![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
3rd Person Singular Number Cinema ki amader desh a Extra-Merital Sex or Live togather Culture chalu korte chae ...... Cinema er kahini te TISHA ke dehkhano hoise OSOHAY nari hisebe, to tar osohayotto er sujog nite Abul Hayat porjonto taare BED a nite chaise ... ok its true , but TISHA and Cinema er nayak Mosharraf KARIM naaki BAAP MAA er sathe nia ek sathe thakto but not as a married couple .... HA ha ha ha ...... ki osojjo rokomer smartness aita...
AMAR DESH newspaper a ekta article lekha hoise, ami share dilam as a note .....
প্রসঙ্গ : থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার
আবদুল্লাহ জহির বাবু
কোত্থেকে শুরু করব ভাবছি? বুঝতে পারছি না কাকে নিয়ে শুরু করব? প্রথমে ভালো দিকগুলো না বললে এটা হয়তো সমালোচনা মনে না হয়ে কুত্সার পর্যায়ে চলে যেতে পারে। তাই ভালো দিকগুলো আগে শুরু করা যাক। সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য ছায়াছবির আলোকসম্পাত ও চিত্রগ্রহণ। বিশেষ করে তিশার মা মারা যাওয়ার পর তার ট্রিটমেন্ট অসাধারণ। সবুজ মাঠের মাঝে ছোট পুকুর। সেই পুকুরে ভাসমান সাদা নৌকা একটা শুকনো গাছের নিচে বাঁধা, এই ট্রিটমেন্ট নিঃসন্দেহে অতুলনীয়। আফসোস, এই গুণী চিত্রগ্রাহক সুব্রত আজ আর আমাদের মাঝে নেই। বেঁচে থাকলে তার কাছ থেকে হয়তো এর চেয়ে আরও ভালো কিছু আমরা পেতাম। এ ক্ষতি অপূরণীয়।
নিজের চরিত্রে মোশাররফ করিম যথারীতি অসাধারণ। অভিনয়ের ডিটেলসের প্রতি তার তীক্ষষ্ট নজর ও পর্যবেক্ষণ চোখে পড়ার মতো। জেলহাজত থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তিশার সঙ্গে তার তিন-চারটা দৃশ্য প্রশংসার দাবিদার। যদিও তার বক্তব্যের মাঝে অনেক ভুল এবং স্ববিরোধী সংলাপ ছিল, যেমন—বিয়ে না হওয়া সত্ত্বেও ডিভোর্স নিয়ে নিজের সঙ্গে নিজের ড্রামা, কীভাবে জেলহাজতে সে এলো সেই যুক্তির অভাব এবং কীভাবে তার জামিন হলো তা না দেখানো—এরকম খুঁটিনাটি কিছু বিষয়। তারপরও অভিনয়ের গুণ এবং গেটআপ-মেকফাপের কারণে তিনি চমত্কার উের গেছেন।
চরিত্র ছোট হওয়া সত্ত্বেও অনবদ্য অভিনয় করেছেন রানী সরকার ও আবুল হায়াত। কিন্তু কথা থেকে যায় আবুল হায়াতের অভিনয়ের এথিকস বা নৈতিকতা নিয়ে। ক্যারিয়ারের এই পর্যায়ে এসে তার মতো একজন গুণী মানুষ, নাট্যকার এবং কলামিস্ট কী করে একটি নেগেটিভ নারীলোলুপ চরিত্রে অভিনয় করলেন তা বোধগম্য হয়নি। যে চরিত্র মাথার নামাজের টুপি খুলে তিশার সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য তার বাড়ির বাইরে দাঁড়ায়, নিজের স্ত্রীকে ফাঁকি দিয়ে তরুণীর সঙ্গে মোবাইলে প্রেম করতে চায় এবং তার সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপনের আগ্রহ পোষণ করে, তাকে ঘর ভাড়া করে রাখে, এই চরিত্রে তার কি অভিনয় না করলেই হতো না?
একই কথা খাটে গায়ক তপুর ক্ষেত্রেও। তার গানের ব্যবহারগুলো ছিল অনবদ্য। সিচুয়েশন এবং মুডগুলো ছিল সঠিক। কিন্তু নিজেই নিজের নামধারী চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে তিনি এমন কিছু দৃশ্যে অভিনয় করেছেন, যা বিস্ময়কর? আমরা জানি, যেসব চরিত্রে জনপ্রিয় বাস্তব চরিত্রের প্রজেকশন থাকে, সেগুলোতে বাস্তব মানুষটির চরিত্রকেই মাপকাঠি ধরা হয়। যদি তাই হয় তাহলে তপুর মতো একজন জনপ্রিয় গায়ক কীভাবে জেনে-বুঝে এমন একটি চরিত্রে অভিনয় করলেন? যেখানে তার চরিত্রের উপস্থাপনায় দেখানো হয়েছে—বান্ধবীর উপকার করে প্রতিদান চাইছে? বান্ধবীর সঙ্গে সুন্দর মুহূর্ত যাপনের জন্য জন্মনিরোধকের প্যাকেট কিনে নিয়ে তার বাড়ির দরজায় দাঁড়াতেও দ্বিধাবোধ করেন না? গায়ক তপুর চরিত্র কি এতই বায়বীয়? চরিত্রের নামটা তপু হওয়া কি এতটাই প্রয়োজনীয় ছিল?
ছবিটির গল্পের সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো, ছবির মুখ্য চরিত্র তিশা কি বিবাহিতা না অবিবাহিতা? যদি অবিবাহিতা হবেন তাহলে মোশাররফ করিমের বাবা তাকে এবং মোশাররফকে বাড়িতে জায়গা দিলেন কেন? গলা ধাক্কা দিয়ে কেন বের করে দিলেন না? মোশাররফের বাবার বাড়িতে কি লিভ টুগেদার সামাজিকভাবে স্বীকৃত? উনি কোন দেশের বাসিন্দা? বাংলাদেশের নাকি পাশ্চাত্যের কোনো দেশের? মোশাররফ কেন খুন করলেন? কী অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে খুন করলেন তা পর্দায় আসেনি। দায়সারাভাবে তিশার চরিত্রটি পুলিশের ওসির সামনে অবশ্য বলেছে তার স্বামী কী কারণে জেলহাজতে। স্বামী? স্বামী কে? মোশাররফের সঙ্গে তো বিয়েই হয়নি? অথচ তিশা বারবার শ্বশুরবাড়ি-শ্বশুরবাড়ি বলে তাদের দোষারোপ করেছেন? তাহলে কি আমরা ধরে নেব, লিভ টুগেদার এবং বিয়ে সমার্থক শব্দ। ছবিটির রচয়িতা কি ভাষাতত্ত্বের নতুন কোনো ধারা শুরু করতে চাইছেন?
ছায়াছবির প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত একটাই চরিত্র। রুবা। এই চরিত্রেই রূপদান করেছেন তিশা। এটাকে থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার না বলে রুবা অথবা তিশার ডকুমেন্টারি বলাই ভালো। তার দ্বৈত সত্তা এবং তার শৈশবের সত্তা কাহিনীর বিবেকের চরিত্র। সম্পূর্ণ ছায়াছবিতে এমন কোনো দৃশ্য নেই, যে দৃশ্যে তিশা নেই। সব দৃশ্য তিশার চিন্তা-চেতনাকে নিয়েই। অথচ তিশার চরিত্রটিকেই সবচেয়ে ঠুনকো কাঠামোর ওপর দাঁড় করানো হয়েছে? তিশা চরিত্রের বাবা কে? কী করতেন? তাদের কী অবস্থায় রেখে মারা গেছেন—তার কোনো উল্লেখ গল্পে নেই? তাদের সামাজিক অবস্থান কেমন ছিল তা কোথাও বলা নেই। গল্পে দেখানো হয়েছে তিশার মা বাবাকে ছেড়ে তার নিজের প্রেমিককে বিয়ে করেছিল, এটা তিশার একটা বড় ক্ষোভ। এটাই যদি তার অভিযোগ হবে, তাহলে সে কী করে বিয়ে না করা সত্ত্বেও একজন পুরুষের সঙ্গে তার শয্যাসঙ্গিনী হয়েছিল?
আবার তার অবর্তমানে সে কী করে ছুটে গেল তারই বাল্যপ্রেমিক তপুর কাছে? এগুলো কি চরিত্রের স্ববিরোধিতা নয়? মা যদি দুশ্চরিত্রাই হয়ে থাকেন তাহলে তিশা নিজে কী? ছবির শেষ দৃশ্যে দেখানো হলো তপু মোশাররফ করিমের কাঁধে হাত দিয়ে হাঁটছে, সামনে তিশা। তার মানে কী দাঁড়াল? থার্ড পারসনটি কে? যে তার আগের প্রেমিক, নাকি যার সঙ্গে সে লিভ টুগেদার করছে?
ছবিটির দু’তিনটি চরিত্র ছাড়া সবাই নারীলিপ্সু। আবুল হায়াত, তার বন্ধু, শিল্পপতি সবাই। এমনকি একটা চরিত্রে দেখানো হলো, তিশার আশ্রয়দাতা ও চাকরিদাতা কচি সাহেবের গাড়িতে বারবার একই গান বাজছে—বেবি, আই ওয়ান্ট টু ... ইউ। গানটি শোনার পর তিশার সংলাপ ছিল এমন—আপনার কি গান শুনেই হয়ে যায়? এই সংলাপে কী বোঝাতে চেয়েছেন তিশা? কোথায় ছিল সেন্সর বোর্ড?
বাণিজ্যিক ছবি বলে মূল ধারার ছবিকে যারা কটাক্ষ করেন তাদের কাছ থেকে আমরা কি এর চেয়ে ভালো কিছু আশা করতে পারি না? আনিসুল হকের মতো একজন জনপ্রিয় আর নন্দিত লেখকের কাছ থেকে কি এর চেয়ে ভালো কিছু আশা করা খুব অন্যায়? নারীর প্রতি পুরুষের আকর্ষণটাই স্বাভাবিক, কিন্তু সেই আকর্ষণকে এতটা কদর্য উপস্থাপনা কি শোভনীয়? আমি যদি বলি থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার শালীনভাবে উপস্থাপিত একটা অশ্লীল ছবি—তাহলে কি খুব বেশি বাড়াবাড়ি হবে? নাকি আমরা ধরে নেব, আমরা অতি আধুনিক হয়ে গেছি! আমাদের বাস পাশ্চাত্যের কোনো অতি উন্নত দেশে!
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:৩১
ফিরোজ খাঁন তুষার বলেছেন: হা হা হা হা
২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:৩০
হা...হা...হা... বলেছেন: তৃতীয় ছবিতে সংহত ফারুকী
ফাহমিদুল হক
থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার: তিশা ও মোশাররফ করিম তৃতীয় ছবি থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার-এ মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে সংহত অবস্থায় পাওয়া গেল। এ ছবিতে মুন্না-রুবা-তপুর ট্রায়াঙ্গুলার অথচ সিঙ্গুলার রিলেশনের কাহিনি দর্শকের মনে গেঁথে যায় এর আধেয় ও আঙ্গিক উভয় বিবেচনাতেই। মোটের ওপর এটি আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গির ছবি। ব্যাচেলর-এও আধুনিকতা ছিল, কিন্তু তা হাল ফ্যাশনময় এক উপরিতলে ঘুরপাক খায়। কিন্তু থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার-এর সিঙ্গুলার নারী রুবার মনস্তত্ত্বের গভীরে পরিচালকের প্রবেশ করার প্রচেষ্টা ছবিতে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
রুবার জীবনসঙ্গী (স্বামী নয়) মুন্না কী এক গোলমাল করে খুনের অভিযোগে জেলবন্দী। ছবি শুরু হয়েছে এর পরের ঘটনা থেকে। রুবা এর পর থেকে মোটামুটি ঘরছাড়া। তার মা সাবেক প্রেমিকের সঙ্গে আগেই ঘর বেঁধেছেন। বাবা মারা গেছেন। মুন্না-রুবার বিয়ে নামের প্রতিষ্ঠানকে সম্মান না করার সিদ্ধান্ত যেহেতু মুন্নার বাবা মেনে নিতে পারেননি, তাই জেলে যাওয়ার পরই রুবাকে শ্বশুরবাড়ি ছাড়তে হয়। একা একা ঘুরে শেষে পুলিশের হেফাজতে থানায় এক রাত কাটাতে হয়। পরে আশ্রয় নেয় খালাতো বোনের বাড়িতে। খালাতো বোনের ওখানে থেকেই সে চাকরি ও নতুন বাসা খুঁজতে থাকে।
এ পর্যায়ে দেখা যায়, তাকে অনেকেই বাসা বা আশ্রয় কিংবা চাকরি দিতে চায়, তবে একাকী মেয়ের বিপন্নতার সুযোগে কেবলই তাকে পাওয়ার আশায়। ছবির প্রথম অংশের বেশ খানিকটা সময় বিপন্ন রুবাকে দেখা যায়; সে সংগ্রাম করছে একা বেঁচে থাকার জন্য। এ পরিস্থিতিতে ডিকন নামের এক বড় ভাই তার অ্যাড ফার্মে রুবাকে চাকরি দেয়, সে অংশত অবলম্বন অর্জন করে। তার বিপদ প্রায় পুরোপুরি কেটে যায়, যখন সে তার বাল্যবন্ধু এবং বর্তমানে বিখ্যাত গায়ক তপুর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে। তপু প্রথম জীবনে রুবার প্রেমপ্রার্থী ছিল, কিন্তু রুবার অনাগ্রহে তা পূর্ণতা পায়নি। একালে গান গেয়ে বিখ্যাত তপুই রুবার সহায় হয়। তার জন্য অভিজাত এলাকা বসুন্ধরায় ফ্ল্যাট ভাড়া করে দেয় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে। রুবার দ্বিতীয় লিভ টুগেদার শুরু হয় তপুর সঙ্গে। প্রথম দিকে একই বাসায় দুই রুমে থাকতে থাকতে দুজনই চঞ্চল হয়ে ওঠে। তপু নানা অছিলায় রুবার রুমে টোকা দেয়। রুবাও দুর্বল হয়ে পড়ে, কিন্তু তার আরেকটি ‘সত্তা,’ ১৩ বছর বয়সী রুবা এসে তাকে বাধা দেয়। তার নৈতিকতা-বিবেক ধরে টান দেয়। ছবির বাকি কাহিনি আগেভাগেই আর বলতে চাই না।
শুরুতেই বলেছি, থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গির ছবি। অর্থাত্ নগরায়ণ ও আধুনিকতার প্রভাবে প্রথাগত অনেক প্রতিষ্ঠানের প্রতিই নতুন প্রজন্মের মানুষের আস্থা কমতে থাকে, বিয়ে যেমন একটি প্রতিষ্ঠান। নারী-পুরুষের সম্পর্কের ক্ষেত্রেও এই দৃষ্টিভঙ্গিগত পরিবর্তন আসে। তবে যতই আধুনিকতা আসুক, নারীর ক্ষমতায়নের সম্ভাবনা যতই বাড়ুক, নারী ও তার শরীর সনাতন ও আধুনিক সব সমাজেই যে লাঞ্চনার শিকার—এই ছবির মূল বক্তব্য এটাই। কিন্তু এসবের মধ্য দিয়েই দৃঢ়চেতা নারীরা এগিয়ে যায়, রুবা যেমন। আর দৃষ্টিভঙ্গিগত পরিবর্তন যে অনেক নতুন সংকটের জন্ম দেয়, ছবিতে তাও এড়িয়ে যাওয়া হয়নি। তবে পশ্চিমের তুলনায় সংকটের ধরনে পার্থক্য আছে। নগরায়ণ, আধুনিকতা, বিশ্বায়নের চাপে বাংলাদেশের প্রধান নগর ঢাকায় সনাতন সংস্কৃতি পুরোপুরি উঠে যায়নি, মানুষে মানুষে বিচ্ছিন্নতা অতটা প্রকট হয়নি। তাই বিবাহ নিবন্ধন না করেও মুন্না ঠিকই বসবাসের জন্য রুবাকে নিয়ে বাবার সামনে গেছে সম্মতির জন্য এবং দুজন ওই বাসায় বসবাসের অনুমতির জন্য। মা পুরোনো প্রেমিকের বাসায় চলে যাওয়ায় রুবার যে ঘৃণা, তাও সনাতনী সংস্কৃতিবাহিত মূল্যবোধের কারণেই।
এ ছবিতে প্রত্যাবর্তন টেলিছবির ফারুকীকে খুঁজে পাওয়া গেল। অর্থাত্ ‘ক্লাসিক্যাল ন্যারেটিভ’ ধারায় গল্প বলার পরিবর্তে চলচ্চিত্রভাষার আশ্রয়ে নিরীক্ষার প্রয়াস লক্ষণীয় এখানে। কাল ও পরিসরকে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে চালচ্চিত্রিক সুবিধা নেওয়ার উদ্যোগ স্পষ্ট এ ছবিতে। কার্যকরভাবে ফ্ল্যাশব্যাক ব্যবহারের পাশাপাশি কিছু কিছু স্বপ্নদৃশ্যের মাধ্যমে একটা পরাবাস্তব আবহও তৈরি করা হয়েছে। রুবার মনস্তত্ত্বের গভীরে যাওয়ার জন্য এক রুবাকে ভেঙে তার তিনটি সত্তা তৈরি করা হয়েছে—শিশু রুবা, কিশোরী রুবা ও বর্তমানের রুবা। বিশেষত কিশোরী রুবা বর্তমানের রুবার সঙ্গে প্রায়ই তর্ক করে, তার দৃষ্টিতে বর্তমানের রুবার যেকোনো ‘অনৈতিক’ কাজে বাধা দেয়। আর তাদের তর্কের মাঝখানে শিশু রুবা মন খারাপ করে, কাঁদে। তবে পরাবাস্তব আবহ সবচেয়ে মনোগ্রাহী হয়েছে মায়ের মৃত্যুর পর একটি স্বপ্নদৃশ্য—সবুজ এক বিস্তৃত চত্বরে একটা খাট, খাটে রুবা শুয়ে। সে খাট থেকে নেমে হাঁটতে হাঁটতে একটি বড় দিঘির পাশে যায়। দিঘির ওপারে মায়ের আবছা বসে থাকা। মায়ের পেছনে আরও বিস্তৃত প্রান্তর, কিন্তু কুয়াশারহস্যে তার অস্তিত্ব অদৃশ্যমান। লং শটে সবুজ চত্বর-রুবা-দিঘি-মা-কুয়াশারহস্য...একটা পেইন্টিংয়ের গভীরতা ফ্রেমজুড়ে।
দর্শকের মনে রুবার যন্ত্রণার অনুভূতি ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য দু-একটা উদ্যোগ অবশ্য অকারণ মনে হয়েছে। মায়ের মৃত্যুর পরপরই রুবাকে পঞ্চম বা ষষ্ঠ তলা থেকে সিঁড়ি বেয়ে নামতে দেখা যায়। রুবা সিঁড়ি বেয়ে নামছে, ৩৬০ ডিগ্রিতে ক্যামেরা চক্রাকারে মুভ করে—শটটা ভালোভাবেই নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই লং টেকের সঙ্গে আগের ও পরের দৃশ্যের কোনো সংস্রব নেই। বিপর্যস্ত চরিত্রের বেহাল দশা দেখাতে সিঁড়ির ব্যবহার একটা অতি পুরোনো আর্ট ফিল্মীয় কায়দা। বিশেষত অত উঁচুতে রুবা কেন উঠল, তার অফিস ওই তলায় কি না—এ রকম কোনো তথ্যই এর আগে বা পরে দেওয়া হয়নি। অন্যদিকে মুন্নার জেল হওয়ার প্রকৃত কারণ কী, তা স্পষ্ট করে বলার ক্ষেত্রে চিত্রনাট্যকার আনিসুল হক ও মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে অনীহ থাকতে দেখা গেছে। কী কী কারণে তার জেলবাস এতটা সংক্ষিপ্ত হয়ে গেল, তাও পরিষ্কার করা হয়নি।
ছবিতে ক্যামেরা চালিয়েছেন সুব্রত রিপন। তিনি ক্লোজ শটগুলো ভালো তুলেছেন। আর লো অ্যাঙ্গেল শটের প্রতি যে তাঁর পক্ষপাত রয়েছে, তা ছবিতে স্পষ্ট। তবে লিমনের আবহ সংগীত সুপ্রযোজ্য মনে হয়নি সব স্থানে। ফারুকীকে অভিনন্দন একটি সফল প্রকল্প পরিসমাপ্তির জন্য।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:৩৪
ফিরোজ খাঁন তুষার বলেছেন: নিত্য, আপনি এর বিপরীত ব্যাখ্যাটাও পড়ুন, পড়া উচিত
৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:৩২
নীল-দর্পণ বলেছেন: ২০০৯ এর সবচেয়ে আলোচিত সমালোচিত মনে হয় থার্ড পার্সন সিংগুলার নাম্বার। ছবিটা না দেখেই দেখা হয়ে গেছে।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:৩৬
ফিরোজ খাঁন তুষার বলেছেন: হা হা হা .... দেইখা আমি নিজেই কিছু লেখতে চাইছিলাম, পায়া গেলাম ফিচারটা... মাইরা দিলাম
৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:৩৪
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন সুজন বলেছেন: ভাইরে, আমি এহনও ছবিটা দেহি নাই। আগে দেহি তারপর।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:৩৭
ফিরোজ খাঁন তুষার বলেছেন: দেখা উচিত.... কিভাবে এইসব নস্ট জিনিস আমাদের দেশে ঢুকে, পরখ করেন।
৫| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:৪০
স্পেলবাইন্ডার বলেছেন:
ঠিক কইছেন।
পূর্ণিমা নিত্য ওরফে সজল বলছি..... াবালডা খালি ছাগলের তিন বাচ্চার মত ফাল পারে।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:৪৪
ফিরোজ খাঁন তুষার বলেছেন: আমি এখনও একটা জিনিস বুঝলাম না, মাইনসে সিনেমার কাহিনি দেহে , নাকি হুমায়ুন আর ফারুকিরে দেহে
৬| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:৫৫
সাইফ বাঙ্গালী বলেছেন: সবাই চোখ বুজে ব্যপারটা মেনে নিয়েছে এমন নয়......
ইস্ট-ওয়েস্ট এ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছেলেরা এর বিরুদ্ধে মানব বন্ধন করেছে...
শালীন পোষাকের অশালীন এই সব মানুষকে আমার ঘৃনা জানাচ্ছি..........
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:০২
ফিরোজ খাঁন তুষার বলেছেন: শুইনা কি বলবেন জানি না, কিন্তু কোনো প্রাইভেট ভার্সিটির পোলাপাইন আন্দোলন করছে শুইনা খুব খুসি লাগতাচে,
াপনেরা তো কন আমরা প্রাইভেট ভার্সিটির পোলাপাইন কিছু জানিনা ...
৭| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:০৭
সামিউর বলেছেন: ভাই ফারুকির স্টাইলই এমন। আমিতো বাপ জানের কাছে আগে বহু্ত তারিফ করছি।
। এখন তো আমার জান জায় জায় অবস্তা।
। কবে জানি সিনেমা দেইখা আমারে ঝারি মারে আল্লাই জানে।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:১১
ফিরোজ খাঁন তুষার বলেছেন: হা হা হা হা হা হা ..... আগে নিজে েকবার দেখেন, দেইখা যদি মনে হ্য় বাপ, মা রে দেখান জাইবো, তািলে প্রবলেম কি??? কিন্তু আমার মতন অবস্থায় পইরেন না, সাবধান ..... হা হা া হা হা হা
৮| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:১৪
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:২১
ফিরোজ খাঁন তুষার বলেছেন: ভাই, পড়লাম, অসাধারণ লিখসেন, ঠিক আমারো এই এক কথা।
৯| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:১৪
ফিরোজ খাঁন তুষার বলেছেন: ফেসবুক এ কমেন্ট দিছিলাম, আমার এক ফ্রেন্ড জবাব দিছে -
dis is a gud movie wid a fu...ing trash ideas.....no1 can be certain whether dey r promoting living 2gether or focusing on sum1's vulnerability.......seems like what west disposing as trash we r taking dem as diamonds......"
১০| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:২৯
আমি ছাড়া সবাই ভাল বলেছেন: স্পেলবাইন্ডার বলেছেন:
ঠিক কইছেন।
পূর্ণিমা নিত্য ওরফে সজল বলছি..... াবালডা খালি ছাগলের তিন বাচ্চার মত ফাল পারে।
পুরা সহমত ।নিত্যরে লাত্তির উপ্রে রাখা হউক
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:৩৩
ফিরোজ খাঁন তুষার বলেছেন: হি হি হি ...... ধৈর্য .... ধৈর্য ....
১১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:৩৫
নিউরনটেক বলেছেন: আমার মনে হচ্ছে ফারুকির নেক্সট মুভির কাহিনি হবে হোমো সেক্স নিয়ে ।
। আমাদের আরো আধুনিক হতে হবে । ওপেন সেক্স না হলে ওনাদের কাম কলি ফ্রি স্টাইলে পেতে সুবিধা হবে না। তারপর গ্রুপ সেক্স
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:৪৩
ফিরোজ খাঁন তুষার বলেছেন: দোস্তানা ....... হি হি হি হি হি .......
১২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:৩৬
অক্টোপাস বলেছেন: কিছু মানুষ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, (??!!
)
ভাবতে ভালোই লাগে!!
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:৪৪
ফিরোজ খাঁন তুষার বলেছেন: ৩১ তারিখ থেইকা কিন্তু ঘড়ির কাটা পিছাইবো .... হি হি হি হি
১৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:৪২
ওমর হাসান আল জাহিদ বলেছেন: ছবিটা পুরোই সুরসুরিমূলক। তবে, লিভ টুগেদার বাংলাদেশে ইতোমধ্যেই চালু হয়ে গেছে। পুরোপুরিভাবে চালু হতে বা সমাজ থেকে বিষয়টি অ্যাকসেপ্ট করতে মিনিমাম আরো ১০/১৫ বছর লাগবে।
এখন 'লিভ টুগেদার' বাংলাদেশে চালু হলে ব্যাপারটা কেমন হবে, সেটা অন্য বিষয়।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:৪৫
ফিরোজ খাঁন তুষার বলেছেন: ভাই, যখন চালু হবে, তখনকার কথা আলাদা, কিন্তু আমরা তো এইটারে প্রোমোট করতে পারি না, তাই না????
১৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:৫২
মুম রহমান বলেছেন: ফারুকিরাই তো পরকীয়া, লিভিং টুগেদারের জনক। মনে হয় তেনাদের সাথে পরথম আলো ব্যাকআপ হিসাবে আছে।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:০০
ফিরোজ খাঁন তুষার বলেছেন: আমি এইটা নিয়া মন্তব্য করলাম না, পিচ্চি মানুষ, বেশি টেকনিকেল কথা কইতে ডর লাগে .... হি হি হি হি হি
১৫| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:০০
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: হতাশ হলাম , ফারুকী বাংলাদেশকে তাহলে পথ দেখাতে শুরু করলেন !!
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:০৯
ফিরোজ খাঁন তুষার বলেছেন: সিনেমাটা দেখেন, ভালো না লাগলে প্রতিবাড করেন, এরা নিজেদের কি জানি মনে করা শুরু করছে
১৬| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:০৪
আলী আরাফাত শান্ত বলেছেন: এই সব কর্পোরেটীয় আবালীয় সুস্থ ছবি দেইখা অসুস্থ হওনের দরকার নাই!এফডিসির ছবি গুলান তাহলে কোন দিক দিয়ে খারাপ?
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:১০
ফিরোজ খাঁন তুষার বলেছেন: ঠিক কথা.... আপনের মন্তব্যে পেলাস .... হি হি হি
১৭| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:০৯
লালসালু বলেছেন: দেশে লিভ টুগেদার শুরু হইলে আমার আর বিয়া করনের দরকার নাই
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:১৪
ফিরোজ খাঁন তুষার বলেছেন: শুরু হইছে আগেই, কিন্তু জায়গায় জায়গায় এইটা নিয়া কেমপেন হয় নাই
১৮| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৩০
রেজা শাহ্ বলেছেন: কিছু বলতে পারবো না । কাহিনীতে কয়েকটা জিনিস দেইখা আমার আফসোস হইছে। কবে যে আমি জিনিস টা কিনুম?
ভাই সাহেব জিনিস টা কোন কোম্পানির?
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ সকাল ৭:৫৭
ফিরোজ খাঁন তুষার বলেছেন: রাজা ই কিনেন না ...... হি হি হি
১৯| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:২৩
সিরাজ বলেছেন: আমিও দেখছি। মামাকে সাথে নিয়া গেছিলাম। বিব্রতকর পরিস্থিতি। মন চাইছে পরিচালকরে ধইরা........
২০| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:২৬
আশরাফ৪৫৯ বলেছেন:
ছবি দেখছি; সেন্সর বোর্ডরে খুব মনে পড়ছে। ছবির কোন ফিনিশং নাই মনে হইছে!! মনে হইছে সেকেন্ড পার্ট বানানোর জন্য ইচ্ছা করেই এমন রাখা হইছে। বেবি, আই ওয়ান্ট টু .... ইউ - এই গানে .... এর স্থলে একটি বিপ শোনানো হ্য় (WWE এর মত), কিন্তু বিপটি ইচ্ছা করেই .... এর একটু পরে শোনানো হয়, যাতে .... ওয়ার্ডটি বোঝা যায়। আরো কয়েকটি অংশ রয়েছে যেগুলো সেন্সর বোর্ড পার হল কিভাবে তা বোধগম্য নয়...
২১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৩১
ইসমাইল মাহমুদ বলেছেন: ছবিটি নিয়ে এত মন্তব্য যে অামার মাথা এলোমেলো হইয়া যাইতাছে!
২২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:২০
রুদমী বলেছেন: ভেবেছিলাম ছবিটা দেখবো কিন্তু এত কিছু শুনে দেখার ইচ্ছাটাই চলে গেছে :
(
২৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:৩৩
শায়েরী বলেছেন: আমি এখনো দেখিনাই
দেখার ইচ্ছাও নাই
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:৩০
আমি ছাড়া সবাই ভাল বলেছেন: আগেই পড়েছিলাম ফিচারটা।ব্লগে দিছেন ভাল হয়েছে পূনির্মা নিত্যর মত আবালগো আবলামী যদি কমে।