নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফয়সাল আই

ফয়সাল আই › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাপ্তান মাশরাফির শেষ বিশ্বকাপ

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:৩৯

মাশরাফির শুরুটা ২০০১ এর নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে। এখনকার বাংলাদেশের মত নিয়মিত ম্যাচ জেতার রেশটা তখনকার বাংলাদেশ দলে ছিল না। সেই দলের তরুণ এই পেসার শুরুতেই তার বোলিং নৈপুণ্যে ক্রিকেট বোদ্ধা ও ভক্তদের নজর কাড়েন। অনেকেই তার সাথে একই সময় খেলতে এসেছিলো কিন্তুু তার মত করে কেউ টিকে থাকতে পারেনি। মাশরাফি তার লক্ষে অবিচল ছিলেন বলেই হয়ত এত দূরে এসেছেন ইনজুরিকে জয় করে। ভালবেসে নাম পেয়ে গেলেন নড়াইল এক্সপ্রেস।২০০৪ সালের ডিসেম্বরে ভারতের বিপক্ষে এবং দেশের মাটিতে প্রথম জয়ের নায়ক বনে যান এই পেসার। সেই ম্যাচের পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে রবিশাস্ত্রী তাঁকে মাঠের সুপারম্যান আখ্যা দিয়েছিলেন। এরপর ২০০৭ সালে বিশ্বকাপে ভারতকে উড়িয়ে দিয়ে আবারও নায়কের আসনে বসেন মাশরাফি। ২০১১ সালে ইনজুরিতে পড়ে শেষ হয়ে যায় দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন। মাশরাফির দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ না খেলতে পারাটা অনেককে কাদিয়ে ছিলো। হাজারটা বিশ্বকাপ খেললেও দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ খেলার সাধ তা মিটবে নাহ। ২০১৫ বিশ্বকাপ খেলেছেন, খেলবেন আরো একটি বিশ্বকাপ। অনেকেই হয়তো তখন তার ক্যারিয়ারের শেষ ভাবলেও তিনি ফিরে এলেন এবং ২০১২ সালের চমৎকার বোলিং করে ভূমিকা রাখলেন বাংলাদেশের এশিয়া কাপে রানার্সাপ হওয়াতেও। ২০১৩ সালে ২০১৪ সালে প্রেক্ষাপট বদলে যায় বাংলাদেশের। বাংলাদেশ হয়ে ওঠে সব দলের জন্য ভয়ংকর । ২০১৫ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবারের মত কোয়ার্টার ফাইনালে উত্তরণ। এরপরে বিতকির্ত অাম্পায়ারিং এর কারনে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে হয়। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ও বাংলাওয়াশ এবং বিপক্ষে সিরিজ জয়ের স্বাদ পায় বাংলাদেশ। এবং সদ্য দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়। দুই হাটুতে সাতটি অস্ত্রপোচার যাকে রুখতে পারেনি। অসুস্থ সন্তানকে হাসপাতালে রেখে যিনি দেশের হয়ে বিশ্বকাপ খেলতে গেছেন। হাঁটুতে ক্যাপ পড়ে মাঠ দাপিয়ে বেড়ান যা তাঁর সতীর্থদেরও বরাবর সাহস যোগায়। ভালো করলে তার মাথায় হাত বুলিয়ে অনুপ্রেরণা যোগাতেও যিনি ভোলেন না। ইনজুরির চোখ রাঙ্গানিকে উপেক্ষা করে যিনি এক দুর্দান্ত সাফল্যগাঁথায় গেঁথে রেখেছেন সমগ্র টিম বাংলাদেশকে। সেই মাশরাফি শুধু এক দুর্বার বাংলাদেশের নায়কই নন, নেতা হিসেবে বাংলাদেশের অজস্র ক্রিকেট ভক্তের চোখে তিনি আজ জাতীয় বীর।মাশরাফির নেতৃত্বে জয়রথ ছুটে চলেছে। ২০১৯ বিশ্বকাপ ই তার শেষ বিশ্বকাপ। এর পরে আর কোন বিশ্বকাপে তাকে পাওয়া যাবে নাহ। সবার মাঝে তাকে খুজবে বাংলাদেশ কিন্তুু তার দেখা পাওয়া যাবে নাহ বিষয়টি ভাবলেই যেনো গা সিউড়ে ওঠে। ২০১৯ বিশ্বকাপ টা হয়ে উঠুক মাশরাফির সেরা বিশ্বকাপ তৃপ্তি নিয়ে অবসরে যাক দেশ সেরা কাপ্তান।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.