নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: এই নিকটি অবশ্যই (১৮+) দের জন্য এবং দুর্বল ও সংবেদনশীলদের বিশেষ ভাবে অনুরোধ রইলো এই নিকের পোস্ট সমূহ এড়িয়ে যাওয়ার। এর পরও যাদের ভিতরে খুব বেশি কুড়কুড়ি আছে তারা অবশ্যই নিজ দায়িত্বে ঢুকবেন। আর পোলাপাইন!!! এই গুলান বহুত শয়তান ।

সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: এই নিকটি অবশ্যই (১৮+) দের জন্য এবং দুর্বল ও সংবেদনশীলদের বিশেষ ভাবে অনুরোধ রইলো এই নিকের পোস্ট সমূহ এড়িয়ে যাওয়ার। এর পরও যাদের ভিতরে খুব বেশি কুড়কুড়ি আছে তারা অবশ্যই নিজ দায়িত্বে ঢুকবেন। আর পোলাপাইন!!! এই গুলান বহুত শয়তান ।

িফল্ড মার্শাল

অবসর সময় টুকু এখানেই কাটাই । ব্লগে এসে প্রচুর আনন্দ পাই । খারাপ লাগে যখন আমাকে ব্যান করে দেয় বা ব্লক করে দেয় । অনেকবার ব্যান খেয়েছি । জানাপার হাতে পায়ে ধরে আবার ব্লগে আসি । ব্লগের সবাইকে আমার অভিন্ন্দন । [email protected]

িফল্ড মার্শাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইবরাহীম আদহাম

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১৪




ইবরাহিম আদহাম তখন বালখের রাজা। বিশাল রাজত্ব। চারদিকে দোর্দ- প্রতাপ। পথ চলতে সামনে চলে সোনায় মোড়ানো ৪০ ঢালবাহী প্রহরীর দল, আর পেছনে থাকে ৪০ গুর্জবাহী রেজিমেন্ট। একদিন তিনি ঘুমিয়েছিলেন শাহী বালাখানায়। মাঝরাতে হঠাৎ তার ঘুম ভেঙে গেল। নিদমহলের ছাদটি কেঁপে ওঠল, মনে হলো ছাদের ওপর কেউ হাঁটছে। বাদশাহ জিজ্ঞেস করেন, কে তুমি এত রাতে আমার ছাদে। বলে, পরিচিত জন, উটটা হারিয়ে গেছে কিনা, তাই খুঁজছি এখানে। বললেন, ওহে বেকুব! ঘরের ছাদে উট তালাশ করছ? তোমার উট ছাদে আসবে কোত্থেকে? ওপর থেকে জবাব এলো, ওহে গাফেল, উদাসীন! তুমিও যে আল্লাহকে খোঁজ কর সোনায় মোড়ানো পালঙ্কে শুয়ে আর শাহানশাহী আচকান গায়ে? কীভাবে? এ কথায় আতঙ্কের ঘূর্ণিঝড়ে তোলপাড় হলো ইবরাহিমের চিন্তার জগৎ। হারিকেনের আগুন লাগল বুঝি তার অন্তরাত্মায়। শেষ পর্যন্ত বালখের সিংহাসন ছেড়ে বরণ করলেন দরবেশীর জীবন।

জগদ্বিখ্যাত সুফিসাধক ইবরাহিম আদহাম (রহ.) এর প্রথম জীবন আর আধ্যাত্মিক পটপরিবর্তনের এ ছিল প্রেক্ষাপট, যা শেখ ফরিদুদ্দীন আত্তার (রহ.) তার অনবদ্য সৃষ্টি তাজকিরাতুল আউলিয়ায় (পৃ. ১০২) তুলে ধরেছেন। সাধনার জীবনে ইবরাহিম আদহাম বহু অলি-আল্লাহর সাহচর্য লাভ করেন। ইমাম আজম আবু হানিফা (রহ.) এর সোহবতেও ধন্য হয়েছিলেন তিনি। একদিন তিনি ইমাম আজমের খেদমতে উপস্থিত হলেন। মজলিসের লোকজন তাকে তেমন গুরুত্ব দিল না, তাচ্ছিল্যের নজরে তাকাল। ইমাম আবু হানিফা তখন মন্তব্য করলেন, ‘সাইয়েদেনা ইবরাহিম আদহাম’। লোকরা জানতে চাইলেন, এই মর্তবা তিনি কীভাবে লাভ করলেন? ইমাম বললেন, তিনি সর্বদা আল্লাহকে নিয়ে মশগুল ছিলেন, আর আমরা ব্যস্ত ছিলাম অন্যান্য কাজে।’ (তাজকিরাতুল আউলিয়া-পৃ. ১০১)।

তার সাধনা ও অলৌকিক শক্তি সম্পর্কে অনেক বিস্ময়কর কাহিনী বর্ণনা করেছেন ফরিদুদ্দীন আত্তার (রহ.)। আধ্যাত্মিক সিদ্ধিলাভে কত উচ্চমার্গে পৌঁছে ছিলেন তার আন্দাজ করা যায় একটি ঘটনায়।

ইবরাহিম একদিন বসা ছিলেন দজলা নদীর তীরে, দরবেশী ছেঁড়া জামায় তালি দিচ্ছিলেন। জনৈক ব্যক্তি এসে উপহাস করে বলল, ইবরাহিম এই যে বালখের রাজত্ব ত্যাগ করে ফকিরি নিলে, কি পেয়েছ? ফিরে তাকাতে হঠাৎ হাতের সুইটা পড়ে গেল খরস্রোতা দজলায়। ইবরাহিম মাছদের ইশারায় বললেন, আমার সুইটা ফেরত এনে দাও। হাজার হাজার মাছ ভেসে ওঠল দজলার পানিতে, প্রত্যেকের মুখে একটি করে স্বর্ণের সুই। ইবরাহিম বললেন, এসব নয়, আমার হারানো সুই চাই। দুর্বল একটি মাছ তখন সুইটা মুখে নিয়ে এগিয়ে এলো। ইবরাহিম আদহাম আগন্তুককে লক্ষ্য করে বললেন, বালখের রাজত্ব ছেড়ে সবচেয়ে নগণ্য যা পেয়েছি, তা এটুকু। বাদ বাকি তুমি বুঝে নাও। (তাজকিরাতুল আউলিয়া- পৃ. ১২৬)।

বর্ণিত আছে ইবরাহিম আদহামের কাছে জিজ্ঞেস করা হয়, আল্লাহ তায়ালা তো বলেছেন, ‘উদউনি আস্তাজিব লাকুম।’ ‘তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।’ অথচ আমরা দোয়া করলে কবুল হয় না কেন? তিনি বললেন, এর কারণ হলো, তোমরা আল্লাহ তায়ালাকে জান; অথচ তাঁর বন্দেগি কর না। তাঁর রাসূলকে (সা.) তোমরা চেন, অথচ তাঁর সুন্নতের অনুসরণ কর না। কোরআন তোমরা পড়, কিন্তু তার ওপর আমল কর না। আল্লাহর নেয়ামত তোমরা ভোগ কর, অথচ তার শুকরিয়া আদায় কর না। তোমরা জান যে, বেহেশত সজ্জিত রাখা হয়েছে অনুগত বান্দাদের জন্য, অথচ সে বেহেশত তোমরা তালাশ কর না এবং দোজখকে বানানো হয়েছে নাফরমানদের জন্য, আগুনের জিঞ্জির বেড়ি পরানো হবে তাদের; অথচ সেই দোজখকে তোমরা ভয় পাও না, পালিয়ে বেড়াও না। তোমরা জান যে, শয়তান তোমাদের দুশমন, অথচ তার প্রতি তোমরা শত্রুতা পোষণ কর না। তোমরা জান যে, মৃত্যু আছে ও অবধারিত; অথচ মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি তোমাদের নেই। তোমরা পিতামাতা, সন্তান-সন্ততি মাটিতে দাফন করে আস; অথচ তা থেকে ইবরত (শিক্ষা) হাসিল কর না। নিজের দোষ বর্জন কর না; অথচ অন্যের দোষ খুঁজে বেড়াও। যার অবস্থা এরূপ হবে; বলÑ তার দোয়া কীভাবে কবুল হবে? এত কিছুর পরও এত ধৈর্য-সহ্য; সে তো আল্লাহর অসীম ধৈর্য ও দয়া-মেহেরবানির গুণের প্রকাশ, সবকিছুর ফয়সালা হবে শেষ বিচারের দিনে। (তাজকিরাতুল আউলিয়া-১১১-১১২)। বর্ণিত আছে, (খলিফা) মুতাসিম (বিল্লাহ) ইবরাহিম আদহামের কাছে জানতে চান, আপনার পেশা কী, (কী জব করেন?) বললেন, দুনিয়া দেয়া হয়েছে দুনিয়া সন্ধানীদের জন্য, আখেরাত দেয়া হয়েছে আখেরাত সন্ধানীদের জন্য। আমি বেছে নিয়েছি এই জগতে আল্লাহর জিকর ও স্মরণ আর পরকালে আল্লাহর সাক্ষাৎ। আপনার পেশা কী মর্মে আরেক ব্যক্তির জবাবে তিনি বলেন, তুমি কি জান না, যারা আল্লাহর কর্মচারী তাদের জন্য অন্য কোনো পেশার প্রয়োজন নেই। (তাজকিরাতুল আউলিয়া- পৃ. ১১৬)। সুফিসাধকদের উক্তি, কর্ম ও অলৌকিক কাজগুলো স্বাভাবিক দৃষ্টিতে অযৌক্তিক, বিস্ময়কর মনে হয় আমাদের মনে। শেখ সাদি (রহ.) তার জবাব দিয়েছেন অতি সংক্ষেপে। এক দরবেশ এক নেকড়ে বাঘের পিঠে সওয়ার হয়ে যাচ্ছিল রাস্তা দিয়ে, লোকজন দেখে হতবাক। সবার জিজ্ঞাসু দৃষ্টি দেখে দরবেশ বললেন, যিনি সৃষ্টিজগতের মালিক, সবার মনিব; আমি তার গোলামিতে নিজেকে সঁপে দিয়েছি, তাই আল্লাহর সৃষ্ট জীব আমার গোলামি করে। আসলে আধ্যাত্মিক সিদ্ধিলাভের রহস্য এখানেই নিহিত এবং আল্লাহর গোলামিই এর একমাত্র পথ।
- See more at: Click This Link

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:১৯

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ভালো লাগলো ।


শুভেচ্ছা :)

২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩১

ঢাকাবাসী বলেছেন: ভালো লেগেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.