নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: এই নিকটি অবশ্যই (১৮+) দের জন্য এবং দুর্বল ও সংবেদনশীলদের বিশেষ ভাবে অনুরোধ রইলো এই নিকের পোস্ট সমূহ এড়িয়ে যাওয়ার। এর পরও যাদের ভিতরে খুব বেশি কুড়কুড়ি আছে তারা অবশ্যই নিজ দায়িত্বে ঢুকবেন। আর পোলাপাইন!!! এই গুলান বহুত শয়তান ।

সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: এই নিকটি অবশ্যই (১৮+) দের জন্য এবং দুর্বল ও সংবেদনশীলদের বিশেষ ভাবে অনুরোধ রইলো এই নিকের পোস্ট সমূহ এড়িয়ে যাওয়ার। এর পরও যাদের ভিতরে খুব বেশি কুড়কুড়ি আছে তারা অবশ্যই নিজ দায়িত্বে ঢুকবেন। আর পোলাপাইন!!! এই গুলান বহুত শয়তান ।

িফল্ড মার্শাল

অবসর সময় টুকু এখানেই কাটাই । ব্লগে এসে প্রচুর আনন্দ পাই । খারাপ লাগে যখন আমাকে ব্যান করে দেয় বা ব্লক করে দেয় । অনেকবার ব্যান খেয়েছি । জানাপার হাতে পায়ে ধরে আবার ব্লগে আসি । ব্লগের সবাইকে আমার অভিন্ন্দন । [email protected]

িফল্ড মার্শাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

অসাধারন কিছু ছোট গল্প

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৭

গত কয়েকদিনে নেটে বেশকিছু চমৎকার ছোট গল্প পড়লাম। ভাবলাম আপনাদের সবার সাথে শেয়ার করি।

******************************************

একটি ছোট ছেলে অনাথ আশ্রমে বেড়ে উঠছিলো। তার স্বপ্ন ছিলো সে একদিন পাখির মতো উড়তে পারবে।সে বুঝতে পারতো না যে কেন সে উড়তে পারে না। চিড়িয়াখানায় তার চেয়ে বড় বড় পাখিদেরকেও সে খাঁচার ভেতর উড়তে দেখেছে। সে মনে মনে ভাবতো আমি কেন পারি না? আমার কি তাহলে

কোনো সমস্যা আছে?

আরেকটি ছোট ছেলে ছিলো,যে পায়ের সমস্যার জন্যে ঠিক মতো হাঁটতে পারতো না।সে স্বপ্ন দেখতো তার বয়সের অন্য ছেলে-মেয়েদের মতো সে হাটতে পারছে। দৌড়ে বেড়াচ্ছে।সে ভাবতো,আমি কেন ওদের মতো নই?

একদিন সেই অনাথ ছেলেটি,যে পাখি হতে চাইতো,সে হাঁটতে হাঁটতে সমুদ্র সৈকতে এসে পড়লো। সেখানে সে দেখলো যে পঙ্গু ছেলেটি বালিতে বসে খেলছে। বালি দিয়ে বাড়ি-ঘর বানাচ্ছে। পাখি বানাচ্ছে।

তাকে পাখি বানাতে দেখে সে তার কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলো,

-তুমিও কি পাখির মত আকাশে উড়ার স্বপ্ন দেখো?

-না। কিন্তু আমি আর সবার মতো হাঁটতে পারার স্বপ্ন দেখি, দৌড়ে গিয়ে বাবার কোলে ওঠার স্বপ্ন দেখি।

তার কথা শুনে ছেলেটি খুব কষ্ট পেল।সে বললো,

-আমরা কি বন্ধু হতে পারি?

-অবশ্যই আমরা বন্ধু হতে পারি।

এরপর তারা দুইজন মিলে প্রায় ঘন্টাখানেক খেললো । তারা মাটির প্রাসাদ বানালো, পাখি বানালো,দুজনমিলে অদ্ভুত অদ্ভুত শব্দ করলো। এক সময় পঙ্গু ছেলেটির বাবা হুইল চেয়ার নিয়ে ছেলেটিকে নিতে এলো।যে ছেলেটি পাখির মত উড়তে চাইতো সে পঙ্গু ছেলেটির বাবার কানে কানে কিছু একটা বললো। উত্তরে তিনি বললেন

-ঠিক আছে।আমার কোনো আপত্তি নেই।

ছেলেটি তখন তার পঙ্গু বন্ধুকে বললো,

-তুমি আমার একমাত্র বন্ধু। আমি যদি কিছু করতে পারতাম যাতে তুমি আর সবার মতো হাঁটতে আর দৌড়াতে পারতে তাহলে আমি খুব খুশি হতাম।কিন্তু আমি তো তা পারি না।কিন্তু আমি কিছু একটা করতে চাই।

এই বলে সে ঘুরে দাড়ালো এবং তার বন্ধুকে বললো তার পিঠে উঠে বসতে। সে উঠে বসলে ছেলেটি বালুর উপর দিয়ে ধীরে ধীরে দৌড়াতে শুরু করলো। দৌড়াতেই থাকলো। দৌড়ের গতি বাড়লে তাদের দুজনের মুখে সমুদ্রের বাতাস এসে ধাক্কা দিতে লাগলো।

দূর থেকে এই দৃশ্য দেখে তার বাবা চোখের পানি আটকে রাখতে পারলো না। পঙ্গু ছেলেটি খুশিতে তার দু হাত দুদিকে মেলে ঠিক একটি পাখির মতো উপরে নিচে করতে লাগলো,এবং চিৎকার করে বলতে লাগলো

''আমি উড়ছি, বাবা, আমি উড়ছি!''

অন্যের স্বপ্ন পূরণ করুন,আপনার স্বপ্ন নিজে নিজেই সত্যি হয়ে যাবে।

******************************************

একবার এক নববিবাহিতা স্ত্রীকে বিয়ের পর পরই তার স্বামীর সাথে চলে যেতে হয়েছিল ক্যালিফোর্নিয়ার মরুভূমি অঞ্চলে। যেহেতু সে শহরে বেড়ে উঠেছিল তাই মরুভূমি তার কাছে অত্যন্ত প্রত্যন্ত, গেয়ো এবং নিরানন্দ লাগছিল। তাদের যেখানে থাকার ব্যবস্থা হল সেটা তার কাছে মোটেও সহজ হলো না । গ্রামের জীর্ন একটা চালা ঘর, ধূসর মরুভূমি, আদিবাসী প্রতিবেশি। স্বভাবতই কেউই আদিবাসী ভাষা ছাড়া অন্য কোন ভা...ষায় কথা বলতে পারে না। প্রচন্ড গরমের মধ্যে অসহায় একাকিত্ব সময় পার করতে লাগল।

এর মধ্যে যখন তার স্বামী কাজের প্রয়োজনে কিছু দিনের জন্য দূরে চলে গেল। তখন সে তার মাকে লিখে পাঠাল যে,এখানে এই অদ্ভুত মানুষ আর তাদের সংস্কৃতির সাথে মিলে চলতে পারছে না।তাই সে বাড়ি ফিরে আসছে। কয়েক দিন পরে তার মায়ের কাছ থেকে উত্তর পেল। সেটাতে লেখাছিল

“দুই জন লোক কারাগারের ফটক দিয়ে বাহিরে তাকাল

একজন দেখতে পেল কাদা আর অন্যজন আকাশের তারা ”

এই কয়েকটা শব্দতেই তার অন্তরদৃষ্টি খুলে গেল। এবার সে আর পরিবেশকে নয় বরং নিজেকে বদলিয়ে ফেললো। আদিবাসী প্রতিবেশীদের সাথে বন্ধুসুলভ আচরন শুরু করলো। আপন মনে মরুভুমির সৌন্দর্য্ আবিষ্কার করলো। তার পৃথিবী বদলে গেল। অল্প সময়েই তার কাছে ঐ জায়গা মনে হল এক নতুন জগৎ এক নতুন পৃথিবী। এক নতুন আনন্দলোক ।

শিক্ষাঃ সময়ের প্রয়োজনে একটু ভালো থাকার আশায় নিজেকে বদলে নিন, উপযোগী করে তুলুন পরিবেশের সাথে। কাদা না খুজে আকাশের তারা খুঁজার চেষ্টা করুন সব সময়।

******************************************

সাইকোলজির প্রফেসরের আজ মেজাজ খুব ফরফুরে।প্রথম সারিতে একজন নতুন ছাত্র দেখে তিনি তাকে দাড় করালেন।

প্রফেসরঃ তুমি কি গড এ বিশ্বাস কর?

ছাত্রঃ অবশ্যই স্যার।

প্রফেসরঃ গড কি ভাল ?

ছাত্রঃ অবশ্যই

প্রফেসরঃ গড কি সর্বশক্তিমান?

অবশ্যই...

প্রফেসরঃ আমার ভাই ক্যানসারে মারা গেছে যদিও সে গড এর কাছে নিরাময় চেয়েছিল। আমরা প্রায় সবাই অন্যের অসুখ বিসুখে সাহায্য করি, কিন্তু গড তা করেনি। এর পরও কি তুমি বলবে গড ভাল ?

ছাত্র নিশ্চুপ।

প্রফেসরঃ তোমার কোন উত্তর নেই তাইতো ? ওকে, এসো আমরা আবার শুরু করি।গড কি ভাল ?

ছাত্রঃ অবশ্যই

প্রফেসরঃ শয়তান কি ভাল ?

ছাত্রঃ না।

প্রফেসরঃ শয়তান কোথা থেকে এসেছে ?

ছাত্রঃ গড থেকে।

প্রফেসরঃ তাহলে বৎস, বল জগতে এভিল বলে কিছু আছে কি?

ছাত্রঃ জ্বী আছে।

প্রফেসরঃ এভিল সর্বত্রই আছে, তাইনা ? এবং গড সব কিছু তৈরী করেছে।

ছাত্রঃ জ্বী

প্রফেসরঃ তাহলে এভিল কে তৈরী করেছে?

ছাত্র নিশ্চুপ।

প্রফেসরঃ হিংসা, বিদ্বেষ, অসুস্থতা, মৃত্যু, এসব কিছই জগতে আছে, তাই নয় কি ?

ছাত্রঃ জ্বী।

প্রফেসরঃ এসব কে তৈরী করেছে ?

ছাত্র নিশ্চুপ।

প্রফেসরঃ বিজ্ঞান বলে যে, তোমার পাচটি ইন্দ্রিয় রয়েছে যা তুমি জগতের সব বস্তুকে সনাক্ত করতে ব্যবহার কর। এখন বল তুমি কি গডকে দেখেছ ?

ছাত্রঃ না স্যার।

প্রফেসরঃ তুমি কি গডের কথা শুনেছ?

ছাত্রঃ না স্যার।

প্রফেসরঃ তুমি কি গডের স্বাদ গন্ধ কখনও অনুভব করেছ ?

ছাত্রঃ না স্যার।

প্রফেসরঃ এর পরও কি তুমি গড কে বিশ্বাস কর ?

ছাত্রঃ জ্বী।

প্রফেসরঃ পরীক্ষাগারে বলো, অনুভবে বলো প্রদর্শনে বলো , বিজ্ঞান বলে গডের কোন অস্তিত্ব নেই। তুমি একে কি বলবে ?

ছাত্রঃ কিছুই না। আমার শুধু বিশ্বাস আছে।

প্রফেসরঃ হ্যা। এখানেই বিজ্ঞানের সমস্যা।

ছাত্রঃ আচ্ছা স্যার, তাপ বলে কিছু আছে কি?

প্রফেসরঃ হ্যা।

ছাত্রঃ ঠান্ডা ?

প্রফেসরঃ হ্যা।

ছাত্রঃ না স্যার এগুলির কোনটিই নেই।

(ঘটনার পট পরিবর্তনে সারা রুম চুপ হয়ে গেল।)

ছাত্রঃ স্যার, আপনি অনেক ধরনের তাপ পেতে পারেন, কম তাপ, বেশী তাপ বা আরো বেশী, কিন্তু ঠান্ডা বলে কিছু নেই।আমরা ৪৫৮ ডিগ্রীর নীচে তাপমাত্রায় যেতে পারি না।তাপের অনুপস্থিতিকেই আমরা ঠান্ডা বলি। আমরা ঠান্ডা মাপি না, তাপই মাপি।তাপই শক্তি। ঠান্ডা আলাদা কিছু নয়, এটি তপের অনুপস্থিতি মাত্র।

(ক্লাসরুমে তখন পিন পতন নীরবতা।)

ছাত্রঃ আচ্ছা স্যার, অন্ধকার কি?

অন্ধকার বলে কিছু আছে কি ?

প্রফেসরঃ অবশ্যই, অন্ধকার না থাকলে রাত আসে কিভাবে?

ছাত্রঃ আপনি আবার ভুল করলেন, প্রফেসর। অন্ধকার আলোর অনুপস্থিতি মাত্র। আপনি কম আলো, বেশী আলো ঝাপসা আলো, এসব বলতেই পারেন, কিন্তু কোন আলো না থাকলেই আমরা অন্ধকার বলি।আলো একবারেই না থাকলে অন্ধকারকে আরো তীব্র করা সম্ভব নয়।

প্রফেসরঃ এসব বলে তুমি কি বুঝাতে চায়ছো ?

ছাত্রঃ আমি আসলে আপনার ফিলোসফি থেকেই একটা সিদ্ধান্তে পৌছাতে চাচ্ছি।

প্রফেসরঃ কি সিদ্ধান্ত?

ছাত্রঃ স্যার আপনি দৈত নীতি অনুসরণ করছেন।আপনি একই সাথে জন্ম মৃত্যু ভাল গড, খারাপ গড এর অস্তিত্বের যুক্তি দিচ্ছেন।আপনি গডকে সসীম পরিমাপযোগ্য রাশি মনে করছেন।স্যার বিজ্ঞান কখনও চিন্তা ও চেতনা কে পরিমাপ করতে পারেনা। বিজ্ঞান ইলেকট্রিসিটি ম্যাগনেটিজম ব্যবহার করে কিন্তু কখনও এগুলি দেখা যায়না এবং খুব কমই অনুভব করা যায়।এখন প্রফেসর,আপনি বলুন, আপনি কি আপনার ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা দেন যে, মানুষ বানর থেকে এসেছে?

প্রফেসরঃ অবশ্যই । তুমি যদি জৈবণিক বিবর্তনবাদ দেখ তাহলে তো তাই স্বীকার করবে।

ছাত্রঃ এই বিবর্তন কি আপনি চোখে দেখেছেন ?

(প্রফেসর আস্তে আস্তে বুঝতে পারছিলেন তর্কটি কোন দিকে যাচ্ছে।)

যেহেতু কেউ বিবর্তনবাদ কেউ দেখেনি এবং কেউ ল্যাবরেটরীতে প্রমাণও করতে পারেনি, তাহলে কি ধরে নেব আপনি শুধু আপনার বিশ্বাসটাই প্রচার করছেন।আপনি কি একজন বিজ্ঞানী নাকি একজন প্রচারক ?

পুরো ক্লাস হঠাৎ হাসিতে ফেটে পড়ল।

ছাত্রঃ এই ক্লাসে কি এমন কেউ আছো যে প্রফেসরের ব্রেইন দেখেছো ?

পুরো ক্লাস আবার হাসিতে ফেটে পড়ল।

এই ক্লাসে কি এমন কেউ আছো যে প্রফেসরের ব্রেইন শুনেছো অনুভব করেছো, স্পর্শ করেছো অথবা স্বাদ গ্রহণ করেছো?

এমন কেউই নেই যে তা করেছে। সুতরাং বিজ্ঞানের স্বীকৃত নিয়ম অনুযায়ী প্রফেসরের কোন ব্রেইন নেই।

With all due respect, sir, how do we then trust your lectures, sir?

পুরো ক্লাস চুপ। প্রফেসর এক পলকে ছাত্রের দিকে তাকিয়ে রইল।

প্রফেসরঃ আমি মনে করি আমার ব্রেইনকে তোমার বিশ্বাস করা উচিত।

আমিও এটাই বলছিলাম, মানুষ এবং গডের মধ্যে সম্পর্কটা বিশ্বাসের।এটাই বিশ্বাসীদের বাচিয়ে রেখেছে।আর সেই ছাত্রটা নাকি এপিজে আব্দুল কালাম ছিল সাবেক ইন্ডিয়ান প্রেসিডেন্ট আবার অনেকে বলে থাকেন ছাত্রটা ছিল আলবার্ট আইনস্টাইন (কেউ সত্যি নামটা জানলে কমেন্টে জানান)।



সবগুলো গল্পই নেয়া হয়েছে ফেসবুক থেকে।

পূর্বে সামুতে প্রকাশিত।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৫

খেয়া ঘাট বলেছেন: যদিও আগে পড়েছি ।তারপরও এ গল্পগুলো মাঝে মাঝে পড়তে বেশ ভালো লাগে। মানসিক শান্তি আসে। নতুন করে অনুপ্রেরণা আসে।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৫

িফল্ড মার্শাল বলেছেন: ধন্যবাদ । কপি পেস্ট করার জন্য গালি দেন নাই যে । ভাল লাগলো ।

২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১১

সুপ্ত শিপন বলেছেন: ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩০

মোঃ আনারুল ইসলাম বলেছেন: পোস্ট পড়ে ভালই লাগল।

৪| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৮

এস এম কায়েস বলেছেন: অনেক কিছু আছে শেখার। শেখার কোন শেষ নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.