নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সমাজের প্রতিটি ছোট বড় সমস্যার প্রকৃতি নির্ধারণ করা, আমাদের আচার ব্যবহার, সমাজের প্রচলিত কৃষ্টি কালচার, সৃষ্টিশীলতা, চারিত্রিক উদারতা এবং বক্রতা, অপরাধ প্রবৃত্তি, অপরাধ সঙ্ঘঠনের ধাঁচ ইত্যাদির স্থানীয় জ্ঞানের আলোকে সমাজের সমস্যার সমাধান বাতলে দেয়াই অগ্রসর নাগরিকের দায়িত্ব। বাংলাদেশে দুর্নীতি রোধ, প্রাতিষ্ঠানিক শুদ্ধিকরন এবং টেকনোলজির কার্যকরীতার সাথে স্থানীয় অপরাধের জ্ঞান কে সমন্বয় ঘটিয়ে দেশের ছোট বড় সমস্যা সমাধান এর জন্য লিখা লিখি করি। আমার নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি আছে কিন্তু দলীয় সীমাবদ্ধতা নেই বলেই মনে করি, চোর কে চোর বলার সৎ সাহস আমার আছে বলেই বিশ্বাস করি। রাষ্ট্রের অনৈতিক কাঠামোকে এবং দুর্নীতিবাজদের সবাইকে তীক্ষ্ণ ভাবে চ্যালেঞ্জ করার চেষ্টা করি। রাষ্ট্র কে চ্যালেঞ্জ করতে চাই প্রতিটি অক্ষমতার আর অজ্ঞতার জন্য, তবে আঘাত নয়। ব্যক্তিগত ভাবে নাগরিকের জীবনমান উন্নয়ন কে দেশের ঐক্যের ভিত্তিমূল মনে করি। ডাটাবেইজ এবং টেকনোলজি বেইজড পলিসি দিয়ে সমস্যা সমাধানের প্রোপজাল দেবার চেষ্টা করি। আমি মূলত সাস্টেইন এবল ডেভেলপমেন্ট (টেকসই উন্নয়ন) এর নিরিখে- অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ডিজাইন ত্রুটি, কৃষি শিক্ষা খাতে কারিগরি ব্যবস্থাপনা ভিত্তিক সংস্কার, জলবায়ু পরিবর্তন, মাইক্রো ইকনমিক ব্যাপার গুলো, ফিনান্সিয়াল মাইগ্রেশন এইসব ক্রিটিক্যাল ব্যাপার নিয়ে লিখার চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে চোরকে চোর বলার জন্য দুর্নিতি নিয়ে লিখি। পেশাঃ প্রকৌশলী, টেকনিক্যাল আর্কিটেক্ট, ভোডাফোন।
বাংলাদেশ এক্সটার্নাল ডেবট-এর (বৈদেশিক ঋণের) ট্রেন্ড ব্রেক ফেইজ গুলোর সাম্প্রতিক বিন্যাস মোটামুটি এরকম-
১৯৯৪ থেকে ২০০১ (অতি নিয়ন্ত্রিত বৈদেশিক ঋণ)
২০০১ থেকে ২০০৪ (৪.৫ থেকে ৫.৫% জিডিপির উর্ধগতির সাথে সামঞ্জস্য পুর্ণ উর্ধগতি)
২০০৫ থেকে ২০১২ (৫.৫ থেকে ৬% জিডিপির উর্ধগতির সাথে সামঞ্জস্য পুর্ণ উর্ধগতি)
২০১৩ থেকে ২০১৭ (বল্গাহীন উর্ধগতি)
বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের ট্রেন্ড পর্যালোচনা করলে দেখা যায় ২০০৫ থেকে ২০১২ সময়ে এই ট্রেন্ড মোটামুটি একই। মানে বাংলাদেশ এক্সটার্নাল ডেবট এর ট্রেন্ড বৃদ্ধির উচ্চ হার ছিল কিন্তু তা ডেবট টু জিডিপি রেশিওকে নিয়ন্ত্রনে রেখে হয়েছে, এই সময়ে বাংলাদেশের ঋণ স্বাধীনতা অব্যবহতি পরের ৪০ বছরের স্থিতির তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে বাড়েনি। মানে এই সময়ে জিডীপি বাড়লেও বাংলাদেশ তার বৈদেশিক ঋণ জিডিপির বিপরীতে নিয়ন্ত্রিত করে এনেছিল (বরং এই সময়ে এক্সটার্নাল ডেবট টু জিডীপি রেট কমেছে)। এটাকে বলা যেতে পারে জনাব "সাইফুর রাহমান এবং শাহ এসএমএস কিবিরিয়া" সাহেবদের নিয়ন্ত্রিত বৈদেশিক ঋণ নেয়ার কঞ্জার্ভেটিভ প্রথা, এই সময়ে গড়ে জিডিপি ৫.৫ থেকে ৬% করে বেড়েছে। এই ফেইজের লাইফ টাইম ১৯৯৪ থেকে ২০১২।
২০০৫ পরবর্তি সময়ে ২০১৬ পর্যন্ত গড় জিডিপি বর্ধনের হার আনুমানিক ৬%, তথাপি ২০১৩ এর পরে এসে বৈদেশিক ঋণ বল্গাহীন!
২০১৩ থেকে ২০১৭, মাত্র ৫ বছরেই বল্গাহীন ঋণের বর্তমান ফেইজে বাংলাদেশের ফরেন ডেবট প্রায় সাবেক ৪০ বছরের মোট ঋণ স্থিতির ২গুন পেরিয়ে ৩ গুনের দিকে ছুটছে।
২০১২ এ দেশের মোট বৈদেশিক ঋণ ছিল ২২ থেকে ২৫ বিলিয়ন ডলার এর মত।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) তথ্যমতে, বর্তমানে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ তিন হাজার ৭০০ কোটি ডলার। >>৩৭ বিলিয়ন ডলার।
তবে চীনের ঋণ (২৪ বিলিয়ন ডলার) যুক্ত হলে দেশের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ দাঁড়াবে ছয় হাজার ১৪৫ কোটি ডলার।>৬১.৪৫ বিলিয়ন ডলার। ইতিমধ্যেই আগের ভারত চীন এবং রাশান ঋণে মাত্র ৪-৫ বছরে (২০১৩-২০১৭) মাথায় বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ ৩ গুন হতে চলেছে!
এর পরবর্তিতে ২০১৭ তে বিশ্ব ব্যাংকের প্রস্তাবিত জলবায়ু বিষয়ক ঋণ নিলে তা ২০১২’র ডেবট ভলিয়মের ৩গুণ পেরুব।
গুগল পাবলিক ডেটা, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক এর ডেটা অনুযায়ী।
২০১৩ এর নির্বাচনী বছরে শুরু হওয়া রাজনৈতিক অস্থিরতা, ক্ষমতা হস্তান্তরে অস্বীকৃতি, সেটেল্ড নির্বাচনী প্রথা তত্বাবধায়ক ভেঙে দেয়া এবং একদলীয় নির্বাচনী সহিংসতার প্রেক্ষাপটে দেশে ব্যবসার পরিবেশে আস্থার সংকট সৃষ্টি জনিত কারনে উদ্ভূত বিদেশে বেপারোয়া অর্থ পাচার (আরও ৭৬ হাজার কোটি টাকা পাচার) এবং অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ কমে আসার মূখে অগণতান্ত্রিক সরকার নিয়ন্ত্রিত বৈদেশিক ঋণ নেয়ার কঞ্জার্ভেটিভ প্রথা থেকে বেরিয়ে এসে বল্গাহীন উর্ধগতিতে বিদেশ থেকে প্রাপ্ত নির্বাচনহীন সরকারের সমর্থন দান এবং আঞ্চলিক ক্ষমতার বুঝাপড়ার উপর ভিত্তিক করে নির্দিস্ট কিছু দেশ থেকে দ্বিপাক্ষিক ঋণ দিচ্ছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা ডলার এবং ইউরোর এর বর্তমানের ব্যাংক সুদের (০,৩৫% থেকে ০,৫%, ইনভেস্টমেন্ট লোনের) তুলনায় দ্বিপাক্ষিক ঋণ গুলোর সুদ অতি মাত্রায় বেশি (১,০ থেকে ২,৫%)। বক্তব্য হোল মাত্র ৫ বছরে একটি দেশ তার ফরেন ডেবট দ্বিগুন বা তিনগুন করতে পারে না, এটা একটা খুব খারাপ বার্তা, এর কারনে ভবিষ্যতের ঋণে সুদ আরো বেশি বাড়বে (ক্রেডিট রেটিং কমবে) এবং অর্থনীতিকে ঋণের সুদ-আসল পরিশোধেই ব্যস্ত থাকতে হবে। সুদ পরিশোধে ব্যয়ের চাপ! সুদ পরিশোধের জন্য সরকারকে যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে, তা দিয়ে মোট বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির পাঁচ ভাগের দুই ভাগ ব্যয় মেটানো সম্ভব৷
২০১৪ তে এসে বাংলাদেশকে বছরে ১.৭৫+ বিলিয়ন ডলার সুদ-আসল পরিশোধ করতে হচ্ছে! এটা ২০০৬ পুর্ববর্তী সময়ের প্রায় ৩ গুণ যা ২০১৭ তে একটি অস্বাভাবিক উচ্চতায় যাচ্ছে! মোট ৩,৫৬ বিলিয়ন ডলার ভিতরের ও বাইরের ঋণের সুদ। ২০১৪ অর্থবছরে অনুন্নয়ন ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য ছিল এক লাখ ৫৫ হাজার ১৬৩ কোটি টাকা৷ বাজেট দলিল অনুসারে এর ১৭ দশমিক ৯ শতাংশ চলে যাবে সুদ পরিশোধের জন্য, যার পরিমাণ ২৭ হাজার ৭৪৩ কোটি টাকা৷
যেহেতু ৫ বছরেই মোট ফরেন ডেবট ২২ বিলিয়ন ডলয়ার থেকে ৬১ বিলিয়ন এর বেশি হয়ে যাচ্ছে তাই বিশ্ব ব্যাংক এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক ফাইনান্সিয়াল হাউজ আগের মত কম সুদে টাকা দিতে পারবে না ক্রেডিট রেটিং এর অধগমনের উল্লম্ফের কারনে। অর্থাৎ এক্সটার্নাল ডেবট টু জিডিপি এর উচ্চ হারের কারণে দেশের ভবিষ্যৎ প্রকল্প গুলো অধিক খরুচে হয়ে উঠবে।
২০১২ থেকে বাংলাদেশের ফিচ, মুডী, এস এন্ড পি রেটিং এজেন্সি গুলো বাংলাদেশকে BB- ব্যান্ডে রেটিং করে আসছে। টিই রেটিং এ এটা ৪০। গ্রীসের ঋণ খেলাফি হবার প্রেক্ষিতে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন তার সদস্য দেশ গুলোকে রেটিং ৬০% এর উপরে আনার নির্দেশনা দিয়েছে। অথচ বল্গাহীন বৈদেশিক ঋণের হঠাত উচ্চ প্রবাহ বাংলাদেশের টিই রেটিং ৩০-৩৫% এর দিকে নিয়ে যাচ্ছে। (উল্লেখ্য বাংলাদেশ দীর্ঘদিন নন ইনভেস্টমেন্ট ব্যান্ড (Non-investment grade speculative) টিই-৪০, মুডি-বিএ৩, ফিচ-বিবি- এ স্ট্যাবল ছিল, বর্তমানের ঋণ এই ব্যান্ডে নেগেটিভ স্ট্যাগ পাবার উপযোগীতা সৃষ্টি করেছে)। ) তাছাড়া নির্বাচনী সাম্যাবস্থার অবর্তমানে আবারো রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হলে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, রপ্তানি খাতে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। অভ্যন্তরীণ চাহিদা হ্রাস পাবে, ভোক্তাদের আস্থা, ঋণপ্রবাহ, রাজস্ব আদায় হ্রাস পাবে,যা মূল্যস্ফীতিতে উস্কে দিতে পারে। এমতাবস্থায় বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋন ব্যবস্থাপনা বিষয়ে দুরদর্শী হওয়া বাঞ্চনীয়।
(আগেই বলেছি গণতান্ত্রিক নিয়মতান্ত্রিক পরিবেশ না থাকায় বাংলাদেশ সরকারের ডেবট দ্বিপাক্ষিক নেগোসিয়েশন পাওয়ার একেবারেই হ্রাস পেয়েছে) বর্তমানের অতি সীমিত পরিসরের স্বল্প নেগোসিয়েশনের বৈদেশিক ঋন গুলোর শর্ত এমন যে, যন্ত্র/মেশিনারি, পণ্য, সার্ভিস, সাপোর্ট, কাঁচামাল, ডিজাইন এন্ড প্ল্যানিং, ইমপ্লিমেন্টেশন ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বাস্তবায়নের ঠিকাদারি সহ সমুদয় কাজের প্রায় ৮৫% ঋণ দান কারী দেশ থেকে নেয়া বাধ্যতামূলক।
উদাহরণ স্বরূপ রুপপুরের প্রকল্প ঋণের প্রসঙ্গ টানা যায়। বর্তমানে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ তিন হাজার ৭০০ কোটি ডলার। আর রূপপুর প্রকল্পে এককভাবে ঋণ নেওয়া হবে এক হাজার ১৩৯ কোটি ডলার। এ ঋণের সুদের হারও বেশি। লন্ডন আন্তব্যাংক অফার রেটের সঙ্গে (লাইবর) অতিরিক্ত ১ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে এ ঋণের সুদ পরিশোধ করতে হবে। এ সুদ বিশ্বব্যাংকের নমনীয় ঋণ সংস্থা আইডিএর সুদের চেয়ে অনেক বেশি। এ ঋণ এক লাফে সরকারের সার্বিক বৈদেশিক ঋণ প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বাড়িয়ে দেবে।
পদ্মায় আমরা দেখেছি ১ মাত্র ঠিকাদার থেকেই তাকে বিনা শর্তে নিয়োগ দিতে হয়েছে। এতে পদ্মা সেতুর ১০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। মানে ঋণের টাকার সক্ষমতা "দুর্নীতি এবং কম নেগসিয়েশনের কারনে" কমে যাচ্ছে। আর্থত ২টি ব্রিজের টাকা দিয়ে ১ টা হচ্ছে। শুধু একটাই ১% জিডিপি গ্রোথ বাড়াবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। মানে এই ঋণ জিডিপিতে যে ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা সৃষ্টির কথা তাকে নস্যাৎ করে ফেলা হচ্ছে একদিকে। জিডিপির বর্তমান সক্ষমতা এত দিনের কঞ্জার্ভেটিভ ঋণ নেয়ার এপ্রোচের কারনে মানে স্বাধীনতার প্রথম ৪০ বছরের ক্রেডিট রেটিং এর মারফতে যাকে ব্রেক করে ফেলা হচ্ছে খুব কম সময়েই যা অবাক করার মত।
টেলিটকের ঋণের কেইস নিয়ে বলা যায়। ৩০০ মিলিয়ন ডলার চাইনিজ ইকুইপমেন্ট নেয়ার হয়েছে শর্ত মত চীনের কাছ থেকে নেয়া হয়েছে। সেটাতে আমার আপত্তি নেই, চাইনিজ্রা ভালো প্রোডাক্ট বানায়। কিন্তু এই ঋণে ট্রেনিং, টেকনোলোজি ট্রান্সফারের উইন্ডো ছিল না। লোকাল রিসোর্স ডেভেলপ করার কথা নেই। ফলে টেলিটক এর শেয়ার এখনো ১%, সবার আগে ৩জি ছাড়ার পরেও। এমনকি নেটওয়ার্ক পারফর্মেন্সের রিপোর্ট যেটা চাইনিজ ভেন্ডর থেকে দেয়া হয় সেটা যাচাই করার মত লোক টেলিটকে নেই।
ভারতীয় ঋণের ক্ষেত্রে সুদ কন্ডিশনালি ১%, বিশ্ব ব্যাংকের সুদের ২ গুণ (বর্তমান ক্রেডিট রেটিং বিবি- এ সুদ ০,৫ ০,৫৬%), কিন্তু প্রকল্প ২ বছরের মধ্যে পুরোপুরি অর্থায়ন না করলে সুদ ২% এর উপরে মানে বিশ্ব ব্যাংকের সুদের প্রায় ৪ গুণ (বাংলাদেশের প্রজেক্ট বাস্তবায়ন বাস্তবতায় এই শর্ত মানা অসম্ভব, তাই আদতে ভারতকে ২% হারে সুদ গুন্তে হবে!)।
এই ধরনের সুকঠিন শর্ত যুক্ত বৈদেশিক ঋণ জিডিপির ভলিউম কিছু বাড়াবে করবে ঠিক, কিন্তু দেশের সম্পদ ব্যবস্থাপনায় এক্সসিলেন্স এর কিছু যোগ হবে না, দেশের কর্মসংস্থান সংখ্যা এবং কর্মসংস্থান এর মান বাড়বে না। বরং বাংলাদেশে বিদেশি শ্রম বাজার উন্মুক্ত করছে, দৃশ্যমান ভাবেই অন্যরা এর সরাসরি সুফল নিচ্ছে। মানে বাংলাদেশের জিডীপির উচ্চ হার তাঁর নিজের নাগরিকের মান সম্পন্ন কর্মিসংস্থান তৈরিতে ভূমিকা রাখছে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ১০-১৫ হাজার টাকা বেতনের জব খুঁজছেন দিনের পর দিন, এটা এই বাজারে কষ্ট অফ লিভিং এর সাথে যায় না। অন্যদিকে ভারত তার বিদেশ ফেরত স্নাতকদের আত্মীকরন করছে, আমাদের সমবয়সীরা ভারতে আরো বেশি বেতন এবং মানসম্পন্ন কাজের পরিবেশ উপভোগ করছেন।
বাংলাদেশের বাজেট ভলিউম এবং ফরেন ডেবট এর শার্প রাইজিং কার্ভ এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে এমপ্লয়মেন্ট ভালনারেবিলিটি শার্প ডিক্লাইন করছে না!
বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ একদিকে অনিয়ন্ত্রিত অন্যদিকে এমন শর্ত যুক্ত যা অভ্যন্তরীণ পণ্য, সেবা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির অনুকূলে নয়। এটা বর্তমান জেনারেশনের জন্য একটা বার্তা।
উন্নয়ন মহাসড়কে বাংলাদেশের এই ঋণ করে ঘি খাবার গল্প এখানেই শেষ নয়, এর জন্য রয়েছে বৈদেশিক ঋণের টাকার প্রকল্পে হরিলুটের বল্গাহীন আয়োজন। বিশ্বের সবচেয়ে সস্তা শ্রমের দেশে, নিজস্ব স্টীল, পাথর, গ্যাস এবং সিমেন্ট কাঁচামাল হিসেবে থাকার পরেও রাস্তা, সড়ক, সেতু, উড়ালসেতু, নন ইলেকট্রিক রেল ট্র্যাক বানানোর প্রাক্কলিত ব্যয় প্রকল্প শুরুর ফেইজেই বিলিয়ন ডলার করে বাড়ছে। আমাদের দেশে কিমি প্রতি অবকাঠামো তৈরিতে বিশ্বে সবেচেয়ে বেশি রেটে খরচ হতে শুরু হয়েছে সম্প্রতি, তার পরেও আমাদের কোন মেগা প্রজেক্টর কাজই এগুচ্ছে না! পদ্মা সেতুর ব্যয় এবং সময় বৃদ্ধি আমাদের উন্নয়ন প্রকল্প অপ-বাস্তবায়নের উদাহরণ হয়ে রইবে (১ বিলিয়ন ডলার করে ২টি একনেক বৈঠকে ২ বিলিয়ন ডোলার শুধু ব্যয়-ই বেড়েছে, সময় বেড়েছে ২০১৫ থেকে ২০২০)। ব্যয় বৃদ্ধির ইউনিটই হচ্ছে আধা থেকে ১ বিলিয়ন ডলার! (এই প্যারার বিপরীতে সোর্স গুলো নিচে দেয়া আছে )
অর্থাৎ ঋণ এনে তা কার্জকর ভাবে (দুর্নিতিহীন এবং দ্রুততায় একই ঋণের সক্ষমতা বাড়ানো ) ব্যবহার করে ঋণের বিপরীতে প্রিন্সিপাল+ইন্টারেস্ট ফিরিয়ে দিবার জন্য দ্রুত “মানি মেকিং বা সেভিং বা ফ্লোয়িং বা অপরচুনিটি ক্রিয়েশন ফেইজে” যাবার যে বিজনেস কেইস তা বাংলাদেশ অতি দুর্নীতির বশবর্তী হয়ে মানছে না।
পোস্টের মূল বক্তব্য (কিছু থিউরিটিক্যাল রাজনৈতিক দলের) মত করে সামগ্রিক অর্থে পুরো ঋণ নেয়াকেই বিরোধিতা করা নয়, উদ্দেশ্য হচ্ছে এটা বলা যে "বাংলাদেশ বল্গাহীন ভাবে ঋণ নিচ্ছে এতে সতর্ক হওয়া দরকার, আন নেগোশিয়েটেড ঋণ দেনায় দায় বাড়াবে (ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মাথা পিছু বৈদেশিক ঋণ) এবং দুর্নিতি ঋণের টাকার সক্ষমতা হ্রাস করছে""।
মাত্র ৫ বছরের (২০১২-২০১৭) মাথায় বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ ৩ গুন হতে চলেছে! যে শিশু আজ জন্মাচ্ছে কিংবা ২০১৭তে জন্মাবে তার উপর বৈদেশিক ঋণের দায় কত হবে?
এর ফলাফল কি হবে? “ দ্যি এন্সার ইজ ব্লোয়িং ইন দ্যি উইন্ড”!
সোর্সঃ
মহাসড়ক নির্মাণ বিশ্বে সবচেয়ে ব্যয়বহুল হচ্ছে বাংলাদেশ
ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা চার লেন- মন্ত্রণালয়ের আপত্তির পরও ৯৩৩ কোটি টাকা ব্যয় বৃদ্ধি
পদ্মা সেতুর নির্মাণ ব্যয় বাড়ল ৮ হাজার ২৮৬ কোটি টাকা
দোহাজারী-গুনধুম রেলপথ নির্মাণে অস্বাভাবিক ব্যয় প্রস্তাব
প্রকল্পের টাকায় বিলাসঃ পরামর্শকের জন্য ১০৬ গাড়ি
অনুমোদন পাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল সড়ক ও রেলপথ
দ্বিগুণ ব্যয়ে দ্বিগুণ সময়েও কাজ শেষ হচ্ছে না
(নোট-বণিক বার্তার নতুন ওয়েব এডিশনে লিংক কাজ করছে না, শিরোনাম এবং বণিক বার্তা দিয়ে গুগল সার্চ দিয়ে ডেটা ভিত্তিক সংবাদ গুলো পাওয়া যাবে। তথ্য এবং উপাত্ত ভিত্তিক সংবাদ প্রতিবেদন গুলো ইসমাইল আলী সাহেবের। এই ভদ্র লোক বাংলাদেশে স্টোরি বেইজড সাংবাদিকতার বদলে ডেটা বেইজড অবকাঠামো সাংবাদিকতার সূচনা করেছেন)।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৩
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: মন্তব্যে অনুপ্রেরণা পাচ্ছি এবং আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।
ব্লগে অনিয়মিত হয়ে পড়েছি, এটা একজন রাইটারের জন্য ভাল সংবাদ নয় মোটেই।
ঋণের উপর, সরকার প্রতি বছর যে পরিমাণ সুদ দিচ্ছে তা আমাদের মতো জাতির জন্য আত্মহত্যার সমান।
বাংলাদেশের ৯০% মানুষ প্রথম চেস্টায় ১ বিলিয়নকে সংখ্যায় লিখতে পারবে না; এই ধরণের মানুষ কোনদিন জানবে না যে, আমাদের জাতির কত ঋণ।আমাদের যত বিলিয়ন ডলার ঋণ, ঠিক তত পরিমাণ ডলার প্রশাসন ও সরকার চুরি করে নিয়ে গেছে; ৪৬ বছরে সরকারের তরফ থেকে যতটুকু উন্নয়ন হয়েছে, এর জন্য এক ডলারও ঋণ নেয়ার দরকার হওয়ার কথা নয়।
আপনার সাথে সহমত।
একটা কথা বলতে চেয়েছিলাম, দেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শীর্ষ মেধাবী বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশনে পড়ছেন, অথচ তরুণ এবং বুদ্ধিজীবী সমাজে মাইক্রো এবং ম্যাক্রো অর্থনীতির কোন আলোচনা নেই। ব্লগ এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে আমি কখনই এইসব আলোচনা দেখি না। এই অবস্থা তো আসলে যুগে যুগে লুটপাটকারিদের সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে!
২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:২৪
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আজকের দৈনিক কালের কন্ঠ পত্রিকার সংবাদ আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কম্পানি লিমিটেডের (এপিএসসিএল) ৪৫০ মেগাওয়াটের একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে স্পেনের দুটি কম্পানির কাছ থেকে বিদ্যুৎ বিভাগের দুই কর্মকর্তা ৬৪ কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছেন
কষ্ট কইরা তথ্য সংগ্রহ করে মাথা খাটাইয়া তথ্য বিশ্লেষন কইরা এই রকম পোষ্ট লেইখা কোন লাভ নাই। কথা বলার ট্যক্স ১৫% থাইকা ২১% কইরা, প্রায় ৩০০% বেশি দামে জ্বালানী তেল বিক্রি কইরা সেই টাকা সরকারি ব্যাংকে ঢুকইয়া হায়-হায় কোম্পানিরে ঋন দিয়ে সেই টাকা সুইজারল্যান্ডে পচার করলে চেতনা বাস্তবায়ন হইবো কেমনে?
সুদ পরিশোধের জন্য সরকারকে যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে, তা দিয়ে মোট বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির পাঁচ ভাগের দুই ভাগ ব্যয় মেটানো সম্ভব৷
দৈনিক প্রথম আলো, জুন ০৩, ২০১৪
২০১৬-২০১৭ সালের বাজেটে ঋনের সুদ পরোশোধে বরাদ্দ আরও ভায়াবহ
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:৪৭
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: সুদ পরিশোধের জন্য সরকারকে যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে, তা দিয়ে মোট বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির পাঁচ ভাগের দুই ভাগ ব্যয় মেটানো সম্ভব৷
২০১৭-১৮ তে যখন ঋণগুলো ফ্লো ইন হবে, তখন ইন্টারেস্ট এবং ক্যাপিটাল পেমেন্ট কত বিশাল এমাউন্ট হবে সেটা ভাবতেই ভয় লাগছে, সম্ভবত ৪-৫ বিলিয়ন ডলার ছড়িয়ে যাবে! বছরে ১২-১৫ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স আসে (পড়তির দিকে, সৌদি এবং মধ্য প্রাচ্যের তেল ভিত্তিক দেশ গুলো থেকে আমাদের শ্রমিকদের টাকা পাঠানো কমছে), তার ১/৩ ভাগ যদি ঋণের সুদ দিতে চলে যায়!! কিভাবে চলবে দেশ। ঋণের টাকা তো রপ্তানী মূখী খাতে খরচের পথ বন্ধ! আবার দূর্ণিতিতে ঋণের টাকার ইফেক্টিভনেসও কম!
ভয়াবহ!
৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:৩১
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
"বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ পাওয়া দুই স্প্যানিশ কম্পানি ২০১৪ সালের মার্চে ঘুষের অর্থ স্পেনের মাদ্রিদ থেকে ক্যালিফোর্নিয়ার সানফ্রান্সিসকো শহরের ওয়েলস ফার্গো ব্যাংকে পাঠানো শুরু করে। ১৯ লাখ ৯৮ হাজার ৯২৮ ডলারের প্রথম চালানটি সেখানে পৌঁছে ওই বছরের ১০ মার্চ। সানফ্রান্সিসকোতে ওয়েলস ফার্গো ব্যাংকের লাদেরা ল্যাঞ্চ শাখায় এপিএসসিএলের তৎকালীন এমডি নূরুল আলমের ছেলে মাহফুজ আলমের অ্যাকাউন্টে সেই টাকা পাঠানো হয়। মাহফুজ আলম সে সময় সেখানে পড়াশোনা করতেন। তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর ৫২৮৩৩১৬৬৮৪, যার সুইফট কোড নম্বর ছিল ডঋইওটঝ৬ঝ। এ অ্যাকাউন্টে প্রায় ২০ লাখ ডলারের প্রথম চালানটি পাঠানো হয়েছে স্পেনের ভিলাও ভিজকা (ইরষধঁ ঠরুপধ) ব্যাংকের মাধ্যমে। লেনদেনের চেক নম্বরটি যুক্তরাষ্ট্র ব্যাংক চেক রাউটিং নম্বর হিসেবে পরিচিত, এর নম্বর ছিল ১২১০০০২৪৮। চালানটি আসে মাদ্রিদের ১৩-এরাপ্লিস, ২৮০১৫-এ ঠিকানা থেকে। ঠিকানাটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ পাওয়া স্পেনের প্রতিষ্ঠান টেকনিকাস রিইউনিডাসের প্রধান দপ্তরের। টিএসকের প্রধান দপ্তরও স্পেনের মাদ্রিদে। ওয়েলস ফার্গো ব্যাংকে মাহফুজ আলমের আরেকটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে।"
"ঘুষ নেওয়া সেই দুই কর্মকর্তার বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেননি সরকারের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। উল্টো তাঁদের মধ্যে একজনকে পদোন্নতি দিয়ে সরকারের সবচেয়ে অগ্রাধিকারমূলক প্রকল্প রূপপুর পরমাণুবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কালের কণ্ঠ’র অনুসন্ধানে এ তথ্য জানা গেছে।"
ঘুষের টাকায় যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় কেনা হয়েছে দুটি বাড়ি, একটি ফ্ল্যাট ও দামি গাড়ি। গড়ে তোলা হয়েছে দুটি কম্পানি।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:২২
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: দ্বিগুণ ব্যয়ে দ্বিগুণ সময়েও কাজ শেষ হচ্ছে না - এই খবরটাতে আইসোলাক্সক কেন প্ল্যান্ট ডেলেভারি দিতে পারছে না সেটা বলেছেন ইসমাইল ভাই। তবে ঘুষের বিষয় জানতাম না আমি। আপনাকে ধন্যবাদ লিংক পেস্ট করার জন্য।
সিদ্ধিরগঞ্জ ৩৩৫ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্র
"গ্যাসভিত্তিক কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে প্রতি মেগাওয়াটে বর্তমানে ব্যয় হয় সাড়ে ৮ লাখ ডলার বা সাড়ে ৬ কোটি টাকা। তবে সিদ্ধিরগঞ্জ কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রে মেগাওয়াটপ্রতি ব্যয় হচ্ছে ১৩ কোটি টাকা। আবার চার বছরে কেন্দ্রটি নির্মাণের কথা থাকলেও সাত বছরেও কাজ শেষ হয়নি। স্পেনে মন্দার কারণে ২০১২ সালে আইসোলাক্সকে কাজ দেয়ার বিরোধিতাও করে অনেকে। তবে একটি মহলের প্ররোচনায় প্রায় দ্বিগুণ দামে কাজটি দেয়া হয় প্রতিষ্ঠানটিকে। বর্তমানে দেউলিয়ার পথে রয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। আর্থিক অসুবিধার যুক্তিতে এখন আর কাজ করছে না আইসোলাক্স। এতে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ। তথ্যমতে, স্পেনের আইসোলাক্সের চারটি সাবসিডিয়ারি ব্রাজিলে পাওনা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় সেগুলো দেউলিয়া ঘোষণার প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়া মূল কোম্পানির অর্থিক অবস্থাও বেশ খারাপ। প্রতিষ্ঠানটির চলতি মূলধন এক বছরে কমেছে ২৯ শতাংশ। ইকুইটি নেমে এসেছে অর্ধেকে। অব্যাহত লোকসান আর ঋণ পরিশোধে ব্যর্থতায় এর বড় অংশের নিয়ন্ত্রণ নিতে যাচ্ছে স্পেনের পাঁচ ব্যাংক। সব মিলিয়ে দেউলিয়ার পথে রয়েছে আইসোলাক্স। ফলে সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ বন্ধ রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি। বিষয়টি নিয়ে আইসোলাক্সের সঙ্গে ইলেকট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানি অব বাংলাদেশ (ইজিসিবি) লিমিটেড কয়েক দফা বৈঠক করলেও কোনো অগ্রগতি হয়নি।"
৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:১৯
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
প্রকল্প ভোজবাজী খেলায় সবাই জিতবে শুধু জনগন হারবে। বাংলাদেশ প্রকৃত অর্থনীতির সুফল পাক সেই কামনা করি।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:২৫
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: দুর্নিতির কারনে আমাদের আর্থিক সক্ষমতা নষ্ট হচ্ছে, আমাদের জিডিপি এবং বাজেট কিন্তু যথেষ্ট বড়। কিন্তু এর কর্মখমতা যা হবার দরকার ছিল তার ১/২ থেকে ১/৩ ভাগ, কিছু ক্ষেত্রে তারো কম!
৫| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৫
রাতুল_শাহ বলেছেন: পাওয়ার প্ল্যান্টগুলোতে ৩-৪ গুণ দাম দিয়ে চায়না স্পেয়ার পার্টস কিনে পুরো বারোটা বাজতেছে। ২বছর পর আবার সেটার জন্য টেন্ডার ফ্লট করতে হয়। অথচ OEM থেকে নিলে কোন সমস্যা হত না।
আমরা যে ব্যয় করতেছি, সেটা পুরোটায় জলে ফেলার সমান।
পাওয়ার সেক্টর গুলো চায়না আর কোম্পানীর এডমিন সেক্টরগুলো ভারতীয়রা ভোগ করছে। মাঝখানে মারা খাচ্ছি আমরা।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:১৮
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আমি এক বাংলাদেশী শরনার্থী ভদ্রলোককে চিনি, যিনি ইউরোপের সার্ভিস সাপোর্ট মেয়াদ ঊত্তীর্ণ গ্যাস জেনারেটর (৫০০ কিও থেকে ১,৫ মেগা প্ল্যান্ট) কিনে বাংলাদেশে ঢুকায়। ১০-২৫ হাজার ইউরোতে কিনে দেশে ৪০ থেকে ৬০ হাজার ইউরোতে বিক্রি হয়। উনি নিজে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার, ফোনে সাপোর্ট দেন, দেশে টীম আছে। সমস্যা হোল এই জেনারেটর গুলোর ফুয়েল ইফেসিয়েন্সি কম, ফলে অধিক ফুয়েল পুড়ে এরা কম জেনারেশন করে। এগুলো মূলত পাবলিক সেক্টরের প্ল্যান্ট।
আরো ২ টা অব্জার্ভেশন-
১। ১০-২৫ হাজার ইউরো যেটা দাম এটা দেশ থেকে হুন্ডিতে আনে।
২। স্পেয়ার পার্টস এর জন্য উনারা আলীবাবা নির্ভর, তবে উনার ভাই প্রায়ই চায়না যান স্পেশাল পার্টস কিনতে নিয়ে।
এটা একটা সফল বিজনেজ মডেল। খুবই পরিশ্রমী ব্যবসা, কিন্তু একদিকে টাকা পাচার হচ্ছে (দেশের নিয়ম নীতির কিছুও এর জন্য দায়ী), অন্যদিকে উচ্চ মূল্যে সেই কম ইফেসিয়েন্সির মেশিনারি দেশে ঢুকছে। আরেকদিকে লোকাল মার্কেট স্পেয়ার পার্টসের উতপাদনেও যেতে পারছে না।
পাওয়ার সেক্টর গুলো চায়না আর কোম্পানীর এডমিন সেক্টরগুলো ভারতীয়রা ভোগ করছে। মাঝখানে মারা খাচ্ছি আমরা।
স্বল্প কোথায় অনেক কিছু বলে ফেলেছেন।
৬| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:০৪
রাতুল_শাহ বলেছেন: আলিবাবায় তো পাওয়ার সেক্টরগুলোকে খাইলো।
টেন্ডার হওয়ার পর পর সবাই আলিবাবা নির্ভরশীল হয়ে পড়ে।
আগে তো চায়না এককভাবে এই সেক্টরে ব্যবসা করতো। এখন ভারতীয়রা করছে। শুধুমাত্র কম দাম দেখে পাওয়ার সেক্টরগুলো মাল কিনে। স্যাম্পল সাবমিট করার সময় ভালো মানের স্যাম্পল দেয়। কিন্তু মালামাল ডেলিভারী দেওয়ার সময় তারা হয় মাল কম দেয় অথবা নিম্নমানের মাল দেয়।
পাওয়ার সেক্টরের স্টোরগুলোতে গেলে দেখতে পারবেন কিভাবে আমরা দেশের টাকা অপচয় করছি।
মালামাল কিনছি ঠিকই, কিন্তু নিম্নমানের, আবার সঠিক পরিচর্যার অভাব। প্রয়োজনের সময় তাদের আর কাজে লাগাতে পারছি না। আবার টেন্ডার ফ্লোট করতে হচ্ছে। কিছু সিন্ডিকেট আছে, যাদের উপর মহলে ভালো যোগাযোগ থাকায় হুদা কামে টেন্ডার ফ্লোট করায়। যেটার কাজ আগামি দশ বছরেও হবে না। মালামাল কিনে দশ বছর ফেলে রাখা ।
ভাবা যায় না। টাকা কিভাবে অপচয় হয়।
এতো বললাম পাওয়ার সেক্টরের কথা।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৫৯
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ভাবা যায় না। টাকা কিভাবে অপচয় হয়। পাওয়ার সেক্টর একদিকে দেশের রিজার্ভ অপচয়ের অন্যদিকে বাজেট ভর্তুকির উর্বর খাত। ১২০০০্ মেগাওয়াট উৎপাদনের বিপরীতে মাত্র ৮০০০ মেগাওয়াট সর্বচ্চ সঞ্চালনের অবকাঠামো, বাকি বৃহৎ উৎপাদন সখমতাকে বসিয়ে বসিয়ে ইন্সটল্ড ক্যাপাসিটি চার্জ দিচ্ছে দলীয় লোকেদের মালিকানায় থাকা কোম্পানিগুলোকে। বিদ্যুতের উৎপাদন, সঞ্চালন এবং বিতরণ আবকাঠামো সমন্বিত নয়, এতে সুফল আসছে না। জ্বালানী পরিকল্পনাও ফালতু এতে বিদ্যুৎ সেক্টরে এত কাজ করেও কোন ফায়দা আসছে না। শিল্প খাত স্তিমিতই থেকে গেল!
৭| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:৩৯
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: তথ্য ও বিশ্লেষণধর্মী লেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আপনার এই পোষ্ট অত্যন্ত কৌতুহলউদ্দীপক। এতে অনেক কিছু চিন্তা করার আছে। র্দূনীতি ও অনিয়ম নিয়ন্ত্রণ করা গেলে আমাদের হয়ত বৈদেশিক ঋণ তেমন নেওয়া লাগবে না।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৫৪
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: পড়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
৮| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:০৬
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ড. আকবর আলি খান
http://bonikbarta.com/news/2016-11-24/96159/বিদেশী-বিনিয়োগকারীরা-‘গরু-ছাগলের-পালতত্ত্ব’-অনুসরণ-করেন/
চীনের রাষ্ট্রপতির সাম্প্রতিক সফরকে আপনি কীভাবে দেখেন?
বাংলাদেশে বিদেশী বিনিয়োগের প্রয়োজন রয়েছে। আমরা সব খাতেই বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে চাই এবং চীন যে বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে রাজি হয়েছে, এটা আমাদের জন্য একটি সুসংবাদ। তবে মনে রাখতে হবে— বিদেশী বিনিয়োগ শুধু বাড়ালেই হবে না, একে যথাযথ খাতে ব্যবহার করতে হবে। এ প্রসঙ্গে আশির দশকে বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশে ডেট ক্রাইসিস বা ঋণ কেলেঙ্কারি ঘটেছিল, সেটা আমাদের স্মরণ করা উচিত। তখন অর্থের অভাব ছিল না। সুতরাং ঋণ প্রচুর পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু ঋণ বিনিয়োগ করে তা থেকে যে লাভ করবে— সেটা আর সম্ভব হয়নি। এজন্য ঋণ পরিশোধে বিরাট সমস্যা দেখা দেয়। চীনের সঙ্গে যেসব ঋণ চুক্তি সই হয়েছে, সেগুলো ভালোভাবে সমীক্ষা করা হয়েছে কিনা, আমাদের সন্দেহ রয়েছে। প্রাক-সমীক্ষা ও সমীক্ষায় অর্থনৈতিক স্থায়িত্ব (ভায়াবিলিটি) প্রতিষ্ঠিত না হলে ঋণ নেয়া যুক্তিযুক্ত কিনা, তা বিবেচনার প্রয়োজন আছে। চীনের সঙ্গে যেসব চুক্তি সই হয়েছে, আমার যতটুকু মনে পড়ে, তার প্রায় এক-চতুর্থাংশ রেল খাতে বিনিয়োগের প্রস্তাব করা হয়েছে। বাংলাদেশে রেল এখনো একটি লোকসানি প্রতিষ্ঠান। এবং প্রতিষ্ঠানটিকে লাভজনক না করে ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করা হলে সে অর্থ সরকারকে ফেরত দিতে হবে। সুতরাং সেসব ঋণ সরকারের দায় হয়ে পড়বে। সেজন্য বাংলাদেশের যে বিদেশী বিনিয়োগ গ্রহণ করা উচিত, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু ঋণ গ্রহণের আগে প্রতিটি প্রকল্পের খুঁটিনাটি বিশ্লেষণ করে দেখতে হবে— এ প্রকল্প আমাদের জন্য আর্থিক দিক থেকে লাভজনক কিনা। অলাভজনক বিনিয়োগ করলে তা আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রগতির পথে বড় প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়াবে।
এ ঋণগুলো সাপ্লায়ারস ক্রেডিট। এতে শর্ত থাকে যে, কোনো টেন্ডার আহ্বান করা যাবে না। চীনা প্রতিষ্ঠানকে নিতে হবে...
সাপ্লায়ারস ক্রেডিট সম্পর্কে আরো সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। কারণ সাপ্লায়ারস ক্রেডিটে যেহেতু কোনো প্রতিযোগিতা থাকে না, সেহেতু সেখানে সেবা কিংবা চুক্তির মূল্য অত্যন্ত বেশি ধরা হয়। ফলে এটা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই লাভজনক হয় না। ভারত কোনো সাপ্লায়ারস ক্রেডিট গ্রহণ করে না। বাংলাদেশেরও ভারতকে অনুসরণ করে সাপ্লায়ারস ক্রেডিট নেয়া একেবারে বন্ধ করা উচিত।
ঋণগুলো বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বড় প্রকল্পে ব্যবহার করা হবে। সেখানে ব্যয় বাড়বে, বাড়ছে। বিষয়টি কীভাবে দেখেন?
বর্তমান বিশ্বে প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে ঋণ পাওয়া সম্ভব এবং প্রতিযোগিতার ভিত্তিতেই আমাদের প্রকল্প বাছাই ও প্রকল্প বাস্তবায়ন করা উচিত। বিনা প্রতিযোগিতায় যদি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয় তাহলে সেখানে ব্যয় অনেক বেড়ে যাবে এবং অনুপার্জিত মুনাফার (রেন্ট) পরিমাণও অনেক বেড়ে যেতে পারে। সুতরাং এ ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকা উচিত। আগেই উল্লেখ করেছি, ভারত সাপ্লায়ারস ক্রেডিট নেয়া একেবারে বন্ধ করে দিয়েছে। সুতরাং এটি একটি ভালো উদাহরণ। বাংলাদেশের তা অনুসরণ করা উচিত।
৯| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: রীতিমতো আত্মহত্যায় মত্ত এক জাতি!
একদল শকুনের মতো খুবলে খাচ্ছে- বাকী আমজনতা অজ্ঞানতার আফিমে বেহুশ!!!!
সুবিধাবাদীরা খুদকুড়ো কাড়াকাড়িতেই ব্যস্ত!!!!
মাথাপিছু সম্ভাব্য ভবিষ্যত দেনার একটা হিসাব যদি সহজ ভাষায় দিতেন। সহজ কথা সহজ করে বোঝার মানুষই যে নাই!!!!!!!!!!!
রীতিমতো আতংকিত হয়ে পড়লাম- বাস্তবতার চিত্র দেখে!
হায় মিডিয়া! হায় দেশপ্রেম! হায় রাজনীতি!!!!!!!!!!!!!
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:০১
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: তারপরেও হাল ছেড়ে দেয়া যাবে না।
নিজেকে সচেতন রাখুন,
সমাজ জাগানোর ফন্দি আটুন ছোট ছোট পরিসরে!
১০| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:০৩
ওসেল মাহমুদ বলেছেন: গণতান্ত্রিক নিয়মতান্ত্রিক পরিবেশ না থাকায় বাংলাদেশ সরকারের ডেবট দ্বিপাক্ষিক নেগোসিয়েশন পাওয়ার একেবারেই হ্রাস পেয়েছে) বর্তমানের অতি সীমিত পরিসরের স্বল্প নেগোসিয়েশনের বৈদেশিক ঋন গুলোর শর্ত এমন যে, যন্ত্র/মেশিনারি, পণ্য, সার্ভিস, সাপোর্ট, কাঁচামাল, ডিজাইন এন্ড প্ল্যানিং, ইমপ্লিমেন্টেশন ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বাস্তবায়নের ঠিকাদারি সহ সমুদয় কাজের প্রায় ৮৫% ঋণ দান কারী দেশ থেকে নেয়া বাধ্যতামূলক।
পাওয়ার সেক্টর গুলো চায়না আর কোম্পানীর এডমিন সেক্টরগুলো ভারতীয়রা ভোগ করছে। মাঝখানে মারা খাচ্ছি আমরা। বছরে ১২-১৫ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স আসে (পড়তির দিকে, সৌদি এবং মধ্য প্রাচ্যের তেল ভিত্তিক দেশ গুলো থেকে আমাদের শ্রমিকদের টাকা পাঠানো কমছে), তার ১/৩ ভাগ যদি ঋণের সুদ দিতে চলে যায়!! কিভাবে চলবে দেশ। ঋণের টাকা তো রপ্তানী মূখী খাতে খরচের পথ বন্ধ! আবার দূর্ণিতিতে ঋণের টাকার ইফেক্টিভনেসও কম! ঋণের উপর, সরকার প্রতি বছর যে পরিমাণ সুদ দিচ্ছে তা আমাদের মতো জাতির জন্য আত্মহত্যার সমান।
বাংলাদেশের ৯০% মানুষ প্রথম চেস্টায় ১ বিলিয়নকে সংখ্যায় লিখতে পারবে না; এই ধরণের মানুষ কোনদিন জানবে না যে, আমাদের জাতির কত ঋণ।আমাদের যত বিলিয়ন ডলার ঋণ, ঠিক তত পরিমাণ ডলার প্রশাসন ও সরকার চুরি করে নিয়ে গেছে; ৪৬ বছরে সরকারের তরফ থেকে যতটুকু উন্নয়ন হয়েছে, এর জন্য এক ডলারও ঋণ নেয়ার দরকার হওয়ার কথা নয়। এ সব তো
ভয়াবহ ব্যপার , কি হবে দেশটার !??
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৪২
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ঋণের টাকায় গ্রোথ হবে, সবাই এটা নিয়ে হাঁকাহাঁকি করবে। তবে গ্রোথের উল্লেখযোগ্য অংশ যে সুদ-আসল দিতে চলে যাবে সেই খেয়াল নাই। দেশের ইনফাস্ট্রাকচার উৎপাদন হীনতার কঠিন ও হীন শর্ত যুক্ত ঋণ মূখী, বিদেশ থেকে নেয়া ঋণ লুটপাট মুখী যার কারনে ২০ কোটি কিমি প্রতি রাস্তার জন্য লাগছে ১৪৫কোটি বা তারো বেশি (শুধু মাওয়া -পায়রার রেলের উদাহরণ), অন্যদিকে ব্যবসা আমদানী/ট্রেডিং মুখী। স্থানীয় উৎপাদনে পুজি নেই, ফলে স্থানীয় পণ্যের মানও নেই। দেশ বিদেশী পণ্যের গো-ডাউন।
ফলে দেশের ঋণ নির্ভর গ্রোথ দেশের মানুষের কর্মসংস্থান, সম্মান জনক পেশা কিংবা জীবন মান উন্নয়নে কাজে লাগছে না। প্রায় দেড় যুগ ধরে আমাদের প্রবৃদ্ধি ৫ এর আশে-পাশে (গ্রোথের বিচারে এটা চাট্টি খানি কথা নয়), অথচ সংখ্যা গরিস্ট মানুষের জীবিকা নির্বাহের (গার্মেন্টস, রিক্সা,ঠেলা,লেবারি,চাক্রানি,হকারি, দারোয়ান, সিকিউরিটি,গায়ে গতরে খাটা টুলস হীন কৃষি) মান দেখুন! কারন এই গ্রোথ দেশের ৫-১০% মানুষের হচ্ছে, এদের কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা! আর বাকিরা সবাই ব্যাংকিং খাত অথবা মাইক্রো ফিনান্স খাতে দেনার দায়ে জর্জরিত!
ভালো থাকবেন।
১১| ১৮ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১:০৬
ওসেল মাহমুদ বলেছেন: একমত ! !
১২| ০৩ রা জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:১১
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: চীনের নেতৃত্বে সদ্য গঠিত এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক বা এআইআইবি পাঁচটি প্রকল্পে ঋণ অনুমোদন করেছে যার দুটিই বাংলাদেশে। প্রথমটি হলো, বিদ্যুৎ বিতরণ পদ্ধতি উন্নতকরণ, যেখানে এআইআইবি গত বছর জুনে ১৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার দিতে সম্মত হয়েছে-যা মোট প্রকল্প ব্যয়ের ৬৩ শতাংশ। এছাড়া এ বছর মার্চে প্রাকৃতিক গ্যাস অবকাঠামো ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্পের সঙ্গে যৌথভাবে অর্থায়ন করতে সম্মত হয়েছে ব্যাংকটি। ৪৫ কোটি ৩০ লাখ ডলারের এ প্রকল্পে এডিবি দিচ্ছে ৩৭ শতাংশ, এআইআইবি ১৩ আর সরকার ৫০ শতাংশ বহন করবে।
এআইআইবি এখন পর্যন্ত যে ২০০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন ও ছাড় করেছে, তার মধ্যে ৬১.৮ কোটি ডলারই বাংলাদেশ নিয়েছে (৩০.৯%), যদিও নতুন এই ব্যাংকের সদস্য সংখ্যা ৫২।
বাংলাদেশের মোট আউটস্ট্যান্ডীং বৈদেশিক ঋণের তুলনায় এটা খুবই নগণ্য, তথাপি পাগলের মত হন্যে হয়ে ঋণ নেয়ার যে মহাতান্ডব শুরু করেছে ২০১৩ পরবর্তিতে, এটা তার আরেকটা নির্দেশক মাত্র।
বাংলাদেশ সরকারের মনোযোগ এখন বড় বড় প্রকল্পের দিকে, যেগুলো অতিমাত্রার বৈদেশিক ঋণ নির্ভর। ড দেবপ্রিয় ভট্রাচার্য বলছেন শুধু মেগা প্রকল্পে মনোযোগ মাইক্রোইকোনমিকে স্বস্তি দিচ্ছে না। মেগা প্রকল্পে অতি-অর্থায়ন, বিলম্বিত বাস্তবায়ন, প্রকল্প ব্যয় বৃদ্ধি ইত্যাদি কারণে সম্পদের অপচয় হচ্ছে। অথচ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে টাকা না দিয়ে এসব প্রকল্পে অর্থ দেওয়া হচ্ছে। তাই জনগণ দুই-তিন দিক দিয়ে বঞ্চিত হচ্ছে। এই পরিস্থিতি দ্রুত কাটাতে হবে। এটা শুধু বাজেটের কোনো ব্যাপার না। প্রয়োজন রাজনৈতিক দূরদৃষ্টি, অর্থনৈতিক নেতৃত্ব এবং সামাজিক সমর্থন।
বাংলাদেশের অর্থনীতির ৫০ শতাংশের বেশি হলো সেবা খাত। এ খাতে যদি ৬ থেকে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয় তাহলে বাংলাদেশে কখনোই প্রবৃদ্ধির হার ৪ শতাংশের নিচে নামবে না। (আসলে কোন কোন সেবা খাতে দুই অংকের প্রবৃদ্ধি হচ্ছে যা মোট প্রবৃদ্ধিকে উচ্চ মানে রাখছে) তবে সেবা খাতের প্রকৃত প্রবৃদ্ধি হিসাব করার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। উৎপাদনশীল খাতের জন্য যে প্রাক্কলন করা হয়, সেটাও বছরের তিন-চার মাসের প্রকৃত তথ্যের ভিত্তিতে করা হয়, বাকিটা অনুমাননির্ভর। সাম্প্রতিক অকালপ্লাবন কৃষির প্রাক্কলিত প্রবৃদ্ধি কমিয়ে দেবে, রপ্তানি আয় ইদানীং দুর্বল হয়ে যাওয়ায় শিল্প খাতের প্রবৃদ্ধি কার্যত কমে যাবে। তাই গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে উৎপাদনশীল খাতের বিকাশ। অথচ এ বছর ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ হার বাড়েনি, ভোগের ক্ষেত্রেও সরকারি অংশ বেড়েছে। আর রেমিট্যান্স আয় নেতিবাচক থাকায় মোট জাতীয় সঞ্চয়ের হারও কমবে।
আসলে সেবা খাত ও ঋণ নির্ভর প্রবৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে দেশে একটা মানসিক বৈকল্য (প্যারানয়া) সৃষ্টি করা হয়েছে। প্রবৃদ্ধি গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু এটাই একমাত্র ধ্রুব না। সত্যি সত্যিই যদি বর্তমান প্রবৃদ্ধি এত তাৎপর্যপূর্ণ হতো তাহলে ৪০ শতাংশ যুবক কর্মহীন থাকত না। উচ্চমাত্রার প্রবৃদ্ধি যদি প্রয়োজনীয় কর্মসংস্থান সৃষ্টি না করে তাহলে এ প্রবৃদ্ধির গুণগত মান নিয়ে চিন্তা করতে হবে। বড় প্রমাণ হলো সাম্প্রতিক শ্রম জরিপ প্রদত্ত তথ্য। হয়তো দেশ একটা পর্যায় দিয়ে যাচ্ছে, যেখানে নতুন প্রযুক্তি আসার ফলে শ্রমের চাহিদা তুলনামূলকভাবে কমছে।
(গণতান্ত্রিক নিয়মতান্ত্রিক পরিবেশ না থাকায় বাংলাদেশ সরকারের দ্বিপাক্ষিক ডেবট নেগোসিয়েশন পাওয়ার একেবারেই হ্রাস পেয়েছে) বর্তমানের অতি সীমিত পরিসরের স্বল্প নেগোসিয়েশনের বৈদেশিক ঋন গুলোর শর্ত এমন যে, পণ্য সেবা, কাঁচামাল, ডিজাইন এন্ড প্ল্যানিং, ইমপ্লিমেন্টেশন ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বাস্তবায়নের ঠিকাদারি সহ সমুদয় কাজের প্রায় ৭৫-৮৫% ঋণ দান কারী দেশ থেকে নেয়া বাধ্যতামূলক। ফলে বৈদেশিক ঋণ নির্ভর মেগা প্রকল্প সমূহ দেশীয় জনবলের কর্মসংস্থান তৈরিতে একেবারেই ভূমিকা রাখছে না, বরং বিদেশীদের কর্মসংস্থান অবারিত করছে।
উচ্চ প্রবৃদ্ধি এবং অতি উচ্চ বেকারত্বের যুগপৎ উপস্থিতির বৈপরীত্য একটি টেকসই অর্থনীতিকে রিপ্রেজেন্ট করে না। এই বৈপরীত্য দিন দিন আরো প্রকট হচ্ছে, যা অর্থনৈতিক কার্যক্রমের চরম অদুরদর্শীতাকে নির্দেশ করছে।
১৩| ০৬ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:২৭
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: বাজেট ২০১৭-১৮ঃ বৈদেশিক ঋণের সুদ
৪ লক্ষ ২৬৬ কোটি টাকার (যার অন্তত ৪০% অবাস্তবায়িত থাকবে, প্রস্তাবনাতেই ১ লক্ষ ৬৭৭২ কোটি টাকা ঘাটতি) বাজেটে জন প্রশাসন ও যোগাযোগ খাতের পরেই তৃতীয় সর্বোচ্চ খাত হিসেবে রয়েছে সুদ প্রদান। যা ১০.৪% এবং টাকার অংকে যা ৪১ হাজার ৬২৮ কোটি টাকা। আন্তর্জাতিক ইনভেস্টমেন্ট সুদ যেখানে ০.৫- ১% সেখানে আমাদের বাজেটের ১০.৪% মূলত বল্গাহীন বৈদেশিক ঋণের সুদে গায়েব হবে। (সঞ্চয় পত্রের আমানত সুদের হার ব্যাংকিং আমানতের সুদের চেয়ে বেশি হবার কারনে সরকার অভ্যতরীণ ব্যাংক ঋণের উপর নির্ভরশীল নয়, ফলে সঞ্চয় পত্রের সুদের বাইরে এই সুদ মূলত বৈদেশিক ঋণের সুদ)।
বাংলাদেশের বাজেট বাস্তবায়ন হার অনুমানিক ৪৫% থেকে সর্বোচ্চ ৬০%। ফলে বছর শেষে খাত হিসেবে সুদ ১০.৪% থেকে ঢের বেশি হবে কেননা বাস্তবায়িত বাজেট কাটছাঁট হয়ে যত ছোটই হোক না কেন সুদ ঠিক ঠিকই দিতে হবে।
অন্যদিকে নতুন বাজেটের ১ লক্ষ ৬ হাজার ৭৭২ কোটি টাকার বিশাল ঘাটতি মেটাতে ৪৬ হাজার ৪২০ কোটি টাকার নতুন বৈদেশিক ঋণের টার্গেট নেয়া হয়েছে!!! ফলে সামনের বছরের বাজেটে বৈদেশিক ঋণের সুদ শতকরা হারে আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে।
শিক্ষা খাতকে সর্বোচ্চ বাজেট বরাদ্দের রাখার নাগরিক চাপকে সামলানো হয়েছে এর সাথে প্রযুক্তি খাত যুক্ত করে ১৬.৪% দেখানোর ভাওতাবাজিতে, আদতে এটা দুটি ভিন্ন ভিন্ন খাত।
১৪| ০৬ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৩০
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ১।যেসব দেশ তার বাইরে ইনভেস্টমেন্ট করে তাদের দেশের ভিতর এবং বাইরের মোট সম্পদ অনুপাতে তাদের ক্রেডিট রেটিং ৫০ থেকে ৯০ পর্যন্তও উপরে উঠে। তাই ভারত এমেরিকা জাপান জার্মানির সাথে বাংলাদেশেরর ক্রেডিট রেটিং কম্প্যার করা যায় না। কেননা দেশের বাইরে বাংলাদেশের ইনভেস্টমেন্ট নেই প্রায়, আমরা শুধু ইনভেস্টমেন্ট সিক করি বাইরে থেকে। আমাদের অবস্থান Non-investment grade speculative। ২। সংখ্যায় প্রকাশিত টিই ক্রেডিট রেটিং যত বেশি তত ভালো। ৩। বি বি এস এর বাংলাদেশ এর জিডিপির ডেটা বেশ গোলমেলে এর সাথে কর্মসংস্থান, শিক্ষা, জীবনযাপনের মান, নূন্যতম মজুরি এইসব ডেটা সহ বেশ কিছু অভ্যন্তরীণ ইন্ডেক্সের সামঞ্জস্য নেই। উপরিন্তু উপ্রোক্ত গ্রাফের ডেবট এমাউন্ট আপডেটেড না। এখানে সাম্প্রতিক ভারত রাশিয়া চীন এবং জাপান থেকে নেয়া দ্বিপাখিক লোন গুলোর তথ্য নেই, স্বাভাবিক ভাবেই নেই এম ও ইউ গুলোর হিসেব। ৪। উচ্চ জিডিপি মানে আমরা ধনী। আবার আমাদের রিজার্ভ ও ভালো। সুতরাং এখানে খামাখা লোন নেয়া কেন? ৫। গ্রীস ফেইল আউটের পর আই এম এফ ইনভেস্টিং উন্নত দেশ গুলোকেও তাদের ক্রেডিট রেটিং ৬০ এর উপরে রাখতে বলা হয়েছে। ৬। ৪০ এর নিচের ক্রেডিট রেটিং রিন পাবে, তবে সেই রিনে সুদ বড্ড বেশি হবে। ৭।জিডীপি যতই বড় হোক না কেন, এট দ্য এন্ড আপনাকে খরচ করতে হবে রাজস্ব আয় থেকে। সমাজের মাইক্রো অর্থনিতিকে চিপা দিয়ে, রাজস্ব আয় বাড়ানো সুখের কিছু নয়, এর ব্যাকোয়ার্ড ইম্প্যাক্ট ভয়াবহ।
১৫| ০৯ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৪৩
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: একটি দেশ কিভাবে মাত্র ৪-৫ বছরে তার স্বাধীনতা পরবর্তী ৪২ বছরের অর্জিত বৈদেশিক ঋণের স্তিতি এইভাবে নষ্ট করে বৈদেশিক ঋণ এর পরিমাণ আড়াই বা তিন গুন করতে পারে?
২০১২-২০১৩ সাল পর্যন্ত বাংলদেশের বৈদেশিক ঋণের আউট স্ট্যান্ডীং অত্যন্ত ভালো ছিল, যা জনাব সাইফুর রহমান এবং জনাব শাহ্ এ এম এস কিবরিয়া সাহেবদের ঋণ করে ঘি না খাওয়ার মত ঐকান্তিক ফসলের ধারাবাহিকতা ছিল। ২০১৩ পরবর্তিতে প্রায় ২২ বিলিয়ন ডলারের (স্বাধীনতা পরবর্তি ৪২ বছরের) বৈদেশিক ঋণের স্থিতিকে বর্তমানে নিয়ে আসা হয়েছে প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলারের উপরে, আর নতুন এই ঋণের সবই প্রায় দ্বিপাক্ষিক ঋণ। যেখানে আগে বাংলাদেশ সুদ বেশি হবার কারনে, কঠিন ও অসৎ শর্ত যুক্ত থাকায় দ্বিপাক্ষিক ঋণ না নিয়ে কম সুদের ওয়ার্ল্ড ব্যাংক/এডিবি/আইডীবি/জাইকা'র মত বহুপাক্ষিক ঋণ নিত সেখানে অবৈধ রিলেশন ও ক্ষমতায়নের শর্তে প্রায় দ্বিগুণ তিনগুণ সুদে অন্যায্য শর্তে মাত্র ৩-৪টা (মূলত) দেশ থেকে এইসব ঋণ নিচ্ছে এখন।
উল্লেখ্য যে দেশি বিদেশি ঋণের সুদ দেশের নতুন বাজেটের ১০.৪%+ এবং নতুন বাজেটের ১ লক্ষ ৬ হাজার ৭৭২ কোটি টাকার বিশাল ঘাটতি মেটাতে ৪৬ হাজার ৪২০ কোটি টাকার (প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার) নতুন বৈদেশিক ঋণের টার্গেট নেয়া হয়েছে!!
অন্যদিকে মোট রাজস্বের এক চতুর্থাংশের বেশি (২৬,৬৮%, ১ লক্ষ ৬ হাজার ৭৭২ কোটি ) ঘাটতি রেখে যে বাজেট দেয়া হয়েছে, তার রাজস্ব টার্গেট ২ লক্ষ ৯৩ হাজার ৮৯৪ কোটি টাকা। এই রাজস্বের বিপরীতে সুদ গুনতে হবে ৪১ হাজার ৪৭৫ কোটি টাকা, মানে মোট রাজস্ব আয়ের ১৪,১১%।
বৈশ্বিক আর্থিক দুর্দিনে, অনাস্থার সামনের দিনে- এই দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব ৪০ এর নিচের ক্রেডিট রেটিং দিয়ে কিভাবে এই দেশের আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করবেন????? ( উল্লেখ্য বাংলাদেশ দীর্ঘদিন নন ইনভেস্টমেন্ট ব্যান্ড (Non-investment grade speculative) টিই-৪০, মুডি-বিএ৩, ফিচ-বিবি- এ স্ট্যাবল ছিল, বর্তমানের ঋণ এই ব্যান্ডে নেগেটিভ স্ট্যাগ পাবার উপযোগীতা সৃষ্টি করেছে)। বল্গাহীন উচ্চ বৈদেশিক ঋণ ভবিষ্যৎ ঋণের সুদকে বড্ড বেশি বাড়াবে যার ভার ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বহন করতে হবে দেশের বাইরে বাংলাদেশের সম্পদ এবং বিনিয়োগ প্রায় নেই। আছে এক বিশাল শ্রমজীবী নাগরিক বেইজ। শান্তিতে সম্ভাবনা হলেও বৈশ্বিক সংকটে এটা দায়।
১৬| ০৯ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৪৪
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আয় ও প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জনের বিষয়টি আশাব্যঞ্জক। এর পরও ২০২০ অর্থবছর পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাজেট ঘাটতি থেকে যাবে, যা বাংলাদেশের ঋণমান নিরূপণে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
সরকারের উচ্চাভিলাষী উন্নয়ন ব্যয় লক্ষ্যের বাস্তবায়ন নিয়ে বড় ধরনের ঝুঁকি রয়েছে। নিয়মিতভাবেই বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় মূলধনি ব্যয়ের লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হচ্ছে বাংলাদেশ। এতে মূলত প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতার জায়গাটিই সামনে চলে আসে। এ দুর্বল প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশের নীতিগত গ্রহণযোগ্যতা ও কার্যকারিতা, যা বাংলাদেশের ক্রেডিট প্রোফাইলের একটি বড় সীমাবদ্ধতা।
আগামী অর্থবছরে অনুদান ছাড়া বাজেট ঘাটতি ধরা হয়েছে জিডিপির ৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের ঘাটতিও একই মাত্রার। তবে গত এক দশকের বাজেট ঘাটতির গড় হারের তুলনায় তা অনেকখানি বেশি। গত এক দশকে বাংলাদেশে অনুদান ছাড়া বাজেট ঘাটতির গড় হার ছিল ৩ দশমিক ৯ শতাংশ। সেখানে ২০১৬-১৭ ও ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে অনুদান ছাড়া ঘাটতির অনুমিত হার ৪ দশমিক ৬ থেকে ৪ দশমিক ৭ শতাংশ।
প্রতিবেদনে উঠে আসে, আগামী অর্থবছরে চলতিটির তুলনায় ৩৩ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি রাজস্ব আহরণের লক্ষ্য ধরেছে সরকার। এছাড়া উন্নয়ন ব্যয় বরাদ্দ বাড়ছে ৩৭ দশমিক ১ শতাংশ। চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছর এ খাতে বরাদ্দের হার জিডিপির ৫ দশমিক ৯ শতাংশ, যা আগামী অর্থবছর বেড়ে দাঁড়াবে জিডিপির ৭ দশমিক ২ শতাংশে। তবে এসব লক্ষ্য পুরোপুরিভাবে অর্জনের সম্ভাবনা অনেক কম। গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশের রাজস্ব আহরণের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ছিল ১৪ শতাংশ। এর পরও বাংলাদেশে রাজস্ব আয়ের হার সমঋণমানসম্পন্ন অন্যান্য দেশের তুলনায় কম। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে রাজস্ব আহরণ ছিল জিডিপির মাত্র ১০ শতাংশ, যেখানে সমঋণমানসম্পন্ন অন্য দেশগুলোয় এর গড় হার ২৮ দশমিক ৫ শতাংশ।
http://bonikbarta.net/bangla/news/2017-06-09/120334/ঋণমানে-নেতিবাচক-প্রভাব-ফেলতে-পারে-বাজেট-ঘাটতি/
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৩:৪৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
সামুতে আমার দেখা সবচেয়ে উন্নত মানের পোস্ট। ঋণের উপর, সরকার প্রতি বছর যে পরিমাণ সুদ দিচ্ছে তা আমাদের মতো জাতির জন্য আত্মহত্যার সমান।
বাংলাদেশের ৯০% মানুষ প্রথম চেস্টায় ১ বিলিয়নকে সংখ্যায় লিখতে পারবে না; এই ধরণের মানুষ কোনদিন জানবে না যে, আমাদের জাতির কত ঋণ।
আমাদের যত বিলিয়ন ডলার ঋণ, ঠিক তত পরিমাণ ডলার প্রশাসন ও সরকার চুরি করে নিয়ে গেছে; ৪৬ বছরে সরকারের তরফ থেকে যতটুকু উন্নয়ন হয়েছে, এর জন্য এক ডলারও ঋণ নেয়ার দরকার হওয়ার কথা নয়।