নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব,ইইই প্রকৌশলী। মতিঝিল আইডিয়াল, ঢাকা কলেজ, বুয়েট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র।টেলিকমিউনিকেশন এক্সপার্ট। Sustainable development activist, writer of technology and infrastructural aspects of socio economy.

এক নিরুদ্দেশ পথিক

সমাজের প্রতিটি ছোট বড় সমস্যার প্রকৃতি নির্ধারণ করা, আমাদের আচার ব্যবহার, সমাজের প্রচলিত কৃষ্টি কালচার, সৃষ্টিশীলতা, চারিত্রিক উদারতা এবং বক্রতা, অপরাধ প্রবৃত্তি, অপরাধ সঙ্ঘঠনের ধাঁচ ইত্যাদির স্থানীয় জ্ঞানের আলোকে সমাজের সমস্যার সমাধান বাতলে দেয়াই অগ্রসর নাগরিকের দায়িত্ব। বাংলাদেশে দুর্নীতি রোধ, প্রাতিষ্ঠানিক শুদ্ধিকরন এবং টেকনোলজির কার্যকরীতার সাথে স্থানীয় অপরাধের জ্ঞান কে সমন্বয় ঘটিয়ে দেশের ছোট বড় সমস্যা সমাধান এর জন্য লিখা লিখি করি। আমার নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি আছে কিন্তু দলীয় সীমাবদ্ধতা নেই বলেই মনে করি, চোর কে চোর বলার সৎ সাহস আমার আছে বলেই বিশ্বাস করি। রাষ্ট্রের অনৈতিক কাঠামোকে এবং দুর্নীতিবাজদের সবাইকে তীক্ষ্ণ ভাবে চ্যালেঞ্জ করার চেষ্টা করি। রাষ্ট্র কে চ্যালেঞ্জ করতে চাই প্রতিটি অক্ষমতার আর অজ্ঞতার জন্য, তবে আঘাত নয়। ব্যক্তিগত ভাবে নাগরিকের জীবনমান উন্নয়ন কে দেশের ঐক্যের ভিত্তিমূল মনে করি। ডাটাবেইজ এবং টেকনোলজি বেইজড পলিসি দিয়ে সমস্যা সমাধানের প্রোপজাল দেবার চেষ্টা করি। আমি মূলত সাস্টেইন এবল ডেভেলপমেন্ট (টেকসই উন্নয়ন) এর নিরিখে- অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ডিজাইন ত্রুটি, কৃষি শিক্ষা খাতে কারিগরি ব্যবস্থাপনা ভিত্তিক সংস্কার, জলবায়ু পরিবর্তন, মাইক্রো ইকনমিক ব্যাপার গুলো, ফিনান্সিয়াল মাইগ্রেশন এইসব ক্রিটিক্যাল ব্যাপার নিয়ে লিখার চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে চোরকে চোর বলার জন্য দুর্নিতি নিয়ে লিখি। পেশাঃ প্রকৌশলী, টেকনিক্যাল আর্কিটেক্ট, ভোডাফোন।

এক নিরুদ্দেশ পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

টেকসই এবং অর্থবহ নির্বাচনী সংস্কার যেমন হওয়া দরকার

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৫৮

ক্ষমতাসীন দল, প্রধান বিরোধীদল এবং সেনাবাহিনী এই তিন পক্ষের দুই যেদিকে থেকেছে বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদল সেভাবেই হয়েছে। এখানে ভারত এবং এমেরিকা অবজার্ভার ছিল যারা মাঝে মধ্যে প্রভাবক হয়ে উঠত। এটা ছিল ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পুর্ব সময়ের সমীকরণ। কিন্তু রাজনৈতিক, বিচার বিভাগীয় এবং প্রসাশনিক অথোরেটেরিয়ান পটপরিবর্তনের অধ্যায়ের পরে এমেরিকাকে অবজার্ভার পোষ্টে রেখে ভারত বাংলাদেশের ক্ষমতার পালাবদলে একটি পক্ষকে বাদ দিয়ে নিজেই সরাসরি পক্ষ হিসেবে আবির্ভুত হয়েছে, এই অবস্থায় এমনকি সংবিধান এবং বিচার বিভাগীয় কাঠামোতেও বিরোধী দলীয় পক্ষের ভূমিকা রাখার সুযোগ নেই।

দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা কখনই স্বচ্চ ছিল না, এই মুহুর্তে এটা সবেচেয়ে অরাজকতা পূর্ণ। সরকারের উচ্চ পর্যায় চাইলে শুধু স্থানীয় নির্বাচন কিঞ্চিৎ স্বচ্চ হতে পারে তবে এটা ১০০% স্বচ্চ কখনই হয় না। কেন্দ্রীয় ক্ষমতার পালাবদল এর যোগ থাকলে বাংলাদেশে নির্বাচন এর আংশিক স্বচ্চতা ৩ টি এলেমেন্ট এর উপর নির্ভর করে-

১। নির্বাচন সময়কালীন কিংবা সর্বশেষ ক্ষমতায় থাকা রাজনৈতিক দলের শান্তি পূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের ইচ্ছা এবং আন্তরিকতা।
২। ক্ষমতা পরিবর্তনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইচ্ছা এবং আন্তরিকতা।
৩। ভারতী স্বার্থ এবং আমেরিকার সম্মতি। (এই ২টির ক্রম রোটেট করেছে​ সম্প্রতি​)।
​ তবে স্থানীয় নির্বাচনে যেখানে ​কেন্দ্রীয় ক্ষমতার পালাবদল এর যোগ না থাকলে বাংলাদেশে নির্বাচন এর আংশিক স্বচ্চতা শুধু ১ টি এলেমেন্ট এর উপর নির্ভর করে-
৪। ক্ষমতাসীন দলের স্বার্থ এবং স্থানীয় রাজনীতি-ব্যবসা- চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রনে বল প্রয়োগের সর্ব গ্রাসী সন্ত্রাসের প্রয়োগ।
নির্বাচন কমিশন কখনই একদল সৎ স্বচ্চ এবং আইনের শাসন বুঝার এবং মানার ক্ষমতা সম্পন্ন প্রশাসন দিয়ে চালিত হয়নি। এরা দলীয় নিয়োগ প্রাপ্ত ক্ষমতার সুবাধাভোগী কিছু শকুন।
অর্থাৎ বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত নির্বাচন (কেন্দ্রীয় এবং স্থানীয়) স্বচ্চ হবে কি, হবে না তার উপর নির্বাচন কমিশনের কোনই ভুমিকা নেই।


​ফলে একটি​ আমূল​ নির্বাচনী​ সংস্কা​রের​ দরকার​ হয়ে পড়েছে​।

যে কোন মূল্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এর প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ প্রভাব মুক্ত একটি "স্বাধীন নির্বাচন কমিশন" গড়তে হবে। যাতে ক্ষমতার লোকদের কিংবা বাইরের লোকের ইচ্ছা​ সময়মত​ নির্বাচন​ অনুষ্ঠান, অযোগ্য প্রার্থী বাতিলকরন এবং নির্বাচনী ফলে নূন্যতম কোন প্রভাব ফেল​তে না পারে।

নির্বাচনী সংস্কার একটি বহুল চর্চার এবং বহু স্তর বাস্তবায়নের বিষয়। দুর্বিনীত রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহারের উপর দাঁড়িয়ে ভয়ঙ্করসব সামাজিক অপরাধ প্রবণ সমাজে এর বাস্তবায়ন যথেষ্ট কঠিন। তাই সঠিক কৌশল এবং কারিগরি বাস্তবায়ন এমনভাবে ডিজাইন করতে হবে যাতে ইচ্ছা স্বত্তেও আলচ্য পক্ষ গুলো নির্বাচনের সঙ্ঘঠন এবং ফলে প্রভাব আনতে না পারে।

বিবদমান এবং কলহপূর্ণ রাজনৈতিক কালচারের দেশে, ভয়ঙ্কর সব নির্বাচনী অপরাধের দেশে শান্তি পূর্ন ক্ষমতা হস্তান্তর অতি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক স্তিতাবস্থা​, টেকসই অর্থনৈতিক​ উন্নয়ন এবং দেশী-বিদেশী বিনিয়োগের পুর্বশর্ত। আফ্রিকা সহ বিশ্বের বহু দেশ এবং বাংলাদেশ নিজে এর জ্বলন্ত প্রমান। দুটি চোরের মাঝে একজনকে বেঁছে নিতে​ ও বহু বার এই একই ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে যেতে যেতে​ বাংলাদেশের সাধারণ নাগরিক খুব ক্লান্ত। আমরা জেনেছি সর্বশেষ ক্ষমতার স্বাদ পাওয়া চোরটি সবসময়ই বহুগুনে প্রবল পরাক্রান্ত হয়ে​ রাষ্ট্র লূটে​ আবির্ভূত​ হয়​। তাই অপেক্ষাকৃত ছোটটিকে বেঁছে নিবার এই লজ্জাকর খেলার সমাপ্তি দরকার। দরকার​ একটি​ মৌলিক পরিবর্তন।


ভোট গ্রহন পদ্ধতির সংস্কার

টেকসই ভোট গ্রহন পদ্ধতি নিয়ে ভাবতে হবে। প্রসাশনের কাছে ​প্রায় শতভাগ নাগরিকের ডেটা আছে, আছে এড্রেস, ন্যাশনাল আইডি, এমনকি বায়োমেট্রিক ফিঙ্গার প্রিন্ট।


১। কমিশন ব্যালট পেপার ঘরে ঘরে পাঠিয়ে দিবে, গোপনীয় সীল গালায়, সরকারি পোষ্ট অফিসের মাধ্যমে, সাথে প্রার্থী​র যোগ্যতা এবং পরিচিতি​ থাকবে​​।​ নগরিক নিজ পছন্দের প্রার্থীকে ঘরেই সীল দিয়ে ভোট কেন্দ্রে শুধু খামে ভরা ব্যালট জমা দিবে!
কেন্দ্র সন্ত্রাস কবলিত হলে তার বিকল্প থকবে (পোষ্ট অফিস, কিংবা ইউপি অফিস কিংবা টিএনো অফিস কিংবা বিকল্প কেন্দ্র), যেখানে আগেই সীল দিয়ে ফেলা ব্যালট গোপনীয়তার সাথে গ্রহন করা হবে।

২। পরবর্তি স্টেইজে এসে এর বাইরে, পাস কোড সহ মোবাইলে ভোটিং এর অপশন আসবে (পাস কোড মোবাইল ভিন্ন অন্য মাধ্যমে সংগ্রহের ব্যাপারও আনা যায় দ্বৌত নিরাপত্তা যুক্ত করতে),যা হবে ফ্রি, আগাম ভোটিং এবং অনলাইন ভোটের মত বিষয় গুলো (সেখানে ইমেইল এবং পাস কোড (ডাক যোগে) ভেরিফিকেশনের বিষয় বাধ্যতামূলক থাকবে)।


অর্থাৎ দুর্বল পক্ষের প্রিজাইডিং অফিসার বের করে দেয়া, ব্যালট ছিনতাই, ভোট বক্স ছিতাই, আগের রাতেই সীল মেরে বক্স ভরার দুর্বিত্ত কাজগুলোর স্কোপই ক্লোজ করে দিতে হবে, নাইলে টেকসই ভোট গ্রহন পদ্ধতি প্রবর্তন করা যাবে না।

তবে ব্যালট প্যাপার খুব বেশি আগে পাঠালে, কিংবা মোবাইল ভোটিং অথবা ই-মেইলের পাস কোড ডাক যোগে খুব বেশি আগে পাঠালে ভোট বিক্রি নগদ হয়ে উঠতে পারে, তাই এই কাজ নূন্যতম সময় আগে করা যায়। অর্থাৎ নির্বাচনী প্রচারণা অফিশিয়ালি বন্ধের ঠিক পর স্থানীয় পোষ্ট ব্যালট এবং পাস কোড ভেরিফিকেশনের চিঠি নির্বাচনের ঠিক ২৪ ঘন্টা আগে বিলি শুরু করবে।


​৩। ​
পরবর্তি স্টেইজে এসে এর বাইরে, অগ্রিম পোষ্টে ব্যালট পেপার সেন্ড করার অপশন দিতে হবে যা হবে ফ্রি এবং অনলাইন ভোটের মত বিষয় গুলো (তবে সেখানে ইমেইল এবং পাস কোড ভেরিফিকেশনের বিষয় বাধ্যতামূলক থাকবে)।

​৪।
পাশাপাশি বিবেচনায় আসবে দেশের অর্থনীতির প্রাণ ভোমরা ​প্রবাসীদের ভোটাদিকার​। সিকিউরড পাস কোড নিয়ন্ত্রিত ই-মেইল ভোটিং কিংবা আগেই রেজিস্ট্রেশন সাপেক্ষে ডাক মারফতের ব্যালট পাঠিয়ে এটা সহজেই বাস্তবায়ন যোগ্য। ​

অর্থাৎ দুর্বল পক্ষের প্রিজাইডিং অফিসার বের করে দেয়া, ব্যালট ছিনতাই, ভোট বক্স ছিতাই, আগের রাতেই সীল মেরে বক্স ভরার দুর্বিত্ত কাজগুলোর ​গলা টিপে ধরা অটোমেশন বাস্তবায়ন করতে হবে, নাইলে টেকসই ভোট গ্রহন পদ্ধতি প্রবর্তন করা​ অধরাই থেকে যাবে​। ​

​৫।
প্রার্থিরা নিজেরা কোন ধরনের পোস্টার, লিফলেট, ব্যানার কিংবা দেয়াল লিখন করতে পারবে না। শুধু গনংসংযোগ করতে পারবে, এর ভিত্তি হবে ২ টা-
(ক) নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া নির্বাচনী মেনিফেস্ট/অঙ্গীকার।
(খ) নির্বাচন কমিশনের পাবলিশ করা প্রার্থী পরিচিতি।
​এর বাইরে কোন ধরনের আন-অথরাইজড তথ্য সংবলিত পোস্টার, লিফলেট​ গণসংযোগে ব্যবহার করা যাবে না।

শুধু পত্রিকায় এড দিতে পারবে যার বিপরীতে তার আর্থিক উৎস চেক করা যাবে।
​​​অর্থাৎ ​
চাঁদাবাজির টাকায় অথবা অবৈধ উপার্জনে​ ঘুষ, অর্থের বিনিময়ে ভোট কেনা এমনকি​ কাগজ/পরিবেশ ধ্বংসের শেইমফুল এবং মিথ্যায় ভরা প্রচারণার ​টুঁটি চেপে ধরতে হবে কৌশলে এবং সিস্টেমেটিক অটোমেশনে।

​৬।
বিগত বছর গুলোতে ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন নিয়ে ট্রায়াল হয়েছে)। দেশীয় প্রযুক্তির বিকাশে এটা গর্ব করার মত আবিস্কার আমাদের তরুন প্রকৌশলীদের।

কিন্তু সমস্যা হোল এটা আসলে উন্নত দেশের জন্য খুব ভালো কাজ করবে​ যেখানে বল প্রয়োগে অন্যের ভোট জোর করে দিয়ে দিবার মত অপরাধ ঘটে না​। আমাদের দেশের সোনার ছেলেরা নির্বাচনের পূর্ব রাতে ভোটার নম্বর ধরে ধরে ইলেকট্রনিক ভোট দিয়ে দিবার গুরু দায়িত্ব নিজেরাই​ খুব দ্রুত​ সেরে নিবে। এটা ব্যালট সিলের মত না তাই সাংবাদিকরাও রিপোর্ট করার রেফারেন্স খুঁজে পাবে​ন​ না।

​তবে​, যদি ইভিএম এ ইন্ডিভিজুয়াল ভোটার আইডেন্টিটি সংযোগ করা যায় তাহলে​ কিছু​ কাজ হতে পারে। আইডেন্টিটী ২ টা হতে পারে, একটা হোল প্রত্যেক ভোটারের পাস কোড যা গোপোন চিঠিতে আগেই বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হবে, অন্যটা হোল বায়োমেট্রিক​ ফিঙ্গার প্রিন্ট​। তবে উভয় ক্ষেত্রেই ব্যক্তি ভোটার কোন মার্কায় ভোট দিয়েছেন তা বের করে ফেলা যাবে ভোট পরবর্তিতে যদি না ​​আইডেন্টিটির বিপরীতে প্রদত্ত ভোটের ম্যাপিং সিস্টেমে জমা না করা হয় (সেভাবে সিস্টেম সফটওয়্যার ডিজাইন করা লাগবে)।​ তবে এটা নাগরিক নিরাপত্তায় একটি খুব ক্রিটিক্যাল ব্যাপার।

আইডেন্টিটির বিপরীতে প্রদত্ত ভোটের ম্যাপিং সিস্টেমে জমা না করা​র​
​​অসুবিধা হোল- ​ভোট চলার সময়ে​ ইভিএম​ হ্যাং করলে ইতিমধ্যেই প্রদত্ত ভোটের হিসাব পাওয়া ঝামেলার হবে​ কিংবা ভোট রি কাউন্টে সমস্যা হবে​। আসলে প্রশাসন নাগরিকের ডেটা সিকিউরিটির সর্বোচ্চ গপোনীয়তা এবং নিরাপত্তা না দিলে অপরাধ প্রবণ এবং দুর্বিত্ত রাজনৈতিক সংস্কৃতির দেশে ইলেকট্রনিক ভো​টের মত অত্যাধুনিক সিস্টেমও​ খুবই বিপদের।​ এটা বড়ই লজ্জার! ​

​​৭​।
নির্বাচনে "না" ভোটের বিধান থাকবে​ এমনভাবে থাকবে যাতে তিন ভাগের এক ভাগ ভোটার "না" ভোট দিলে সকল প্রার্থী কে অযোগ্য ঘোষণা করে নতুন​ প্রার্থীতে​ নির্বাচন​ ঘোষণা​ কর​তে​ হবে। চোর ​ ও লুন্ঠনকারী হটানোর ​জন্য এই পদ্ধতি সমালোচনা সত্ত্বেও গ্রহন করতে হবে। ​ ​


​ভোট গ্রহন পদ্ধতির সংস্কার​ ছাড়াও আরো কিছু টার্গেট সেট নিয়ে কাজ করতে হবে-

১। চোর চাঁদাবাজ ঋণ খালাপী লোকের সুযোগ বন্ধ করা। শিক্ষা গত যোগ্যতাকে সর্ব নিন্ম স্নাতক করা। সর্বোচ্চ ২ বার নির্বাচন করার রীতি।
২। সাবেকদের বেলায় নির্বাচনী ওয়াদা্র অন্তত ৭৫% বাস্তবায়ন সাপেক্ষে পুনঃ মনোয়ন দেয়ার বিধান।
৩। সংসদে শুধু ব্যবসায়ী এবং সার্টিফেকেট ধারী আইন পেশার লোকে না ভরে, প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ পেশা এবং বিষয়ের সাব্জেক্ট ম্যাটার এক্সপার্ট সমন্বিত করে দলীয় মনোনয়ন দান বাধ্য করা। আইন কমিশনই যেহেতু আসল আইন প্রণেতা তাই সেখানেও প্রতিটি প্রফেশনের সাব্জেক্ট ম্যাটার এক্সপার্টদের ডিরেক্ট ইন্টারফেইস তৈরি করা।
৪। সংসদের কার্যপ্রনালী বিধির আমূল সংস্কার যাতে ক্ষমতা হীন রাষ্ট্রপতির পাতানো ভাষণের উপর বক্তব্যের মত অর্থহীন আলোচনায় কোটি কোটি টাকা খরচ না হয়। বরং নির্বাচিত দলের মেনিফেস্টো, তার বাস্তবায়ন অগ্রগতি এবং আন্ত ডিপার্ট্মেন্টাল সংযোগ নিয়েই যাতে ৭৫% আলোচনা হয় তার বিধান।
৫। রাষ্ট্রপতি সংসদে গয়ে নির্বাচনি মেনিফেস্টোর বাস্তবায়ন নিয়ে​​
প্রধানমন্ত্রীকে​ বাধ্যতামূলক​ আহ্বান জানাবেন এবং বিশেষ বিশেষ ব্যাপারে চ্যালেঞ্জ জানাবেন।​


রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান মাথা তুলে দাঁড়াক,
বাংলাদেশ এগিয়ে যাক!


রেফারেন্সঃ লিখকের কন্সেপচূয়াল আর্টিক্যাল

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


পড়লাম; আপনি ভেবেছেন, আপনার ভাবনাশক্তি আগের থেকে সবল হয়েছে।

শেখ হাসিনা কোন দু:খে স্বচ্ছ ভোট দেবেন, যদি উনি মনে করেন যে, বিএনপি জামাত জয়ী হলে, উনাকে হত্যা করতে পারে।
আপনার লেখা উনি পড়লে, আপনি ২১শের পদক পাবেন; কিন্তু আপনার বুদ্ধিকে কাজে লাগাতে পারবেন না উনি।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৬

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আমি যথেষ্ট চেষ্টা করে নাম এড়িয়ে লিখার। স্বাধীনতা পরবর্তি সময়ে নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতায় প্রতিটি সরকার প্রধান এবং তাদের দল কি কি আঘাত করেছে তার একটা সামাজিক-রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ হতে পারে। তবে এই কাজটা শুধু মাত্র পলিটিক্যাল এনালিস্টরা ভালো করতে পারবেন, যারা দেশের ম্যাক্রো-মাইক্রো ইকোনোমি এবং ইন্সটিটিউশনাল শাসন সম্পর্কে গভীর জ্ঞান রাখেন। আমি পলিটিক্যাল এনালিস্ট না বিধায় ঐ সব আলোচনা এভয়েড করে সিস্টেম অটোমেশন নিয়েই ভাবছি।

অপ্রাসঙ্গিক হলেও বলি, পাকিস্তানি জান্তারা পুর্ব পশ্চিমের জনসংখ্যার আনুপাতিক বিন্যাসের কারনে নির্বাচন দিতে পারতো না। তারা পুর্বে তাদের কাজের ব্যপ্তি এবং নির্বাচনের ফলাফল জানতো তাই.। স্বাধীন দেশের সরকার প্রধানরা সেই চেইনে নিজেরদের নিয়ে গেছে (হ্যাঁ তারা সবাই মিলেই এই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে)।

তবে যেহেতু এটা পক্ষ - বিপক্ষের খেলা, তাই উনি সেইফ এক্সিট পাবে, মইন-এরশাদ-তারেক সবাই পেয়েছে। এটা নিয়ে চিন্তা করার মানে হয় না। তবে কিছু রাঘব বোয়াল ছাড়া অবশিষ্ট দলীয় চামচা আর উচ্ছিষ্ট ভোগীরা এই সেইফ এক্সিট পায় না।
তবে দেশের স্বার্থে একটা খারাপ কাজ করা যায়, একটা জাতীয় ঐক্য মত্তে ১০ বছরের জন্য সর্ব দলীয় শীর্ষ চোরগুলাকে সেইফ এক্সিট দেয়া যায়, কিন্তু তার আগে নতুন চুরি না করতে পারার সিস্টেম ডেভেলপ করতে হবে, অন্যথায় সেটা অর্থহীন হবে।

তাহলে সংস্কার কিভাবে হবে? আদৌ হবে না?

আমার পরিকল্পনা হোল দুর্বিত্তায়নের টুঁটি চেপে ধরা সিস্টেমেটিক অটোমেশন বাস্তবায়নের মাধ্যমে এটা করতে হবে। অর্থাৎ নির্বাচনী অপরাধ কি কি ভাবে দেশে হয় তার একটা ডীপ ডাইভ স্ট্যাডী পলিসি মেকার এবং সফটওয়্যার ডিজানারদের সামনে এনে ম্যানুয়াল ইন্টারভেনশন হীন অল্টারনেটিভিভ পরিকল্পনায় সিস্টেম ঠিক করা, যাতে দুর্বিত্ত রিক্রুটার (নির্বাচন কমিশনার) এসে রুটিন কাজের বাইরে কিছু করতে না পারেন।

আমি এখন নির্বাচনী মেনিফেস্টো প্রসেসিং এবং নমিনেশন ম্যানেজমেন্ট প্রসেস নিয়ে ভাবছি- সিরিজ পোস্টের ২য় পর্বে থাকবে সেটা।


খুব ভালো থাকবেন।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৩২

অগ্নি সারথি বলেছেন: নির্বাচন কমিশন কখনই একদল সৎ স্বচ্চ এবং আইনের শাসন বুঝার এবং মানার ক্ষমতা সম্পন্ন প্রশাসন দিয়ে চালিত হয়নি। এরা দলীয় নিয়োগ প্রাপ্ত ক্ষমতার সুবাধাভোগী কিছু শকুন। - সহমত। এইডারে ঢেলে সাজানো দরকার আগে। কিন্তু ভাই বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাধিবে কে?

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০০

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: অনেস্ট এন্সার চান!
আমাকে আপনাকে এবং নাগরিককেই!

৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম!

সুন্দর ভাবনার কদর করার মতো সুদিন বাংলাদেশে এখনো আসেনি!!!!

আপনার দারুন দারুন সব আর্টিক্যালে দেশ বদলে দবোর মতো শত উপাদান ভরপুর। কিন্তু মূর্খ আর চোরা- না শূনে ধর্মের কাহিনী!!!

তবু্ও অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যেতেই হবে। কোন এক শুভদিনের আশে!

আপনার টপিত রলেটেড হওয়ায়- পুরানো পোণ্টের লিংকটা দেবার লোভ সামলাতে পারলাম না! ;)
সরাসরি দুইস্তর বিশিষ্ট ভোটে নির্বাচিত একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন: ভবিষ্যত স্থিতিশীল বাংলাদেশের পাথেয়..
আর পোষ্ট পড়ে যদি ভাল মনে হয়- এর উপর প্রায়োগিক আউটলাইন প্লানিং কেমন হতে পারে- ট্যাকনিক্যাল এন্ড ফিনেন্সিয়াল আউটলাইন এর স্কেচ হেল্প চেয়ে রাখলাম :)

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৩

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আমি এখন নির্বাচনি মেনিফেস্টো এবং সংসদের কার্যপ্রনালী নিয়ে একটু ভাবছি। এর পরের ধাপে রিক্রুট্মেন্ট নিয়ে ভাবব।

সিস্টেম শত ভাগ অটোমেশনে আনতে পারলে দলীয় শাবকদের ভোটে প্রভাব ফেলতে খুবই কষ্ট হবে। তাই এই কাজটা আগে করতে হবে।

২য় কিস্তি প্রকাশের পরে আপনার লিখার রিভিউ করবো করবো!

৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:২৬

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: সহ ব্লগারদের মন্তব্য পড়লাম এবং প্রতি উত্তর পড়লাম ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.