![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষ হিসেবে একটু ভাবুক টাইপের , যেসব ভাবনার সমাধান আগে হয়নি আর সামনেও হওয়ার তেমন কোন সম্ভাবনা নেই ।
আমি জানি আপনি লেখক হতে চান। লেখক, নাকি জনপ্রিয় লেখক? নাকি বিশ্বখ্যাত লেখক? আপনার মনই হয়তো ভালো জানে। ফেসবুকে আমার বন্ধুসংখ্যা প্রায় ২২০০। এর মধ্যে ২০০০ জনই লেখক। তারা লিখছে, অনবরত। কারো কারো একদিনেই একটি মহাকাব্য হয়ে যায় প্রায় এক লক্ষ চরণ সংবলিত। রুদ্ধশ্বাস ঘন ঘন পোস্ট। একসাথে অন্তত দশটি গ্রুপে। তাদের পোস্টের নোটিফিশনে আমার নিজের জন্য প্রয়োজনীয় নোটিফিকেশনই চোখে পড়ে না। তবুও আমি কবি হতে ইচ্ছুক বা লেখক হতে ইচ্ছুক এমন কাউকেই রিফিউজ করিনা বন্ধু হতে, কারণ ইচ্ছাটা মন্দ নয়। সৃষ্টিশীল ও নিষ্পাপ ইচ্ছা। নিজের বলার মত কিছু কথা সবার কাছে ছড়িয়ে দেয়ার ইচ্ছা। তাই কারো মনেই কষ্ট দিই না। কারণ সবারই রবীন্দ্রনাথ হওয়ার অধিকার আছে, আমার মতই।
লেখক হতে চাই! খুব রঙিন একটা স্বপ্ন! হুমায়ুন আহমেদের মত জনপ্রিয়তা হবে আমার, জীবনানন্দের মত বনলতা সেনের কবিতাই ছেয়ে যাবে একুশের মেলা। আহ্ ! ভাবতেই গা ছমছম করে উঠে। সত্যিই যদি......................। লেখক হতে হলে স্বপ্ন পুড়তে হয়। লেগে থাকতে হয়। এ পর্যন্ত ছ’ টা জাতীয় দৈনিকে আমি গত এক বছর ধরে লেখা পাঠাচ্ছি, কিন্তু ছাপানো হয়নি। আমি মনে করি, সে লেখাগুলো ছাপানোর যোগ্যই হয়নি বোধহয়। কিন্তু আবার পাঠাবো। আমি জানি জে কে রাউলিং এর কথা। কত নোংরা ভাবেই না প্রথমে প্রকাশকরা তাকে ফিরিয়ে দিয়েছিল। অস্বীকার করেছিল তার বই ছাপতে। ওরকম বই ছাপলে নাকি লোকসান গুণতে হবে তাদের। আর তার পরে? সেটি সবাই জানে।
লিখতে হলে ধৈর্য্য আপনাকে রাখতেই হবে, নদীর মত। জর্জ বার্নাডশ প্রথম তিন বছরে যা লিখেছিলেন তা নাকি কেজি দরেই বিক্রি করে সামান্য কিছু টাকা পেয়েছিলেন। অদ্ভুত! তাই না? হয়তো এখন, যখন তখন টাকা থাকলে রঙিন মলাটে আপনার লেখা বইও বের হবে। দু একজন আপনাকে বাহবাও দিবে। কিন্তু লেখক মনে হয় হয়ে উঠে হবেনা আপনার। কারণ এমন লেখক এখন চালের ব্যবসায়ীরাও হচ্ছে। আমি সবাইকে বলছি না, বিশেষ করে যারা একেবারেই আমার মত নবীন লেখক বা কবি-তাদেরকেই বলছি। অবশ্য বড় কোন কবি বা লেখক যদি আপনার লেখা পড়ে বলে – তোমার লেখা পড়ে আমি পুলকিত হলাম। তাহলে টাকা দিয়েও এখনই বই বের করতে পারেন। তখন দেরী করাটাই হবে বোকামি। তবে আমার কাছে মনে হয় কি জানেন? যতক্ষণ পর্যন্ত অজান্তে নিজের লেখা নিজেই পড়ে না বলব – আহা! কী গভীর আর আবেগতাড়িত একটা লেখা পড়লাম! লেখকটা কে? একটু দেখি তো? – ঠিক তখনই নিজের একটা বই বের করা দরকার। বাসে উঠলাম, সিটে বসলাম, সামনের সিটে বসা মেয়েটিকে নিয়ে স্মার্টফোনে কবিতা লিখলাম –
মেঘ কালো, তবু অত কালো নয়
কয়লার কালো, কাঁকের কালো,
সেই যে তোমার কেশের মানানসই!
আবার বাস থেকে নামলেন, আরেকটা মেয়েকে হেঁটে যেতে দেখলেন। আবার আরেকটা কবিতা লিখলেন। পোস্ট দিলেন। কমেন্ট বক্সে ঢেউয়ের পরে ভূমিকম্প শুরু হল। কেউ একজন লিখেই ফেলল কমেন্টে – “আর পারছি না! এবার আপনার কবিতা থামান। হার্ট অ্যাটাক হয়ে যেতে পারে।” আপনি বা আমি পরিষ্কার বুঝে ফেললাম-এতদিনে কবি হওয়ার স্বপ্ন আমার পূরণ হতে চলল বুঝি!
কবি বা লেখক হওয়া এতই কি সহজ? টি এস এলিয়টকে নিজের লেখা কবিতা দেখাতে নিয়ে গিয়েছিল পঁচিশ বছর বয়সের এক যুবক। উনি বলেছিল, “তোমার বয়স চল্লিশ হলে আমার কাছে এসো। তখনো যদি তুমি কবিতা লেখ, তাহলে আমার সাথে দেখা করো।” কেন এই কথা বললেন? কারণ ঝোঁকের কবি,লেখক এরকম বয়সে অনেকেই হয়। কিছুকাল পরে আর তাদের খুঁজে পাওয়া যায় না। অপরিপক্কতা, হতাশা, লেখার কৌশল না জেনে লেখা, উদ্দেশ্যহীনভাবে লেখা-ইত্যাদির দরুণ এই তীব্র ঝোক-প্রবণ কবি-লেখকদের অকাল মৃত্যু ঘটে।
সবচেয়ে দরকারি কথাটা হল-যে লেখাগুলো আমরা লিখছি তার আগে আমরা পড়ছিই বা কতটুকু লেখা শেখার জন্য? এক নবীন ঔপন্যাসিকের বাসায় গিয়ে দেখা গেল তার ব্যক্তিগত কোন লাইব্রেরী নেই। ঘরের এক কোণায় যে গোটা বিশেক বই ছিল – সেগুলো শুধু তারই। জিজ্ঞেস করলে বলেছিল, ‘উপন্যাস লিখতে গেলে তো অন্য বই পড়ার কোন প্রয়োজন নেই! আমি তো এমনিতেই একমাসে একটা উপন্যাস লিখে ফেলতে পারি!’ চিন্তা করুন এবার, কী মর্মান্তিক!
আপনি কি মনে করেন, এই যে অবাক করার মত লেখাগুলো বড় লেখকরা ঠিক এত সহজেই লিখে ফেলেছে? গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কোজ যে উপন্যাসের জন্য মূলত নোবেল পেয়েছিলেন-সেই ‘নিঃসঙ্গতার শতবর্ষ’ লিখতে তিনি সময় নিয়েছিলেন পাক্কা সাত বছর। বিভূতিভূষণের ‘পথের পাঁচালী’ সময় নিয়েছিল তিন বছর। ভালো লেখা দীর্ঘ সময় নেয়, ভাবনার আগ্নেয়গিরি তৈরি করে অনেক গভীরে, সেগুলো শক্তিশালী হতে হতে যখন অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠে, তখন বিস্ফোরণ ঘটিয়ে কলমের মুখ দিয়ে বের হয়ে আসে এবং পাঠকের মনেও বিস্ফোরণ ঘটায় সেই লেখা! একটা ঘটনাকে বহুকৌণিক দিক থেকে দেখতে গেলে একটা নিরবিচ্ছিন্ন লম্বা সময় প্রয়োজন হয়, আর ঘটনাকে বহুকৌণিক দিক থেকে না দেখলে তাকে সাহিত্যের ছাকুনিতে বিশুদ্ধ করে, হৃদয়গ্রাহী করে উপস্থাপন করা যায় না। তাই সময় নিন, ভাবুন, আরো গভীরে যান। একটা লেখা অন্তত সাতবার সম্পাদনা করুন। একটা লাইনও এমনভাবে লিখার চেষ্টা করুন যাতে লাইনটা পড়ার পর পাঠক একটু হলেও ভাবে, কী অসাধারণ কথা! আরেক দিক দিয়ে চোখের পানি গড়িয়ে যাবে নিঃশব্দে!
এখন হতাশার কথা হল - আমাদের দেশের মত সাহিত্য অঙ্গনেও লেখা প্রকাশ বা বই প্রকাশের ক্ষেত্রে একটা বাণিজ্যিক চাল শুরু হয়ে গেছে, সেই সাথে আছে স্বজনপ্রীতির মতও ব্যাপার-স্যাপার। যার সাথে যার পরিচয় ভালো, তোষামুদি ভালো, তার লেখাই পত্রিকা বা ওয়েবে প্রকাশিত হয়, অন্যদের নয়। কিন্তু সেটিও আমার আপনার জন্য ভালো। কেননা সেটা আমাদের জেদ বাড়াতে সাহায্য করবে, লেখা ভালো করতেও সময়গুলোকে কাজে লাগাবে। আর সকল দুর্নীতি বা স্বজনপ্রীতির মধ্যেও কিছু অপ্রতিরোধ্য ভালো লেখাও তো প্রকাশিত হয়। সুতরাং লিখতে থাকুন, যতক্ষণ না লেখা অপ্রতিরোধ্য হয়, পাঠকের হৃদয়ভেদী হয়! আমার এ লেখাটা কারো জন্যেই উপদেশ বা পরামর্শ নয়। শুধু অভিজ্ঞতা বা অনুভূতির একটু ভাগাভাগি করে নেয়া বৈকি!
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:০২
ফেরদৌস প্রামানিক বলেছেন: জ্বী, হ্যা, সেটাই ঠিক।
২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:১৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমিও লেখক হটে চাই, উপদেশ দেন, কিভাবে শুরু করবো
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:৪৯
ফেরদৌস প্রামানিক বলেছেন: আমার কাছে যে ভাই উপদেশ নেই। অভিজ্ঞতা আছে-বড় লেখকদের পড়ুন।
৩| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:০০
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
যদি কেউ জনপ্রিয় বা বিশ্বখ্যাত লেখক হওয়ার আশা লেখক হতে চায় - তাহলে আমি তাকে বলব লেখক হওয়ার চেষ্টাটাও না করতে।
লেখালেখি হল একটা প্যাশন। এটার থেকে আউটকামের আশা করলে কখনোই লিখে তৃপ্তি পাওয়া যাবে না, তৃপ্তি দেওয়াও যাবে না পাঠককে।
একজন আদর্শ লেখক হতে হলে আশা করতে হবে পাঠকের সমালোচনার। সমালোচনায় লেখার উন্নতি হয়, এবং একটা তৃপ্তিও আসে যে আমার লেখাটা অন্তত হলেও একজন মনোযোগ দিয়ে পড়েছে। প্রশংসা পাওয়া খুব সহজ, আমি না পড়েও আপনার লেখার প্রশংসা করতে পারি। এই পোস্ট না পড়লে, আমি প্রশংসা করে বলতাম 'খুব ভাল লাগলো পড়ে। ঠিক বলেছেন আপনি।'
কিন্তু পড়লে আমি ঐ গৎবাঁধা বাক্যটা না বলে কয়েকটা বাক্য বেশি বলছি।
সমালোচনাকে মেনে নেওয়ার সাহস এবং পাঠক লেখাটার সমালোচনা করবে এই আশা নিয়ে লেখালেখি না করতে পারলে লেখক হওয়া যাবে না। (অন্ধ সমালোচনা নয়, গাঠনিক সমালোচনা)
শুধু লিখলেই তো লেখক হওয়া যায় না। লেখার ভাবটাকে সহজে প্রকাশ করা জানতে হয়, পাঠকের মনকে আন্দোলিত করতে জানতে হয়, সবচেয়ে বড় কথা - নিজের লেখার মানকে সবসময় নির্ধারণ করে জানতে হয়। এই চেষ্টাটা থাকা বাঞ্চনীয় যে আমার আজকের লেখা গল্পটার মান যেন - গতকালকেরটা থেকে ভাল হয়।
ধৈর্য্য হল সাফল্য পাওয়ার ক্ষেত্রে। সেই সাফল্যটা হল - পাঠক আপনার লেখাটা পড়ে তৃপ্তি পাচ্ছে কিনা। আপনার লেখার ভাবটা বুঝতে পেরে পাঠক তাদের অনুভূতিটা ব্যক্ত করছে কিনা। কেউ কেউ শুরু থেকেই ভাল করে লিখতে পারে - কারণ, তারা প্রথমেই এই চিন্তা করে লিখে যেন মানুষ তার লেখায় ভুল কম ধরতে পারে। সে সফলতা পায় শুরু থেকেই। তার মানসিকতা অটুট হলে সে সবসময়ই ভাল লেখা দিয়ে যেতে পারে। আবার, নবীন অবস্থায় অনেকেই পারে না ভাল করে লিখতে - কিন্তু একাগ্রতা নিয়ে লিখে যেতে পারলে সেও সফল হয়।
ভাল করে লেখালেখির ক্ষেত্রে সবচেয়ে কমন সূত্রটা হল - পড়ুন, শিখুন, ভাবুন, লিখুন।
স্বাভাবিকভাবেই চারটা ধাপের জন্য সময়টা বেশি লাগবেই। তবে, কার জন্য কতটা সময় লাগবে এটা তো নির্ধারিত নেই। একেকজন একেকগতিতে চলে। বেশি সময় নিয়ে লিখলেই যে তা ভাল হবে - তারও কিন্তু কোন নিশ্চয়তা নেই। কম সময়ে লিখলেই যে তা খারাপ হবে - সেটারও নিশ্চয়তা নেই। ভাল মানের হতে পারে যে কোনটাই - তবে সেই মানের করার জন্য নিজের মনকে ঐ মানসম্পন্ন করতে হবে। এমন কিছু বেশ কিছু বিশ্বখ্যাত লেখক আছেন - যারা জীবনে খুবই কম সংখ্যক বই বা গল্প গাঁথা রচনা করেছেন। আবার, এমনও অনেক বিশ্বখ্যাত লেখক আছেন যারা জীবনে কত বই লিখেছেন তা হয়তো নিজেরাও অতটা নিশ্চিত হয়ে বলতে পারবে না। লেখার সংখ্যাও আসলে লেখককে লেখক করে তুলে না।
লেখককে লেখক বানায় তার লেখার সাথে লেগে থাকার আকাঙ্খাটা, আগ্রহটা, একাগ্রতাটা। এগুলো যার মাঝে নেই তাকে আমি লেখক বলতে পারব না। টি এস এলিয়টের বক্তব্যও কিন্তু এটাই।
লেখক হয়ে যদি লেখার জন্য হাত নিশপিশ না ই করে - তাহলে তাকে লেখক বলা যায়?
আপনার ফেসবুকে ২২০০-এর মাঝে ২০০০ জনই লেখক। আর, আমার স্কুল জীবনের পাঁচটা বন্ধু ছাড়া পরিচিত যে কয়জন বন্ধু-বান্ধব আছে সবাই ই লেখক।
কিন্তু এদের মাঝে আসলে লেখক কয়জন? কয়জন লেখাটা লিখে মনের আগ্রহে আর কয়জন লিখে লিখে জনপ্রিয়তা পাওয়ার আশায়?
যে কেউ চাইলেই লেখক হতে পারবে। কিন্তু লেখক হওয়াটা খুব সহজ কিছু না। লেখক হওয়ার জন্য মনের অভ্যন্তরে একটা বড় সংস্কার ঘটাতে হবে। এটাই কঠিন - কারণ এই সংস্কারের সাহসটাই অধিকাংশের মাঝে নেই।
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:৫৩
ফেরদৌস প্রামানিক বলেছেন: যেন আপনার ভাবনা আমার ভাবনার ঘাটতি খানিকটা পূরণ করে দিল। অনেক দারুণ বলেছেন। সহমত আপনার সাথে।
৪| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৪১
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: লেখে অনেকেই কিন্তু সেই লেখায় পাঠকের অনুভূতি কতটা প্রতিফলিত হয় কিংবা আদৌ কি তা পাঠকের মনকে নাড়া দিতে পারে কিনা তার উপর নির্ভর করছে কে বা কারা লেখক। প্রতিটি মানুষের চিন্তার নিজস্বতা থাকে। তবে লেখককে নিজের চিন্তনকে অন্যের সহনীয় পর্যায় নিয়ে যেতে হয়। পাঠক যাতে সেই চিন্তাধারার স্রোতে নিজেকে খুঁজে পায় বা পেতে চায়।
তবে ভালো লেখা সবসময় সময়সাপেক্ষ তা ঠিক নয়।
৫| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৪১
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: লেখে অনেকেই কিন্তু সেই লেখায় পাঠকের অনুভূতি কতটা প্রতিফলিত হয় কিংবা আদৌ কি তা পাঠকের মনকে নাড়া দিতে পারে কিনা তার উপর নির্ভর করছে কে বা কারা লেখক। প্রতিটি মানুষের চিন্তার নিজস্বতা থাকে। তবে লেখককে নিজের চিন্তনকে অন্যের সহনীয় পর্যায় নিয়ে যেতে হয়। পাঠক যাতে সেই চিন্তাধারার স্রোতে নিজেকে খুঁজে পায় বা পেতে চায়।
তবে ভালো লেখা সবসময় সময়সাপেক্ষ তা ঠিক নয়।
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:৫৬
ফেরদৌস প্রামানিক বলেছেন: আমিও সহমত পোষণ করছি। সময়ের আরেকটা অর্থ অভিজ্ঞতা, পরিশ্রম, পরিপক্কতা আর চিন্তার স্রোতকে পাকিয়ে তোলা।
৬| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৫০
শিপন মোল্লা বলেছেন: পোস্টটি বেশ ভালই লাগলো পড়ে। নিচে রক্তিম দিগন্তের মন্তব্যটিও চমৎকার এই পোস্ট সম্পর্কিত। লিখক হয়ে উঠা আসলে সহজ নয় আমার তো মন হয় লিখতে লিখতে কিছু একটা হওয়া যায় কিন্ত হুমায়ুন আহাম্মদ চেষ্টা করে হওয়া যায় কিনা আমি জানিনা । এটা আমার মনে আল্লাহ কর্তৃক কিছু ব্যাপার স্যাপার থাকে ।
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:৫৮
ফেরদৌস প্রামানিক বলেছেন: আপনার কথাটারও গুরুত্ব কোন অংশে কম নয়। সৃষ্টিকর্তার ব্যাপার-স্যাপার তো থাকেই।
৭| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৫০
অাব্দুল্লাহ অাল কাফি বলেছেন: অাপনার এ বাস্তব অবিজ্ঞতা অামার সামনের দিনে পথ চলার পাথেয়......
৮| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:০০
মেহেদী রবিন বলেছেন: লেখক যে কেউ হতে পারে। যে লেখে সেই লেখক। যে আঁকে সে চিত্রকর। যে গায় সে গায়ক। আমার মতে লেখক, চিত্রকর আর গায়কেরা তখনই সফল যখন তারা শিল্পী হতে পারে অর্থাৎ শিল্প রচনা করতে পারে। লেখক, চিত্রকর, গায়ক হওয়া সহজ। শিল্পী হওয়া সহজ না।
৯| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৫
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: অনেক সত্যকথন আছে আপনার এই পোস্টে। তবে লেখালেখির চেষ্টা করছেন এমন কিছু কবি/লেখক এসব হজম করতে পারবেন বলে মনে হয় না। আমি হজম করে ফেলেছি। কারণ, আমি লেখালেখির চেষ্টা করছি না। চেষ্টার স্তর পার হয়ে গেছি। এখন কাকের ঠ্যাং বকের ঠ্যাং কিছু না কিছু লিখে চলেছি। হাঃ হাঃ হাঃ।
আরে ভাই, দলিল লেখকও তো লেখক। তাই না?
ধন্যবাদ ভাই ফেরদৌস প্রামানিক।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৫৪
হাবিব শুভ বলেছেন: লেখা টা ঠিক মতো চালিয়ে যেতে পারলেই আমার মনে হয় একদিন না একদিন সে তার প্রাপ্যতা পাবে।