম্যাপ চাই ২০২১ এর মধ্যে, তার পর পিক অফ পিক ইউনিট রেট ভিন্নতা এনে অফ পিকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশনকে এঙ্কারেজ করার পরিকল্পনা তৈরি করা চাই। আলাদা আলাদা ভাবে হোম, বিজনেস এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল লোড প্যাটার্ন এবং তার গ্রোথ ডাইমেনশনিং এর অনুকূলে সঞ্চালন এবং বিতরণ অবকাঠামো পরিকল্পনা দরকার। এই ডাইমেনশনিং এর সাথে ইকোনোমিক গ্রোথ টার্গেটকে সমন্বিত রাখা চাই।

৫।ইকোনোকিম জোনকে ইন্টিগ্রেটেড রাখা / প্রিপেইড প্রিমিয়াম সংযোগ লাইন চালু- ইপিজেড গ্রোথ, প্রস্তাবিত এসইজেড লোড এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের অনুকূলে উচ্চ ক্যাপাসিটির নিরবিচ্চিন্ন সঞ্চালন এবং বিতরণ কাঠামো গড়ে তোলা। শিল্প উৎপাদন এঙ্কারেজ করতে ইউনিট রেট কমিয়ে বা সহনীয় করে নিরবিচ্চিন্ন বিতরণের গ্যারান্টি ক্লজ সহ প্রিপেইড প্রিমিয়াম সংযোগ লাইন (প্রিপেইড) চালুর সমীক্ষা, ডিজাইন এবং ডিজাইন বাস্তবায়ন পরিকল্পনা করা।
প্রিপেইড অটোমেশনে ম্যানুয়াল ইন্টারভেশন এবং ইনপুটের ব্যবস্থা না রাখা, পোস্ট পেইড বিলিং পুরোপুরি বিলোপ করা।

ইপিজেড গ্রোথ এবং এস-ইপিজেড পরিকল্পনার অনূকূলে উৎপাদন এবং সঞ্চালন পরিকল্পনা সাজানো

৫ক। বিনিয়োগের পূর্বশর্ত হিসেবে শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ, পর্যাপ্ত গ্যাসসহ অবকাঠামো সুবিধা এবং পাশাপাশি নিরাপত্তার বিষয় পরিকল্পনায় ইপিজেডগুলোকে তৈরি করা হয়েছে। তবে হোরাইজোন্টাল স্থাপনার মডেলে স্পেইস বরাদ্দ দিবার কারনে বর্তমানে ঢাকা এবং চট্টগ্রাম ইপিজেডে স্পেইস সংকুলান নেই। কিন্তু একই প্রতিষ্ঠানের প্রডাকশন কন্সলিডেট করে সেখানে প্রোডাক্টিভিটি আনার জন্য বিদ্যুৎ এবং গ্যাসের ক্যাপাসিটি গ্রোথের অনুকূলে সঞ্চালন এবং বিতরণ ব্যবস্থা আপগ্রেড করা দরকার।

৫খ। মংলা, কুমিল্লা, ঈশ্বরদী, উত্তরা, আদমজী ও কর্ণফুলী ইপিজেড এবং বেসরকারি কোরিয়ান ইপিজেড গুলোকে সর্বোচ্চ সদ্বব্যবহার করার জন্য সেখানে একই বিদ্যুৎ, গ্যাস, নিরাপত্তা এবং অন্যান্ন নাগরিক সুবিধাধির এর বন্দোবস্ত করে ইন্ডাস্ট্রিইয়াল জোন গুলোর গ্রোথে কার্জকর পরিকল্পনা নেয়া দরকার। এর জন্য সবার আগে এনার্জি পরিকল্পনা সমন্বিত হওয়া দরকার। ইপিজেড এর লড গ্রোথ এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে স্থানীয় উৎপাদন করে জাতীয় সঞ্চালন ব্যবস্থার উপর চাপ কিভাবে নেয়া যায় সেগুলো বিবেচনায় এনে পরিকল্পনা সাজানো যায়।

৬। প্রযুক্তিগত অটোমেশন ডিজাইন এবং ক্যাপাসিটি ডাইমেন্সনিং, লোড ফোরকাস্ট টুলস - দুর্নিতি প্রতিরোধ অপরাধের স্থানীয় জ্ঞানের ইনপুটের আলোকে উচ্চ মান প্রযুক্তিগত অটোমেশন ডিজাইন এবং তার বাস্তবায়ন খুবই প্রুভেন। তাই রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক দুর্বিত্তায়ন বাস্তব প্রেক্ষাপটে অটোমেশন সফটওয়্যার এর নকশা ও বাস্তবায়ন ফেইজে অতিমাত্রার এবং অপ্রয়োজনীয় ম্যানুয়াল ইনপুট (পড়ুন দুর্নিতির সুযোগ) প্রতিরোধ এর অনুকূলে বিদ্যুৎ এবং এনার্জি খাতের সকল অটোমেশন সফটওয়্যার ডিহাইন করা। (চট্রগ্রাম বন্দর অটোমেশন বাস্তবায়ন ত্রুটি থেকে লার্নিং পয়েন্ট)।

লোড ডিমান্ডকে আঞ্চলিক (ইন্ডাস্ট্রিয়াল, আর্বান এবং রুরাল) চাহিদা মোতাবেক, আবাসন- কর্পোরেট-এস এম ই এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল চাহিদা মোতাবেক ভিন্ন ভিন্ন ভাবে ক্লাসিফাইড করে আলাদা আলাদা গ্রোথ ফ্যাক্টর সহ নির্ণয় করতে হবে। উদাহরণ স্বরূপ গ্রীষ্ম কালীন সময়ে ভোর রাতে ( রাত ৩ টা - ৪ টা) পিউর ইন্ডাস্ট্রিয়াল লোড এর ডেটা এনালাইসিস করে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিমান্ড এর পিক এবং অফ পিক এবং এদের ট্রেন্ড এনালাইসিস করে তার গ্রোথ বের করতে হবে। এই বহুবিধ লোড ট্রেন্ড গুলোর সমন্বয়ে দেশের চূড়ান্ত বিদ্যুৎ (তড়িৎ প্রবাহ) চাহিদা এবং চাহিদার ট্রেন্ড বের করার এক্সসিলেন্স অর্জন করতে হবে। এই আঞ্চলিক, ডোমেইন এবং কেন্দ্রীয় ডিমান্ড এবং ডিমান্ড ট্রেন্ড গুলোকে অন্যান্ন ইকোনোমিক ভেরিয়েবল এবং জিডীপি প্রবিদ্দির ইনপুট সহ অট্মেশনের আওতায় আনতে হবে।
৭। ডাইভার্স জ্বালানী সোর্স- ২০৩০ এর এনার্জি মিক্সের অনূকূলে ডাইভার্স জ্বালানী (ফুয়েল) সোর্স এবং বিকল্প সহ ডাইভার্স লোকেশন থেকে জ্বালানি সংগ্রহের সমন্বিত পরিকল্পনা করে জ্বালানী নিরাপত্তা পরিকল্পনা করা দরকার যাতে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংকটের পরিস্থিতিতে একটি বা দুটি একক দেশ নির্ভরতা কাটিয়ে উঠা সহজ হয় (লার্নিং পয়েন্ট- নেপালের জ্বালানী সংকট ২০১৫-২০১৬)।


জ্বালানী ইফেসিয়েন্সি আনতে কিছু নীতিগত সিদ্ধান্তে আসতে হবে

১। ইফেসিয়েন্সি এবং প্ল্যান্ট ফ্যাক্টর - ফার্নেস ওয়েল প্ল্যান্ট বাংলাদেশের অধিকাংশ ফার্নেস তেল চালিত জেনারেটরের ফুয়েল ইফেসিয়েন্সি অতি নিন্ম সেই সাথে ভয়ংকর পর্যায়ের নিন্ম তাদের প্ল্যান্ট ফ্যাক্টর। এতে করে প্ল্যান্টে ডিরেটেড ক্যাপাসিটির উতপাদনেও অতি বেশি পরিমান জ্বালানি তেল লাগছে। অন্যদিকে প্ল্যান্ট ফ্যাক্টর কম হওয়ায় দিনের অধিকাংশ সময় প্ল্যান্ট সাইক্লিকিলি বন্ধ রাখতে হচ্ছে। বাংলাদেশে ফার্নেস তেল চালিত প্ল্যান্ট গুলোর প্ল্যান্ট ফ্যাক্টর ১০-৫০%। একটি সুস্পস্ট রাষ্ট্রীয় নীতিমালা থাকা চাই যাতে সর্ব নিন্ম গ্রহনযোগ্য প্ল্যান্ট ফ্যাক্টর এবং সর্ব নিন্ম প্ল্যান্ট ইফেসিয়েন্সির নির্দেশনা এবং অনুমোদন দেয়া হবে। সর্ব নিন্ম ক্যাপাসিটি কত হবে তার নির্দেশনা এবং সঞ্চালন সক্ষম কাঠামো তৈরির সমন্বয় থাকবে। সেই সাথে বর্তমানের নিন্ম ইফেসিয়েন্সি এবং নিন্ম প্ল্যান্ট ফ্যাক্টরের জেরারেটর গুলো কবে নাগাদ ডকমিশন করে সম্পূর্ন ফেইজ আউট করা হবে তার সুস্পষ্ট রোডম্যাপ থাকা চাই। এতে করে পরিমান মত তেলে কাঙ্ক্ষিত বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভভ হবে যা জ্বালানী সাশ্রয়ী।

। ইফেসিয়েন্সি এবং প্ল্যান্ট ফ্যাক্টর – গ্যাস প্ল্যান্ট একটি সুস্পস্ট রাষ্ট্রীয় নীতিমালা থাকা চাই যাতে সর্ব নিন্ম গ্রহনযোগ্য ক্যাপাসিটি, প্ল্যান্ট ফ্যাক্টর এবং সর্ব নিন্ম প্ল্যান্ট ইফেসিয়েন্সির গ্যাস প্ল্যান্ট বসানো যাবে। বিদেশ থেকে আমদানিকৃত গ্যাস প্ল্যান্টের মান, সার্টিফিকেশন এবং ক্যাপাসিটি গাইডলাইন দরকার। বর্তমানের নিন্ম ইফেসিয়েন্সির গ্যাস জেনারেটর গুলোর ফেইজ আউট প্ল্যান করে মূল্যবান জ্বালানী গ্যাস ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে।

৩। কুইক রেন্টাল ভিত্তিক বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বসানোর প্রথা রহিত করা। বানিজ্যিক এই প্রকল্প গুলো পুরানো, মেয়াদূত্তীর্ন এবং নিন্ম ফুয়েল ইফেসিয়েন্সির মেশিনারি ভিত্তিক রাজনৈতিক লূট প্রকল্প।

৪। ইন্ডিভিডুয়াল পাওয়ার প্ল্যান্ট বসানো নিরুতসাহিত করা- নিরবিছিন্ন বিদ্যুৎ সরবারোহ এবং সাশ্রয়ী বিদ্যুতের মূল্যের গ্যারান্টি দিয়ে ব্যক্তি, এস এম ই এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল লেভেলে একটি নির্দিস্ট রেটিং এর নিচে ইন্ডিভিডুয়াল পাওয়ার প্ল্যান্ট বসানো নিরুতসাহিত করা। তবে সেই রেটিং এর উপরে প্ল্যান্ট স্থাপনকারীকে সাধারণ বাজার মূল্যে ঐচ্ছিকভাবে বিদ্যুৎ বিক্রির জন্য গ্রীড টাই আপের ব্যবস্থা করা।
৫। এনার্জি ইফিশিয়েন্ট হোম এপ্ল্যায়েন্স এর ব্যাপক প্রমোশন। এনার্জি লেভেল বিষয়ক সচেতনা ছড়িয়ে দেয়া। (A+++, A++, A+, A, B,C,D,E,F এইসব এনার্জি ক্লাসিফিকেশন বুঝে ইলেকট্রনিক সামগ্রী কেনার সচেতনতা আনা )।


এনার্জি পরিকল্পনা ইফিশিয়েন্ট এবং নিরাপদ হোক!
জাতীয় সম্পদ এবং ইনফাস্ট্রাকচার ব্যবস্থাপনা দুরদর্শী হোক,
বাংলাদেশ এগিয়ে যাক!

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মে, ২০১৬ ভোর ৬:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:

"৩। কুইক রেন্টাল ভিত্তিক বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বসানোর প্রথা রহিত করা। বানিজ্যিক এই প্রকল্প গুলো পুরানো, মেয়াদূত্তীর্ন এবং নিন্ম ফুয়েল ইফেসিয়েন্সির মেশিনারি ভিত্তিক রাজনৈতিক লূট প্রকল্প। "

-সরকার ভাব দেখাচ্ছে যে, এগুলো সরকারী সম্পদ।

১৩ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৩:০৮

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: দুঃখের কথা কি বলবো, আমি কিছু লোক চিনি যারা ইউরোপে এসে পুরান গ্যাস জেনেরেটর কিনে দেশে ঢুকান। এভাবে আমরা আমাদের গ্যাস পুড়ছি, কিন্তু সেই অনুপাতে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে ব্যর্থ হচ্ছি কারণ আমাদের দেশের বহু গ্রীড সংযুক্ত প্ল্যান্ট অতি নিন্ম ফুয়েল ইফেসিয়েন্সির। আপনি অবাক হবেন ২০-৩০% ইফেসিয়েন্সির, যেখানে গ্যাসের নিজের দহন ইফেসয়েন্সি ৯৯%।

দ্রুত বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে গিয়ে কুইক রেন্টাল করা হয়েছে, এটা পাকিস্তানি মডেল যার জন্য তাদের এক প্রধানমন্ত্রীকে আদালত শোকজ করেছে। আওয়ামীলীগ বলেছে যেহেতু বিএনপি আমলে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়নি তাই এটা দরকারছিল।

কথা হচ্ছে বেসরকারি খাতের উৎপাদনকে কিনে নেয়ার বাধ্যবাধকতা অর্থাৎ কিছুটা উচ্চ মূল্যে বেসরকারি প্ল্যান্টের বিদ্যুৎ পিডিবি কর্তিক কিনার গ্যারান্টি ক্লজই যথেস্টহ। সেটা করাও হয়েছে।

চরম আপত্তির বিষয় হচ্ছে ৫ টাকার বিদ্যুৎ ১৫-১৭ টাকা করার গ্যারান্টি ক্লজের পরেও "ক্যাপাসিটি চার্জ" এর আরেকটি গ্যারান্টি ক্লজ ও দেয়া হয়েছে লীগের নেতাদের দেয়া কুইক প্ল্যান্ট গুলোর জন্য। মানে আপনি বিদেশ থেকে মেয়াদূত্তীর্ন মেশিনারি এনে বসালেন, উতপাদনে যান আর না যান আপনি চুক্তির পর বসে বসে টাকা খাচ্ছে। এভাবে বছরে ১০-২০ হাজার কোটি পর্যন্ত ভর্তুকি গুনেছেন আমাদের বয়স মেয়াদূত্তীর্ন ফাইনান্স মিনিস্টার।


"২০১৪-১৫ অর্থবছরে ডিসেম্বরের প্রায় পুরো সময়ই সামিট মেঘনাঘাট কেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ ছিল। ওই সময় মাত্র ১ লাখ ৮০ হাজার কিলোওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় কেন্দ্রটিতে। তবে চুক্তির শর্তের কারণে বসিয়ে রেখেও বিদ্যুৎকেন্দ্রটির ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধ করতে হয় পিডিবিকে। ফলে ওই মাসে ইউনিটপ্রতি বিদ্যুতের দাম পড়ে ৬৭৭ টাকা ৮০ পয়সা। এছাড়া অর্থবছরের আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত চার মাসে কেন্দ্রটি থেকে বিদ্যুৎ কেনায় ইউনিটপ্রতি খরচ হয় যথাক্রমে ৩০ টাকা ৬৫ পয়সা, ৩২ টাকা ৩৮ পয়সা, ৩৪ টাকা ৭০ পয়সা ও ৪১ টাকা ২০ পয়সা। তবে অর্থবছরের পরের ছয় মাস (জানুয়ারি-জুন) কেন্দ্রটি থেকে বিদ্যুৎ কেনায় ব্যয় কিছুটা কম হয় উতপাদনে যাবার কারনে।"

উচ্চমূল্যের শীর্ষ পাঁচ বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র

২| ১৩ ই মে, ২০১৬ ভোর ৬:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



জাতির সবচেয়ে বড় ব্যবসা হচ্ছে এটি; এখানে সাধারণ মানুষের বিনিয়োগের উপায় নিয়ে আপনি কিছু লিখেননি।

২০৩০ সালে জাতি যদি প্রয়োজনীয় পরিমান ইলেকট্রিসিটি উৎপন্ন করতে চায়, কি পরিমাণ বিনিয়োগ করতে হবে?

১৩ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৩:২৫

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: জনাব, বিদ্যুৎ নিয়ে সম্প্রতি ৪ টা আর্টিক্যাল লিখেছি, এগুলা তো সবই পিউর টেকনিক্যাল এনালাইসিস। এখানে ফান্ডীং সংক্রান্ত কথা আনার স্কোপ নেই।

তাছাড়া আমি কিন্তু ফাইনান্স এর লোক না, কিছু বলতে গেলে সেটা মাসম্পন্নও হবে না।

সৌর শক্তি কথামালাঃ পেছনের গল্প ও প্রস্তুতি কথা

সোলার নিয়ে আলোচনায় বর্তমান সোলার মডেলের ক্রিটিক লিখেছি এবং সল্যুশন নিয়ে লিখেছি, সেখানে ব্যক্তি সোলার ইন্সটলারকে গ্রীডে তার অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিক্রির টেকনিক্যাল বন্দোবস্ত (সরাসরি গ্রীড টাই আপ, রিমোট এলাকার কমিউনিটি গ্রীড) ইন্ডিভিজুয়াল ইনভেস্টকে সিকিউর করতে যথেস্টহ বলেছি।

ফসিল ফুয়েল নির্ভর বিদ্যুৎ খাতের উৎপাদনকে বেসরকারি খাতে ছাড়ার চরম বিপক্ষে আমি। দেশে হাজার হাজার গার্মেন্টস এবং স্মল ইন্ডাস্ট্রির নিজস্ব গ্যাস জেনারেটর আছে (আমরা বলি ক্যাপ্টিভ জেনারেশন), এইসব ছোট প্ল্যান্ট বেশি গ্যাস পুড়ে কম বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। এটা ফুয়েল ইফেসিয়েন্সির জন্য খুবই খারাপ। সরকারকে নিরবিচ্চিন্ন সরবারহের নিশ্চয়তা দিতে হবে, নাইলে এইসব প্ল্যান্ট সরানোও যাবে না।

শুধু নবায়নযোগ্য খাতে ইন্ডিভিজুয়াল ইনভেস্টরদের আকৃষ্ট করা যায়-সোলার তার মোক্ষম উপায়। ব্যক্তির সোলার মডেলকে বিজনেস মডেলে এনে দিলে নাগরিকরাই এই খাতকে এগিয়ে নিবেন। এর বাইরে বায়োমাস এবং ওয়েস্ট ল্যান্ড ফিল্কে ব্যক্তি আনা যেতে পারে তবে আংশিক। অতি অধিক কস্টের কারনে উইন্ড সহ অন্য কোন খাতেই ব্যক্তির একক ইনভেস্টের সুযোগ নেই, তবে স্টেইট এর সাথে ব্যক্তির ফাইনান্সিং মডেল নিয়ে ফাইনান্স এক্সপার্ট্গন কাজ করতে পারেন(অবশ্যই গতানুগতিক শেয়ার বাজার এর ফালতু মডেল নয়)।


আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।


৩| ১৭ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:৫৭

অগ্নি সারথি বলেছেন: কে শোনে কার কথা?

৪| ০২ রা মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৫

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: Click This Link


২০১০-১১ অর্থবছরে ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো উৎপাদনে আসতে শুরু করে। বেসরকারি খাতের এসব কেন্দ্র থেকে বেশি দামে বিদ্যুৎ কেনায় ওই অর্থবছরই লোকসানে পড়ে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)। এ ধারা বর্তমানেও অব্যাহত রয়েছে। গত ছয় বছরে বিপিডিবি লোকসান দিয়েছে ৪০ হাজার কোটি টাকারও বেশি। তার পরও লোকসানি এ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একের পর এক ব্যবসায়িক চুক্তিতে আবদ্ধ হচ্ছে দেশী-বিদেশী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। মূলত সভরেন গ্যারান্টর হিসেবে রাষ্ট্র থাকায় বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতের প্রতি সহজেই আকৃষ্ট হচ্ছেন বিদেশী বিনিয়োগকারীরা। এছাড়া বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বিশেষ আইনে চুক্তিগুলো হওয়ায় আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে দরপত্র যাচাই-বাছাই হয় না। ফলে প্রকল্প ব্যয় অযৌক্তিকভাবে বেড়ে গেলেও কিছুই করার থাকে না। আর এ ব্যয় সংকুলান করতে গিয়ে সরকার বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে। এতে অতিরিক্ত মুনাফার সুযোগ থাকছে বলেই বিদেশী কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী হচ্ছে। লোকসানি প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও বিপিডিবির সঙ্গে দেশী-বিদেশী ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ব্যবসার পেছনে রাষ্ট্রের সভরেন গ্যারান্টি বড় ভূমিকা রাখছে, তাতে সন্দেহ নেই।
বর্তমান সরকার বিদ্যুৎ খাতকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে। এর অংশ হিসেবে ভারত, চীনের পাশাপাশি বাংলাদেশে বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে জাপান, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া। রামপালে কয়লাভিত্তিক ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য এক্সিম ব্যাংক ও বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানির মধ্যে সুবিধা ব্যবস্থাপনা চুক্তি এবং ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ক্রয় নিয়ে ভারতে রিলায়েন্স পাওয়ারের সঙ্গে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের চুক্তি সই হয়েছে। পায়রা বন্দর এলাকায় ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াটের একটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ করছে বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড। কক্সবাজারের মাতারবাড়ীতে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র করবে জাপানের সুমিতোমো করপোরেশন। একই এলাকায় কয়লাভিত্তিক ৭০০ মেগাওয়াটের আরেকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র করবে সিঙ্গাপুরের সেম্বকর্প। এছাড়া মহেশখালীতে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র করবে মালয়েশিয়া। শুধু বিদেশী নয়, স্থানীয় অনেক প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে কাজ করছে। এর মধ্যে সামিট, ওরিয়ন, ইউনাইটেডের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগকারী সবচেয়ে বড় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সামিট পাওয়ার বর্তমানে ৭৯২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। তারা আরো বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে বিপিডিবির সঙ্গে চুক্তি করেছে। এগুলো বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নেরই চিত্র। পাশাপাশি হতাশার চিত্রও স্পষ্ট। প্রকল্পগুলোর ব্যয় যেমন অস্বাভাবিক পর্যায়ে চলে যাচ্ছে তেমনি এগুলো নির্ধারিত সময়ে উৎপাদনে আসতে পারছে না বলেই ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ কারণে সরকারকে আরো কয়েক বছর ব্যয়বহুল ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওপর নির্ভর করে থাকতে হবে। তাতে বিপিডিবির লোকসান আরো বৃদ্ধি পাবে।
লোকসানি প্রতিষ্ঠান থেকে বিপিডিবিকে বের করে আনা নিয়ে রয়েছে নানা মত। কেউ কেউ বলেন, জনগণের অর্থ থেকেই তো রাষ্ট্র এখানে ভর্তুকি দিচ্ছে। এতে যদি জনগণের লাভ হয়, তবে ক্ষতি কি! অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের একটি অংশ দক্ষ, সক্ষম ও লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে একে গড়ে তোলার পক্ষপাতী। একথা সত্য, বিপিডিবি আর কত লোকসান করবে। ব্যবস্থাপনাগত উন্নয়নের মাধ্যমে রাষ্ট্রায়ত্ত এ প্রতিষ্ঠানের লোকসান অনেকখানি কমিয়ে আনা সম্ভব বলে একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে। সরকারকে এদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। প্রকল্প ব্যয় বেড়ে গিয়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ছে বলে যে অভিযোগ, তাও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। শুধু রাষ্ট্রের সভরেন গ্যারান্টি, লভ্যাংশ নিয়ে যেতে পারার নিশ্চয়তার ওপর ভিত্তি করে একটি খাতে বিনিয়োগ হতে পারে না। টেকসই জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের জন্যও এটি কাম্য নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.