নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব,ইইই প্রকৌশলী। মতিঝিল আইডিয়াল, ঢাকা কলেজ, বুয়েট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র।টেলিকমিউনিকেশন এক্সপার্ট। Sustainable development activist, writer of technology and infrastructural aspects of socio economy.

এক নিরুদ্দেশ পথিক

সমাজের প্রতিটি ছোট বড় সমস্যার প্রকৃতি নির্ধারণ করা, আমাদের আচার ব্যবহার, সমাজের প্রচলিত কৃষ্টি কালচার, সৃষ্টিশীলতা, চারিত্রিক উদারতা এবং বক্রতা, অপরাধ প্রবৃত্তি, অপরাধ সঙ্ঘঠনের ধাঁচ ইত্যাদির স্থানীয় জ্ঞানের আলোকে সমাজের সমস্যার সমাধান বাতলে দেয়াই অগ্রসর নাগরিকের দায়িত্ব। বাংলাদেশে দুর্নীতি রোধ, প্রাতিষ্ঠানিক শুদ্ধিকরন এবং টেকনোলজির কার্যকরীতার সাথে স্থানীয় অপরাধের জ্ঞান কে সমন্বয় ঘটিয়ে দেশের ছোট বড় সমস্যা সমাধান এর জন্য লিখা লিখি করি। আমার নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি আছে কিন্তু দলীয় সীমাবদ্ধতা নেই বলেই মনে করি, চোর কে চোর বলার সৎ সাহস আমার আছে বলেই বিশ্বাস করি। রাষ্ট্রের অনৈতিক কাঠামোকে এবং দুর্নীতিবাজদের সবাইকে তীক্ষ্ণ ভাবে চ্যালেঞ্জ করার চেষ্টা করি। রাষ্ট্র কে চ্যালেঞ্জ করতে চাই প্রতিটি অক্ষমতার আর অজ্ঞতার জন্য, তবে আঘাত নয়। ব্যক্তিগত ভাবে নাগরিকের জীবনমান উন্নয়ন কে দেশের ঐক্যের ভিত্তিমূল মনে করি। ডাটাবেইজ এবং টেকনোলজি বেইজড পলিসি দিয়ে সমস্যা সমাধানের প্রোপজাল দেবার চেষ্টা করি। আমি মূলত সাস্টেইন এবল ডেভেলপমেন্ট (টেকসই উন্নয়ন) এর নিরিখে- অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ডিজাইন ত্রুটি, কৃষি শিক্ষা খাতে কারিগরি ব্যবস্থাপনা ভিত্তিক সংস্কার, জলবায়ু পরিবর্তন, মাইক্রো ইকনমিক ব্যাপার গুলো, ফিনান্সিয়াল মাইগ্রেশন এইসব ক্রিটিক্যাল ব্যাপার নিয়ে লিখার চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে চোরকে চোর বলার জন্য দুর্নিতি নিয়ে লিখি। পেশাঃ প্রকৌশলী, টেকনিক্যাল আর্কিটেক্ট, ভোডাফোন।

এক নিরুদ্দেশ পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

এগ্রিকালচার প্রমোশন জোন এর কনসেপ্ট!

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:০২

বাংলাদেশ পৃথিবীর চতুর্থ বৃহত্তম কৃষি উৎপাদনকারি দেশ হওয়া স্বত্বেও আমাদের কৃষি পণ্যের ভোক্তার তালিকায় বাংলাদেশী ভিন্ন অন্য কোন দেশের নাগরিক নেই বললেই চলে। যে স্বল্প পরিমাণ কৃষি পণ্য বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে তার ক্রেতা প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিক কিংবা তাঁদের রেস্টুরেন্ট- যেখনে স্বল্প সংখ্যক ভিন দেশী গ্রাহক আছেন। তবে তৈরি খাবারের বাইরে আমাদের কৃষি পণ্য আন্তর্জাতিক সুপার সপগুলোতে নেই। এই দৈন্যতার অবসান দরকার।

১। বাংলাদেশে খাদ্যের প্রক্রিয়াজাকরনের কালচার খুবই নাজুক এবং অস্বাস্থ্যসম্মত এবং আন্তর্জাতিক মানের তুলনায় যারপর নাই নিন্ম মানের।
২। কৃষি পণ্যের বাজার বাজারঃ একটি কৃষি পন্যের অন্তত ৬ রকমের বাজার থাকা চাই-
ক। মৌসুমে দেশি ভোক্তার বাজার
খ। মৌসুমে​র​ বাইরে দেশি ভোক্তার বাজার ​
গ। মৌসুমে ​বি​দেশি ভোক্তার বাজার ​ ​
ঘ। মৌসুমে​র বাইরে ​ ​বি​দেশি ভোক্তার বাজার ​
ঙ। এই পণ্য জাত প্রসেসড ফুডের বাজার দেশে (যেমন ফলের ক্ষেত্রে ড্রাই ফ্রুট,জুস, জুস তৈরির নেক্টার)
​​চ। ​এই পণ্য জাত প্রসেসড ফুডের বাজার বিদেশে

এই ছয় রকমের বাজারের বাইরেও এই সময়ে অরগ্যানিক কৃষি পন্যের জন্যও এই ৬ টি প্যারালাল বাজার সৃষ্টি করা সম্ভভ। একজন কৃষককে মোট ১২ রকমের বাজারে তাঁর উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করনের সুযোগ করে দিলে বাংলাদেশের কৃষি এবং খাদ্য নিরাপত্তায় এক অভাবনীয় মাত্রা যোগ হবে। বাংলাদেশ পৃথিবীর ৪র্থ বৃহত্তম কৃষি উৎপাদনকারী দেশ, কৃষিতে আমাদের অর্জন অবশ্যই অসামান্য। উৎপাদনের এই অর্জনকে খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরনে সঞ্চারিত করা গেলে সেটা হবে একটা টেকসই উন্নয়ন। ​ ​

খেয়াল করলে দেখবেন আমাদের কৃষককে প্রায় সব ফল ফলাদি ঠিক পাকার মুহুর্তেই বাজারে ছাড়তে হয়। এত বিপুল পরিমাণ আম জাম কাঁঠাল এত উচ্চ তাপমাত্রায় রাস্তার পাশের উত্তপ্ত পরিবেশ উঠিয়ে দিতে বাধ্য করে আমরা আমদের কৃষিকে বড্ড ভালনারেবল করে তুলেছি। অথচ মানসম্পন্ন খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরনের মাধ্যমে এই চিত্র পাল্টে দেয়া যেত। একই চিত্র ইলিশের বেলায়ও। ধানের বেলাতেও। আরেকটা উদাহরণ, জুসের বাজারে পেয়ারার জুস দামি, কিন্তু মৌসুমের শেষে আমাদের পেয়ারা গরুতে খায়)।

একদিকে ফলন আন রেজিস্টার্ড, অন্যদিকে উৎপাদিত ফলন হারভেস্ট পরবর্তীতে অতি স্বল্প সময়ে চাষিকে বাজারে কম দামে ছাড়তে হচ্ছে। এর উপর রয়েছে প্রক্রিয়াজাত করনের অভাবে নষ্ট হওয়া। ট্রান্সপোর্টেশনের কারণে নষ্ট হওয়া। খাদ্যাভ্যাস টেকসই ও পুষ্টি নির্ভর না হওয়ায় আমাদের খাদ্যের অপচয় হচ্ছে ব্যাপক হারে। (এরও বাইরে রয়েছে বড়লোকের ঘরে এবং রেস্টুরেন্টে খাবার নষ্টের মহোৎসব।)

এই চিত্রের বাইরে আরো বেশ কয়েকটি চিত্র আছে-
৩। বড়লোকের জমির অনুতপাদশীলতা ও গরিবের ভূমিহীনতা উদ্ভূত কৃষি উৎপাদন ও শ্রমের অন্যমিত বিন্যাস।
৪। কৃষি শিক্ষা, উন্নয়নের জন্য রাষ্ট্রের যে বরাদ্দ তার সমন্বয় হীনতা (কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বিভিন্ন ইন্সটিটুশন, বিরি, বারি, বিএডিসি)।
৫। বীজ, সার ব্যবস্থাপনা, রাসায়নিক কীট-পতঙ্গ-ফাঙ্গাস নাশন ব্যবহারে অরাজকতা।
৬। কৃষিতে মেশিনারি এবং টুলস ব্যবহারে অতিমাত্রায় পশ্চাৎ পরায়নতা।
৭। এক ফলনের অতি আধিক্য, অন্য ফলনের আমদানী নির্ভরতা।
৮। পানি ও সেচের চাহিদা অনির্নিত, পানি বান্ধব ফলনের চাহিদা তৈরি না করার বিপদ। ইত্যাদি ইত্যাদি।

বাংলাদেশের মাটি ১৬ কোটি মানুষের চাহিদার তুলনায় ঢের বেশি খাদ্য উৎপাদনের চাপ নিয়েছে। এই মাটি আজ উৎপাদনের চাপে, দূষণে এবং অপব্যবস্থাপনায় বিপর্যস্ত। অন্যদিকে প্রান্তিক চাষির জীবন মান ও তাঁর উৎপাদন আজো আর্থিক নিরাপত্তাহীন।

কৃষির জ্ঞান, রিসার্চ, উৎপাদন, বাজার চাহিদার আলোকে সমন্বিত ও ডাইভার্স ফলন উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, বাজার ব্যবস্থাপনা ও বিপণন ইত্যাদিকে সমন্বিত করতে একটা সমন্বিত ব্যবস্থাপনায় এগ্রিকালচার প্রমোশন জোন ভূমিক রাখতে পারে।
প্রাথমিক দিকে প্রতিটি বিভাগে ১টি এগ্রিকালচার প্রমোশন জোন করা যেতে পারে যা আমাদের কৃষি ও মৎস্য উৎপাদনকারী অঞ্চলগুলোর চাহিদা মাফিক এক্সপান্ড করবে।


এগ্রি প্রমোশন জোন থাকলে আমাদের কৃষি এবং খাদ্য সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তারা সেখানে ট্রেনিং নিবেন, ফার্মারের সাথে লিংকেজ নিবেন, প্রোমোশন জোনের স্পেইস, মেশিনারি ও সেটআপ সময় সাপেক্ষে ভাড়া নিবেন এবং ক্রিয়েটিভ বিজনেস করবেন। আমাদের বিজনেস প্রোমোশন কাউন্সিল এবং বিদেশে আমাদের এম্বাসি গুলো উনাদের বাজার তৈরিতে সাহায্য করবেন। খাদ্য রপ্তানি বেশ জটিল, এখানে ব্যাপক মান সংরক্ষণ, অতি উন্নত প্রসেসিং এবং মানসম্পন্ন প্যাকেজিং দরকার। এই কাজ গুলোতে কোয়ালিটি আনতে দরকার ফুড এন্ড এগ্রি প্রোমোশন জোন দরকার। এগ্রি প্রোমোশন জোন হতে পারে একটা সেন্ট্রাল কৃষি মেশিনারি ও টুলস হাউজ, যেখান থেকে প্রান্তিক কৃষক কনভেনিয়েন্টলি ও সস্তায় কৃষি সারঞ্জামাদি ভাড়া নিতে পারবেন। এগ্রি প্রমোশন একটা ইন্সটিটুশনাল ভ্যালূ তৈরি করবে যেখানে কৃষির এন্ড টু এন্ড সব ডোমেইন একে অপরকে হেল্প করবে এবং রিচ করবে। নলেজ, কমিউনিকেশন, প্রোডাকশন এবং প্রোমোশনের একটি পুর্নাঙ্গ ব্যবস্থাপনা হাউজ হয়ে উঠবে এগ্রি প্রোমোশন জোন।


ফাংশনালিটি এবং ১২টি এক্টিভিটি আমব্রেলাঃ

১ক। ইন হাউজ রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট, প্রাকৃতিক কৃষি জ্ঞান, চাষাবাদ পদ্ধতি, জৈব ব্যবস্থাপনা (বীজ সার সেচ বালাই)
১খ। হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট, ট্রেনিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট)।

২। সরকারি রিসার্চ ইন্টারফেইসেস - BARI, BINA,BADC,IRRI, BRRI, SCA,BSRI,SRDI, BJRI, CDB, BARC, CDB,হর্টেক্স, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাব ,বাকৃবির ভ্যাকসিন উৎপাদন ও গবেষণা, পার্বত্য কৃষি কেন্দ্র

৩। বেসরকারী কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান, দেশি এবং বিদেশি কৃষি এনজিও সার ও বীজ বালাই নাশক বিপনন কোম্পানী

৪। কৃষক (মাঝারি ও বড় কৃষক) যাদের স্ট্রাকচারড খামার রয়েছে।
কৃষক এবং খামার উভয়ই- রেজিস্টার্ড

৫। ভূমিহীন ও প্রান্তিক চাষি- যাদের খামার নেই।
ক্ষুদ্র বা ছোট কৃষক
কৃষক রেজিস্টার্ড

৬। কৃষি বিপনন আধিদপ্তর, কৃষি তথ্য সার্ভিস,কৃষি মন্ত্রণালয় ও সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, এদের স্থানীয় অফিস, খাদ্য অধিদপ্তর, দূর্যোগ ও ত্রান মন্ত্রণালয়, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, আবহাওয়া আধিদপ্তর

৭। কৃষি ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, প্রস্তাবিত পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক এবং অন্যান্ন কৃষি বিনিয়োগ কারী আর্থিক প্রতিষ্ঠান (সরকারী বেসরকারী)

৮। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিনিয়োগ বোর্ড ইন্টারফেইস। বিদেশী ইনভেস্টর এবং ইনভেস্টর রিলেশন। ফরেন মার্কেট এন্ড ইনভেস্টর সার্চ। ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্ট এন্ড বিজনেস কমিউনিকেশন।

৯। টুলস , মেশিনারিজ, মেজারমেন্ট সফটওয়্যার, কোয়ালিটি কন্ট্রল টেকনোলজি এন্ড ডেটাবেইজ ম্যানেজমেন্ট । কিউ ম্যানেজমেন্ট, জমি বরাদ্দ। টেস্ট, পাইলট, আবাদ ব্যবস্থাপনা।

১০। জৈব সার ও বীজ ব্যাংক, প্রাকৃতিক বালাই নাশক ব্যবস্থাপনা। রাসায়নিক সার এবং বীজ , মান সম্পন্ন কীটনাশক, সেচ ব্যবস্থাপনা , উপকরন ব্যবস্থাপনা। আধুনিক সার ব্যবস্থাপনা।

১১। APZ এর নিজস্ব আবাদি জমি , সমীক্ষা / টেস্ট ফিল্ড, স্থানীয় দের আবাদী জমি। দেশের প্রধান প্রধান ভূমি রূপ, নদি ও স্রোত ব্যবস্থার প্রোটোটাইপ নির্মান। টেস্ট পাইলট এবং আবাদের জন্য জমি বরাদ্দ ব্যবস্থা।

১২। খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলঃ প্রসেস, বাজারজাত এবং অন্তর্জাতিক বাজার তৈরি।

জমির সুব্যবহার, চাহিদা ভিত্তিক ও সমন্বিত কৃষি উৎপাদন, কৃষকের শ্রম সহজীকরন, কৃষি গবেষণা, উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবন, জলবায়ু সহিষ্ণুতা তৈরি, জৈব ও রাসায়নিক ব্যবস্থপনার বিন্যাস, আধুনিক ও টেকসই সার বীজ কীটনাশক ব্যবস্থপনা কৃষি উৎপাদন রেজিস্ট্রেশন, নূন্যতম কৃষি ফলন মূল্য ও উৎপাদন মূল্যে টেকসই ভর্তুকি, খাদ্য গুদাম ও প্রক্রিয়া জাতকরন, ফুড প্রসেসিং, প্যাকেজিং, নতুন জাত ইন্ট্রোডাকশন ও বীজের স্বত্ব দেশীয় অধিকারে রাখা, অর্গানিক সার্টিফিকেশন, যাবতীয় কৃষি রিসার্চ, গবাদি পশুর খাদ্য ও এন্টি বায়োটিক ব্যবস্থাপনা, কৃষি পণ্যের বিপণন এবং আন্তর্জাতিক বাজার খোঁজা- এইসব সমুদয় ফিল্ড-রিসার্স-বিপনন কাজকে এক আম্ব্রেলায় আনা এবং কৃষি ব্যবস্থাপনাকে এন্ড টু এন্ড ইফিশিয়েন্সি দেয়াই "এগ্রিকালচার প্রোমোশন জোনের" নেপথ্য ভাবনা।

(সংক্ষেপিত, উইং গুলোর কাজের পরিসর আলোচনায় আনা হচ্ছে না আপাতত! তবে মন্তব্যে আলোচনা করা যেতে পারে)।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:২৭

রাতুল_শাহ বলেছেন: আমি একবার সৌদী আরবে আম বেঁচার ধান্দা করছিলাম। জ্ঞান স্বল্প থাকায় এগুতে পারি নাই। ঐখানে নাকি পাকিস্তানি আম বেশি বিক্রি হয়। বাংলাদেশী আম যায় না। চিন্তা করলাম, ব্যবসাটা করবো। কিন্তু অর্থ , সংশ্লিষ্ট জ্ঞান না থাকায়, চিন্তাটা চিন্তায় থেকে গেছে।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:০০

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ১। আলিবাবায় ড্রাই আমের বিভিন্ন ভ্যারাইটি দেখে আমি চমকিত হয়েছিলাম। ইউরোপের চেইন শপ, টার্কিশ, এশিয়ান দোকান গুলোতে ড্রাই ম্যাংগোর এই সব পণ্য পাওয়া যায়। চায়না- থাইল্যান্ড-ফিলিপাইনের ফ্রুট প্রসেসিং এক্সাম্পল ফলো করতে পারি। এগুলা হাই টেক এবং কষ্ট ইফেক্টিভ।
https://www.alibaba.com/showroom/thailand-dried-mango.htm

কথা হচ্ছে, ব্যক্তি গত উদ্যোগে একার পক্ষে এগুলা সম্ভব না। একটা এগ্রি প্রমোশন জোন থাকলে এগুলার উপরে আমাদের উদ্যোক্তারা ট্রেনিং নিবেন, ফার্মারের সাথে লিংকেজ নিবেন, প্রোমোশন জোনের স্পেইস, মেশিনারি ও সেটআপ সময় সাপেক্ষে ভাড়া নিবেন এবং ক্রিয়েটিভ বিজনেস করবেন। আমাদের বিজনেস প্রোমোশন কাউন্সিল এবং বিদেশে আমাদের এম্বাসি গুলো উনাদের বাজার তৈরিতে সাহায্য করবেন।

২। ব্রাজিল,ফিলিপাইন,থাইল্যান্ড, মেক্সিকো, ইন্ডীয়া, পাকিস্তান, পেরু এরা আম বিক্রি করার আগে কিভাবে প্রসেস করে, ঠিক কোন অবস্থায় আম হারভেস্ট করে, কিভাবে নিউট্রিশয়ান ফ্যাক্টস এবং প্রসেসিং কন্ডিশন ম্যানেইজ করে, কিভাবে ট্রান্সপোর্টেশন করে এগুলা আমাদের উদ্যোক্তাদের জানাতে হবে।

বাংলাদেশ থেকেও বিদেশে কিছু আম আসে, কিন্তু তাঁর প্রসেসে ভয়াবহ ত্রুটি আছে, সেখানে ভেজাল ও বিষাক্ত প্রি ও পোষ্ট হার্ভেস্ট ক্যামিক্যাল থাকে, ফলে এগুলো বাংলদেশি দোকানের গণ্ডি পার করতে পারে নি।

৩। ইউরোপের চেইনশপ গুলোতে যে মানের আম বিক্রি করে তা আমাদের দেশের গরুও খায় না। আমাদের এত উন্নত মানের আমকে ব্রান্ডীং করতে না পারাটা একটা বড় ব্যর্থতা বটে।

৪। খাদ্য রপ্তানি বেশ জটিল, এখানে ব্যাপক মান সংরক্ষণ, অতি উন্নত প্রসেসিং এবং মানসম্পন্ন প্যাকেজিং দরকার। এই কাজ গুলোতে কোয়ালিটি আনতে দরকার ফুড এন্ড এগ্রি প্রোমোশন জোন দরকার।

২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:২৫

চিন্তক মাস্টারদা বলেছেন: আসলে বাংলাদেশের আবহাওয়ায় সবই সম্ভব, তবে দুর্নীতির আবহাওয়া যতক্ষণ না দূর হচ্ছে।
কেননা আমাদের প্রত্যেক ক্ষেত্রেই দুর্নীতির বিশাল ভূমিকা রয়েছে! এই বিশালতা না মুছা গেলে সমন্বয় আসাটাও সম্ভব বলে আমি মনে করছি না! আর স্পষ্ট যে, সমন্বয়হীনতায় কোন সফলতা নেই।


ধন্যবাদ, এমন একটি নিবন্ধ আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:১৭

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: দুর্নীতি আমাদের আর্থিক সক্ষমতাকে ধ্বংস করছে, আমাদের বাজেট যত বড় দেখায় দুর্নিতী, অব্যবস্থাপনা, আংশিক বাস্তবায়ন ও লুটপাটের জন্য আসলে তার ইমপ্লিমেন্টেশন ভ্যালূ খুবই কম! সমন্বয়হীনতা আরেকটি বিষয়, প্রশাসনে সবাই রাজা, সরকারে সবাই ক্ষমতাবান, সবাই বড়।

৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৮

স্বপ্ন ফানুস বলেছেন: ফুড এন্ড এগ্রি প্রোমোশন জোন এর ধারণাটি ভালো। উদ্যোগটি বেসরকারী পর্যায় হতে শুরু হলে সফলতার সম্ভাবনা বেশী থাকবে। তবে, বৃহৎ পরিসরে এগুতে গেলে সরকারী পৃষ্টপোষকতাও প্রয়োজন। বিষয়টি নিয়ে আরও বাস্তবধর্মী বর্ণনা আশা করছি।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:০২

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: সময় করে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করবো। এর ব্যাকগ্রাউন্ড কিছু স্লাইড ও আর্টিক্যাল আছে।
আপনার পরামর্শ মত, হাইলাইটে ১২টি ফাংশনালিটি উইং এর নাম লিখেছি!

অনেক অনেক ধন্যবাদ রইলো।

৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:১৫

ক্লে ডল বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট!! সেদিন এক খামারির সাক্ষাতকারে দেখলাম তার খামার থেকে প্রতিদিন ৪০০ লিটার দুধ উৎপাদন হয়। অথচ সেই দুধ নিয়ে বিপাকে থাকেন। কম মূল্যে বিক্রি করে দিতে হয়। অথচ হল্যাণ্ডে খামার থেকেই দুধ শীতলীকরণ হয়। আমরা কি পারি না? সত্যিই আমাদের এ সেক্টরে অনেক বেশি উন্নতির দরকার রয়েছে।

এ বিষয়ে আরো লেখার অনুরোধ রইল।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ২:৪৩

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: সেদিন এক খামারির সাক্ষাতকারে দেখলাম তার খামার থেকে প্রতিদিন ৪০০ লিটার দুধ উৎপাদন হয়। অথচ সেই দুধ নিয়ে বিপাকে থাকেন। কম মূল্যে বিক্রি করে দিতে হয়। অথচ হল্যাণ্ডে খামার থেকেই দুধ শীতলীকরণ হয়। আমরা কি পারি না?

১। প্রাকৃতিক দুর্যোগে, হরতাল অবরোধে কিংবা দালাদের খপ্পরে পড়ে কিংবা ছানার পানিতে লেড কাটার মিশ্রিত করে দুধ তৈরি করা লম্পটদের পাল্লায় পড়ে এই চাষি প্রায়ই তার উৎপাদিত দুধ নিয়ে বিপাকে থাকেন।

২। ধান কাটার ঠিক পর পরই চাষিকে ভিজা ধান বিক্রি করতে হয়। কারণ সুদের কিস্তি, পাওনার টাকা, সারের ও লেবার খরচ দিতে হয় তাকে। ব্যক্তি চাষির কোল্ড স্টোরে এক্সেস নেই, তার নেই উন্নত আবাসন কিংবা গোলা। ফলে উৎপাদন খরচের কাছাকাছি কিংবা কমেও তাকে ধান ছেড়ে দিতে হয়।

৩। আলু মূলা পেয়ারা কাঁঠাল এই সব চাষিকে ভরা মৌসুমে বা শেষ দিকে ফলন নিয়ে বিপাকে থাকতে হয়। ১ মণ মূলার দাম ছিল ৪০ টাকা, ৬ টাকা উৎপাদন খরচের আলু ৩-থেকে চার টাকায় ছেড়ে দিতে হয়েছে।

৪। উৎপাদনের খরচ বাড়ার পিছনের প্যাসিভ কারণ চাঁদাবাজি, পাইকার ভিন্ন কৃষকের সরাসরি হাটের স্পেইস এক্সেস না থাকা।

৫। উৎপাদন মূল্যের ন্যায্যতা এবং সর্বনিন্ম প্রাইস গ্যারান্টি না থাকা।

একদিকে অনিয়ন্ত্রিত, আন রেজিস্টার্ড ফলন, ফলে চাহিদার সাথে উৎপাদনের কোন সম্পর্ক মেইন্টেইন হয় না। অন্যদিকে বাজার- দালাল- কৃষক- সরকারি গুদাম জাতকারি-পাইকার এই স্তর গুলোর মধ্যে মৌসুম ভেদে কোন ইলাস্টিক বা নন ইলাস্টিক রিলেশনের কোন সুত্র কাজ করে না। যেখানে যার আধিপত্য সেখানে সে একচেটিয়া লাভের চেষ্টায় থাকে।এই চেষ্টায় ছোট ও ব্যক্তি কৃষকই হারে!

এইসব অব্যবস্থাপনার অবসান, বাজার ও উৎপাদনের সমন্বয় আনতে পারে এগ্রি ও ফুড প্রোমোশন জোন।

৫| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশে খাদ্যকে বিষাক্ত করে ফেলে এক পর্যায়ে, সেজন্য বিদেশী বাজার পাচ্ছে না।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ২:৩০

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: হুম!

৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:১০

অগ্নি সারথি বলেছেন: 'জুসের বাজারে পেয়ারার জুস দামি, কিন্তু মৌসুমের শেষে আমাদের পেয়ারা গরুতে খায়'

২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৮

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ভাই, অসমন্বিত কৃষি ফলন খুব হতাশ করে। চাষিরা আলু, মূলা রাস্তায় ফেলে প্রতিবাদ করে।

৭| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৮

মুরশীদ বলেছেন: থাইল্যান্ড এ দেখুন কি ভাবে একটি ফল ও নস্ট না করে দেশ বিদেশে ড্রাই ফ্রুট এর বিজনেস করছে। আমরা উতপাদকদের শিখিয়েছি ক্ষতিকর ক্যামিকেল দিয়ে কি ভাবে ফল ফসল রক্ষা করতে হয়। কিন্ত আমাদের শরীর স্বাস্থ্য কি তাতে সুরক্ষিত আছে!

২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৭

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: আমাদের হাসপাতালে রোগীর ও ফার্মাসীতে ক্রেতার মিছিল।

৮| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:১১

ওসেল মাহমুদ বলেছেন: দুর্নীতি আমাদের আর্থিক সক্ষমতাকে ধ্বংস করছে, আমাদের বাজেট যত বড় দেখায় দুর্নিতী, অব্যবস্থাপনা, আংশিক বাস্তবায়ন ও লুটপাটের জন্য আসলে তার ইমপ্লিমেন্টেশন ভ্যালূ খুবই কম!

৯| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:১৭

ওসেল মাহমুদ বলেছেন: ক্বষকের বন্ধু কি কেউ নেই ??!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.