নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমারে বাঁচান ( ছেপ করেন)

আমি খুব ভালো মানুষ

নীল জানালা

আমি খুব ভালো মানুষ।

নীল জানালা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারতপাকিস্তান যুদ্ধ, এখনো চলছে। তাও আবার.....

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৪:০৩

১৯৭১ সনে যা হৈসিল তা আমি মনে করতে পারিনা। আমার বয়স ছিল ১ বছর কয়েক মাস। একটু বড় হওয়ার পরে শুনতাম "গন্ডগোলের সময়" অমুক হৈসে তমুক হৈসে। গন্ডগোল শব্দটা কৈতো একটু কম পড়ালেখা জানা লোকজন। জানিনা ব্লগে আমার বয়সি কয়জন আছেন এবং তাদের কয়জন আমার পক্ষে স্বাক্ষী দিতে পারবেন। আরো দুইটা শব্দ শোনা যাইতো এবং তা হৈল গোলমাল আর সংগ্রাম। মানুষ "গোলমালের সময়" বা "সংগ্রামের সময়" শব্দ দুইটা দিয়া ৭১ এর ঘটনা ইন্ডিকেট করতো। শেখ মুজিবের বিখ্যাত ভাষনের একটা উক্তি ছিল এমন - এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম। যারা মুক্তিযুদ্ধে গেসিল তাদের পাকি মিলিটারির সদস্যরা ডাকতো মুক্তি। কারন এম. আর. আখতার মুকুলের চরমপত্রের কারনে মুক্তিবাহিনী শব্দটা বেশ চাউড় হয়েছিল। যদিও সত্যিকার অর্থে বাংলার তখনকার দামাল ছেলেরা (এখনকার বুড়া নানারা) সত্যিকার অর্থে যুদ্ধে অবতীর্ন হয় এপ্রিলেরো পরে এবং মোটামুটি হযবড়ল কিসিমে। সেই নাগাদ তাইলে দেশে কি হৈতাসিল? পাকিরা নির্বিচারে হত্যা নির্যাতন অপহরন ধর্ষন চালায়া বেড়াইতাসিল। তাগো সংগি হৈসিল এখনকার আমলে অনেক আওয়ামিলীগ, বিএনপি, এবং সর্বোপরি জামাতে ইসলামির রাজনিতির সাথে জড়িত একপাল কুলাংগার। আমার বাবামার কাছ থেইকা শুনসি ওরা নাকি পাকি ফৌজিদের সাথে নিয়া যারতার বাড়িতে চড়াও হৈত এবং অভিযোগ করতো, মেজর সাহাব ও মেরা বাপকো মারা, ও মেরা মাকো মারা ইত্যাদি এবং পাকিদের দিয়া মাইর খাওয়াইতো নিজ দেশের মানুষদের। হয়তো পুরান শত্রুতার জের বা সম্পদ দখলের লোভে এইসব হীন কাজ ওর করসে। কিন্তু এখনতো সবাই দিব্যি আছে! ওদের মইধ্যে যারা ঝোপ বুইঝা কোপ মাইরা আম্লিগে ঢুইকা পরছে তারাতো রিতিমত চেতনার হোলসেলার, মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেটের আড়তদার। বিএনপি অলা আর জামাতি গুলাএইমুহুর্তে কিছুটা বেকায়দায় আছে, তারপরেও একবরে খারাপ নাই। যাক, আসল কথায় আসি। মুক্তিযুদ্ধ টার্মটা আসলে কবিসাহিত্যিকদের দান। তো ঐ মুক্তিযুদ্ধে পাকি সৈন্যরাতো বাংলাদেশের মাটিতে আছিলোই। ওদের মোকাবেলা করতে মাঠে আসে ভারতে প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত (ঘাস-খালি প্যারেড আর গাদা বন্দুক চালানির শিক্ষারে যদি যুদ্ধের প্রশিক্ষন কওন যায় তাইলে) মুক্তিবাহিনী এবং এদের পরপর আসে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সৈনিকরা। আপনাদের মধ্যে যাদের পাকিস্তানী বা ভারতীয়দের সাথে ১৯৭১ নিয়া কথা বলার সুযোগ হৈসে তারা হয়তো জানেন যে ঐ দুইটা দেশে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বলতে কোন টার্ম নাই। ওরা উভয়েই তাদের সন্তানদের শিখায় যে ৭১ এ পাক-ভারত যুদ্ধ হৈসিল। কোথায়? পূর্ব বাংলায়। বাংলাদেশের মানুষ আমরা গর্ব কৈরা মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের বিরত্বের কথা বলি এবং "পাক-ভারত যুদ্ধ" টার্মটারে আমরা প্রত্যাখ্যান করি। কিন্তু আমরা কি অন্ধ হয়া গেসি? আমরা কি দেখিনা যে পূর্ব বাংলায় এখনো এই পাক ভারত যুদ্ধই হৈতাসে? আমরা দেখিনা কারন এখন আর পাকি বা ভারতীয় সৈনিক নাই। ওদের প্রয়োজনওতো নাই। আমরা নিজেরাইতো নিজেদের মারার জন্য যথেষ্ট। বাংলাদেশের মানুষ এখন দুই ভাগে বিভক্ত। একদলের নাম পাকি দালাল আরেকটার নাম ভারতীয় দালাল। সংগা দেই। পাকি দালালরা যারে ভারতীয় দালাল ডাকে তারা আবার বিপরীত দলরে পাকি দালাল ডাকে। কিন্তু কেউ নিজেরে পাকি দালাল বা ভারতিয় দালাল হিসাবে পরিচয় দেয়না। আওয়ামিলীগের সবাই যে ভারতের দালাল তা না, অনেক গবেটও আছে যারা জন্মসূত্রে আম্লীগ করে, অনেক সুবিধাবাদি আছে যারা তৈলমর্দন কৈরা পেট চালায়। তবে আম্ললিগের একজন যে ভারতীয় দালাল সেইটা অস্বীকার করার উপায় নাই। সে হৈল শেখ হাসিনা। ভারতের আশির্বাদপূস্ট এই রমনী ভারতীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নের উদ্যেশ্যে নির্বাচন নামের এক নাটকের অবতারনা কৈরা রাস্ট্রক্ষমতা হাইজ্যাক করার মাধ্যমে পুনরায় ৫ বছর (হায়াত যদি থাকে) ক্ষমতায় থাকতে বদ্ধপরিকর। ভারত সংগে সংগে শতদিকদিয়া প্রশ্নবিদ্ধ এই ক্ষমতায় আরোহনপ্রনালীকে বৈধ বলে মত প্রকাশ করে এবং স্বীকৃতি দেয়। এতেও যদি ভারতের সাথে ঐ মহিলার গভীর সম্পরকের ব্যাপারটা কারো কাছে স্পস্ট ভাবে ধরা না পরে তাইলে সেই দোষ আমারনা, দোষটা তার বাবামার। কারন, ছোডবেলা আয়োডিনযুক্ত লবন খাওয়ায় নাই । এছাড়াও ভারতরে নদী ভরাট কৈরা তরিঘরি যাতায়াতের রাস্তা তৈরা কৈরা দেওয়া থেইকা শুরু কৈরা নানান প্রকার বিনামূল্যের (আসলেতো বিনামূল্যের না, মূল্যটা বাংলাদেশবাসী পরিশোধ করে বৈলা ঐটা ভারতের লাইগা বিনামূল্য হয়া যায় আরকি) সুবিধাদি দেওয়াটাই যেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে উনার প্রধান কাজ।

আবার অন্য দিকে, জামাতে ইসলাম কোন পাকিস্থানপন্থী দল নয়, সরাসরি পাকিস্তানী দলের বাংলাদেশি শাখা। অবাক ব্যাপার হৈলেও ঘটনা সত্য। বাংলাদেশ পাকিস্তান থেইকা বিচ্ছিন্ন হয়া যাওয়ার চল্পলিশ বছরাধিক কাল পরেও কি কৈরা একটা পাকিস্তানী দল বাংলাদেশে রাজনৈতিক কর্ম কান্ড চালায়া যায় এই প্রশ্নটা বিএনপি আম্লীগ দুইডারেই করা উচিৎ। কারন দুইডাই জামাতের কাছে হাংগা বসছে/বসছিল এবং একটায় এখনো দাম্পত্য জীবন চালায়া যাইতাসে। খালেদা জিয়া এইমুহুরতে জামাতের লগে আছে বিধায় তার পাকি কানেকশনের ব্যাপারটা উড়ায়া দেওন যায়না।

যাক... মোদ্দা কথা হৈল.... সবার চেতনা অচেতন অবস্থায় আছেতো??? গুঠ নাইঠ

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৫:৩৫

সরলপাঠ বলেছেন: যদিও ভাষাটা তীর্যক, তবুও আপনার লিখায় বাস্তবতার অনেক ছোঁয়া পেয়েছি। সত্যিকারের বাংলাদেশীর আজ বড়ই অভাব। দেখুননা ক্রিকেট নিয়ে হচ্ছেটা কি?

১৯৭১ সালের স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি আর ২০১৪ সালের সার্বভৌমত্ব রক্ষার শক্তির ভুমিকা যে সময়ের শ্রোতে বিপরীতমূখী তা জাতির সাথে ক্রিকেট বোর্ডের প্রতারনার রাজনীতিই বলেদেয়। নাজমুল গংরা যে জেনেশুনে আমাদের ক্রিকেটকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা সাংবাদিকদের কাছে তাদের সিদ্ধান্ত গোপনের চেষ্টা থেকেই বুঝা যায়। ক্রিকেটের এই স্বার্থ বিকিয়ে দেয়া কোনভাবেই দেশের সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দেয়া থেকে বিচ্ছিন্ন নয়।
বাংলাদেশের একটি গোষ্টি এইভাবেই অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ক্রিড়া সহ সবক্ষেত্রে জাতীয় স্বার্থকে বিকিয়ে দিচ্ছে।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:৪৬

নীল জানালা বলেছেন: ভাষাটা তীর্যক বলায় লেখাটা একবার পড়ে নিলাম। আসলে স্বতঃস্ফুর্তভাবে মনের ভিতর থেকে যা এসেছে তাই লিখেছি। মূল কথা যা ছিল তা আপনি বুঝতে পেরেছেন। ভাষা খুব জটিল জিনিষ। ভাব পুরাপুরি প্রকাশ করার মত ভাষার জ্ঞান আমাদের অনেকেরই নাই। আমার নাই। আমার বলার বিষয়টা ছিল এই যে আজ আমরা বাংলাদেশী বাংগালীরা দুইভাগে বিভক্ত হয়ে গেছি এবং এই বিভক্তিটা খুবই প্রকট এবং বিপদজনক। পৃথিবীর সব গনতানত্রিক দেশেই কমপক্ষে দুইটা ভাবধারার রাজনৈতিক দল থাকে। ওদের মধ্যে নিতিগত বা আদর্শগত বিভেদ থাকলেও সেই বিভেদ শত্রুতার পর্যায়ে গড়ায়না কখনো। তাদের সব কার্যকলাপের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে দেশের স্বার্থ।
চেতনা ব্যাবসায়ী, ধর্ম ব্যাবসায়ী মৃত/নিহত রাজনিতিবিদের ইমেজ ব্যাবসায়ীরা আর যাই করুক দেশের স্বার্থ, জনগনের স্বার্থ রক্ষার কোন চেস্টাই কখনো করেনা। ভারত পাকিস্তান দুইটা দেশের ভুত আমাদের দেশের ঘাড়ে এমনভাবে চাইপা বসছে যে আমাদের স্বার্বভৌমত্ব খোয়া যাবার উপক্রম।

২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:১৫

ভারসাম্য বলেছেন: লেখার ইষ্টাইল আর বিষয়বস্তু দুইটাই ভাল্লাগছে। ছেপ হইলে জানায়েন।

৩| ২৯ শে জুলাই, ২০১৪ ভোর ৫:১৬

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: খুব,প্রচন্ডভাবে হলেও আপনার ভাষায় বলতে হয় "বাংলাদেশ পাকিস্তান থেইকা বিচ্ছিন্ন হয়া যাওয়ার চল্পলিশ বছরাধিক কাল পরেও কি কৈরা একটা পাকিস্তানী দল বাংলাদেশে রাজনৈতিক কর্ম কান্ড চালায়া যায় এই প্রশ্নটা বিএনপি আম্লীগ দুইডারেই করা উচিৎ। কারন দুইডাই জামাতের কাছে হাংগা বসছে/বসছিল"।।
এমন নির্দলীয় সমালোচনা আমি কমই দেখেছি।।
ঐ দুইটা দেশে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বলতে কোন টার্ম নাই। এই একেবারে বাস্তব সত্য। অন্ততঃ প্রবাসীদের কাছে। প্রতিটা ভারতীয় এটা বিশ্বাস করে অন্তরে অন্তরে। সেখানে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ গৌন। যা একমাত্র অনুভব করে প্রবাসীরা।
অনেক ধন্যবাদ।।

৪| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩৮

খেলাঘর বলেছেন:

" ওদের মোকাবেলা করতে মাঠে আসে ভারতে প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত (ঘাস-খালি প্যারেড আর গাদা বন্দুক চালানির শিক্ষারে যদি যুদ্ধের প্রশিক্ষন কওন যায় তাইলে) মুক্তিবাহিনী এবং এদের পরপর আসে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সৈনিকরা। "

-আপনি মোটামুটি অপদার্থ।
মুক্তিযুদ্ধ ভয়ংকর এক যু্ধ ছিল; ওখানে সন আধুনিক অস্ত্র ছিল। আপনারা জন্মেছেন কম মগজ নিয়ে।

৫| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২২

নীল জানালা বলেছেন: আপনাকে আমি বলতে পারি অনেক কিছুই। কিন্তু কিছুই কমুনা। খালি জিগামু...তাও আবার সম্মানের সহিত, যেহেতু আপনার কমেন্টের শ্যাষ লাইনটা পড়লে বোঝা যায় যে আপনে খুব মগজধারী। মগজধারি লোকজনের খুব ওভাব বর্তমানে বংগদেশে। সুতুরাং সম্মান না কৈরা উপায় আছে নাকি? তবে জনাব মগজধারি, আপনের কাছে অনুযোগ কিন্তু একটা আছেই। আর তা হৈল, এত মগজ নিয়াও কেন আপনে এমন বাল্কমেন্ট করলেন? এমন কিছু তো অবশ্যই বলতে পারতেন যার থেইকা আমরা নিজেরাই বুইঝা নিতাম যে হ, বুদ্ধি হ্যাজ! যাউকগা, আপনের কাছে আমার প্রশ্ন হৈল, আপনে জন্মাইছেন কোন সনে এবং মুক্তিযুদ্ধের ব্যাপারে আপনার জ্ঞান আহরনের উৎসটা কি? মানে, যুদ্ধখানা কি আনি নিজে করসেন? আপনার বাবা চাচা উনারা করসেন এবং তাঁদের কাছ থেইকা শুনছেন, কিংবা বই-পুস্তক থেইকা জানছেন। সবিনয় নিবেদন এই যে, যদি অধমের এই প্রশ্নটা আপনার চোখে পরে তবে আপনার অতি মুল্যবান সময়ের যৎকিন্চিত ব্যায় করতঃ উত্তর দান করিয়া আমাদিগকে আজন্ম কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করিতে আজ্ঞা হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.