নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব,ইইই প্রকৌশলী। মতিঝিল আইডিয়াল, ঢাকা কলেজ, বুয়েট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র।টেলিকমিউনিকেশন এক্সপার্ট। Sustainable development activist, writer of technology and infrastructural aspects of socio economy.

এক নিরুদ্দেশ পথিক

সমাজের প্রতিটি ছোট বড় সমস্যার প্রকৃতি নির্ধারণ করা, আমাদের আচার ব্যবহার, সমাজের প্রচলিত কৃষ্টি কালচার, সৃষ্টিশীলতা, চারিত্রিক উদারতা এবং বক্রতা, অপরাধ প্রবৃত্তি, অপরাধ সঙ্ঘঠনের ধাঁচ ইত্যাদির স্থানীয় জ্ঞানের আলোকে সমাজের সমস্যার সমাধান বাতলে দেয়াই অগ্রসর নাগরিকের দায়িত্ব। বাংলাদেশে দুর্নীতি রোধ, প্রাতিষ্ঠানিক শুদ্ধিকরন এবং টেকনোলজির কার্যকরীতার সাথে স্থানীয় অপরাধের জ্ঞান কে সমন্বয় ঘটিয়ে দেশের ছোট বড় সমস্যা সমাধান এর জন্য লিখা লিখি করি। আমার নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি আছে কিন্তু দলীয় সীমাবদ্ধতা নেই বলেই মনে করি, চোর কে চোর বলার সৎ সাহস আমার আছে বলেই বিশ্বাস করি। রাষ্ট্রের অনৈতিক কাঠামোকে এবং দুর্নীতিবাজদের সবাইকে তীক্ষ্ণ ভাবে চ্যালেঞ্জ করার চেষ্টা করি। রাষ্ট্র কে চ্যালেঞ্জ করতে চাই প্রতিটি অক্ষমতার আর অজ্ঞতার জন্য, তবে আঘাত নয়। ব্যক্তিগত ভাবে নাগরিকের জীবনমান উন্নয়ন কে দেশের ঐক্যের ভিত্তিমূল মনে করি। ডাটাবেইজ এবং টেকনোলজি বেইজড পলিসি দিয়ে সমস্যা সমাধানের প্রোপজাল দেবার চেষ্টা করি। আমি মূলত সাস্টেইন এবল ডেভেলপমেন্ট (টেকসই উন্নয়ন) এর নিরিখে- অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ডিজাইন ত্রুটি, কৃষি শিক্ষা খাতে কারিগরি ব্যবস্থাপনা ভিত্তিক সংস্কার, জলবায়ু পরিবর্তন, মাইক্রো ইকনমিক ব্যাপার গুলো, ফিনান্সিয়াল মাইগ্রেশন এইসব ক্রিটিক্যাল ব্যাপার নিয়ে লিখার চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে চোরকে চোর বলার জন্য দুর্নিতি নিয়ে লিখি। পেশাঃ প্রকৌশলী, টেকনিক্যাল আর্কিটেক্ট, ভোডাফোন।

এক নিরুদ্দেশ পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

পেপাল বিতর্ক এবং ষড়যন্ত্র তত্ব!

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২৫

(পেপাল কেন বাংলাদেশে আসতে পারছে না?)

সম্প্রতি বাংলদেশ ব্যাংক ও আইসিটি মিলে (আবারো বেশকয়কেটি ভ্রমণ বিলাস, পেপাল ইউ এস অফিসে ) পেপালের জুম সার্ভিস চালু করেছে। বোধগম্য নয় যে একটি অনলাইন ফান্ড ট্র্যান্সফার সার্ভিস ওপেনিং এতটা শো ঢাউনের মাধ্যমে লঞ্চ করার পরও কার্যকর কোন অর্জন কি আদৌ হবে কিনা! বাজারে পেপাল জুমের প্যারাল্যাল বেশ কয়েকটি অনলাইন ফান্ড ট্র্যান্সফার সার্ভিস ইতিমধ্যেই রয়েছে (WesternUnion, XpressMoney, Worldremit, Transfast, Ria, MoneyGram, Payoneer, Payza, Neteller, Skrill ইত্যাদি)। বাংলাদেশের অনলাইন ফরেন ফান্ড ইনফ্লোর সমস্যা আদতে যেকটি তার কোনটাই এই প্রোজেক্টে এড্রেস করা হয়নি।

ক। জুম বা অন্য অনলাইন মেঠডে (এপল/এন্ড্রয়েড এপস) বাংলাদেশে রেমিটেন্স আসছে কিন্তু সেই টাকা এনক্যাশ করতে গ্রাহককে মাত্র ২-৩টার মত ব্যাংকেই যেতে হচ্ছে এবং হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। এই হয়রানির দুটো দিক থাকে- একদিকে টাকার মূল্যমানে রেইট কম থাকে অন্যদিকে বেশ কিছু পেপার ওয়ার্ক্সের ঝামেলা থাকে। ফলে শুরু করলেও এই মেথড গুলো কিছুদিন পর গ্রাহক বান্ধব হয়ে আবির্ভূত হতে ব্যর্থ হয়। আবার দেশে ব্যাংকের সংখ্যা বড্ড বেশি। ফলে এই স্বল্প খরুচে সার্ভিস গুলোও ৫৩টি ব্যাংকের সবার সাথে ইন্টারফেইস তৈরির মত খরুচে বিজনেইস কেইস এডাপ্ট করতে পারে না।

খ। বাংলদেশ আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা আনতে একিউরেইট সিটিজেন এড্রেস ম্যানেজমেন্টে জোর দেয়নি। ফাইনান্সিয়াল এড্রেস ভেরিফিকেশন, এড্রেস বেইজড ব্যাংক একাউন্ট বিলিং, মান্থলি সার্ভিস ও ইউটিলিটির অটো ব্যাংক বেইজড পেমেন্ট এখানে সুচনাই করতে পারে নি। ভোটার নম্বর প্রদান ও এর বিপরীতে বায়োমেট্রিক নেয়ার যে তোড় ঝোড় তা দেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনা সহজীকরণ কিংবা অপরাধ দমনে কোন কাজের আসছে না। এতে করে পোস্টাল সার্ভিস গুরুত্ববহ হচ্ছে না, এমনকি স-শরীর উপস্থিতি কেন্দ্রিক পণ্য ও সেবা ক্রয়ের মডেল, (তদবির ও স-শরীর উপস্থিতি কেন্দ্রিক প্রশাসনিক কাজও) নগরীকে ভয়াবহ যানজট পুর্ণ রাখতে সহায়ক ভূমিক রাখছে। বাংলাদেশে সিটিজেন ফাইনান্সিয়াল করেস্পন্ডেন্স কোম্পানির ঠিকানা কেন্দ্রিক, অনেক আর্থিক সেবা চাকুরির পে-স্লিপ ভিত্তিক, যেহেতু এড্রেস ট্রাস্টেড না তাই বিজনেস এখানে সরাসরি নাগরিক ডিলিংকে ট্রাস্ট করে না। এই কারণেও এখানে বহু বিজনেস গ্রো করতে পারছে না, এন্টার প্রেনিউর শিপ মুখ থুবড়ে পড়ছে পেমেন্ট না পাওয়া এবং পেমেন্ট প্রাপ্তির জটিলতায়। বিস্তৃত মধ্যবিত্ত ও নিন্মবিত্ত উদ্যোক্তা কৃষি ও শ্রমজীবিকে বিজনেস ফাইনানশিয়ালি ট্রাস্ট করে না। এর ব্যাপক প্রভাব পেমেন্ট সার্ভিসে এমনকি অর্থনীতিতে পড়ছে।

এড্রেস ভেরিফিকেশন না থাকায় পুর্ণাংগ পেপাল (যেটা ফ্রি ল্যান্সার ও আইটি এক্সপার্টদের দীর্ঘ প্রত্যাশা) সেবা বাংলাদেশে আসতে পারছে না, সীমিত পরিধিতে পেপালের মালিকানাধীন মোবাইল ফান্ড ট্র্যান্সফার সার্ভিস “জুম”এই আমাদের সীমাবদ্ধ থাকতে হচ্ছে। (জুম রেমিটেন্স গেইটয়ে হলেও পেপ্যালের কোন সুবিধা জুম দেয় না) বরং পাইয়োনিয়ার এপের এক্সপেন্ডেচার ইন্টারফেইস বেশি। এবং ওয়ার্ল্ড রেমিট এপের এক্সচেইঞ্জ রেইট ভালো। ফলে পেপালের মালিকানাধীন হবার কারণে জুম এর ক্রেডিবেলিটি বেশি হবার ক্ষেত্রও সীমিত হতে পারে।


গ। অনলাইন রেমিটেন্স গেইট ওয়ে গুলো কিংবা রেমিটেন্স আনয়নকারী এপস সার্ভিস গুলোর সাথে ন্যাশনাল ফান্ড ট্র্যান্সফার গেইট ওয়ে BEFTN’এর ইন্টারফেইস নাই। এমনকি আমাদের মোবাইল ব্যাংক ও ক্ল্যাসিক্যাল ব্যাংকগুলোর মধ্যেও পারস্পরিক ফান্ড ট্র্যান্সফার হচ্ছে না কেননা মোবাইল ব্যাংকিং নিয়ন্ত্রণকারী কোম্পানী গুলোর প্ল্যাটফর্ম (যেমন বিকাশ, রকেটের USSD গেইট'ওয়ে) BEFTN এ যুক্ত নয়। মোবাইল ব্যাংকিং গুলো শুধু তার মাদার কোম্পানির সাথে যুক্ত। (যেমন বিকাশ ব্র্যাক ব্যাংক, রকেটডাচ বাংলা)। এর বাইরে "ইন্ডিভিজুয়াল ব্যাংক টু বিজনেস"এর আদলে কিছু ক্ষেত্রে "ইন্ডিভিজুয়াল মোবাইল ব্যাংক টু বিজনেস" ইন্টারফেইস তৈরি হচ্ছে (যেমন বিকাশ ও রকেট দিয়ে কিছু কিছু দোকানে পে করা যায়)। আদালা আলাদা ইফোর্ট গুলো দীর্ঘমেয়াদী এন্ড টু এন্ড নেটোয়ার্কের বিপরীতে ইন্ডীভিজুয়াল মেশ নেটোয়ার্ক হিসেবে অবির্ভুত হচ্ছে যা সময় ও অর্থের অপচায়কে ত্বরান্বিতই করছে শুধু। আর ইন্টার ব্যাংকিং ফান্ড ট্র্যান্সফার সুবিধাহীনতায় জুম এর মত সার্ভিস গুলো সাধারণ একটি মোবাইল ব্যাংকিং (যেখানে রেমিটেন্স আসে) একাউন্টের চেয়েও সীমাবদ্ধতা নিয়ে জন্ম নিচ্ছে যার ডেস্টিনেশন ঝামেলা পুর্ণ ক্যাশ আউট। স্বাভাবাবিকভাবেই যে এপট এপ প্ল্যাটফর্মের আন্তর্জাতিক পরিচিতি বেশি সেটা বেশি গ্রাহক প্রিয়তা পাবে তবে আদতে ক্যাশ আউট সীমাবদ্ধতা কিংবা অল্টারনেটিভ পেমেন্টের সীমাবদ্ধতায় তার ব্যবহার সীমিত হয়ে পড়বে।



অনেকেই মনে করেন ক্রস বর্ডার রেস্ট্রেকশনের কারণে পেপাল দেশে আসতে পারছে না। বাংলাদেশের ক্রস বর্ডার ট্রানজেকশন রেস্ট্রিক্টেটশন টা কেমন? (আমি মূলত লিখাটা রেমেটেন্স ফ্লোর দৃষ্টিকোণ থেকে লিখেছি)।

১। রেমিটেন্স যদি ফরেন কারেন্সিতেই স্টে করে (ফরেন কারেন্সি একাউন্ট) তাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক্সটার্নাল রেস্ট্রিকশন তাতে কাজ করে না। শুধু ভ্যালিডিটি শো করতে হয়। (যেহেতু দেশ থেকে টাকা পাচার হয় তাই এটা ঠিক মনে করি)

২। বাংলাদেশ ব্যাংকের রেস্ট্রিকশন শুধু "টাকা" হয়ে যাওয়া অর্থের উপর। তার পরেও যদি সেই টাকার সোর্স আবার রেমিটেন্স হয় তাহলে দেন দরবার (আবেদন) করে টাকা বাইরে নেয়া যায় যদি কারো রেজিস্টার্ড এবং বৈধ বিজনেস থাকে। মূলত বাংলাদেশ ব্যাংকের রেস্ট্রিকশন্টা হল দেশে অর্জিত "টাকা"র উপর। চ্যাক এন্ড ব্যালান্স সেট করে (যেটা ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডিট কার্ডের ক্রস কারেন্সি/ক্রস বর্ডার পেমেন্টের ক্ষেত্রে করা হয়) পেপালে “টাকা” রিফিলের বন্দবস্ত করা যায় অবশ্যই। এতেও আইনী ঝামেলা দেখি না (তবে কিছু পেপার ওয়ার্কের দরকার আছে, যেহেতু দেশ থেকে খুল্লাম খুল্লা “টাকা” ফরেন কারেন্সি হয়ে পাচার হচ্ছে)।

৩। বাংলাদেশ ব্যাংক কিছু বছর আগেই তার রেস্ট্রিকশন কিছুটা শিথিল করেছে।
সুতরাং রেমেটেন্স ফ্লোর দৃষ্টিকোণ থেকে এখন আর পেপালের বাংলাদেশে আসা আইনের সমস্যা বলে ঠিক মনে করি না।



ষড়যন্ত্র তত্বঃ

কিছু লিখক পেপাল বাংলাদেশে না আসার প্রতিবন্ধকতা হিসেবে মুলত পেপলের এশিয়ান অঞ্চলের হর্তাকর্তা ভারতীয় ম্যানেজমেন্টকে দায়ী করছেন। উনারা বলছেন সংকির্নমনা ভারতীয়রা চাচ্ছেন না বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারদের উত্থান। তারা পেপলের কেন্দ্রকে বুঝিয়েছে বাংলাদেশের সব ফরেন ট্রানজেকশন ওয়ানওয়ে, যেহেতু ট্রাঞ্জেকশন একমুখী (যা অসত্য) তাই বাংলাদশে পেপালের জন্য কোন প্রফিটেবল বিজনেইস কেইস দাঁড়ায় না।


১। তবে ব্যক্তিগত আমি মনে করি প্রসাশন সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে উদ্যোগ নিলে এই বাঁধা অতিক্রম করা সম্ভভ। পরিপূর্ণ পেপাল কিংবা তার ইকুইভ্যালেন্ট ফ্রিলেন্স্যারদের খুবই প্রয়োজন! স্টেইট এর প্রেসার এবং বিজনেইস অপরচুনিটি পেপালের গুটিকতক ম্যানাজারের ইচ্ছার বিপরীতে অনেক বেশি পটেনশিয়াল।

২। ভারতীয় ম্যানেজমেন্টের ষড়যন্ত্র কতটুকু গভীর সে ব্যাপারে আমার কিছুটা সন্দেহ আছে, এটা সত্য হতেও পারে, নাও হতে পারে। বরাবরের মতই আমি মনে করি এটা সিটেজেন এড্রেস ম্যানেজমেন্ট কেন্দ্রিক ব্যাপার। দেশের অভ্যন্তরের আর্থিক লেনদেনেও এটা প্রতিফলিত। দেশের ফ্লটিং ব্যবসায়ী, শ্রমজীবী, নিন্ম বিত্ত, গার্মেন্টস কিংবা কৃষকদের কাউকেই ক্যলাসিক্যাল ব্যাংক গুলো ঋণ বা অন্য কোন ব্যাংকিং সেবা দেয় না। (ক্ষুদ্র ঋণের কালেকশন মেকানিজম তৃনমূল মাস্তন তান্ত্রিক বলে সেটার হিসেব আলাদা, আর তারা মধ্যম ও বৃহৎ ঋণের পরিধিতেই পড়ে না যা দিয়ে ব্যক্তি সত্যিকার উদ্যোক্তা হয়ে উঠতে পারেন)।

৩। তবে আমার কিছুটা সন্দেহ রয়েছে ভিস্‌ এমেরিকান এক্সপ্রেস ও মাস্টার কার্ড প্ল্যাটফর্মের উপর। হতে পারে তারা দুর্বিত্তায়িত প্রভাব খাটিয়ে তাদের ব্যবসায়িক প্রতিদ্বন্দ্বী পেপাল কে বাংলাদেশে আসতে দিচ্ছে না। (আবার, ৩টা এমেরিকান প্ল্যাটফর্ম এই দেশে বিজনেইস করতে পারলে চতুর্থটা পারবে না কেন? হতে পারে ক্রেডিট কার্ড কোম্পানিগুলোর বিজনেইস পেনেট্রেশন, প্রশাসন ও সরকার সংশ্লিষ্টতা)।

বাংলাদেশে ভিসার অপ্রতিরোধ্য আগ্রাসনে আমি সংকিত। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পণ্য ক্রয় বিক্রয়ের ট্রানজেকশনের বিপরীতে যে ভ্যাট আসে ক্রেডিট কার্ড তার একটা অংশ ভোগ করে। (যেমন! আপনি ক্রেডিট কার্ড দিয়ে কেনা বিড়িতে যত বেশি ফুঁকছেন ততই ভ্যাট % পাচ্ছে মার্কিনিরা!) দেশীয় পেগেইটোয়ে এবং লোকাল ট্রাঞ্জেকশনের জন্যও স্থানীয় ক্রেডিট কার্ড না থাকায় বিদেশি ক্রেডিট কার্ডের ব্যাপকতা রয়েছে, যা দেশীয় ইনফাস্ট্রাকাচারের দিক থেকে হিনমান্যতা ও কারিগরি পরাজয়। প্রায় সব ব্যাংক এমনকি মোবাইল ব্যাংকিং এর প্ল্যাটফর্ম ভিসার প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে আছে। একটি পুর্ণাংগ দেশীয় পে-গেইট ওয়ে'র বাস্তবায়ন বার বার পিছিয়ে যাবার পেছনে ভিসার ষড়যন্ত্র থাকতে পারে বলে আমি সন্দেহ করি। এটা তদন্ত হওয়া দরকার বলে মনে করি।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:২০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: খুবই গুরুত্বপুর্ণ বিষয় নিয়ে লিখেছেন । পেপল নিয়ে ভারতীয় কথাগুলিকে একেবারে উড়িয়ে দেয়া যায়না । বাংলাদেশে ফরেন কারেন্সিতে লেনদেন তো বলতে গেলে একপেশে । শুধু দেশে টাকা আনো , দেশ হতে ছোট একটা এমাউনটও বাইরে পাঠানো কত ঝক্কি ঝামেলা তা ভুক্তভোগীরাই জানে । বিষয়টি নিয়ে দেশের আর্থিক ম্যানেজমেন্ট এর লোকজন ভাবতে পারে । লেখাটি প্রিয়তে গেল ।

শুভেচ্ছা রইল ।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩২

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: বাংলাদেশের ক্রস বর্ডার ট্রানজেকশন রেস্ট্রিক্টেটশন টা কেমন?

(আমি মূলত লিখাটা রেমেটেন্স ফ্লোর দৃষ্টিকোণ থেকে লিখেছি)।

১। রেমিটেন্স যদি ফরেন কারেন্সিতেই স্টে করে (ফরেন কারেন্সি একাউন্ট) তাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক্সটার্নাল রেস্ট্রিকশন তাতে কাজ করে না। শুধু ভ্যালিডিটি শো করতে হয়। (যেহেতু দেশ থেকে টাকা পাচার হয় তাই এটা ঠিক মনে করি)

২। বাংলাদেশ ব্যাংকের রেস্ট্রিকশন শুধু "টাকা" হয়ে যাওয়া অর্থের উপর। তার পরেও যদি সেই টাকার সোর্স আবার রেমিটেন্স হয় তাহলে দেন দরবার (আবেদন) করে টাকা বাইরে নেয়া যায় যদি কারো রেজিস্টার্ড এবং বৈধ বিজনেস থাকে। মূলত বাংলাদেশ ব্যাংকের রেস্ট্রিকশন্টা হল দেশে অর্জিত "টাকা"র উপর।

৩। বাংলাদেশ ব্যাংক কিছু বছর আগেই তার রেস্ট্রিকশন কিছুটা শিথিল করেছে।

সুতরাং রেমেটেন্স ফ্লোর দৃষ্টিকোণ থেকে এখন আর পেপালের বাংলাদেশে আসা আইনের সমস্যা বলে ঠিক মনে করি না।

২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ট্রানজেকশন একমুখী হলে পেপাল উৎসাহী হবে না, এটা সত্যি। এখন প্রশ্ন হলো ট্রানজেকশন একমুখী কী না।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২২

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ১৬-১৮ কোটি মানুষের দেশ, অভ্যন্তরীণ বাজার আমদানি মূখী, ১ কোটির কাছাকাছি মানুষ বিদেশে থাকে। ট্রানজেকশন একমুখী হতে যাবে কোন দুঃখে! পেপাল দিয়ে কিনা না পে করা যায়??

৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

ভিসা, আমেরিকান এক্সপ্রেস ও মাস্টার কার্ড প্ল্যাটফর্ম।
৩টা আমেরিকান প্ল্যাটফর্ম এই দেশে বিজনেস করতে পারলে চতুর্থটা পারবে না কেন?

এই ৩টা ব্যাঙ্কভিত্তিক ক্রেডিট কার্ড কোম্পানি, আর পেপল কোন ব্যাঙ্কিং প্রতিষ্ঠান না। মুলত অনলাইন কেনাকাটা ভিত্তিক, মালিক ইবে।
হতে পারে এইসব মার্কিন ব্যাঙ্কভিত্তিক ক্রেডিট কার্ড কোম্পানি দুর্নিতিবাজ আমলাদের সাহায্যে দুর্বিত্তায়িত প্রভাব খাটিয়ে তাদের ব্যবসায়িক প্রতিদ্বন্দ্বী পেপাল কে বাংলাদেশে আসতে দিচ্ছে না।

আমি এই উদ্ভট ক্রেডিট কার্ড পদ্ধতি একেবারে উঠিয়ে দেয়ার পক্ষপাতি।
আর পর্যায়ক্রোমে ক্যাশ ভিত্তিক কাগজি মুদ্রারও সম্পুর্ন বিলুপ্তি চাই। মুদ্রা হবে ইলেক্ট্রনিক টাকা।
ভেরিফাইড এড্রেস ও আইডিতে একটা মানুষের বিভিন্ন ব্যাঙ্কে একাউন্ট থাকলেও একাউন্ট নাম্বার একটাই থাকবে,
আর আমার ক্রেডিড স্কোর জানবে আয়কর কতৃপক্ষ, ব্যাঙ্ক প্রয়জনে দরখাস্ত করে যা জানতে চায় জেনেনিবে।

ব্যাঙ্কভিত্তিক ক্রেডিট কার্ড কোম্পানিদের কর্পোরেট আগ্রাসন বন্ধ করার সময় এসেছে।
ক্রেডিট-ডেবিট কার্ড পদ্ধতি বাদ দিয়ে সুধু ডেবিট। কার্ড না, হতে হবে অনলাইন/এপ। (ক্রেডিড কার্ড না থাকলেও ব্যাঙ্কগুলো বাকিতেও কিনতে দিবে, ব্যবসা চালাতে হলে দিতে হবেই)
অনলাইন, মোবাইল এপ বা USSD কোড যা সবগুলো ব্যাঙ্কের একটি মাস্টার গেটওয়েতে কানেক্টেড থাকবে।

কাগজি মুদ্রা বিলুপ্ত হলে ভেরিফাইড এড্রেস ও আইডিতে সুধু একাউন্ট টু একাউন্ট ট্রান্সফার হবে, এতে জঙ্গি ফান্ডিং বন্ধ হবে। কারন ফান্ডিং হলে ধরা পরে যাবে।
অবৈধ লেনদেন, বড় অঙ্কের ঘুষ সম্পুর্ন বিলুপ্ত হবে (ঘুষ সুধু মুরগী, মাছ, ফলমুলে সীমাবদ্ধ থাকবে)।


আর ইন্টারনেটকে কি আরেকটু নিরাপদ করা যায় না?
সব কমান্ড, মেইল, আমেরিকা ঘুরে আসার দরকার কি? সাবমেরিন কেবল কাটা পরলে পাসের রুমেও মেইল করতে পারি না। এসব নিয়ে ভাবার সময় এসেছে। কর্পোরেটরা ইচ্ছে করলে সুধু ইন্টারনেট বিকল করে বাংলাদেশে ব্যাঙ্কিং বিপর্যয় ঘটিয়ে দিতে পারে।

আমার এই সব আবলতাবল চিন্তা নিয়ে নিয়ে একটা পোষ্ট লিখছিলাম শেষ করতে পারিনি
ধন্যবাদ।

৪| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৪৮

রেজা এম বলেছেন: ভাই, বাংলাদেশে পেপাল এত কম টাকায় transaction করতে চাই না। তাই পেপাল বাংলাদেশে আসবে না। এটাই fact .

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.