নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রবৃত্তির বিরুদ্ধে জিহাদই হলো সবচেয়ে বড় জিহাদ।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই, ফাঁসি চাই, হতে হবে।

ঢাকা থেকে

অন্যায় সহ্য করা খুব কঠিন।। কিন্তু বাস্তব বড়ই নির্মম।

ঢাকা থেকে › বিস্তারিত পোস্টঃ

⋐⋑⋐⋑⋐⋑⋐⋑রাজাকার, বাংলার ইহুদী ওরফে সাইদীর যতকুকর্ম⋐⋑⋐⋑⋐⋑⋐⋑পর্বঃ ২

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪০

১৯৭১ সালে জামাত বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করতে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে যে ভূমিকা পালন করেছিল, তার কিছু নমুনা

:::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::

দেইল্যা রাজাকারের মুদি দোকানদার থেকে লুটপাটের মাধ্যমে পাঁচ তহবিল গঠন করে ধনী হওয়ার কাহিনী: পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানী থানার (বর্তমান জিয়ানগর উপজেলা) বালিপাড়া ইউনিয়নের টেপশাবুনিয়া গ্রামের ইউসুফ আলী সিকদারের ছেলে দেলাওয়ার হোসাইন ওরফে ‘দেইল্যা’রাজাকার ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের আগপর্যন্ত ছিল একজন মুদি দোকানদার। পাড়েরহাট বাজারে তার ছোট একটি মুদি দোকান ছিল। মুদি দোকানের পাশাপাশি তখন সে তার ভায়রা মোজাহার মল্লিকের সুপারি ব্যবসা দেখাশোনা করতো। মুক্তিযুদ্ধই তার ভাগ্য বদলে দেয় বলে অনেকে মনে করে। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন গাজী জানান, মুক্তিযুদ্ধের সময় দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী স্থানীয় রাজাকার ও শান্তিকমিটির নেতা দানেশ মোল্লা, মোছলেম মাওলানা, আবদুল করিম, আজাহার তালুকদার ও সেকেন্দার সিকদারের আনুকূল্য লাভ করে এবং সবসময় কাঁধে রাইফেল নিয়ে চলাফেরা করতো। তৈরি করেছিল নিজস্ব বাহিনী এবং ‘পাঁচ তহবিল’ নামে লুণ্ঠিত মালামাল রাখার কমিটি। তার ‘দেইল্যা বাহিনী’ সে সময় পাড়েরহাটের ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের বাড়িঘর ও দোকান লুটপাট করে। হিন্দুদের তুলে দেয় পাক বাহিনীর হাতে। ’৭১-এর যুদ্ধের পর ১৯ ডিসেম্বর দেলাওয়ার হোসাইন এলাকা থেকে পালিয়ে গিয়ে তার ভায়রা মোজাহার মল্লিকের সুপারি ব্যবসার মোকাম জয়পুরহাট জেলায় আশ্রয় নেয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় সে এলাকায় অপর চারজন সহযোগী নিয়ে ‘পাঁচ তহবিল’ নামে একটি সংগঠন গড়ে তোলে, যাদের প্রধান কাজ ছিল মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সমর্থকদের ঘরবাড়ি জোরপূর্বক দখল এবং তাদের সম্পত্তি লুণ্ঠন করা। লুণ্ঠনকৃত এসব সম্পদ দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী গনিমতের মাল আখ্যায়িত করে নিজে ভোগ করতো এবং পাড়েরহাট বন্দরে বিক্রি করে ব্যবসা পরিচালনা করতো।” পাড়েরহাট ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ইউনিয়ন কমান্ডের মিজান একাত্তরে রাজাকার সাঈদীর অপতৎপরতার কথা উল্লেখ করে জানিয়েছেন, ‘দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাক বাহিনীর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় লিপ্ত ছিলো। সে ধর্মের দোহাই দিয়ে পাড়েরহাট বন্দরের অনেকের ঘরবাড়ি লুট করেছে ও নিজে মাথায় বহন করেছে এবং মদন নামে এক ব্যবসায়ীর বাজারের দোকানঘর ভেঙে তার নিজ বাড়িতে নিয়ে গেছে। দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী বাজারের বিভিন্ন মনোহরি ও মুদি দোকান লুট করে লঞ্চঘাটে দোকান দিয়েছিলো। দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর অপকর্ম ও দেশদ্রোহিতার কথা এলাকায় হাজার হাজার মানুষ আজও ভুলতে পারেননি’ (তথা সূত্র : মাসিক নিপুণ, আগস্ট ১৯৮৭)। পাড়ের হাটের আনোয়ার হোসেন, আবু মিয়া, নূরুল ইসলাম খান, বেনীমাধব সাহা, বিপদ সাহা, মদন সাহা প্রমুখের বসতবাড়ি, গদিঘর, সম্পত্তি এই দেইল্যা রাজাকার মাও. সাঈদী লুট করে নেয় বলে তিনি গণতদন্ত কমিশনকে জানিয়েছেন। পাড়ের হাট বন্দরের মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমীন নবীন জানিয়েছেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় দেইল্যা রাজাকার সাঈদী এবং তার সহযোগীরা পিরোজপুরের নিখিল পালের বাড়ি তুলে এনে পাড়ের হাট জামে মসজিদে গনিমতের মাল হিসেবে ব্যবহার করে। মদন বাবুর বাড়ি উঠিয়ে নিয়ে দেইল্যা রাজাকার মাও. সাঈদী তার শ্বশুর বাড়িতে স্থাপন করে। রুহুল আমীন আরো জানান, ১৯৭১ সালের জুন মাসের শেষের দিকে তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য রেশন সংগ্রহ করতে পাড়ের হাটে গেলে দেখেন স্থানীয় শান্তিকমিটি ও রাজাকারদের নেতৃত্বে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ৬০-৭০ জনের একটি দল পাড়ের হাট বন্দরে লুটপাট করেছে। পিরোজপুরের শান্তিকমিটি ও রাজাকার নেতাদের মধ্যে সেদিন পাকিস্তানি সেনা দলটির নেতৃত্ব দিয়েছিলো দেইল্যা রাজাকার মাও. সাঈদী, সেকান্দার শিকদার, মাওলানা মোসলেহ উদ্দিন, দানেশ মোল্লা প্রমুখ। এ ছাড়াও দেইল্যা রাজাকার সাঈদীকে একটি ঘরের আসবাবপত্র লুট করে নিয়ে যেতে দেখেছিলেন পাড়ের হাট বন্দরের মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমীন।





চলবে∷∷∷∷∷

মন্তব্য ০ টি রেটিং +২/-২

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.